নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাতীয় প্রেস ক্লাবের এজিএম নিয়ে কিছু কথা ॥
অতঃপর মারামারি ও শোক প্রস্তাব ??
সূফি বরষণ
পৃথিবীতে বহু স্বৈরশাসকের আবির্ভাব ঘটেছে॥ রোম নগরী যখন আগুনে পুড়ছিল সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাঁজাচ্ছিলেন??!!॥ মহান দার্শনিক সক্রেটিস থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বহু বিখ্যাত মহা মনীষীকে স্বৈরশাসকরা নির্মম ভাবে হত্যা করে॥ শুধুমাত্র তাদের ক্ষমতাকে চির স্থায়ী করার জন্য॥
কিন্তু কেউ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারিনি ॥ এমনকি তাদের কে ইতিহাসের পাতায় কুখ্যাত খলনায়ক হিসেবে ঘৃণার সাথে স্মরণ করে ॥ গণধিকৃত এই স্বৈরাচাররা তাদের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদেরকে প্রাণ নিতে দ্বিধা করেনি।॥॥ বন্দী করে জেলের মধ্যে সীমাহীন নির্যাতন করতো॥
বিশ্বখ্যাত গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিসকে প্রাণ দিতে হয়েছে তখনকার স্বৈরশাসনের প্রহসনমূলক বিচারে॥ ইমাম আবু হানিফা রহঃ কেও হত্যা করে স্বৈশাসক॥ যিশু খৃস্টকেও ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল॥ সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল সমকামীতার আর যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করার। জগৎ খ্যাত দার্শনিকে হ্যামলক পানে মৃত্যু বরণ করতে বাধ্য করা হয়েছিল ॥
আজ কোথায় ইতিহাসের সেই কুখ্যাত স্বৈরশাসক আর কোথায় সক্রেটিস, হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ সক্রেটিসকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে, আর স্বৈরাচারকে জানাচ্ছে ধিক্কার।
ইতিহাস সাক্ষী বাংলাদেশে ২% জনসমর্থন পাওয়া গণধিকৃত খুনী ডিক্টেটর হাসিনা অন্যায়ভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা একজন ইতিহাসের নব্য স্বৈরাচার॥
শুধুমাত্র হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার দেশের বিখ্যাত সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানসহ অনেক খ্যাতনামা রাজনৈতিক নেতা কর্মী ॥ দেশের প্রতিভাবান খ্যাতনামা দুইজন সাংবািদক জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য এবং ডিইউজে ও বিএফইউজের নেতা ছিলেন ॥ অবৈধ আওয়ামী সরকার তথাকথিত ট্রাইবোনালের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে ??। যে বিচার প্রক্রিয়া শুরু থেকেই প্রশ্ন বিদ্ধ ॥ শাহবাগের মোড়ে কিছু লম্পট কুলাঙ্গার ফাঁসির দাবি জানালে স্বৈরসরকারের অধীন কথিত আইন সংশোধন করে ফাঁসির রায় দেয়। তাদের সাথে সুর মিলিয়ে সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটি (সবুজ-আবদাল) তাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সদস্য পদ বাতিল করে ফাঁসির মঞ্চের দিকে এগিয়ে দেয়। আর ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অবৈধ সরকারের সাথে গোপনে যোগাযোগ করতে থাকে ???!!
পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষী দেয় সাংবাদিকরা সব সময়ই সত্যের পক্ষে থাকে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ ছিল । কিন্তু আমাদের ব্যবস্থাপনা কমিটি ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে সত্যের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ছিল॥ শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ॥ কাকে খুশি করতে দুইজন সিনিয়র সদস্যের সদস্য পদ বাতিল করেছিলেন কোনো রকম ফোরামে আলোচনা না করে ? সাংবাদিকতার পেশার মান-সম্মান ভূলুণ্ঠিত করেছিলেন তৎকালীন ব্যবস্হাপনা কমিটি ॥ কিন্তু তাদের দূর্ভাগ্য শেষ রক্ষা হয়নি॥
অবৈধ সরকার তাদেরকে জোর করে গলা ধাক্কা দিয়ে বিতাড়িত করে॥
ন্যায় কোনোদিন অন্যায়ের কাছে মাথানত করেনি॥ যারা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত তারাই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে। আর যারা কলুষিত তাদের প্রতিবাদের সাহস থাকে না। নতজানু হতে হতে উঁটের মতো কুঁজো হয়ে সোজা হওয়ার শক্তি-সমর্থ থাকে না। অবস্থা তাই হয়েছে সাংবাদিক সবুজ ও আবদাল ভাইয়ের ক্ষেত্রে । গত সোমবারজাতীয় প্রেস ক্লাবের ইজিএমের শোক প্রস্তাবে (মরহুম আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান) দুইজনের নাম যুক্ত না করে অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ করেছেন। আমি একজন সাধারণ সাংবাদিক হিসেবে তীব্র নিন্দা জানাই।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ দিন। ইজিএমে সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ কোথায়? বার বার ঘোষণা দিয়েছেন অপেক্ষাও করেছেন, বলেছেন, “যানজটে আটকে আছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবেন।” কোথায় তিনি? চিন্তার দিক দিয়ে অসৎ ব্যক্তি কখনোই সত্যের মুখোমুখি হতে পারে না ॥ কারণ দেখা গাড়ী ঝামে পড়েছে ॥
লেন্দুপ দর্জি, মীরজাফরদের যোগ্য উত্তরসূরি আপনারা ॥ আমরাই মানে সৎ সাংবাদিকরাই ভুল করে এদেরকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছিল। সম্মানিত করেছিল। তার বিনিময়ে এরা গোটা জাতির সাথে বেইমানী করেছে ॥ আজ প্রেস ক্লাবের এই অবস্থার জন্যে এই লেন্দুপ দর্জিরাই দায়ী। এরা সদস্যদের ভাষা বুঝে না।
যাদের জন্যে আজ নতজানু হয়েও খুশি করতে চেয়েছেন তারা কি এই ভোগে খুশি হয়েছে? হয়নি: বরং ঘার ধাক্কা দিয়ে আপনাকে রুম থেকে বের করে দিয়েছে। আপনি দুর্বল ঈমান নিয়ে নতজানু হয়েই আছেন মেরুদ- সোজা করে দাঁড়াতে পারছেন না।
ন্যায় আর অন্যায়ের ভীষণ ফারাক; বিপরীত! দেখছেন না! ন্যায় প্রতিষ্ঠার সৈনিকেরা অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়ায়নি; হিমালয়সম শির উঁচু করে হাসিমুখে ফাঁসির দড়ি গলায় পরেছেন। জীবন যাদের সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত কেবল তারাই পারে উপভোগ করতে। পারে শহীদী মর্যাদা পেতে। সত্যের সেনানী আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান এখন দেশ-কালের ঊর্ধ্বে মানবজাতির গৌরব।
আর আপোসকামী নতজানুরা অপদস্ত হতেই থাকবে। স্বৈরাচার হাসিনার শাসন দীর্ঘ হবে না ঠিকই কিন্তু দোমুখি এই সব মুনাফেকদের মানুষ সব সময় ধিক্কার জানাবে॥ আগামী দিনের বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্ন ভাবেই লেখা হবে ॥
মুক্ত বুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ
©somewhere in net ltd.