নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের নুর এবং মুজেজা ও কারামত // বইটি সহজ বাংলায় পড়ার উপযোগী <>

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

একজন ইঞ্জিনিয়ার এর ভান্ত মিথ্যাচার এর জবাব

****************

অনেক বছর আগে মুসা আ এর সময়ে , তিনি আল্লাহর সাথে সরাসরি

কথা বলতেন । তিনি দাবি করলেন মাবুদ নিশ্চই তুমি আমাকে জগতে সবচাইতে উচ্ছ মর্যাদা দান করেছ এবং সবার উপড়ে ধার্মিকতা নিশ্চই আমার ।।

আল্লাহ মৃদু তিরস্কার করে বললেন হে মুসা অহংকার অহংকার পরিত্যগ কর এবং শিক্ষার উদ্দেশ্য সাগর তীরে গমন কর এবং ভাজা

মাছ সঙ্গে নাও , মাছ জীবিত হয়ে যে পথ দেখাবে সেথায় গমন কর তোমার জন্য রহিয়াছে এক মস্তবড় নিদর্শন ।।

আল্লাহর হুকুম লয়ে একজন চাকর সঙ্গে নিয়ে তিনি পদব্রজে সাগর তীর ঘেঁষে অগ্রসর হতে লাগলেন ।।

পথশ্রান্ত হয়ে বিশ্রামের জন্য এক পাঁথরের উপর বসলেন , ক্ষুদার

তাড়নায় সে ভাজা মাছ থলে থেকে বের করতে চাইলে সম্মুখে দেখতে পারলেন মাছটি জীবিত হয়ে সাগরের দিকে ধাবিত হচ্ছে ।। চাকর কে বিদায় দিয়ে তিনি আল্লাহর নির্ধারিত অনুগ্রহে সাগরের মাঝে একটি সুড়ঙ্গ দেখতে ফেলেন ।। সেথা এক বুজুর্গ

দাড়িঅয়ালা লোককে দেখতে পেলেন এবং ছালাম দিলেন , উত্তর

আসল ওয়ালাইকুম ছালাম ইয়া মুসা কালামুল্লাহ । মুসা আ অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন আমি যে মুসা আ আপনি সাগরের সুড়ঙ্গে বসে জানলেন কি করে ।

লোকটি বললেন কোন কথা নয় , কোন প্রশ্ন নয় শুধু যা করব তা

দেখে যাবে তবেই তুমি আমার সঙ্গী হতে পারবে ।।

মুসা আ শর্ত মেনে নিলেন ।

তারা সাগরের তীর ঘেঁসে চলতে লাগলেন , প্যালেস্টাইন প্রদেশে

দুই রাজ্য যুদ্ধ শুরু হলে রাজা নদীর মধ্য পারাবারের সমস্ত নৌকা

আটক করে ফেলল । দুই অভিযাত্রি নদী তীরে আটকে রইল , অনেকক্ষণ পর এক মাঝি কে দেখতে পেয়ে তারা ডাক দিল , মাঝি ভয়ে ভয়ে বলল হুজুর ওপাড়ে গেলেই নাও আটকে দেবে

টিক আছে সে আমরা দেখব , তারা নদী পার হয়েই বুজুর্গ লোকটি

তার হাতের আশা দিয়ে নৌকার তলা ফুটু করে দিল ।

এবং নৌকাটি ডুবে গেল , মুসা আ প্রতিবাদ জানালেন । বুজুর্গ লোকটি বলল হে মুসা আমি আগেই বলেছি কারন জিজ্ঞাসিলে আমার সাথে চলা যাবেনা ।। মুসা আ মৌন হয়ে আবার চলতে থাকল ।।

কিছুদুর অতিক্ষম করে দেখতে পেলেন এক দল শিশু একটা সুন্দর শিশুকে ঘিরে ইচ্ছামত খেলা করছে ।

বুজুর্গ লোকটি গিয়ে অধিকতর সুন্দর শিশুটিকে লয়ে পাথরের মধ্য ফেলে আছড়ে মেরে ফেললেন ।।

মুসা আ প্রতিবাদ জানালেন বুজুর্গ লোকটি তার প্রতিশ্রুতির কথা

স্মরণ করিয়ে দিলেন ।।

তারা একটা গ্রামে গিয়ে পৌঁছলেন ।। ক্ষিদের জ্বালায় মুসা আ

গ্রামের এক বাড়ীতে খাবার চাইলে গ্রাম্য লোকটি তাদের তিরস্কার

করে বের করে দিলেন ।।

বুজুর্গ লোকটি তৎক্ষণাৎ দেখতে ফেলেন জীর্ণ শীর্ণ দুটি রুগ্ন ছেলে

মাটির মধ্য খেলা করছে আর পাশেই একটা ভাঙ্গা কুঁড়েঘর । তখন বুজুর্গ লোকটি পরিশ্রম করে ঐ শিশু দের ভাঙ্গা কুঁড়েঘর মেরামত করে দিলেন ।।

এবার মুসা আ মুখ খুললেন এবং বললেন হে আল্লাহর আজ্ঞাবহ

আমি জানতে চাই যে গ্রামের মানুষেরা আমাদের একটু দানা পানিও খেতে দেয়নি সেই গ্রামের ছেলে দুটুর ঘর বেধে দিলে আর

নিরীহ মাঝি উপকার করল তার নাও ভেঙ্গে দিলে । আর বিনা

বিচারে একটি ভাল ছেলেকে আছাড় মেরে খুন করলে যথার্থ জানতে চাই ,।

এবার বুজুর্গ লোকটি বলল মাঝি আমাদের পাড় করার পর দেখলাম রাজার লোকেরা এদিকেই আসছে এবং নৌকা আটক করলে চিরদিনের জন্য গরীব মাঝির রুজি রোজগার বন্ধ হয়ে যেত ,যুদ্ধ কালই শেষ হয়ে যাবে মাঝি সামান্য ফুটু সারিয়ে আবার

রুজগারে নাম্বে সে কি ভাল না । বুঝলাম কিন্তু ভাল ছেলেটি কে খুন কেন ?বুজুর্গ বললেন ভাল ছেলেটির পিতামাতা আল্লাহর খুব

ধার্মিক কিন্তু বড় হয়ে ঐ ছেলেটি এত নষ্ট হতো যে তার পিতামাতাও তার জন্য দুযখি হইত ।।

বুঝলাম , কিন্তু শেষ যে গ্রামের লোকেরা আমাদের খাদ্য ও আশ্রয়

দেয়নি তাদের উল্টা উপকার কেন ?

বুজুর্গ লোকটি বললেন এই দুটি সন্তান এতিম , যে ঘরটি বেধে দিলাম , সেথা তার পিতা মাতা তাদের জন্য কিছু গুপ্ত ধন রেখে

গিয়েছে , তা ঐ মালিক এতিম রা জানেনা ,। সেটা হেফাজত করার জন্য আমার এ পরিশ্রম কারন গ্রামবাসী লোভী , এরা বড়

হয়ে নিশ্চই তাদের পিতামাতার রেখে যাওয়া সম্পদ উদ্ধার করবে ।। মুসা আ ছালাম দিয়ে বিদায় হলেন ।।

বলেন তো মুসা আ এর শিক্ষা বহ আল্লাহর এ বুজুর্গ ব্যাক্তির নাম

কি ?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৪

হোসেন মনসুর বলেছেন: খিজির (আঃ)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.