![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লগ কর্তৃপক্ষরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার পরে ধর্মান্ধ মামাবাড়ির আবদার আরো বারবে আগেই আন্দাজ করেছিলাম। কৌশিক ভাইএর পোস্টে তারে একজন তো বলেই ফেললো, আপনে নাস্তিক, তাও আবার ঢাকডোল পিটাইয়া ঘোষনা দেন! এত্ত বড় সাহস। আজকে রাইতে দাবি উঠেছে ব্লগে ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (স)এর কোন সমালোচনা করা যাবেনা, এবং এই জাতীয় পোস্ট সব ডিলিট করতে হবে। কেনরে বাবা? ধর্মীয় সেন্টিমেন্টএর দোহাই দিয়া সকল সমালোচনা বন্ধ করে রাখলে ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী ছাগু হিজুরা যখন নবীর দোহাই দিয়া আকাম কূকাম জায়েয করবে তখন তার বিপরীতে দাঁড়ানের নৈতিক শক্তি অবশিষ্ট থাকবে কি?
আমি তাই আল রাজির দোহাই দিয়া আজকে নবী রাসুলএর সমালোচনা করবো। আল রাজি (৮৬৫-৯২৫) কে ছিলেন? তিনি ছিলেন মধ্যযুগীয় আরব দুনিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক, বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক। তার লেখা বই আল-হাবি বা কনটিনেন্স ১৬ শতক পর্যন্ত ইউরোপে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বই হিসাবে স্বিকৃত ছিলো।
আল রাজি একটা বই লিখছিলেন "মাহারিক আল আম্বিয়া" নামে, যার বাঙলা অর্থ হবে "নবীদের ভন্ড চাতুরি"। আলোচ্য বইএ তিনি যুক্তি তুলে ধরেন যে ইশ্বর তার সৃষ্টির কিছু বিশেষ ব্যক্তির কাছে নিজেকে প্রকাশ করবেন, অন্যদের কাছে করবেন না, এর কোন যৌক্তিকতা নাই। ওহী নাজিল এবং নবুওয়াতএর ধারণাকে তিনি ভন্ডামি বলে অস্বিকার করেন। এই প্রসঙ্গে তৎকালিন মুসলিম দুনিয়ার আরেক বিখ্যাত বুদ্ধিজীবী আবু হাতিম' (তার ডাকনামও আল রাজি ছিলো)এর মতে আল রাজি ধর্মগ্রন্থের বিভিন্ন আয়াতএর স্ববিরোধীতার উল্লেখ করে সেগুলোকে নবীদের ভন্ডামি হিসাবে প্রমান করার চেষ্টা করেন। আবু হাতিম এর প্রবল বিরোধী ছিলেন। দুইজনএর মধ্যে অনেক তর্ক হয়। আবু হাতিম মূলত নবীদের মিরাকল ঘটানোর ক্ষমতাকে তাদের নবুওয়াতএর প্রমান বলে দাবি করেন। জবাবে আল রাজি যা বলেন তা আবু হাতিমএর ভাষায় -
" নিজেরে নবী বলে দাবি করেনাই কিন্তু এই জাতীয় মিরাকল ঘটাইছে এমন লোকও তো দুনিয়ায় কম নাই। এই বলে আল রাজি হাত সাফাই এবং জাগলিং করা লোকজনের উদাহরণ দেন, যারা বল্লমের উপরে নাচে, ধারালো তলোয়ারের উপর দিয়া হাটে। তিনি এর সাথে ডাইনি ও জাদুকরদের সুর করে ছন্দবদ্ধ মন্ত্র উচ্চারণের উদাহরণ দেন। এসব উদাহরণ দিয়ে তিনি নবীদের মিরকালককে নবুওয়াতএর চিহ্ন বলে অস্বিকার করেন"।
এছারাও কোরআনকে যারা নবীর সবচেয়ে বড় মিরাকল বলে দাবি করে এবং এইরকম আরেকটা কোরআন লিখে দেয়ার চ্যালেঞ্জ করে তাদের চ্যালেঞ্জএর জবাবে রাজি বলেন -
" তোমরা দাবি কর যে প্রামানিক মিরাকল একটা আছে, আর সেই মিরাকল হইলো কোরআন। তোমরা কও, যে এই কোরআনকে অস্বিকার করবে তারা পারলে এইরকম আরেকটা কিছু তৈরি করে দেখাউক। আমি বলি, অবশ্যই, এইরকম আরো হাজারটা তৈরি করা যাবে, সুবক্তা পন্ডিত আর সাহসি কবিদের সৃষ্টিকর্ম থেকে এইরকম আরো হাজারটা তৈরি করা যাবে,এমনকি সেগুলোতে ভাব এবং ভাষার গঠন আরো ভালো হবে এবং আরো কম কথায় বেশি ভালো ভাবে বোঝানো যাবে”।
মাহারিক আল আম্বিয়া'তে আল রাজি ওহি সর্বস্ব ধর্মমতের প্রবল সমালোচনা করেন। তার মতে এই জাতীয় ধর্মের অনুসারীরা মুক্তভাবে চিন্তা করতে পারেনা। তিনি বলেন -
"ওহী সর্বস্ব ধর্মের অনুসারীরা ধর্ম শেখে তাদের নেতাদের মুখে শুনে শুনে। এরা নিজ ধর্মের মৌলিক বিশ্বাসএর ক্ষেত্রে যুক্তি তর্ক এবং অনুসন্ধান অস্বিকার করে"।
" যখনি এমন কোন ধার্মিক ব্যাক্তিকে তার ধর্মের পক্ষে যুক্তি এবং প্রমান দিতে বলা হয়, তখনি সে জ্বলে ওঠে, রেগে যায় এবং প্রশ্নকারির রক্ত ঝরায়। এরা যৌক্তিক মতামতকে অস্বিকার করে, প্রতিপক্ষকে হত্যা করে। এদের কারণেই সত্য নিস্তদ্ধ হয়েছে"।
এই জাতীয় ধার্মিকদের কিছু সাধারণ বক্তব্য আল রাজি লিপিবদ্ধ করেন যেই বূলিগুলা তারা ধর্ম সম্বন্ধে কোন যুক্তি তর্কের মুখোমুখি হলেই তোতাপাখির মতো আওরাতে থাকেন। এর মধ্যে কিছু হচ্ছে -
* যে ধর্মিয় বিষয় আশয় যুক্তির মাপকাঠিতে মাপতে চেষ্টা করে সে সবসময় কনফিউশনে থাকবে।
* আল্লাহর বিষয়ে চিন্তা কইরোনা, আল্লাহর সৃষ্টি নিয়া চিন্তা করো।
* ধর্মীয় বিষয়ে দ্বিমত বা ভিন্নমত করলে কাফির হতে হবে।
* অলঙ্ঘনিয় ভাগ্য হইলো আল্লাহর গোপন বিষয়। এগুলা নিয়া প্রশ্ন কইরো না।
* অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা ভালো না। অতীতে বহু জাতি এইরূপে ধ্বংস হইয়া গেছে।
শেষ যেই তোতাপাখির বূলিটা দিলাম এইটা ১২ শতকএর পরে মুসলিম দুনিয়ায় বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। সেই সুবাদে আল রাজির মতো দার্শনিক বিজ্ঞানীদের কাফির ঘোষনা দেয়া হয়। কিন্তু তাতে মুসলিম দুনিয়া কি ধ্বংসের হাত থেইকা রক্ষা পাইছে? না পায় নাই। আল রাজির বই পইড়া অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা কইরা ইউরোপে রেনেসা হইছে। আর মুসলিম জাতির লোকজন এই একবিংশ শতকে আইসা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে করতে ব্লগএর মতো মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্লাটফর্মে আইসা দাবি তোলে যে নবীদের সমালোচনা করা যাবেনা।
(ব্যক্তিগতভাবে আমি নবুওয়াত বিষয়ে আল রাজির সাথে পুরাপুরি একমত না। নবী রাসুলদের গড়পরতায় ভন্ড বলতেও আমি রাজি না। কিন্তু ব্লগের মত প্রকাশএর স্বাধীন ঐতিহ্যের গলায় ফাশ পরাইতে তৎপর অতি ধার্মিকদের অতি ধর্ম তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ রাজির দোহাই মানলাম )
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৭
সূর্য বলেছেন: ফ্রিডম অব স্পিচ মানে কারো ফাঁসি চাওয়া না। ফ্রিডম অব স্পিচ বলতে কী বোঝায় তাই আপনি বোঝেন না। কাজেই ফাঁসি চাওয়ার কোন অধিকারই আপনার নাই।
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩২
সুন্দর খাঁ বলেছেন: কোন সমস্যা নাই, গোসল না করার জন্য আপনার গা থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, এই কথা প্রকাশ্যে বললে আপনি যদি আহত বোধ না করেন, তাহলে নবী রসুলের উম্মতদেরও আহত বোধ করার কোন কারণ নাই
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৫
পারভেজ আলম বলেছেন: আপনের সাথে কখনো এতোটা ঘনিষ্ট হইছি বলে মনে পরেনা। অথবা এইটা কি আপনার কোন বান্ধবির কাছে শুনেছেন যার সাথে অতিতে আমি ঘনিষ্ট হয়েছিলাম? আমার সাথে আপনার অথবা আপনার বান্ধবির এহেন গোপন ঘনিষ্টতার কথা ব্লগে গলা ফাটায়া বলতে আপনে যদি আহত না হন আমি কেমনে হই?
৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৮
সুন্দর খাঁ বলেছেন: আপনি যে নিয়মিত গোসল করেন না, এটা ব্লগের অনেকই যানে
আপনার এতে লজ্জিত হওয়ার কারণ নাই, পানি -সাবান এর দাম বেড়ে গেলে এমনই হয়
৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৮
বটতলার টারজান বলেছেন:
নতুন পাগলের আমদানি !!!
৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৯
নয়ামুখ বলেছেন: আপনি যদি নাস্তিক হতেন তবে আমার কোনো সমস্যা ছিলোনা । কিন্তু আপনি তো নাস্তিক না । আমি আবরো বলছি আপনি নাস্তিক না । আপনি ইসলাম বিদ্বেষী । কেনো রে ভাই নাস্তিকের বেশ ধরে নাস্তিকতাবাদের অপমান করছেন ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪২
পারভেজ আলম বলেছেন: নাস্তিকতাবাদ কেমতে অফমান হয়েছে?
৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪১
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: শুরু হইলো একটা সিনেমা লইয়া। যে সিনেমা জিনিসটাই আসলে অনৈসলামিক, মোনাফেকী কাজ। ধর্মের বিবেচনায় এইটা বাতিল জিনিস। একটা বাতিল জিনিসের বিষয় বস্তু নিয়া মাথা ঘামানোর কি দরকার আছে? এরা কি বলতে চায় নবীজির অসম্মান না করলেই সিনেমা যায়েজ।সানি লিওন বা জিসম সিনেমা লইয়া মোমিনদের কোন আপত্তি নাই। নাউজুবিল্লাহ। ব্লগও একই জিনিস। ব্লগিং তো আসলে বেদাতী কাজ। এখানে লিখবে বেদাতী নাফরমান রা। ইন্টারনেট হইলো মোনাফেকদের আবিস্কার। ব্লগ মানেই নবীজিরে সকাল সন্ধ্যা উষ্টানো। যেখানে নবী রাসুলের মান সম্মান নাই সেখানে মমিনদের থাকা সাজে না। তাই ধার্মিকদের জন্য ব্লগ না। তারা রাত জাইগা তাহাজ্জুত পড়বে। তা না কইরা জানা আরীলের পর্ণ ছবি বানায়। নাউজুবিল্লাহ।
পরেভেজ ভাই সালাম সহ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৫
পারভেজ আলম বলেছেন: মন্তব্যে শত শত ঝাজা।
৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪১
শুভঙ্করঃ বলেছেন: সাধারণ সমালোচনা আর কুরুচীপূর্ণ আক্রমণ এক নয়। মহানবী (সাঃ) একজন মানুষ ছিলেন। তাকে যারা বিরোধীতা করবেন তারা নিশ্চয়ই বিরোধীতার কারণ দর্শাবেন। হতেই পারে। সবাইতো আর তার অনুসারী হবে না।
মুক্তমনা মানেই কি ধর্ম অবমাননা? আমি তা মনে করি না। ধর্ম মানব কল্যানের জন্য। মুহাম্মদ (সাঃ)ও মানব কল্যানের জন্য কাজ করে গেছেন। আমার ধর্মীয় জ্ঞান কম। তাই আপনার সাথে তর্কে যাবো না।
আপনার পোস্টে কোন কুরুচীপূর্ণ আক্রমণ নাই।একজন নাস্তিকের কাছ থেকে এটা তবুও একটা ভালো দিক।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৫
পারভেজ আলম বলেছেন: দেখেন। ব্লগে নাস্তিকদের কুরুচীপূর্ণ পোস্ট কয়টা? ব্লগে আগে অনেক নাস্তিক ছিলো। এখন খুবি কম। তাদের কয়টা গালিগালাজএর পোস্ট পাইবেন ব্লগে? আর তার বিপরীতে ধর্মান্ধদের হুমকি ধামকি গালিগালাজএর অভাব পাইবেন না। এই পোস্টেই দেখেন কয়জন আইসা যুক্তি দিয়া কথা কইবে আর কয়জন উরাধুরা গালিগালাজ করবে।
আমার সাথে তর্কে যাওয়ার দরকার নাই। আমিও মনে করি সমালোচনা আর কুরুচীপূর্ণ আক্রমন এক নয়। কিন্তু এখন কিছু ধর্মান্ধ মামার বাড়ির আবদার তুলেছে যে সমালোচনা করা যাবেনা।
৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৯
এসএন রিলোডেড ✈ বলেছেন: বালছাল পোষ্ট এ জুতা রেটিং
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫১
পারভেজ আলম বলেছেন: " যখনি এমন কোন ধার্মিক ব্যাক্তিকে তার ধর্মের পক্ষে যুক্তি এবং প্রমান দিতে বলা হয়, তখনি সে জ্বলে ওঠে, রেগে যায় এবং প্রশ্নকারির রক্ত ঝরায়। এরা যৌক্তিক মতামতকে অস্বিকার করে, প্রতিপক্ষকে হত্যা করে। এদের কারণেই সত্য নিস্তদ্ধ হয়েছে"। - আল রাজি
হায়। পারলে একটু যুক্তি দিয়া বিরোধীতা করেন।
১০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৯
পুংটা বলেছেন: আমার নবীজিরে লইয়া কেউ কিছু কইলে কল্লা ফালাইয়া দিমু।
১১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: যুক্তিবিহীন কুৎসা, ব্যঙ্গ, আক্রমণ, নাম বিকৃতি করে "এ্যাল্লাহ" বা "মহাউন্মাদ" বলা এইসবের বিরুদ্ধে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সাথে আমিও আছি। কিন্তু দাড়িপাল্লার ঐ পোস্টের পর থেকে যে জোশ শুরু হৈছে যে, মহানবী সম্পর্কে কোন সমালোচনা করা যাবে না, ধর্মের কাঁচের গ্লাস শক্ত পাথরে রাখা যাবে না, এইসব আবদার বাড়াবাড়ি। সামু এইসব দাবীর কাছে নমনীয় হবেনা আশা করি।
সমস্যা হৈলো, আস্তিকরা নাস্তিকদের শত্রু ভাবতাসে শুধুমাত্র বিশ্বাসগত তারতম্যের কারণে। একজন মোটামুটি হিট ব্লগারের ব্লগে লেখা দেখলাম, "ছাগু এবং নাস্তিকদের প্রবেশ নিষেধ"। দুইটা কীভাবে এক পাল্লায় মাপে তাই বুঝে আসে না। সেই ব্লগার এত ধর্মপ্রাণ, অথচ তার লাস্ট পোস্ট দিসে চরম ১৮+
কমেন্ট করার পরে খেয়াল করলাম। উহারা লেটেস্ট পর্ণ দেখার জন্যে হুমড়ি খাইয়া পড়বে, হিডেন ক্যাম ভিডিও রেকর্ড কৈরা বিলি করবে, ব্লগে নারীজাতীকে নিয়ে রসের আড্ডা বসাইবে, ঐগুলা কিছু না, কারণ তওবা করার অপশন তো আছেই! তয় ধর্ম নিয়া এদিক সেদিক কিছু কৈলেই চটি ট্যাব ক্লোজ কৈরা গাইল্যাইতে আইবো। কী হাস্যকর দ্বিমুখীতা!
তবে এটাও ঠিক, সামু কিছু সাইকো টাইপ চুলকানি নাস্তিকরে দীর্ঘদিন ধৈরা পুষছে, আরিফুর রহমানের উদাহরণ দিতাছি। একবার একটা পোস্ট আইছিলো, "কুরআন শরীফের পিডিএফ লিংক কৈ পাবো"। আরিফুর কমেন্টায়া আইছিলো টয়লেটে যায়া খুঁজতে। এরকম ঘটনা অনেকবার ঘটলে আস্তিকরা ক্ষেপবে না কেন? সামু সেইটা ঘটার সুযোগ দিবে কেন?
একটা ভারসাম্য দরকার, আস্তিকদের টলারেন্স লেভেল বাড়ানো উচিত, নাস্তিকদেরও অহেতুক চুলকানি কমানো উচিত।
ফাউ ফাউ দুই পক্ষরেই কিচু কতা কৈলাম হেহে। কারণ আমি এ্যাগোনিস্ট। দুইটা প্রশ্নের যথাযথ উত্তর না পায়া আমি নাস্তিক হৈতে পারি নাই, সেইগুলা এই পোস্টের সাথে অপ্রাসঙ্গিক। থাউক গা!
কাইলকার কথাটা আবারও কৈয়া শুভরাত্রি জানাই,
সামুতে মুক্তচিন্তা বাধাগ্রস্থ না হোক, সেই সাথে মুক্তচিন্তার নামে মূত্রচিন্তাকেও কমোডে ফ্লাশ কৈরা দিতে গড়িমসি যেন না করা হয়।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৬
পারভেজ আলম বলেছেন: আমি নিজেও এগোনিস্ট। কিন্তু আস্তিকতা, নাস্তিকতা, অজ্ঞেয়বাদএর সাথে ভদ্রতা, ভব্যতা, সহনশিলতার কোন সম্পর্ক নাই। যে ইতর সে ইতরই, আস্তিক নাস্তিক ব্যাপার না। যেই কোন ফ্লাগ নিয়াই সে ইতরামি করবে, এইটাই স্বাভাবিক। ব্লগে ইতরামি কমানো দরকার এইটা হচ্ছে মূল কথা।
মন্তব্য দুর্দান্ত হয়েছে। লাইক দিলাম। ছাগু ও নাস্তিক এক কাতারে নামায়া যারা আম ব্লগারএর হিট খাইতে চায় তারা দিনশেষে ছাগুগোরেই পক্ষান্তরে সাইড দেয়।
১২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৪
রাজদ্রোহী বলেছেন: আলুপোড়া খাওয়া পার্টি সুযোগ পাইছে আর ধর্মের নামে গনহারে ভিন্ন মত দমনে নামছে।যারা মহানবীর জীবনী পড়ছে তাদের তো আজাইরা চুলকানী থাকার কথা না।আমার ধারনা চুলকানী পার্টির অধিকাংশরই ধর্ম সম্পর্কে ধারনা অতি সামান্য যে কারনে তাদের সেই দূর্বলতা গলাবাজী করে ঢাকতে চায়।নির্মম হলেও সত্য যে আমি খুব সামান্য সংখ্যক আস্তিকরেই যুক্তিপূর্ন বিতর্ক করতে দেখছি।বাকীরা গালাগালিতেই শুধু উস্তাদী দেখায়।
১৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৬
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: সমালোচনা আর কুরুচি পূর্ণ অবমাননা যে এক নয় সেটা খুবই সত্য কথা। নাস্তিকদের কেউ কেউ এই কাজটা করেন। আমারও তা ই মনে হয়। কিন্তু এটা ধার্মিকদের ক্ষেত্রে বেশী সত্য।
“নাস্তিক্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বললে কল্লা ফালায়া দেমু’’ এই কথা কোন কালে কেউ বলেছে?
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৮
পারভেজ আলম বলেছেন: উপরে দেখেন না। একজন বাদে আর কেউই যুক্তি দিয়া কিছু কয়নাই। মুখের ভাষা দেখেন, ভাষার প্রয়োগ দেখেন। এরা আবার নাস্তিক খেদাইতে চায়। নাস্তিক না থাকলে এরা ব্লগটারে তো ভাগার বানাইবে।
১৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৮
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: মাত্রাতিরিক্ত কোনকিছুই ভাল নয় সাংবাদিক সাহেব। আপনার কি মনে হচ্ছেনা সবকিছু মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে? যেদেশের মানুষ মুহম্মদ (স) এর সামান্য কার্টুন কার্টুন দেখে অস্থির হয়, সামান্য ট্রেলার দেখানোর জন্য পুরো ইউটিউবই বন্ধ হয় সেখানে সামহয়্যারের পোষ্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষের চোখে পড়লে কি হতে পারে?
এমনিতেই সরকার চায় ব্লগে শেকল পড়াতে। আপনাদের কর্মকান্ড ফ্ল্যাস হলে সরকারকে ইস্যু দেখানোরও প্রয়োজন হবেনা। সরাসরি অফ। আমি ব্লগে এসেছি আজ, এতদিন ছিলাম না। ফেসবুকে যা দেখলাম, গ্রাভিটি অফ দি সিচুয়েশন ইজ নট নরমাল।
তাই সহব্লগারা হিসাবে আপাতত আপনাকে সদউপদেশ দেই, সিচুয়েশন আরো ঘোলাটে করবেন না। সমস্ত ঘটনাটা এখন শুধু ব্লগে সীমাবদ্ধ নেই বলেই জানতে পেরেছি।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:০২
পারভেজ আলম বলেছেন: আমি সাংবাদিকতা ছাড়ছি অনেকদিন হয়। এই টাইটেলে আমারে না ডাকলে খুশি হবো।
আমিও সেটাই বলছি। মাত্রাতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না।
১৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৯
বকেশ্বর বলেছেন: ইহা একটি নবী পোস্ট
১৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:০১
লর্ড ভোলডেমোর্ট বলেছেন: সোজাসোজি আমার প্রশ্নের উত্তর দিন
১৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:০৪
মজলুম বলেছেন: ব্লোব্যাক যদি খান তা আপনাদের দোষেই। এই দাঁড়িপাল্লা আপনাদেরই বন্ধু ছিলো। সে এ রকম নতুন পোষ্ট দেয় নি, আগেও দিয়েছে। মুসলিম বাচ্ছা মেয়েদের বিয়ে করবে বলে পোষ্ট দিয়েছে, সেই পোষ্টে আসিফ মহি গিয়ে সমর্থন জানিয়েছে। আসিফ তার রিভার্স নিক "সমাস " দিয়ে প্রথমে পোষ্ট দেয় বাচ্ছা মেয়ে বিয়ে করা জায়েজ। তার পর দাঁড়িপাল্লা পোষ্টানোর পর আসিফ দাড়িপাল্লাকে ডিফেন্ড করে প্রজন্ম৮৬ এর পোষ্টে গিয়ে বলে আপনাদের সমাস ও বাল্য বিবাহ এর পক্ষে বলে, আগে ওরে থামান।
এটা একেবারে সর্প হয়ে ধ্বংশন করো, ওযা হয়ে জাড়োর মত।
এই দাড়িপাল্লা একদিনে এমন হয়নি, ধীরে ধীরে আস্কারা পেয়ে পেয়ে আপনাদের কাছ থেকে এমন হয়েছে।
এখন ব্লোব্যাক খাইলে তা আগের ভুলের জন্যেই।
এখন ইরানের আলী রাযিকে টেনে এনে নিজেরদের অপকর্ম ঢাকা চেষ্টা করাটা বৃথা। আলি রাযির আগে ও পরে অনেক লোক ছিলো নবীদের সমালোচনা করার। আপনাদের কথা শুনলে মনে হয় যেই নবীদের বিরুদ্বে বলতো, সেই জ্ঞানী।
আলি রাযী ছিলেন ইবনে সীনার সমসাময়িক। ইবনে সীনা আলি রাযীর লেখালেখির সমালোচক ছিলেন ঐ সময়।
যাকগে, যদি ব্লোব্যাক খান তা আপনাদের দোষেই। কারন দাড়িঁপাল্লারা একদিনে বা এককভাবে সৃষ্টি হয় না।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৫
পারভেজ আলম বলেছেন: ব্লো ব্যাক! দেখেন আমি আগেও বিভিন্ন সময় বলেছি যে আমি গ্রুপ করে ব্লগিং করিনা। তবে অনেক নাস্তিক ব্লগারএর সাথেই ইন্টারেকশন আছে, এবং তার চেয়ে বেশি আস্তিক ব্লগারএর সাথে ইন্টারেকশন আছে। ব্লগে গত কয়দিনে যা হইছে তার জন্যে প্রথমত দায়ী দাড়িপাল্লা, কিন্তু দ্বিতীয়ত তৃতীয়ত যারা দায়ী তাদের কাজ কর্মের জন্যে ব্লো ব্যাক দোহাই দেয়াটা পরোক্ষাভাবে সমর্থন দেয়া।
আল রাজিকে ডাইকা আইনা কোন অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করা হচ্ছেনা। আমি মোহাম্মদ বিষয়ে পশ্চিমা প্রোপাগান্ডার কার্টুন কখনোই সাপোর্ট করতে যাইনাই, এখানেও না, ফেসবুকেও না, ধর্মকারিতেও না। আমার পোস্টে স্পেসিফিকভাবে আল রাজিকে টাইনা আনার কারন বর্ণনা করেছি। লেখার সমাপ্তিতে সেই কারন আরো স্পষ্ট করেছি।
ইবনে সিনা আল রাজির সমসাময়িক ছিলেন না, পরের জেনারেশনের ছিলেন। সিনা রাজির সমালোচনা করেছেন। অবশ্যই করবেন। সেই যুগে এমনি হইতো। একজনের লিখার জবাবে আরেকজন লিখে সমালোচনা করতেন। পরের যুগে গাজালি এসে কিন্তু সিনা, রাজি সবাইরেই কাফির বলে বাতিল করে দিছে। আল রাজিরে টাইনা আনার মূল কারন সেইটাই। আলোচনা, সমালোচনা বন্ধ করা হচ্ছে পতনের পথ উন্মুক্ত করা।
১৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:০৪
অনিক আহসান বলেছেন: আমার জানতে ইচ্ছা করে ইসলাম নবী ও সমালোচনায় মুমিনদের এত ভয় ক্যানো?
১৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:০৫
সুলতান মির্জা বলেছেন: সেই দিন রাতে ব্লগে ধর্মান্ধ কিছু তালকানা রোগীরা সম্মানিত ব্লগ মডারেশন প্যানেলের বিরুদ্ধে যে আসহিংসতা দেখিয়েছে, পর্ণ ছবি এড করে। এর নাম যদি হয় ধর্ম পালনের নতিজা তাহলে আমি বলব এরা ইসলাম ধর্মের অনুসারী হিসেবে নিজেকে দ্বাবি করার নৈতিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।
এরা সেই অখ্যাত থেকে বিখ্যাত হয়ে যাওয়া বাসিলের চেয়ে নিকৃষ্ট। এদের কোনও ক্ষমা নেই।
পারভেজ ভাই, প্রাগঙ্গিক আমার এই হরতালে কি ইসলামের বিরুদ্ধে হয়ে যাওয়া অবমাননা উঠে আসবে? পোস্ট খানা একটু দেখে নিবেন যা প্রকাশিত হয়েছে বিডি নিউজ ব্লগে।
ধন্যবাদ
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৬
পারভেজ আলম বলেছেন: একমত। পোস্ট পড়বো। ধন্যবাদ।
২০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১০
মাস্টার বলেছেন: হাসান মাহবুবের কমেন্টে লাইক। [কমেন্টে লাইক দেয়ার অপশন থাকা উচিত]
বাড়াবাড়ি কোন কিছুই ভালো নয়। আল্লাহ মুসলমানদের ধৈর্যশীল হতে বলেছেন। কার্টুন আকা নিয়া এতো অস্থিরতা সৃষ্টি করার কিছু নেই। ব্লগে যারা এসব নিয়ে লাফাইতেছে তাদের বেশিরভাগ হয় মাল্টি নাইলে দুইমুখা... খুব কম আছেন যারা সত্যিকারের ধর্মপ্রান এবনফ তাদের কথায় যুক্তি ও আছে।
এক পারভেজরে গালি দিয়া আমি নিজেরে ধর্মপ্রান দাবী করতে পারিনা।
২১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১০
মজলুম বলেছেন: @মুসলিম ভাইয়েরা,
গালাগালি করে নবীজীর সম্মান উদ্বার হয় কেমতে? আল্লাহর দোহাই লাগে আপনারা গালাগালি বন্ধ করেন।
২২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১১
ছোটমির্জা বলেছেন:
@হামা ভাই,
একটা জিনিস আমি বুঝি না। আস্তিকেরা পর্ন পড়লে, ওয়েব ক্যাম ব্যবহার করলে আপনার সমস্যাটা কি? স্বীকার করি, এগুলো খুব অনুচিত কাজ। ধর্মমতে এই পাপের শাস্তি সে পাবে।
আস্তিকেরাও রক্ত-মাংসের মানুষ। তাদের মাঝে কাম আছে, তারা অন্যায় করে, ভুল করে, লোভে পরে, সুদ-ঘুষ খায়, ব্যভিচার করে। এই সব অন্যায় কাজ করার তীব্র নিষেধ আছে- শাস্তির ব্যবস্হা (এইপার, ঐপার) আছে। একটা তর্জনী এদের জণ্য সবসময় থাকে। ধর্মীয় অনুশাসন গুলো এই জন্যই এসেছে যে, মানুষ পাপ করবে, অন্যায় করবে।
যেটা নাস্তিকদের মাঝে নাই- কেও নির্বান লেভেলে, কেউ নোংরা কীট, শুকর লেভেল।
আপনি কি মনে করেন, কোন পাপ কাজ করার জন্য আস্তিক্য থেকে বের হয়ে আসতে হবে?
@ পারভেজ ভাই ,
নবী (সাঃ) সমালোচনা করে জাতিকে আপনারা কি লাভ দেবেন? সেইতো হিংসার বিষবাস্প ছড়ান।
পারলে দুই পাতা পি এইচ পির কোড শেখান মানুষকে। নাকি আপনি ধর্মপ্রচারক হিসাবে নাম লেখাচ্ছেন!! যা বিশ্বাস করেন না তাও আলু পোড়া আকারে দিলেন?
এটাই সামুর প্রতি আপনার ভালবাসা??
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩১
পারভেজ আলম বলেছেন: জাতির লাভ আছে বলে মনে করি। হজরত মুহাম্মদ বিষয়ক রাজনীতি বর্তমান দুনিয়ায় ইউরোপ আম্রিকার জন্যে অনেক লাভ নিয়া আসছে। এর বিপরীত জঙ্গি ইসলামএর বিকাশেও ব্যাপক সহায়তা করেছে। সেই সুবাদে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের আগ্রাসন নীতি বৈধতা দেওনের নানান সুযোগ তৈরি হইছে। আমি চাইনা এইসব ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক রাজনীতির শিকার আমার দেশের জনগণ হউক। এতটা অসহিনষ্ণু হইলে আরবএর দেশগুলার মতো ভবিষ্যত আমাদেরও হবে।
সামুকে ভালোবাইসাই পোস্ট দিছি। এই জাতীয় বারবারি বন্ধ হউক।
২৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১৪
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: ঠিক আছে পারভেজ সাহেব। আপনি কি ব্লগের মডারেটর হিসাবে যোগ দিয়েছেন? যাহোক, কৌশিক সাহেব বা মডারেটরদের সাধারণ ব্লগারদের জেনারেল, ব্যান করতে নিষেধ করুন। এসব মাউসগত ক্ষমতা দিয়ে তারা এখন কিছু করতে পারবেন বলে মনেহয়না।
আর তারা কোন বিবেচনায় তারা আমার পোষ্টটা সরিয়ে দিল সেটাও বুঝিনা। সিচুয়েশন সম্পর্কে এদের কমনসেন্স নাই। আর দয়া করে আসিফকে বলবেন এই ঝামালার কয়েকদিন যেন ব্লগে না আসে, সবার মাথাটাই খারাপ করে দেয় এই ছেলে।
আমার মনেহয়না আমরা ব্লগের কাছে অযৌক্তিক কিছু দাবী করেছি। ব্লগ যদি সাম্যতার কথা বলে তবে সাম্যতা মেইনটেইন করা উচিত। ইসলাম নিয়ে আলোচনা সমালোচনা আমরা দিনের পর দিন করি কিন্তু মহানবী (সা) কে নিয়ে নয়। একজন সমঝদার ব্যক্তি হিসাবে আশা করছি পাবলিক সেন্টিমেন্ট বুঝতে পারবেন। বিশেষত এমন সময় যখন গোটা বিশ্ব এমনিতেই একটা ঝোঁকের মধ্যে আছে। এসময় নতুন কোন ঝোঁক তুলতে দেবার সুযোগ না দেয়াটাই আপনাদের জন্য বুদ্ধিমানের বলে আমি মনে করি।
আমি আশা করছি ব্লগ কর্তৃপক্ষ দ্রুত আমাদের জবাব দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে আসবেন।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩২
পারভেজ আলম বলেছেন: জ্বি না। মডারেটর হিসাবে যোগ দেই নাই। যোগ দিলেও কইতাম না, সেইটা নিয়ম বহির্ভুত হইতো। আর সামুর এডমিন মডুদের উদ্দেশ্যে যা কওয়ার সেইটা লাস্ট পোস্টেই বলে দিছি।
আপনাদের দাবি শুধু অযৌক্তিকই না, বরং ঐতিহ্যবাহী বাঙলা ব্লগ কালচারের সম্পূর্ণ বিরোধী।
২৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১৭
মজলুম বলেছেন: @অনিক আহসান,
হেরা গুহাতে নবুয়্যত পাওয়ার পর হতেই নবীর সমালোচনা, অপবাদ, অত্যাচার নির্যাতন চলতেই থাকে।
শুধু ওনি না, প্রত্যেক নবীই তার যামানায় তার জাতির লোকদের কাছ হতে হয়েছেন লান্চিত,সমালোচিত, নির্যাতীত। তাদের কারোরই ক্ষমতা, অর্থ, ভোগ বিলাসের জন্যে নবী হয় নি। সবারই একটা সিম্পল ম্যাসেজ ছিলো, শুধু দাওয়াত দেওয়া, লা ইলাহা ইল্লাহ।
তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুসলিমদের উত্তেজিত হওয়ার জন্যে ভৌগলিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাগত দিক বিভিন্ন দিক দিয়ে গভীরভাবে আলোচনার দাবী রাখে।
২৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১৭
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: ব্রেকেটে লিপিবদ্ধ কথা গুলো যদি আপনার মনের কথা হয় তবে পোষ্টে আমার ভাললাগা জানবেন।
ইসলামকে পুজি করে জংগিবাদ, ব্যাবসা এবং রাজনীতি কে ধর্মপ্রাণ মানুষ সব সময় ঘৃণা করে এসেছে এবং আগামীতেও করবে।
আল রাজি টা কে? এইসব পাইছেন কৈ? Link-Tink আছে কিছু?
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৭
পারভেজ আলম বলেছেন: জ্বি, অগুলা আমার মনের কথা। তবে তা নিয়া ভিন্ন কোনদিন লিখবোনে।
আল রাজির নাম তো স্কুলে বিজ্ঞানের বইয়েই পড়ার কথা। বাংলাদেশে তার নামে একটা হাসপাতালও আছে।
উইকিপিডিয়া লিংক ঃ মুহাম্মদ ইবনে জাকারিয়া আল রাজি Click This Link
২৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: @ছোটমীর্জা, আপনারা নৈতিকতার মানদন্ড হিসেবে একমাত্র ধর্মকেই ভাবেন কেন? মানুষের কী নিজের বিবেক নাই? নিজের বিবেক এবং বুদ্ধি দিয়ে সে কেন বুঝতে পারবে না যে সঙ্গীর প্রতি অবিশ্বস্ততা পাপ, মানুষের প্রতি জুলুম করা পাপ, মানুষকে ঠকানো পাপ, নৈরাজ্য সৃষ্টি করা পাপ। এসবের জন্যে ধর্মের দ্বারস্থই হতে হবে এমন কোন কথা আছে? আপনারা বলেন যে অবিশ্বাসীদের পরকালের ভয় নাই বৈলা তারা যা মঞ্চায় করে। সত্যিই কি তাই? দেশে এত ধর্ষণ, খুন, জবরদখল, ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে, তাদের মধ্যে আস্তিক আর নাস্তিকের রেশিওটা কিরম? পতিতালয় এবং শুঁড়িখানাগুলোয় কামনা এবং মোহের বশবর্তী আস্তিক এবং নাস্তিক উভয়ই যায়। রাস্তায় একটা ছোট্ট শিশু ক্ষুধার তাড়নায় দোকান থেকে রুটি নিয়ে পলাইতে গেলে যেইসব কাপুরুষেরা নিজেদের সুপারম্যান ভাইবা জোটবদ্ধ হয়ে মাইরপিট শুরু করে তাদের আবার ধর্ম কী? নামাজ, রোজা, হজ্জ কৈরা মানসিক শান্তি তারা হয়তো পায়, যাক গুনা কাটা গেসে, কিন্তু কামনা, ক্রোধ এবং হিংস্রতায় মাতাল হয়ে তারা যে অপকর্ম করে সেটার জন্যে যদি নিজের মনের কাছে সত্যিকারভাবে অনুতপ্ত হয় তবেই না একজন মানুষ, নীতিবান মানুষ। পূণ্যার্জনের অভিপ্রায়ে যে আরাধনা তার বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে আত্মসন্তুষ্টি জুটে কেবল, মননের উন্নয়ন কতটা হয়?
আমার কাছে লুইচ্চা, বদমাশ, খুনী, পারভার্ট, ভালো মানুষ, সৎ লোক, শঠ লোক, হিপোক্রেট, বুরোক্রেট, শান্তিকামী এইসব বিচার করার আগে দেইখা লৈনা যে সে আস্তিক না নাস্তিক। যে খারাপ সে আস্তিক বা নাস্তিক যাই হৌক তারে ঘৃনা করমু, যে ভালো তারে শ্রদ্ধা করমু। কোন বিভাজন রেখা টানি নাই।
যাই গা, জন লেননের ইমাজিন গানডি শুইনা ঘুমাই। সকলকে শুভরাত।
২৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৯
মাস্টার বলেছেন: ছোটমির্জা বলেছেন:
@হামা ভাই,
একটা জিনিস আমি বুঝি না। আস্তিকেরা পর্ন পড়লে, ওয়েব ক্যাম ব্যবহার করলে আপনার সমস্যাটা কি? স্বীকার করি, এগুলো খুব অনুচিত কাজ। ধর্মমতে এই পাপের শাস্তি সে পাবে।
আস্তিকেরাও রক্ত-মাংসের মানুষ। তাদের মাঝে কাম আছে, তারা অন্যায় করে, ভুল করে, লোভে পরে, সুদ-ঘুষ খায়, ব্যভিচার করে। এই সব অন্যায় কাজ করার তীব্র নিষেধ আছে- শাস্তির ব্যবস্হা (এইপার, ঐপার) আছে। একটা তর্জনী এদের জণ্য সবসময় থাকে। ধর্মীয় অনুশাসন গুলো এই জন্যই এসেছে যে, মানুষ পাপ করবে, অন্যায় করবে।
যেটা নাস্তিকদের মাঝে নাই- কেও নির্বান লেভেলে, কেউ নোংরা কীট, শুকর লেভেল।
আপনি কি মনে করেন, কোন পাপ কাজ করার জন্য আস্তিক্য থেকে বের হয়ে আসতে হবে?
---------------
আপনি মনে হয় নবী করিম (সাঃ) এর মিষ্টি বিষয়ক হাদীসটা ভুইলা গেছেন। নিজেকে নবীর অনুসারি দাবী করবেন, নবীর নামে কিছু কইলে লাফাইয়া উঠিবেন অথচ তারে ফলো করবেন না, সেইটা কেম্নে হয়!! নিজের সুবিধা অনুযায়ি যেইটা সহজ সেইটা ফলো করবেন, যেইটা কঠিন সেইটা ফলো করবেন না - এই দ্বিমুখীতা নিয়ে হামা বলছিলো... ডাবল স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করলে আপনার ভ্যালু এম্নিতেই কমে যাবে। তা সে আস্তিকতার দিক দিয়ে হোক, নাস্তিকতার দিক দিয়ে হোক।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৫
পারভেজ আলম বলেছেন: এইটারে আমি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড কইনা। এইটা একটা সিঙ্গুলারিটি, যেই সিঙ্গুলারিটি পুজিবাদী সমাজের ভেতরে নিজের মুসলিম আইডিন্টিটারে নিজের সুবিধা অনুযায়ী একজন পুজিবাদী মুসলমান আদর করে থাকতে দেয়। এমনিতে আচারে আচরে নৈতিকতায় সে প্রবল ভোগবাদী ও পুজিবাদী, কিন্তু ঐ আইডেন্টিটুকু ছাড়বেনা, কারন ধর্ম বলতে তার আছে শুধু ঐ আইডেন্টিটিটুকুই।
২৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৪
মাস্টার বলেছেন: এহহে, আমার আগেই উত্তর দিয়া দিছে আমার মন্তব্য মুইছা দিয়েন মন চাইলে, পারভেজ...
ইমাজিন গানটা দিয়া যাই...
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৬
পারভেজ আলম বলেছেন: আপনে নবীর মিস্টি খাওনের উদাহরণ দিয়া ভালো করেছেন। তাই মুছবোনা।
২৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৬
মজলুম বলেছেন: আরেকটা কথা আলি রাযি কিন্তু মুসলিম ছিলেন না। মুসলিম নাম থাকলেই কেউ মুসলিম হয়না।
সে ম্যানিকিজম ও হারমেটেসিজমে বিশ্বাসী ছিলেন।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫০
পারভেজ আলম বলেছেন: আমি তো বলি নাইযে সে মুসলিম ছিলো। তবে তার জন্ম মুসলিম ঘরে। আর ঐতিহাসিকরা তারে মুসলিম দার্শনিক বিজ্ঞানিদের লিস্টে রাখেন। এর পেছনে কারন হচ্ছে সেইকালে ইসলাম অনেক ডাইভার্স ধর্ম ছিলো, এবং মুসলিমদের মধ্যেও বহুরকম চিন্তা ভাবনার লোক ছিলো।
আপনে কি আল রাজির দর্শন নিয়া বিস্তারিত পড়েছেন? তিনি ম্যানিকজিমএ বিশ্বাসী ছিলেন এটা কিভাবে কইলেন? তিনি প্লেটোবাদী ছিলেন, নিজেই ঘোষনা দিছেন। ম্যানিকজমএর তিনি সমালোচনা করেছেন। হারমেটিসিজম তার ধর্ম চেতনায় ছিলো, এইটা সত্য। তবে সেইটা নবি রাসুলএর অস্তিত্ব স্বিকার করে এমন অনেক মুসলিম দার্শনিক এবং সুফির ধর্ম চেতনাতেই ছিলো।
৩০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৭
নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: আমি নাস্তিক না। তবু আমার প্রশ্ন, "যেসব মুমিনরা এত কষ্ট করে রাত জেগে কমেন্ট করতেছেন, তারা ফজরের নামাজ পরবেনতো ??"
আরেকটা কথা, মত প্রকাশের অধিকার সবার আছে, সে আস্তিক হোক আর নাস্তিক হোক। কারণ দুনিয়া (এখানে পড়তে পারেন ব্লগ) কারো একার না। শুধু খেয়াল রাখতে হবে কোনটাই যেন রুচিশীলতার সীমা লঙ্ঘন না করে।
লেখাটার ব্যাপারে লেখকের সাথে আমি সেমি/হাফ সহমত।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫১
পারভেজ আলম বলেছেন: আরেকটা কথা, মত প্রকাশের অধিকার সবার আছে, সে আস্তিক হোক আর নাস্তিক হোক। কারণ দুনিয়া (এখানে পড়তে পারেন ব্লগ) কারো একার না। শুধু খেয়াল রাখতে হবে কোনটাই যেন রুচিশীলতার সীমা লঙ্ঘন না করে।
...........................................................................
আমিও সেটাই কই।
আর এইখানে যারা বাংলাদেশে থেকে ব্লগিং করছে এবং মহাযোশে যাদের কাউরে কাউরে ধর্ম রক্ষায় গালিগালাজ করতে দেখছেন। তারা কেউই ফজরএর নামাজ পড়বেনা নিশ্চিত থাকেন।
৩১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫৪
ছোটমির্জা বলেছেন:
@ হামা ভাই,
ধন্যবাদ, উত্তর দেবার জন্য।
আর আপনারাই কেন আস্তিকদের মাপার জন্য পর্ন দেখা, চটি পড়া দিয়া তার স্টান্ডার্ড মাপেন?
আমি কিন্তু স্বীকার করছি, অনেক অবিশ্বাসীদের মাঝেও নৈতিক ভাবে আস্তিকদের চেয়ে ভাল মানুষ আছে, আবার অমানুষও আছে।
হুম, শুধু ধর্মই নৈতিকতার মানদন্ড হিসাবে আপনার কাছে ঠিক নাও থাকতে পারে। অনেক পশ্চাৎপদ লোকের কাছে, আমি দেখেছি, এটা টনিকের মত কাজ করে।
দোষ করে নাই, এমন মানুষ এখন পৃথিবীতেই নাই।
আপনার মত অনুযায়ী, অনেকেই অপকর্ম করে সেটার জন্যে নিজের মনের কাছে সত্যিকারভাবে অনুতপ্ত হয় এমন নীতিবান মানুষ আমি দেখেছি।
আপনি কি দেখেন নাই?
দেশে এত ধর্ষণ, খুন, জবরদখল, ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে, তাদের মধ্যে আস্তিক আর নাস্তিকের রেশিওটা কিরম? উত্তর, আস্তিকদের রেট বেশী। আর ব্লগ নাস্তিকদের রেট আরো বেশী-ক্ষমতার অপব্যবহারে, বাক স্বাধীনতার নোংরামিতে।
আর পতিতালয় এবং শুঁড়িখানাগুলোয় কামনা এবং মোহের বশবর্তী আস্তিক এবং নাস্তিক উভয়ই যায়। হুম, যায়।
রাস্তায় একটা ছোট্ট শিশু ক্ষুধার তাড়নায় দোকান থেকে রুটি নিয়ে পলাইতে গেলে যেইসব কাপুরুষেরা নিজেদের সুপারম্যান ভাইবা জোটবদ্ধ হয়ে মাইরপিট শুরু করে তাদের আবার ধর্ম কী?
সেটাও ঠিক, তো এবার আসেন,সমাধানে আসেন। কেউ জন্য রুটি চুরি করার মত অভাবে না থাকে তার জন্য নবী (সাঃ) এর সমালোচনা, অশ্লীল বাক্যালাপ না করে আমাদের উন্নতির জন্য হাত লাগাই।
নৈলে, আমাদের দোষে, আমাদের আলোচনার মাঝেই আর একটা অনাথ শিশুর উপর বর্বর আচরণ দেখতে হবে।
পারভেজ ভাই ও আসেন।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:২৬
পারভেজ আলম বলেছেন: আমি তো আগের মন্তব্যেই কইলাম যে এর পলিটিকাল গুরুত্ব আছে। আসেন আপনে চাইলে আপনের সাথে আমি একটা জিনিস লইয়া ডিবেট করতে পারি। আমি মনে করি বর্তমান অবস্থায় যদি মুসলমানরা নিজেরাই মোহাম্মদের ছবি না আকে, তারে নিয়া সিনামা না বানায় এবং তার নানান রকম ইভালুয়েশন না করে তাইলে মোহাম্মদ নিয়া পশ্চিমা রাজনীতির শিকার তারা হইতেই থাকবে এবং দিন দিন এইটা বারবে। আপনের কি মনে হয়?
৩২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫৯
অনিক আহসান বলেছেন: @ মজলুম
মহানবী হিসেবে যাকে বিবেচনা করা হয় উনি নিজে মানুষ ছিলেন তাই না? এখন সবাই যে তাকে মহানবী হিসেবে মানবেই বা সম্মান দিবেই (যে ধরনের সম্মান মুমিনরা চান) এমন কোন বাধ্যবাধকতা আছে কি? যারা জানে তারা একজন সমাজ সংস্কারক হিসাবে তার অবদানকে অস্বীকার করবে না ( চুল্কানোর স্বভাবের লোক ছাড়া) । কিন্তু তারে মানুষ হিসাবে মানলে অবশ্যই তার কঠোর সমালোচনা হবে। তার রাজনৈতিক জীবন, ব্যক্তি জীবন,নীতি মতাদর্শ এসব নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হবেই। সমালোচনার মধ্যে দিয়ে মানুষ মোহাম্মদ কি কি অবদান রেখে গেছেন ,আর কি রাখতে পারতেন যা যা তিনি সুযোগ থাকা সত্যেও রাখেন নাই তার হিসাব হবে। তার অর্জন কি ছিলো এবং অপুর্নতাগুলি কি ছিল এসব সামনে আসবে। একজন ঐতিহাসিক চরিত্র হিসাবে তার থেকে কি কি গ্রহন করলে মুসলিম তথা মানবজাতি উপকৃত হবে এবং তার কোন কোন চিন্তা পরিবর্তনশীল সভ্যতার সাথে খাপ খাবে না তা বুঝতে হবে। এইটা ২১ শতক মুসলিমদের অনুধাবন করা উচিৎ।
৩৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:০১
মজলুম বলেছেন:
৩৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:০৫
মজলুম বলেছেন: @ অনিক আহসান
দুঃখিত, আমি এখন ঘুমাতে গেলাম। কালকে আলোচনা করবো। খিস্তি খেউর ছাড়া এ ধরনের আলোচনা আমার ও ভালো লাগে।
ধন্যবাদ
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:২৭
পারভেজ আলম বলেছেন: সেইটাই ভালো ডিবেট চলুক। যারা খিস্তি খেউর করতাছে তাদের রিপোর্ট করুন।
৩৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:১০
শুভবাংলাদেশ বলেছেন: বাংলাদেশ এর রাষ্ট ধর্ম ইসলাম আর অন্য কোন ধর্ম নয় , । পন্ডিত সাহেব আপনর ধর্ম কি ? / আপনার বাবা মার ???? ভাই /বোন এর জন্য নাস্তিক জামাই / বউ পাবেন তো ? না পেলে বিয়ে করান উত্চিত হবে না হা হা হা । আপনর বাবা /মা কোন ধর্ম মতে বিয়ে করেছে ? নাকি করেনি ?
মুরগি আগে নাকি ডিম আগে ? ইশ্বর আগে নাকি মানুষ ? যদি এমন হয় মানুষ আগে তাহলে ভালো কিন্তু যদি ইসর আগে হয় ??? হা হা হা আমার প্রশ্ন গুলো উত্তর পাব তো ? আপনর পিতা মাতার কোন ধর্ম মতে বিয়ে হয়েছে ? ওনারা কি এখন সামাজিক ভাবে আছে নাকি সমাজ বিচুত্ত ?? কি পন্ডিত সাহেব প্রশ্ন গুলো শুনে খুব খারাপ লাগছে তাই না ? হা হা হা এমন খারাপ আমাদের লাগছে কারন আপনি ধর্ম কে অবমাননা করলে অন্যদের যেমন খারাপ লাগে আপনার পিতা মাতা নিয়ে কিছু বললেও খারাপ লাগবে ।কারন ওনারা আপনর পরিবার এর ইশ্বর।আমি যদি আপনাকে বলি আপনি যাদের মা বাবা ভাবছেন তারা আপনার বাবা মা নয় আপনি জারজ তাহলে এখন আপনর মনের অবস্তা কেমন হবে ? তাই মনে রাখবেন আপনার বাবা মা যেমন আপনার কাছে ইশ্বর সকল মুসলমান এর কাছে আল্লাহ ই ইশ্বর। আপনার এই ধরনের পোস্ট তাই পড়লে খারাপ লাগে ।
বাক্তিগত ভাবে আমি ও ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি ।প্রতিটি মানুষ এর তাছে তার স্ব স্ব ধর্ম শ্রদ্ধার ।একজন নাস্তিক হলেও সেযেমন তার পিতা মাতা কে সম্মান করে তেমনি জন্ম সুত্রে পাওয়া ধর্মে কে ওই বাক্তি শ্রদ্ধা করে । নাস্তিক এর পিতা মাতা কে অপমান করা হলে সে যেমন মনোকষ্ট পাবে তেমনি সেই নাস্তিক বাক্তি ধর্মকে আঘাত করলে সেই ধর্মর অনুসারীরা কস্ট পাবে ।ধর্ম নিরপেক্ষতায় মানে অন্য ধর্মকে অবমাননা করা নয় তা সে যেই ধর্মেইর ই হোক না কেন । বুদ্ধিজিবি হতে চাইলে তার পড়াশুনা প্রয়োজন নাস্তিকতা প্রকাশ প্রয়োজন নয় । একজন নাস্তিক যেমন তার মা কে বিশ্বাস করে যে সে তার মার গর্ভে জন্মেছিল তেমনি ধর্মীয় মানুষ ও বিশ্বাস করে সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে । নাস্তিক এর মা কে ধর্ষণ করলে সে যেমন মনে আঘাত পাবে ধর্মকে আঘাত করলে ঠিক তেমনি সেই ধর্মর অনুসারীরা কষ্ট পায় । তাই ধর্ম বিশ্বাস না করুন আঘাত যেন কেউ না করে । আমার আর কিছু বলার নেই আল্লাহ কে বা কি আমি দেখেনি যেমন আমি বাতাস দেখেনি কিন্তু আমি বাতাস কি তা অনুভব করি ।আপনি আপনার বিশ্বাস নিয়ে থাকুন না ক্ষতি কি ? কিন্তু কারো টায় নাই বা করলেন আঘাত । একটি শেষ লাই বলে শেষ করি ভাই মনটা খুব খারাপ হয়ে গেছে আমাদের ইসলাম ধর্মে আছে নাকি প্রবাদ জানিনা মন ভাঙ্গা আর মসজিদ ভাঙ্গা সমান ।আজ আপনি আমার মন ভেঙ্গে দিয়েছেন ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৩০
পারভেজ আলম বলেছেন: প্রবাদটা খুব সম্ভবত কোরআন হাদিসএর না, বিখ্যাত সুফি মাওলানা রুমি'র। সুফিরা আল্লাহরে মানবে আসিন ভাবতেন তো। একারনে এটা কইছেন। বৌদ্ধদের প্রজ্ঞার মতো আল্লাহরে গণ্য কোইরা তারে পাওয়ার জন্যে মানুষএর প্রতি করুনা, বিষয়টা এই থেকে আসছে।
কিন্তু আমি আপনের মন ভাঙলাম কিরুপে? মানে আমি এইখানে আসলে ঠিক এমন কি লিখছি যাতে আপনের মন ভাইঙ্গা গেলো বলবেন কি? আর এখানে যারা আমারে গালি দিচ্ছে তারা কি আপনের মন ভাঙে নাই?
৩৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:১৯
নাট বল্টু... বলেছেন: অনেক ধর্মপ্রাণ ইমান্দার ভাইকেই বলতে শুনি যে, প্লিজ আপনারা আমাদের প্রিয় নবী মুস্তফা সাঃ কে নিয়ে কোন বাজে কথা বলবেন না...
আচ্ছা, তাইলে আমি যদি আল্লাহ কে নিয়ে কিছু বলি, তাহলে নিশ্চই তাদের কোন আপত্তি থাকবে না...
আসলে জংলি গুন্ডা ইবলিশের দল পারে শুধু মানুষের কল্লা ফেলে দিয়ে বেহেশ্তের হুর নিয়া রাত কাটাতে..... সোজা-সাপ্টা রাস্তা। কল্লা ফেলাও বেহেশ্তে যাও।.........
যদি বলি ইসলামের রুকন কয় না?... কয়টা কলেমা মুখস্ত কইতার্বেন?.. কোরান পড়েন? হজ্ব করেছেন?.. নামাজ পাঁচটা পড়েন তো?... তাইলেই হুজুর সাহেব বেজার হইয়া যান... :-<
কল্লা ফালাইতে পারলেই বেহেশ্তের হুর পাইয়া যাবি সেই আশা করিস না জংলির দল... কোরানেই লেখা আছে মানুষ হত্যা মহাপাপ...
৩৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩২
নাট বল্টু... বলেছেন: @ শুভবাংলাদেশ ভাইজান, (মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই তো নাকি? )
আমার কাছে ভাল মানের চুপার ডুপার গু থুক্কু গ্লু আছে। আসেন আপনের মনের জোড়া লাগাইয়া দেই।.... তাইলে এত অল্পতে আর জীবনেও মনের কিশ্যু হবে না।
কিন্তু এই টুকুনি সমালোচনায় আপনার মন ভাংগে কেন ভাইয়া?.. যখন জংলি গুন্ডারা আমাদের কে বলে ব্লগ ছেড়ে দিতে, নয়ত কল্লা ফেলাই দিব... সামনা সামনি দেখা করতে বলে, আমাদের কল্লা ফেলে তারা হুরদের কাছে যাইতে চায়......... আর গোটা বাংলাদেশে এক যুগে বোমা মারে... হরতাল করে আম্রিকার চুলকানির জন্যে... তখন তো আমাদের মন ভাংগে না ভাইয়া...
আম্রা জানি আপনারা নাদান পোলাপান, ব্লগে যেমন ধর্মের ডাক দিয়ে দিনে হাজারো পোষ্ট আসে তেমনি মাঝে মাঝে আম্রাও দুই একটা পোষ্ট দিতামই পারি, নাকি?...
আর কথায় কথায় ফেমেলি টাইনা নিয়ে আসেন কেন ভাইয়া?.. আপনার কি ফেমেলি নাই?...
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৩৫
পারভেজ আলম বলেছেন: হুম। এইটুকুতে মন ভাঙে। কিন্তু যখন গুন্ডামি হয় তখন ভাঙেনা। বাদ দেন, ঝগড়া করে লাভ নাই।
৩৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩২
দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: অনেকদিন ব্লগে আসি না, গত কিছুদিনের ক্যাচালের খবর এদিক ওদিক দেখে বার কয়েক ঢুঁ মেরেছি শুধু।
১। আপনাকে শুধু এটুকুই বলতে এলাম---চালিয়ে যান, আপনার লেখাগুলার দরকার আছে,বিশেষ করে যখন "নাস্তিক মনোভাবসম্পন্ন" সবার বিরুদ্ধেই একটা মব-রেইজ কাজ করতেছে, ""নাস্তিক মনোভাবসম্পন্ন"" সবাইকেই নিচু দেখানো হইতেছে, তাদেরকে সাব-হিউম্যান দেখানোর একটাএকটা চেষ্টা চলতেছে (এইটা অতিশয় পুরানো ট্রিক, কোনো একটা ক্লাসকে সাব-হিউম্যানাইজ করা যাতে তার উপর অন্যায়-অবিচার যায়েজ করা যায়)।
২। এই একই সাব-হিউম্যানাইজিং টেকনিক কিছু চুলকানি নাস্তিক ছোটো পরিসরে সামুতে প্রয়োগ করার এটেম্পট নিছেন, এইটাতেও সন্দেহ নাই।
এই নীতিগুলা একবার ব্লগ কর্তৃপক্ষ যদি ফলো করা শুরু করে, তবে কোথায় গিয়ে শেষ হবে বলা মুশকিল। মুক্তচিন্তা সংরক্ষণই যদি না করতে পারে, এত কষ্ট কইরা ব্লগ রাইখা লাভ কী?
২। আপনার লেখায় "চুলকানি বনাম মুক্তচিন্তা" ক্লাসিফিকেশনটা আরেকটু স্পষ্ট কইরা বলতে পারেন, অনেকেই দেখলাম এইখানে আইসা আটকায়া যাইতেছে, আপনি যখন বলেন "মুক্তচিন্তা চলুক" তখন অনেকে শোনে "শুধু চুলকানি চলুক"। এইটা পারলে স্পষ্ট কইরা বইলেন।
৪। আপনার আগের একটা পোস্টে ৫ বছর আগের সামু বনাম এখনকার সামুর তুলনাযেটা করেছেন, সেটায় ১০০ ভাগ সহমত। গণব্লগ আসলেই অন্য জিনিস। এই ধরেনের ক্যাচাল/মারামারি এইগুলার ভিতর দিয়াই গণব্লগ জিনিসটা একটা পূর্ণাঙ্গ রুপ পাবে, সেইটা কেমন হয়, দেখার জন্য আমি আগ্রহী।
গুড লাক।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৪০
পারভেজ আলম বলেছেন: ২। আপনার লেখায় "চুলকানি বনাম মুক্তচিন্তা" ক্লাসিফিকেশনটা আরেকটু স্পষ্ট কইরা বলতে পারেন, অনেকেই দেখলাম এইখানে আইসা আটকায়া যাইতেছে, আপনি যখন বলেন "মুক্তচিন্তা চলুক" তখন অনেকে শোনে "শুধু চুলকানি চলুক"। এইটা পারলে স্পষ্ট কইরা বইলেন। ।
আমি এই বিষয়ে হতভাগ। কিসেরে চুলকানি গণ্য করা হয় সেইটা একটা বিতর্কের বিষয়। একেকজনের সেন্টিমেন্ট লেভেল একেকরকম। ব্লগে এখন এমন অনেকেই আছেন যারা আল রাজির তোতাপাখির বূলি আওরানোদের মতো ১২শ বছর আগের সেন্টিমেন্ট রাখেন, বা তার চেয়েও খারাপ। ধরেন এই যে কৌশিক ভাইকে বা উপরের এক মুছে দেয়া মন্তব্যে আমাকেও একজন হুমকি দিলো নাস্তিক এটা ঢাকঢোল পিটায়া বলার কি আছে। এই জাতীয় হুমকি যারা দেয় তাদেরকে অবশ্যই আপনে মুক্তমত আর চুলকানির ফারাক বুঝাইতে পারবেন না। নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে এইটা তাদের শিখে নিতে হবে।
মব রেইজ উঠাতেই আমি গেলো কয়দিন ধরে নাস্তিক ভাবাপন্ন হয়ে উঠেছি আমার লেখায়। নাইলে আমি ধর্ম নিয়া ইদানিং খুবি কম লেখি। কিন্তু না লিখে উপায় নাই, এই হইলো অবস্থা।
আপনারে অনেকদিন পরে দেখলাম। আছেন কেমন?
৩৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩৬
নাট বল্টু... বলেছেন: গালিব হোসাইন বলেছেন: পারভেজ ___ পোলা । নিজে নাস্তিক হইসস ভাল কথা। এটা ঢোল পিডায়া কউয়া লাগব? লাত্থি দিয়া টেংরি ভাইঙ্গা দিমু !
বানী পোম আল কোরান। সূরা, গালিয়া। আয়াত ৩৬৬
ভাই, সূত্র ছাড়া কমেন্ট করেন কেন?.. এটা কেমন ভদ্রতা?...
৪০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৫৪
শুভবাংলাদেশ বলেছেন: নাট বল্টু.- আপনর মত যাদের ফেমিলি নাই তাদের ফেমেলি সমন্ধে জানতে ইচ্ছে করে
৪১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:১৩
পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: নাট বল্টু আপনে কি পারভেজ আলম? উনার জবাব দেন কোন আবেগের জোশে?
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০২
পারভেজ আলম বলেছেন: আপনে কি বলতে চাচ্ছেন ব্লগে যারা হজরত মুহাম্মদ এর মান সম্মান রক্ষায় গত কয়দিনে তান্ডব চালাইছে তারা সবাই মহানবীর মাল্টি নিক?
৪২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:২৭
আমিঅসাধারনবাংলাদেশী বলেছেন: ইদানিং ব্লগ মানেই ধর্ম নিয়া লেখালেখি। আস্তিক নাস্তিক এর তর্ক। ব্লগেও হিট বাড়ে।
মনে হয়তেছে আমাদের দেশের সব ব্লগার ধর্ম স্পেশালিষ্ট হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে আর কোন কিছু নাই। ঘিলু সব জ্যাম। আমি নাইলে বাল ছাল মূর্খ। কিন্তু এত এত ব্লগার সবাই কেমন যেন হাং হয়ে গেছে। কে কত বড় আস্তিক র কে কত বড় নাস্তিক প্রমানে সবাই এখন ব্যাস্ত।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৩২
পারভেজ আলম বলেছেন: এটা সে জাতীয় পোস্ট না। তবে অতি আস্তিকতা দেখাতে গিয়া যেইসব মামাবাড়ির আবদার তোলা হচ্ছে এইটা তার বিরুদ্ধে ব্লগের ঐতিহ্যবাহী মুক্তমতের কালচারএর পক্ষের একটা পোস্ট মাত্র।
৪৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:১৮
বিভ্রান্ত মানুষ বলেছেন: কোন সমস্যা নাই, গোসল না করার জন্য আপনার গা থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, এই কথা প্রকাশ্যে বললে আপনি যদি আহত বোধ না করেন, তাহলে নবী রসুলের উম্মতদেরও আহত বোধ করার কোন কারণ নাই
আসিফ আবার ব্লগ এ ??
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৭
পারভেজ আলম বলেছেন: তার মানে কি নবী রাসুলরা আপনাদের গায়ের গন্ধ?
৪৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৯
হাছুইন্যা বলেছেন: অতি ধার্মিকদের অতি ধর্ম তৎপরতা তখনই শুরু হয় যখন নাস্তিকরা নাস্তিকতা বাদ দিয়ে কার্টুনিস্ট হয়ে যায়। মুক্তচিন্তার বদলে ধার্মিকদের খোচাখুচি শুরু করে। এই ব্লগে ধর্মের সমালোচনা কবে হয়নি?? সামুর শুরু থেকে দেখে আসছি চলছেই আপনাদের রেলগাড়ি। রাতের পর রাত সামুকে জীবিত রেখেছে আরিফ, দাড়িপাল্লা, আসিফরা। ওদের পোস্টে আলোচনা-সমালোচনা-গালিগালাজ অনেক কিছুই হয়েছে কিন্তু ব্যাপারটা কখনও এত সিরিয়াস হয়নি, একসাথে এত এত ব্লগার কারো ব্যানের দাবিও তুলেনি। এবার তুলেছে কারন দাড়িপাল্লা সীমা লংঘন করেছে। বাক-স্বাধীনতা এবং গালাগালির মাঝে যতটুকু পার্থক্য রয়েছে সমালোচনা ও ব্যঙ্গ এর মাঝে ঠিক ততটুকুই পার্থক্য আছে।
আপনার একটা ব্যাপার লক্ষনীয় আপনি যার তার কথায় কান দিয়ে আস্ত একটা পোস্ট লিখতে পারেন। গুটিকয়েক ব্লগার দাবি করলো আর মডারেশন আপনাদের সমালোচনার মুখ বন্ধ করে দিবে!!! এতটাই সহজ!!! এই ব্লগে লেখালেখির আস্তিকদের যতটুকু অধিকার আছে নাস্তিকদেরও সমান অধিকার আছে। সমালোচনা চলবেই তবে দাড়িপাল্লা স্টাইলে না।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৮
পারভেজ আলম বলেছেন: এই ব্লগে লেখালেখির আস্তিকদের যতটুকু অধিকার আছে নাস্তিকদেরও সমান অধিকার আছে। সমালোচনা চলবেই তবে দাড়িপাল্লা স্টাইলে না।
শতভাগ সহমত।
তবে আপনে শুরুতে যা লিখছেন ব্লগের ইতিহাস তার চাইতে ভিন্ন। বাংলাদেশে অন্তর্জালে প্রথম গোষ্টিবদ্ধ ব্লগিং শুরু করে ছাগুরা। এরা ব্লগগুলাতে সদলবলে সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপ প্রচার চালাইতো। ছাগু বিরোধী লড়াইয়ে মতাদর্শগত কারনেই নাস্তিকরা তাই অনেক একটিভ ছিলো প্রথম থেকেই। বলতে পারেন সেই সুবাদেই বাঙলা ব্লগে নাস্তিকদের উত্থান। আর আস্তিক নাস্তিক নির্বিশেষে ব্লগে একসময় প্রগতিশীলদের মধ্যে ভালো ঐক্য ছিলো। বাজে ব্লগিং, ক্যচাল, চুলকানি সর্বস্ব লেখালেখি এগুলা অনেক নাস্তিক করেছেন। তবে বিষয়টা আপনে অমুক আগে করেছে বলে পরে তমুক করেছে এমন না। এই স্বভাব বিভিন্ন তরিকার ব্লগ ধার্মিকদের মধ্যেও পাবেন। এদের মধ্যে ছাগু আছে, হিজু আছে, রাজারবাগি আছে আবার নেহায়েতই পর্ন দেখা শেষ করে এসে ব্লগে নাস্তিক বিরোধী জিহাদিও আছে। ব্লগে কিন্তু প্রায় প্রতিদিনই অন্তত একটা সাম্প্রদায়িক পোস্ট পরে। এই ব্লগে অনেক চেষ্টা করেও মালাউন গালিটা বন্ধ করতে পারিনাই। এমন আরো অনেক বিষয় আছে। এগুলা টিকে আছে বলেই উগ্র নাস্তিকদের উগ্রতাও টিকে আছে। আমি নিজে ব্লগের নাস্তিকদের বক্তব্য, কাজ এর অনেক সমালোচনা করেছি। সেটা ভবিষ্যতেও করবো। তবে আপনের যেইটা খেয়াল রাখতে হবে যে ডোল হিসাবে হিসাব না করে কাজ ধরে সমালোচনা করেন, সেইটা কাজে দিবে। আমিও তাই করি।
৪৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪২
দেশী মামা বলেছেন: পারভেজ সাহেব
সোজাসুজি উত্তর দিবেন প্লিজ -
১. ব্লগের হিসেবে গণতন্ত্র বলতে কি বোঝেন ?
২. বাক স্বাধীনতার কি কোনো সীমারেখা থাকা উচিত ?
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪৯
পারভেজ আলম বলেছেন: ১। ব্লগ গণতন্ত্র নানামূখি হেজিমনি আর ডিসকোর্সের মাধ্যমে গড়ে উঠে। এইটা ওপেন এন্ডেড। কখনো জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে ব্লগ গণতন্ত্র পজিটিভ ভুমিকা রাখতে পারে আবার কখনো নেগেটিভ রূপ নিইয়া খোদ ব্লগএর ঐতিহ্য সংস্কৃতিরেই হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে। মত বিনিময় এবং ডিসকোর্স বনাম কাউন্টার ডিসকোর্সএর মধ্য দিয়া এই জাতী নেগেটিভ পরিস্থিতির মোকাবেলা করা যাইতে পারে।
২। জ্বি উচিৎ। ইনফ্যাক্ট বাক স্বাধীনতার ধারনাটাই একটা সীমাবদ্ধ ধারনা। কারন স্বাধীনতা ধারনাটাও কিছু সীমারেখা মাইনা তারপরে স্বাধীন হয়।
৪৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৪
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: ইসলাম বিরোধী এইরকম আক্রমনাত্বক পোস্ট কিম্বা সাধারন মুসলিম দের ধর্মানুভূতিতে বিনা কারনে আঘাত আসলে, আমাদের প্রথম যেই অনুভূতিটা আসে, তা হোল রাগ !! মুখে দলা বেধে আসে থুতু, আর সেই ঘৃণাভরা থুতু কুতসিত গালির সাথে ছুড়ে দিতে ইচ্ছা হয় আক্রমন কারীর মুখে। যেমন, '' তুই আমারে গাইল দিলি; মা***দ !!" এই রকম আর কি !! এটাই কি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া !!??
আমি নিজে একজন খুব অল্প জানা সাধারন মুসলিম, আমার কাছে আমার বিশ্বাস টাই অনেক বড়। আমার কাছেই আমার ধর্ম, আমার রব আর আমার পথ প্রদর্শক মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সম্মান। আমি জানি, আমার প্রতিটি কর্মকান্ডই ইসলাম কে রিপ্রেজেন্ট করছে। আমার কথাবার্তা, আমার আচরনের মধ্যেই আমার ধর্মের সম্মান।
--------------------------------------------------------------------
পারভেজ ভাই, আমার মতের কিছু অংশ কপি করলাম। আমি দোষ গূনে মানুষ এবং মুসলিম। সত্যিকারের মুসলিম দের যেমন চরিত্র হওয়া উচিত, তা আমার নেই। তাই, আমিও গালি দেই আর পরে রিগ্রেট করি।
একটা কথা জানি, তা হোল, ব্যাক্তিগত নৈতিকতা বোধ আর আচরন - এর মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে। আমি জানি গালি দেয়া খারাপ, কিন্তু তারপরেও গালি দিয়ে ফেলি।
মুক্তচিন্তা আমি সমর্থন করি। কিন্তু মুক্তচিন্তার নামে যা খুশী তাই বলা মানতে পারি না। কারন, আমি একটা সমাজে বাস করি। এর হারমোনি নষ্ট হয়, এমন কোন কাজ করা উচিত না।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৫
পারভেজ আলম বলেছেন: হুম। কিন্তু এই পোস্টটা কি আপনের কাছে আক্রমনাত্বক মনে হচ্ছে, অথবা বিনা কারনে মনে হচ্ছে? প্রথমত, এটাকে আক্রমনাত্বক ধরে নিলে ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন বিষয়ক আলোচনার কোন সুযোগ থাকেনা। অথচ ধর্ম আগাইতে যেমন ধর্মতত্ত্বের বিকল্প নাই, তেমনি মানব সমাজের প্রগতিতে দর্শন চর্চার বিকল্প নাই।
মুক্তচিন্তার নামে যা খুশি তাই বলা আমিও মানিনা।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৫
পারভেজ আলম বলেছেন: আর এই পোস্ট কি কারনে দিছি তা তো পোস্টেই উল্লেখ করেছি।
৪৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৭
দেশী মামা বলেছেন: আপনার উত্তরের প্রথম অংশ আমার এন্ডে এই রকম দেখাচ্ছে -
দয়া করে আরেকবার দেন ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২২
পারভেজ আলম বলেছেন: আজিব। এমন আসলো কেন? আমার এখানে তো ঠিক দেখাচ্ছে। আপনের ব্রাউজারে কোন সমস্যা হইতে পারে। বাগ বলে মনে হয়না। এনিওয়ে, নিচে আবার দিলাম।
১। ব্লগ গণতন্ত্র নানামূখি হেজিমনি আর ডিসকোর্সের মাধ্যমে গড়ে উঠে। এইটা ওপেন এন্ডেড। কখনো জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে ব্লগ গণতন্ত্র পজিটিভ ভুমিকা রাখতে পারে আবার কখনো নেগেটিভ রূপ নিইয়া খোদ ব্লগএর ঐতিহ্য সংস্কৃতিরেই হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে। মত বিনিময় এবং ডিসকোর্স বনাম কাউন্টার ডিসকোর্সএর মধ্য দিয়া এই জাতী নেগেটিভ পরিস্থিতির মোকাবেলা করা যাইতে পারে।
২। জ্বি উচিৎ। ইনফ্যাক্ট বাক স্বাধীনতার ধারনাটাই একটা সীমাবদ্ধ ধারনা। কারন স্বাধীনতা ধারনাটাও কিছু সীমারেখা মাইনা তারপরে স্বাধীন হয়।
৪৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৮
অবাক-পৃথিবী বলেছেন: একমত নই
বক ধার্মিকতা আমি পছন্দ করিনা, আবার আধুনীকতার নামে, শুশীলতার নামে , বাক স্বাধীনতার নামে ধর্ম তথা আল্লাহ , রাসুল (স) কে নিয়ে (সেটা যে কোন ধর্মই হোকনা কেন) সমালোচনা, ব্যঙ্গ, বাজে বক্তব্য কোন প্রকারেই কাম্য নয়।
ধর্ম নিয়ে আলোচনা হতে পারে, সমালোচনা নয়, সমালোচনা করেন ধার্মিকদের, যারা ধর্ম পালনে অতি রঞ্জিত করে ধর্মটাকে হাস্য করে তুলে। যেমন দাড়িপাল্লার পোষ্টে প্রতিবাদে জানাকে আক্রমন করা হয়েছে সেটা। সেটাকে কেউ সমর্থন করেনা, করবেওনা। কিন্তু আপনাদের এসবতো তাদেরকে ছাড়িয়ে যায়।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩২
পারভেজ আলম বলেছেন: বাজে বক্তব্য কখনোই সমর্থনযোগ্য না। ব্যাঙ্গও অনেকক্ষেত্রে অসমর্থনযোগ্য হইতে পারে, সামাজিক মনস্তত্বের উপর নির্ভর করে। কিন্তু সমালোচনা কে আপনে কেনো বিরোধীতা করবেন? সমালোচনা ছাড়া এই দুনিয়া কেমনে আগাবে, কেমনে টিকে থাকবে?
ইসলাম একটা ধর্ম, একটা ভাবাদর্শ, একটা জীবনবিধান। সেই সুবাদে এর রাজনৈতিক, এবং নীতিতাত্ত্বিক উপাদান আছে। এই কারনে বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক দল আছে, তাদের বিভিন্ন রাজনীতি ও দাবি দাওয়া আছে। আপনের কথা মেনে নিলে এইসব রাজনৈতিক দল যখন কোরআন হাদিসএর রেফারেন্স টেনে আধুনি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মতাদর্শ কায়েমএর চেষ্টা করে অথবা সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানের চেষ্টা করে তখন আমি কোরআন হাদিসএর সেইসব রেফারেন্সএর সমালোচনা কিভাবে করুম? ইসলামী ভাবাদর্শের সমালোচনা না করে বর্তমান সমাজে তার ভুমিকা ও ক্ষমতা আমি কিভাবে নির্দিষ্ট করুম।
মতাদর্শ, ভাবাদর্শ আর তার সাথে রিলেটেড আচার এইসব মিলাই ধর্ম। আবার মতাদর্শ গড়ে উঠে আলোচনা সমালোচনার মধ্য দিয়া। এর মধ্য দিয়াই দুনিয়া আগায়। ইসলাম ধর্মও গড়ে উঠেছে মধ্যযুগের বিভিন্ন ধর্মমতের সমালোচনা করে, বিভিন্ন আচারএর বিরোধীতা করে। আপনে যেই কথা বলছেন তাতে মনে হচ্ছে আপনে সেই যুগে থাকলে হজরত মোহাম্মদএর বিরোধীতা করতেন কারন তিনি পূর্ব পুরুষএর ধর্ম বিশ্বাসএর সমালচনা করেছেন এবং তাদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত দিয়েছেন।
যা বাজে তা বাজে, দাড়িপাল্লার কার্টুন বাজে এবং তার বিপরীতে অতি ধার্মিক প্রতিক্রিয়া বাজে। আলোচনা সমালোচনা বাজে না। আপনে যখন সমালোচনার মুখ বন্ধ করতে চাইবেন তখন তা বাজে কাজ।
৪৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪১
দুরে গিয়া মর . বলেছেন: লেখক বলেছেন: আজিব। এমন আসলো কেন? আমার এখানে তো ঠিক দেখাচ্ছে। আপনের ব্রাউজারে কোন সমস্যা হইতে পারে। বাগ বলে মনে হয়না। এনিওয়ে, নিচে আবার দিলাম।
১। ব্লগ গণতন্ত্র নানামূখি হেজিমনি আর ডিসকোর্সের মাধ্যমে গড়ে উঠে। এইটা ওপেন এন্ডেড। কখনো জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে ব্লগ গণতন্ত্র পজিটিভ ভুমিকা রাখতে পারে আবার কখনো নেগেটিভ রূপ নিইয়া খোদ ব্লগএর ঐতিহ্য সংস্কৃতিরেই হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে। মত বিনিময় এবং ডিসকোর্স বনাম কাউন্টার ডিসকোর্সএর মধ্য দিয়া এই জাতী নেগেটিভ পরিস্থিতির মোকাবেলা করা যাইতে পারে।
২। জ্বি উচিৎ। ইনফ্যাক্ট বাক স্বাধীনতার ধারনাটাই একটা সীমাবদ্ধ ধারনা। কারন স্বাধীনতা ধারনাটাও কিছু সীমারেখা মাইনা তারপরে স্বাধীন হয়।
আরে মিয়া এটাকে ১ এর পর দাড়ি না দিয়ে অন্য কিছু দেন।
২. জ্বি উচিৎ। ইনফ্যাক্ট বাক স্বাধীনতার ধারনাটাই একটা সীমাবদ্ধ ধারনা। কারন স্বাধীনতা ধারনাটাও কিছু সীমারেখা মাইনা তারপরে স্বাধীন হয়।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫০
পারভেজ আলম বলেছেন: ওহ। এই বিষয়। দাড়ির কারনে সমস্যা।
৫০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৪
বাক স্বাধীনতা বলেছেন: আমার দোহাই দিয়ে মানুষ যে কতকিছুই বলতে চায়! কী আর কমু। যাই হোক, আপনার যদি ইচ্ছা করে নবীর সমালোচনা করবেন, আপনার মুখ কেউ বন্ধ করে রাখতে পারবে না। তবে একটা কথা, যা করবেন প্রকাশ্যে করবেন। নীতি যেন দুই রকম না হয়। বিবাহের সময় মোনাজাত ধরবেন, আর পরে ব্লগে এসে বলবেন যে, ধর্ম মিথ্যা- এই সব ভন্ডামী যখন ত্যাগ করতে পারেন, তখন এসে এইগুলা বলবেন।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫১
পারভেজ আলম বলেছেন: ম্যান। আমার আপনের মতো এক জিনিস বারবার রিপিট করনের ধৈর্য নাই।
ধর্ম মিথ্যা এই কথা আমি কুথায় কইছি?
৫১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৬
দুরে গিয়া মর . বলেছেন: হাছুইন্না আর অবাক ভাইয়ের সাথে সহমত
পোষ্টে মাইনাস
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৫
পারভেজ আলম বলেছেন: সেটা কেমনে সম্ভব? হাছুইন্না বলছে সমালোচনা করা যাবে আর অবাক-পৃথিবী বলছে সমালোচনা করা যাবেনা। দুইটাই একসাথে কেমনে সহমত দেয়া যায়?
৫২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০০
লেখোয়াড় বলেছেন:
shahoshi post. sabash!!
go ahead.
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৩
পারভেজ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৫
বাক স্বাধীনতা বলেছেন: সাংবুদা, নবীরে ভন্ড কইলেই ধর্মকে মিথ্যা কওন হয়। কারণ, তখন ধর্মকে ভন্ড নবীর ভন্ডামী বলা হয়।
আমি হযরত মুহম্মদ-এর (তার উপর আল্লাহ্র রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক) পক্ষে। আপনে বিপক্ষে। যৌক্তিক আলোচনা করেন সমস্যা নাই। আপনের ঈমান না আনলেও চলবে। মাগার অযৌক্তিক কথা কইলে যৌক্তিক প্রতিক্রিয়াই পাবেন।
আর বিবাহের সময় মোনাজাত ধরসিলেন এই কথাটা আবার কওনের জন্য স্যরি।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৩
পারভেজ আলম বলেছেন: আপনের স্যরি গ্রহণ করলাম। আমি আগেও বলেছি যে আমি যেহেতু বিবাহ বিষয়ক কোন ধার্মিক বিধানএর অনুসারী না সুতরাং আমার সগোত্রিয়রা যেই নিয়মে বিবাহ করাইতে আগ্রহী সেই নিয়মেই বিবাহ করেছি। ভবিষ্যতে এইটা নিয়া আবার রিপিট না করতে হইলে খুশি হমু।
এনিওয়ে, আপনে ধর্ম শব্দের ভুল ব্যাবহার করছেন। ধর্ম বলতে অনেক কিছুই বুঝায়। ইসলাম একটা ধর্ম এবং তার একজন নবী আছে। আমি কিন্তু এই পোস্টে সেই নবীরে ভন্ড দাবিও করিনাই। আমি কইছি যে যে কারো অধিকার আছে সেই নবীরে সমালোচনা করার এবং তারে ভন্ড কওয়ার। এই বাক স্বাধীনতার অধিকার যখন থাকেনা, তখন একটা জাতির পতন ঘটে। আবার ধরেন, আমি নিজেও হজরত মুহাম্মদএর সমালোচনা করে কিছু লিখতে পারতাম, আগেও দুই একবার কিছু ইস্যু নিয়া লিখেছি, হয়তোঁ ভবিষ্যতেও লিখুম। কিন্তু তার মানে এই না যে এইখানে পক্ষ বিপক্ষ বলে কোন বিষয় আছে। এইটা ভ্যালুয়েশনএর বিষয়। মুসলিম দুনিয়ায় নবী রাসুল নিয়া ভালো মন্দ মুক্ত আলোচনা হয়না বলেই সেই সুযোগ নিয়া পশ্চিমারা নবী রাসুলএর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াইতে পারে এবং যেই উদ্দেশ্যে এই ছবি বানায় সেই উদ্দেশ্যও পুরণ হয়।
৫৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৭
রিমন০০৭ বলেছেন: Apni ba onyo keu dhormo palon korbe ki korbena ai bepare kono badhyo badhokota nei. Apni astik ba nastik jetay hon na kano karo matha ghamanor kisu nei. Ata jar jar ekanto nijer bepar.
Indiate giasen kina janina. Oikhana onekdin thakar subade aita jani j, amader Bangladesh er Muslim der chaite Indiar Hindura beshy Ishwar vokto, Astik. Uthte-boshte- hagte-mutte (sry for the lang) tara Thakur vogwan k shoron kore. Magar keu jody oder debotader nia kharap kotha bole taileito danga.Atao tader nijer bepar taina? Akhon Muslimra kisu korlei seita hoi jongibaad.
Akhon Apnar sister k keu jody apnar porichito keu rape kore apni ki korben? Chup kore boshe thakben? Kijani thakteu paren. Kintu sobai kintu chup thakbena. Manusher kase J sob jinish mullo rakhe sei sob jinish a aghat korle manushto khepbei.
But amader desher beshyr vag muslim e Dhormoviru astik. Ugro Astik r Nastik er songkha kintu khub beshy noi. Tay j jar dhormo nia thakuk, ghataghaty kore ki lav. Apnito jour kore kaok nastik banate parben na, abar amio jour kore apnak astik banate parbona.
So, Islam nia naranary na kore ashen blogging kori.
Happy Blogging.
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৮
পারভেজ আলম বলেছেন: অনেক কষ্ট কোইরা পড়লাম। হ, ইন্ডিয়ার হিন্দুরা বেজায় জঙ্গি। বাংলাদেশএর মুসলমানরা তার তুলনায় অনেক সহিষ্ণু। জঙ্গি যাতে না হইয়া যায় আমরা তো সেই চেষ্টাই করি।
এর বাদে যা লিখছেন তার সাথে একমত না। বোন ধর্ষনের প্রশ্ন আমারে করা উচিৎ না। বরং বাংলাদেশের উগ্র ইসলামিস্টদের বলা উচিৎ। বাংলাদেশে প্রতিদিন আমাদের বোনেরা ধর্ষন হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে। এটা নিয়া কয়জন ধার্মিকরে উত্তেজিত হইতে দেখছেন? অথচ কোথাকার কোন স্যাম বাসিল কি সিনামা বানাইছে তা নিয়া দেশের ভেতরে অরাজকতা সৃষ্টি করবে। এই জাতীয় ধার্মিকতার প্রতি আমার কোন রিসপেক্ট নাই।
হ্যাপি ব্লগিং।
৫৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৯
দুরে গিয়া মর . বলেছেন: বাক স্বাধীনতা বলেছেন: আমার দোহাই দিয়ে মানুষ যে কতকিছুই বলতে চায়! কী আর কমু।
৫৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৬
বাক স্বাধীনতা বলেছেন: দাঁড়িপাল্লার পোস্টে আপনি কী কমেন্ট করেছিলেন মনে আছে তো?
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৮
পারভেজ আলম বলেছেন: আছে তো।
৫৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৯
নরাধম বলেছেন:
০১. বাকস্বাধীনতার পক্ষে। তবে হেইট-স্পীচ এবং বাকস্বাধীনতা এক না, সেটা বুঝতে হবে।
০২. আপনি আল-রাজীর ব্যাপারে সম্পূর্ণ তথ্য দেন নাই, তাই খুবই বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন। আল-রাজীর ইসলাম-বিরোধী লেখাগুলোর রেফারেন্স মূলত আল-হাকিম থেকে এসেছে, যিনি ইসমাঈলি শিয়া ছিলেন এবং আল-রাজীর জীবনযাপন ও অন্যান্য কর্মের সাথে এসব তথ্য যায়না। আল-হাকিমের দেওয়া তথ্যে যথেষ্ঠ সন্দেহের অবকাশ আছে। আল-বিরুনী আল-রাজি কিভাবে দ্বীন প্রচার করা যায় এবিষয়ে বই লিখেছেন বলে দাবি করেছেন, আবার আল-হাকিমের দেওয়া তথ্য অনুসারে যদি সেসব বলে থাকে সেসব খন্ডনও করেছেন। আপনার পোস্টে আল-রাজী নিয়ে এই কথাগুলো বলা উচিৎ ছিল, নাহয় অর্ধ-সত্য হয়ে যায়। তবে আপনার হয়ত অর্ধ-সত্য বলারও বাক-স্বাধীনতা আছে।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৯
পারভেজ আলম বলেছেন: ০১। একমত
০২। আল হাকিম ইসমাঈলি শিয়া হইলে কি সমস্যা? আল-রাজীর জীবনযাপন ও অন্যান্য কর্মের সাথে এসব তথ্য কেনো যায়না? ইবনে সিনা এবং আল বিরুনী দুইজনেই আল রাজিকে একজন সংশয়বাদী হিসাবেই ইভালুয়েশন করেছেন। আলবিরুনীর আল রাজি ইভালুয়েশন নিয়া আপনে যা বলছেন তাও তো অর্ধ সত্য।
তবে ঘটনা হচ্ছে যে আমার এই পোস্ট আল রাজি বা আল রাজিরে নিয়া বিভিন্ন টেক্সট এর অথেন্টিসিটির স্কলারি বিশ্লেষন না। সুতরাং, সেই অথেন্টিসিটি বিষয়ক স্কলারি আলাপ সালাপএর অনুপস্থিতি এইসব উদ্ধৃতিরে অর্ধ সত্য বানায় না। সবচেয়ে বড় কথা হইলো যে মাহারিক আল আম্বিয়া'র অথেন্টিসিটি নিয়া যেইসব আধুনিক বিশেষজ্ঞ গবেষনা করেছেন যেমন সারাহ স্ট্রমসা আপনের চেয়ে আরো অনেকএর ভিন্ন মতের উদ্ধৃতি দিয়াও কিন্তু দিনশেষে আল রাজি'র এইসব উক্তি আর তার দর্শনএর মধ্যে ঐক্যের পক্ষেই কনক্লুশন টানছেন। সুতরাং, আমি নিজে থেকে কোন স্কলারি কনক্লুশনে এইখানে যাইনাই।
৫৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২১
দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: রিমন০০৭, আপনার "ধর্ম যার যার একান্ত ব্যাপার" চিন্তাধারাটা আধুনিক এবং সময়োপযোগী, এবং প্রশংসনীয়।
তবে আপনি কিছু জিনিস অনেক বেশী গুলিয়ে ফেলেছেন। কারো বোনকে রেপ করা অনেক বড় অপরাধ, সেইটার জন্য শুধু ব্লগ না, বরং থানা পুলিশ আদালত থেকে শুরু করে অনেক জায়গায় প্রবল ঝড় বয়ে যাবে। সেইটার সাথে ধর্ম "সমালোচনা" কে মেলালে বিপদ।
আর লেখক কিন্তু কারো অনুভূতিকে ব্যাঙ্গ করে শুধুই চুলকানীমূলক লেখাকে পরিত্যাজ্যই বলেছেন, কিন্তু কারো যৌক্তিক "সমালোচনা" করার অধিকার কেড়ে নেওয়াটা ঠিক না। এইটা যত তাড়াতাড়ি বোজগা যায়, ততই মঙ্গল।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৭
পারভেজ আলম বলেছেন: এটারে লিটারালি নিলে কিন্তু আরেক জিনিস পাওয়া যায়, যেইটা আমি বললাম প্রতুত্তরে। রেপ নিয়া আসলেই আজকের মুসলমানের কনসার্ন কতোটুকু? রেপএর মতো একটা ভয়ঙ্কর অপরাধরে সে কতোটা হালকা ভাবে দেখতে শিখেছে?
৫৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২২
রিমন০০৭ বলেছেন: Eria gelen onek kisu
৬০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২২
রিমন০০৭ বলেছেন: দি ফিউরিয়াস ওয়ান--- Asol jaigai toka marle pore tonok nore taina?
৬১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৪
নরাধম বলেছেন:
মহানবী (সাঃ) এর সমালোচনা করে পোস্ট ডিলিট করার দাবির সাথে একমত না। আমি বেশ ধার্মিক বলে নিজেকে দাবি করছি কিন্তু মহানবী (সাঃ)-এর সমালোচনা করা যাবেনা সেই দাবির সাথে একমত না। আমি এখন পর্যন্ত একাডেমিক স্ট্যান্ডার্ডে বৈধ কোন সমালোচনা দেখিনি মহানবী (সাঃ)-এর, সব সমালোচনাই অর্ধ-সত্য বা মিথ্যা, কিন্তু মিথ্যা বলার অধিকার বা বাকস্বাধীণতাও মানুষের আছে। তাছাড়া মুহাম্মদ (সাঃ) শাসনামলেই উনাকে কাফিররা এবং উনার শত্রুরা সমালোচনা করত, সমালোচনার জন্য কাউকে মহানবী কোনদিন কোন শাস্তি দেননি। আমরা মহানবীর উম্মত হয়ে মহানবী (সাঃ) থেকে বেশি বুঝিনা, তাই তাঁর সমালোচনা করলে তার বিপরীতে কলম দিয়েই উত্তর দিতে হবে, লেখা ডিলিট করার ফতোয়ার সাথে কোনমতেই একমত না।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৬
পারভেজ আলম বলেছেন: এটা সত্য। সেই মানের একাডেমিক সমালোচনা বিরল। তবে এই যে আমরা আজকে প্রশ্ন তুলছি একাডেমিক সমালোচনার সেই পর্যন্ত আসতেও অনেক নিন্ম বা মধ্য মানের সমালোচনা ও তার কাউন্টারএর পথ পার হয়ে আসতে হইছে। একেবারে খাটি একাডেমিক সমালোচনা করতে গেলে তো তথাকথিত আস্তিক নাস্তিক সবাই বিপদে পরবে। কারন তখন আসবে সোর্সগুলার অথিন্টিসিটির কথা। অথচ এইসব সোর্সের উপরে ভিত্তি কইরাই আস্তিকরা ধর্ম রক্ষা এবং নাস্তিকরা ইসলাম এবং নবীর সমালোচনা করেন।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মোহাম্মদ বিষয়ে কোন চুলকানি রাখিনা। ঐতিহাসিক ব্যক্তি হিসাবে যথেষ্ট সম্মানও করি। আমার এই পোস্ট নেহায়েতই 'সমালোচনা করা যাবেনা' জাতীয় উগ্রতার প্রতিবাদে। একাডেমিক সমালোচনার প্রতি আপনের যেই দাবি তার সাথে আমি পুরাপুরি একমত।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৯
পারভেজ আলম বলেছেন: এনিওয়ে, আপনারে অনেকদিন পরে দেখে ভালো লাগলো। আপনাদের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে।
৬২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৩
দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: @রিমন০০৭, আপনি আসল জায়গায় টোকা বলতে কী বুঝাইছেন বুঝি নাই। আপনে যেমনে ধর্মের সমালোচনা আর কাউরে রেপ করাটা তুলনা করলেন, তাতে ভয় হইতেছে, সামুতে "ধর্মের সমালোচনা" দেখে আপনি না আবার কী করে বসেন।
ভালো থাকবেন, বাংলা লেখা শিখবেন। ধন্যবাদ।
৬৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫১
দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: "লেখক বলেছেন: এটারে লিটারালি নিলে কিন্তু আরেক জিনিস পাওয়া যায়, যেইটা আমি বললাম প্রতুত্তরে। রেপ নিয়া আসলেই আজকের মুসলমানের কনসার্ন কতোটুকু? রেপএর মতো একটা ভয়ঙ্কর অপরাধরে সে কতোটা হালকা ভাবে দেখতে শিখেছে?"
হুম, এইখানে আইসা আপনারে একটা আশার কথা শোনাই। ব্লগে আমি কিন্তু বেশ অনেকদিন, এই নিকের আগেও আমার একটা বেশ সচল নিক ছিল। ব্লগে হাস্যকর পর্যায়ের অন্ধ বিশ্বাসী বেশ অনেক দেখেছি। তবে একদিন হঠাৎ খেয়াল করলাম, তাদের মধ্যে একজন, নাম বলবোনা, বেশ খানিকটা উদার হয়েছেন, অন্যের ধারণা/বিশ্বাস/যুক্তিকে তিনি আগের মত অন্ধ আক্রোশে ফেলে দেননা, তার সাথে আরো অনেকেই সহজভাবে যুক্তি বিনিময় করতে পারছেন, তার ধর্মবিশ্বাসঅটুট রেখেও।
এই জিনিসটা হয়েছিল ব্লগের মিথস্ক্রিয়ার প্রভাবেই এ ব্যাপারে আমি মোটামুটি নিশ্চিত। এই ধরনের উদাহর পরেও আরো কিছু দেখেছি।
আজকে আপনের ব্লগে যারা কমেন্ট করল, এদের কয়েকজনই হয়ত একটু সহনশীল হয়ে উঠবেন ভবিষ্যতে, এই আশাটাই বা মন্দ কী!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৪
পারভেজ আলম বলেছেন: এটা আমিও দেখেছি। একজন না, অনেককেই এইরকম পরিবর্তিত হতে দেখেছি। ব্লগিও মিথস্ক্রিয়া এই কারনেই আমাদের জন্যে দরকার। আর সেই মিথস্ক্রিয়া যেনো টিকে থাকে সেই দাবিই জানাই।
৬৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৫
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: না না , পারভেজ ভাই, ভুল বুঝলেন। আপনার লেখা নিয়ে আমি বলি নাই।
আপনি আমার ব্লগে একবার ঢু মেরেছিলেন বলে ভেবেছিলাম, আপনি আমার রাগান্বিত গালিবাজ মুস্লিম লেখা টা পড়েছেন। আমি লেখা টি লিখেছিলাম দারিপাল্লা ও ইসলাম উদ্ধারকারী আস্তিকদের নোংরা কান্ড নিয়ে।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৭
পারভেজ আলম বলেছেন: ওহ। হ্যা সেইটা আমি পড়েছি। ভালো লেখা, এবং সময়োপযোগী। আমি ভাবলাম আপনে আবার কপি পেস্ট করে আমার পোস্ট সম্বন্ধেও একি মত দিলেন কিনা। এনিওয়ে, ব্লগিয় মিথস্ক্রিয়া অব্যাহত থাক।
৬৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০০
নরাধম বলেছেন:
মহানবী (সাঃ)-কে নিয়ে একাডেমিক ডিসকোর্স আছে, এবং তা একাডেমিক এলুফনেস বা ঊদাসীনতা/দূরত্ব নিয়ে যে আলোচনা-সমালোচনা করার ধারা আছে তূলনামূলক ধর্মতত্ত্বে সেসবে উর্ত্তীর্ণ লেখা। মূলত যুক্তরাষ্ঠ্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগগুলোতে এ ধরণের স্কলারশিপের চর্চা হচ্ছে গত ৩০ বছর ধরে, এডওয়ার্ড সাইদের "ওরিয়েন্টালিস্ট" প্রকাশের পর থেকেই। এর আগেও এরকম কাজ হয়েছিল তবে তারা ওরিয়েন্টালিস্ট ভিউ থেকে সবঈ সরে আসতে পারতনা, এডওয়ার্ড সাইদ সেটাকে সহজ করে দিয়েছে। এখন একাডেমিক স্কলারশিপ অনেকটাই বেশ নিস্পৃহ এবং হয়ত এক শতাব্দীর মধ্যে একটা ভাল কালেক্শান দাড়িয়ে যাবে। ইয়েল স্কুল অফ থট নামে হাদিসশাস্ত্র বিশ্লেষনের একটা স্কুল অফ থটও দাড়িয়ে গিয়েছে যারা আগেকার ওরিয়েন্টালিস্টদের মোটাদাগে হাদিসশাস্ত্রকে বাদ দিয়ে আনসাবস্টেনসিয়েটেড জীবনি থেকে চেরি-পিকিং করার পন্থা থেকে বের হয়ে এসেছে। আমার ইসলামে বিশ্বাসটা সাম্প্রতিক এলাডেমিক স্কলারশিপের সাথে টাচে থাকার কারনে আরো পোক্ত হয়েছে, অনেক প্রশ্নের জবাব এরাই দিয়ে দিয়েছে। একাডেমিক আলোচনার জন্য আস্তিক বা নাস্তিক হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই, শুধু একাডেমিক ইন্টেগ্রিটি থাকলেই হল। তাই শুধু একজনের লেখা থেকে কোন কনক্লুশানে না এসে একটা ফিল্ডের কম-বেশী ৫০-৬০ বছর বা তারো বেশী সব কাজের দিকে দেখতে হয় এবং যখন ফিল্ড ম্যাচিউর হয় তখন একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়। সোর্সগুলার অথেন্টিসিটি নিয়েও গবেষণা করা হচ্ছে এবং হবে আর সেটঐ হওয়া উচিৎ। একাডেমিক আলোচনার সাথে বিশ্বাসের কোন সম্পর্ক নেই। ইসলামিক সোর্স যদি বলে হাদিস শাস্ত্র ১০০% খাঁটি, তাই কেন একাডেমিক স্কলাররা মেনে নিবে? সেটা মানার জন্য একাডেমিক ক্রিটিকের লিটমাস টেস্ট পাশ করে আসতে হবে। বিশ্বাসীদের এই বিশ্বাস থাকা উচিৎ যে যদি তার বিশ্বাস সত্য হয় সেটা একাডেমিক ডিসকোর্সে ফিল্ড যখন ম্যাচিয়র হবে তখন অবশ্যই উঠে আসবে। বিবলিকার স্কলারশিপের অনেক কিছুই বাইবলের ইতিহাসের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে তেমনি অনেক গাঁজাখুরীরও হদিস মিলেছে। ইসলামে বিশ্বাসীদেরও সেরকম একাডেমিক আলোচানর দ্বার খোললে সেটা নিয়ে মাথাব্যাথার কারন থাকার কথা না, কেননা তাদের বিশ্বাস সত্য হলে সেটা ফিল্ড ম্যাচিউর হলে এম্নিতেই বেরিয়ে আসবে। হয়ত ১০০% কনক্লুশানে যাওয়া যাবেনা যেহেতু এটা ন্যাচারাল সায়েন্স না, কিন্তু সায়েন্টিফিক মেথড প্রয়োগ করলে একসময় না একসময় সত্য সম্পর্কে একটা ভাল ধারণা পাওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত সেরকম আলোচনায় আমি আমার বিশ্বাসের পক্ষেই যুক্তি বেশি পেয়েছি, অবশ্য এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই বিশ্বাসী হিসেবে আমি ইতিমধ্যেই প্রেজুডিসড।
যাই হোক, সেসব সম্পূর্ণই ভিন্ন প্রসংগ এবং আপনার পোস্টের সাথে প্রাসংগিক না। দুঃখিত এসব নিয়ে আসার জন্য।
কিন্তু আল-রাজি সম্পর্কে আপনার কমেন্টের মতের সাথে একমত না। আমার কাছে মেন্ডেলিতে তাকে নিয়ে কয়েকটা একাডেমিক পেপার ছিল, কাল অফিসে গেলে খুঁজে দেখব। আপনি শুধু উইকিপিডিয়ায় "অন রিলিজিয়ন" পার্টটা দেখলেই আমি কি বলতে চাচ্ছি সেটা সম্পর্কে ধারণা পাবেন। আপনার পোস্ট থেকে কিন্তু মনে হচ্ছে আল-রাজির ইসলাম-বিরোধিতা নিয়ে কোনই সন্দেহ নাই এবং যা লিখেছেন সেটা ১০০% আল-রাজির নিজের লেখার কথাই লিখেছেন। আমি নিজে লিখলে নিচে নোটে অবশ্যই লিখতাম তার সম্পর্কে অনেক কন্ট্টাডিকটরি কথা আছে, এসব তার মতামত কিনা সেটা নিয়েও অনেক মতভিন্নতা আছে, ট্রান্সপ্যারেন্সি এবং ফুল ডিসক্লোজারের প্রিন্সিপল অনুসারে এভাবে বলা উচিৎ।
যাই হোক, আপনার পোস্টের মূল সুরের সাথে একমত, তাই আর পার্টিকুলারস নিয়ে ঝামেলায় যাচ্ছি না। ভাল থাকুন।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৯
পারভেজ আলম বলেছেন: আমার কাছে আপনের এই মন্তব্য মোটেই অপ্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছেনা। বরং এইটা খুবি প্রাসঙ্গিক একটা মন্তব্য। সমালোচনা কেমন হওয়া উচিৎ, কোন ধরণের সমালোচনা সবচেয়ে গুরুত্বের দাবি রাখে, বর্তমানের একাডেমিক গবেষনার ফিল্ডগুলা কি কি অবস্থায় আছে সে সম্বন্ধে বেশ ভালো একটা ধারণা দিয়া গেলেন। নবী রাসুলএর জীবন, শিক্ষা, মূল্যবোধ এর পক্ষ এবং বিপক্ষের যাবতিয় ক্যাচালএর যেই পরিবেশ এখন ব্লগে তাতে এই ইনফর্মেশনগুলা দরকার। সিমিলার কিছু আলোচনা আমি আমার আগের পোস্টে করেছিলাম একজন যখন কোরআন হাদিসএর অথেন্টিসিটি নিয়া প্রশ্ন তুললো তখন, অবশ্য এতো বিস্তারিত একাডেমিক যারা কাজ করছেন তাদের সম্বন্ধে তথ্য আমার জানা নাই।
একাডেমিক স্কলারির মাধ্যমেই এইসব সত্য উদঘাটন হওয়া দরকার। বাংলাদেশে বাঙলা ভাষায় এইধরণের সুস্থ্য ব্লগিয় মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে সেই পথে আমরা আরো আগায়া যাবো সেই আশা রাখি। অনেকদিন পরে ব্লগে ফালতু আস্তিক নাস্তিক ক্যাচালএর বাইরে কিছু সুস্থ্য আলোচনা হচ্ছে। এইটা ভালো লাগছে।
আল রাজি বিষয়ে আমার কনফিডেন্সএর মূল কারন বছর দুই আগে তার বিষয়ে কিছুদিন পড়াশোনা করেছিলাম। সব মিলায়া যেই কনক্লুশনে পৌছাইতে পারছি তার সুবাদেই এই কনফিডেন্স। তবে আপনে আমারে আপনের রিসার্চ প্যাপারটা দিতে পারেন। আমি পড়তে আগ্রহি।
৬৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৪
মনাপাগলা৪২০ বলেছেন: কি শুর করলেন ভাই , ধর্ম নিয়া এত ক্যাচাল কেন? যার মানতে মন চায় সে মানবে, যার মন চায়না সে মানবেনা। খালাস
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১০
পারভেজ আলম বলেছেন: যারা ক্যাচাল করেছে তাদের কোন বেইল নাই। এখানে আলাপ আলোচনা হচ্ছে।
৬৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৪
রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: কেউ কোন কিছু সহজ ভাবে নিতে চায়না রে ভাই এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা!!!!!
মুহাম্মদ (স) কে নিয়া বারা বারি নয় / নয় আর লাফা লাফি / আসেন উনাকে যথাযথ সম্মানে সম্মানিত করি ।
Click This Link
৬৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৪
প্রযুক্তি বলেছেন: অন্য কাউকে ছাগু হিজু বলার আগে আয়নায় নিজের চেহারাটা একবার দেখেন। আমি আপনাকে কখনো স্পষ্ট বক্তব্য দিতে দেখিনি। আপনি দু পক্ষের রশিই টানাটানি করতে ওস্তাদ। এইজন্য কোন পক্ষই আপনাকে খুব একটা বেশি পাত্তা দেয়না। তার থেকে জনসেবামূলক কাজের দিকে ঝুকে পড়াই ভাল।
৬৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: এর চেয়ে অনেক ভাল পোস্ট আসে সামু তে কিন্তু কেন ভাই আপনার পোস্ট উকালতি মার্কা পোস্ট বার বার নির্বাচিত হয় তা বুঝি না। অন্ধের মত , আবেগের বসে লাফা লাফি না করে, যুক্তি বুদ্ধি দিয়া কিভাবে রাসুলের অবমানকারীদের জবাব দিতে হবে এরকম কয়েক্তা ভাল পোস্ট আমি এই সামু তেই দেখচিলাম। সেগুলান এই পোস্টের চেয়ে অনেক সুনির্দিষ্ট তথ্য ওয়ালা ছিল। কিন্তু একতাও পেলাম না। সে যাই হক।
মত প্রকাস এর স্বাধীনতা সবার আছে। মহানবীর সমালেচনা তার সাম্নেই অনেকেই করছে। সে যদি সহ্য করতে পারে আমরা কেন পারব না? তবে তার মত সহ্য ক্ষমতা কিন্তু সবার নাই। আপনার ক্রমাগত ,ঘর সংসার ফালাইয়া অযৌক্তিক পোস্ট দিবেন আর আশা করবেন আমার সব সময় তা দেখেও চুপ থাকব। কানের সামনে ক্রমাগত ঘ্যান ঘ্যান করতে থাকলে কিন্তু চরম ধৈর্যসিল মানুস ও এক সময় রেগে গিয়ে চর মেরে বসবে ।আর আপনার সেই সুজগ এর অপেক্ষা তেই আর তার জন্যই হয়ত ক্রমগাত ঘ্যান ঘ্যান করতে থাকেন। কখন ধৈর্য চুতি হবে আর একটা আর একটু জোর গলায় কথা বলবে আর সেটা কে পুজি করবে আবার একটা নাটক করতে পারবেন। মুসলিম দের সন্ত্রাসী, মাথা গরম বলে আবার ঘ্যান ঘ্যান করতে পারবেন।
৭০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৭
মোহাম্মদ সোহেল হাসান বলেছেন: পারভেজ আলম বলে :আমার সগোত্রিয়রা যেই নিয়মে বিবাহ করাইতে আগ্রহী সেই নিয়মেই বিবাহ করেছি।
এইখানে এসে মচকায় গেলা
ভবিষ্যতে এইটা নিয়া আবার রিপিট না করতে হইলে খুশি হমু।
এইখানে এসে বাক স্বাধীনতা ভাইয়ের গলা টিপে দিলা।
৭১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৮
আধারের কবি বলেছেন: নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: এর চেয়ে অনেক ভাল পোস্ট আসে সামু তে কিন্তু কেন ভাই আপনার পোস্ট উকালতি মার্কা পোস্ট বার বার নির্বাচিত হয় তা বুঝি না। অন্ধের মত , আবেগের বসে লাফা লাফি না করে, যুক্তি বুদ্ধি দিয়া কিভাবে রাসুলের অবমানকারীদের জবাব দিতে হবে এরকম কয়েক্তা ভাল পোস্ট আমি এই সামু তেই দেখচিলাম। সেগুলান এই পোস্টের চেয়ে অনেক সুনির্দিষ্ট তথ্য ওয়ালা ছিল। কিন্তু একতাও পেলাম না। সে যাই হক।
মত প্রকাস এর স্বাধীনতা সবার আছে। মহানবীর সমালেচনা তার সাম্নেই অনেকেই করছে। সে যদি সহ্য করতে পারে আমরা কেন পারব না? তবে তার মত সহ্য ক্ষমতা কিন্তু সবার নাই। আপনার ক্রমাগত ,ঘর সংসার ফালাইয়া অযৌক্তিক পোস্ট দিবেন আর আশা করবেন আমার সব সময় তা দেখেও চুপ থাকব। কানের সামনে ক্রমাগত ঘ্যান ঘ্যান করতে থাকলে কিন্তু চরম ধৈর্যসিল মানুস ও এক সময় রেগে গিয়ে চর মেরে বসবে ।আর আপনার সেই সুজগ এর অপেক্ষা তেই আর তার জন্যই হয়ত ক্রমগাত ঘ্যান ঘ্যান করতে থাকেন। কখন ধৈর্য চুতি হবে আর একটা আর একটু জোর গলায় কথা বলবে আর সেটা কে পুজি করবে আবার একটা নাটক করতে পারবেন। মুসলিম দের সন্ত্রাসী, মাথা গরম বলে আবার ঘ্যান ঘ্যান করতে পারবেন।
৭২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৪
আসফি আজাদ বলেছেন: এই জাতীয় পোষ্টের বেশ কিছু ভালো দিক আছে, যেমন ধরেন আয়না হিসেবে কাজ করে অথবা লিটমাস টেস্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কারণ নানাবিধ ধরনের আলোচনা/প্রশ্নে ততবিধ ধরনের আপাতভাবে গা-সওয়া অসঙ্গতিগুলো উইঠা আসে; যেগুলো কিনা আমরা সাধারণ মুসলিমরা বলা চলে প্রায় স্বাভাবিক ধইরা নিছি।
উদাহরণ হিসেবে, “নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: আমি নাস্তিক না। তবু আমার প্রশ্ন, "যেসব মুমিনরা এত কষ্ট করে রাত জেগে কমেন্ট করতেছেন, তারা ফজরের নামাজ পরবেনতো ??"” রীতিমত লজ্জায় পড়তে হইল। আবার “অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: ...সানি লিওন বা জিসম সিনেমা লইয়া মোমিনদের কোন আপত্তি নাই। ... তারা রাত জাইগা তাহাজ্জুত পড়বে। তা না কইরা জানা আরীলের পর্ণ ছবি বানায়। ...”
সত্য কইরা বললে আয়নায় নিজের কদাকার মুখ দেখা যায়, অন্যভাবে কইলে ঈমান/আকিদা লিটমাস টেস্ট ফেইল।
একটা উদ্ধৃতি দেই "Islam at the Crossroads" থিকা: "History makes it clear however, that the legend of fanatical Muslims sweeping through the world and forcing Islam at the point of the sword upon conquered races is one of the most fantastically absurd myth that historians have ever repeated." Islam at the Crossroads, De Lacy O’Leary London, 1923, page 8। আমি আবশ্য মূল বই পড়ি নাই, এইটা Questions About Islam সাইট থিকা ধার নিছি। যারা আপ্নের কল্লা কাটতে চাইতেছে তাদের জানা আছে কিনা বুঝতেছি না!
যাই হোক, বেশী কথার কাজ নাই। মূল কথায় আসি, আপনারা ধর্ম বিশ্বাস করবেন কি করবেন না, সেইটা আপনাদের ব্যক্তিগত বিষয়। আমি যতদূর জানি ধর্ম নিয়া বাড়াবাড়ি করতে বারণ আছে এবং জোরজবরদস্তির ব্যাপারেও নিষেধ আছে। There is no compulsion in religion. Verily, the Right Path has become distinct from the wrong path (Holy Qur'an, Chapter 2, Verse 256) – খান এন্ড হিলালির অনুবাদ।
Invite (mankind, O Muhammad SAW) to the Way of your Lord (i.e. Islam) with wisdom (i.e. with the Divine Inspiration and the Quran) and fair preaching, and argue with them in a way that is better. Truly, your Lord knows best who has gone astray from His Path, and He is the Best Aware of those who are guided ](Holy Qur'an, Chapter 16, Verse 125)[/sb – খান এন্ড হিলালির অনুবাদ।
কিন্তু আমরা এইটা আশা করতে পারি, যখন আপনেরা আম জনতার ধর্ম নিয়া আলোচনা-সমালোচনা করবেন তখন একটু দায়িত্ব নিয়া করবেন। মনে হয় না এই চাওয়াটা খুব বেশী। এখন আপনি কইতে পারেন ধর্ম নিয়া বাড়াবাড়ি, জোরজবরদস্তির নিষেধ আছে, তাইলে আমরা সেইটা মাইনা চললেই ত ল্যাঠা চুইকা যায়! আমার প্রশ্ন হইল যায় কি? যায় না, কারণ মানুষ তো একজন-দুইজন না, মিলিয়ন মিলিয়ন। আপ্নে নিশ্চয় সবার কাছ থিকা একই রকম বিবেচনাবোধ আশা করেন না? যেহেতু আমজনতার সবার দায়িত্ব/বিবেচনাবোধ এক না, কাজেই আপ্নেদের খানিক্টা দায়িত্ব পালন আমরা আশা করি, যাতে এরা অস্থির না হয় অথবা কেউ এদের অস্থির কইরা অরাজকতা তৈরী না করতে পারে। তবে সেইটা আপ্নেরা পালন করবেন কি করবেন না, সেইটা আপ্নেদের বিবেচনা।
এখন অন্য আরেকটা প্রসঙ্গে আসি, কিছুটা অফটপিক হইতে পারে। সেইটা হইল কর্ণেল সামুরাইয়ের দাবী-দাওয়া সম্বলিত পোষ্টটা কর্তৃপক্ষ কেন মুছল? আমার বিবেচনায় কর্তৃপক্ষ কাজটা ঠিক করে নাই। আপ্নে যেমন কইতেছেন “নবী রাসুলএর সমালোচনা করলে কি সমস্যা?”, তাইলে আমার কথা হইল সে যদি কিছু দাবী-দাওয়া কইরা পোষ্ট দেয় তাইলে কি সমস্যা? ফ্রীডম অফ স্পীচ তো সবারই আছে, নাকি? নাকি একজন এক লেভেলের ফ্রীডম অফ স্পীচ ভোগ করব, অন্য জন তার চেয়ে নীচের লেভেল ফ্রীডম অফ স্পীচ ভোগ করব! বিষয়টা কেমন স্ববিরোধী হইল না?
অবশ্য এইটা হইতে পারে কর্তৃপক্ষ মনে করতেছে তার সেই পোষ্ট সাধারণের মইধ্যে একটা অস্থিরতা/অরাজকতা তৈরী করতে পারে। তা হইলে ঠিক আছে। সমস্যাডা বাধলো এইখানে অন্য জায়গায়, নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন? যদি না বুঝেন, তাইলে কই যে পোষ্ট(গুলার) পরিপ্রেক্ষিতে কর্ণেল সামুরাই তার দাবী-দাওয়া সম্বলিত পোষ্টটা দিছে অথবা অন্য আর সমস্ত আজে-বাজে পোষ্টের সূচনা করছে, সেইগুলা কি অস্থিরতা/অরাজকতা তৈরী করে নাই?
নাকি ওই সমস্ত পোষ্টের অন্য কোন মাহাত্ত্ব্য/মাজেজা আছে যা আমার মত আমজনতা বুঝতে অক্ষম? একটু বুঝায়ে বলবেন আশা করি।
ধন্যবাদ।
৭৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২০
দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: @আসফি আজাদ
সামুরাইয়ের ব্লগ মডারেটর মুছে নাই, ঐ লেখক নিজেই মুছেছে, জানা-র ক্রমাগত শক্ত অনুরোধ আর কঠোর অবস্থান দেখে।
আর সামুরাইয়ের বক্তব্যে বাক স্বাধীনতার কোনো ব্যাপরই নেই। যারা সামুরাইকে সামহোয়ারইনে দেখতে চাননা, আমার ধারণা তাদের প্রায় সবারই একই মত--কে কী বলবে সেটা তার ব্যাপার, তবে সামুরাই নিকটি সরাসরিই এই ব্লগকে ব্ল্যাকমেইল করতে চেয়েছে, হুমকী দিয়েছে। [sb]ধর্মানুভূতি রক্ষার দোহাই দিয়ে বাক স্বাধীনতাকে নিজের হাতের পুতুল করতে চেয়েছে, না পেলে ব্লগের বড় ক্ষতি করার সরাসরি হুমকি দিয়েছে, আর মেনে নিলে নাকি সে লোকজনকে শান্ত রাখবে, এমন মূলোও দেখিয়েছে! বাংলা ব্লগের এত বড় একজন শুভাকাংক্ষী(!)কে ব্লগে আতিথ্য দেওয়া কতটুকু কাজের সেটাও ভাবা দরকার।
৭৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩২
রাতুলবিডি বলেছেন: Samu made my status " Watch" , as I talked against Samu, What do you say about it?
I did not use any ugly words! Wrote some very easy logic.
( Today I can not write bangla in comments, pls forgive ..)
৭৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩৬
মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ্ বলেছেন: যতক্ষণ পর্যন্ত কোনদেশে শরীয়া আইন কার্যকর না হইতেছে ততক্ষণ পর্যন্ত নবী-রসুলের সমালোচনা করলে কোন সমস্যা নাই। যারা লিবিয়ায় রাষ্ট্রদূত মারছে এবং সামুর পাতায় কাইন্দা ভাসাইতেছে তারা ছাগু।
৭৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩১
এসএসনাসরীন বলেছেন: ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৩
লেখক বলেছেন: আমি আগেও বলেছি যে আমি যেহেতু বিবাহ বিষয়ক কোন ধার্মিক বিধানএর অনুসারী না সুতরাং আমার সগোত্রিয়রা যেই নিয়মে বিবাহ করাইতে আগ্রহী সেই নিয়মেই বিবাহ করেছি।
@ লেখক, আপ্নের স্বগোত্রীয়রা আপ্নেরে নামাজ রোজা পড়ানোর জন্য বলতে থাকলে তখন কি করবেন ? (তারা এই বিষয়ে আগ্রহী ধরেই উত্তর দিয়েন )
৭৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৫৭
বৈজ্ঞানিক বাংলা বলেছেন: যেকোন (Arbitrary) যুক্তিভিত্তিক, বিজ্ঞানসম্মত সমালোচনা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য এবং সর্বদা আবশ্যক। আর এভাবেই যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে মানুষ সত্যের পথে এগি্যে যায়। (এর মানে এই না যে, মানুষ পুরো সত্য পেয়ে গেছে। তবে কিছু ধ্রবক রয়েছে। যেমন: সূ্র্য সর্বদা একটি নির্দিষ্ট Reference এর সাপেক্ষে নির্দিষ্ট দিকে ঘুরে-এটা Big Bang হওয়া থেকে ধ্রব।)।
সুতরাং যেকোন বিষয়ে যুক্তিসম্পন্ন, বিজ্ঞানভিত্তিক সমালোচনা প্রয়োজন। এটা পুরো মানবজাতির জন্য আবশ্যক।
৭৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৪৪
মুহাম্মদ যিয়ান ইলাহী বলেছেন: যারা নিজের বাপের পরিচয় জানে না, তারাই এমন পোস্ট দেয়।
নিজের মুর্খতার প্রমান বেশ ভালো করেই দিয়েছিস।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৪
পাগল হয়ে যাবো বলেছেন: পারভেজ আলম’র ফাসি চাই, এটা আমার ফ্রিডম অব স্পিচ