|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু কিছু সত্য ঘটনা থাকে যা বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনায় চেপে গেলেও সমস্যা হয় না।
ছবির নাম ? রানা প্লাজা। মেনে নিলাম সিনেমার অভিনেত্রী পরী মনির ক্ষোভের কথা। পরি মনি ক্ষোভ জানিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে । যদিও এই প্রতিক্রিয়া এক্কেবারেই মুল্যহীন আমার দৃষ্টিতে জানি না কোন কারনে।
প্রশ্ন হচ্ছে, রানা প্লাজা নাম দিয়ে, রানা প্লাজার ঘটনা নিয়ে কি কারনে কোন যুক্তিতে সিনেমা তৈরি করা আমাদের জন্য ফরজ হয়ে গিয়েছিল ?
দেখেন, রানা প্লাজা শুধুই একটা নাম নয়, এই নামের পিছনে রয়েছে দীর্ঘ নিঃশ্বাস, কান্না আর অনেক পরিবারের আপনজন হারানোর ঘটনা। বাংলাদেশের ইতিহাস নয়, বিশ্বের ইতিহাসেও অন্যতম এই ভয়াবহ ট্রাজেটির নাম হিসেবে রানা প্লাজা রয়েছে। প্রশ্ন আসতে পারে টাইটানিক দুর্ঘটনা কি কোন ট্রাজেটি ছিল না ? হা অবশ্যই ছিল তবে তা প্রায় ১০০ বছর পরে নির্মিত হয়েছিল বলে অনেক কিছুই চ্যালেঞ্জে যায় নি।
যাই হোক, গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি শুধু বাংলাদেশ কেন হলিউড, বলিউডের কোন পরিচালক কিংবা স্কিপ্ট রাইটারের জন্ম হয় নাই যে রানা প্লাজার ভয়াবহ ঘটনার চিত্রনাট্য ঘটনার ২ বছরের মধ্যে ৩ ঘন্টার ফুটেজে বন্দি করবে নির্ভুল ভাবে। ভুল হবেই, ভুল থাকবেই। তো এই ভুল চিত্র্যনাট্যের রানা প্লাজা সিনেমায় আমাদের কি লাভ হলো ? আপনি রানা প্লাজা তৈরি করলেন, কেন ? নিশ্চই ব্যবস্যার জন্য, ব্যবসার উদ্দেশ্যে কিংবা কোন না কোন মহলের প্ররোচনায়। বিষয়টা তো এমনই ছিল তাই নয় কি ? দ্বীমত করলে
প্রশ্ন হচ্ছে রানা প্লাজা কার জন্য নির্মিত করা হয়েছে ? যারা নিহত হয়েছে তাদের জন্য ? যারা স্বজন হারিয়েছে তাদের জন্য ? যারা পঙ্গু হয়ে এখনো দুঃসহ জীবন নিয়ে ভয়ে শিউরে উঠছে তাদের জন্য ? উত্তর যদি হয়, কিছুটা তাদের জন্য কিছুটা অন্য কারো জন্য। তাহলে স্বাভাবিক কারনেই প্রশ্ন আসে কেন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেওয়া ?
আর অন্য কারো জন্য, আপনি বলতে পারেন সাধারন দর্শকের জন্য সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে সত্য ঘটনা ধরে। কথা হচ্ছে রানা প্লাজা যদি আমাদের জন্য নির্মিত হয়ে থাকে, তাহলে ২৪/২৪ ঘন্টা, ২৪/৭ দিন টাইম টু টাইম লাইভ আপডেট আমাদের মিডিয়া প্রচার করেছে, আমরা এ টু জেড পর্যন্ত দেখেছি রানা প্লাজা ভবন ধস, লাশ উদ্ধার, আহত মানুষ উদ্ধার, মানুষের হাহাকার। এটা ভুল-বাল চিত্রনাট্যে দেখার আর ইচ্ছা নাই। তখন উত্তর কি ?
সোজা কথা আপনি যতই সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মানের কথা বলেন না কেন রানা প্লাজা সিনেমাটি রানা প্লাজা ভয়াবহ ট্রাজেটির সাথে মশকারা মুলক আচরন হয়েছে।
জানতে চাই, রানা প্লাজা নির্মান হলো কেন ? কার স্বার্থ আদায়ের জন্য ? উদ্দেশ্য কি মানুষের আবেগ নিয়ে ব্যবসা নাকি আন্তর্জাতিক কোন প্ররোচনায় ?
শুনেন ভাই, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবনযাত্রা-কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে।
কিন্তু আপনি কি জানেন, কারখানার মালিক যদি নিয়মিত প্রাপ্য বেতন পরিশোধ করে তাহলে এই বেতনেই শ্রমিকেরা খুবই সুখে শান্তিতে থাকে।
যাই হোক, বহিঃবিশ্বে আমাদের গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে যখন নেতিবাচক প্রচারনা চালাচ্ছে দেশি বিদেশি কতিপয় মহল, ঠিক তখন রানা প্লাজা নামের সিনেমাটি কোন অবস্থাতেই সত্য ঘটনার উপরে নির্মিত সিনেমা হতে পারে না। রানা প্লাজা প্রদর্শন তো দুরে থাক, এই সিনেমার সাথে সংশ্লিষ্ট ইনভেষ্টর, পরিচালক কে জিজ্ঞাসাবাদ করার দ্বাবী জানাচ্ছি। কি কারনে এই সিনেমা নির্মিত হয়েছে ? কার উদ্দেশ্য হাসিল করা এই সিনেমার উদ্দেশ্য এগুলো প্রকাশ হওয়ার দরকার আছে।
উল্লেখ্য রাষ্টপতির নির্দেশে সিনেমাটি প্রদর্শন করা নিষিদ্ধ আছে।
৫ টি 
+১/-০২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৮
ধুসর আলো বলেছেন: আমি মনে করি রানা প্লাজা নিয়ে মুভি বানানোর মত অবস্থান এখনো আমাদের আসে নাই , অভিনয় সইল্পিতার কথা না হয় বাদই দিলাম , আমি মনে করি উনি এমন কোন পরিচালক না যে ওনাকে ক্যামেরুনের সাথে তুলনা করে ছবি মুক্তির কথা বিবচনায় আনতে হবে, এমনিতেই পোশাক শিল্পে টালমাটাল অবস্থা তার উপর এ ধরনের মুভি এ দেশে ব্যাবসা না করার জন্য যে কোন ব্যাখা বানিয়ে দিবে বিদেশি বায়ার দের কাছে্্,
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬
আজিজার বলেছেন: প্রবাসী পাঠক @ মুক্তিযুদ্ধ আর রানা প্লাজা কি এক ????? রানা প্লাজা তো দুদিন আগের ঘটনা।
কারখানার মালিক যদি নিয়মিত প্রাপ্য বেতন পরিশোধ করে তাহলে এই বেতনেই শ্রমিকেরা খুবই সুখে শান্তিতে থাকে। ১০০% সঠিক।
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: পোস্টদাতাকে, অলিভার স্টোন নির্মিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার দেখার আমন্ত্রন রইলো...!
৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১১
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: 
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৩
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আপনার যুক্তি মেনে নিলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন চলচিত্র অন্তত কয়েক হাজার বছরের মধ্যে নির্মাণ করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে সকল চলচিত্র আছে তা ব্যান করে দিতে হবে। রানা প্লাজা নিয়ে নির্মিত মুভি তৈরি হয়েছে গার্মেন্টস কর্মীদের সুখ দুঃখ তুলে ধরার জন্য। রানা প্লাজার মত আর যেন কোন ট্র্যাজেডি না হয় সে ব্যাপারে সচেতন করার জন্য। চলচিত্র তৈরি করা হয় লাভের আশায়ই। কেউ নিজের পকেটের টাকা জলে ফেলার জন্য চলচিত্র তৈরি করে না। তাই রানা প্লাজা মুভি তৈরির পিছনে অর্থ লাভের আশা খোঁজা অর্থহীন। বলিউডের কথা বললেন মাঝে, রাং দে বাসন্তি মুভিটা দেখেছেন, ঐটা কিন্তু সত্যি ঘটনার উপর নির্মিত চলচিত্র। ভারত কিন্তু সেই মুভি আঁটকে দেয় নি। বাংলাদেশে একটা টার্ম খুব ব্যবহার হয় " জনস্বার্থে " - এই জনস্বার্থে শব্দটা একটা শুভঙ্করের ফাঁকি। অন্যান্য দেশে জনস্বার্থে তথ্য উন্মোচন করে। আর আমরা জনস্বার্থে তথ্য গোপন করি। যেন তথ্য গোপন করলেই সব ধামা চাপা পরে যায়। আক্ষেপের সাথেই বলতে হয়, জহির রায়হান এর ভাগ্য ভালো - জীবন থেকে নেয়া চলচিত্রটি পাকিস্তান আমলে মুক্তি পেয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে কোন সরকার, আই রিপিট কোন সরকার এই চলচিত্র মুক্তি দিত না।