নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী গবেষণা গ্রন্থ , কোরআন হাদিস ও দলিল ভিত্তিক ।।

২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১০

ইসলামের আলো ঈমানের নূর

এবং হায়াতুন্নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচ্ছাল্লাম এর মুজেজা ও

রহমত ।।

ইসলামী গবেষণা গ্রন্থ

****************





.।*********************************************

ডঃ আল্লামা মাওলানা মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহী

কবি ও সুবক্তা

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ

কোরআন , হাদিস এবং তাফছির সহ ব্যখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে

সহজ বাংলা ভাষায় পাঠকের উপযোগী করে প্রনিত ।

লেখক ।

*********

পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন ** ।

********************************************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ

সুচিপত্র

ঁঁঁঁঁঁঁঁ

ধারাবাহিক



লেখক KOTRIK SORBSOTTO SNGROKKHIT

মুজেজা নবীজীর প্রতি আল্লাহর মহত্ত্ব ।

*******************************



মহানবী হযরত মোহাম্মদ সা সাহাবিদের নিয়ে মদিনায় পরিখা

খননে ব্যস্ত , শত শত সাহাবি প্রানান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে মাটি

মাথায় বহন করে শক্ত বাধ নির্মাণ এবং মদিনাকে শত্রুদের হাত

থেকে রক্ষা করতে খাল খননে ব্যস্ত ।



নবীজীর প্রিয় সাহাবী লক্ষ্য করলেন নবীজীর পেটে পাথর বাধা ,

পেট মোবারক ইশদ কুঞ্জিত ।



সাহাবী নবীজীর শুকনো মুখ মোবারকলক্ষ্য করে বাড়ি চলে আসে



একমাত্র সম্ভল মেষ ছাগ জবাই করে স্ত্রীকে কিছু যব পিষে খামি

বানাতে তাগদা দেয় ।

নবীজীর কানে কানে দাওয়াত দেয় সাহাবী , নবীজী তাৎক্ষনিক

সব সাহাবাকে দাওয়াত দিতে তাগদা দেন ।



সাহাবী দাওয়াত দেন সবাইকে

যথা সময়ে দলবল লয়ে নবীজী ঐ সাহাবীর বাড়িতে উপস্থিত ।

আবুআইয়ুব আনসার রা এর স্ত্রী হতবাক , খাবার মাত্র ২/৩ জনের

আর লোক ৪ হাজারের অধিক হবে ।



নবীজী রান্না করা মাংস এবং খামির মধ্য কিছুটা থুথু মোবারক

মিশিয়ে দিয়ে পরিবেশন করতে বললেন ।



সাহাবী তাই করলেন এবং সমস্ত সাহাবিদের মধ্য বিতরন করার

পরও আরও খাবার বাড়টি রইল ।



এবার সাহাবীকে ডাকলেন দয়াল নবীজী তোমার ২ সন্তান কোথায়

ডেকে নিয়ে এস ।

সাহাবীর মৌনতা দেখে নবীজী কিছু আচ করতে পেরে ডাক দিলেন

হে নাতি ইব্রাহিম ও সাদি তোমরা এস

ঘরের কোনে চাদর দিয়ে ডাকা মৃত দুভাই জিন্দা হয়ে নবীজীর

পাশে চলে এল এবং জবাব দিল ।



ঘটনা ক্রমে দুভাই পিতার মেষ জবাই দেখে চুরি লয়ে পাশের জংগলে একেঅপরে , খেলাচ্ছলে জবাই করে বসে ।

অন্য ভাই ভয় পেয়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে সেও মারা যায় , অথচ

কেমন সাহাবা ছিল শুধু নবীজীকে রাজি খুশি রাখার জন্য

এতবড় শোক ভুলে ছেলেদের লাশ চাদর দিয়ে ডেকে রেখেছিলেন



আল্লাহু আকবার / ছুবহান আল্লাহ বলুন



নবীজী দাওয়াত খেয়ে আবার পরিখার কাজে লেগে গেলেন তার

প্রিয় সমস্ত সাহাবাদের নিয়ে ।

আর আশ্চান্নিত হলেন অনেকেই ।



পরের দিন ১০০ শত নব্য সাহাবি কালমা পাট করেন ।

লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুররাছুলুল্লাহ ।



মুজেজা নবিজিরপ্রতি আল্লাহর মহত্ত্ব ।

হাদিস সংকলন থেকে ।









** সত্য জানুন , কাফের বেঈমানদের নিকট মাথানত নয় ।

**************************************

ডঃ আল্লামা ম , মাসউদ মিয়া সৈয়দ শাহি

কবি ও দার্শনিক বক্তা , আরবি বিশ্ববিদ্যালয় , শতরশ্রি , নেত্রকোনা ।

আল্লাহ পাকের ঘোষণা আর যদি তোমরা সন্দিহান হও , আমার খাছ বান্ধার দুস্তেরবা নবীজীর উপর নাজিল অবধারিত কিতাবে

তবে তোমরা অনুরূপ একটি সুরা রচনা কর ,তোমাদের সঙ্গী যারা খোদা হইতে পৃথক । যদি তোমরা সত্য বাদি হও , অনন্তর যদি তোমরা তাহা করিতে না পার এবং তোমরা কখনও তাহা করিতে পারবেনা । তবে তোমরা আত্ত রক্ষা করিও দুযখ হইতে

যাহার খোরাক বা খাদ্য হবে অবিশ্বাসী মানুষ ও কাফের । সুরা বাকারা আয়াত ২২/২৩।২৪।

আল্লাহই অবিশ্বাসীদের কাফের ডাকিয়াছে । যদি মুসলমান হন

তওবা করুন আর যদি বিধর্মী হন তাহলে চাপা বাজি বন্ধ করে

বিভ্রান্তি থেকে দূরে থাকুন । আল্লাহ অবশ্যই বিভ্রান্তি কারিদের পছন্দ করেন না ।



সূরা নমল ২৭:৭৫ আয়াতে বলেছেনঃ

وَمَا مِنْ غَائِبَةٍ فِي السَّمَاء وَالْأَرْضِ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ

অর্থঃআকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।





সূরা নিসা ৪:১৩৬ আয়াতঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ آمِنُواْ بِاللّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِيَ أَنزَلَ مِن قَبْلُ وَمَن يَكْفُرْ بِاللّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلاَلاً بَعِيدًا

অর্থঃ হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর



আল্লাহ পাক সব কিতাবে নবীদের নবী রাছুল গনের রাছুল

এবং আওয়াল আখের যাহের বাতেন ও শাফায়াতের কাণ্ডার

হিসাবে উল্লেখ করেছেন । তার বিষয়ে সামান্য সন্দেহ করাও পাপ এবং ঈমানের ক্ষতি ।

হে মুমিনগন তোমরা সম্পূর্ণ ভাবে ইসলামে দাখিল হও সুরা বাকারা ২০৭ /





আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করিওনা , নিশ্চয় শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু ।



যখন আদম আ কে সৃষ্টি করলেন ।আল্লাহর হুকুমে সব ফেরেস্তা

আদম আ এর সম্মানে সেজদা দিল ,শয়তান বিরুধিতা করল

আল্লাহর হুকুম না মানার কারনে আল্লাহু পাক শয়তান কে

শাস্তি দিলেন এবং দুযখের আগুনে শ্রিংখলিত করে রাখলেন ।



খালিকিচ্ছামাওয়াতি অয়াল আরদিন । আচ্ছালামু আচ্ছালাতু আলা

মান খানা নাবিয়াও অয়া আদামু বা মায়ে অয়াত্তিন ,



অর্থ নবীজীর মুখ নিশ্রিত বাণী / আল্লাহর ক্ষুদ্রতে আদম যখন কাদা

মাটি পানি মিশ্রিত তখনই আমি আল্লাহর রাছুল । হাদিস



আল্লাহু বাম পাজর থেকে হাওয়া আ কে সঙ্গিনী বানালেন ।

এবং বহু দিন যাবত বেহেস্তে বাস করতে লাগলেন । আল্লাহ আদম

আ কে বেহেস্তি সব কিছু জ্ঞান শিক্ষা দিলেন যা ফেরেস্তাগন পর্যন্ত

জান তনা । আদম আ কে নিষেধ দিলেন সবস্থানে যাইও কিন্তু

নিষিদ্ধ গন্দম ফল ভক্ষন করনা ।



বস্তুত শয়তান আদম আ কে প্রলোভনে নিয়ে নিষিদ্ধ ফল খাওয়ালেন ।সাথে সাথে আল্লাহ পাক আদম আ ও হাওয়া আ কে

বেহেস্ত হতে দুনিয়ায় নামিয়ে দিলেন ।



শত শত বছর আদম আ ও হাওয়া আ আল্লাহর দরবারে ভুলের

জন্য কাদলেন । ৩৬০ বছর পর আরাফাতের ময়দানে তারা মিলিত

হলেন এবং মুনাজাত করতে লাগলেন

হে আমার সৃষ্টি কর্তা আরশ মহল্লায় তোমার নামের পাশে যার নাম

মোহাম্মাদ তার খাতিরে আমাদের ক্ষমা করুণ । আল্লাহ পাক তাদের দোয়া কবুল করলেন বললেন দুনিয়ায় বাস করতে থাক এবং আমাকে সরণ কর নিশ্চয় তোমাদের প্রভু অতি ক্ষমা শীল ।



আদম আ এর বংশ বৃদ্ধি হতে লাগল , শয়তান দুনিয়ায় আসার

আগে আবার আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইলেন । আল্লাহ ক্ষমা মঞ্জুর

করেনি শয়তান হতাশ হয়ে বলেন প্রভু আমি চির জাহান্নামি তাহলে

আমাকে ভিন্ন শক্তি দাও ।



সেকেন্ডে সব স্থানে যাতায়াত , দিলাম । সব জিব জন্তুর আকার

ধারন ,দিলাম । সব মানুষের রগে রগে বিছরন / দিলাম । কিন্তু

অহে শয়তান আমার প্রক্রিত ইমানদার গনের চুল পরিমাণ

ক্ষতি করার ক্ষমতা তোর নাই ।যারা তোর পথ অনুসরণ

করবে তারাই জাহান্নামী ।



আল্লাহু এবং তার রাছুলের বাণী আমরা মানি তাহলেই আমাদের

ইমান ইসলাম /মুক্তি আসবে । আলোচনা কোরআন ও হাদিস

ভিত্তিক যার কোন সন্দেহ নাই । আল্লাহ আমাদের হেদায়াত দিন

রাছুল আমাদের রহমত দিন । মদিনায় লক্ষ কোটি দরূদ ছালাম



ছালাতুনিয়া রাছুলুল্লাহ আলাইকুম

ছালামুনিয়া হাবিব আল্লা আলাই কুম



আসলে ইমান রুহে কোরআন মগজেদিন

হাস্তে হুব্বে রাহমাতুল্লিল আলামিন ।



অর্থ ইমানের মুল কোরআনের রুহ দিনের মগজ

তিনি যিনি সমস্ত জগতের রহমত । আল্লাহর দুস্ত নবী পাক হজরত

মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে অয়াচ্ছাল্লাম ।



নবীজীর উত্তম আদর্শ ও শিশুদের শিক্ষা ।

********************************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ





নবীজী সা বলেন সমাজ একটা আয়না , শিশুরা তা থেকে যা দেখবে

তাই শিক্ষা নেবে হে মানব তোমাদের সন্তানদের উত্তম আদর্শ শিক্ষা দাও । হাদিস বায়হকি

নবীজী শিশুদের ভালবাসতেন এবং তাদের নিয়ে খেলতেন ,কৌতুক করতেন ।



ভাল খেলা ধুলা ইসলামে নিষেধ নয় । তাই নিষেধ যা সমাজে তা ঘৃণিত যেমন জুয়া ,মদ , ব্যবিচার , বেপর্দা হয়ে নানা কৌশল ও যাদু টুনা করা ।



নবী পাক সা একদিন নামায রত, মদিনার বেশ কিছু শিশু কিশোর

নবীজীর দরবারে উপস্থিত , তারা নামায রত নবীজীকে ঘিরে

রাখল এবং ছোট শিশু ইব্রাহিম নবীজীকে ঘোড়ার পিট ভেবে

চেপে বসল আবু আয়ুব আনসারই রা রাগান্বিত হলেন । নবীজী

ছাহাবা কেরাম কে বুঝালেন,। ওরা শিশু যা দেখবে তাই শিখবে

ওদের আদর করবে এবং উত্তম চরিত্র গ ট নে গড়ে তুলবে ।

আল হাদিস

অতপর নবী পাক সা ওদের নিয়ে কিছুক্ষন খেললেন ,কৌতুক করলেন । বস্তুত নবীজী খেলা ধুলার মাধ্যমে তাদের দ্বীনই শিক্ষা

দিতেন । একটা পয়সার এপিট অপিট যেমন । সব কিছুই তেমন

এক কথায় উদ্দেশ্য সৎ হলে কর্ম ভাল হয় আর অসৎ হলে বৃথা ও

হারাম । নাতি ইমাম হাছান রা / ইমাম হুছাইন রা নবীজীর সাথে এমনি ভাবে

খেলা করতেন, খেলা অবসর মুহূর্তের জন্য । টিকা এবাদত বর্জন করে খেলা ধুলা নিষেধ ।

বরং এবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা

সকলের জন্য রহমত ও পুরস্কার প্রাপ্তি ।

শিক্ষার প্রদীপ



নবীজীর আদর্শে এস শিখি দ্বীন

লয়ে তারি সত্য বানী

সত্য সরল পথ চিনি

আধার কেটে হবে জীবন রঙ্গিন ।

শিখি সত্য কথা বলা

যা হবে চরিত্র গঠন

ন্যায়ের নিরিখে এস করি পন

সুন্দর হবে জীবন চলা ।

জয় করি লোভ, হিংসা

দূর করি কুহকের যত অকল্যান

এস শিশুর ফুটাই জ্ঞান

আনি সমাজে শান্তি ও ভালবাসা ।









লেখক বলেছেন: হে ইসলাম হে কাণ্ডারি আমাদের ক্ষমা কর /

*************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ





দয়াল নবীজীর নির্দেশিত ইসলাম আর বর্তমান ইসলাম কি এক

*********************************************

এক বুড়ী নবীজীর গমন পথে কাঁটা পুঁতে রাখত আর নবীজী একটা একটা করে কাটা তুলে আবার গন্তব্য যেতেন । একদিন

পথিমধ্য খাঁটা দেখতে না পেয়ে তিনি খুজে খুজে বুড়ীর বাড়ি

উপস্থিত হলেন , দেখলেন বুড়ি অসুস্থ হয়ে বিছানায় , তৎক্ষণাৎ

বুড়িকে সেবা দিলেন , বুড়ি অবাক হয়ে নবীজীর প্রতি শ্রদ্ধায়

নত হলেন এবং ইসলাম গ্রহন করলেন ।

*********

মক্কা বিজয়ের পর বিখ্যাত মুনাফিক সরদার আবু সুফিয়ান কে হাতের মু টুয় পেয়েও ক্ষমা করে দিলেন এবং ঘোষণা করলেন যারা

মক্কার কাবায় এবং আবু সুফিয়ানের ঘরে অবস্থান নেবে তারা অধিক নিরাপদ । অথচ এই আবু সুফিয়ান ইসলামের প্রাথমিক

প্রচারে প্রধান বাধা ছিল । নবীজীর মহানুভবতায় সেও তওবা করে খাঁটি মুসলমান

হয়ে গেল

**********

আবু জাহেলের পুত্র ইক্রামা নবীজীর প্রতি দুর্বল ছিল , জানতে

পেরে তাকে বহু নির্যাতন করা হয় । চোখ বেধে পাহাড়ের উপর

থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । এমনকি পাথরের সাথে বেধে সাগরে

নিক্ষেপ করা হয় তবুও ঈমান থেকে তিনি বিচ্ছুতি হয়নি ।

আল্লাহর রহমতে তার কিছুই হয়নি ।



****************

নুর নবী হযরত মোহাম্মদ সা একদা মদিনায় বৃক্ষ নীড়ে অবকাশ

যাপন করছিলেন । সুযোগ মত এক এহুদি উম্মুক্ত তরবারি লয়ে

তার উপর তাক করে চিৎকার দিয়ে বলতে লাগলেন হে মুহাম্মদ

আপনাকে এখন কে বাচাবে । নবীজী বললেন আল্লাহ

সাথে সাথে তার হাত হতে তরবারি খসে পড়ল এবং নবীজী ঐ

ইহুদির গাড়ে চেপে বললেন এখন তোমাকে কে বাচাবে । ইহুদি

কাপতে কাঁপতে বললেন আপনি ।



দয়াল নবীজী তরবারি দূরে নিক্ষেপ করে লোকটিকে বুকে জড়িয়ে

ধরলেন ।লোকটি ইসলাম গ্রহন করে নবীজীর একজন বিশিষ্ট সাহাবা হয়েছিলেন তার নাম হিশাম এবনে মুয়াজ রা ।

*****************

একদিন এক বাজ পাখি একটি বাবই কে দৌড়ায়ে নবীজীর দরবারে উপস্থিত , পাখিদের জবান খুলে গেল , বাবই আরজ করল

ইয়া রাছুলুল্লাহ বাজ আমাকে ভক্ষন অভিপ্রায়ে পিছু লেগেছে ।

নবীজী বাজ পাখিকে ডেকে বলল হে বাজ ঘটনা কি সত্য । বাজ

সায় দিয়ে বলল ইয়া রাছুলুল্লাহ আজ থেকে এক মাস যাবত অভুক্ত

কোন উপায়ান্তর না দেখে ঐ বাবই কেই আমি



নবীজী বাজ কে ডেকে বললে হে অভুক্ত প্রানি আমার গাল থেকে

কিছুটা মাংস তুমি নিয়ে ক্ষুদা নিভ্রিত্তি কর । দয়াল নবীজীর এহেন

উক্তিতে পাখিদের চোখ দিয়ে দর দর পানি গড়াতে লাগল , ইয়া রাছুলুল্লাহ আপনার নুরানি চেহারা মুবারক দেখে দেখে আমাদের

পেটের ক্ষুদা নিবারন হয়ে গেছে ,।

*****************

এক বুড়ি ভারী একটা পুটুলি বহন করে খুঁটিয়ে কুড়িয়ে হাঁটছিলেন ।নবীজী নিজে তা বহন করে পাহাড়ে পৌঁছে দিলেন । বুড়িকে জিজ্ঞেসিলে বলল আব্দুল্লার পুত্র মোহাম্মদের ভয়ে আমরা পালাচ্ছিলাম । আমিই সেই মুহাম্মদ । বুড়ির সঙ্গীরা আগেই সেথায় ছিল , বুড়ি চিৎকার করে জানিয়ে দিলেন হে আমার কউমেরা মুহাম্মদ মানুষ নন নিশ্চয় আল্লাহর বাছুল আমি এক্ষনি

তার নিকট মুসলমান হইব । পরবর্তীতে বাদ বাকিরাও মুসলমান

হয়েছিল ।

*******************

বনের দ্বারে বৃক্ষ মাঝে এক হরিণ বাধা ছিল । জবান খুলে গেল

ইয়া রাছুলুল্লাহ আমার সদ্যপ্রসব জাত বাচ্ছা দুধ বিহনে মারা যাবে ,এক ইহুদি আমাকে বেধে রেখেছে । আমাকে ছেড়ে দিন , দুধ খাইয়ে আবার আপনার নিকট ফিরে আসব । দয়াল নবীজী

হরিণের জাবিন হয়ে তাকে ছেড়ে দিলেন । শিকারি ফিরে এসে

হরিণ না পেয়ে জিজ্ঞাসিলে । নবীজী বললেন আমি ছেড়ে দিয়েছি

তার বাচ্ছাদের দুধ খাইয়ে আবার ফিরে আসবে ।



ইহুদি অবাক হয়ে বলে বনের পশু চলে গেলে ফিরে আসে সে

কথা ত আর কভু শুনিনি



ইহুদি লক্ষ্য করে হরিনির সাথে আরও তিনটি সদ্যজাত বাচ্ছা ।

নবীজীর পায়ে দরশন দেয় , আপনার জাবিনের কথা শুনে

আমার দুধের বাচ্ছারাও দুধ খায়নি ইয়া রাছুলুল্লাহ ।



ইহুদি ঘটনা দেখে সাথে সাথে কলমা পড়ে মুসলমান হয়ে যায় এবং হরিণীকে ছেড়ে দেয় ।



এমন দয়ার সাগর যার দয়া ব্যতিত দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতের মুক্তি লাভ কি সম্ভব ।





আল্লাহকে চেনা বান্ধার হক এবং মোহাম্মদ সা কে চেনা দুনিয়া ও

আখেরাতের মুক্তি ।

**************************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ

কবি ডঃ আল্লামা মোহাম্মদ মাসুদ মিয়া সৈয়দ শাহি

শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বড় জিহাদ





হাদিস আবু হুরাইরা রা ঝবানে বর্ণীত

এক ইহুদি খুব বদকার ছিল । তখনকার যুগে এমন কোন অপরাধ

বাকি ছিলনা যা তার দ্বারা সংঘটিত হয় নাই । হত্তা ব্যবিচার যিনা

সব ছিল তার নিত্য কর্ম ।

মদিনার নিকটবর্তি অঞ্চল বনি হেজাজ স্থানে বাস করতেন নবীজীর এক প্রিয় সাহাবা ইবনে খুবায়ব রা তিনি নিয়মিত নবীজীর

শানে দরুদ পড়তেন



প্রতিদিনের মত বেশ কিছু লোক নিয়ে তিনি মধুর সুরে দরূদ শরিফ পড়তে লাগলেন । তো পাপি লোকটি এদিক দিয়ে যাচ্ছিলেন , মধুর দরুদের সুর ও

নবীজীর রহমত তার মনে ধাক্কা লাগল তিনি মনে মনে নিয়ত করলেন নবী পাক সা এর দরবারে এসে তওবা ও কলমা পড়ে

নিবেন । মাত্র দুই এক কদম পা রাখলেন , সাথে সাথে মালিকুল

মউত তার জান কবজ করে নিলেন । বেহেস্ত ও দুযখের ফেরেস্তা এল , কোথায় তার স্থান হবে আমল নামা দেখে দুযখের ফেরেস্তা হাসি দিল জান্নাতি বেজার হল । আল্লাহর পক্ষ থেকে আওয়াজ এল হে জান্নাতি ফেরেস্তা নিরাশ হইওনা আবার আমল নামা খুল দেখ মৃত্যুর আগে সে মনে মনে তওবার

নিয়তে নবীজীর দরবারে পা বাড়িয়েছিল এজন্য তা র জীবনের

সমস্ত গোনাহ মাফ এবং সে জান্নাতি । ছুবাহান আল্লাহ ।

টিকা মনের মধ্য যে শয়তান বাসা বাধে ও দাগা দেয় মানে ভুল

পথে চালায় সে শয়তানকে দূর করে হ্রদয়ে ঈমানের প্রদীপ জ্বালানোই বড় জিহাদ ।



: আসলে ঈমান রুহে কোরআন মগজেদিন

হাস্তে হুব্বে রাহ মাতুল্লিল আলামিন

অর্থ ঈমানের মুল কোরআনের রোহ বা নুর এবং দিনের মগজ মানে ইসলামের মগজ তিনি যিনি সমস্ত জগতের রহমত নুর নবী

হযরত মোহাম্মদ সা । কবি আল্লামা মাওলানা রুমি রা এর জগত বিখ্যাত কিতাব মসনবি শরিফ থেকে যা কোরআন এর সার বস্তু

আবার শাহ জালাল ইয়েমেনি রা এর বয়ান

খোদা ভি হায় রেজা জুয়ে মোহাম্মাদ

খোদা মিলতা হায় দরবারে মোহাম্মদ

আল্লাহ হইতে মোহাম্মদ দূরে নয়

আল্লাহ কে লাভ করতে মোহাম্মদের দরবারে আস ।

কোরআনের আয়াত , কুল ইন কুন্তুম তুহিব্বুন আল্লাজি ফাত্তাবিউনি ইবিবকুমুল্লা এয়াগ .।.।.।.।.।.।.।।

অর্থ যদি তোমরা আমি আল্লাহকে পাইতে চাও সর্ব প্রথম আমার

হাবিব /মোহাম্মদের অনুসরণ কর । তবেই আমি তোমাদের

ক্ষমা করে দেব ।

কুন তু কাঞ্জাম মাগফিয়ান হাদিসে কুদসি

আল্লাহ বলেন আমি একটা গোপন ধন ভাণ্ডারে নিহিত ছিলাম ।

ব্যখ্যা , যখন আল্লাই আল্লাহ আর কেহ ছিলনা তখন ইচ্ছা পোষণ করলেন আমার নাম কে ডাকবে / আল্লাহর জাতী নুর হইতে সৃষ্টি করলেন মোহাম্মদ যার অর্থ প্রশংশিত যিনি শুধু প্রশংশারই যোগ্য । মোহাম্মদ সৃষ্টি হইয়া মাবুদের নাম দিলেন

আল্লাহ । কারন আল্লাহ তার নাম নিজে ডাকবে কেমন করে ।

বাংলা শের

আল্লাহর নুরে হইল সৃজন নুর নবীজীর নুর বধন

নবীজীর নুরে হইল সৃজন কুল মাখলুখাত ত্রিভুবন ।

আওয়াল আখের যাহের বাতেন এক আল্লাহ ছাড়া তার সমান আর কেহ নাই / নিজে খোদা প্রেমিক সাজে কলমাতে তা দেখতে পাই ।

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহামমাদুররাছুলুল্লাহ ।

এত এব প্রমানিত তিনিই ঈমান ও ইসলামের মগজ । আল্লাহ ও তার রাছুল সা কে আমরা জানি ,ভয় করি , এবাদতের মাধ্যমে

অবশ্যই আল্লাহ তার বান্ধার প্রতি ক্ষমাশীল ।







************

আল্লাহই ধর্ম ও মানুষের প্রভু সেই রক্ষক আমরা কেন ক্ষতির দিকে

*******************************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ



সুরা ফিল শানে নুযুল ও বাংলা ব্যখ্যা

নবীজী দুনিয়ার আগমনের বেশ কিছুদিন আগে বিধর্মী হেজাজের বাদশা আবরাহা মক্কা আক্রমন করে , তখনকার সময়ে জগতের

শক্তি শালি বাদশাহ ছিলেন । ৭০ হাজার সাজুয়া হস্তি বাহিনী ছিল

তার যুদ্ধ রন কৌশলের প্রধান উপকরন ।

আর আরবের কুরাইশরা ছিল সে সময়ে পৃথিবী বিখ্যাত শ্রেষ্ঠ তম

বংশ । বিশ্বের সব দেশের লোকেরাই মক্কায় এসে বানিজ্য স্থাপন এবং

কোরাইশদের সাথে ছিল ভাল সম্পর্ক ।

এমনকি কাবা ঘরের সম্মানে তারা কুরাইশদের খিরাজ প্রদান করতেন ।

কুরাইশদের আভিজাত্য কে হেয় করার মানসে বাদশা আবরাহা

তার হস্তি বাহিনী লয়ে হটাৎ মক্কা আক্রমন করে এবং ধংশ যজ্ঞ

চালাতে থাকে ।

সে সময় মোহাম্মদ সা এর দাদা কুরাইশ গোত্রপতিদের প্রধান ছিলেন , তার ছিল কয়েক হাজার উট , বাদশা আবরাহার লোকেরা

সব উট হস্তগত করলে নবীজীর দাদা আব্দুল মোতালিব বাদশার

নিকট গিয়ে উট ফেরত চাইলেন , বাদশা আবরাহা বললেন হে কুরাইশ সরদার আপনার দেশ এবং কাবা এখন আমার হস্তগত

আর আপনি কেমন মানুষ এসেছেন নিজের উট ফেরত নিতে সেটা বোকামি কিনা । তৎক্ষণাৎ কুরাইশ সরদার চিৎকার করে বললেন , কানায়ে কাবা আল্লাহর ঘর সেটা রক্ষা করবে যিনি মালিক তিনি । আমি উটের মালিক আমার উট ফেরত না নিয়ে এখান থেকে যাচ্ছিনা , বাদশার বুক ভয়ে কম্পিত হল ।

আরবের লোকেরা দেখল একধরনের ছোট ছোট আবাবিল পাখি

তাদের নখরে পাথর , আরআকাশ থেকে লক্ষ লক্ষ পাথর বৃষ্টি হস্তি বাহিনীর মাথায় পড়ে ধুলুয় মিশতে লাগল , নিমিশেই আব্রাহা এবং তার হস্তি বাহিনী , জাঁকজমক সবি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল ।

সুতরাং ইসলাম যদি আল্লাহর মনোনীত ধর্ম হয় তাহলে রক্ষা করবে সেই , আমরা এস শয়তানের কুমন্ত্রনা হতে নিজেদের রক্ষা

করি নয়ত দুনিয়া ও আখেরাত আমাদের জন্য হবে অন্ধকার ।

আল্লাহ আমাদের কে তার হাবিবের আদর্শে এবং সঠিক সরল পথে রহমত হেদায়েত ও বুঝ দিন । আমিন



সত্যর আলোক ও চেনা চাই

সেই জ্ঞান হৃদয়ে জ্বালি তাই

কোরআন , কিতাবের শাশ্বত বানি

অন্ধকার দূর করে নিজেরে চিনি ।

মানবতা আর সত্য কে লয়ে সাথি

সমাজে গড়ি এস শান্তি ও সম্প্রিতি

উদার হৃদয় খুলে এস মিশে যাই

খোদার দেয়া জগতে শোক্রিয়া জানাই ।





** শান্তির সুপান ইসলাম এবং মুক্তির কাণ্ডার রাছুল সা

********************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ





আয়াত / লাওলাকা মা খালাক তুল আফলাক

আল্লাহ বলেন যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে কোন কিছুই

সৃষ্টি করতাম না ।

হাদিসে কুদসি

উহুদের যুদ্ধে কাফের রা শক্তিশালি দল নিয়ে মুসলমানদের মোকাবেলা করে , নবীজী সকল সাহাবীদের আদেশ দেন , তোমরা

গিরি প্রান্তরে দলে দলে অবস্থান নাও , আল্লাহর সাহায্য নিকটেই , খবরদার সিমা লঙ্গন করিওনা ।

প্রাথমিক সময়ে সাহাবা কেরামগন সুযোগ সন্ধানি এবং নবীজীর

নির্ধারিত রন কৌশলে কাফের রা শক্তিশালি সুসজ্জিত হয়েও অল্প

সময়ের মধ্য মুসলিম বাহিনীর নিকট পরাস্ত হয় ।

কিছুসংখ্যক সাহাবা যুদ্ধের ফেলে যাওয়া ধন রত্ন মালামাল ইত্যাদি সংগ্রহের লিপ্সা জাগে । বিজয় নিশ্চিত জেনে এরা ধুকায়

পরে , আর কাফের রা এই সুযোগে আবার সংঘটিত হয়ে মোক্ষম আঘাত হানে ।

এবার মুসলমান গন অনেকাংশে পরাস্ত হয় এবং সয়ং নবীজীর

দাঁত মোবারক ও মাথা মোবারকে আঘাত পায় ।

আমরা এখন কি বুঝলাম , নবীজীর বানি থেকে সতর্ক হই ।

তোমরা সিমা লঙ্গন করিওনা অথচ যুদ্ধের বিজয় জেনে সাহাবাগন

নিজেদের গর্বিত মনে করেছিল এবং সিমা লঙ্গন করে যুদ্ধ লুটের মাল নিয়ে নিজেদের কে লিপ্সার অতলে দাবিয়ে দিয়েছিল যার পরিনতি পরে হল সম্পূর্ণ উল্টা ।

কি শিক্ষা পাইলাম , রাছুল সা কথা অমান্য করলে সেথা আল্লাহর

সাহায্য আসেনা ।

অথচ রাছুল সা এর নিকট এক সাহাবা দৌড়ে আসল ইয়া রাছুলুল্লাহ যুদ্ধে আমার তরবারি ভেংগে পড়ল কি দিয়ে যুদ্ধ করব ।

নবীজী খেজুরের এক ঢাল তার নিকটে তুলে দিয়ে বললেন , এই নাও মনে কর এটাই তোমার হাতিয়ার , সাহাবা ইবনে মুয়াজ রাজি রা এই খেজুরের ঢাল দিয়ে যুদ্ধ করে শত শত কাফের নিধন করে

নিজেদের বিজয় কে নিশ্চিত করেছিলেন ।

আমরা এবার কি শিক্ষা পাইলাম , আল্লাহর রহমত সামান্য বস্তুর

মধ্যও অনেক বড় বিজয়ের সংবাদ দেয় ।

আর দয়াল রাছুল সা আল্লাহর প্রেরিত দুনিয়ার জন্য রহমত ও মুক্তি ।

আয়াত , আল্লাহ বলেন আমি আপনাকে সমগ্র জাহানের রহমত

স্বরূপ প্রেরন করিয়াছি .



** ইসলামের উত্তম আদর্শ সাহাবাদের সাহাদত বরন

/ ডঃ আল্লামা কবি মাসুদ মিয়া শাহি

**************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁ



অন্যায় ভাবে আততায়ি কর্তৃক নিহত হলে সে শহীদের মধ্য গন্য

আল হাদিস ।

জাবের রা হইতে বর্ণিত , কিছুসংখ্যক সাহাবি ইসলামের দাওয়াত

নিয়ে মদিনা হইতে মক্কার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলেন । পথিমধ্য আবুজাহেলের লোকেরা তাদের ধাওয়া করে , এর মধ্য যুদ্ধ করে বহু

সংখ্যক কাফের নিধন করে তারা শাহাদত বরন করে , আবু খবায়েব

রা কাফের দের নিকট বন্ধি হলেন , একটা অন্ধকার কুটুঁরিতে তাকে

রাখা হয় , সামান্য দানা পানিও তার জন্য বরাদ্ধ ছিলনা বরং নিত্য অনাচার অত্যাচার ছিল তার সঙ্গী ।

একদিন একদিন বেদিনের দাসি গেল বন্ধির সেবায় , গিয়ে দেখতে পায় আবু খবায়ব রা আঙ্গুরের ঝাঁক থেকে পাকা সুসাধু ফল ছিরে

খাচ্ছে , দাসি অবাক হয়ে জানতে চাইলে সাহাবি রা বললেন এসব

আল্লাহর পক্ষ থেকে বেহেস্তি খাবার , নাও তুমিও খাও , দাসি সহ

আরও অনেকেই তৃপ্তি সহকারে ফল ভক্ষন করে । যার নিকট সাহাবি রা বন্ধি সেই বেদিন ছিল বদরের যুদ্ধে পরাজিত , এবং তার দুই ছেলেকে ও চাচাকে আবু খবায়ব রা নিজে বদরের প্রান্তে হত্তা

করেছিলেন , তাই কাফেরেরা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় । সাহাবি রা কে

ঘোড়ায় চড়িয়ে যখন বেদিতে নিয়ে যাওয়া হবে তখন তিনি শৃঙ্খলিত ছিলেন , নবীজীর নাম লয়ে বল্লেন ইয়া রাছুলুল্লাহ সা

আমাকে হেফাজত করুন ।

সাথে সাথে লোহার জিঞ্জির ভেঙে যায় এবং খালি হাতে ওদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় , সর্বাধিক কাফের নিধন করে তিনি শাহাদাতের কুলে নিজেকে সমর্পণ করেন । তার লাছ বিকৃত করার মানসে কাফের রা উদ্দ্যত হলে হটাত গায়েবী আওয়াজ আসে এবং সকলে পালিয়ে যায় এবং আবু খুবায়েব রা এর দেহটি ফেরেস্তাদের সমিব্যাবহারে জান্নাতুল বাকিতে চলে আসে ।

ইসলামের উত্তম যুগ , ও তফছিরে কবির ।

আল্লাহর কালামের কত গুন , সংবিধানে বিসমিল্লাহ শরিফ ।

*************************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ



ধর্ম ও সংবিধান

ফেরাউন এর প্রাসাদে তাদের পূর্ব পুরুষের একটি রাজ তোরনে

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লেখা ছিল ।

ফেরাউনের স্ত্রী সতি সাধ্বী বেহেস্তি নারি আছিয়া প্রায়ই সেথা গিয়ে

নিরবে আল্লাহর এবাদতে লিপ্ত থাকতেন , ফেরাউন একদিন তা

দেখে আছিয়া রা কে বললেন আল্লাহ কে , এই সাম্রাজ্যর আমিই

প্রভু আমার নামে সিজদা দাও । আছিয়া রা বললেন কিছুতেই নয়

জান থাকতে এক আল্লাহ ছাড়া আর কারও নিকট মাথা নত করবনা ।ফেরাউন তার নিজ শিশু পুত্রদের ফুটন্ত তেলের মধ্য ছেড়ে দিলেন ।

তবুও আছিয়া রা ঈমান কে মজবুত রাখলেন এবং বিসমিল্লাহ শরিফ

পাঠ করতে থাকলেন ।

ফেরাউন তার সৈন্য দের আদেশ দিলেন যেথা বিসমিল্লাহ শরীফ

সংরক্ষিত সেটা ভেঙ্গে ফেলার জন্য , তারা যথা স্থানে গিয়ে যখন

ভাঙ্গার কাজে হাত দিতে চাইলেন সেথা হতে এক নূরানি জ্যোতি

এসে সেইসব সৈনিকের চোখ অন্ধ করে দিলেন ।

আল্লাহর কালামের কত গুন অথচ বাংলাদেশ সংবিধান এ সংরক্ষিত মুল চার নিতির মধ্য বিসমিল্লাহ শরিফ কে বাদ দিয়ে

কি ইসলামের অবমাননা করা কি উচিৎ ।

ইসলাম কোন দলের নয় ইসলাম সর্বস্তরের সকল জাতীর মুক্তি

ও পাথেয় যার কথা কালাম সবই সয়ং আল্লাহর ।

এতএব বাংলাদেশ সংবিধানে আবার বিসমিল্লাহ শরিফ সংরক্ষিত রেখে মহান আল্লাহর রোষানল হতে মুক্তি হোক ।

আল্লাহ বলেন যারা আমার কোরআন নির্দেশিত কিতাবের অবমাননা করল তাদের উপর গজব , আর আল্লাহর ক্ষুত্রত এত

প্রবল যে হও বলতেও সব সৃজন হল আবার ধ্বংস হও বলতেই

সব ধংশ হয়ে যাবে , আল্লাহ আমাদের ক্ষমা ও হেদায়েত দিন , আমিন ।

: আল্লাহর মানব সৃষ্টি রহস্য এবং আজ্রাইল ভুমিকা

*******************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ



আল্লাহর মানব সৃষ্টি রহস্য

********************

কোরআন , ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক

অর্থ পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন ।

কিভাবে ,

আল্লাহ সব ফেরেস্তাদের ডাকলেন এবং বললেন আমি মানব বানাতে

চাই , হে আমাদের রব এবাদত কারী হিসাবে কি আমরা যথেষ্ট নই ।

মানব সৃষ্টি করলে ওরা আপনাকে ভুলে মারামারি কাটাকটি করবে ।

আল্লাহ ধমক দিলেন আমি যা জানি তোমরা তা জাননা ।

ফেরেস্তারা সবিনয়ে তার প্রভুর সামনে মাথা নত করলেন হে আল্লাহ

যা কিছু আপনার সবি উত্তম এবং আপনার মহানুভবতা ।



প্রধান ৪ ফেরেস্তা কে বললেন তোমরা মাটি সংগ্রহ কর , আল্লাহর

সৃষ্টি ব্রহ্মাণ্ডে কোথাও তারা মাটি দেখতে পেলেন না , অবশেষে

পৃথিবীর বক্ষতল কোটি কোটি আলোক বর্ষ মাইল জলাদার এর

নিচে এক টুকরা মাটি দেখলেন , ১ম গেল মিকাইল আ যিনি সমস্ত আকাশ ও মেঘমালা পরিচালনা করেন । মাটির নিকট পৌছতেই মাটি করুন সুরে আল্লাহর দোহাই দিল , তিনি করুন

কান্না শুনে ফিরে এল প্রভুর নিকট এবং তা বলল , ২য় বার গেল

ইস্রাফিল আ যিনি শিঙ্গা নিয়ে বসে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আদেশ পাওয়া মাত্রই বাশিতে ফু দিবেন দুনিয়া কেয়ামত হয়ে যাবে আবার ফু দিবে সব মৃত মানুষ যেখানে যে অবস্থায় জিন্দা ভেসে

উটবে আবার ফু দেবে বিচার শুরু হবে , তিনি ও মাটির কান্নায় চলে

এল , গেল জিব্রাইল আ তিনিও ফিরে এলেন ।

শেষ বেলা গেল আজ্রাইল আ মাটির কান্না তাকে ভুলাতে পারলনা

মাটিকে ছিঃরে আল্লাহর দরবারে হাজির করল , আল্লাহ আদম আ

কে বানালেন এবং জান দিলেন এবং সব ফেরেস্তাদের ডেকে বললেন তোমরা জেনে রাখ এই আদমের জান কবজ করার ক্ষমতা আজ্রাইল কে দেওয়া হল ,কারন তার দয়া মায়া নাই ।

তফছিরে কবির , কোরআন ব্যক্ষ্যা । চলবে





নবীজীর নিকট কবি এবং তার ঈমানি চেতনা ।

********************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ



পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন ।

*****************************************

কবি কে নবীজী আল্লাহর হস্ত উপাধি দিয়েছিলেন ।

****************************************

আল্লামা কবি ডঃ মোহাম্মদ মাসুদ মিয়া ।



একদা এক কবি ইহুদি অধ্যুষিত অঞ্চলে বাস করতেন এবং আরবের তাৎক্ষণিক বহুল আলোচিত ঘটনা সুন্দর ভাবে জনসমক্ষে

প্রকাশ করতেন । এজন্য সারা আরবে ও অন্যান্য বিদেশী লোকজনের নিকট খুবই সমাদৃত ছিলেন ।



একদিন ইহুদিগন কবিকে ফুসলিয়ে নবীজীর বিরুদ্ধে কবিতা লেখালেন এবং তা জন সম্মুখে প্রচার করলে নবীজীর অনুসারি এবং যারা নবীজীকে ভালবাসতেন তারা তাকে বিদ্রুপ করল।

এতে মনে মনে পন করল কে সেই ব্যক্তি যে আমার চাইতেও

জন গন তারে বেশি সমিহ করে , অবশ্যই খুজ লইব । একদিন

নবীজী সুললিত সুরে মদিনায় আবু আইয়ুব আনসারির গৃহে

কোরআন পাট করছিলেন , এদিক দিয়ে কবি আসেন এবং কিছুক্ষন দাড়িয়ে কোরআন শুনেন । একপর্যায়ে নবীজীর সম্মুখে

গিয়ে ছালাম দিলেন হে আল্লাহর বার্তা বহ এতক্ষন আপনি যা

পাট করছিলেন তা এক আল্লাহ ব্যতিত আর কারও বানি হইতে

পারেনা । আপনার প্রতি এতদিন আমার ভুল ধারনা ছিল । আপনি আমাকে এক্ষনি সুদ্ধ করে লন । আমিই সেই অধম কবি

ইহুদিদের কথায় আপনার বিরুদ্ধে লিখেছিলাম ।



নবীজী কবিকে বুকে টেনে নিলেন এবং ইসলামের পক্ষে কবিতা

লেখার জন্য তাগিদ দিলেন ।



কবি এমন কবিতা লিখলেন এবং তা জনসম্মুখে পাট করলেন

সাথে সাথে অই দিন তার কবিতা শুনে ৩০০ মানুষ ইসলামে

দিক্ষিত হয়েছিল ।



শুক্রবারে জুমার নামাজে কবিকে নবীজী আল্লাহর হস্ত উপাধি দেন এবং নবীজী যেথায় বসে খুতবা দিতেন সেথায় বসিয়ে সম্মানিত করেছিলেন ।







** আল্লাহর জাতী নুর এবং হায়াতুন্নবি মোহাম্মদ সা

***********************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ





পীর মুর্শিদ অলি আউলিয়া দের শানে বেয়াদবি করা মানে আল্লাহ রাছুলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা ।

************************

আল্লামা ডঃ মোহাম্মদ মাসুদ মিয়া মোহাদেদছ মুফতিয়ে ছূণ্ণাহ

আরবি বিশ্ব বিদ্যালয় , নেত্রকোনা সতরশ্রী





যারা নুর নবী হজরত সা কে মানেনা , অলি আউলিয়াদের মানেনা

তারা মুলত কোরআন না বুঝে আল্লাহকেই মানেনা ।

আলা আউলিয়া আল্লাহু লা কাউফুন অয়ালাইয়াহযানুন ।

অর্থ নিশ্চয় আমার বন্ধু বা অলিদের ভয় নেই দুনিয়া ও আখেরাতে ।

কোরআন ।

এখন অলি কারা , হজরত বড় পীর শাহসৈয়দ সুলতান আব্দুল কাদির জিলানী রা , বায়েজিদ বোস্তামি , খাজা মাইন উদ্দিন চিশতী ,

হজরত শাহ জালাল ইয়েমেনি রা , হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমি রা , , হজরত নিযাম উদ্দিন আউলিয়া প্রমুখ গন আল্লাহর অলি , আউলিয়া বা আল্লাহর বন্ধু ।

নবীজী বর্ণনা করেছেন , আল্লাহ বলেন আমার বন্ধু বা অলি যারা

তারা আমার জোব্বার চাইতেও নিকটে এবং অলিদের বিরুদ্ধে

অবস্থান নিলে আমি সয়ং মাবুদ যুদ্ধ ঘোষনা করি , হাদিস বায়হকি ।

পীর মুর্শিদ অমান্য করে তারা আল্লাহ ও তার রাছুল কে অমান্য

করে এবং তারাই মাঝার বা অলিদের মর্যাদা পূর্ণ পবিত্র সমাধি

ধংশ কারি ।

পীর অর্থ পথ দেখানো ওয়ালা / মুর্শিদ অর্থ দিক চিনানো ওয়ালা

নবীজী বলেন আল্লাহর বন্ধু বা আউলিয়া গনের মর্যাদা অতি উচ্ছ ,

তারাই আখেরি নবীর ইসলামকে জিন্দা রাখবে তার শাশ্বত কল্যানে ।

হাদিস , দুররে ছমিন । ৫১ কথিকা ।

কোরআনের আয়াত

যারা বায়াত হয় বা মুরিদ হয় তাদের হাত রাছুলের হাতের উপর আর রাছুলের হাত আল্লাহর হাতের উপর । নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমা শীল ।

কোরআনের একটি অক্ষর বা আয়াত কে অস্বীকার কারী আল্লাহকে অস্বীকার কারী , আর যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে

তারা নাস্তিক , তাদের ধর্ম কর্ম , এবাদত , আল্লাহর নিকট গ্রহণীয়

নয় ।

সয়ং নবীজী ইসলামের মুর্শিদ

*************************

তৌহিদেরও মুর্শিদ আমার মোহাম্মাদের নাম







ভদ্র ও আদব রক্ষা

ইসলামের মহান আদর্শ ।

: কোরআনের আলো



কোরআনের রূপ মাধুরীকে জানে হৃদয়ের আলো মুসলমান

আকাশের চাঁদ অন্য সবার আমাদের চাদ আল কোরআন

তুলনা তাহার নেইকো কোথাও দৃষ্টি ফেরায়ে দেখেছি ঢের

কেমন করিয়া হয়েনা অতুল পবিত্র বাণী রহমানের

চির বসন্ত হাসিয়া উটে যে তাহার প্রতিটি স্বর থেকেই

তার মত শোভা নেই তো বাগানে তার মত কোন বাগানও নেই



নেই কো কোথাও তুলনা তো নেই আমার খোদার কালামের

হোক না মুযুক্ত আম্মানের সে হোক না মনি বদখসানের

আল্লাহর বানী মানবের কথা কি করে তা সমান হবে

হেথা ক্ষুত্রত , হেথা নিঃস্বতা ব্যবধান যেথা হামেশা রবে



ফিরিস্তা যার সমীপে সদাই করিছে শিকার অজ্ঞতার

বাগ্নিতায় এ সীমিত মানুষ কি করে হবে সমান তার



ছোট কীটের একটি পা ও তো বানাতে পারেনা মানুষ কভু

তাহলে বলনা ,সত্যর আলো কি করে বানাবে মানুষ তবু

অহে মানুষেরা গাওনা কিছু তো মহিমা মহান বারিতালার

সংযত কর যবান থাকলে কিছু ইমানের ঘ্রান তোমার ।



খোদার সমান অন্য কাউকে বানানো কঠিন কুফর তার

কিছু তো খোঁদাকে ভয় কর প্রিয় ।করনা ভীষণ মিথ্যাচার

আল্লাহ এক ও অংশি বিহিন এই যদি হয় অঙ্গিকার

তাহলে আবার হৃদয়ে কেন শিরকের এত অন্ধকার

অজ্ঞতার এ পর্দা কি করে পড়ল তোমার দিলের পর

পাপেরও পথ পরিহার কর থাকে যদি খোদার ডর

আমার করার কিবা রয় ভাই , নছিহত করি বিনয় ভরে

থাকে যদি কোন পবিত্র হৃদয় জান কোরবান তাহারি তরে ।



হৃদয়ে বাসনা কিতাবে তোমার সর্বদা চুমু দেই

এই কোরআনের চারদিকে ঘুরি কাবা তো আমার এই

দুরবে সমিন





: ** নবী দুলালি জগত জননী মা ফাতেমা ফাতেমা রা হইতে বর্ণিত ।

*************



নবী পাক সা এর নিকট জিব্রাইল আ মানুষের বেশে আসতেন

আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহি নিয়ে ।



একদিন মা ফাতেমা কে জিব্রাইল আ জিজ্ঞাস করে নবীজীর কথা ।

ফাতেমা রা কাকা ডাকলে

জিব্রাইল আ অখুশি হয়ে জিজ্ঞাসে তোমার আব্বাজান কি আমার চাইতে বয়সে বড় ।

তৎক্ষণাৎ নবীজী উপস্থিত হলে ফাতেমা যথার্থ জানতে চাইলে নবীজী জিব্রাইল আ কে প্রশ্ন করলেন হে দুত তোমার বয়স কত । ইয়া রাছুলুল্লাহ সা আমি জানিনা তবে পূর্ব আকাশে একটা তারকা উদয় হইত ৭০ হাজার বছর পর পর এরূপ আমি ৭২ হাজার বার দেখেছি ।



নবীজী বললেন এখন কি দেখ ,

জিব্রাইল আ নবীজীর মুখ পানে চাইলেন এবং দেখলেন সেই তারকার উজ্জ্বল প্রদিপ্ত নুর জগতের মাঝে চমকিত এবং তার রউশনার সারা জাহান আলোকিত ।



চিৎকার দিয়ে উটে দুত হে আল্লাহর রাছুল বেয়াদবি মাফ হয়

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চই সেই তারকাই আপনি ।



ইয়া রাছুলুল্লাহ ৭০ হাজার বছর পর পর দেখতাম এই বিশাল সময়ের ফাকে আপনি কোথায় থাকতেন ।



আল্লাহর ক্ষুত্রতি আরশে মহল্লায় ।

কি করতেন

উম্মতের গোনাহ মাফে আল্লাহর দরবারে সিজদায় লুটাইতাম

আর উম্মতের নাজাতে বাসনা জানাইতাম হে আল্লাহ আমার

উম্মত কে মাফ কর ।

আল্লাহ কি উত্তর দিতেন

হে আমার প্রিয় হাবিব মাথা তুলেন আরশের সিং হাসন কম্পিত

আমি অঙ্গীকার নিলাম অবশ্যই সর্ব প্রথম আপনার উম্মত কে

জান্নাতে দাখিল করা হবে ।



দুনিয়ায় এসে দয়াল নবীজী কেদেছেন

এখন কাঁদেন শুইয়া মদিনায়

তিনি সকল যাতনা সহ্য করে বলতেন হে আল্লাহ এরা অবুঝ

এরা পাপি মাফ কর হেদায়েত দাও

আর আমার শাফায়াতের রহমতে ইসলামের রোশনায় ।



হাদিস সংকলন থেকে

** ইসলামী বিষয়ে ভুল ব্যক্ষা হারাম ।

***********



আরবি ইল্ম শব্দ অর্থ জ্ঞানি

আলেম ইলম থেকে বিশেষিত যিনি জ্ঞানের অধিকারী

এখন মাওলা আল্লাহর নাম

অর্থ প্রভু

মাওলানা অর্থ যিনি আল্লাহর মহত্ত্বে গুণান্বিত । তাই বলে আল্লাহ্‌ নয় ।

নবীজীর নামের পূর্বেও মাওলানা ব্যবহার করা হয় এতএব অর্থ গ্রামার

না বুঝে করলে ঈমান এর ক্ষতি ।

সকল আউলিয়া কেরাম এবং অধ্যবধি জ্ঞানি গুনিদের নামের আগে

শব্দটি মর্যাদার সহিত ব্যবহৃত হয়ে আসছে ।



শব্দটি ভুল ব্যখ্যা ও বিশ্লেষণে আলেম গন কে কাফের বলার জন্য





আলেম দের এ ব্যক্ষা দিয়ে ১৫০০ বছরের মধ্য কি উপযুক্ত লোক

লোক ছিলনা কাফের প্রমান করার জন্য ।

প্লিজ ভুল ব্যাখ্যা ইসলাম সমাজ এবং মানুষের ক্ষতি ।





হাদিস সংকলন তিরমিজি ও মুসলিম শরিফ দেখুন

আর আল্লাহর রাছুল হায়াতুন্নবি বা জিন্দা নবী



কোরআনে প্রমান

আব্দুল কাদির জিলানি রা এর স্বহস্তে লেখা কিতাব তালেবুন গুনিয়াত পড়ুন তার সম্পর্কে ভুল ভাঙবে ।

আর নবিজিকে জানতে কবি গোলাম মস্তুফা রচিত বিখ্যাত বিশ্বনবী পড়ুন ।



আল্লাহর ক্ষুদ্রতি সমাধান

বাহ্যিক ভাবে আমরা তার ৬৩ বছরের জিন্দেগিকে দেখি আসলে তা নয়

এটাই মানুষের বিবেকের জন্য মহা জিজ্ঞাসা আসলেই তিনি

আল্লাহর ক্ষুদ্রতি রহস্য ।

হাদিস

আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন , আলামান কানা নাবিয়াও অয়া আদাম বা মায়ে অয়াত্তিন ।

নবীজী বলেন সকল প্রশংসা আল্লাহর এবং আদম যখন কাদা মাটি মিশ্রিত মূর্তি তখনি আমি আল্লাহর রাছুল ।

ইবনে মাজাহ

কোরআন আয়াত কুল ইন কুন্তুম তুহিব্বুন আল্লাহি ফাত্তাবিউনি ইবিব কুমুল্লা ইয়াগ ফিরলাকুম যুনুবাকুম অয়াল্লাহু গাফুরুর রাহিম

আল্লাহ বলেন যদি তোমরা আমাকে লাভ করতে চাও তাহলে সর্ব প্রথম আমার রাছুলের পায়রবি কর তার অনুসরন কর তবেই আমি তোমাদের মাফ করিয়া দিব ।

সুরা ইম্রান ।

ঈশা আ এবং শীষ আ কে আল্লাহ জিন্দা আকাশে উটিয়ে নিয়েছিলেন সেটা আল্লাহর ক্ষুত্রত

তেমনি আল্লাহর রাছুল সাধারন মানুষের ন্যায় মানবের বেশে মানবের সাথে মিশে জিন্দেগি কাটায়ে আবার মানুষের ন্যায় পরজগতে বা পর্দার আড়াল হন সেটাও আল্লাহর রহস্য ।

আসলে তিনি মানুষ নন তিনি আল্লাহর নুর

নবীজীর সহধর্মিণী আয়েশা সিদ্দিকা রা আনহুম একদিন হাস্য চ্ছলে নবীজীকে তার ওড়না দিয়ে পেছিয়ে আগলে রাখতে চাইলে ওড়না নবীজীর দেহ মোবারক ভেদ করে মা আয়েশার হাতে চলে আসে , মা আয়েশা অবাক হলেন জানতে চাইলে দায়াল নবীজী উত্তর দিলেন আমি কি তোমাদের মত ।

শুধু তাই নয় নবীজী আধার রাতে বের হলে সমস্ত জগত তার নুরে আলোকিত হত ।

মা আয়েশা সিদ্দিকা রা আনহুম বলেন আমি ঘরে সুই বা ক্ষুত্র জিনিস হারিয়ে ফেললে নবিজি কে ডেকে ঘরে নিয়ে আসতাম

এবং হারানো জিনিস ত্বরিতে তার নুরের ঝলকে খুজে পাইতাম

হাদিস

আয়শা রা হইতে বর্ণীত

নবীজীর ব্যবহৃত রুমাল বা গামছা মাঝে মধ্য ময়লা হয়ে গেলে

তিনি তা জলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করতেন কিছুক্ষন পর দেখা যেত

তা দুধের মত ছাফ হয়ে যেত , বলুন ছুবহানাল্লাহ ।

অথচ দুনিয়ার সব মানুষ যা ব্যবহার করে আগুনে সেই সব নিমিষেই পুড়ে ছাই হয়ে যাবে ।

নবীজী সয়ং আল্লাহর জাতি নুর , আর আল্লাহর নুর আগুনের চাইতে কোটি

কোটি গুনে গুনান্নিত ।

আগুন কে জ্বালালে দেখা যায় তাপ অনুভব করা যায় কিন্তু তাকে ধরে রাখার সাধ্য যেমন কারও নাই

তেমনি আল্লাহর রাছুল সা জাগতিক রহস্য কে ইমানের দ্বারা পুস্পটিতিকরা মুমিনদের জন্য মুক্তি ও জান্নাতের সুসংবাদ । শুধু তাই নয় আল্লাহর অলি বা তার বন্ধুগণও তেমনি । ধন্যবাদ











ঈমান নাশক কুফুরি এদের অন্তর থেকে দূর হোক

জানার নাম ঈমান নয় মানার নাম ঈমান

নবীজী বলেন লোক দেখানো এবাদত আল্লাহর নিকট গ্রহন যোগ্য নয়

এরা তাই করে

হেদায়েত যা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে আর রহমত আসে

নবীজীর পক্ষ থেকে

হজরত আলি রা হইতে বর্ণীত নবীজী বলেন আখেরি যামানায় আমার উম্মতের মধ্য ৭২ দল হবে

এক দল বাদে বাকি সব জাহান্নামি ।

সাহাবায়ে কেরাম প্রশ্ন করলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ সা সেই মুক্তি প্রাপ্ত দল

কোনটি

আহলে ছুন্নাতয়াল অনুসারি । যারা আমার ছুন্নত কে মানে কোরআন মানে এবং আমার উত্তম সাহাবাদের জীবন অনুস্মরণ করে তারাই

মুক্তি প্রাপ্ত । হাদিস বোখারি শরিফ

আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দিন এবং ভ্রান্তি হইতে ধুকাবাজি হইতে

ভাল পথে চলার রহমত দিন । আমিন ।





** নবীজীর ইসলাম এবং কিয়ামত তথ্য ভবিষ্যৎ বানী

************************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ



নবীজীর ইসলাম ও কেয়ামত পূর্ব ভবিষ্যৎ বানী

আল্লামা ডঃ মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া

গবেষক আরবি বিশ্ব বিদ্যালয় , শতর শ্রী / নেত্রকোনা ।









আশ্চর্য এমন কিছু দৈব ঘটবে মানুষ শংকিত হবে ।

পাপাচার বৃদ্ধি পাবে , পৃথিবীর বক্ষ থেকে ধন সম্পদ রত্নাদি বেরিয়ে

আসবে এবং লোভ চাঙ্গা হবে তা নিয়ে মারামারি কাটাকাটি শুরু করবে । বস্তুত দুনিয়াবি মোহে ঈমানকে বিকিয়ে পরস্পর ধ্বংসের

দিকে লিপ্ত হবে ।

মেশকাত ও বায়হকি

৪০ জন আলেম মিলে আর ৪০ জন আলেম কে পারস্পারিক তর্কে হারাবে , নারিরা সমাজে প্রাধান্য পাবে সব ক্ষেত্রে । যিনা ব্যাভিচার

বৃদ্ধি পাবে , মুলত আল্লাহুকে ভুলে গোমরাহির দিকে ছুটবে ।

জানিও সেই সময় টুকু অতিত জাহেল বা অন্ধকার যুগের চাইতেও

নিকৃষ্ট , ঐ সময় ইমানদারের সংখ্যা হবে খুব কম ।

এহুদি নাছারাদের বক্ষ হইতে দাজ্জালের জন্ম হইবে ।

এবং আচানক ক্ষমতার অধিকারি হইবে । পৃথিবীর বহুলাংশ মানুষ তার অনুসারি হইবে । বস্তুত এক হাতে চন্ত্র আর অন্য হাতে সূর্য উদিত হইবে এবং তার আকৃতি হইবে এক চক্ষু বিশিষ্ট

মুলত তার দিকে যারা অগ্রসর হইবে তারাই জাহান্নামি ।

তার অত্যাচার যুলুমে তামাম দুনিয়ায় বিশ্রিংখলা ও হত্তা কাণ্ড ঘটবে । এত লাছ পচবে বাতাস বিষাক্ত হয়ে পশু পাখি নিশ্চিহ্ন হতে থাকবে । আল্লাহর নির্দেশিত মহা মানব ইমাম মেহেদির

আগমন হবে , তিনি এদন পাহাড়ে অবস্থান নিবে ঐ সময় তার

সংবাদ শুনে পাহাড় বা বরফের চাইয়ের উপর হামাগুড়ি দিয়েও যদি যেতে হয় তার হাত ধরবে । নিশ্চয় তিনি আল্লাহর প্রতিনিধি

তার ছুরত হবে গৌড় বর্ণ ইউছুফ আ এর মত সুন্দর , সাথে থাকবে মুসা আ,এর লাটি , ইশা আ, এর কেশ আদম আ,এর নমুনা এবং হজরত মোহাম্মদ সা এর আদর্শ । পাহাড়ে উদয় হয়ে

এমন এক তাজাল্লা চাওয়া দিবে সাথে সাথে দুনিয়াবি বিজ্ঞানিকের মারনাস্র সব ধংশ হয়ে যাবে । মক্কার কানায়ে কাবার

পশ্চাদ দেশ হতে ইশা আ, চতুর্থ আকাশ থেকে নেমে আসবে

এবং বহুসংখ্যক মুসলিম নিয়ে দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে ।

ইমাম মেহেদির আদেশে ইশা আ দাজ্জাল কে ধরে এক আছাড়ে

পাথরের মধ্য ফেলে ধংশ করে দেবে । তামাম দুনিয়ার যারা থাকবে সবাই ইমাম মেহেদি ও ইশা আ এর নিকট তওবা করে নিবে । ইশা আ ৪০ বছর রাজত্ত করবে এবং স্বাভাবিক মৃত্যু বরন

করবে । নবীজীর রওজা মোবারকের পার্শে তাকে দাফন করা হবে । ইমাম মেহেদি আ এর কি হবে তা হাদিস শরিফে স্পষ্ট উল্লেখ নাই ।

আমাকে প্রকৃত তাৎপর্য জানতে শিহা সিত্তাহ ও কোরআনের তরজমা সরনাপন্ন হতে হল ।





শেষ বিচার





সয়ং ইসলাম নুর নবী হযরত

সয়ং ইমান নুর নবী হজরত

তার মাধ্যমে মহান প্রভুর পরিচয়

আমরা তারি শ্রেষ্ঠ উম্মত



যত নবী রাছুল তারি উম্মত হওয়ার

দোয়া চাহে দরাবারে আল্লাহর

আমরা তারি রহমতের দরিয়ায়

পথের দিশা পাই অজানার



কবর , হাসর , মিজান পুলছিরাতে

তিনি শাফায়াত হবে উম্মতে

কর্ম ফলের আমলনামায় যা

সয়ং খোদা টানিবে সঠিক সঠিক বিচার ।





হাদিসের ও কোরআনের ব্যাখ্যা ঈদে মিলাদুন্নবি সা আল্লাহর সেরা নেয়ামত ।

******************************************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ





ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের যুগ এবং সে যুগেই ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-

عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لا بنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك.



অর্থ: হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তান-সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য রহমতের দরজা উমুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতা তোমাদের জন্য মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ তোমাদের মত এরূপ কাজ করবে, তোমাদের মত উনারাও রহমত ও মাগফিরাত লাভ করবে এবং নাজাত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা- ৩৫৫)



হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে-

عن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما انه كان يحدث ذات يوم فى بيته وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لقوم فيستبشرون ويحمدون الله ويصلون عليه صلى الله عليه وسلم فاذا جاء النبى صلى الله عليه وسلم قال حلت لكم شفاعتى.



অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজ গৃহে সমবেত ছাহাবীগণকে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে ছলাত-সালাম (দুরূদ শরীফ) পাঠ করছিলেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব। (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা-৩৫৫)



অতএব প্রমাণিত হলো যে, আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার যামানাতেই অর্থাৎ খইরুল কুরুনের প্রথম যুগেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘ঈদে মীলানদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করেছেন এবং সে মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপস্থিত হয়ে ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপনকারীগণকে রহমত, মাগফিরাত, নাজাত ও শাফায়াত লাভের সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, ক্বিয়ামত পর্যন্ত যারা ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করবে উনাদের জন্যেও একই সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

অতএব, ‘খইরুল কুরুনের মধ্যে কেউ এমন কোন ঈদ, উৎসব পালন করেননি’ উলামায়ে সূ’দের এ কথা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা প্রতিপন্ন হলো এবং সাথে সাথে তাদের জিহালতীও পরিস্ফুটিত হলো।

উল্লেখ্য, কোন আমল খইরুল কুরুনের মধ্যে না থাকলে যে তা পরিত্যাজ্য হবে এ কথা সম্পূর্ণরূপে অশুদ্ধ ও কুরআন-সুন্নাহ’র খিলাফ। বরং কোন আমল গ্রহণীয় কিংবা বর্জনীয় হওয়ার জন্য খইরুল কুরুন শর্ত নয়। শর্ত হচ্ছে সে আমল কুরআন-সুন্নাহ সম্মত কি না? যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত হয় তাহলে তা গ্রহণীয়। আর যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত না হয় তবে তা বর্জনীয় বা পরিত্যাজ্য।

যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-

عن جرير رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سن فى الاسلام سنة حسنة فله اجرها واجر من عمل بها من بعده من غيره ان ينقص من اجرهم شىء .



অথ: হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলামে কোন উত্তম বিষয় বা আমলের প্রচলন করলো, তার জন্য প্রতিদান বা ছওয়াব রয়েছে এবং তার পরে যারা এই আমল করবে তাদের জন্য ছওয়াব বা প্রতিদান রয়েছে, অথচ এতে তাদের ছওয়াবের কোন কমতি করা হবে না।’ (মুসলিম, মিশকাত







ঈদ অর্থ খুশি আর মিলাদুন্নবি অর্থ নবীজীর জীবন বৃত্তান্ত আলোচনা

নবীজীর শান মান সম্পর্কে আল্লাহ পাক কোরআনে উচ্ছ মর্যাদার

সহিত স্থান লাভ করেছে ।

আল্লাহ যার শান মান নিয়ে আলোচনা করেন , এবং তার উপর দরুদ

ও ছালাম ভেজে থাকেন এবং মুমিন গণকে তাগিদ দেন দরুদ ছালাম

পেশ করার জন্য ।

কোরআন , সুরা আহযাব আয়াত ৫৬ দেখুন সত্য



আর আল্লাহর আদেশ অবশ্যই ফরজ এবং আল্লাহ তার হাবিবের উপর

নিজে ছালাম দেন এবং তাগিদ দেন বেশি বেশি পড়ার জন্য

সুতরাং নিঃসন্দেহে আল্লাহর আদেশ

আল্লাহ নামায পড়েন না শুধু তাগিদ , রোযা রাখেন না শুধু হুকুম

এমন সব এবাদত যা মুসলমানদের জন্য ফরজ কিন্তু আল্লাহ নিজে

এবাদত হইতে মুক্ত অথচ নবীজীর উপর দরুদ ভেজে এবং সয়ং তার

হাবিবের উপর আলোচনা রাখেন মানে মিলাদ পড়েন

সেটা ফরজের চাইতে বেশি বললে ভুল হবেনা বরং কম জ্ঞানি আলেম

না বুঝে তর্ক করে ।



আল্লাহ পাক বলেন লাওলাকা মা আফ্লাক

অর্থ যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তবে কিছুই সৃষ্টি করতাম না ।

হাদিসে কুদসি



আল্লামা মাওলানা রুম বিখ্যাত কিতাব মসনবি শরিফে উল্ল্যখ করেন

আসলে ঈমান রুহে কোরআন মগজেদিন

হাস্তে হুব্বে রাহমাতুল্লিল আলামিন



অর্থ ঈমানের মুল , কোরআনের জান , এবং দিন বা ইসলামের মগজ

সেই যিনি কে আল্লাহ সমগ্র জগতের রহমত হিসাবে পাটিয়েছে।



আর তার শানে তার শুভাগমনের দিনে আমরা তার শ্রেষ্ঠ উম্মত যারা

দাবি করি ঐ পবিত্র রহমতের দিন কে নিয়ে সন্দেহ ধিক মুসলিম ।

আল্লাহ আমাদের হেদায়েত ও রহমত দিন আমিন ।



ঈদ মোবারক

শুভেচ্ছা



কোরআনে আল্লাহ পাক বলেন আমাকে পাইতে হলে আগে আমার

হাবিব নবীকে বেশি ভালবাস ।

সুরা ইমরান

অথচ কম জ্ঞানি আলেম দাবিদার মানতে চায়না আসলে এরা

কোরআন পড়ে কিন্তু মানেনা



হযরত আলী রা বলেন জানার নাম ঈমান ইসলাম নয় শর্ত মানার নাম

ঈমান ।





লেখক বলেছেন: ইমামে আযম আবু হানিফা বলেন ছাহাবা কেরাম গনের মর্যাদা

এমন যে তাদের ঘোড়ার পায়ের খুঁড়ের ধুলি সমতুল্য আখেরি যামানার

আলেম গন হবেনা ,

মস্তুফা ছরিত ২য় খণ্ড ।

অথচ তারাও দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতেন / দলিল সহ প্রমান ।

নবীজী বলেন আখেরি যামানায় আমার ছুন্নত দাফন হয়ে যাবে

যারা একটি মাত্র ছুন্নত কেও সেসময় জিন্দা বা চালু রাখবে তারা

১০০ গলা কাটা শহিদের ছওয়াব পাবে এবং তাদের জন্য জান্নাত অবধারিত ।

বোখারি ও মুসলিম শরিফ

কাবার কাবা মুমিনের ঈমান রত্ন নুর নবী হজরত , তার মুজেজা ও রহমত ।





** দয়াল নবী পাক সা এর মুজেজা ঈমানের শক্ত আকিদা ।

***********************************************





আবু খুহার নামক এক বেদীন মদিনায় নিকট বর্তি সুহাফ নামক

স্থানে বাস করতেন । লোকটি তার বিবির নিকট একটা বড় মাছ



এনে তারাতারি রান্নার তাগদা দিলেন । বিবি মাছ কুটতে বসলে

লোকটি গোসলের উদ্দেশ্য নদীতে রওয়ানা হলেন ,বিবি ডাক দিয়ে

বললেন শুনছ গো আচানক খবর মোহাম্মদ নাকি সাত আসমান

পাড়ি দিয়ে আল্লাহর সাথে দেখা কইরা আইল ।

বেঈমান লোকটি কটাক্ষ করে বললেন মোহাম্মদের কথা আর

বলনা এসব মিথ্যা ধুকাবাজি ।

মনে মনে স্ত্রী লোকটি নবীজীর প্রতি বিশ্বাসী ছিল /স্বামীর এহেন

কথায় বড় মর্মাহত হলেন কিন্তু বদ স্বভাবের জন্য কোণ উচ্ছবাক্য

করলেন না । গোসলের জন্য নদীতে ডুব দিতে যাবে লোকটি /

আল্লাহর ক্ষুত্রতে ডুব দিয়ে ভাসলে তৎক্ষণাৎ সে সুন্দরি রমণীতে

পরিণত হয়ে গেল ।

মিসরের সওদাগর আজিম বখত এদিক দিয়ে যাচ্ছিলেন , রমনিকে

দেখে জাহাজে তুলে নিয়ে গেলেন এবং সাদি করে বাড়ি নিয়ে গেলেন ।

ক্রমে সাত সন্তান হল তাদের ঔরসে । বহুদিন পর নদীতে গোসল করার জন্য সদাগরের স্ত্রী গভীরে ডুব দেয় , ডুব থেকে ভাসলে আল্লাহর ক্ষুত্রতে আবার সে পুরুষে রূপান্তরিত হয়ে যায় ।



ঘাটে এসে দেখে তার সাবান তুয়ালে সব টিক জায়গায় আছে ।

বাড়ি এসে আরও অবাক হয় দেখে তার বউ এখনও মাছ কুটাতে

ব্যস্ত ।

লোকটি ধমক লাগাল গিন্নি মাছ কাটতে কি বার বছর সময় লাগে ,

কেন , তুমি তো মাত্র ডুব দেয়ার জন্য গেলা এর মধ্য বার বছর

হল কই ।

লোকটি তার বউয়ের নিকট সবিস্তার বর্ণনা করল । ইমানদার পরহেজগার মহিলা জবাব দিল / অহে ভণ্ড নবীজীর মেরাজের ঘটনা তোমার নিকট মিথ্যা হয়েছিল / সহজে বিশ্বাস করনাই

কিন্তু এখন কেমন হল ।

লোকটি সাথে সাথে নবীজীর নিকট গিয়ে কলমা পড়ে মুসলমান

হয়ে গেল । এবং উক্ত মাজেজা প্রকাশ হলে ঐ গোত্রের ৩/৪ শত

বেদীন ইসলাম গ্রহন করেছিল ।

এজন্য সদা সর্বদা আল্লাহ এবং তার রাছুলের উপর আমাদের

ঈমানকে মজবুত রাখা দুনিয়া ও আখিরাতের মুক্তি ।

আল হাদিস থেকে সংকলিত ।

চলবে

***************************

কবিতা



নুর নবী হযরত ঈমানের জ্যোতি

এম, জি, আর , মাসুদ রানা

কবি / সাহিত্যিক ।



চিনতে হবে ঈমান রত্ন

রাখ দিলে অতি যত্ন

তিনিই খোদার সেরা নেয়ামত

মোহাম্মদ সা নুর নবী হজরত ।

তারি রহমত সকল সৃজন

কুল মাখলুখাত নুরে রৌশন

তিনি খোদার প্রিয় হাবিব

আমরা শ্রেষ্ঠ তার উম্মত ।

ইসলামের সওদা লয়ে

জগত মাঝে দিক চিনায়ে

কোরআনেরও বানী দিল

পাইতে পুন্য পথ ।

এস সবে তারি প্রেমে

জানাই দরুদ ছালাম তাজিমে

ঐ মদিনায় মন ফেরাই

তিনিই সব উম্মতের শাফায়াত ।

হে দয়াময় বারী তায়ালা

দাও সে দয়ার ঈমান নুরেলা

তিনিই আসল কাবা কেবলা

নুরী কালমার জান্নাতি সওগাত ।



********************

একটি আনন্দ বার্তা

১২ই রবিউল আওয়াল নুর নবীজীর জগতে শুভাগমনের মাহেন্র

রহমতি ক্ষন ।

বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশে যথাযোগ্য রাসটীয় মর্যাদায়ইপবিত্র

ঈদে মিলাদুন্নবি সা হয় উদযাপন ।

আমরাও সেই রহমতের দিনে সবাই মিলে

খোদার দরবারে শোক্রিয়া আদায়ে নবীজীর প্রতি জানাই লক্ষ



কোটি দরুদ ও ছালাম ।

ইসলাম এবং তাত্ত্বিক আলোচনা ,

ও বিধর্মীদের ভিন্নমত ।

**********************************

***********************



হে মুমিনগন তোমরা সম্পূর্ণ ভাবে ইসলামে দাখিল হও সুরা বাকারা ২০৭ /





আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করিওনা , নিশ্চয় শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু ।



যখন আদম আ কে সৃষ্টি করলেন ।আল্লাহর হুকুমে সব ফেরেস্তা

আদম আ এর সম্মানে সেজদা দিল ,শয়তান বিরুধিতা করল

আল্লাহর হুকুম না মানার কারনে আল্লাহু পাক শয়তান কে

শাস্তি দিলেন এবং দুযখের আগুনে শ্রিংখলিত করে রাখলেন ।



খালিকিচ্ছামাওয়াতি অয়াল আরদিন । আচ্ছালামু আচ্ছালাতু আলা

মান খানা নাবিয়াও অয়া আদামু বা মায়ে অয়াত্তিন ,



অর্থ নবীজীর মুখ নিশ্রিত বাণী / আল্লাহর ক্ষুদ্রতে আদম যখন কাদা

মাটি পানি মিশ্রিত তখনই আমি আল্লাহর রাছুল । হাদিস



আল্লাহু বাম পাজর থেকে হাওয়া আ কে সঙ্গিনী বানালেন ।

এবং বহু দিন যাবত বেহেস্তে বাস করতে লাগলেন । আল্লাহ আদম

আ কে বেহেস্তি সব কিছু জ্ঞান শিক্ষা দিলেন যা ফেরেস্তাগন পর্যন্ত

জান তনা । আদম আ কে নিষেধ দিলেন সবস্থানে যাইও কিন্তু

নিষিদ্ধ গন্দম ফল ভক্ষন করনা ।



বস্তুত শয়তান আদম আ কে প্রলোভনে নিয়ে নিষিদ্ধ ফল খাওয়ালেন ।সাথে সাথে আল্লাহ পাক আদম আ ও হাওয়া আ কে

বেহেস্ত হতে দুনিয়ায় নামিয়ে দিলেন ।



শত শত বছর আদম আ ও হাওয়া আ আল্লাহর দরবারে ভুলের

জন্য কাদলেন । ৩৬০ বছর পর আরাফাতের ময়দানে তারা মিলিত

হলেন এবং মুনাজাত করতে লাগলেন

হে আমার সৃষ্টি কর্তা আরশ মহল্লায় তোমার নামের পাশে যার নাম

মোহাম্মাদ তার খাতিরে আমাদের ক্ষমা করুণ । আল্লাহ পাক তাদের দোয়া কবুল করলেন বললেন দুনিয়ায় বাস করতে থাক এবং আমাকে সরণ কর নিশ্চয় তোমাদের প্রভু অতি ক্ষমা শীল ।



আদম আ এর বংশ বৃদ্ধি হতে লাগল , শয়তান দুনিয়ায় আসার

আগে আবার আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইলেন । আল্লাহ ক্ষমা মঞ্জুর

করেনি শয়তান হতাশ হয়ে বলেন প্রভু আমি চির জাহান্নামি তাহলে

আমাকে ভিন্ন শক্তি দাও ।



সেকেন্ডে সব স্থানে যাতায়াত , দিলাম । সব জিব জন্তুর আকার

ধারন ,দিলাম । সব মানুষের রগে রগে বিছরন / দিলাম । কিন্তু

অহে শয়তান আমার প্রক্রিত ইমানদার গনের চুল পরিমাণ

ক্ষতি করার ক্ষমতা তোর নাই ।যারা তোর পথ অনুসরণ

করবে তারাই জাহান্নামী ।



আল্লাহু এবং তার রাছুলের বাণী আমরা মানি তাহলেই আমাদের

ইমান ইসলাম /মুক্তি আসবে । আলোচনা কোরআন ও হাদিস

ভিত্তিক যার কোন সন্দেহ নাই । আল্লাহ আমাদের হেদায়াত দিন

রাছুল আমাদের রহমত দিন । মদিনায় লক্ষ কোটি দরূদ ছালাম



ছালাতুনিয়া রাছুলুল্লাহ আলাইকুম

ছালামুনিয়া হাবিব আল্লা আলাই কুম



আসলে ইমান রুহে কোরআন মগজেদিন

হাস্তে হুব্বে রাহমাতুল্লিল আলামিন ।



অর্থ ইমানের মুল কোরআনের রুহ দিনের মগজ

তিনি যিনি সমস্ত জগতের রহমত । আল্লাহর দুস্ত নবী পাক হজরত

মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে অয়াচ্ছাল্লাম ।









** ফ্যেত্না ইসলামে নিষিদ্ধ ।

প্রশ্ন <>



: ইন্টারনেট কি হালাল?



** আমরা যা বুঝি ইন্টারনেট এর বাংলা উন্নত যুগাযুগ ব্যবস্থা ,

আল্লাহ পাক বলেন তোমরা যা ভাল তাতে অগ্রসর হও এবং মন্দ

কাজ বর্জন কর ।



ইন্টারনেট তো খারাপ নয় বরং যাদের মাধ্যমে ইন্টারনেট টা দূষিত হয় এমন মন্তব্য খারাপ ছবি / বিকৃত মানসিকতার অসৎ

উদ্দ্যশ্য প্রনিত লেখা প্রভৃতি থেকে মুক্ত রাখলে খারাপ হবে কেন ।

বিজ্ঞান ত আল্লাহর দান

হাদিস আমার অনুগ্রহ /বা রহমত ছাড়া কারও কোন কিছু করা সম্ভব নয় ।

এত এব ভাল চিন্তা চেতনায় যা করা হয় আল্লাহ তার সাহায্য কারি





আমারা নামাজে বৈঠকে দর্রুদ পড়িঃ

******************

আল্লাহুমা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লায়তালা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহিমা ইন্নাকা হামিদুম্ মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহিমা ইন্নাকা হামিদুম্ মাজিদ।



অর্থঃ হে আল্লাহ্! তুমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলায়েহে ওয়া সাল্লাম ও তাঁর বংশধরগণের ওপর আশিস বর্ষণ করো, যেভাবে তুমি ইব্রাহিম ও তাঁর বংশধরগণের ওপর আশিস বর্ষন করেছিলে। নিশ্চয় তুমি মহাপ্রশংসিত মহামর্যাদাবান। হে আল্লা ! তুমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলায়েহে ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর বংশধরগণের ওপর কল্যাণ বর্ষন করো, যেভাবে তুমি ইব্রাহিম ও তাঁর বংশধরগণের ওপর কল্যাণ। নিশ্চয় তুমি মহাপ্রশংসিত মহা মর্যাদাবান।



উপরের এই দরুদ শরিফের বাংলাটা ভালো করে দেখুন মুহাম্মাদ (সাঃ) শ্রেষ্ট নাকি ইব্রাহিম শ্রেষ্ট? এই দরুদে আল্লাহ স্পষ্ট বলছে ইব্রাহিম শ্রেষ্ট। মুহাম্মাদ (সাঃ) ইব্রাহিমের শ্রেষ্টত্ত্ব চাচ্ছেন। তাহলে আপনি আমি কেন মুহাম্মাদকে শ্রেষ্ট বলছিনা ।







সূরা কাহফ্ ১৮:৫৬ আয়াতঃ

وَمَا نُرْسِلُ الْمُرْسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ وَيُجَادِلُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوا بِهِ الْحَقَّ وَاتَّخَذُوا آيَاتِي وَمَا أُنذِرُوا هُزُوًا

অর্থঃ আমি রাসূলগনকে সুসংবাদ দাতা ও ভয় প্রদর্শন কারীরূপেই প্রেরণ করি এবং কাফেররাই মিথ্যা অবলম্বনে বিতর্ক করে, তা দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করে দেয়ার উদ্দেশে এবং তারা আমার নিদর্শনাবলীও যদ্বারা তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করা হয়, সেগুলোকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করে ।



সূরা বনী ইসরাঈল ১৭:১০৫ আয়াতঃ

وَبِالْحَقِّ أَنزَلْنَاهُ وَبِالْحَقِّ نَزَلَ وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلاَّ مُبَشِّرًا وَنَذِيرًا

অর্থঃ আমি সত্যসহ এ কোরআন নাযিল করেছি এবং সত্য সহ এটা নাযিল হয়েছে। আমি তো আপনাকে শুধু সুসংবাদাতা ও ভয়প্রদর্শক করেই প্রেরণ করেছি।



সূরা হাজ্জ্ব ২২:৪৯ আয়অতঃ

قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ نَذِيرٌ مُّبِينٌ

অর্থঃ বলুনঃ হে লোক সকল! আমি তো তোমাদের জন্যে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ককারী।



সূরা আল আনকাবুত ২৯:৫০ আয়াতঃ

الْآيَاتُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ

অর্থঃ বলুন, নিদর্শন তো আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আমি তো একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।



সূরা আল আহযাব ৩৩:৪০-৪৫ আয়াত

مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا

অর্থঃ মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল, নবীদের শেষ । আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।

يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا

অর্থঃ হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি।



সূরা ফাতির ৩৫:২৩-২৪

إِنْ أَنتَ إِلَّا نَذِيرٌ

অর্থঃ আপনি তো কেবল একজন সতর্ককারী।

إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَإِن مِّنْ أُمَّةٍ إِلَّا خلَا فِيهَا نَذِيرٌ

অর্থঃআমি আপনাকে সত্যধর্মসহ পাঠিয়েছি সংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। এমন কোন সম্প্রদায় নেই যাতে সতর্ককারী আসেনি।



সূরা ইয়াসীন ৩৬:৩৬ আয়াতঃ

لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أُنذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ

অর্থঃ যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল।



সূরা ছোয়াদ ৩৮:৪ আয়াতঃ

وَعَجِبُوا أَن جَاءهُم مُّنذِرٌ مِّنْهُمْ وَقَالَ الْكَافِرُونَ هَذَا سَاحِرٌ كَذَّابٌ

অর্থঃ তারা বিস্ময়বোধ করে যে, তাদেরই কাছে তাদের মধ্যে থেকে একজন সতর্ককারী আগমন করেছেন। আর কাফেররা বলে এ-তো এক মিথ্যাচারী যাদুকর।



সূরা ক্বাফ ৫০:২আয়াতঃ

بَلْ عَجِبُوا أَن جَاءهُمْ مُنذِرٌ مِّنْهُمْ فَقَالَ الْكَافِرُونَ هَذَا شَيْءٌ عَجِيبٌ

অর্থঃ বরং তারা তাদের মধ্য থেকেই একজন ভয় প্রদর্শনকারী আগমন করেছে দেখে বিস্ময় বোধ করে। অতঃপর কাফেররা বলেঃ এটা আশ্চর্যের ব্যাপার।



সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৫১ আয়াতঃ

وَلَا تَجْعَلُوا مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ إِنِّي لَكُم مِّنْهُ نَذِيرٌ مُّبِينٌ

অর্থঃ তোমরা আল্লাহর সাথে কোন উপাস্য সাব্যস্ত করো না। আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট সতর্ককারী।



সূরা আল মুলক ৬৭:২৬ আয়াতঃ

قُلْ إِنَّمَا الْعِلْمُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ

অর্থঃ বলুন, এর জ্ঞান আল্লাহ তা’আলার কাছেই আছে। আমি তো কেবল প্রকাশ্য সতর্ককারী।



সূরা হা-মীম সেজদাহ ৪১:৪৩ আয়াতঃ

مَا يُقَالُ لَكَ إِلَّا مَا قَدْ قِيلَ لِلرُّسُلِ مِن قَبْلِكَ إِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍ وَذُو عِقَابٍ أَلِيمٍ

অর্থঃআপনাকে তো তাই বলা হয়, যা বলা হত পূর্ববর্তী রসূলগনকে। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার কাছে রয়েছে ক্ষমা এবং রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।



সূরা আল আহক্বাফ ৪৬:৯ আয়াতঃ

قُلْ مَا كُنتُ بِدْعًا مِّنْ الرُّسُلِ وَمَا أَدْرِي مَا يُفْعَلُ بِي وَلَا بِكُمْ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ وَمَا أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ مُّبِينٌ

অর্থঃবলুন, আমি তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ক কারী বৈ নই।



সূরা নাহল ১৬:৩৫ আয়াতঃ

وَقَالَ الَّذِينَ أَشْرَكُواْ لَوْ شَاء اللّهُ مَا عَبَدْنَا مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ نَّحْنُ وَلا آبَاؤُنَا وَلاَ حَرَّمْنَا مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ كَذَلِكَ فَعَلَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَهَلْ عَلَى الرُّسُلِ إِلاَّ الْبَلاغُ الْمُبِينُ

অর্থঃমুশরিকরা বললঃ যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে আমরা তাঁকে ছাড়া কারও এবাদত করতাম না এবং আমাদের পিতৃপুরুষেরাও করত না এবং তাঁর নির্দেশ ছাড়া কোন বস্তুই আমরা হারাম করতাম না। তাদের পূর্ববর্তীরা এমনই করেছে। রাসূলের দায়িত্ব তো শুধুমাত্র সুস্পষ্ট বাণী পৌছিয়ে দেয়া।



সূরা আল আনকাবুত ২৯:১৮ আয়াতঃ

وَإِن تُكَذِّبُوا فَقَدْ كَذَّبَ أُمَمٌ مِّن قَبْلِكُمْ وَمَا عَلَى الرَّسُولِ إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ

অর্থঃ তোমরা যদি মিথ্যাবাদী বল, তবে তোমাদের পূর্ববর্তীরাও তো মিথ্যাবাদী বলেছে। স্পষ্টভাবে পয়গাম পৌছে দেয়াই তো রসূলের দায়িত্ব।



সূরা আশ-শুরা ৪২:৭আয়াতঃ

وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ

অর্থঃএমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে,

সূরা নমল ২৭:৭৫ আয়াতে বলেছেনঃ

وَمَا مِنْ غَائِبَةٍ فِي السَّمَاء وَالْأَرْضِ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ

অর্থঃআকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে ।

************ আমি কাউকে কাফের মুস্রেক ডাকি নাই



আল্লাহ পাকের ঘোষণা আর যদি তোমরা সন্দিহান হও , আমার খাছ বান্ধার দুস্তেরবা নবীজীর উপর নাজিল অবধারিত কিতাবে

তবে তোমরা অনুরূপ একটি সুরা রচনা কর ,তোমাদের সঙ্গী যারা খোদা হইতে পৃথক । যদি তোমরা সত্য বাদি হও , অনন্তর যদি তোমরা তাহা করিতে না পার এবং তোমরা কখনও তাহা করিতে পারবেনা । তবে তোমরা আত্ত রক্ষা করিও দুযখ হইতে

যাহার খোরাক বা খাদ্য হবে অবিশ্বাসী মানুষ ও কাফের । সুরা বাকারা আয়াত ২২/২৩।২৪।





আল্লাহই অবিশ্বাসীদের কাফের ডাকিয়াছে । যদি মুসলমান হন

তওবা করুন আর যদি বিধর্মী হন তাহলে চাপা বাজি বন্ধ করে

বিভ্রান্তি থেকে দূরে থাকুন । আল্লাহ অবশ্যই বিভ্রান্তি কারিদের পছন্দ করেন না ।

মাসুদ রান৮২ বলেছেন: হাদিস ৩ প্রকার কউলি /ফিলি /ও তাক্রিরি

অর্থ নবীজীর পবিত্র জবান মুবারক থেকে যা প্রকাশ তা ।তার কর্ম ও

মহান জীবন আদর্শ এবং উপদেশ সমূহ প্রভৃতির বিশাল সংকলন

বা কিতাব গ্রন্থ কে হাদিস নামকরনে ডাকা হয় ।

ইয়াজিদ , আবু সুফিয়ান , আবুজাহেল প্রমুখের কথা বার্তা কখনও কম্মিন কালেও হাদিস হতে পারেনা এসব দাজ্জালি যুক্তি পরিহার করুন সত্যকে হ্রদয়ে স্থান দিন আল্লাহ অবশ্যই তওবা কবুল কারি ও ক্ষমাশীল । আমিন







** সারা বিশ্বে আরবি ও মুসলিম বিশ্ব

বিদ্যালয়ে দাখিল থেকে ফাজিল পর্যন্ত হাদিসের বহু সাবজেক্ট

রয়েছে ।



আলেম গন মুফতি মাওলানা গন এইসব হাদিস সম্পর্কে ভ্রান্ত নীতি ,খোঁড়া যুক্তি দৃষ্টি আকর্ষণ কিছু মন্তব্য ।

************************













আমি কোরআন মানি, তার মানে আল্লাহকে মানি। আমি যদি কোরআন মানি তাহলে এমনিতেয় রাসুলকে মানা হয়ে যায়।



হাদিস সংগ্রহ বা মাত্রাসা শিক্ষা ইহুদিরা /মিশনারিরা করবে কেন?



নবীজী ১ম মসজিদে নব্বি তে ইসলামী শিক্ষা চালু করেছিলেন ।

আর কুরাইশ ও বেদিন দের বিরুদ্ধে বদরের যুদ্ধে বহু সংখ্যক

মক্কার কাফের মুস্রেক মদিনায় নবীজীর নিকট বন্ধি হয়েছিলেন । তাদের মধ্য অনেকেই মুসলমান হয়ে যায় আর অনেকেই

মুক্তিপনের মাধ্যমে ছাড়া পায় / যারা মুক্তি পন দিতেসাধ্য নেই

নবীজী একটি ইসলামী মাত্রাসা শিক্ষা চালু করে নবীজীর নির্দেশ অনুযায়ি তারা বিনা বেতনে মদিনার অনেক মূর্খ সাহাবা

ও শিশুদের পড়াতেন ।আর এভাবেই তাদের মুক্তি পন আদায়

হত । তখনকার সময়ে মক্কার কুরাইশ আরব গন পৃথিবীর মধ্য

শিক্ষা দিক্ষায় এগিয়ে ছিলেন ।



পরে আরও মাত্রাসা চালু হয় । ইসলামের প্রধান ৪ খলিফা

হজরত আবু বকর বা , হজরত উমর ফারুক রা , হজরত উসমান রা হজরত আলী রা তাদের সময়ে ইসলামের ব্যপকতা

উজ্জলতা সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন দেশে প্রদেশে

ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থা মক্তব মাত্রাসা চালু করেন ।



পরে সাহাবা যুগের অবসান আসে তাদের আওলাদ তাবে তাবেয়িন ইমাম গনের যুগ এইসময় বিশিষ্ট জ্ঞানি গুনি গন

হাদিস সংগ্রহের তাগিদ ও মক্তব মাত্রাসায় ছড়ানো তা একত্র

করেন । তাদের মধ্য অন্যতম ছিলেন , ইমাম বুখারি রা ,ইমাম তিরমিজ কারি রা , ইমাম মুসলিম হাস নাত রা , ইমাম আবুনছর নাসায়ি রা আবুল ফজল মেসকাতি রা । আসলে হাদিস নবীজীর বানী কিন্তু গ্রন্সথ বা বই আকারে যারা সংগ্রাহক

তাদের নামে রাখা হয় ।

এভাবেই মাত্রাসা শিক্ষা ও নির্ভুল কোরআন হাদিস সংরক্ষিত হয় । যা তিল পরিমাণ সন্দেহ করাও পাপ । আল্লাহু বুঝার রহমত দিন ।





***************** নবী রাছুল গনের উপর আল্লাহ প্রদত্ত ১০৪ কানা কিতাব

নাযিল হয় । এর মধ্য প্রধান ৪ টি । ইশা আ এর কিতাব ইঞ্জিল শরিফ । আমরা আল্লাহ প্রদত্তসকল কিতাবের ওপর বিশ্বাস

স্থাপন রাখি । কিন্তু বিভিন্ন জাতি বিভিন্ন গোত্র যদি প্রকৃত ভাবে

তাদের আদি কিতাব সমূহ সংরক্ষণ করতে না পারে , সে দুষ কাকে দেওয়া যায় । আবার প্রমানিত আলাহ পাক কোন এক

রেওয়াতে উল্লেখ করেন । আমার মনোনীত ধর্মই ইসলাম এবং কোরআন নাজিলের সাথে সাথে অন্যান্য কিতাব সমুহের অস্তিত্ত বিলিন হয়ে যাবে ।যারা এই কিতাবকে ধরে রাখবে তারাই সফলকাম ।



বস্তুত কিয়ামত অবধি কোরআনের হেফাজত আমার ।

আর একটি কথা জানা দরকার আদম আ থেকে

অধ্যবধি পর্যন্ত সকল নবী রাছুল ফকির সাধু রাজা বাদশা

কবি বিজ্ঞানি দার্শনিক ও জ্ঞানি গুনি দের জীবন কাহিনি

যুগে যুগে ইতিহাসে ও বই পত্তরে সংরক্ষণ আছে ।



সেথা আমাদের নবীজীর ইতিহাস কেন থাকবেনা । নবি জীবনীই তো হাদিস ।









জ্ঞানি হও

আল্লাহ বলেন পৃথিবীর সব সাগরের পানি যদি কালি হয়

আর বৃক্ষ দ্বারা যদি কলম বানানো হয় ,তাইলে এইরুপ সাগরের

কালি ৭ বার নিঃশেষ হবে তবুও আমার মহত্তের শেষ পাবেনা ।

ছুব হান আল্লাহ







মুসলমানগণ মসজিদে শুক্রবারে

খুতবা পাঁট করে । নামায যেমন ফরজ ,খুতবা শ্রবন অয়াজিব

ফরজের পরেই অয়াজিবের স্থান ।



খুতবা ১ *******************

অন্যান্য নবীদের উপর নিজ নিজ উম্মতের কালমা কি ছিল ।

আদম আ এর উম্মত বলত লাইলাহা ইল্লাল্লাহু আদামু সাফিউল্লা ।নুহ আ এর উম্মত বলত লাইলাহা ইল্লাল্লাহু নুহ নাবিউল্লা

ইভ্রাহিম আএর উম্মত লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ

মুসা আ এর উম্মত বলত লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুসা কালিমুল্লা

ঈশা আ এর উম্মত বলত লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ঈশা রুহুল্লাহু



আর সকল নবীদের কলমা ছিল লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ ।

শেষ বিচারে সব নবী গন বলবে ইয়া রাব্বি নাফছি হে আল্লাহ আমাকে বাচাও ।

শুধু হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হেওয়াচ্ছাল্লাম বলবে

ইয়া রাব্বি হাব্লি উম্মতি

হে আল্লাহ আমার উম্মত কে বাচাও , এজন্য ঈসা আ আমাদের

নবীর উম্মত হয়ার জন্য আবেদন করলে জিন্দা আসমানে উটিয়ে ছিলেন এবং কিয়ামতের পূর্বে তার উম্মত হিসাবে আসবেন ।

লিঙ্ক দেখ খুতবা







সূরা নিসা ৪:১৩৬ আয়াতঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ آمِنُواْ بِاللّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِيَ أَنزَلَ مِن قَبْلُ وَمَن يَكْفُرْ بِاللّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلاَلاً بَعِيدًا

অর্থঃ হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর, যা তিনি নাযিল করেছেন স্বীয় রসূলের উপর এবং সেসমস্ত কিতাবের উপর, যেগুলো নাযিল করা হয়েছিল ইতিপূর্বে। যে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর ও কিয়ামতদিনের উপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট ।









আল্লাহ পাকে হযরত মোহাম্মদ সা কে

আল্লাহ পাক সব কিতাবে নবীদের নবী রাছুল গনের রাছুল

এবং আওয়াল আখের যাহের বাতেন ও শাফায়াতের কাণ্ডার

হিসাবে উল্ল্যখ করেছেন ।









সূরা নিসা ৪:১৩৬ আয়াতঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ آمِنُواْ بِاللّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِيَ أَنزَلَ مِن قَبْلُ وَمَن يَكْفُرْ بِاللّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلاَلاً بَعِيدًا

অর্থঃ হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর,





বুঝলে জ্ঞান সামান্যতে হয় পাকা

না বুঝলে মাথায় ঝাঁকা ।







[সয়ং ইসলাম সয়ং ঈমান উম্মতের কাণ্ডার নুর নবী

হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াছাল্লাম

এর বেলাদত শরিফ ১২ই রবিউল আওয়াল উদযাপন

উপলক্ষে তার মহান শানে ]



এম , জি আর , মাসুদ রানা ।

কবি ও ইসলামী গবেষক





ঈদে আজম ঈদে মিলাদুন্নবি সা সকল ঈদের সেরা

আনন্দ উৎসবে দরুদ ছালাম জানায় সকল ফেরেস্তারা

বৃক্ষলতা জীব সমষ্টি যত কুল মাখলুকাত

ভেজে দরুদ ঐ মদিনায় পাইতে রহমত

জিন্দা নবী দয়ার সাগর সয়ং খোদার দান

কোরআনে গাইলেন তিনি সেই নবীজীর শান মান

আদেশ দিলেন তিনি মানব কে তারে ভালবাস

পুন্য পথের ঈমান রত্ন রাছুলুল্লাহ মুক্তি লাভে এস

খোদাকে পাওয়া তারি মাঝে চেনা সহজ বানী

সেই রহমতের সওদা করি এস মুমিন মোহাম্মাদ সা কে চিনি ।

তিনি কত পুন্যময় সব নবীদের সেরা

ছালাম ভেজে সয়ং মাবুদ মদিনা মনোয়ারা ।

ইসলামেরই নিশান ওড়ে তারি আবহায়াতে

এস মমিন ছুটে এস সেই নামের মধুময় শান্তির জান্নাতে ।







: নুর নবী হযরত মোহাম্মদ সা এর সাথে বেয়াদবির ফল ।

************************************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ



নুর নবী হযরত মোহাম্মদ মস্তুফা সা আ নবুয়তের স্বরনালী যুগে

বিশ্বের বিভিন্ন রাজা বাদশাহ দের দরবারে ইসলামের দাওয়াত

পৌছাতেন ।

তেমনি আরবের মিশর অধিপতি খসরু মালেকের নিকট দুত মারফত

দাওয়াত পাটালে , বাদশাহ রুষ্ট হয়ে নবীজীকে গ্রেফতার করার জন্য

তার সেনাপতি কে পাটিয়ে দেন ।



নবীজীর দরবারে আদেশ সহ সেনাপ্রধান উপস্থিত হলে

নবীজী সেনাপ্রধান কে মুচকি হেসে বললেন যার আদেশ নিয়ে

এসেছ সে তো আর বেচে নেই বরং তার ছেলে খসরু

ক্ষমতা দখল করেছে ।

সত্যতা যাচাই করে পরে আমার নিকট এস ।

সেনাপতি মাথা নিছু করে মিশরে গিয়ে দেখেন সব সত্য । কিছুদিন

পর ঐ ব্যাক্তি মুসলমান হয়ে যায় ।



এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে কিছু সংখ্যাক দুষ্ট মা আয়েশা সিদ্দিকা রা এর

উপর মিথ্যা দুষ ঝারি করে ।

নবীজী সাথে সাথে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানালে

ঐ ৬ দুষ্ট অপঘাতে , এবং আগুনে পোড়ে এবং পক্ষাঘাত আক্রান্ত হয়ে

মারা যায় ।



নবীজীর সাথে এমন বহু বেয়াদবির শাস্তি আমরা ইতিহাসে দেখতে

পাই ।

এত এব আল্লাহর হাবিবের প্রতি পরিপূর্ণ ঈমান রাখা এবং দুনিয়ার

কারও সাথে তুলনা করা থেকে বিরত থাকা

প্রকৃত ইমানদারের পরিচয় ।



আমরা হাজারও দরুদ ও ছালাম ভেজি দয়াল নবীজীর পাক রওজা

মোবারকে ।





: নুর নবী হযরত মোহাম্মদ সা চাঁদ কে ইশারায় দু টুকরা করেছিলেন ।

******************************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ



ইসলাম প্রাথমিক পর্যায়ে নবীজীর চাচা আবুজাহেল গোড় পুত্তলিক

ছিলেন , তার অত্যাচার যুলুম নবীজী ও ইসলামের উপর যেমন দিন দিন বাড়তে লাগল তেমনি

নবীজীর অনুসারিও বৃদ্ধি পেতে লাগল ।



আল্লাহ জিব্রাইল আ এর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন দেশের বাইরেও

ইসলামের দাওয়াত যথাযত পৌঁছে যাক ।

নবীজী আরও অনেকের মত দুত মারফত মিসরের বাদশা সালামত কে নবীজীর সীলমোহর অংকিত পত্র দাওয়াত দিলেন ।



বাদশা নবীজীর সত্য বানী উপলব্দি করে কয়েক হাজার আমির ওমরা

সহ মক্কায় অবস্থান করলে , কুরাইশ সরদার আবুজাহেল বাদশাকে

আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন এবং মক্কার প্রধান প্রধান নেতৃস্থানীয়

লোকদের নিয়ে শাহি বৈঠকে বসেন ।



সংবাদ পেয়ে নবীজী সভাস্থলে উপস্থিত হলে মিশরের বাদশা সম্মান

জানিয়ে নবীজীকে তাজিমের সহিত বিশিষ্ট আসনে বসার আমন্ত্রন জানান , বাদশার সাথে সাথে সমস্ত আরব মিসর ও বানিজ্য করতে আসা বহু দেশের জ্ঞানি গুনিজন দাড়িয়ে সম্মান জ্ঞাপন করেন ,

আবু জাহেল ও বসে থাকেনি ।



নবীজী মধুর সুরে কয়েকটি কোরআনের আয়াত পাঁট করেন এবং

আল্লাহর একত্ত বাদ সম্পর্কে বুঝান ।

আবুজাহেল রাগে কম্পমান হয়ে প্রস্তাব করে বসে যদি তুমি সত্য

নবী হয়ে থাক তাহলে আকাশের ঐ চাঁদকে আকাশে হাজির কর

এবং দুই টুকরা করে দেখাও , আমি কসম করে বলছি আমি আবুজাহেল মুসলমান হয়ে যাব ।



নবীজী আনন্দিত হয়ে আল্লাহর দরবারে শক্রিয়া আদায় করেন

এবং আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা দেয় ,

চাদের দিকে শাহাদাত অংগুলি মোবারক দিয়ে ইশারা করেন ।

সঙ্গে সঙ্গে চাঁদ দুই ভাগ হয়ে একটি দক্ষিন এবং অন্যটি উত্তরে

অবস্থান নেয় ।



তখন কার সময়ে লক্ষ লক্ষ দুনিয়া বাসি এ আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষি

আবুজাহেল বেঈমান লাফ দিয়ে চিৎকার জুড়ে দেয় মুহাম্মদ একজন শক্ত যাদুগর , নাউযুবিল্লাহ মিন যালেক ।



মিশরের বাদশা সহ শত শত লোক নবীজীর নিকট পবিত্র কলমা

পাট করেছিলেন । লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুররাছুলুল্লাহ ।

সবাই কন ছুবহান আল্লাহ ।

আবুজাহেল্ নবীজীর সাথে ২৩ বার এরুপ বেইমানি করেছেন ,



অবশেষে আল্লাহ পাক বলেন হে আমার প্রিয় হাবিব তার এক হাতে চাঁদ আরেক হাতে সূর্য এনে দিলেও সে দিনে আসবেনা বস্তুত

তার হৃদয় মোহর অংকিত সেথা শয়তানের বাস ইসলামের আলো

সেথা পৌঁছ বেনা ।



সমাজে এখনও আবুজাহেলের মত বহু লোকের সন্ধান মিলবে ।

আল্লাহ আমাদের সত্য সুমতে ইসলামের জুতিতে সবার জিন্দেগি

কে হেদায়েত স্বরূপ রহমত দিন , আমিন , [চলবে ]

ইসলাম নিয়ে ভ্রান্ত ধারনার জবাব এবং নবীজীকে জিন্দা জানা ইমানদারের পরিচয় ।





প্রিয় নবী সা এর মহব্বতই প্রকৃত ঈমান ।

কোরআনের আয়াত , হে নবী নিশ্চই আমি আপনাকে প্রেরন করেছি

উপস্থিত'' পর্যবেক্ষক '' হাজির নাজির করে , সুসংবাদ দাতা এবং

সতর্ক কারী রূপে , এবং আল্লাহর প্রতি তার নির্দেশে আহবান কারী

আর আলোকোজ্জ্বল কারী সূর্য রূপে । যে নবুয়তের নুর আল্লাহ পাক

তার প্রিয় হাবিব সা কে দান করেছেন তা লক্ষ কোটি সূর্যালোক হইতে

উত্তম ।



এবং আমি আপনাকে সারা জাহানের রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি ।

রহমত বা অনুগ্রিহ দয়া এমনি এক বস্তু যার অভাবে বৃক্ষের পাতা

কেন , সামান্য জীবের পাখা পর্যন্ত নড়েনা ।



এজন্য নুর নবী হযরত মোহাম্মদ সা এর প্রতি সর্ব উত্তম তাজিম বা

সম্মান জানানো ইমানদারের জন্য ফরজের চাইতেও বেশি ।

একবার দরুদ পড়লে ১০ নেকি , ১০ গোনাহ মাফ হয় , এবং আমল

নামায় ১০ সম্মান বৃদ্ধি করে দেওয়া হয় । হাদিস বোখারি ও মুসলিম

শরিফ । দরুদ আল্লাহর ৯৯ টি পবিত্র নাম কে আস্মাউল হুসনা জানি

তেমনি নবীজীর পবিত্র নাম বহু ,

যেমন রাহমাতাল্লিল আলামিন , শাফিউল মাঝনেবিন , ছায়িদুল মুরছালিন , প্রভৃতি ।

তার পবিত্র নাম মধুর সুরে মহব্বতের সহিত পাঠ করাই দরুদ

ছালাতুন ইয়া রাছুলুল্লাহ আলাইকুম

ছালামুন ইয়া হাবিব আল্লাহ আলাইকুম ।

আসলে ঈমান রুহে কুরআন মগজেদিন

হাস্তে হুব্বে রাহমাতাল্লিল আলামিন ।

খোদ খোদানে রেজা জুয়ে মোহাম্মদ

খোদা মিলতা হায় দরবারে মোহাম্মদ । এই ভাবে পড়ব । । হাদিস





আল্লাহ প্রভু , তিনি কোন এবাদত বন্দেগী করেন না , কিন্তু তার প্রিয়

মাহবুব দুস্ত , তার প্রতি দরুদ ছালাম ভেজেন ।

কোরআন আমি এবং আমার অসংখ্য ফেরেস্তাগন কে নিয়ে দরুদ ও

ছালাম ভেজি হাবিবের উপর ।

হে ইমানদার গন তোমরাও দরুদ ছালাম ভেজ । সুরা আহযাব - আয়াত ৫৬ ।





আল্লাহর হুকুম ফরজ ।

আর নিজে খোদা দরুদ ও ছালাম ভেজে থাকেন হাবিবের উপর এবং

আদেশ দিয়েছেন পড়ার জন্য , তাত ফরজের চাইতেও বেশি ।



আয়াত , যারা তার '' নবীজীর ''উপর ঈমান আনবে , তার তাজিম করবে , তার সাহায্য করবে '' তার অনুসরন করা ;; এবং তার উপর

অবতীর্ণ কোরআনের অনুসরন করবে তারাই হবে সফলকাম , সুরা

আরাফ , আয়াত ১৫৭ ।



উপমহাদেশের বিশিষ্ট আউলিয়া বায়েজিদ বোস্তাম রা এর একটি

কেরামত এমন যে ,

তিনি বহু লোক লস্কর লয়ে নিয়মিত খানকাহ বা বৈঠক ঘরে

আল্লাহ রাছুলের দ্বীন ইসলাম নিয়ে আলোচনা করতেন ,

তার মধুর বয়ান শুনে বস্তাম নগরের বহু বেদিন ইসলামে দাখিল

হয়েছিল ।

তিনি একদিন এমনি বয়ান করতেছিলেন , এক নালায়েক বেদিন তিনির কথার মধ্য বার বার বাধা দিতে লাগলেন ।

এক সময় বিরক্তি বোধ আসল এবং বলল হে পথিক কি প্রয়োজন

কেন এমন আচরন করছ ।

হুজুর আমি জানতে চাই আল্লাহ যদি কেউ থাকে তবে তাকে দেখা

যায় না কেন । যদি দেখাতে পারেন তাহলে মুসলমান হয়ে যাব ।

বায়েজিদ রা চিন্তা করলেন এবং সঙ্গীদের চুপ থাকার নির্দেশ দিয়ে

লোকটিকে ডাকলেন ,



হে আগন্তুক তুমি ঐ পাহাড়ে যাও এবং কিছুক্ষন পর ফিরে আস



লোকটি পাহাড়ে গেলেন , দেখে পাহাড়ের এক বৃক্ষ শাখায় মস্ত

বড় সাপ তার দিকে ফনা তুলে ভয়ংকর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ।

ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে দরবারে ফিরে আসে হুজুর আর বাচমুনা ।

কেন কি দেখেছ ।

হুজুর সাপ ভয়ংকর আমাকে গিলে খাবে ।



ভয় পেওনা ঐ সাপের মালিক আল্লাহ , ।

হুজুর আমি আল্লাহ কে দেখতে চাই ।

টিক আছে ঐ জঙ্গলে অবস্থান নাও ,

লোকটি সেথা গেল , এবং ভয়ংকর এক ভাগ দেখতে ফেল ।

চোখ বুঝে ফিরে আসল এক দৌড়ে ।



এবার কি দেখলে

হুজুর ভয়ংকর এক বাঘ । আমাকে গিলে খাবে ।

জান সেই বাঘের মালিক আল্লাহ ।



না হুজুর আল্লাহকেই চাই ।

বায়েজিদ বস্তাম ইশারায় দেখাল

এক বৃদ্ধ দরবেশ বাঘের উপর সওয়ার হয়ে এগিয়ে আসছে , তার

হাতে একটি সাপ লাটির মত চাবুকের ন্যায় এদিক ওদিক হেলে দুলে

খেলছে ।

লোকটি বেহুস হয়ে গেলেন ।

কিছুক্ষন পর জ্ঞান ফিরলে জিজ্ঞাসে হুজুর ঐ লোকটিই কি আল্লাহ



বায়েজিদ রা বললেন না তিনি আল্লাহর খাস বান্দা যাকে বাঘ ও সাপের

মত হিংস্র জন্তু ও ভয় পায় ।

এবার লোকটি খাটি মনে কলমা পাট করে মুসলমান হয়ে যায় ।

একজন আউলিয়া কেরামের মাধ্যমে যদি এমন কেরামত বা রহমতের নুর প্রজ্জলিত থাকে ।, তাহলে যিনি আল্লাহর হাবিব

যাকে পয়দা না করলে আল্লাহ সৃষ্টি জগতের কোন কিছুই সৃষ্টি করতেন

না । তিনি নুরে খোদা নুরে বা আল্লাহর নুর । তার সাথে এক আল্লাহ ব্যতিত আর কোন তুলনা নাই ।

আয়াত যদি তোমরা আমি আল্লাহকে লাভ করতে লাভ করতে চাও

সর্বপ্রথম আমার হাবিবের অনুসরন কর , তবেই আমি তোমাদের

ক্ষমা করিয়া দেব । সুরা ইমরান । ।

চলবে ''







শান্তির মহান দুত হায়াতুন নবী সা এর রওজা মোবারক ।

**************************************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ



ইসলামের মহান আদর্শ আল্লাহর পেয়ারা হাবিব যে হায়াতুন্নবি তার প্রমান মিলে তার পরলোক গমনের ৭ শত বছর পর ।



তখন আরবের শাসনকর্তা ছিলেন একজন খোদা ভিরু ন্যায় পরায়ণ ।

নবীজীর রওজা মোবারক থেকে দয়াল নবীজীর পবিত্র দেহ

মোবারক , সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই বদকার ইহুদি আলেমের বেশ ধরে মদিনা থেকে ৭০ কিমি দূরে এক জঙ্গলে আশ্রয় নেয় ।

এবং সেখান থেকে সুড়ঙ্গ তৈরি করে মদিনা বরাবর এগুতে থাকে ।



দিনে নামায পড়ে আর রাতের বেলায় কাজ করে ।

এভাবে বহুদিন কাজ করে এক পর্যায়ে মদিনার কাছাকাছি চলে

এলে , দয়াল নবীজী বাদশাকে স্বপ্নে দেখা দেন এবং দুই জগন্য

বদকারের দুরভিসন্ধি জানিয়ে দেন ।



বাদশা শাহি এলান জারি করেন সারা এলাকার সব লোক যেন

মদিনায় জরু হয় । মদিনার বাদশাহি ফৌজ তৎক্ষণাৎ সমস্ত মানুষকে একত্রিত করার জন্য তৎপর থাকে ।

সবাই উপস্থিত হলে নবীজীর রওজা মোবারক কে রক্ষনাবেক্ষনের জন্য শলা পরামর্শ করেন ।

আর এদিকে জংগলের দুই জন অসৎ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে

শাহি দরবারে আনা হয় ।

তাদের রিমান্ডে নিলে বেদীন মুশ্রেকদের ষড়যন্ত্রের নিল নক্সা বেরিয়ে আসে এবং এহেন জগন্য অপরাধের জন্য শোলে ছড়িয়ে

তাদের মৃত্যু দণ্ড কার্যকর করা হয় ।



বাদশা রওজা মোবারকের চারিদিকে ১০০০ মিটার ব্যাবধানে

১০০০ ফিট গভির মাটির নিচ থেকে লোহা ও গলিত শিসার

প্রাচির গড়ে তুলে ।

আল্লাহর নবীর জুতা মোবারকের ছোঁয়ায় আরশ মহল্লা ধন্য

হয়েছিল আর দুনিয়ার জমিনে অবস্থান মানুষের জন্য তিনি কত

টুকু রহমত ও শান্তি একটু ভাবুন । দৈনিক সয়ং খোদা এবং তার

অসংখ্য ফেরেস্তারা তার শান্তিতে দরুদ ও ছালাম ভেজে আমাদের কে তাগিদ দিয়েছেন দরুদ ছালাম প্রেরনের জন্য । কোরআনের আয়াত সুরা আযহাব ৫৬ ।



তিনির মাধ্যমে সমস্ত উম্মতের নাজাত বা বেহেস্ত দুযখের

ফলাফল দিবেন আল্লাহ ।সুতরাং তার পাক রওজা জিয়ারত করা

বেহেস্ত লাভের চাইতেও বেশি ফজিলত । আল্লাহ আমাদের

ঈমানকে হেফাজত ও হেদায়েত দিন । নবীজীর চরন মোবারকে

দরুদ ও ছালাম আচ্ছালামু আলায়েকা ইয়া তাজদারে মদিনা দুজাহান কা সুলতান রহমতে আলম রাছুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হেওয়াচ্ছাল্লাম ।



চলবে <>

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

মুহামমদল হািবব বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নিকে আসা এবং পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

২| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৪

নগরবালক বলেছেন: বানান ঠিক করেন

২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:৪৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অবশ্যিই

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: *বাংলার হৃদয়
পরিবেশ বন্ধু কবি


এই আমাদের দেশ * এম,জি,র,মা।সুদ রানা
এইআমাদের দেশ এই আমাদের দেশ
স্বপ্ন মধু ভরা আমার বাংলাদেশ
ছোট্টয় সোনার গাঁ গাছে গাছে ঢাকা
বয়ে চলে নদী সেথা আঁকা বাঁকা
মাট রয় সাজানো ছবির মত অপরূপ বেশ ।
বনে বনে ফুল ফুটে ফল ধরে গাছে
গান গেয়ে পাখিরা ডালে ডালে নাছে
মেট পথ চলে যায় দুর সিমানায় রূপের নাই শেষ ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন রাখুন
উত্তর দেয়া হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.