নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বাস রাখি - মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে। চাই - প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ পেশাজীবী ও উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশ। এবং সেই দিন বদলের সংগ্রামের সাথে থাকতে। কাজ - পলিসি, আইসিটি, উদ্যোক্তা, কারিগরি শিক্ষা নিয়ে। করি - পথ দেখা-দেখানো। ধাক্কা দিয়ে শুরু করানো। সরকারি ও বেসরকারি - অবকাঠামো ও নীতিমালা নিয়ে ঠেলাঠেলি। হাতিয়ার - লেখালেখি, প্রশিক্ষণ, বক্তৃতা, রেডিও-টেলিভিশনে অনুষ্ঠান, পেশাজীবী ও গন-সংগঠন, বাণিজ্যিক ও অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, রাজনীতি এবং যখন যা লাগে।
আমাদের অর্থনীতিতে গার্মেন্টস শিল্পের অবস্থানকে ছোট করে দেখি না।
কিন্তু মালিকরা যে বলে - সবকিছুতেই তাদের প্রধান অবদান, এটা কেন মানতে হবে?
গার্মেন্টস আমাদের মত শ্রমবাজারে এক ধরনের সম্ভাবনা, যেটা গার্মেন্টস মালিকরা ক্যাশ করেছে।
সরকারও হাজার রকম সুবিধা দিয়েছে। প্রণোদনা, ভিআইপি, সিআইপি, ভর্তুকি আরও কত কি।
সুবিধা পেয়ে বায়ার এসেছে। ভবিষ্যতেও আসবে।
এখানে উদ্যোক্তাদের তেমন বিশেষ ক্রিয়েটিভটির কিছু নাই। আন্তর্জাতিক মানের ভিন্ন ধরনের যোগ্যতার কিছু নাই।
এধরনের অন্যান্য লেবার ইন্টেন্সিভ ইন্ডাস্ট্রি, একই রকম সরকারি সুবিধা পেলে, একই গতিতে আগাবে। গার্মেন্টস উদ্যোক্তারা অবশ্য সেগুলোর গলা টিপে ধরেছেন বারবার।
গার্মেন্টস শিল্পের সফলতার প্রধান পিলার আমাদের সস্তা শ্রমিক। এর উপরে পা দিয়ে দাঁড়িয়েছে ইন্ডাস্ট্রি।
এই সস্তা শ্রমিক যদি না থাকে, গার্মেন্টস মালিকরা হাজার রকম ক্রিয়েটিভটি দিয়ে কিচ্ছুই করতে পারবে না। সরকার প্রণোদনার ক্রেন দিয়ে টেনেও এই শিল্পকে বাঁচাতে পারবে না।
কিন্তু - আজ সেই প্রধান পিলারের অবস্থা আইনবহির্ভূত স্থাপনার মতই নড়বড়ে। অত্যাচার, অনাচার, অপমৃত্যুর ভারে আরও - নাজুক, রক্তাক্ত।
সেই নড়বড়ে রক্তাক্ত পিলারের উপরে দাড়িয়ে আজকেও - গার্মেন্টস উদ্যোক্তা, শ্রমিক নেতা, রাজনৈতিক নেতারা তাণ্ডব করে চলেছে?
আমরা কি এর একটা সমাধান করবো?
নাকি দুদিনের এ্যক্টিভিজম শেষ করে - তাজরিনের পরবর্তী সময়ের মত আবার ঘুমিয়ে যাব?
©somewhere in net ltd.