![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি
জীবন মৃত্যুর মাঝামাঝি ।। গল্প
***********
সাগর আর মিলির প্রেমের বিয়ে । মিলির সাথে সম্পর্কটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলনা সাগরের বাবা ছমিরউল্লা , তাই পালিয়ে বিয়ে । একটা ছুট খাট বাসা বাড়া নিয়ে ওরা শহরেই থাকে । সাগর বিয়ে পাশ করে একটা এঞ্জিও তে কাজ করে আর মিলি দুচারটা ছাত্র পড়ায় , ভালই কাটছে ওদের দিন ।
এক বছরের মাথায় ওদের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় তাদের সন্তান । নাম রাখে সজীব ।
সজীবের মা শুনছ
আরে কি হল , আমি তো রান্না ঘরে ।
তোমার ছেলে আমার পাঞ্জাবিটা শীষ দিয়ে নস্ট করে ফেলল যে ।
কি বললে ছেলে শুধু আমার তোমার নয় , আজ থেকে সব কিছুর অংশিদার তুমি , আজ শিষ দিল কাল গায়ে ইয়ে করবে ।
আচ্ছা সোনা এবার আমায় মুক্তি দাও , আমাকে আবার এক্ষুনি বেরুতে হবে ।
কোথায় যাবে শুনি , তোমার তো আর মনে থাকেনা । আগামী শুক্রবার আমাদের বাবুর প্রথম জন্মবার্ষিকী , ঘটা করে অনুষ্ঠান করব ।
তাই তো আমার একদম মনেই ছিলনা ।
ও হা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম , আগামীকাল আমাকে একটু চিটাগাং যেতে হবে , রাতের ট্রেনেই ফিরব , ওখান থেকে ফিরে বাবুর জন্মদিনের ব্যাপারটা
দেখব ।
তুমি বিয়ের পর কেমন হয়ে গেছ শুধু কাজ নিয়ে পড়ে থাক , আমি বলি কি শুন , তোমার সাথে আমাকে চিটাগাং বেড়াতে নিয়ে যাবে । দূর পাগলী আগে অফিসের কাজ সেরে নেই , সময় করে সে আশাও আর অপূর্ণ থাকবেনা ।
সাগর চিটাগাং এর উদ্দেশ্য রওয়ানা দিল তার সাথে ছিল আরও দুতিন জন ।
অল্পের জন্য ট্রেন মিস করে বাসে চড়ে ওরা রওয়ানা দিল । চিটাগাং মুল শহর পেরিয়ে পাহাড়ি চড়াই উত্রাই রাস্তা , যে কোন মুহূর্তে মনে হয় এই বুঝি বাস উল্টে একদম খাদে ।
কয়েকবার এমন হল যে বাসের সবাই একদম রিতিমত আতংকে । ব্যাগ থেকে পত্রিকাটা বের করে পড়ার মনোযোগ দিল সাগর , প্রথম পাতায় শিরোনাম , নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বাস উল্টে খাদে , নিহত ৭ / আহত ৪০ । সাগর এর মনে ভয় জাগল , মুহূর্তে মিলি এবং বাবুর মুখটা বারবার চোখের পর্দায় ভেসে উটল । নিয়তি যা থাকে কপালে তাই ঘটে , এখানেও ব্যাতিক্রম নয় । কিছুদুর যাওয়ার পর বাসটি সত্যি সত্যি নিয়ন্ত্রন হারাল এবং পাহাড়ের উপর থেকে গড়িয়ে এক্কেবারে খাদে এসে পড়ল ।
ভয়াল চিৎকার হুরুহুরি আর আতংকে বাস টি যেন এখন একটি মৃত্যু পুরী । এখানে ওখানে দলিত মলিত রক্তস্নাত লাছ । অসংখ্য লাছের ভিড়ে সাগর এর
ভোতা স্মৃতি লোভ পেল ।
২
কতদিন পর ঘুম থেকে জাগল সাগর সে ইয়ত্তা নেই , ঘুটঘুটে অন্ধকার ছাড়া হাতের লোম পর্যন্ত দেখা যাচ্ছেনা । ঠাহর করতে পারছেনা এখন সে কোথায় আছে , আসলে তার কি হয়েছিল । হাত পা গুলু আড়ষ্ট , টাণ্ডায় জমে যাবার অবস্থা । হাত পা নড়াচড়া করার জন্য যেই চেষ্টা করা , বুঝা গেল তাও সম্ভব নয় , কারা যেন বেধে রেখেছে ।
অনেক কষ্টে আড়মোড়া ভেঙে বসার জন্য মন ছটপট করতে লাগল , দম যেন বন্ধ হয়ে আসতে চাইল , পৃথিবীর বাতাস নিঃশ্বাস নিতে এত ভারী লাগছে কেন । হটাৎ একটা খসখস আওয়াজ , এইতো কানের কাছেই । ভয় জাগল
এবার তার মনে পড়ল তার বাসটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল এবং সব যাত্রির সাথে স্বাভাবিক ভাবে সেও মারা যাওয়ার কথা ।
খসখস আওয়াজ টি আরও নিকটে মনে হচ্ছে , এমনও তো মনে হয় মৃত্যুর পরবর্তী জীবন শুরু হবে । কবরে ছয়াল জয়াব হবে ,মুঙ্কার নাকির ফেরেস্তা আসবে , ভাল আমলনামা হলে এখান থেকেই বেহেস্তি সুখ আর মন্দ আমলনামা হলে চিরজাহান্নাম ।
হিংস্র আওয়াজ টি এক্কেবারে মুখের উপর , তার গোল গোল চোখ দুটি যেন টর্চ লাইটের চাইতেই তিক্ষ , ভয়ে রক্ত হিম হয়ে এল । শরীরের সমস্ত শক্তি একত্রিত করে সাগরের মুখ থেকে বের হল আরেকটি আওয়াজ বাঁচাও ।
সাগরের জ্ঞান ফিরল টাণ্ডা পানি যেন সারা শরীর ধুয়ে দিচ্ছে , কোথায় আছে
সে এখনও পরিস্কার নয় । কোন ভাবে উটে বসল , হাতের বাধন খুলল , বাধন তো নয় কাপড়ের গিট , উটে দাঁড়াবে চাঁদে মাথা টেকে গেল । এখনও দুচোখে রাজ্যর অন্ধকার , একটা ছিদ্র দিয়ে বাইরের কিছুটা আলো ভিতরে আসছে ।
ছিদ্র খুড়ে সাগর যখন মুক্ত আকাশের নিচে তখন সে আবিস্কার করল তার পরনে এবং সারা শরীরে সাদা কাফনের কাপড় দিয়ে ডাকা । এবার নিশ্চিত হল সাগর আসলেই এখন সে মৃত ।
একসময় আকাশে যে ক্ষিন আলোটা ছিল তাও এখন আর নাই আবার নিকষ কালো আধারে ছেয়ে গেল জঙ্গল এবং পাহাড়ি জায়গা । আকাশ ভেঙ্গে নামল
সপাৎ সপাৎ বিজলী আর প্রচণ্ড ভেগে ঝড় । হায়হায় এ আবার কোন কেয়ামত না পুলছিরাত মনে প্রশ্ন জাগে তার । ঝমঝম বৃষ্টি তে সে ভিজে একাকার ।
ক্ষিদেয় পেঠ জ্বলছে , রাতের আধার চলে যেতেই আবার মাঠির পৃথিবীতে ফিরে এল সাগর , আরে সূর্য উটেছে তাহলে আমি এখনও বেচে আছি ।
কাছেই ধুপ ধাপ শব্দ হল , সাগর থাকিয়ে দেখে দুই বালিকা কলসি জড়ায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে ।
এবার সাগর নিজেকে ধিক্কার দিল তার সর্বাঙ্গে পেছানো কাফনের কাপড় ।
তিন
পরের দিন স্থানীয় হাসপাতালে গেল চিকিৎসা নিতে । সাগর ডাক্তারের রুমে ডুকে যেই ডাক্তারের দিকে দৃষ্টিপাত করল ,অমনি ডাক্তার তাকে দেখেই চেয়ার থেকে ঢলে পড়ল । সে অজ্ঞান হওয়ার পরই সে অনুমান করল আসলেই
সে মানুষ নয় হয়ত মরে এখন ভুত । সে পালাল ।
ক্ষিদেয় পেঠ ছু ছু করছে , চুপি চুপি মুখটা ডেকে এক গ্রামের দিকে রওয়ানা দিল । দেখল পাশেই রাস্তার দ্বারে এক বাড়ীতে মিলাদ অনুষ্ঠান , মনে মনে সে খুশিই হল , ভাল মন্দ খাওয়া হবে পেঠের খিদেটাও এবার মেটানো যাবে ।
সবার সাথে অযু সহকারে মিলাদে অংশ নেয় সাগর , এবার দোয়ার জন্য সবাই হাত ঊটায় , ইমাম সাব তাকায় তার পানে , সাগর দেখে ইমাম সাব তার দিকে তাকিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেল ।। এবার সাগর নিশ্চিত হল সে এখন আসলেই একটা ভুত ।
সে এখান থেকে পালিয়ে গেল বাজারে , খাবারের দোকান থেকে খাবার ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়ে পুলিশের হাতে । পুলিশ সাগরকে থানায় নিয়ে যায় । পুলিশের বড়কর্তা সাগর কে দেখে একদম ওদের মতই অজ্ঞান হয় ।।
সাংবাদিক রা নেমে পড়ে রহস্য উদ্ঘাটনে ।
সাগরের নিকট থেকে বিভিন্ন তথ্য ভিত্তিক সত্য প্রতিবেদন বেরিয়ে আসে সাংবাদিকের কলামে ।।
দুর্ঘটনার পর সবার সাথে মৃত জেনে সাগর কে জানাজা পরিয়ে কবরস্ত করা হয় । যারা জড়িত ছিলেন , সেই অজ্ঞান ডাক্তার যে কিনা সাগরের মৃত্যু নিশ্চিত করেছিত । সেই ইমাম যিনি সাগর কে জানাযা দিয়েছিলেন । সেই অছি যিনি সাগরের লাছের পোষ্ট মরডেম রিপোর্ট করেছিল ।
সুস্থ হয়ে যখন সাগর বাড়ী ফিরে তখন মিলি তা শুনে ভড়কে যায় ।
আর নিস্পাপ আদরের দুলাল কচি কোমল হাত দিয়ে আনন্দে ভরিয়ে দেয় তার বাবার শরীর ।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ঈদ ভালই কাটল , তা বন্ধু দেশ ছেড়ে প্রবাস জীবন নিশ্চই আহাদের । কামনা করি সুস্থ জীবন ।।
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০০
লিরিকস বলেছেন: +
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: গল্প পাঠ এবং কমেন্টে ধন্যবাদ ।
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:২৮
এম. এ. হায়দার বলেছেন: অনেক বানান ভুল তো, পরিবেশ বন্ধু।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ , ঠিক করে নেব ।
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
মামুন রশিদ বলেছেন: আহাহা, ঈদ চলে গেল! হিট একটা প্যাকেজ নাটক হইতে পারত ।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তাই নাকি , বুঝতে পারছিনা লেখা কোনদিকে চলছে ।।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: টাইপো না থাকলে আলো ভাল লাগতো । বন্ধু ঈদ কেমন কাটলো ।