নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বাস রাখি - মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে। চাই - প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ পেশাজীবী ও উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশ। এবং সেই দিন বদলের সংগ্রামের সাথে থাকতে। কাজ - পলিসি, আইসিটি, উদ্যোক্তা, কারিগরি শিক্ষা নিয়ে। করি - পথ দেখা-দেখানো। ধাক্কা দিয়ে শুরু করানো। সরকারি ও বেসরকারি - অবকাঠামো ও নীতিমালা নিয়ে ঠেলাঠেলি। হাতিয়ার - লেখালেখি, প্রশিক্ষণ, বক্তৃতা, রেডিও-টেলিভিশনে অনুষ্ঠান, পেশাজীবী ও গন-সংগঠন, বাণিজ্যিক ও অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, রাজনীতি এবং যখন যা লাগে।
গাজা নিয়ে অনেকেই লিখতে বলছেন। কি লিখবো !!!
আমি সবসময় "রুট কজ" খোঁজা মাইন্ড সেটের লোক।
যা লিখব, তা এই মুহূর্তে চেতনায় ফুটন্ত ধর্মীয় জাতীয়তাবাদীরা নিতে পারবেন না। অকথ্য গালাগালি করবেন।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ পাকিস্তান স্কিমের বিরুদ্ধে বলেছিলেন - যতদিন আমরা ভারতীয় মুসলামনরা জাতি পরিচয় দেব "ভারতীয়", ততদিন এই জমিনের উপরে আমাদের হক নিয়ে কারও প্রশ্ন তোলার সাহস হবেনা।
যখন আমরা "মুসলমান" জাতি পরিচয় দিয়ে আলাদা ভূখণ্ড দাবী করবো, তখন ঐতিহাসিকভাবে এই জমিনের উপরে আমাদের হক নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ হবে।
যখন আমরা সর্বজনীন ভারতীয় পরিচয় হারাবো, তখন আমরা হয়ে উঠবো আর দশটি ভারতীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মতো সংখ্যালঘু।
দিল্লির জামে মসজিদে দেয়া সেই ভাষনের রেকর্ড আমার কাছে আছে। উনি বলেছিলেন - পাকিস্তানি স্কিম কি জারিয়ে মুশকিল হাল হোনে কি বাজায়, মাজিদ মুশকিলাত প্যায়দা হো যায়েগা। মুসলমান জাত পরিচয় দাড় করাতে গিয়ে - কালক্রমে ভারতীয় মুসলমানরা আরও "লাচার", "কামজোর" হয়ে যাবে।
ভারতীয় মুসলমানদের জন্য আল্লাহতালার রহমত হিসেবে আসা এই মানুষটার কথা আমরা শুনি নাই।
রেওয়ায়েতিদের প্রতিনিধি জিন্নার ডাকে, মুসলিম জাতীয়তাবাদের চেতনায় জাজবাতি হয়ে অসংখ্য ভাই বোনকে কতল করে সাধের "পাক জমিন" প্রতিষ্ঠা করলাম। ফলাফল সবার জানা।
আধুনিক কালে কোন মুসলিম ইউনিটি মুসলিমদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে পারেনাই। ক্ষতি অনেক করেছে।
শুধু মুসলমান কেন, পৃথিবীব্যাপী প্রতিটি ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী প্রয়াস শুধুমাত্র অশান্তির বীজই বুনেছে। আমার বিশ্বাস ভবিষ্যতেও এর এক্সেপশন হবে না।
কারণ - ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের চেতনায় মানুষ অন্যকে কতল করতে পারে ঠিকই, কিন্তু নিজেদের আর্থিক স্বার্থ বিসর্জন দিতে পারে না।
যেটা হয় - কোন যুদ্ধ যখন ধর্মযুদ্ধে রূপ নেয়, অপরপক্ষ তখন নির্বিচারে কতল করতে পারে। সেই হত্যার বিচার হওয়াও জরুরী হয় না।
কারণ প্রতিটি ধর্ম, ধর্মযুদ্ধে অপরপক্ষকে নির্বিচারে কতল করা জায়েজ করে দিয়েছে। সেই হত্যা ধর্মীয় কেতাব জাস্টিফাই করে দিয়েছে। ফলে কোন অপরাধ বোধও থাকে না।
আমরা এত ক্ষতির পরেও শিখলাম না !
ফিলিস্থিনিদের মাটির অধিকারের যুদ্ধকে আমরা ইনোসেন্টলি ধর্মযুদ্ধ হিসেবে ব্র্যান্ডিং করে দিলাম।
আমাদের ফিলিস্থিনিদের বিষয়ে যতটা মানুষ হিসেবে মানবিক, তারচেয়ে অনেক বেশি মুসলিম হিসেবে দরদী।
আমাদের এই বিষয়ে এক্সপ্রেশন মানে - ইহুদিদের প্রতি যাচ্ছেতাই গালাগালি। এমনকি ইহুদি হত্যায় হিটলারকে সমর্থন।
আমরা ভাবিনি - ইসলামের জন্য আমরা যেমন প্রাণ নেয়া-দেয়াকে জায়েজ ভাবি, ইহুদিরা ঠিক একই মানসিকতায় ফিলিস্থিনিদের হত্যা করাকে জায়েজ ভাবতে পারে।
আমি বলবো - কোন ধর্মের পরিচয় লাগিয়ে ফিলিস্থিনিদের আরও বিপদে ফেলবেন না। ওদের হত্যার দায়কে ধর্মযুদ্ধের ইনডেমনিটি দেবার সুযোগ দেবেন না।
ইসরাইলি হত্যাকারী আর তাদের মতদাতাদের "সন্ত্রাসী" বলুন। স্রেফ সন্ত্রাসী। যাদের কোন ধর্ম নেই, অন্য কোন পরিচয় নেই।
পৃথিবীর সব মানুষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এক হন, সে যে ধর্মের ধ্বজা ধরেই থাকুক না কেন।
তবেই সেদিন অনাচার বন্ধ সম্ভব হবে, বিচার পাওয়া যাবে। মানবতা প্রতিষ্ঠিত হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২১
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ ।