নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

***

থিংক সিম্পল।

স্টাডি-ইটিই

পরে লিখব। এখন ভাল লাগছে না লিখতে।

স্টাডি-ইটিই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করতে পারি নাই...

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৮

মুক্তিযুদ্ধে আস্তিকদের অবদান নিয়া অনেকেই উল্লোসিত। কারণ সেই সময়ে কোন নাস্তিকের অবদান তারা দেখেন নি। যদিও এ দেশের স্বাধীকার আন্দোলনে ধর্মের ভুমিকা মোটেই অনুকুল ছিল না। বরং ধর্মের দোহাই দিয়েই শকুনের চেয়েও অধম একদল নরপশু অপকর্ম করে দিয়েছে। এ দেশের মানুষ ধর্মমত নির্বিশেষে নিজেদের অধীকার রক্ষায় কাধে কাধ মিলিয়ে লড়াই করে দিয়েছে। যুদ্ধে হয়ত কোন ধর্মপ্রাণ নামাজ আদায় করছে, তার পাশেই সহযোদ্ধারা নানান বাদ্য বাজিয়ে উৎসাহমুলক গান গেয়ে চলেছে। সেখানে ধর্মের চেয়ে অধীকার রক্ষাই ছিল মুল লক্ষ্য।



আমার জন্ম স্বাধীনতার প্রায় ১০ পনেরো বছর পর (সঠিক সময়টা উল্লেখ করতে চাচ্ছি না)। সুতরাং সেই সময়ে কোন অবদান রাখতে পারার কথাই না। হ্যা তবে আমি ছয় সাত বছর মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবদান রেখেছি একজন ধার্মিক মুসলিম হিসেবে। জানেন তো একজন শিবির সাথী হতে হলে ৩ মাস কোন নামাজ কাযা থাকা যাবে না, কুরান হাদিস পাঠ করতে হবে। সদস্য প্রার্থী হলে ছয় মাস নামাজ কাযা করা যাবে না। এমন একটি আল্লা ওয়ালা দলের বিরুদ্ধে রয়েছে স্বাধীনতার সময়ে অন্যায় কর্মের অভিযোগ। আর এ অভিযোগ থেকে নিজেদের ডিফেন্ড করতে আমরা নানান কুযুক্তির আশ্রয় নিতাম।



আমার মনে আছে, একবার আল ফালাহ এ শিক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়, দুদিন ব্যপি এ শিক্ষা শিবিরের সর্বশেষ আকর্ষণ ছিল গোলাম আযম। প্রোগ্রামে প্রশ্নত্তর পর্বের পুর্বে প্রশ্নের জন্যে যখন কাগজ দেয়া হয়, তখন দায়িত্বশীলরা আমাদের কানে কানে বলে যান যে কোন বিব্রতকর প্রশ্ন যেন না করি। যদিও প্রশ্ন লিখার পর সেগুলো জমা নিয়ে নির্বাচিত প্রশ্নই তাকে করা হবে, তবুও যখন সম্পুরক প্রশ্ন করার সুযোগ পাওয়া যাবে, তখন যেন কেউ তাকে বিব্রতকর প্রশ্ন না করে, সেই জন্যে এই সতর্কীকরণ। সেদিন তাকে প্রশ্ন করার আমার সুযোগ হয়নি, তবে দু’ একজন তাকে স্বাধীনতার সময়কার ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে দায়িত্বশীলরা মুখে আঙ্গুল দেখিয়ে চুপ করতে বলেছিলেন।



সেদিন গো আযম আমাদের মগজ ধোলাই করেছিলেন এই বলে যে, দেশের স্বাধীনতা থেকে ইসলামী আন্দোলন অনেক বড়, দুনিয়াবী লোভ লালসা ইত্যাদি মানুষকে শয়তানের পথে নিয়ে যায়, দেশের প্রতি ভাল বাসা, পরিবারের প্রতি ভালবাসা ইত্যাদির দরকার আছে, তবে এসকল বিষয় যখন দ্বীনের চেয়ে বড় হয়ে যায়, তখন তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। একাত্তরুরের “গন্ডোগোলে” দেশের চেয়ে দ্বীনের প্রয়োজন আমাদের কাছে বড় ছিল, ইসলামী মুলক থেকে এ দেশ আলাদা হলে তা ভাই এর থেকে ভাই এর আলাদা হবার শামিল। এই অবস্থায় মালাউন (সে ভারত বলেছিল) শক্তি আমাদের দ্বীনের কর্মকান্ডকে পিছিয়ে দিবে এমন ধারণাই আমাদের ছিল এবং তা সত্য হয়েছে। তবে সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে আমি এ দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছি, এবং আমাদের দল কাজ করে যাচ্ছে। জামাত চারটি সমাজে কাজ করে, ছাত্র সমাজ সেদিক থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ। তাই তোমাদেরকে অপপ্রচারের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দ্বীনের রজ্জু আকরে ধরতে হবে। কারণ আমাদের সকলেরই লক্ষ্য পরকালীন মুক্তি।



তারপর থেকে এ ধোলাই ওয়ালা মগজ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কাজ করে গিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের নেতাদের কাছে গন্ডগোল ছাড়া আর কিছুই না। আমাদের এলাকার আরেক জামাতী নেতা যিনি আব্বুরে রুকন বানানোর প্রানপণ চেষ্টা করে চলেছেন, তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কেন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল? সে ভ্রু কুচকে কিছুক্ষন আমাকে দেখে বলল, বাংলাদেশ ছিল সতী নারী, সতী নারীর দোয়া কবুল হয়, তাই পাকিস্তান আর পুর্ব পাকিস্তান মিলে যখন উন্নতি করতে লাগল, তখন ভারতের তা সহ্য হল না, তাই তারা বন্ধু সেজে এদেশের সতীত্ব নষ্ট করল। আজকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে থাকলে কত উন্নত হত!



তখনও আমার মাথা পরিস্কার হয়নি, আমার বন্ধুরা জামাত-শিবিরকে নানাভাবে আঘাতের চেষ্টা করত মুক্তিযুদ্ধের তাদের ভুমিকা নিয়ে। আমি তাদেরকে বলতাম, দেখ, পার্বত্য চট্ট্রগ্রাম যদি স্বাধীন হতে চায়, তাহলে তুমি কার পক্ষে থাকবা? সে উত্তর দিত দেশের পক্ষে, তখন আমি বলতাম তাহলে তুমি পার্বত্য চট্ট্রগ্রামবাসীর কাছে রাজাকার। তাই না? জামাতিরাও তাই। তারপর তারা সেই সময়ে অন্যায় কর্মকান্ডের কথা বললে আমি বলতাম যে যারা বিদ্রোহী এবং বিদ্রোহের আশ্রয়দাতা ছিল, তারা সকলেই অপরাধী, অতএব সরকার বা সরকার অনুমোদিত সংস্থা বিদ্রোহ দমনে পদক্ষেপ নিলে কিছু ভুলত্রুটি হতে পারে!



এভাবেই আমি আচ্ছন্ন ছিলাম, ধর্ম রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে, ন্যায় ভিত্তিক শোষণ মুক্ত সমাজের স্বপ্ন আমি ইসলামের মধ্য দিয়ে দেখেছিলাম। আমার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ ভেবেছিলাম স্বাধীনতা বিরোধী এ শক্তিকে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এদের মুখোশ আমার সামনে পরিস্কার হয়ে পড়ে, আমি বুঝতে পারি এরা মানুষের সেবা করে না, করে নিজের সেবা। এরা মোটেও পরার্থবাদী নয়, বরং চরম স্বার্থবাদী, এরা ক্রিমিনাল। ধর্ম এদের হাতিয়ার।



বটম লাইন… "Religion is an insult to human dignity. Without it, you'd have good people doing good things and evil people doing evil things. For a good person to do evil, it takes religion." - Stephen Weinberg (sc)



এরকম একটা এলমেল লেখায় এত দামী উক্তি না দেয়ায় ভাল ছিল। যাহোক, এসব এখন ঘটে চলেছে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-৫

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:০৪

বিবর্তনবাদী বলেছেন: এখন মনে হচ্ছে নব্বইয়ের গন আন্দোলন, ১/১১ এই দুটি ক্ষেত্রে আস্তিক নাস্তিকের ভূমিকা নিয়ে ব্লগে গবেষণা বাকি আছে।

আস্তিক নাস্তিক খেলার খেলোয়াড়দের ধৈর্য দেখে আমি অভিভূত, আতংকিত।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:০৬

আলিম আল রাজি বলেছেন: ভালো লিখছেন। প্লাস।

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১৩

দেশী পোলা বলেছেন: পূর্ব পাকিস্তান কম্যুনিস্ট পার্টির আবদুল হক তো স্বাধীনতার বিপক্ষে কাজ করেছেন, উনি কি আস্তিক ছিলেন না কি?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৬

স্টাডি-ইটিই বলেছেন: কে কি ছিল তাতো আমি জানিনা...জানাশুনা কম...আমি কেন পারিনাই বা এখনো কেউ কেউ কেন পারেনা...তার একখান বর্ণনা দিলাম...এত ভাবার কি আছে...

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৫

আজম আলী বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ আপাত দৃষ্টিতে আস্তিক-নাস্তিকের লড়াই ছিল না। কিন্তু বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনার দাবি রাখে। ইহা ছিল পাকিস্তানি অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে বাংলার স্বাধীনতা। আওয়ামী লীগে ২/১ জন নাস্তিক থাকলেও থাকতে পারে। তবে তাদের বেশিরভাগই আস্তিক। তবে তারা ধর্মকে তাদের ব্যাক্তিগত,পারিবারিক বা সামাজিক জীবনে পালন আগ্রহী। তারা ধর্মকে রাষ্ট্রের সাথে জড়াতে চাই না। মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাথে সিপিবি ছিল। তাদের প্রায় সবাই নাস্তিক।

অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী প্রধান দল জামাতে ইসলামীর সবাই আস্তিক। এবং তারা ইসলাম ধর্মকে সব জায়গায় রাখতে চায়। ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্রীয় জীবনে প্রতিষ্ঠার জন্য তারা যে কোন নৃশংস কাজ করতে রাজি আছে। ৭১ এ তারা এমনকি পাশের বাড়ির মেয়েকে পাকি ক্যাম্পে দিয়ে এসছে। শিবির কর্মীরা তাদের শিক্ষককে পর্যন্ত ধরে ধরে হত্যা করেছে। কোরান হাদিসে অবশ্য ইসলামবিরোধী ব্যাক্তিদেরকে হত্যার অনুমোদন আছে। একজন ব্যাক্তি যদি পুরোপুরি ইসলামে বিশ্বাস করে তাহলে তাকে বিশ্বাস করত হবে রাষ্ট্রীয় জীবনে কোরানের আইন ছাড়া সব আইন অবৈধ। তাই যারা বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা বলে বাংলাদেশকে মাতৃজ্ঞানে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল তাদেরকে কতটা আস্তিক বলা চলে? আমাদের মুক্তি আন্দোলনের শুরু ৫২র ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। ৫২ শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্য শহীদ মিনার করা হয়েছিল। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো ইসলামে হারাম। তাই ৭১ পাকি বর্বরো শহীদ মিনার গুড়িয়ে দিয়েছিল। স্বাধীনতার পর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকে সমুন্নত করে নান্দনিক স্মৃতিসৌধ গড়া হয়েছে। এটিও একটি ইসলাম বিরোধী কাজ।

স্বাধীনতাবিরোধী আব্দুল হককে আমি খুব ভালভাবে চিনি। ৭৪ সাল পর্যন্ত তার দলের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিষ্ট পার্টি। অনেকেই মনে করেন আব্দুল হক ছিলেন নাস্তিক। তিনি ব্যাক্তিগত জীবনে কতটা আস্তিক বা নাস্তি ছিলেন জানি না। তবে নাস্তিকদেরকে সাম্প্রদায়িক হতে দেখা যায় না। কিন্তু কমরেড আব্দুল হক ছিলেন চরম সাম্প্রদায়িক লোক। তিনি জিয়া ও এরশাদের আমলে সরকারী ছত্রছায়ায় থেকে অমুসলিম সংখ্যালঘুদের উপর ব্যাপক অত্যাচার চালিয়েছেন। এরশাদের আমলে তিনি যশোর ক্যান্টনমেন্টে আর্মিদের আশ্রয়ে থাকতেন যাতে তার প্রতিপক্ষ কোন গ্রুপ তাকে হত্যা না করতে পারে। সুতরাং তিনি নাস্তিক ছিলেন কি না তা ভাববার বিষয়।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৭

স্টাডি-ইটিই বলেছেন: সেটি মোটেই আস্তিক নাস্তিক লড়াই ছিল না। সেটা শুরুতেই উল্লেখ করেছি।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০১

মেটাফর বলেছেন: বেশ গোছানো লেখা। শুধু Stephen Weinberg-এর কথাটার সাথে সম্পূর্ণ একমত হতে পারলাম না।
ধর্মের ব্যবহার-অপব্যবহার নিয়ে আমার একটা অগোছালো লেখা ছিল। সময় হলে পড়ে দেখতে পারেন।
Click This Link

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৫

প্রবাসী১২ বলেছেন: উপরের অংশ আপনার স্বরচিত। নীচের উদ্ধৃতি আপনার স্বরূপ। জামাত-শিবির নিয়ে কথা বলে হঠাৎ করে ধর্মকে নিয়ে আসলেন কেন? তাদের ভাল-মন্দ তাদের গন্ডিতে রেখে বিচার করুন। তাদের জন্য টোটাল ধর্মকে নিয়ে আপনার নির্বাচিত উদ্ধৃতি আপনার স্বরূপ উম্মোচন করেছে। আপনার ষ্টিফেনদের চরিত্র আমাদের জানা আছে। মানুষ্য চামড়ার আবরণে ওদের মত জঘন্য কীট শুধু ওরাই। একটা কথা মনে রাখবেন ভাল মানুষেরা সবসময় ভাল কাজ করেননা আর খারাপ মানুষেরা সবসময় খারাপ কাজ করেননা। আজকের পৃথিবীর যেটুকু সভ্যতা সবই ধর্মের দান। যত অসভ্যতা সব মানুষের সৃষ্টি।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৩

স্টাডি-ইটিই বলেছেন: দেখেন আপনার মনে কত ঘৃণা ঐ ধর্ম ঢেলে দিয়েছে। আমাকে বলার বাকী রাখলেন না কিছুই।

টোটাল ধর্ম তাদের কর্মকান্ডের বৈধতা দেয়। আপনি তর্ক করে গায়ের জোড় দেখাতে পারেন। তারা ধর্মের শ্লোক উদ্ধৃতি করেই খুব ছোট সময়েই মগজ ধোলাই করেছে। ধর্মীয় শিক্ষা তাদের এ ধোলাই কর্মের উর্বর ভুমি মাত্র।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

প্রবাসী১২ বলেছেন: ধর্ম আমাকে ঘৃনা শেখায়নি। ধর্ম ঘৃনা শেখায়না। পূর্বের সকল কিছু বাদ দিয়ে বর্তমানের কথায় আসুন। ৯/১১ এর নাটক সাজিয়ে ইরাক আর আফগানিস্তান এর মত দু'টি দেশ ধ্বংশ করা, কারাবন্দীদের সাথে পাশবিক নির্যাতন, ঈদের দিনে সাদ্দামের ফাঁসি, সাবরা শাতিলা, স্রেব্রেনিৎসা, বসনিয়া, চেচনিয়া, এসব ওদেরকেই মানায়। আপনি এ ধরনের বর্বরতা আর কোথাও খুঁজে পাবেননা।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০১

স্টাডি-ইটিই বলেছেন: আপনার ধারনা ওগুলা আমি সমর্থন করি? এগুলা যারা করেছে তাদের কাজের প্রতিবাদ করার সময় আমরা বসে থাকিনি। এসব বর্বরতার বিপক্ষে লিখার সুযোগ আসলে তখন লিখেছি। অপরদিকে যখন টুইন টাওয়ার মুসলিম জংগীরা ধ্বংস করেছিল, তখন মডারেট নামক সুবিধাবাদী মুসলিম বাদে সত্যিকার মুসলিমরা আনন্দ উল্লাস করেছিল। ধর্মের ময়দানে নিরপেক্ষ বলে কোন কথা নেই। আপনি যদি বিশ্বাস করেন আল্লা আছে, তবে আল্লা আপনাকে যা করতে বলেছে তাই সঠিক। এখানে আপনার নিজস্ব জ্ঞান ব্যবহারের সুযোগ নেই। সো যারা ধর্ম ব্যবহার করে এসব অপকর্ম করে, তাদের পক্ষে দলিল আছে, তারা এসব করছে আর তার জন্যে দায়ী ইসলাম। যারা বসনিয়ায় অন্যায় যজ্ঞ করেছে, তাদের কর্মের বৈধতা দিতে কোন গড বসে নেই, আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের বিচার হচ্ছে, কিন্তু সুসাইড বোম্বারদেরকে কে হুরুপরী দেবে? যাহোক, নিচের ম্যাগাজিন ডাউনলোড করে নেন।


Click This Link

এসব জিনিস ইসলামী গ্রুপগুলা এখন ছড়াচ্ছে, এবং অযথাই। শুধু শুধু তারা মানবতার ক্ষতি করে চলেছে যার উৎসাহ দাতা কুরান নিজে। চোখের সামনে ভুক্তভোগীদের দেখে বিশ্বাস না করলে করার কিছুই নেই।

বললেন ধর্ম আপনাকে ঘৃনা শেখায়নি, মিথ্যা কথা, আপনি ধর্ম অনুসরন করেন না। আপনি যা ভাল তা আপনার সমাজের কারণে, ধর্মের কারণে যতটা খারাপ তা শুরুতেই আপনার কমেন্টে দেখিয়েছেন। আপনি ঘৃণা আর ক্ষোভ ভরা মন নিয়ে লিখেছেন ঘটনা আমার বানানো, অথচ আপনি আমার জীবনের সাথে এক সেকেন্ডো পরিচিতি নন। তারপর আপনি কমেন্ট থেকে আমার স্বরুপ বের করতে চেষ্টা করলেন। এসব প্রচেষ্টা আপনার মদ্ধ্যে ধর্মের প্রতি অন্ধভক্তির কারণেই সমবেত হয়েছে।

৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:০০

প্রভাষক বলেছেন: ভাই... আমি উত্তর-টা দিয়েছি মূল পোস্ট-এ-ই... আবার-ও বলছি... আপনি-ও বলেছেন... এক-ই কথা...
"দেশের জন্য যুদ্ধ কি ধর্ম দ্বারা মাপা যায়"???...

বাই ডি-ফল্ট...
স্বাধীনতা-বিরোধী সবাই-ই ইসলাম-এর সেবক ছিলো... বিপরীত-এ... সকল ধর্ম-মত-এর মানুষ-এ মুক্তি যুদ্ধ করেছে... কাজেই... কোন-টা বেশি হাই-লাইট করা যায়???...

ধন্যবাদ... +...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
অ.ট. লা ইসলামা বিন জামাত...

৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:৩৬

সজীব আকিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।

১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০৮

প্রবাসী১২ বলেছেন: আপনাদেরকে দেখে করুনা হয়। কষ্ট লাগে। কী এক করুন অন্ধত্বে আপনারা আক্রান্ত হয়েছেন।
ইসলাম সম্পর্কে আপনি যা বলছেন, তার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। ইসলাম শুধুমাত্র অপরাধীকেই শাস্তি দিয়েছে।

আমি বলেছি ইরাক, আফগানিস্তান, বসনিয়া, চেচনিয়া আর ফিলিস্তিনের কথা। আপনি বলেছেন টুইন টাওয়ারের কথা। কিসের সাথে কি মেলালেন।

আপনার সামনে কেউ যদি আপনার মা-বাবা, ভাই-বোনকে খুন করে আর যদি বিচারের বদলে আপনি শুধু তিরস্কার পেতে থাকেন তাহলে আপনি কি করবেন?

ধর্ম নিয়ে আপনারা যে বক্তব্য দিচ্ছেন তা প্রমান করে ধর্ম সম্পর্কে আপনারা অন্যায় অন্ধ আক্রোশে ভোগছেন। আপনি আর মিঃ ষ্টিফেন একই সমান। মুসলিমদের শত বছরের শত রকমের নির্যাতন আপনাদের চোখে পড়েনা, ক্ষোভে দুঃখে সে যখন ট্যাংকের গায়ে পাথর ছুড়ে মারে তখন সে হয় সন্ত্রাসী। চালিয়ে যান। আপনারা তুলনা আপনারাই।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১৯

স্টাডি-ইটিই বলেছেন: করুনা করার অবশ্যই কারণ আছে, আপনার এই জঘন্য ধর্ম হাজার মানুষের জীবন নষ্ট করে চলেছে, যার শীকার আমিও। আর ইসলামের অত্যাচারের ইতিহাস দেয়া শুরু করলে পালানোর জায়গা পাবেন না। ইসলামের নেতার মৃত্যুর পর থেকেই যাকাত অস্বীকার কারীদের উপর আবু বকরের দমন নীতি, আর পারস্য ওমরের নির্লজ্জ আগ্রাসনের ইতিহাস আজ ইন্টার্নেটের কল্যানে সকলের কাছে প্রকাশিত। তারপরে ওসমান এবং পরে আলীর ভাতৃঘাতী যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু এটাই প্রমান করে যে ইসলাম নিজের অনুসারীদের জন্যেও বিপদজনক। এরপর মুয়াবিয়ার কলঙ্কজনক অধ্যায় প্রমান করে যে ইসলাম কোনকালেই কারো জন্যে শান্তির ধর্ম ছিল না।

আপনি ইরাক আফগানিস্তানের কথা বলছেন, আফগানিস্তানে তালেবানরা ১০ বছরের অধিক সময় শাসন করার সুযোগ পেয়েছিল। আমি বাজী ধরে বলব যেই সমাজ তারা উপহার দিয়েছিল সেই সমাজে আপনি বসবাসের কথা স্বপ্নেও কল্পনা করেন না। এই যে খামাখা ইসলামের জন্যে দরদ কপচান আর না জানি কোন উন্নত দেশে বসে নিজের জীবনের আনন্দ উপভোগ করছেন না? সেই সব সুসাইড বোম্বার যখন আপনার কাধে পড়বে, তারা যখন আপনার মেয়েকে মোবাইল তাবুতে ভরে তার জ্ঞানের অপমান করবে, তখন বুঝবেন ইসলাম কি জিনিষ।

সাদ্দামের জন্যে নাকী কান্না কাদলেন, সাদ্দাম কি ইসলামের অনুসারী ছিল? সেতো জাতীয়তা বাদী নাস্তিক্য ধারার মুসলিম ছিল। গাদ্দাফির মতই আরেক শয়তান। এদের জন্যে আপনি ইসলামকে বিক্রি করে এটাই প্রমাণ করলেন যে ধর্মের জন্যে অনেক নীচে নামতে আপনার বাধে না। আজকে ইরাকের উদাহরণ দিলেন, সুসাইড যে হামলাগুলো হচ্ছে, যেখানে নিরীহ ইরাকী মারা যাচ্ছে, এটা কারা করছে? আপনাকে একটা ম্যগাজিন দিলাম, পড়লেন না, সেখানে পাবেন কিভাবে মায়ের রান্নাঘরকে মিনি এক্সপ্লোসিভ কারখানা বানানো যায় এর শিক্ষা।

অযথাই আপনাকে সময় দিচ্ছি, চোখের সামনে সমস্যার উৎস দেখে চোখে ঠুলি পড়ে থাকলে আসলেই কিছু করার নেই। ধর্ম মাত্রই সকল সমস্যার উৎস। আপনার ধর্ম আপনার কাছে শ্রেষ্ট, ঠিক তেমনিভাবে আরেকজনের ধর্ম তার কাছে, এভাবে শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদারেরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে সমভাবে সকলের ধর্ম শ্রেষ্ট বলবে, এমন স্বপ্ন দেখাও ভুল।

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=7537 এই লিখাটি আমার, যখন অনুভব করেছি যে বিশ্বে একটা অন্যায় ঘটেছে, তখন সামর্থ্যের মদ্ধ্যে থাকা এই লিখনী দিয়েই প্রতিবাদ জানিয়েছি। অন্যায় এর সমর্থনে আরেক অন্যায় কোন সমাধানের পথ নয়। চাই সচেতন, মানবিক এবং সুন্দর মনের মানুষদের প্রচেষ্টা, আরেকজনকে কাফের বলে সেটি আপনি কখনই অর্জন করতে পারবেন না।

১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৩

প্রবাসী১২ বলেছেন: ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ-বিদ্ধ মন নিয়ে আপনি ইসলামের ইতিহাস পড়েছেন, তাও আবার তাদের লেখা, যারা ইসলামের উপর কলংক লেপনের জন্য নিজেদের ঘাম ঝরিয়েছেন।
ইসলাম কখনই ওফেন্সিভ ছিলনা। ইসলাম সবসময় ডিফেন্সিভ। আর আক্রান্ত হলে নিজেকে রক্ষার অধিকার প্রত্যেকের আছে।
আপনি অনেক লিখেছেন। এতটা লেখার অভ্যাস আমার নেই। আপনাকে সংক্ষেপে বলছি; আপনি যাদের নিয়ে লিখেছেন তাদের বিষয়ে সঠিক ইতিহাস জানার চেষ্টা করুন। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হবে।
আপনি লিখেন ভাল। কিন্তু আশ্চর্য হই যখন দেখি আপনিও আপনার সুবিচার করছেননা। আপনি ইসলামকেই মেনে নিতে পারেননি। যেহেতু আপনার অধ্যায়নের অভ্যাস আছে, আপনি কোরআন অধ্যায়ন করুন, আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর আপনি পেয়ে যাবেন। তবে অবশ্যই এর আগে আপনার মনকে নিরোপেক্ষ করে নেবেন।
আমি ইরাকের কথা বলেছি। সাদ্দামের নয়। আফগানিস্তানের কথা বলেছি। তালেবানদের নয়। চেচনিয়া, বসনিয়া, ফিলিস্তিন এড়িয়ে গেলেন কেন। এপ্রিল ফুল এর ইতিহাসটা জানেনতো। আবু বকর, ওমর, ওসমান আলী (রাঃ) এর জীবনী পড়ুন তার পর এদের ব্যাপারে মন্তব্য করুন।

১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩০

প্রবাসী১২ বলেছেন: আপনি সুন্দর, মন, মানুষ এর উল্লেখ করেছেন। কখনো চেষ্টা করেছেন জানতে যে, সুন্দর, মন, মানুষ কোথা হতে এল? এমনি এমনি হয়ে গেল? নাকি এগুলোর কোন স্রষ্টা আছেন। একান্ত আদর দিয়ে সৃজন করেছেন এসব। দিয়েছেন অনেক দায়িত্বও।

"এমনি এমনি কিছু হয়ে যায়" এ অর্বাচিন দৃষ্টিভঙ্গি আপনাকে পরিহার করতে হবে।

১৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৭

পারভেজ আলম বলেছেন: স্টাডি, তোমার এই লেখায় তো মনে হচ্ছে শিবিরের গোআয় আগুনটা দাউ দাউ করেই লেগেছে।

এনিওয়ে, লেখাটা ভালো হইছে। তবে মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যের আলোচনা যেই বিষয়গুলা নিয়া হওয়া উচিত ছিল সেই বিষয়গুলা নিয়া হয় নাই। ইদানিং এমনি বেশি হচ্ছে অবশ্য।

১৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩১

এস আর সজীব বলেছেন: দেশী পোলা বলেছেন: পূর্ব পাকিস্তান কম্যুনিস্ট পার্টির আবদুল হক তো স্বাধীনতার বিপক্ষে কাজ করেছেন, উনি কি আস্তিক ছিলেন না কি?

আব্দুল হক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করেননি। তিনি নিজেও স্বাধীনতার জন্যে লড়াই করে গেছেন সারাজীবন। তিনি জানতেন ৭১'র মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের মুক্তি আসবে না, যা আজকে প্রমাণিত।

১৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩৬

এস আর সজীব বলেছেন: আজম আলী বলেছেন:স্বাধীনতাবিরোধী আব্দুল হককে আমি খুব ভালভাবে চিনি। ৭৪ সাল পর্যন্ত তার দলের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিষ্ট পার্টি। অনেকেই মনে করেন আব্দুল হক ছিলেন নাস্তিক। তিনি ব্যাক্তিগত জীবনে কতটা আস্তিক বা নাস্তি ছিলেন জানি না। তবে নাস্তিকদেরকে সাম্প্রদায়িক হতে দেখা যায় না। কিন্তু কমরেড আব্দুল হক ছিলেন চরম সাম্প্রদায়িক লোক। তিনি জিয়া ও এরশাদের আমলে সরকারী ছত্রছায়ায় থেকে অমুসলিম সংখ্যালঘুদের উপর ব্যাপক অত্যাচার চালিয়েছেন। এরশাদের আমলে তিনি যশোর ক্যান্টনমেন্টে আর্মিদের আশ্রয়ে থাকতেন যাতে তার প্রতিপক্ষ কোন গ্রুপ তাকে হত্যা না করতে পারে। সুতরাং তিনি নাস্তিক ছিলেন কি না তা ভাববার বিষয়।

এই মন্তব্য দিয়েই আপনি প্রমাণ করেছেন আব্দুল হক সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন(যে ব্যাক্তি আব্দুল হক সম্পর্কে এতটুকু তথ্যের সবটুকুই ভুল লিখলেন!)। আশা করি ভবিষ্যতে কোন বিষয় না জেনে মন্তব্য করবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.