![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার 'কলম' আজো আছে আমার সাথে, আমার কষ্টের সঙ্গী হয়ে,আমার সুখের ভাগ নিয়ে দেনা-পাওনা চুকিয়ে,এক চিলতে হাসি হয়ে...
''নিরা্নন্দের ভাগ দিতে হয় না,কিন্তু তোমার কাছে বা তোমার সাথে আনন্দের অংশীদার হব এই আশাও করিনা আর তাই তোমার দেয়া নিরানন্দ টুকুই আমার জন্য অনেক কিছু ।জানি আমার কথা শুনে এখন তোমার খুব রাগ হচ্ছে,মনে মনে খুব বিরক্ত ও হচ্ছো কিন্তু এসব সত্য।এই সত্য আমি বুঝতে শিখেছি গত পাঁচ বছর ধরে।পাচঁ বছর সময় লেগেছে আমার তোমাকে বুঝতে,সময় লেগেছে তোমাকে আবিস্কার করতে,সময় লেগেছে তোমার জন্য নিজেকে তৈরী করতে,কিন্তু তোমার কতটুকু সময় লেগেছে বলতে পার?নাহ...আমার মনে হয় না অত সময় তোমার লেগেছে,আসলে তোমার তো আমার জন্য সময় ছিলই না...আমার সাথে বসে গল্প করা অথবা,আমাকে নিয়ে নদীর পাড়ে বেড়াতে যাওয়া অথবা আমার পাশে বসে চাঁদের সাথে কথা বলা...ওহ,সর্যি,এসব তো তোমার কাছে অর্থহীন কাজ,চিন্তাহীন মানুষের কাজ...মানুষের জীবন অনেক ছোট কিন্তু কাজ অনেক,তাকে অনেক অনেক কিছু ভেবে চলতে হয় আবেগ কে প্রশ্রয় দিলে চলেনা ইত্যাদি ইত্যাদি এগুলো ছিল তোমার কথা ।আর আমিও কি বোকা ছিলাম,তোমার এসব কথা শুনে ভাবতাম,নাহ, মানুষ টা আর দশজনের থেকে আলাদা,ম্যাচুরিটি আছে...হ্যা,এসব তোমার ছিল,কিন্তু আমার জন্য কি শুধু এসবেরই দরকার ছিল?আমি তো তোমার কাছে শুধু জীবন সম্পর্কে হাইথট কথা শুনতে চাইনি,বিবেকের কাঠগরায় বার বার দাড়াতে চাইনি...কিন্তু তুমি?তোমার কাছে আমার এসব ভাবনা ছিল নিতান্তই ছেলে মানুষি,আবেগি মনের খেলা ।হলই নাহয় তা আবেগি মনের খেলা,তুমি কি পারতে না কিছুটা সময় আমার সাথে সেই খেলা খেলতে?এত এত দায়িত্ব পা্লনের মাঝেও আমার কিছু ছেলে মানুষি সহ্য করতে?
নাহ,তুমি তা করনি,করতে চাওনি আর তাইতো আজ আমি বদলে গেছি,তোমার মত জীবন নিয়ে হাইথট কথা বলতে শিখেছি,এত এত দায়িত্ব পালন করতে শিখেছি,আজ আমিও অনেক অনেক ব্যাস্ত ।সংসার,চাকরী,সোস্যাল ওয়ার্ক সব নিয়ে আজ আমিও ব্যাস্ত ।জীবনের মানে আজ আমি নতুন করে সাজিয়েছি আমার জন্য,আমার জগতে আজ তোমার জন্য ভালোবাসা,তোমার ফেরার অপেক্ষা করা,তোমাকে সারপ্রাইজ দেয়া এই সবই মুল্যহীন ।কোন মুল্য নেই এগুলোর আমার কাছে ।কিন্তু এখন কেন তুমি অভিযোগ কর?এই তো সেদিন,তোমার মা সবার সামনে আমার মায়ের কাছে অভিযোগ করল,আমি নাকি তোমাকে সময় দেই না কোন দরকার নেই তাও চাকরী করি...!তুমি সেদিন সব শুনেও চুপ করে ছিলে কেন?বলতে পারলেনা,যে এই রকম সঙ্গীনীই আমি চেয়েছিলাম যে আমার সাথে বসে সূর্যাস্ত আর সূর্যদয় দেখবে না বরং আমার সাথে তাল মিলিয়ে জীবনের উন্নতির সিঁড়ি গুলো পাড় হবে ।কিন্তু তুমি তা বলনি,কারন আবেগের বিসর্জন শুধু মেয়েরাই দিতে পারে তোমরা না ।আমার লেখা এই ডায়েরি তূমি কখনো পড়বে কিনা জানিনা,তবে আমার কষ্ট তুমি একদিন ঠিকই বুঝবে এটা জানি ।মনে থেকে শুধু এটাই দোয়া করি যেন সেদিন আমি তোমার পাশে না থাকি ।মাঝে মাঝে খুব মনে হয় যদি বাবা-মায়ের পছন্দে এমন ম্যাচিউরড, স্টাবলিশ ছেলে বিয়ে না করে কোন সহজ সরল,সাধারন কাউকে বিয়ে করতাম তাহলেই ভাল ছিল,অন্তত সে আমাকে তো বুঝতো ।বান্ধবীদের প্রেম দেখে হাসতাম আর মনে মনে বলতাম,নাহ আমি বাবা-মায়ের পছন্দেই সেই রকম ছেলে বিয়ে করব যার ভেতর সব কিছুই থাকবে,যেনতেন ছেলে বিয়ে করব না ।হয়েছিলও তাই,আমার বিয়ে দেখে সবাই খুশি হয়েছিল,বাবা-মা,আত্নীয়-স্বজন সবাই...এমনকি আমি নিজেও। কিন্তু খুব বেশিদিন লাগেনি আমার ধারনা বদলাতে।তাই তো অনেক ভেবে চিন্তে নিজেকে বদলে নিয়েছি,রাতের পর রাত কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি, স্বপ্ন ভাঙ্গার কষ্ট সহ্য করতে করতে পাথর হয়ে গেছি আর তাই সেদিনের চঞ্চল,প্রানবন্ত আমি আজ হয়েগেছি প্রচন্ড ব্যাস্ত,গম্ভীর কেউ...পাড় করে চলেছি দিনের পর দিন বছরের পর বছর,এখন আর তোমার সাহায্য আমি চাইনা, তুমি পাশে না থাকলেও আমার কোন কষ্ট নেই,কোন টেনশন হয়না আর তোমার জন্য,আর তাইতো ফোন করে খোঁজ নেই না খেয়েছ নাকি?কখন ফিরবে?ইত্যাদি।
স্বপ্ন ছিল ঘর বাঁধার,ঘর হয়েছেও একটা তবে স্বপ্নের সেই ঘর বানাবার চেষ্টা সফল হয়নি । তোমাকে না দেখেও যে আমি তোমাকে নিয়ে দিনের পর দিন স্বপ্ন দেখেছি সেই আমারই আজ তোমাকে দেখার দৃষ্টি ঝাপসা হয়েগেছে,জানিনা আমার মেয়েটার কপালে কি আছে সেও কি আমারই মত ধুকে ধুকে মরবে নাকি স্বপ্নের আকাশে ডানা মেলে উড়তে পারবে জানিনা ।ওকে আমি কখনো আমার কষ্ট বুঝতে দেইনি কারন আমি চাইনা ওর বাবা সম্পর্কে ওর ভেতর কোন খারাপ ধারনা কাজ করুক ।তবে ওতো আমারই মেয়ে তাই হয়ত একদিন ঠিকই বুঝবে ওর মায়ের কষ্ট......
দু'হাতে ডায়েরিটা বুকে আঁকড়ে ধরে দিশা ।ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে আর বিড় বিড় করে বলে,''আম্মু,তুমি এইভাবে সব কষ্ট বুকে নিয়ে কেন চলে গেলে?কেন আমাকে কোনদিন বললেনা?একবার একটিবার ও আমাকে বুঝতে দাও নি তোমার এত কষ্ট,আমিতো শুধু অভিযোগই করে যেতাম,আমার আম্মু সারাদিন বাইরে থাকে আমাদের সময় দেয়না তুমি বেঁচে থাকতে তো একবারও বুঝলাম না যে তুমি আসলেই এমন না তোমারও একটা মন আছে...কেন বুঝতে দিলে না আম্মু?কেন...?...
অনেক দেরি হয়েগেছে দিশার বুঝতে,চারদিন আগে রোড এ্যক্সিডেন্টে যখন তার আম্মু চলে গেল তখন ও বুঝেনি...সত্যিই অনেক দেরি হয়েগেছে...
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫৯
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ...
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেল