আসেন একটু সুশীলতা মাড়াই

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৭

এই পোস্ট নিয়ে কারো যদি অবাঞ্ছিত মাথা ব্যাথা শুরু হয় তাহলে কেবল মাত্র তিনিই দ্বায়ী থাকিবেন।



আমাদের মধ্যে এক ধরনের মানবিকতা দেখে আমি খুব ব্যাথিত।

কোথাকার কোন মালালা নিয়ে আমাদের ব্লগ বা ফেসবুক এ আন্দোলন হইছে......মালালার কষ্টে বুক ফাইট্যা যায় শিরোনামে। হায় হায় কত শত লেখা...আমি মালালা হতে চাই, তুমি কী মালালা হবে ?

ফলাফল: মালালা সুস্থ হয়ে আমাদের নির্ভীঙ্গে পটু মারছে। মালালা আমাদের বলেছে আমরা নাকি বিড়ালের মত। হা হা দারুন সেলুকাস।



কোথাকার কোন দিল্লিতে গণধর্ষনের প্রতিবাদ এখনো আমাদের মধ্যে চলছে.....সর্বনাশা পুরুষ জাতির গুষ্ঠী উদ্ধার করে। কেউ কেউ বলছে পুরুষ দেখে একন আমার শরীর ঘিন ঘিন করে......কেউ বলছে আমরা পুরুষ এটা ভাবতেও ঘৃণা লাগে। ভাল অনুভূতি। আমিও তাই বলি, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে (মেয়েটির নাম জানি না) সে যদি সুস্থ হয়ে উঠত, তাহলে আমাদের কে শুনতে হতো আরেকটি পটু মারার গল্প।

ফলাফল: দিল্লির সেই মেয়েটি এখন মইরা ভূত হইয়া শেষ। কিন্তু আমাদের আবেগ এখনো বেচে রয়েছে।



এইবার কাজের কথায় আসছি,

দেখুন নিজেদের ঘরের একটি মেয়ে গণধর্ষনের স্বীকার হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রনা কাতরাচ্ছে, অথচ আমাদের মধ্যে তেমন সাড়া জাগেনি, আমরা দুই কলম লিখতে পারছি না, যদি আমাদের আত্ত্বসম্মান বোধ কমে যায়। কারণ এটা যে আমাদের নিজেদের মেয়ে। আমাদের নিজেদের বোন।

অথচ এই বিষয়ে যদি আমরা খুব লেখালেখি করতে পারতাম, তাহলে আমাদের চারপাশের মানুষ রুপি পশু গুলো সাবধান হয়ে যেত, রক্ষা পেট আমাদের নারী সূমাজ, অবাঞ্ছিত গণধর্ষনের হাত থেকে।

কিন্তু না আমরা নিতান্তই নিরব।

কেন ?

কারণ হচ্ছে যারা এই আন্দোলনের সূচনা করতো, সেই আন্দোলনকারিরা ইতিমধ্যে জেনে ফেলেছে গণধর্ষণকারী দের মধ্যে একজন বিএনপির যুবদলের নেতা।



এই যে আন্দোলন এইসব আন্দোলনের ভাষা দেখে মন চায় আন্দোলন কারীর মুখে জুতা মারি। এখন যারা দিল্লির সেই মেয়ের গণধর্ষনের প্রতিবাদ জানাচ্ছে, যদি তারা জানতো টাঙ্গাইলের মেয়েটি সরকারী দলের সমর্থিত কোনও কর্মীর কাজ এটি তাহলে দেখতাম। ব্লগ, ফেসবুক এ হাসিনার গুষ্ঠী উদ্ধার করে কত লেখা প্রকাশিত হতো।



শালার সুশীলতা। আমি এইসব সুশীলতারে মাড়াই না।

@সুলতান মির্জা।

১৪ টি +৫/-০