নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বাস রাখি - মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে। চাই - প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ পেশাজীবী ও উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশ। এবং সেই দিন বদলের সংগ্রামের সাথে থাকতে। কাজ - পলিসি, আইসিটি, উদ্যোক্তা, কারিগরি শিক্ষা নিয়ে। করি - পথ দেখা-দেখানো। ধাক্কা দিয়ে শুরু করানো। সরকারি ও বেসরকারি - অবকাঠামো ও নীতিমালা নিয়ে ঠেলাঠেলি। হাতিয়ার - লেখালেখি, প্রশিক্ষণ, বক্তৃতা, রেডিও-টেলিভিশনে অনুষ্ঠান, পেশাজীবী ও গন-সংগঠন, বাণিজ্যিক ও অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, রাজনীতি এবং যখন যা লাগে।
শাহবাগ মুভমেন্ট এর শুরুর পরে - আমাদের অনেক বন্ধু হঠাৎ করে খুব লিবারেল আর মানবতাবাদী হয়ে উঠেছেন। লিবারালিজমের যে ফ্যাশন ফর্ম, তা হঠাৎ যেন ওদের পেয়ে বসেছে। কেউ আবার এক্সেপশনাল হতে গিয়েও একটু ওই লাইনে হাঁটার চেষ্টা করে গদাম খাচ্ছেন।
• প্রসঙ্গত আসে ওনাদের বেশিরভাগের প্রোফাইল - আই হেট পলিটিক্স। সরকার, রাজনৈতিক দল – শব্দগুলো শুনলে ঠোট উলটান। কেন উলটান - নিজে অবশ্য জানেন না।
• মানব, ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশের ইতিহাস ওনাদের কাছে অত্যন্ত অপ্রয়োজনীয় স্টাডি। তবে চাকরির বাইরে অন্য কিছুও পড়েনও না।
• মাল্টি ন্যাশনাল বা দেশি কংলোমেরেট এ কাজ করেন। উইক-এন্ডে পার্টি-শার্টি করেন। দু একবার পা পিছলেও যায়। মাঝে মধ্যে শর্টস পরেন। স্ত্রীকে জিন্স-টপে দেখতে ভালবাসেন।
• কেউ কেউ ইমিগ্রেশনে আবেদন করে রেখেছেন। সুযোগ পেলে চলে যাবেন এই জঞ্জালের দেশ ছেড়ে।
• ফেসবুকে রোমান হরফে ছাড়া বাংলা লিখতে পারেন না। বাংলায় প্রশ্ন হলেও ইংরেজিতে উত্তর দিতে আরাম বোধ করেন।
• সোশাল মিলাদে যান। তবে ধর্মের মুল দায়িত্বগুলো পালন ওনাদের কাছে ওল্ড ফ্যাশন। তবে মাঝে মধ্যে সুবহানআল্লাহ, বিসমিল্লাহ বলেন। বিপদে পড়লে অবশ্য কিছুদিন নামাজ পড়েন।
• দেশের প্রতি দায়িত্ব ওনারা রাজনীতিবিদদের লিজ দিয়েছেন। তাদেরকে মাঝে মধ্যে দু একবার গালি দিয়ে জমিদারিত্ব বজায় রাখেন।
এদের আরও অনেক মজার এট্রিবিউটস্ আছে। লিখতে গেলে লিস্ট লম্বা হবে। তবে সেগুলোর বেশিরভাগই পারস্পারিক সাংঘর্ষিক এবং সুবিধাবাদীর সকল গুণাবলি বিদ্যমান। এ কারনেই ওনারা উদারতার বিষয়ে একটু সিরিয়াস।
সেই উদারতার কারনেই - তাই ওনারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে এতটা হৈচৈ ঠিক মানতে পারছেন না। তাদের অনেক প্রশ্ন। ঘুরে ফিরে সব প্রশ্নের মানে হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে এত গুরুত্ব দেয়া তাদের পছন্দ হচ্ছে না। জামাত শিবিরের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করতে চাওয়া কি এক্সট্রিমিজমের পর্যায়ে পড়ে না? দেশে আরও এত ইস্যু আছে ... ? অন্য সকল বিচার ....? ইত্যাদি।
যেহেতু আমরা শিবির এর মত থাবড় দিচ্ছি না, তাই ওনারা আমাদের কাছে এসে বুদ্ধি খরচ করে আরাম পেতে চান। নানা রকম থিওরির মাধ্যমে বোঝাতে চান – আমরা কি কিঞ্চিৎ বাড়াবাড়ি করছি না? গদাম না দিলে আরও আগান; দিয়ে দিলে, এখান থেকেই মিনমিন করতে করতে চুপ।
মজার বিষয় হচ্ছে - সময় বদলেছে, প্রযুক্তি বদলেছে; তবে অন্য বিষয়গুলো মেলালে এই শ্রেণীটিকে অতীতের একটি শ্রেণীর সাথে পুরোপুরি মিলে যাবে।
এই লোকগুলোই ৭১এ মুক্তিযুদ্ধদেরকে সন্ত্রাসী বলতো। অত্যন্ত দু:ক্ষ করে বলতো – কি একটা গণ্ডগোল বাধায়ে নিলো ? আগে কত শান্তি ছিলো ? এরা নামাজ কালাম ঠিকমতো না পড়লেও সেসময় টুপি মাথায় দিয়ে বাইরে যেত। বাসায় পাকিস্তানের পতাকা লাগাতো। মোড়ের রাজাকারদের দিনে ৩ বার বেশি সালাম দিত। আত্মীয় স্বজনের যুদ্ধে যেতে নিরুৎসাহিত করতো। ক্ষমতাবান রাজাকার আত্মীয়ের বাড়ি গিয়ে বসে থাকতো (যেমন থাকতো স্বাধীনতার পরে ক্ষমতাবান মুক্তিযোদ্ধা আত্মীয়ের বাসায়)। তবে সাহস এবং চরিত্রের কারনে - এরা ক্ষমতাবান রাজাকারও হতে পারে নাই। বড়জোর - ডান্ডি কার্ড নিয়ে নিজের জানমাল বাঁচাবার জন্য তৃতীয় শ্রেণীর রাজাকার হয়েছিল।
সেই শ্রেণীটিই এখন বিশিষ্ট লিবারেল এবং মানবতাবাদী শ্রেণী। যারা প্রকৃত সার্টিফিকেট-ধারি মূর্খ, ভিতু ও সুবিধাবাদী শ্রেণী। যুগেযেুগে এই সরীসৃপগুলো এ্যতিহ্য টিকিয়ে চলে আসছে।
জানি তারা বদলাবে না। তারপরও বলি – উদারনীতি (লিবারালিজম) এক ধরনের আর্ট। যেটা সবার আসে না।
সেটা আসার জন্য – ইতিহাস জানা দরকার, পড়াশোনা দরকার, সম্পৃক্ততা দরকার, দায়িত্ববোধ, রুচি এবং আত্মসম্মানবোধ থাকা দরকার।
লিবারালিজম মানে - ধীরে ধীরে এক্সট্রিমিস্টদের বাড়তে দেয়া না। লিবারালিজম মানে হেঁহেঁ করতে করতে এদের সাথে শুয়ে পড়া না। তাদের সাথে কম্প্রোমাইজ করা না। লিবারালিজমের মানে এক্সট্রিমিজম প্রতিহত কর। আদর্শ, নীতি এবং কর্ম দিয়ে উদারনীতির বাস্তবায়ন করা। সেই কাজে নিজের সর্বস্ব কোরবানি করতে প্রস্তুত থাকা।
ওনারা জানেন না যে – জামাত /শিবিরের বাড়তে দিলে ওর লিবালালিজম কোন দিক দিয়ে ঢোকাবে? ওনার শর্টস পরার স্বাধীনতার কি হবে? কখন ওনার স্ত্রী কখন হিজাব পরতে বাধ্য হবে? ওনার উইক-এন্ড পার্টির কি হবে? এক্সট্রিমিজম কি জিনিস তা ওনাদের বিভিন্ন অঙ্গ দিয়ে অনুভব করিয়ে ছাড়বে।
জাতির কথা দুরে থাক, নিজের সবচেয়ে বড় শত্রু এরা।
ওরে বেকুবের দল – প্রথম নিজেদের মিত্র হ। এরপর সাহস থাকলে আগে বাড়িস।
এক্সট্রিমিস্ট হতে সাহস লাগে। লিবারেল হতে দু:সাহসী হতে হয়। তোদের দিয়ে দুটোর কোনটাই হবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
রুরালমারকেিটং বলেছেন: