নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীটা শূ........................\nজীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে; আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা বিশেষভাবে পরীক্ষা করে থাকি। আর আমারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।

ফকীড়

আমি একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। মানুষের সেবা আমার ধর্ম...........

ফকীড় › বিস্তারিত পোস্টঃ

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের পড়াশোনা পদ্ধতি এবং আইনি কাঠামো ?

২৫ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:২৮

বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি শিক্ষা গ্রহণের জন্য দুটি প্রধান কোর্স রয়েছে: বিএইচএমএস (ব্যাচেলর ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি) এবং ডিএইচএমএস (ডিপ্লোমা অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি)। এই দুটি কোর্সের মাধ্যমে যে কেউ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হতে পারেন।

শিক্ষার মাধ্যম:
বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ধরনের হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ রয়েছে, যেখানে এই কোর্সগুলো পড়ানো হয়।

শিক্ষার মান:
১৯৭২ সালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মান উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড গঠন করা হয়। পরবর্তীতে নানা চড়াই উৎড়াই এবং প্রতিকূলতা পার হয়ে ২০২৩ সালে "বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩" সংসদে পাশ হয় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড এর পরিবর্তে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও শিক্ষা কাউন্সিল করা হয, যা হোমিওপ্যাথিক কলেজ অনুমোদন, নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও পরিচালনা করে

আইন ও বিধিমালা:
"বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩" নামে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, যা হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা ও চিকিৎসা পদ্ধতির মান উন্নয়নে কাজ করবে।

গবেষণা:
হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য হোমিওপ্যাথিক বিষয়ে গবেষণা বা উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করে থাকে।

নিবন্ধন:
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসাবে কাজ করতে হলে অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে, অন্যথায় এক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
সুতরাং, বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি শিক্ষা গ্রহণ করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হওয়ার জন্য উপরে উল্লেখিত কোর্সগুলোতে ভর্তি হওয়া যেতে পারে।

বিএইচএমএস কোর্স কি?

ব্যাচেলর ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি কোর্স হলো এমবিবিএস কোর্সের সমান মর্যাদা সম্পন্ন একটি কোর্স। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ভাবেই এই কোর্স শিক্ষাগ্রহণ করা যায়। এই কোর্সের মেয়াদকাল পাঁচ বছর। সরকারিভাবে এই কোর্স করতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০ পেতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট আসনের বিপরীতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য ৫০ টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে ৫০ জন শিক্ষার্থী এখান থেকে হোমিও চিকিৎসক হতে পারেন। বেসরকারিভাবে বিএইচএমএস কোর্স এ ১০০টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভর্তি পরীক্ষায় যারা অংশগ্রহণ করবে শুধু তারাই বেসরকারিভাবে বি এইচ এম এস কোর্স করতে পারবেন। বিএইচএমএস কোর্সের একমাত্র বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রাজধানীর গুলিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এই প্রতিষ্ঠানে কোর্সটি সম্পন্ন করার জন্য সর্বমোট খরচ হয় চার-পাঁচ লাখ টাকা।

বিএইচএমএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা কিভাবে অনুষ্ঠিত হয়?
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক বছরের নির্দিষ্ট সময়ে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে সার্কুলার দিয়ে থাকেন। সাধারণত এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার পরে এই সার্কুলার প্রকাশ করা হয়। শুধু বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর আবেদন করতে পারেন। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০ পেতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

ডিএইচএমএস কোর্স কি?
ডিপ্লোমা অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি একটি ডিপ্লোমা কোর্স। যে কোনো বিভাগ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরে এই কোর্সে এ ভর্তি হওয়া যায়। এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য তেমন কোনো শর্ত থাকে না। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় ৬৫টির বেশি ডিপ্লোমা হোমিওপ্যাথিক কলেজ রয়েছে। ডিপ্লোমা কোর্স ধারীরা বিএইচএমএস কোর্সের সমান মর্যাদা লাভ করতে পারে না। তবে ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করে ভালো রেজাল্ট নিয়ে বিএইচএমএস কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ অনুযায়ী ডিএইচএমএস কোর্স ধারীরা নামে আগে ডা. পদবী ব্যবহার করতে পারবে। এই কোর্সের সময়কাল চার বছর। তবে এই কোর্স সম্পন্ন করতে খরচ খুবই সীমিত।

হোমিওপ্যাথিক কোর্স করে বিসিএসে অংশগ্রহণ করা যায়?
বিএইচএমএস কোর্স ধারীরা সরাসরি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে এবং ডিএইচএমএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। তবে কেউ যদি ডি এইচ এম এস কোর্স সম্পন্ন করে বিএইচএমএস কোর্স সম্পন্ন করে তবে সে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। বিএইচএমএস কোর্সটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ফ্যাকাল্টির অন্তর্ভুক্ত।

হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের ক্যারিয়ার কি?
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল রয়েছে সেখানে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা নিয়োগ পান। দেশে অনেক বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল রয়েছে সেখানেও তারা নিয়োগ পেয়ে থাকেন। তাছাড়া নিজস্ব চেম্বারে রোগী দেখার সুযোগ রয়েছে। সম্মানের দিক থেকে এমবিবিএস চিকিৎসকদের সমান গুরুত্ব দেয়া হয়।

প্রচারে
ডা. মোঃ আম্মার আব্দুল্লাহ
রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.