নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি\nমানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ

ানু মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্ব এগারো উপমহাদের রাজনীতিতে রক্ত দেয়া নেয়ার খেলা চলছে এবং ভবিষ্যতেও কি চলবে ? ইতিহাসের ঘটনা প্রবাহ বলে হাসিনার স্বাভাবিক মৃত্যু হবে না ???!!

১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

পর্ব এগারো
উপমহাদের রাজনীতিতে রক্ত দেয়া নেয়ার খেলা চলছে এবং ভবিষ্যতেও কি চলবে ?
ইতিহাসের ঘটনা প্রবাহ বলে হাসিনার স্বাভাবিক মৃত্যু হবে না ???!!

সূফি বরষণ
গত দশ পর্বের দীর্ঘ আলোচনায় আমরা একটি বিষয় পরিষ্কার ভাবে জানতে পারলাম যে ভারতীয় উপমহাদেশের কোনো রাজনৈতিক নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি ??!!! কারণ এরা ক্ষমতার জন্য সাধারণ মানুষের উপর রক্তগঙ্গা বয়ে দিয়েছে ॥ আমি এদের একজন হত্যাকারী হিসেবেই বলতে বেশি পছন্দ করি॥ এদের দু হাত মানুষের রক্তে রাঙানো ॥ বিশ্বের ইতিহাসে কোনো হত্যাকারীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি ॥ পৃথিবীতে প্রকৃতির একটা আইন আছে সেই আইন লঙ্ঘন করলে এই দুনিয়াতেই তাঁর পাপের শাস্তি ভোগ করে যেতে হয়॥ আর এইসব হত্যাকারী নেতাদের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে ॥ জীব হত্যা মহা পাপ একথা জানার পরও এইসব নেতারা জনগণের উপরে চালিয়েছে বর্বর হত্যাকান্ড॥ দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি প্রধান দেশ বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান ॥ এই তিন দেশের রাজনীতিতে তিনটি পরিবারের ভূমিকা সবচেয়ে
বেশি॥ এক. শেখ পরিবার দুই. গান্ধী পরিবার তিন. ভুট্রো পরিবার ॥ আর এই তিন পরিবারের কোনো সদস্যেই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি ??!!!!
কারণ হত্যাকারীর কখনোই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি পৃথিবীর ইতিহাস তাই বলে॥
মহান মুক্তিযুদ্ধের তিন মহা কলাকৌশলীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি ॥ এর কারণ হিসেবে আমি শুধু মনে করি তারা গণহত্যার সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে??!!
আর এই তিন মহান কলাকৌশলী
হলেন শেখ মুজিব,জুলফিকার আলী ভুট্রো ও ইন্দিরা গান্ধী॥
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দুই মেয়ে বব্যতীত সপরিবারে শেখ মুজিবকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা হত্যা করে॥ দুই মেয়ে জার্মানীতে
অবস্থান করায় সেই যাত্রায় বেঁচে যায় ॥ সেই মর্মান্তিক ঘটনায় ঐ বাড়িতে অবস্থানকারী কেউ বেঁচে ছিলো না॥ হত্যাকারীরা এতো পাষণ ছিল যে, একটি বুলেটই যেখানে শেখ মুজিবকে হত্যার জন্য যথেষ্ট ছিল কিন্তু মুজিবের শরীরকে শত শত বুলেট দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়া হয় ॥ লাশ মেঝেতে পড়েছিল দীর্ঘ সময়॥
স্বাধীন দেশের এতো জনপ্রিয় নেতার এই করুণ মৃত্যু পর লাশ সৎকার করার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি ॥ বরং দেশের মানুষ মুক্তির আনন্দে ইন্নালিল্লাহ পড়েনি কিন্তু রোযা রেখে ছিল ॥
এই হত্যাকান্ডের ঠিক পাঁচ বছর পর ১৯৭৯ ভুট্রোকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে অবৈধ ভাবে ক্ষমতা
দখলকারী জেনারেল জিয়াউল হক॥ অথচ ভুট্রোই তাকে সেনাপ্রধান বানিয়ে ছিল বিশেষ প্রদোন্নতি দিয়ে ॥ আবার তাকেও বিমান দূর্ঘটনার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছিল ॥
এইবারও ভুট্রোর ফাঁসির ঠিক পাঁচ বছর পর ১৯৮৪ সালে ৩১অক্টোবর দেহরক্ষীর গুলিতে
মৃত্যু হয় ইন্দিরা গান্ধীীর ॥ আর সেই মৃত্যুর সাথে কারণ হিসেবে যোগ হয়েছিল শিখদের গুরুদোয়ারায় সেনা অভিযান চালিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা অভিযোগ ॥
গল্পের শেষ এখানেই নয়!! ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যু ঠিক সাত বছর পর ১৯৯১ সালের ২১ শে মে তার পুত্র রাজীব গান্ধীর মৃত্যু হয় তামিলনাডুতে আত্মঘাতী বোমা হামলার মাধ্যমে ॥ লাশ এতোই বিচ্ছিন্ন হয় যে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়েছিল ॥ ভুট্রোর মৃত্যু ২৮ বছর পর ২০০৭ সালের
২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে এক আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয় তার মেয়ে বেনজীর ভুট্রোর॥
ভালো করে লক্ষ্য করে দেখেন সবার মৃত্যুই হয়েছে অস্বাভাবিক ও মর্মান্তিক ভাবে॥ এবং মৃত্যুর সাল তারিখ ও সময়ের পার্থক্য
সবই বিজোড় সংখ্যায় হয়েছে !!!॥ এ এক অবিশ্বাস মিল??॥ এর একমাত্র কারণ নিজেদের ক্ষমতার লোভে যুদ্ধ বাধিঁয়ে লাখ লাখ সাধারণ জনগণের উপর দিয়ে রক্তের নদী বয়ে দেয়া॥
এবার হাসিনার পালা !! ইন্দিরা গান্ধীর সাথে রাজিব গান্ধীর মৃত্যুর দূরত্ব ছিলো
সাত বছর আর ভুট্রোর সাথে
বেনজীরেরও মৃত্যুর দূরত্ব ছিলো ২৮ বছর ॥
সেটাও বেজোড় সংখ্যার মধ্যে পড়ে মানে চার সাতে ২৮ হয় ॥
তাইলে শেখ হাসিনার মৃত্যু হলেও সেটা বিজোড় সংখ্যার মধ্যেই হবে এবং অস্বাভাবিক মৃত্যু হবে বলে আপাতত ধারণা করা হচ্ছে ॥ বাপের পাপের দেনার সাথে সাথে হাসিনা বিবি তো অনেক পাপ জমিয়েছেন ॥ হাসিনার দুঃশাসনের কারণে যে কত মায়ের বুক খালি হয়েছে তার সঠিক হিসাব নির্ণয় করা কঠিন ॥ কথায় আছে না, কিছু কিছু পাপের দেনা পৃথিবীতেই নিজের রক্ত দিয়ে শোধ করে যেতে হয়॥
উপরে বর্ণিত সব গুলো ঘটনাতো তাই বলে॥ যদিও জন্ম মৃত্যু আল্লাহ হাতে তিনিই নির্ধারণ করেন কে কখন কোথায় মৃত্যু বরণ করবে॥ আমরা অপেক্ষায় থাকি দেখি আল্লাহ কি ভাবে হাসিনার মৃত্যু দেয়॥ আজ পর্যন্ত কারোই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি যারা মানুষের উপরে হত্যা বা গণহত্যা চালিয়েছে॥
হিন্দু ধর্মের ভবিষ্যত্ পুরাণার বর্ণনা অনুযায়ী প্রাচীন ভারতে ভরত চন্দ্র নামে এক রাজা ছিলো ॥ তিনি ছোট বেলায় খেলার ছলে সাতটি প্রজাপতি হত্যা করেন॥ আর এই কারণে এক যুদ্ধে তার একে একে সাত ছেলে নিহত হয়॥ এবার শুধু অপেক্ষার পালা কি হয় হাসিনার ভাগ্যে তা দেখার
জন্যে ॥
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১৩

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:

জ্যোতিসি হওয়ার খায়েশ দেখছি।

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বস, সুফিবাদ দিয়ে কখনো রাজনীতি চলেনা; চলে ধর্মচর্চা! রাজনীতিতে হাঙ্গামা লেগেই থাকবে । রাজনীতিকেরা বড়জোর সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনতে পারে, চিরতরে নির্মূল করতে পারেনা । পৃথিবীর মহান শাসকেরাও কমবেশি অত্যাচারী ছিলেন । মাঝে মাঝে অত্যাচারী, কঠোর হতে হয়; নইলে দুষ্কৃতকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.