![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি
বেহেস্তের সন্ধান , নূর নবীজী লক্ষ কোটি জান্নাতের চাইতে উত্তম ।।
********************
বেহেস্তের টিকেট লও , দুনিয়াবি ধন সম্পদ সোনাদানা বালাখানা
রাজ প্রাসাদ আর বড় বড় উপাধি সেদিন কাজে আসবেনা ।।
বেহেস্তের টিকেট হল ঈমান আর ঈমানের মুল হল নূর নবী হজরত
মোহাম্মাদ সা ।।
লাও লাকা মা খালাক তুল আপ্লাক ।। হাদিসে কুদসি
আল্লাহ বলেন , যদি আমি হে হাবিবা আপনাকে সৃষ্টি না করতাম
তাহলে কোন কিছুই বানাইতামনা ।।
*************
দয়াল নুর নবী হযরত মোহাম্মাদ সা এর সৃষ্টি রহস্য দলিল মোতাবেক আলোচনা ।।
************** সৃষ্টি রহস্য
**************
তিনি আদিতে নিরাকার হে রহমতের ভাণ্ডার
আকার নিলে এসে মানব বেশে
মোহাম্মাদ নামে অবশেষে
আল্লাহর ক্ষুত্রত কামিলে ঝিনুকে ছিলে
প্রলয়ে নুর ফাটিলে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সাজিলে
সেই নুর ত্রিভুবনে ভাসে
আরশে সাজরা তুল একিন ডালে ময়ূর বেশে ছিলে
আল্লাহু আল্লাহু রব তুলে সকল রুহ স্রিজিলে
তক্ষনি তারা ছালাম ভেজে এসে
ফেরেস্তা রূপ ধরে শিক্ষা দিলে ফেরেস্তারে
লৌহ কলম খোদার কালাম দিলে এঁকে আরশের উপরে
কালমা তে দিব্য ভাসে
নুর এল আদম আ এর কপালে ক্রমান্বয়ে আব্দুল্লার কপালে
জন্ম নিলেন মা আমেনার কুলে
সেরা আরবের কুরাইশ বংশে ।
কোরআন পাক বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি হয়ার কোটি কোটি বছর আগেই
আল্লাহর সম্মানিত আরশ মোকাম লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত ছিল ।।
আর নবী পাক সা আল্লাহর রাছুল হিসাবে কোটি কোটি বছর আল্লাহর সান্নিধ্য বিভিন্ন রূপে আরশ মোয়াল্লায় ছিল ।।
আওয়াল , আখের , যাহের , বাতেন
তিনি সৃষ্টির মুল
শাফায়াত করিবেন তিনি সব উম্মতের কুল ।।
************
এজন্য বড় পীর দস্তগির অলিকুল শিরোমণি শাহ সৈয়দ সুলতান আব্দুল কাদির জিলানী
রা তার সরচিত কিতাব তালেবাতুল গুনিয়াতে উল্লেখ করেন ।।
মোহাম্মাদ মস্তুফা জানে খোদাকোঁ
খোঁদা জানে মোহাম্মাদ মস্তুফা কো
যখন কিছুই ছিলনা একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া
তখন আল্লাহ নিজ নুর দ্বারা সৃষ্টি করলেন রাছুলুল্লাহ ।।
আল্লাহ তার নিজের নাম নিজে ডাকবে কেমনে , নুর নবী সা সৃষ্টি
হয়েই ডাকলেন আল্লাহ ।। আল্লাহ গোপন ছিল এবার জাহির হল ।
আর আল্লাহ সর্ব প্রথম নবীজীর নাম ধরে ডাকলেন মোহাম্মাদ বা
প্রশংসিত , যার প্রশংশার শেষ নাই ।।
নিরাকার নিরাঞ্জন ছিল অতি গোপন
নূর মোহাম্মাদ হইল গঠন
নুরে উজ্জ্বল হইল ত্রিভুবন ।।
আউলিয়া সরদার হজরত শাহ জালাল রা বলেন , তার সরচিত কিতাব
সালতানাতে নুর মুহাম্মাদ সা এ
মুহাম্মাদ মস্তুফা নুরুল আলা নুর
হাবিবে কিব্রিয়া নুরুল আলা নুর
অর্থ
আল্লাহর নুরে নবীজীর সৃজন
আর নবীজীর নূরে সৃজন তামাম সৃষ্টি কুল ত্রিভুবন ।।
নূর নবীজী ঝিনুক এর মাঝে মুক্তা রূপে ছিলেন আল্লাহর রহমতের নদীয়ায় ।। ঐ রহমতের নদীয়া থেকে যদি এক কনা পরিমান রহমত দুনিয়ায় ছেঁড়ে দেওয়া হয় তামাম দুনিয়াই জান্নাতের বাগান হয়ে যাবে । ছুবহান আল্লাহ ।।
আলমে আর রোহ বা রোহানি জগতে নবীজী ময়ূর বেশে ছিলেন ।।
কবি আল্লামা মাওনালা রুম তার সরচিত মসনবি শরিফে উল্লেখ
করেন ।
মান্না গুনযম দরযামানা ছিদ্রাতুল মুন্তাহা
রুহ ময়খ শাজ্রাতুলে নুরে আলম মস্তুফা
অর্থ
নবীজী আরশের এক রহমতি বরই গাছের ডালে আল্লাহর তসবি
গলে ময়ূর ছুরতে ছিলেন ।।
তাকে ঘিরে সেসময় সমস্ত রোহ পবিত্র নামে মন আনন্দে গাইতেন ,
ছাল্লাল্লাহু অউয়ালান্নাবি উম্মি অয়ালিহি ছাল্লাল্লাহু আলায়হে অয়া ছাল্লামা ছালাতা অয়া ছালামান আলায়কা ইয়া রাছুলাল্লাহ । হে পবিত্র হে সুন্দর , হে আল্লাহর সেরা রহমতি নুর , আমাদের কে
তার কল্যান দাও ।।
হাদিসে কুদসি ।। সেই সময় রূহ সকল দয়াল নবী পাক সা কে
যারা নিকট তম স্পষ্ট ভাবে দিদার পাইল , তারাই জগতে নবী , রাছুল , খলিফা , সাহাবায়ে কেরাম , অলি আউলিয়া , পীর মাশায়েক , বুজুর্গ সাধু , এমনি ভাবে যারা নবীজীর দিদার লাভ
করল তারা মুমিন , মুত্তাকিন , লেখক , বিজ্ঞানী এবং ইমাম মুয়াজ্জেম , আল্লাহর আশেক , কারী মাওলানা , দীনি আলেম অলামা ও মুসলিম ।।
আর যারা সেসময় নবীজীর সামান্যতম কায়া মোবারকও দেখেছেন তারা অন্তত মুসল্মান ।
কিন্তু যাদের ভাগ্য তার পবিত্র নূরানি চেহারায়ে আনোয়ার দেখার
সাধ্য হলনা তারা জগতের সন্ত্রাস , খুনি , এজিদ , মীর জাফর
ও শয়তানের সাগ্রেদ ।।
লিংক , নেয়ামুল কোরআন থেকে ।।
নবীজী আরশে লক্ষ কোটি বছর সেতারা রুপে ছিলেন ।। হাদিস
জগতের মা ফাতেমা রা এর পবিত্র মুখ থেকে বর্ণনা ।।
জিব্রাইল আ নবীজীর নিকট আল্লাহর বানী লয়ে মানুষের বেশে
আসতেন ।
একদিন মা ফাতেমা রা কে জিব্রাইল আ জিজ্ঞাস করলেন , ইয়া
জগত জননী আপনার আব্বাজান কোথায় ।
ফাতেমা রা চাচাজান সম্বোধন করলে জিব্রাইল আ রাগ হলেন
এবং বললেন আমি কি তোমার আব্বাজানের ছুট ।। ততক্ষনাৎ
নবী পাক সা উপস্থিত , হে জিব্রাইল তোমার বয়স কত ?
জিব্রাইল বললেন টিক জানিনা , তবে দক্ষিন আকাশে মাঝে মাঝে
একটা তারকা উদয় হইত । সেই তারকা ৭০ হাজার বছর অন্তর
অন্তর দেখতাম , এরূপ আমি ৭২ হাজার বার দেখেছি ।।
নবীজী প্রশ্ন করলেন সেই তারকা কি এখনও আকাশে উদয় হইতে দেখ ।।
জিব্রাইল আ চিৎকার করে ঘোষণা ছিলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ বেয়াদবি ক্ষমা চাই সেই প্রজ্বলিত নুরে আনোয়ার আপনি ।।
ইয়া রাছুলুল্লাহ
৭০ হাজার অন্তর অন্তর দেখতাম , সেই সময় আপনি কোথায়
ছিলেন ।
নবীজী বললেন আল্লাহর ক্ষুত্রতি পায়ে সিজদায় উম্মতের গুনাহ
মাপির জন্য ইয়া হাব্লি উম্মতি বলে জানাইলাম ফরিয়াদ , আল্লাহ
বলতেন হে আমার প্রিয় হাবিব শীর উঠাথা, নিশ্চই নিশ্চই
সর্বপ্রথম আপনার উম্মত কে বেহেস্তে না নিয়ে আর কাউকে বেহেস্ত নছিব করবনা ।।
হাদিস , তিরমিজি ও বায়হকি ।।
নবীজী ফেরেস্তা ছুরতে আরশ মহল্লায় তাদের শিক্ষক ছিলেন ।।
লক্ষ কোটি বছর তারা নবীজীর উপর দলে দলে মধুর সুরে অনবরত দরূদ ও ছালাম জ্ঞাপন করে মহব্বত ও তাজিমের সাথে ।।
আচ্ছালাতু আচ্ছালামু আলায়েকা ইয়া রাছুলুল্লাহ
আচ্ছালাতু আচ্ছালামু আলায়েকা ইয়া হাবিবাল্লাহ
আচ্ছালাতু আচ্ছালামু আলায়েকা ইয়া রাহমাতুল্লিল আলামিন ।।
অবশেষে আল্লাহ পাক নুর নবী সা কে মক্কার শ্রেষ্ঠ কুরাইশ বংশে ,
মানব বেশে মানব ছুরতে, বাপ আব্দুল্লাহ ও মা আমিনার
কুটিরে তিনি মানব মুক্তির আশীর্বাদ হয়ে , ইসলামের নিশান ওড়ায়ে , সেই কোরআন এবং তার শাশ্বত বানী ও রহমত হল মানবের দিক নির্দেশ ও মুক্তি ।।
কোরআন আল্লাহ পাক উল্লেখ করেন ্ আমি এবং আমার অসংখ্য ফেরেস্তাদের নিয়ে দরুদ ও ছালাম ভেজি আমার হাবিব এর তরে , হে ঈমান দার গন তোমরাও পড় সম্মানের সাথে ।।
সুরা আহযাব আয়াত ৫৬ ।।
**********************
যদি তোমরা আমি আল্লাহকে লাভ করতে চাও সর্ব প্রথম আমার
হাবিব কে ভালবাস এবং তাকে অনুসরণ কর । অবশ্যই আমি
তোমাদের ক্ষমা করিয়া দেব ।।
সুরা ইম্রান
**************
মুক্তির আহবান
********************
এস হে মুমিন পড়ি আল কোরআন
নূর নবী হজরত স্বয়ং ইসলাম ও ঈমান ।।
মানবের সত্য দিশা যত দিক নির্দেশ
রয় তার বানী এস জানি উদ্ধে তুলে কেশ ।।
নবীজীর দরবারে মিল্বে আল্লাহর পরিচয়
মিল্বে জান্নাতের বাজার ঈমানের চেতনায় ।।
শয়তানের দম্ভ ভেঙ্গে চাই কোরআনের আলো
দুনিয়া ও আখেরাতের মুক্তি হৃদয়ে জ্বালো ।।
পড় নামায , রাখ রোযা , দাও যাকাত গরীবের তরে
হজ্ব পালন , আর কল্মা জারি রাখ অন্তরে ।।
আল্লাহ রাছুল যার সহায় নিশ্চই নেই তার ভয়
এস ইসলামের ঝাণ্ডা ওড়াই সারা জগত ময় ।।
©somewhere in net ltd.