বাংলাদেশ পরিস্থিতি এবং জাগ্রত দ্বারে ১লা বৈশাখ ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

আলোচনার টেবিলে বাংলাদেশ পরিস্থিতি

*************************

দেশে নবম সংসদের সারে ৪ বছর ।

খুন , ১৯ হাজার । মামলা ৫লক্ষাধিক । দখল , টেণ্ডার বাজি ,দুর্নীতি

হয়রানি , জালাও , পুরাও গ্রেফতার সহ সারা বাংলাদেশ আজ অরাজকতা ও সহিংস ।



বাংলাদেশ এর প্রধান মানবাধিকার সংস্থা সুচনা . সুমতে চল নাগরিক এর তথ্য ।

দেশে নারি ও শিশু ক্ষমতা ও লোভীদের ভোগের পন্য , এই এক

বছরে ১০০০ এর আধিক নারিকে ধর্ষণ এবং শিশু নির্যাতন করে

অধিকাংশ কে গুম করা হয়েছে ।

কারন নিড়িপিত নির্যাতিত মহল থানায় মামলা করতে গেলে

অনেক পুলিশ এ ধরনের মামলা ক্ষমতা লোভীদের টেলিফোনে

গ্রহণীয় বা নথিভুক্তি করেনাই এবং বিচার না পেয়ে অনেক পরিবারই আজ গৃহ ত্যাগি ।

আর বড় দুই দলের দখল বাজ মনোভাব সারা বাংলাদেশের

সবস্থানে । সামান্য দেন দরবার বা ব্যক্তিগত বিষয় ও পরে রাজনৈতিক ভাবে সহিংসতার জন্ম দেয় যার পরিনতি ঘটে

ভয়াবহ ।

বাংলাদেশের প্রায় ৫০০০ ইউনিয়ন পৌরসভার প্রত্যক টা

দাপ্তরিক কাজে এমন সহিংসতায় বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীদের

উপর শত শত মামলা ।

সাধারন মানুষ এখানে কি ধরনের উপকার বা সেবা আশা করে ।



উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে চিত্র আরও খারাপ , স্কুল ,কলেজ , সেবা , প্রতিষ্ঠান সহ সব স্থানেই দখল বাজদের বিচরন , সামান্য

বিরূপ পরিস্থিতিতেই অহরহ ঘটতে দেখা যায় রক্তপাত ।



অফিস আদালতে নিয়মশ্রিংখলার নাজুক পরিস্থিতি ।

দুচারজন কর্মকর্তা কে দেখা যায় তাও লোভীদের সাগ্রেদ হিসাবে । গোদাম , ব্যাংক সহ গুরুত্ব পূর্ণ পাবলিক সেবায় চলছে অনিয়ম , লুটে নিচ্ছে লুটেরা শকুনেরা সব ।

এসবের মধ্য তো দেশ কিভাবে , কাদের দ্বারা পরিচালিত হয়

ভাবতে অবাক লাগে ।

সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীকে নিয়মিত টেলিভিশনের মাধ্যমে

সাক্ষাৎ কার দিতে দেখা যায় এই করা হবে সেই করা হবে ইত্যাদি

আবার বাস্তবে রাস্তাঘাট , সেতু , খলকারখানা সহ বরাদ্দ কৃত

সংসদীয় বাজেট অনুযায়ী সর্ব স্তরের জরিফে ১ আনা কাজও

করা হয় নাই । তাহলে বাজেটের বিশাল অর্থ কোথায় যায় , কার

স্বার্থে ব্যবহৃত হয় ।

সামান্য নমুনা , এম পি বা মন্ত্রী যাবে কোন এক এলাকায়

দলিয় কর্মীরা তাকে গনসম্বর্ধনা দেবে , এলাকায় ৭০ / ৮০

টি গেইট বাধা হল , জাক ঝমক শহর সাজানো হল । জলসাগরে

দামি শিল্পি সহ গুণীজনদের বিশাল সমাবেশ ঘটানো হল ।



খানা দানা সহ আরও অনেক কিছু হিসাবে খরছ বাবদ বাজেট

ধার্য হল ৬০ লাখ টাকা ।

মন্ত্রী বলে কথা টাকা যোগার হয় কার নিকট থেকে ।

অথচ যেখানে অনুস্টান সেই প্রতিষ্ঠানটি ভাঙ্গা , ছাত্র ছাত্রিদের

অনেক অসুবিধা , স্বারক লিপি দেওয়া হল , মন্ত্রী খতিয়ে দেখলেন শিক্ষা প্রতিস্টাণ টি বিরুধি দলের স্থাপনা , তিনি একটা হাল্কা আশ্বাস দিয়ে চলে এলেন । এতে দেশ ও জনগনের কি উপকার । এমন প্রোগ্রাম অন্তত মন্ত্রির আর আমলাদের নিত্য

অহরহ ঘটে থাকে ।



মানবাধিকার সংস্থার আন্তর্জাতিক মিত্র শক্তি চিনের মানবাধিকার সংঘটন আতাহুয়া বা সেবক দল এর প্রধান

জিমি হাওয়াতা লি বলেন বাংলাদেশের মানবাধিকার বলতে

স্বাধীনতার এক অংশ ও মানুষ ভোগ করেনা ।



এখানে আমার প্রশ্ন আসলে আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের ন্যায্য অধিকার কি সমাজে বিদ্যমান আছে , যদিও কিছু

থেকে থাকে তাও ঘৃণ্য লোভী ক্ষমতাসীনদের নিকট কুক্ষিগত ।



আমরা ঘৃণ্য লোভীদের , মানবতা লঙ্গন কারিদের আর ক্ষমতায়

দেখতে চাইনা ।

১লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ , বিশ্ব বিবেকের ঘুম ভাঙ্গায়ে জাগবে

উৎসব মুখরিত কারুকাজে ,। নন্দিত বাহারে , দিপ্ত আলোকসজ্জায় , নানা সুর লহরি তান , লয় বাদ্য গিতি লোকজ

নাট্য শোভিত মানুষের প্রানের জলসায় ।

বট মুলের আত্তঘাতি শিল্পীদের উপর নারকিয় হামলা কি আজও

বিকৃত মস্তিস্কের ঘাতক দের আতংকে নিমজ্জিত নয় ?



আর কত মানবতা লঙ্গিত হয়ে, এ জাতি ধুকে ধুকে তার অস্তিত্ত

টিকিয়ে রাখবে ।

আমরা আর সহিংসতা চাইনা , মানবাধিকার লঙ্গন চাইনা ।

আমরা এই গুনে ধরা সমাজ থেকে বেরিয়ে আসতে চাই

শান্তি সুখের সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে

যত ঝরা জীর্ণ , মরীচিকা সব দূর হয়ে যাক

প্রানেরে জাগাতে আনন্দে ভাসি শুভ্রতায় সানন্দে উদয় হোক

বাঙালির কুটিরে পুস্প সৌরভে ১লা বৈশাখ ।

২ টি +০/-০