নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন শহীদ বুদ্ধিজীবীর মেয়ের আত্মবিলাপ ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১

একজন শহীদ বুদ্ধিজীবীর মেয়ের আত্তকথন

****************************************

মোছা ঃ শামছুন্নাহার মাহমুদ / স্বাস্থ্য সহায়িকা ও প্রাবন্ধিক ।

পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ

এক



একজন সমাজ সেবিকার আত্মকথা

আব্বাজান ছিলেন মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন বনেদি সন্তান , তার ছিল ২ বোন , ব্রিটিশ আমলে তিনি কলকাতায়

লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন । মেধায় ও জ্ঞানে ছিল তিনি আর সবার চাইতে অন্যতম ।

কলকাতা প্রেসিডেন্সিয়াল কলেজে ভর্তি হন , ভারত বিভক্ত হয়ে যায় , এদিকে তার পিতা মানে আমার দাদার

মৃত্যু সংবাদে তিনি বিচলিত হন , ফিরে আসে গ্রামে ।

দাদার রেখে যাওয়া অটেল ধন সম্পদের অধিকারি হন বাবা । সে সময় সেলবরস পরগনার মোড়ল ছিল প্রতাবশালি ।

জমিদারদের সাথে চলত তাদের বাক বিতণ্ডা , সেই মোড়ল জালু মিয়া ছিল আব্বার মামা ।

মামার আদর্শে ও সাহসে অনেক বড় স্বপ্ন দেখতেন তিনি । কিশোর বয়স থেকে ছিলেন উদার প্রকৃতির , এলাকার

গরিব দুখিদের সাহায্য করতেন , অন্যায় যুলুম এর প্রতিবাদ করতেন , বিনোদন মুলক , গান , নাটক , বাউল আসর ,

মেলা , প্রভৃতির মাধ্যমে মানুষ কে প্রভাবিত ও মাতিয়ে রাখা ছিল তার হবি ।

সারা ধরম পাশা , হাওর বেষ্টিত প্রত্যান্ত অঞ্চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলনা , তার বন্ধু খালেক সাহেব একই সাথে কলকাতায়

পড়তেন , পরবর্তীতে পাকিস্তান অন্তর্বর্তী সরকারের জেনারেল সেক্রেটারি হলে , তার মাধ্যমে বাদশাগঞ্জ পাবলিক

হাই স্কুল স্থাপন করেন , জায়গা বরাদ্ধ দেন জমিদার ঋষি মিয়া । সারা দেশ থেকে ছাত্র ছাত্রি গন এখানে এসে প্রাথমিক

প্রবেশিকা পরিক্ষার সুযোগ পায় । তিনি ছাত্র ছাত্রিদের সুবিধার্থে এলাকায় সব অভিভাবক কে নিয়ে ছাত্র /

ছাত্রিদের জায়গির এর ব্যবস্থা করেন । এবং নিজ গ্রাম সৈয়দ পুরে , নিজ জমিতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিসটা

করেন ।

সেই সময় মেয়েদের লেখাপড়া ছিল সমাজে নিন্দনীয় , আর স্বাস্থ্য সম্মত জ্ঞান ছিল অপরিপক্ক যার ধরুন পানির অভাবে

আর অজ্ঞতায় রুগ শোক মহামারি আকার নিত , কলেরা , বসন্ত ও কালাজ্বরে অনেক মানুষের প্রান হানি গটত । তিনি এলাকায়

পুকুর খনন এবং টিউবওয়েলের ব্যবস্থা নেন । এর আগে নদী / বিল / জলাশয় থেকে মানুষ পানি সংগ্রহ করত ।

আর অনেক গরিব , দুঃখী , নিঃস্বদের আশ্রয় দিয়ে তিনি নিজে জমি ও রুজি রুটির ব্যাবস্থা নিতেন । যার জন্য গরিব শ্রেণীর মানুষের

ও সব সমাজের মানুষের ছিল তিনি শ্রদ্ধার পাত্র ।

দুই

সে সময় মন্ত্রী খালেক সাব ছিলেন আব্বার গনিসট বন্ধু , ধরম পাশার ধশধরি গ্রামের আবদুল রাজ্জাক চৌধুরী , মোহনগঞ্জ সেখবাড়ির

আবুল হুসেন আহমেদ , প্রয়াত লেখক হুমায়ুন আহমদের নানা মাগানের নাইব সাহেব সহ আরও অনেকেই ছিল সহপাটি এবং কলকাতার পড়ুয়া বন্ধু ।

নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আব্বা জান দেশের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ রাখেন । আমরা সাত ভাই বোন , ৪ ভাই তিন বোন ।

১৯৭০ সাল ।

হটাৎ একদিন আব্বা এসে বলল , দেশের অবস্থা ভাল নয় , আব্বা মাওলানা ভাসানির জাতীয় মুসলিম লিগ এর গভর্নিং বোর্ডের সদস্য ছিলেন । খবর আসে ৭ ই মার্চ , আওমি মুসলিম লিগ ভেঙ্গে যায় ।

আব্বাজান ঘর ছাড়েন , আমরাও বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নেই ফুফুর বাড়ী ।

বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার এবং পাকিস্তানিদের আক্রমণে সারা দেশ আতংকিত । বুলেটের শব্দে বার বার কেঁপে উটে প্রান । পাকিস্তানি ধুসর রা একসময় আমাদের বাড়ি জালিয়ে দেয় ।

বর্তমান আওমিলিগ , বিএনপি যেমন সে সময় আওমি / মুসলিম লিগ এর মধ্য বাধে গৃহযুদ্ধ । খবর আসে মুসলিম লিগ এর নেতাদের

এ দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার ।

আব্বাজান প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলেন , নারির সম্ভম রক্ষার জন্য , শান্তির লক্ষ্য প্রত্যক গ্রামের লোকদের নির্দেশ দেন ,নারি ও শিশুদের নিরাপদ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য , অনেকেই তৎপর থাকে এবং অনেকেই চলে যায় হিমালয় সিমান্ত অতিক্রম করে

ভারতে যুদ্ধের ট্রেনিং নিতে ।

ধরমপাশা সুনামগঞ্জের পাহাড় বেষ্টিত প্রত্যান্ত অঞ্চল , মুক্তি বাহিনীর শেষ লড়াই হয় সেথা , প্রতিরুধ এবং ভারতীয় জঙ্গি বিমানের

মুহুরমুহ হামলায় পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে থাকে এবং পালিয়ে বাচার পথ খুজে ।

আবার সংবাদ আসে বুদ্ধিজীবী দের হত্তা , অজানা আশংকায় শিহরিত হলাম । মোহন গঞ্জ আলকদিয়া বধ্যভূমিতে আব্বাকে ধরে নিয়ে যায় আলবদর রা , হাত পা বেধে নদীতে ফেলে গুলি করে , আমরাও জ্ঞান হারাই ।

১০ ই ডিসেম্ভর লাছ আনা হয় , সারা অঞ্চলের মানুষের উপচে পড়া ভিড় , মুক্তিযুদ্ধা সহ গন মানুষ রাসটীয় মর্যাদায় তার লাছ কবরস্ত করে ।

দেশ স্বাধীন হয় ।

৯ মাসের ছুট বোন , আড়াই বছরের ছুট ভাই সহ সাত ভাই বোনের দায় চাপে সহজ সরল মায়ের উপর । মা ছিল গৃহিণী ।

বাবাকে হারিয়ে আকাশ পাতাল আমাদের সম্মুখে ।

এলাকার মানুষ , দেশের মানুষ বোবা তাদের সুখে দুখে পাশে ছিল যেজন তাকে হারিয়ে । ছিল গরিব দুখিদের আশ্রয় দাতা , বিশ্রংখলা বিভেদ হলে নিবারন করতেন , মামলা মকদ্দমা হলে নিজের জমি বিক্রি করে হলেও মজলুমের সাহায্য এগিয়ে আসত

সদা । চুরি , ডাকাতি রুদ এবং মানুষের সকল সামাজিক বাধনে ছিলেন তিনি মধ্যমনি । আসলে কি দুষ ছিল তার ।

তিন চলবে











মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম মোঃ গিয়াসউদ্দিন আহম্মদ
আমার নানাজান
তার শহীদ আত্মায় শ্রদ্ধা ও লালছালাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.