![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি
নবীজীর মুজেজা এবং আউলিয়া কেরামগনের কারামত আল্লাহর পক্ষ থেকে মানব মুক্তির দিশা ।
আল্লাহর ক্ষুত্রত নবীজী ও আউলিয়াদের রূহানী শক্তি মুসলমানদের জন্য মস্তবড় রহমত ।
********************************
আলা আউ্লিয়াল্লাহু লা কাউফুন অয়ালা ইয়াহযানুন , আয়াত আল কোরআন
অর্থ সাবধান আমার বন্ধুদের কোন ভয় নেই , দুনিয়া ও আখেরাতে ।
ব্যাখ্যা < আল্লাহ পাক বলেন হে মানুষ সাবধান আমার বন্ধুদের কোন ভয় নেই । আল্লাহ্র বন্ধু কারা জানি , আলমে
আরুহে বা রূহের জগতে রুহ বা আত্মাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছিল । ১ম ভাগ নবী রাছুলগন দের ২য় ভাগ খুলাফায়ে রাশেদিন , নবী পাক সাঁ এর আউলাদ ও সাহাবাকেরামগন , অলি আউলিয়া ছুফি মুর্শিদগনদের এবং তৃতীয় ভাগ আলেম ওলামা ও সাধারন মুমিনগনদের ।
দৃশ্যজগতে মানবের স্তর তিন ভাগে বিভক্ত । এক মুমিন পরহেজগার আল্লাহর সাথে সম্পর্কস্থাপনকারী দুই বেঈমান , লেবাসধারী মুনাফেক । তিন বেদীন ।
সব নবী রাছুল আম্বিয়া আ এর সর্দার সৃষ্টির ১ম এবং শেষ নবী নুরে দুজাহান নুরে খোদা তাজদারে মদিনা আল্লাহ্র হাবিব নুর নবী হযরত মোহাম্মাদ সাঁ এর মাধ্যমে নবুয়াত এবং ইসলাম পরিপূর্ণ হয়েছিল । যার দলিল কোরআন এবং হাদিসস্মুহ । নবুয়াতের দরজা নবীজী হুজুর পাক সাঁ এর মাধ্যমে শেষ হয়ে গিয়েছিল কিন্তু রেছালাত ও বেলায়েতের দরজা কিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবে । রেছালাত হল নবীজীর দীন ইসলাম যাদের মাধ্যমে জিন্দা থাকবে তাদের কর্ম । আর বেলায়েত হল যারা আল্লাহ ও রাছুল সাঁ এর নিকটতম বন্ধু তারা
তারাই আল্লাহর অলি আউলিয়া , মুর্শিদে কামেল বা নায়েবে রাছুল , রাছুল সাঁ এর নায়েব বা ভারপ্রাপ্ত । আল্লাহর সমকক্ষ নবী রাছুলগন
নহে , আবার নবী রাছুলগনের সমান অলিগন নয় ।
তবে আল্লাহ অলিগনের সাহায্যকারী এবং খুব নিকটতম ।
এ বিষয়ে কবি আল্লামা মাওলানা জালালউদ্দিন রুম রা বলেন । খুলুবিল মুমিনিনা আরশে ইল্লাহ অর্থ আল্লাহর স্থান মুমিনদের কলবে ।
নবীদের ক্ষুত্রতি ক্ষমতা ছিল মুজেজা আর অলিগনের ক্ষুত্রতি ক্ষমতা হল কারামত ।
আউলিয়া শিরোমণি শাহ সুলতান বড়পীর মহিউদ্দিন আব্দুল কাদির রা বলেন
আল্লাহকে লাভ করতে হলে নবীজীর দরবারে আস
আর নবীজীকে লাভ করতে হলে অলির দরবারে আস ।
একজন অলির হৃদয়ে যতদিন পর্যন্ত আল্লাহ শব্দটি বিশুদ্ধতায় উচ্ছারিত হবে তার খাতিরে ততদিন আল্লাহ পাক কেয়ামত দেবেনা । হাদিস ।
অলিদের মৃত্যু নাই দুনিয়া আখেরাতে । আধ্যাতিক বিষয় হল অলিদের হৃদয় জিন্দা । তাদের পবিত্র সমাধি বা মাঝার বেহেস্তের বাগানের
অংশ ।
আল্লাহর বন্ধুর সাথে শত্রুতায় আল্লাহর যু্দ্ধ ঘোষণা
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ قَالَ مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيْهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لَأُعْطِيَنَّهُ وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِي لَأُعِيذَنَّهُ وَمَا تَرَدَّدْتُ عَنْ شَيْءٍ أَنَا فَاعِلُهُ تَرَدُّدِي عَنْ نَفْسِ الْمُؤْمِنِ يَكْرَهُ الْمَوْتَ وَأَنَا أَكْرَهُ مَسَاءَتَهُ .
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ্ তা’আলা বলেন: যে ব্যক্তি আমার অলীর সাথে শত্রুতা করে, আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। আমার বান্দার প্রতি যা ফরয করেছি তা দ্বারাই সে আমার অধিক নৈকট্য লাভ করে। আমার বান্দা নফল কাজের মাধ্যমেও আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে। অবশেষে আমি তাকে ভালবেসে ফেলি। যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। সে আমার কাছে কিছু চাইলে, আমি তাকে তা দেই। সে যদি আমার নিকট আশ্রয় কামনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি যা করার ইচ্ছা করি, সে ব্যাপারে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগি না কেবল মুমিনের আত্মার ব্যাপার ছাড়া। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার মন্দকে অপছন্দ করি। [বুখারী: ৬৫০২]
নবীজীর আদর্শ জীবনী ও মুজেজা থেকে
শিক্ষা
******************************
মুজেজা নবীজীর প্রতি আল্লাহর মহত্ত্ব ।
*******************************
মহানবী হযরত মোহাম্মদ সা সাহাবিদের নিয়ে মদিনায় পরিখাখননে ব্যস্ত , শত শত সাহাবি প্রানান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে
শক্ত বাধ নির্মাণ এবং মদিনাকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করতে খননে ব্যস্ত ।নবীজীর প্রিয় সাহাবী লক্ষ্য করলেন নবীজীর মুখ মোবারক শোকনো ।
সাহাবী নবীজীর শুকনো মুখ মোবারকলক্ষ্য করে বাড়ি চলে আসে
একমাত্র সম্ভল মেষ ছাগ জবাই করে স্ত্রীকে কিছু যব পিষে খামি বানাতে তাগদা দেয় ।নবীজীর কানে কানে দাওয়াত পৌঁছে দেয় সাহাবী । নবীজী তাৎক্ষনিক সব সাহাবাকে দাওয়াত দিতে আদেশ দেন ।
সাহাবী দাওয়াত পৌঁছে দেন সবাইকে । যথা সময়ে দলবল লয়ে নবীজী ঐ সাহাবীর বাড়িতে উপস্থিত ।আবুআইয়ুব আনসার রা এর স্ত্রী হতবাক , খাবার মাত্র ২/৩ জনের আর লোক ৪ হাজারের অধিক হবে ।
নবীজী রান্না করা মাংস এবং খামির মধ্য কিছুটা থুথু মোবারক মিশিয়ে দিয়ে পরিবেশন করতে বললেন । সাহাবী তাই করলেন এবং সমস্ত সাহাবিদের মধ্য বিতরন করার পরও আরও খাবার বারন্ত রইল ।
এবার সাহাবীকে ডাকলেন দয়াল নবীজী । হে আবু আইয়ুব আন্সারি তোমার ২ সন্তান কোথায় ডেকে নিয়ে এস । উল্লেখ্য আবু আইয়ুব রা এর ২ ছেলে কে নবীজী খুব স্নেহ করতেন এবং যখনি আসতেন তারা দূর থেকে
নবীজীর নিকট দৌড়ে আসতেন ।
সাহাবীর মৌনতা দেখে নবীজী কিছু আচ করতে পেরে ডাক দিলেন হে নাতি ইব্রাহিম ও সাদি তোমরা আমার নিকটে এস । আমি তোমাদের রেখে কখন ও কিছুই মুখে দেয়নি । ডাকের সাথে সাথে
ঘরের কোন থেকে চাদর দিয়ে ঢাকা মৃত দুভাই জিন্দা হয়ে নবীজীর
পাশে চলে এল । জবাব দিল , আনন্দে নবীজীর ললাট মোবারকে খুশি প্রকাশ পাইল ।
ঘটনা ক্রমে দুভাই পিতার মেষ জবাই দেখে চুরি লয়ে পাশের জংগলে চলে যায় এবং একে অপর জনকে ছাগল জবাই করার মত খেলাচ্ছলে চুরি চালিয়ে দেয় এবং জবাই করে বসে ।
অন্য ভাই ভয় পেয়ে ঘরের ছাঁদে আশ্রয় নেয় এবং সেখান থেকে ভয় ও অনুসুচনায় লাফিয়ে সেও মারা যায় । অথচকেমন সাহাবা ছিল শুধু নবীজীকে রাজি খুশি রাখার জন্য এতবড় শোক ভুলে ছেলেদের লাশ চাদর দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন ।
নবীজী তাদের নাম ধরে ডাক দেওয়ার সাথে সাথে তারা দিব্বি জিন্দা হয়ে নবীজীর সাথে বসে খানা খায় এবং কথা বলেন ।
আল্লাহু আকবার / ছুবহান আল্লাহ বলুন
নবীজী দাওয়াত খেয়ে আবার পরিখার কাজে চলে গেলেন তার প্রিয় সমস্ত সাহাবাদের নিয়ে । আর আশ্চান্নিত হলেন অনেকেই ।
পরের দিন শত শত নব্য সাহাবি কালমা পাঠ করেন ।
লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুররাছুলুল্লাহ ।
মুজেজা নবিজিরপ্রতি আল্লাহর মহত্ত্ব ।
হাদিস সংকলন থেকে ।
<
************
হজরত বড় পীর অলিকুল শিরমনি শাহ সৈয়দ সুলতান আব্দুল
কাদির জিলানী রা এর কেরামত থেকে যা পাই
*********************************
হযরত বড় পীর শাহ সৈয়দ সুলতান আব্দুল কাদের জিলানি রা তার আত্তাধিক রুহানি শক্তি প্রাথমিক সময় এত টুকু প্রবল ছিল
অপবিত্র কুটিল মনে কেহ দূর থেকে তার বিরুদ্ধে বেয়াদবি করলে সাথে সাথে বেয়াদবের শীর আল্লাহর ক্ষুত্রতে মস্তক হইতে আলাদা
হয়ে যেত ।
একদিন আল্লাহর পক্ষ থেকে গাইবি আওয়াজ আসল হে আমার প্রিয় খাস বান্ধা তুমি কি জান একটা জীব সৃষ্টি করতে আমার কি পরিমান ক্ষুত্রতি কৌশল প্রয়োজন পড়ে , তুমি এহেন তাজাল্লি কাণ্ড বন্ধ করে তাদের নিকট সহজ ভাবে হেদায়াত পৌঁছে দাও
মুলত তারা অজ্ঞ /
একদিন বালক আব্দুল কাদির প্রাত কালে নদী তিরে গমন করলে ।এক বৃদ্ধাকে রোধন করে কাদতে দেখে , জিজ্ঞাসে হে বুড়ি কাদ কেন ?
বুড়ি বলেন বাবা আজ থেকে বার বছর আগে আমার একমাত্র আদরের দুলাল কে বিয়ে করানোর উদ্দ্যশ্য বড় যাত্রি সহ আনন্দ উৎ সব পরিবেশে এই নদীতে শ্বশুরালয়ে পাটিয়েছিলাম । কিন্তু ভাগ্যর কি পরিহাস আসার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে সবাই সলিল সমাধি
লাভ করে ।
বালক আব্দুল কাদির কান্না সহ্য করতে না পেরে
সিজদায় পড়ে আল্লাহর নিকট হাত তুলে হে আল্লাহ বুড়ীর ছেলেকে ফিরিয়ে দাও । অদৃশ্য আওয়াজ এল , তারা কবেই পানিতে
মাটিতে মিশে গেছে তাদের অস্তিত্ত নাই ।
হে আল্লাহু তোমার ক্ষুত্রত অসিম তোমার গোপনীয়তা আমি জানি কোটি কোটি বছর পড়ে হাসরের মাঠে নিশ্চিহ্ন মানুষকেক্ষুত্রতি কৌশলে যদি একত্র করতে পার তবে এটা তোমার জন্য সামান্য বিষয় ।
আমার ও বুড়ির ফেরেসান দূর করা তোমার জন্য কিছুই না ।যতক্ষন আরজি না শুনবে ততক্ষণ আমি তোমার দরবার হইতে মাথা উত্তোলন করবনা ।
আল্লাহর লিলা বুঝা বড় দায় । বার বছর পূর্বে যেভাবে বুড়ি সাজায়ে নাও পাটাইয়েছিল বড় যাত্রি সহ আনন্দ ঘন পরিবেশে । টিক
সেভাবেই জীবন্ত হয়ে গেল সব । বুড়ি তার ছেলে সদ্য বিবাহিত বউ ও সবাইকে লয়ে ঘরে ফিরল ।
এমন বহু ঘটনা অলি আউলিয়াগনের জীবনীতে পাওয়া যায় ।
আউলিয়া কেরাম ও মুমিনদের প্রকৃত ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর নিকট থেকে
আসে । আল্লাহ সকলকে বুঝার তাওফিক ও হেদায়েত দিন
আমিন
ভণ্ডদের নিকট থেকে নিজেকে রক্ষা করা এবং সত্য মুর্শিদ চেনা ও তার মাধ্যমে নবীজীর আহলে বাইয়াত কে প্রতিষ্ঠাই ঈমান । ঈমানদারের যে কোন ইবাদত আল্লাহর নিকট গ্রহণীয় এবংমিলবে নুর নবীজীর শাফায়াতের জান্নাত ।বেঈমান মুনাফেকদের এবাদত হবে জাহান্নামের জলন্ত আগুন ।
এতএব সাবধান তওবা না করে কেহ মরিওনা ।
©somewhere in net ltd.