জিডিপি বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশ

৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:০০

জিডিপি‘র কথা বলে যারা উন্নয়নের কথা প্রচার করেন তারা এক প্রকার বিভ্রান্তি ছড়ান। একটা দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পাওয়া ইতিবাচক কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই জিডিপি‘র সুফল সর্বস্তরের জনগন পাচ্ছে কিনা। যদি তা না হয় তাহলে এই জিডিপি নেতিবাচক যা দিযে জনগনের কতটুকু কল্যান হতে পারে ?
এটা তো স্বাভাবিক- আপনি যদি বনাঞ্চল ধ্বংস করে কিংবা খাল-জমি ধ্বংস করে শিল্প গড়ে তোলেন তাহলে টাকা আসবে, আবার যদি শিক্ষা কিংবা সাস্থ্য খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করেন তাহলেও প্রচুর আয় বাড়বে। তেমনি এ সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যয় কমালে আয় কমবে, কিন্তু তার দ্বারা জনগন সুফল ভোগ করবে। তা না হলে জিডিপি বৃদ্ধি নেতিবাচক হতে বাধ্য।
এবার আসি বর্তমান জিডিপি নিয়ে আমরা যে ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের কথা শুনছি তার কী অবস্থা-
গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৫১ শতাংশ। কিন্তু একটা দেশের জাতীয় আয়ের উর্ধ্বমুখীতার নিরাপত্তার জন্য ৭.৫ শতাংশ জিডিপি দরকার। সম্প্রতি বাজেটে জিডিপি‘র লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ শতাংশ। ৭.৫ শতাংশ জিডিপি পেতে হলে জিডিপি‘র অনুপাতে ৩৭.৫ শতাংশ বিনিয়োগ দরকার। কিন্তু বর্তমানে দেশে বিনিয়োগের পরিমান হল জিডিপি‘র ২২.০৭ শতাংশ। বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা আমরা কি কাটিয়ে উঠতে পারবো ? সরকারের গৃহীত নীতিমালা কি তা বোঝায় ? নাকি কাগজে-কলমে জিডিপি বৃদ্ধির গর্বে বুক উঁচু করতে শিক্ষার মত মৌলিক অধিকারকেও অর্থ দ্বারা পরিমাপ অব্যাহত থাকবে ? পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের মত শিক্ষাও কিনতে হবে ১০% ভ্যাট দিয়ে ! যে দেশে শিক্ষার এমন নোংরা বানিজ্যিকীকরণ করা হয়,সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা পায় না, বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে সুন্দরবন ধ্বংসের প্রবনতা চলে, কমিশন পকেটে ভরতে তেল-গ্যাস বিদেশি কোম্পানীর হাতে তুলে দেয়া হয় সেদেশের জিডিপি বৃদ্ধির সুফল জনগনের দোরগোড়ায় কতটা পৌঁছাবে ?

০ টি +০/-০