![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লাঙ্গলবন্দ স্নান এবং নদের উৎপত্তি সম্পর্কে চমৎকার এক কাহিনী প্রচলিত আছে। হিন্দু পুরাণ মতে, জমদগ্নী নামের এক মুনি পিতৃভক্তি পরীক্ষা করার জন্য তার চার ছেলেকে তাদের মা রেনুকাকে হত্যা করার আদেশ দেন। কিন্তু চার ছেলে এ আদেশ প্রত্যাখান করে। কিন্তু কনিষ্ঠ পুত্র পরশুরাম কুঠার দিয়ে মাকে দ্বিখন্ডিত করে। মাতৃহত্যার শাসিৱস্বরূপ কুঠার তার হাতেই লেগে থাকে। প্রাণপণ চেষ্টা করেও কুঠার হাতে থেকে ছাড়ানো যায়নি। মাতৃহত্যার পাপে আক্রানৱ হয় পরশুরাম। এ পর্যায়ে পিতা পরশুরামকে তীর্থ ভ্রমণের আদেশ দেন। যে তীর্থে তার হাতের কুঠার খসে পড়বে, সে স্থানই হবে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ তীর্থস্থান। এরপর পরশুরাম তার কুঠার লাঙ্গলবদ্ধ করে পর্বতের মধ্য দিয়ে চালাতে থাকেন। সেই লাঙ্গলের ফলায় তৈরি পথ ধরে সৃষ্টি হয় ব্রহ্মপুত্র নদের। ওই পথ ধরে চলতে থাকেন পরশুরাম নিজেও। এভাবে অনেক দিন পর নারায়ণগঞ্জের বর্তমান স্নানঘাটে এসে লাঙ্গলটি আটকে যায়। হিমালয় থেকে বয়ে আসা ব্রহ্মপুত্রের পানিতে ওই স্থানে স্নান করে পাপমুক্তি ঘটে পরশুরামের। খসে পড়ে হাতের কুঠার। অর্থাৎ পরশুরামের লাঙ্গলের ফলা থেমে যাওয়া বা বন্ধ হওয়া থেকেই এ স্থানের নাম হয় লাঙ্গলবন্ধ। কালক্রমে তা স্থানীয়দের উচ্চারণ বিবর্তনে ওঠে লাঙ্গলবন্দ। সেই থেকে পুণ্যার্থীদের কাছে স্থানটি লাঙ্গলবন্দ নামেই পরিচিত।
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪
সুদীপ কুমার দে বলেছেন: প্রচলিত কাহিনীটি জানানো চেষ্টা করেছি একই সঙ্গে বলেছি যে পূণ্যার্থীদের কাছে স্থানটি লাঙ্গলবন্দ নামেই পরিচিত.। এখানে পাপমুক্তির বাসনায় পূর্নার্থীরা আসেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
সাদা রং- বলেছেন: যারা মাতৃহত্যা জনিত পাপে পাপি তারাইতো এখানে স্নান করে।