![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি
শবে মেরাজের তাৎপর্য ও গুরুত্ব
************
মেরাজ আরবি শব্দ বাংলা অর্থ দিদার । আল্লাহ পাক এই মাসে তার
প্রিয় হাবিব নুর নবী হজরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াছাল্লাম
কে উদ্ধাকাশ ভ্রমন করাইয়াছিলেন ।
মহান আল্লাহ পাকের সাক্ষাৎ লাভে দয়াল নবীজী উম্মতের জন্য উপহার হিসাবে রহমত নিয়ে এসেছিলেন । আর সেই রহমত হল ৫ অয়াক্ত নামায , ১ মাস রোযা ।
কিভাবে গেলেন
***********
নবীজী প্রথমে বায়তুল আঁকশা মসজিদে পৌছলে , সেখানে আদম আঃ থেকে হজরত ইশা আঃ পর্যন্ত ১লক্ষ বা ২ লক্ষ ২৪ হাজার নবী , রাছুল অলি গন তাকে হারহাবা ইয়া রাছুলুল্লাহ বলে সংবর্ধনা দেন ।
দয়াল নবীজী সবাইকে নিয়ে ২ রাকাত শোকরিয়া নামায আদায়
করেন । নবীদের সর্দার সেথা সয়ং ইমামতি করেন ।।
বোরাকে আরোহণ ঃ বেহেস্তের দ্রুতগামী আরোহণ হল বোরাক । বোরাক পাখাঅয়ালা । একটা পাখার গতি মুহূর্তে ৩০০০০ হাজার বছরের রাস্তা ।। সফর সঙ্গি ছিলেন আল্লাহর প্রধান ফেরেস্তা জিব্রাইল আঃ ।
বোরাক ১ম আকাশে গিয়ে পৌঁছে ।।
জিব্রাইল ডাকে বারেবারে
খুলে দাও আসমানের দোয়ায়
এসেছে নবীদের সর্দার
করিতে আল্লাহর দিদার ।।
আসমানের অসংখ্য ফেরেস্তারা নবীজীকে জশনে জউশ বা আনন্দ মিছিল সহকারে পড়তে থাকে
মারাহাবা ইয়া রাছুলুল্লাহ মারহাবা
রাহমাতাল্লিল আলামিনে এ মারহাবা ।।
নুর নবীজী ১ম আকাশে আদিপিতা আদম আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ
লাভ করেন এবং আলিঙ্গন করেন ।
২য় আকাশে মুসা আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন ।
৩য় আকাশে ইয়াকুব এবং হারুন আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন ।
৪রথ আকাশে ইশা আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন ।
৫ম আকাশে নুহ আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন ।
৬ সট আকাশে দাউদ ও সুলাইমান আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন ।
৭ম আকাশে ইব্রাহিম আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন ।
নবীজী ৭ম আকাশ ভেদ করে সিদ্রাতুল মুন্তাহা আল্লাহর বিশেষ
রহমতি স্থানে গিয়ে পৌঁছান ।।
জিব্রাইল আঃ এবার বিদায় চাইলেন , ইয়া রাছুলুল্লাহ সা মাফ করবেন আমার আর যাওয়ার মত সাধ্য নাই , যদি ১ মুহূর্ত পরিমান সামনে এগুনোর চেষ্টা করি তাহলে আমার সারে ৬ শত
নুরের পাখা জ্বলে ভন্ম হয়ে যাবে ।।
নবীজী এবার রবরবে আরোহণ করলেন ।। বোরাকের চাইতেও ত্রুতগামি ।।
নবীজী আল্লাহর দরবারে গিয়ে পৌঁছলেন ।।
আল্লাহ তার হাবিব কে ছালাম দিলেন , নবীজী ছালামের উত্তর দিলেন এবং কুশল বিনিময় করলেন ।।
আত্তাহিয়াতু লিল্লাহি অয়াসসালাওউয়াতু অয়াত্তায়িবাত >>>>>>>>>>> ।।
নবীজী ঘুরে ঘুরে বেহেস্ত দেখলেন , দেখলেন ভয়ংকর দুযখ , দেখলেন বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের আল্লাহর গুপ্ত রহস্য[ যা একমাত্র আল্লাহ
এবং তার হাবিব সা ভাল জানেন ]
নবীজী আল্লাহর সাথে কথোপকথন চলাকালে আল্লাহ প্রশ্ন করলেন হে আমার প্রিয় হাবিব আপনার উম্মতের জন্য কি নিয়ে যাবেন । নবীজী উত্তর দিলেন আল্লাহর হুকুম এবং তার দয়া । তাহলে এই নাও ৫০ অয়াক্ত নামায এবং ১ বছর রোযা ।। নবীজী
সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে আসছিলেন , পথে মুসা আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ । ইয়া নবীদের সর্দার আল্লাহর এজাজত কি ।। আমার উম্মতের
উপর ৫০ অয়াক্ত নামায এবং সারাবছর রোযা রাখার নির্দেশ ।।
হে দয়াল নবী আপনার উম্মত হবে জয়িফ এবং কম আয়ু সম্পন্ন
আপনি আল্লাহর নিকট ৫ অয়াক্ত নামায এবং ১মাস রোযা কমিয়ে আনুন ।।
নবীজী আল্লাহর দরবারে গিয়ে কমিয়ে আনলেন ।। মুসা আঃ আবার পাঠালেন , আবার পাঠালেন ৯য় বারে নামায কমিয়ে ৫ অয়াক্ত নিয়ে আসলেন এবং রোযা এক মাস ।। আল্লাহ খুশি হয়ে
নবীজীকে বললেন হে হাবিব নিশ্চই জানিও যারা ৫ অয়াক্ত নামায পড়বে তারা ৫০ অয়াক্ত নামাযের ছয়াব এবং ১মাস রোযা রাখবে
তারা সারা বছরের রোযা রাখার ছয়াব পাবে ।।
আমিরুল মুমিনিন হজরত আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু
বর্ণনা করেন । নবীজী মেরাজ গমন ছিল তার একটি শ্রেষ্ঠ মুজেজা ।।
মেরাজ গমন করে ফিরে আসা নবীজীর জন্য এতটুকু সময় ছিল যে তিনি অজু করছিলেন এসে দেখেন অযুর পানি গড়াচ্ছে ।।
এই রজব চাদের ২৭ শে রজনী তে তিনি মেরাজ গমন করেছিলেন ।।
তাই রাত টি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহের জন্য শান্তি ও রহমতের ।।
আল্লাহ আমাদের উক্ত রাত্রে এবাদত করার তৌফিক দান করুন ।। আমিন ।।
২৮ শে মে, ২০১৪ ভোর ৫:৫৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ কবি শুভেচ্ছা ,
যত দিন যাবে সম্মুখ নাহি হবে তার শেষ
আসিবে আবার সেইদিন ক্ষন ঘুরে সবিশেষ ।।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৩২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শবে মেরাজের ঘটনা নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করে আবু বকর হয়েগেলেন সিদ্দীক মানে সত্যবাদী কবি রমযান চলে এল।তারপর ঈদ্ ।