নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোথাও শান্তি নাই তবু শান্তিতেই নোবেল দেয়া হচ্ছে প্রতিবছর !!

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন

যা বশে আনা সম্ভব নয় তা ধ্বংস করে দিতে হয়।

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতে সাইকেল নির্মাণ ও বিকাশের প্রাণপুরুষ হলেন সুধীরকুমার সেন..

০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১২:১৬

বাঙালির কাছে এখন এক বিস্তৃত নাম হলো সুধীরকুমার সেন। অথচ শিল্প-বাণিজ্যের এক শ্রেষ্ঠ বাঙালি নেতা ছিলেন তিনি।
সদ্য স্বাধীন হয়েছে দেশ। পশ্চিমবঙ্গের মুষ্টিমেয় মানুষ তখন স্বপ্ন দেখছে আধুনিক শিল্পকে কেন্দ্র করে উঠে দাঁড়ানোর। সাইকেল হলো তার মধ্যে একটি। সারা ভারতে আধুনিক উন্নত মানের সাইকেল শিল্পের ভিত্তি রচিত হয়েছিল যাঁর হাত ধরে তিনিই হলেন সুধীরকুমার সেন।

১৮৮৮ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠির বাসন্ডা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সুধীরকুমার সেন। চণ্ডীচরণ সেন ও বামাসুন্দরী দেবীর সন্তান ছিলেন সুধীরকুমার সেন। তাঁর আরেক পরিচয় হলো তিনি প্রখ্যাত মহিলা কবি কামিনী রায়ের ভাই ও ডাক্তার নীলরতন সরকারের জামাই। তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে ইংরেজিতে অনার্সসহ বি.এ পড়েন। অধ্যাপক পার্সিভালের শিক্ষা তাঁকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। তিনি গর্বের সঙ্গে বলতেন, প্রেসিডেন্সিই তাঁর জীবনের ভীত সুদৃঢ় করে দিয়েছিল।

তিনি যথাসময়ে কৃতিত্বের সঙ্গে গ্রাজুয়েট হয়েও প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষার পথ পরিহার করেন। তিনি প্রভিন্সিয়াল এক্সিকিউটিভ সার্ভিসে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েও স্বেচ্ছায় তা পরিত্যাগ করেন। একদিকে স্বদেশি আন্দোলনের জোয়ার, অন্যদিকে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের আহ্বান-- এই দুইয়ে মিলেই যেন তাঁর ভাগ্যনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেল। ব্যবসা-বাণিজ্য শিল্পে বাঙালির অধিকার থাকা কত প্রয়োজনীয় তা তিনি উপলব্ধি করেছিলেন স্যার রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে সামনে থেকে দেখে। যৌবন বয়সেই স্থির করলেন যে তিনি স্বাধীনভাবে ব্যবসা করবেন। নিজস্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি ১৯০৯ সালে সাইকেল ব্যবসার মাধ্যমে ব্যবসায়ী জীবন শুরু করলেন।

তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও রামচন্দ্র পন্ডিতের সহায়তায় ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত 'সেন অ্যান্ড পন্ডিত কোং' অল্পদিন পরেই তাঁর মালিকানায় চলে আসে। সাইকেলের প্রচলন বৃদ্ধির জন্য ১৯১৭ সালে তিনি 'ইন্ডিয়ান সাইকেল অ্যান্ড মোটর জার্নাল' নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। তিনি একাধিকবার দেশ-বিদেশের বাণিজ্যিক সম্মেলনে অংশ নেন। ইংল্যান্ড, জার্মানি ও আমেরিকার মতো দেশেও তিনি নিজের ব্যবসাকে ছড়িয়ে দেন। শিল্পপতি হিসেবে ব্রিটিশ আমলেই তিনি সাড়া ফেলে দেন৷

১৯৪১ সালে তাঁর শ্বশুর ডা. নীলরতন সরকারের অনুরোধে তিনি ন্যাশনাল ট্যানারির কর্মভার হাতে নিয়ে তার উন্নতিসাধনে যথেষ্ট পরিশ্রম করেছিলেন। ১৯৫২ সালে আসানসোল সংলগ্ন কন্যাপুরে 'সেন-র‌্যালে' কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। যা ছিল তাঁর এক অক্ষয় কীর্তি। তাঁর ঐ কারখানাতে তৈরি হতো রবিনহুড, হাম্বার, র‌্যালে ও রাজের মতো জনপ্রিয় সব সাইকেল। আন্তর্জাতিক মহলেও তিনি অধিক পরিচিতি লাভ করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত একসময় তাঁর নিজের হাতে গড়া সাইকেল কারখানাটি আস্তে আস্তে বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে গেল।

কলমে : শঙ্কর চক্রবর্তী

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৩:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকুন।

২| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১১:১৬

স্থিতধী বলেছেন: উদ্যোক্তা মানুষদের জীবনী শুনতে ভালোই লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.