![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি
আজ কবিগুরু রবিঠাকুরের জন্মবার্ষিকী আনন্দ জলসা
***********************************************
হে কবি
বাঙালীর জাতীয় চেতনায় মিশে
অজশ্র ভাষার ফুল ফুটিয়ে মাতৃভাষায়
বিশ্ব বুকে যেজন আজকের কবি গুরু
তার জন্ম দিনে জানাই
কবির আত্মায় আমাদের জ্ঞান মহতি
সার্থক শ্রদ্ধাভরা ভালবাসার বর্ণীল
শুভাকাংকা ।
তার জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা
ও আড্ডায় অংশ নেই প্রিয় বন্ধুরা
১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সাভার ট্র্যাজেডি ঘটনার অন্তরালে ;; কথিত উপন্যাস চরিত্র ও কথা রূপক কাহিনী বাস্তব ''
**********
আচ্ছা সানু এই যে ভয়াবহ মৃত্যুর অন্ধকার জয় করে ফিরে আসা , তোমার নিকট জগত এখন
কেমন । আমি আসলে নিজেকেই নিজে চিনতে পারতেছিনা মুহূর্তে জগতে আছি না অন্য কোথাও ।
১৭ দিন আটকে ছিলে সাভার রানা প্লাজায় মৃত্যু কুঞ্জে ।
আসলে কি ঘটেছিল ।
আমি , শান্তা , নিশি , গ্রামের সহচর অনিক , মুকিত সহ আমরা ৮ / ১০ জন একসাথে কাজ
পাই ঐখানে , ৭ম শ্রেণী পেরিয়ে সবেমাত্র ৮ম এ পদার্পণ সংসারে একমাত্র উপার্জন শীল বাবা
হটাৎ হৃদ রুগে আক্রান্ত হয়ে ইহধাম ত্যাগ করে ।
৩ ভাই ২ বোন আর মা , ভাই বোনেরা সবাই অবুঝ । মা প্রানান্ত পরিশ্রম করে হাফিয়ে উটে ।
বড় বোন চলে যায় এক ছেলের সাথে গারমেন্সে যৎ সামান্য কিছু টাকা দেয় , তাতে কি সংসার
চলে আমার লেখাপড়াও বন্ধ হয়ে যায় ।
একদিন মুকিত এসে খবর দেয় আনু চল তোর একটা চাকরি যোগার করেছি ঢাকায় । সেই
সাথে আমাদের গ্রাম থেকে আরও অনেকেই যাবে । আমি প্রথমে দমে গিয়েছিলাম পরে ভাবলাম
কি হবে এখানে পড়ে থেকে না হবে লেখাপড়া না হবে খাওয়া দাওয়া । তার চাইতে এই ভাল
মুকিত এর কথায় সায় দিয়ে মা আর ছোটতিন ভাইকে একমাত্র নানির নিকট রেখে চলে আসি
ঢাকায় ।
গারমেন্সে পার্ট টাইম কাজ করি ১মে কষ্ট হত ধিরে ধিরে মানিয়ে নেই । মাঝে মাঝে টাকা পাঁঠাতাম বাড়িতে , তখন খুব আনন্দ লাগত ।
আমরা ৬/৭ জন এক মেসে থাকতাম । সারাদিন কাজ শেষে মাঝে মধ্য একত্রে গল্প করতাম
এ পর্যন্ত বলেই আনু চউখ মুদল ,ডাক্তার আমাকে বললেন সাহেব পরে আসেন একসময় এখন
পেসেন্ট এর বিশ্রাম প্রয়োজন ।
২
আচ্ছা তারপর
তারপর একে একে ৪ বছর কাটালুম এখানে , অনেক অভিজ্ঞতা , অনেক চেনাজানা । মুকিত কাজ করত পাশেই একটা ফার্মে , আমি আর মুকিত মিলে দৈনিক অনেক পরিকল্পনা করতাম ।
তো , নিত্যদিনের কাজ কর্ম সেরে আমরা বসে আছি এ সময় অন্তত আমাদের সাথিরা এখানে
মিলিত হই । শান্তা ও নিশি তখনও কাজ করছে , অনিক ঝরের মত ছুটে আসে আপু এই নাও
চিটি মনে অয় বাড়ি থাইকা ।
পত্র পড়ে মনটা খুশিতে ভরে উটল । মুতিন ও স্বপন সমাপনি পরিক্ষায় ভাল ফলাফল করেছে
সুত্রাপুর থানার মধ্য মেধাতালিকায় ১ম ও ২য় । আনন্দে চোখে জল নেমে এল । মনে মনে টিক
করলাম এদের জন্য ভাল উপহার কি কি নেওয়া যায় ।
আর সবচাইতে আদরের ছোট ভাই মন্তু পড়ে ক্লাশ ওয়ানে ।
অনেকদিন যাবৎ বাড়ী যাওয়া হয়না মিরা খালা আমাকে দেখেই ব্যংচি কাটে নবাবের ঝি বলি
কি আমি সামনের হপ্তায় বাড়ি যামু তয় এইবার বেতন পাইয়া কি করবায় ।
হু খালা আমিও এই তারিখে বাড়ি যামু ।
এবার একটা বিকট শব্দ হয় , কানে আসে লক্ষ কোটি কামানের আওয়াজ । পাশেই বাজ পড়ে
মুখে কথা আসেনা , মনে হচ্ছে সারা ফ্ল্যাটটাই যেন চরকির মত দুলছে ।
মাথায় হটাৎ একটা আঘাত , কানে আসে অনেক মানুষের ভোতা চিৎকার ।
পুনজন্ম হওয়ার আগ পর্যন্ত এর মধ্য কি হয়েছিল আর মনে নেই ।
নার্স , সানু আপা এই নিন ঔষধ , ট্যাবলেট দুটুঁ গিলে নিন ।
৩
তারপর
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৪৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সাভার ট্র্যাজেডি ১৭ দিন পর মৃত্যু পুরী থেকে জীবন্ত সানু নামের মেয়েটিকে উদ্ধার , সি এম এইছ সামরিক হাসপাতালে চলছে তার
চিকিৎসা ।
প্রকাশ , রানা প্লাজায় অতিরিক্ত একটি নামাজের রুম ছিল , এবং মেয়েটি এখানেই কাজ করত , দুর্ঘটনা গটার পর চেঞ্চ লেফস হয়ে পড়ে থাকে , যখন জ্ঞান ফিরে চোখ খুলে প্রথমে কিছুই ঠাহর করতে পারেনা , আধারের মধ্য হাত্রিয়ে তার সঙ্গী দুজন কে পায় রক্তাক্ত , ভয়ে
হিম হয়ে যায় , কোরআন শরীফের কথা মনে পড়ে তার , সুরা পড়া শুরু করে , অনেকটা মনোবল ফিরে আসে তার , একমাত্র মোবাইল টিও ভেঙ্গে যায় , বাহিরের দুনিয়ার সাথে তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন, সাথি
একমাত্র অন্ধকার আর বিশ্রি গন্ধ কুট কাট আওয়াজ ছাড়া আর ২য়
কিছুই নাই ।
অন্ধকার হাতড়ে নিজেকে বাচার তাগিদে ধিরে ধিরে উটে বসে সে , এবং এক পা দুপা করে ভাঙ্গা বিল্ডিঙের িবপদজনক ফাক ফোকর
গলে এগিয়ে যায় নামায পড়ার ঘরে , অনেকটা দম নেয়ার জায়গা ।
এবার খোদার দরবারে শক্রিয়া জানায় ।
সামান্য চিঞ্চিনে ব্যথা কনুইয়ে , ব্লাউজ কামিজ ভিজে সপ সফ তাও রক্তে, নিজের আর অন্যার রক্ত এখানে যেন বর্ণ টা এক সুত্রে গাথা ।
পেটের প্রচণ্ড ক্ষিদে টা মাথা চাড়া দেয় , মনে পড়ে নামায ঘরের পাশেই একটা কেবিন ছিল । হয়ত খাবার কিছু মিলতেও পারে ।
আরও লাছ রক্তের বন্যা আর দুষিত বাতাসের তিব্রতা পেরিয়ে গন্তব্য খুজে বাচার আশায় সে , অজান্তেই পেয়ে যায় বিস্কুট কেক সহ নানা মুখরোচক খাদ্য গোগ্রাসে গিলে নেয় গলায় আটকে যায় ,
পানি পানি ছাড়া এক্ষুনি দম আটকে যাবে , উপায় ,মনে পড়ে কেবিন এর দিকে আবারও হাত বাড়ায় একটা বদনা আবিস্কার করে তার মধ্য মিলে যৎসামান্য পানি একটু খায় বাকিটা রেখে দেয়
ভবিষ্যৎ এর জন্য ।
সে ১৭ দিন এভাবেই প্রতিকুলতার সাথে লড়াই করে টিকেছিল অন্ধকার এক মৃত্যুর গহ্বরে ।
যখন শেষ ক্ষিন প্রানের আশাহীন ব্যর্থ প্রয়াসের শব যাত্রায় সেও
অভিযাত্রি তক্ষনি খোঁদার দয়া থাকে আবার ফিরায়ে দিল পৃথিবীর
আলো বাতাসে বিচরণ করার মুক্ত বাচার অধিকার ।
সাভার ট্র্যাজেডি , ১১ ই মে রাত