![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি
কথা সাহিত্যিক , বাংলার এক প্রান পুরুষ , পাঠকের মনের রাজা হুমায়ূন আহমেদ কে লয়ে স্মৃতি চারন ।।
************** হুমায়ুন আহমেদ ও মমিনুল মউজুদ্দিন এর সাথে একদিন ।।
সুরমা নদীর অপরূপ জলদ্বারা দেখিতে দেখিতে আমরা পৌঁছলাম
সুনামগঞ্জের হাছন নগরে । তখন ২০০২সনের ১০ই ফেব্রয়ারি ।
হাছন রাজার স্মৃতি বিরজিত বিশাল এলাকা জুড়ে তার বাড়ি ,নানা
বৃক্ষ শোভিত অপরূপ কাননে আশা করেছিলাম ঐতিহাসিক প্রাসাদ দেখব কিন্তু সাধারন দ্বিতল বিশিষ্ট দালান ছাড়া আর
কিছুই দেখতে পেলাম না ।
বহু প্রতিক্ষার প্রহর শেষে আমাদের ডাক এল অথিতি ভবনে মানে
বাংলোয় ।
আশ্চর্য হলাম সেখানে একটি আরাম চেয়ারে গভির তন্ময় হয়ে
বসে আমাদের প্রিয় মুখ হুমায়ুন আহমেদ । তাকে আমি চিনতাম
বহু আগে থেকেই আমাকে দেখে চিরায়িত মেকি হাসিতে বললেন
কি হে রানা কেমন আছ ।
ভাল , বড়ই খুশ নছিব এখন এই মুহূর্তে আপনাকে পাওয়ার জন্য ।
সুনামগঞ্জের মেয়র হাছন রাজার প্রপুত্র মমিনুল
মউজুদ্দিন তিনি আমাদের দেখালেন তার আদি পুরুষদের সংরক্ষিত
ছোট মিউজিয়াম টি । হাছনের শাহি তলোয়ার , তার কোট বা জামা , কাটের পাদুকা , পান দানি প্রভৃতি ।
দেয়ালে খোদাই করা গানের কলি
লোকে বলে বলেরে ঘর বাড়ি ভালা না আমার ।
নিরবে সব দেখলাম , চা নাস্তা এল ।
মমিনুল মউজুদ্দিন আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনাদের জন্য
আমার কি খেদমত হয় সাহিত্যক সাহেব ।
আমি একটি সাহিত্য পত্রিকা বের করার কথা ব্যক্ত করলাম ।
আবার মেকি হাসিতে হুমায়ুন ভাই আমাকে বললেন উদ্যুগ টা
খুবই ভাল কিন্তু তোমাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে । আমাদেরও
একটা নিদৃষ্ট সময় এসব নিয়েই কাটিয়েছি ।
আমি দিক নির্দেশনা পেয়ে যারপরনাই খুশি কোথায় ধমকে উটবেন
তা না করে আরও সহজ উক্তি , শুনে আমার সাহস দিগুণ বেড়ে গেল । পরিকল্পনার মুল কাগজটা পকেট থেকে বের করে তাদের
চোখের সামনে তুলে ধরলাম ।
আবারও তিনি কাছে ডাকলেন এবং বললেন তোকে আরও সহজ
ভাবে জিজ্ঞাস করি আমাদের প্রয়োজনটা কি , করতে হবে কি
ইত্যাদি ইত্যাদি ।
আমি সাহিত্য সংঘটনের নাম ঘোষণা দিলাম / এতে উপস্থিত দুইজন কে সংঘটনের প্রধান হিসাবে রাখতে চাইলে তিনি সায়
দিয়ে বললেন / আমরা ব্যস্ত মানুষ হাতে সময় খুব কম এর পড়ও
যত টুকু সম্ভব সহযোগিতা পাবি ।
আমার ডায়রিতে আজও তাদের সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি স্মৃতিময়
হয়ে আছে ।
সুমতে চল নাগরিক সাহিত্য পরিষদ ।
আহবায়ক , এম জিল্লুর রহমান মাসুদ মিয়া
আল মামুন চৌধুরী
শেখ মশিউর রতন
নজরুল ইসলাম খান , কাজী আব্দুল করিম , আহমেদুল মস্তুফা , সাব্রিনা সারুয়ার মিতালি , সাদাত আলম বিপ্লব , বায়েজিদ কবির , ও সুলতানা শামিমা আক্তার প্রমুখ ।
সম্মানিত সদস্য
ম জিয়াউদ্দিন মিন্টু , প্রভাষক , সম্পাদক ।।
হুমায়ুন আহমেদ , কথা সাহিত্যিক ।।
দেওয়ান মমিনুল মউজদ্দিন, মেয়র ও সাহিত্যিক ।।
রইছ উদ্দিন আহমেদ, কবি ও সাহিত্যিক ।।
খা বসর ঠাকুর খান , নাট্যকার ও সংঘটক ।।
মোহাম্মদ কবির উদ্দিন , জুয়েল , সাহিত্যিক
ও খাদেজা চৌধুরী প্রমুখ ।
আমরা দীর্ঘ এক যুগ সাহিত্য সাধনা ও দেশের সেবায় নিয়োজিত
রইলাম ।
অনেক প্রাপ্তি আর অনেক হারানো । হিসাব মিলানো খুবি বুকের
জমানো কষ্ট ।
আমাদের পত্রিকার নাম দেই উদ্ঘাটন
পরে ত্রৈমাসিক সূচনা
ইতিহাসের পট পরিবর্তনে সেই দুই জলন্ত কথা সাহিত্যিক
আজ শুধুই স্মৃতিময় ।
১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০২
হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: সুন্দর সবার সাথে শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ