নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

"প্রত্যেক সত্ত্বাকে মৃত্যু আস্বাদন করতে হবে। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, নিঃসন্দেহে সে হল সফল। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়।" আল ইমরান,আয়াত ১৮৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

Merry Christmas : মুসলিম কি উদযাপন করবে??

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৩২





উপরের এই ছবিটা আমি এবার ২৫ ডিসেম্বর ২০১১ আমার ফেইসবুক প্রোফাইলে দিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল আমার মুসলিম বন্ধুদের সচেতন করা এবং একটি গোনাহ থেকে বাচানো ! ছবি থেকেই বুঝতে পারছেন, খ্রিস্টানদের বড়দিন বা Christmas এর যে ধারণা, সেটা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক !



সূরা ইখলাস এর ৩ নং আয়াতে বলা হয়েছেঃ

لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ

তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি

”He begets not, nor was He begotten"



খ্রিস্টানরা যাকে যীশূ খ্রিস্ট বলে জানেন তিনি ইসলাম ধর্ম মতে আল্লাহর একজন নবী যার নাম ঈসা(আঃ)। হযরত ঈসা(আঃ) তার গোত্রের জন্য এক আল্লাহর বাণী নিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেল বিকৃত হয়ে যায় এবং ইসলাম পৃথিবীতে আসার পর ইসলামই আল্লাহর কাছে মনোনীত একমাত্র ধর্ম -– এই হল মুসলমানদের বিশ্বাস।



যাইহোক, এই মেসেজটি পোস্ট করার পর জনৈক খ্রিস্টান ব্যাক্তি মন্তব্য করেন, "“I hate religious fanatics/terrorists. It's no wonder our world is in religious chaos due to these bigots." “ তিনি আরো লিখলেন, “"Everybody should be allowed to practise what they believe in. Every religion thinks that their's is the true one. NOBODY knows, so let's all respect each other."



গতকাল তার জবাব দিতে পেরেছি, লিখেছি, "“আপনার এই মন্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণই একমত যে, প্রত্যেককেই তার নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী চলতে দেয়া উচিত"” এবং আমিও সেটাই বলতে চেয়েছি। আমরা যদি এই জায়গায় একমত হই, তাহলে আলোচ্য ছবিটিতে যা বলা হয়েছে সেটা নিয়া আলোচনা করার আর কিছুই থাকে না !



ধরুন, আমেরিকাতে মদ খাওয়া হালাল, কিন্তু বাংলাদেশ হারাম। এখন এটাকে আপনি কি বলবেন? এটা কি উগ্রবাদ, গোড়ামি বা মৌলবাদ?? এটা হল দুটো দেশের আইন মাত্র। যারা আমেরিকায় বসবাস করতে চায় তাদের আমেরিকার আইন কানুন মেনে চলতে হবে আর যারা বাংলাদেশে বসবাস করতে চায় তাদের বাংলাদেশের আইন কানুন মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে কোনই বাড়াবাড়ি নেই !



তেমনি, যারা খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসী, তারা তাদের ধর্মের বিশ্বাসকে নিজের মধ্যে ধারণ করবে এবং তাদের ধর্মীয় আচার অনুসরণ করবে। অন্য ধর্মে বিশ্বাসী কারো এতে কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। কিন্তু খ্রিস্টান ধর্মের কোন বিশ্বাস যদি অন্য কোন ধর্মের বিশ্বাস এর সাথে সাংঘর্ষিক হয়, তবে অন্য ধর্মে বিশ্বাসী ব্যাক্তিবর্গকে অবশ্যই সেই খিস্টান ধর্মীয় আচার থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা এটাকে কিছুতেই উগ্রবাদ, ধর্মান্ধতা বা গোড়ামী বলতে পারি না যেমন বলতে পারি না বাংলাদেশে মদ খাওয়া নিষেধ একটা ঘৃণ্য আইন ! এটা আসলে যার যার নিজের ধর্মকেই পালন করা। ইসলাম ধর্মে কোথাও বলা নেই যে, যেসব খ্রিস্টান ক্রিসমাস পালন করছে তাদের ওপর গিয়ে হামলা কর। যদি কোথাও সেটা করা হয়, তবে এটা হবে সন্ত্রাস যা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। অন্য ধর্মের আচারের প্রতি প্রতিটি মুসলমানকেই শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, তবে এর মানে এই নয় যে তাকে সেই ধর্ম পালনেও অংশগ্রহণ করতে হবে।



প্রত্যকেই, সে কি করছে এবং কেন করছে সেটা বুঝতে হবে। যদি কোন খ্রিস্টান মুসলমানদের ধর্মীয় ইবাদত/আচার অনুষ্ঠান পালন শুরু করে তবে সে অবশ্যই তার ধর্ম অনুসারে গোনাহ করছে, কারণ সে তার নিজের ধর্মকে অনুসরণ করছে না। যে কোন ধর্মের ক্ষেত্রেই তার মূল বিশ্বাস এবং প্রতিষ্ঠিত ধর্মীয় আচারের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই ! যেমন কেউ যদি বলে মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর রাসূল নয়, সেটা নিশ্চয় একজন মুসলমান মেনে নিতে পারে না। তেমনি কেউ যদি বলে যীশু বলে কেউ নেই, সেটাও কোন খাটি খ্রিস্টান মেনে নিতে পারে না।



আরেকজন এই প্রসংগে একটি বিখ্যাত উক্তি দিয়েছেন, "The whole problem with the world is that fools and fanatics are always so certain of themselves, but wiser people so full of doubts" - quoted from Bertrand Russell."



Bertrand Russell কি বলেছেন সেটা নিয়ে আমার কোন কথা নেই, কিন্তু আমি কি বলছি, না বলছি সেটা আমি বুঝছি কিনা সেটা বোঝা আমাদের সবার কাছে জরুরী হওয়া দরকার। আমাদের সব ধর্মের মানুষের মধ্যে আরেকটা সমস্যা আছে, সেটা হল, আমরা আমাদের নিজের ধর্মকে ঠিকমত জানার, বোঝার চেষ্টা করি না ! বরং কে কি বলল সেটা নিয়ে মেতে থাকি। আজকের অনেক মুসলিম পশ্চিমা বিশ্বের মিডিয়ার খবর দেখে ইসলাম এবং Islamist Terrorism কে বোঝার চেষ্টা করেন ! :|:|



এই পোস্ট এই অসময়ে দিলাম, কারণ অনেক দিন এই ব্যাপারটা আমি লক্ষ করেছি। আমাদের অনেক মুসলমান ভাই বেশী উদার হয়ে গিয়েছেন, তারা সর্ব ধর্মের সব আচার অনুষ্ঠানেই অংশগ্রহণ করাটাকে আধুনিকতা এবং অগ্রসরতা হিসেবে দেখেন। আরে ভাই, একজন মুসলমান হয়ে যদি আপনি সনাতন ধর্মের মূর্তি পূজায় অংশগ্রহণ করেন, তবে আপনার ধর্মীয় বিশ্বাসের মূল এর সাথেইতো সাংঘর্ষিক হয়ে গেল ! পূজোর প্রসাদ যদি খান যেটা কিনা দেব দেবীর নামে উৎসর্গকৃত, তাহলে তো আপনি এক আল্লাহর সাথে শরীক করার ব্যাপারটা মেনে নিলেন! কোন সনাতন ধর্মী কি আপনাকে জোর করেছে পুজোয় অংশ নিতে, প্রসাদ খেতে? আপনি কখনো হয়ত জানারও চেষ্টা করেন নি পুজোয় অংশ গ্রহণ, প্রসাদ খাওয়া হালাল নাকি হারাম ! কিন্তু পত্রিকায় ইসলাম বা মুসলিম সম্পর্কে কোন নেতিবাচক খবর দেখলে সেটা যাচাই না করেই চায়ের কাপে সেটা নিয়ে সমলোচনা করে ঝড় তুলতে, মোল্লা, ফতোয়াবাজ বলে উচ্চ কন্ঠ হতে সবার আগে থাকেন? এটা কেমন রে ভাই? অবশ্যই ইসলাম নিয়ে সমাজে বাড়াবাড়ি আছে, তবে সেটা কি ইসলাম এর সমস্যা না আমাদের সমাজের সমস্যা সেটা নিয়ে কি কখনো ভেবেছেন, সমাধানের পথ খুজেছেন??



কেউ যদি নিজেকে মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিতে চান, তবে এটা বুঝতে হবে, মুসলিম হল আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী ! শুধু নামের আগে মুহাম্মদ বা আব্দুর রহিম, আব্দুল করিম থাকলেই মুসলিম হওয়া যায় না, আল্লাহর খাতায় মুসলমান হিসেবে নাম থাকতে হবে। সুতরাং আমরা আমাদের কথা কাজে আরো সতর্ক হই, ইসলাম ধর্মকে জেনে বুঝে সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সরল পথ প্রদর্শন করুন, আমিন। নিশ্চয় আল্লাহ মহাজ্ঞানী এবং সর্বজ্ঞ !



উপরের ছবির পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা এখানেঃ

মন্তব্য ১২৬ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (১২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৪০

নাজিম রেজা বলেছেন: সহমত। সুন্দর এবং যর্থাথ উত্তর দিয়েছেন

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৪৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে বুঝতে হবে ব্যাপারগুলো... :)

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৪২

যে আছো অন্তরে বলেছেন: খুবই সুন্দর করে বুঝিয়ে লিখেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৪৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই, আপনার নিকটা অনেক সুন্দর... :)

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫২

মদন বলেছেন: +++

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: :)

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৮

সবুজ সাথী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। এটা নিয়ে অনেক ত্যানা প্যাচানো হইছিল। আমার জ্ঞানমতে এই ব্যপারটা নিয়া কোনরকম মন্তব্যে যাইনি। ভিডিওটা দেখার পর মন্তব্য করব।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:১১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: পোস্টে মোটামুটি সহজভাবে ব্যাপারটা বোঝানোর চেষ্টা করেছি, আশা করি ত্যানা প্যাচানোর মত আর কিছু থাকবে না ! :)

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২০

অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: হ্যাটস্‌ অফ জহিরুল ভাই, এ রকম একটা লেখাই খুঁজছিলাম :)
যাদের ধর্মনিয়ে বেশী চুলকানি,তাদের জন্য চমৎকার একটা উপহার বলা যায় ...
অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অসামাজিক ভাই এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২৩ ডিসেম্বর ব্লগ আড্ডায় গিয়েছিলেন নাকি?? আপনার দেখা পাই নি মনে হয়...

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২২

সবুজ ভীমরুল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বিষয়টি খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য।

আমি ক্রিসমাস বা পূজাতে অংশ গ্রহন করলাম না, এবং কোন মুসলমানকে এটা নিষেধ করলাম তাতে কি আমি খারাপ হয়ে যাব?? আমি সন্ত্রাসি হয়ে যাব?? আমি যদি বলি আমি রথ দেখতে যাব না, বা পূজার প্রসাদ খাব না, তাহলে কি আমি কি উগ্রবাদী হয়ে যাব??

কেউ যদি আন্তরিক ভাবে তওহীদ, শীরক ইত্যাদি কথা বলতে চায় তাহলে কেন দরে নেয়া হবে যে সে উগ্রবাদী জামাতি সমর্থক??

এই সরকারের উপর পাবলিকের তিক্ত মনোভাবের অন্যতম কারন হচ্ছে, এই "অতি সেক্যুলারিজম"।

আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাইরে, কথাটা সেখানেই ! ইদানিং কিছু মুসলিম ভাই অনেক বেশী উদার হয়ে গেছেন, সুন্দর বাংলায় ওনাদেরকে মনে হয় সুশীল বলে !

আপনি যেই কথাগুলো বললেন, সেগুলো কাউকে বোঝাতে গেলেই এরা দেখবেন উগ্র, গোড়া, মৌলবাদী, মুসলিম টেররিস্ট ( আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সবচেয়ে Juicy শব্দ), ক্ষেত্রবিশেষে জামাত শিবির, ছাগু (ব্লগে খুব Juicy), হুজি এসব ট্যাগ লাগিয়ে দেবে! আসলে এরা ধর্ম নিয়ে কখনো চিন্তাই করে না, জানারও চেষ্টা করে না, শ্রেফ পশ্চিমা ভোগবাদী আবহে গা ভাসিয়ে দিয়েছে... এদের কাছে যত বেশী পশ্চিমা তত বেশী আধুনিক, তত বেশী অগ্রসর... যদি এই ধারা না থামানো যায়, অচিরেই এর ভয়াবহ পরিণতি আমাদের দেখতে হবে, বলা যায় অনেকট আমরা এখনই দেখছি... :| :|

৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৩

সাদা মাটা গরীব ছেলে বলেছেন: ভাই আমি তো হ্যাপি হলিডেইজ কইসিলাম কি হপে আমার :-< :-*

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: না জাইনা কইছেন, ইনশাল্লাহ আল্লাহ মাফ করবেন, ভবিষ্যতে আর কইয়্যেন না !

আর আরো বেশী জানার চেষ্টা করেন, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার চেষ্টা করেন। :)

৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩০

শিপু ভাই বলেছেন: সুন্দর করে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্যাখ্যা করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
+++++++++++++

অন্য ধর্মের আচারের প্রতি প্রতিটি মুসলমানকেই শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, তবে এর মানে এই নয় যে তাকে সেই ধর্ম পালনেও অংশগ্রহণ করতে হবে।

১০০% সহমত

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ শিপু ভাই... :D :D

আছেন কিরাম? আমিতো খেলতে গিয়া হাটুতে ব্যাথা পাইয়া ঝামেলায় পইড়া গেলাম ! :(

৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩২

অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: না ভাই,ঐদিন যেতে পারিনি অন্য ব্যস্ততার কারণে,
বেচেঁ থাকলে পরবর্তী কোন দিন দেখ হবে যাবে নিশ্চয়ই ইনশাল্লাহ :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৪০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ইনশাল্লাহ ! :)

১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩৭

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: আল্লাহ পাক একজন নবীেক পাঠােলন এবং তার জন্য একটি কিতাব ও বরাদ্দ করলেন। কিন্তু আল্লাহর পাঠানো সেই কিতাবটি অবিকৃত রাখা গেলনা,বিকৃত হয়ে গেল! এটাকে কি আল্লাহ্ ব্যর্থতা হিসেবে ধরে নেয়া যায়? নাকি এটা আল্লাহরই ইচ্ছাকৃত ও পূর্ব নির্ধারিত? তিনি এভাবে তারই পাঠানো কিতাব তা্রই ইচ্ছায় বিকৃত করে আবার আর একজন নবীকে পাঠাবেন তার সবচে প্রিয় হাবীব খেতাব দিয়ে।
ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে বিকৃত ও অবিকৃত দুই পক্ষ এখন মারামারি করছে। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বলুন তো আল্লাহ কি কাজটা ঠিক করলেন? এত নাটকের কি দরকার ছিল?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, প্রথমেই বলে নিচ্ছি, আমি কোন আলেম নই, একজন ইংরেজী শিক্ষিতি মানুষ, আপনি যদি আমার উত্তরে সন্তুষ্ট না হন, তবে আমার সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করুন, আমি আপনাকে নিয়ে হোক হাক্কানী আলেম এর সাথে দেখা করে আপনার প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করব।

এবার আসি আপনার মন্তব্যে। আমার জ্ঞান মতে, আপনার বোঝায় কিছুটা ভুল আছে। আপনি এখানে যেই প্রচলিত কথার রেফারেন্স দিচ্ছেন সেটা হল "সব কিছুই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়", যতদূর আমি বুঝেছি। এই কথাটার অর্থ আমরা যেভাবে করি আমার মনে হয় না সেভাবে করা উচিত।

আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন অর্থাৎ তাকে Free Will দিয়েছেন। তা যদি না হত তাহলে মানুষের কৃত কর্মের হিসাব নেয়ার কোন অর্থ থাকে না। ধরুন, আপনি ইচ্ছে করলেন, কিছুদূর হেটে মসজিদে যাবেন নামায পড়ার জন্য। আপনি আপনার এই ইচ্ছে পূরণের জন্য যেসব Logistics দরকার সেটা আপনাকে আল্লাহ দিচ্ছেন। আপনার পায়ে শক্তি দরকার, পায়ের পেশীগুলোর proper functioning দরকার, এভাবে এই কাজটি করার জন্য যা সাহায্য দরকার সেটা আল্লাহ আপনাকে দিচ্ছেন। এখানে নিয়্যত আপনার। আবার ধরেন, আপনি বাসা থেকে চুরি করার নিয়্যত করে বের হলেন। চুরি করে সুস্থভাবে বাসায় ফিরেও আসতে পারেন আবার গণপিটুনি খেয়েও ফিরতে পারেন। আল্লাহ চাইলে আপনাকেও সাহায্য করতে পারেন আবার গণপিটুনি দাতাদেরকেও সাহায্য করতে পারেন। এভাবে ভাল-মন্দ কাজ করার ইচ্ছেটা আপনারই এবং তার দ্বায়ভার আপনাকেই নিতে হবে।

এবার specific ভাবে যদি আপনার উত্তর দিতে চেষ্টা করি, ইঞ্জিল বা বাইবেল যেই গোত্রের উপর নাযিল হয়েছিল, তারা তাদের স্বার্থে সেটা বিকৃত করেছে, এখানে আল্লাহর দোষ কোথায়? শেষ নবীর উম্মত সেটা বিকৃত করেনি এবং সাথে সাথে আল্লাহ কোরানে সুরা হিজর এর ৯ নং আয়াতে এটাও বলেও দিয়েছেন,

إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ
আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।
Verily We: It is We Who have sent down the Dhikr (i.e. the Qur’ân) and surely, We will guard it (from corruption).

অর্থাৎ কোরানের ক্ষেত্রে আল্লাহ নিজেই এর জিম্মাদারী নিয়ে নিয়েছেন এবং ফলাফল দেখতেই পাচ্ছেন, ১৪শ বছর ধরে কোরান অবিকৃত ! আজ পর্যন্ত কেউ এর বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে নি !

Allah knows the best !

১১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫৩

নীরব 009 বলেছেন: ৭ম ভাললাগা রইলো। :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ গুপ্ত দা !! :D

১২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২০

একটাই ধূমকেতু বলেছেন: বাল্পুস্ট।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: Allah knows the best ! :)

১৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৬

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
চরম পতনের সময় মুসলমানগণ অন্য জাতির অনুসরণ করবে।

নবী করীম (সাঃ) বলেছেন - "তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিগুলি যেসব অনাচারে লিপ্ত হয়েছে, তোমরাও পদে পদে তার অনুসরণ করতে শুরু করবে। এমনকি এরা যদি গুইসাপের সরু গর্তের মধ্যেও প্রবেশ করে থাকে, তবে তোমরাও তাতে প্রবেশ করতে দ্বিধাবোধ করবে না। ........... আমরা জিজ্ঞেস করলাম, আমাদের পূর্ববর্তী জাতি বলতে কি ইহুদী ও খৃষ্টানদের বোঝাতে চাইছেন? হুজুর (সাঃ) জবাব দিলেন, তবে আর কারা? ............................................ (বুখারী)

তিরমিযী শরীফের অন্তর্ভূক্ত অন্য একটি হাদীছে আছে, হজরত নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন -

"বনী ইসরাঈল যেসব অনাচারে লিপ্ত হয়েছিল, একদিন তোমরাও এক এক করে সব ক'টি অনাচারে ডুবে যাবে। এমনকি যদি ঐ হতভাগাদের মধ্যে কেউ প্রকাশ্যে স্বীয় মায়ের উপর উপগত হয়ে থাকে, তবে তোমাদের মধ্যেও হয়ত কেউ কেউ অনুরূপ অপরাধ করে বসবে।"

পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সব ধরনের ফিৎনা থেকে হেফাজত করুন, আমিন।

জাজাকাল্লাহ !

১৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৯

অনিক্স বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: :)

১৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৯

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: আল্লাহ নিজেই ঘোষণা দিয়ে কোরানের জিম্মাদার হয়েছেন, কিন্তু ইন্জিলের জিম্মাদারী তিনি রাখেন নি। আল্লাহ চাইলে সেটা তো পারতেন , নাকি? এখানে আল্লাহর পক্ষপাতিত্ব খুবই স্পষ্ট। আপনি কি বলেন?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ চাইলেতো ১০৪ টা আসমানী কিতাবই সংরক্ষণ করতে পারতেন, আমাদের সবার ব্লগিংটাও স্বয়ং আল্লাহই করতে পারতেন, মানে সব কাজ আল্লাহই করে দিতে পারতেন, আর আমরা বসে বসে ললিপপ খেতাম, তাই না?? ;)

আপনার উত্তর আগের কমেন্টেই দিয়ে দেয়া হয়েছে, তারপরেও ত্যানা প্যাচাতে চাইলে প্যাচান, কুনু সমেস্যা নাই ! :)

১৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০২

রিয়েল ডেমোন বলেছেন: :) :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কি মিয়া, এত খুশী ক্যান?? :) :)

১৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

প্রিন্স অফ ব-দ্বীপ বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে এখন আমরা ধর্মটাকে নিজের পছন্দমত কাস্টমাইজ করে নিচ্ছি। আমি মনে করি একজন বিধর্মি থেকেও এইসব কাস্টমাইজ মুসলিম অনেক ক্ষতিকর।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ১০০% সহমত ! এই পোস্ট দেয়ার মূল প্রেরণা আসলে কাস্টমাইজড মুসলিমের মন্তব্য থেকেই এসেছে... :)

১৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মেহদী১০ বলেছেন: ১১ নং ভাললাগা দিয়ে গেলাম ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: :D

১৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৩

ইকরাম উল্যাহ বলেছেন: কাস্টমাইজড ভার্শনটা ভাল লাগে। বন্ধুদের সাথে গলা মিলিয়ে বলি মেরী ক্রিসমাস। নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করি না।

তবে আপনার সাথে দ্বিমত নাই। আমি নাস্তিকও না আবার আস্তিকও না পুরোপুরি। মাঝামাঝি গোছের কিছু একটা।

পোস্টের জন্য পেলাস লন বরাবরের মত।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন, আমিন। :)

২০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫০

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: আমাদের অনেক মুসলমান ভাই বেশী উদার হয়ে গিয়েছেন, তারা সর্ব ধর্মের সব আচার অনুষ্ঠানেই অংশগ্রহণ করাটাকে আধুনিকতা এবং অগ্রসরতা হিসেবে দেখেন। আরে ভাই, একজন মুসলমান হয়ে যদি আপনি সনাতন ধর্মের মূর্তি পূজায় অংশগ্রহণ করেন, তবে আপনার ধর্মীয় বিশ্বাসের মূল এর সাথেইতো সাংঘর্ষিক হয়ে গেল ! পূজোর প্রসাদ যদি খান যেটা কিনা দেব দেবীর নামে উৎসর্গকৃত, তাহলে তো আপনি এক আল্লাহর সাথে শরীক করার ব্যাপারটা মেনে নিলেন!
________________

আজ থেকে চল্লিশ বছর আগেও এই দেশের মানুষেরা অনেক আধুনিক আর সুশীলতার ভেক না ধরেও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থেকে মুসলিম আর হিন্দু পরস্পরের ধর্মীয় আচার উৎসব গুলোকে পাশাপাশি ভাগ করে নিত, পূজার খাবার আর ঈদের খাবার নিয়ে বাছ বিচার করতো না।


অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করি আজ জ্ঞান বিজ্ঞানে এত উৎকর্ষতার পর্ও যখন পূজার প্রসাদ খাওয়া যাবে কিনা, ক্রিসমাসে মেরী ক্রিসমাস বলা যাবে কিনা এই নিয়ে তত্ব আলোচনা করতে হয়................হতাশ হই।

ক্রমশঃ পেছন দিকে হাঁটা বুঝি একেই বলে!

এদেশের বেশীর ভাগ মানুষ সেক্যুলার মন মানসিকতা নিয়ে এতকাল চলে এসেছে, এসেছিল। আর তাই লক্ষ্য করে দেখুন, এদেশের মুসলিম বা হিন্দু দের কৃষ্টি এবং সংস্কৃতিতে কত মিল। ধর্ম এখানে বিভেদ তৈরী করতে পারেনি। কেননা ধর্মের চেয়ে মানুষ বড়।


আর যারা বলে মেরী ক্রিসমাস বললে বা পূজা দেখলেই ঈমান কমে যাবে আমি তাদের নিরেট আহাম্মকই বলি। কারণ ধর্মীয় আচারগুলো ও একটা আচার বই আর কিছ নয়।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপু, আপনার কথা আমি বুঝতে পেরেছি। আমার মতে ধর্ম নিয়ে আপনার যে ধারণা সেটাও একটা বিশেষ ধরনের বিশ্বাস বই কিছুই নয় এবং আমি আপনার বিশ্বাসের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল ! :)

তবে অবশ্যই আমার ধারণা আপনার চেয়ে আলাদা ! আপনি যেটাকে পেছনে হাটা বলছেন, সেটাই আমার কাছে সামনে হাটা ! আবার আপনি যেটাকে সামনে যাওয়া বলেন, সেটা আমার কাছে পেছনে হাটা ! আমার কাছে একে অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া অনেক বেশী জরুরী ! সেক্যুলারিজম মানে যদি হয় সবাই সবার ধর্মকে পালন করা, এর অর্থ হল আসলে কোন ধর্মই না পালন করা! জ্ঞান বিজ্ঞানের উৎকর্ষের কারণেই কিন্তু আমাদের কাছে আজ ব্যাপারগুলো এত পরিস্কার, এত সহজলভ্য যেটা আজ থেকে চল্লিশ বছর আগেও এতটা সম্ভব ছিল না ! আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে থেকে বিজ্ঞান কিন্তু এখন অনেক এগিয়েছে, জানি না যখন ধর্ম বিষয়ক জ্ঞানও আগায় তখন আমাদের কেন সমস্যা হয়ে যায় ! :| :|

সত্য ধর্ম মানুষকে সুন্দরভাবে জীবন পরিচালনার পথ নির্দেশনা দেয়। সত্য ধর্মটাকে খুজে নেয়াটাই মানুষের কাজ। এটা ব্যক্তি বিশেষের কাছে যে কোন ধর্মই হতে পারে, এখানে কোন নির্দিষ্ট ধর্মকে বোঝানো হচ্ছে না। যার কাছে যেটা সত্য মনে হয় সেটা সে গ্রহণ করবে। হতে পারে এটা নাস্তিকতা ! সেটাও আসলে একটা ধর্ম!

কেননা ধর্মের চেয়ে মানুষ বড়। বিনীতভাবে বলছি, এটা কোন প্রাসংগিক কথাই না, কারণ ধর্ম আর মানুষের মধ্যে তুলনা করার কিছু নেই ! ধর্ম হল মানুষের জন্য, তার জীবনাচরণের বিধান ! কেউ সেটা মানতেও পারে (আস্তিক), নাও মানতে পারে (নাস্তিক) ! কিন্তু যদি কেউ সেটা মানে, তবে সে যে ধর্মের অনুসারী সেটাকে ঠিকমত অনুসরণ করাই বাঞ্ছনীয়, যৌক্তিক এবং যথার্থ ! আশা করি আমি আমার বার্তা আপনার কাছে পৌছাতে পেরেছি। :)

২১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: শ্রাবণসন্ধ্যা আপুর সাথে একমত। আহাম্মকমার্কা পোস্ট।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আরে হামা ভাই !! আপনি সেলিব্রেটি ব্লগার !! আপনার মন্তব্যের জন্যই আপনাকে ঝাঝা !! :D :D

আপনার জন্য একটাই কথা "Allah knows the best !" :)

২২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৯

মন্দের ভালো বলেছেন: ২০ নং শ্রাবণসন্ধ্যা আপুর মন্তব্যে ঝাঁঝাঁ। ধর্ম নিয়া কেচাল ভাল্লাগেনা।

পোস্টে মাইনাস।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা, আপনার মন্তব্য পড়ে বোঝা গেল আপনি আসলে পোস্টই পড়েন নি ! আর আমার পোস্টের শেষাংশে আমি এটাই বলতে চেয়েছি, যে আমাদের মধ্যে অধিকাংশই ঠিক মত না শুনে, না বুঝেই চায়ের কাপে সমালোচনার ঝড় তুলি ! সত্যটাকে জানার চেষ্টা আমরা করি ই না !! :( :(

এই পোস্টে কোথাও ধর্ম নিয়ে কোন ক্যাচাল নেই !! এটা শুধুমাত্রই একটা Conception Clear করার পোস্ট। :)

২৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৬

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: আমি বলতে চাইছি চল্লিশ বছর আগেও এদেশের মানুষ উদার ছিল, আধুনক ছিল....ধর্মান্ধ আর কূপমুন্ডুক ছিল না।

আর এখন কিছু সংখ্যক আহাম্মকরা ব্যাঙ এর ছাতার মতন বংশ বিস্তার করে যাচ্ছে।

ষাট এর দশকে আমার বড় বোনেরা স্লিভলেস ব্লাউজ এর সাথে শাড়ী পড়ে ঢাকা ভার্সিটিতে যেতেন...........কই তখন তো অশ্লীল অশ্লীল বলে কেউ মুখে ফেনা তোলে নি?

আর আজকের দিনে যদি কোন মেয়ে স্লিভলেস ব্লাউজ এর সাথে শাড়ী পড়ে তাকে কত শত নামে ডাকা হবে. হামলে পড়বে এই রকম "সামনে হাটা বিজ্ঞানমনস্ক" বীর পুঙ্গবরা

আবারও বলি এদেশের সংস্কৃতি কুষ্টি অনেক বছরের পুরোনো এবং নানা ধর্ম বর্নের এক মিলনমেলা........ কোন রকম ধর্মান্ধদের আশায় এদেশ ধর্ম ভিত্তিক অন্ধকারে ডুবে যাবে না...

আমার এসব নিয়ে আর কথা বলতেই বিরক্ত লাগছে....যত্তসব।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপু, আপনাকে আবারো বলছি, চল্লিশ বছর আগে আপনারা কি ধরণের ড্রেস আপ এ ভার্সিটি গিয়েছেন আর লোকে কি বলেছে সেটা কোন মূখ্য বিষয় নয়।

আজকে এই জ্ঞান বিজ্ঞানের যুগে আমাদের কাছে সব ধরণের জ্ঞান অনেক সহজলভ্য, যেটা চল্লিশ বছর আগেও ছিল না। তাই আজকে মানুষ অনেক সচেতন, চাই সেটা ধর্মের ব্যাপার হোক বা আমাদের জীবনের অন্যান্য ব্যাপারে হোক। আজকে আমরা পানি না ফুটিয়ে খাই না, বাচ্চাদের টিকা দেই, হেপাটাইটিস এর টিকা দেই, মোদ্দা কথা আজকে আমরা অনেক বেশী সচেতন। এখন আপনি যদি বলেন, চল্লিশ বছর আগেতো আমরা এরকম অনেক কিছুই করতাম না, তবে এখন করব কেন, তবে সে কথা নিশ্চয় ধোপে টিকবে না !

আপু, আপনি যদি মুসলিম না হয়ে অন্য যেকোন ধর্মের হন, তবে সম্ভবত আপনি মিনি স্কার্ট পড়ে রাস্তায় চললেও ধর্ম মতে সেটা অন্যায় কিছু নয়। আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে রাস্তায় মিনি স্কার্ট পড়ে চলেন, তবে সেটা নিশ্চয় ধর্মমতে অন্যায়, কিন্তু তারপরেও কোন ভাল মুসলিম নিশ্চয় আপনার উপর হামলে পড়বে না, সে হয়ত আপনাকে বোঝাতে পারে যে এটা ঠিক নয়, কিন্তু আপনাকে জোর করবে না। যদি এটা কোন প্রকৃত ইসলামী রাষ্ট্রে হয়, তবে রাষ্ট্র তার বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

আপনার মন্তব্যের সারাংশ হল, ধর্মকে সঠিকভাবে পালন করাই হল ধর্মান্ধতা ! ধর্মকে ত্যাগ করতে পারলে (ক্ষেত্র বিশেষে যে ধর্মের যেটা ভাল লাগে সেটাতে সামিল হওয়া) প্রগতিশীল হওয়া যায়, বিজ্ঞানমনষ্ক হওয়া যায়। বুঝতেই পারছেন, আপনার এই ধ্যান ধারনা বিনীতভাবেই প্রত্যাখ্যান করছি। Sorry, I can't buy your concept !

কষ্ট করে মন্তব্য করেছেন সেজন্য অনেক ধন্যবাদ। :)

২৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১০

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: I know you cant buy my concept....bcz its not your cup of tea.....you are far away from that...

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: Right you’re! Please live with your own concept, my post was for the believers only!

لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
”To you be your religion, and to me my religion (Islâmic Monotheism).”

>> সূরা কাফিরুন, আয়াত ৬

২৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দুঃখিত মেংগো পিপোল, এই ধরনের ছবি পোস্টে রাখতে চাইছি না... :( তাই আপনার মন্তব্যটা মুছে দিলাম।

আপনি চাইলে পোস্টে আবার মন্তব্য করতে পারেন। :)

২৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৭

মংগা মফিজ বলেছেন: মেঙ্গো, তোরে গালি দেয়ার ভাষা পাইতাছি না। একজন নারীকে অসম্মানিত করে তুই তোর আসল চেহারা দেখাইলি। যা তর মায়ের ছবি আইনা ব্লগে ছাইড়া দে। /:)

২৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০০

মংগা মফিজ বলেছেন: কী রে জোকারের গেলমান জহির! মেঙ্গোরে ত ভালোই উৎসাহ দিলি। ভালু ভালু। এইভাবে ঈমান দেখাইতে থাক :D

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: মেংগোকে যে উৎসাহ দেই নি সেটা আপনি আমার আগের মন্তব্য থেকেই নিশ্চয় জানতে পেরেছেন।

আর তুই তোকারি করছেন কেন? আপনার সাথে তো আমার সেরকম সম্পর্ক নেই। বাপ-মা যে আচার ব্যবহার শেখায়নি সেটা তো ব্লগে সবার সামনে এভাবে না জানালেও চলত। X( X(

২৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০১

দেশী পোলা বলেছেন: মেরি ক্রিসমাস বলার মধ্যে আমি দোষের কিছু দেখি না, একজন মানুষের ধর্মীয় উৎসবের দিনে আপনি সহমর্মী হইয়া মেরি ক্রিসমাস, পুজার শুভেচ্ছা বা ঈদ মুবারক জানাইতে পারেন। এখানে মানুষের জন্য শুভেচ্ছার অনুভূতিটাই মূল লক্ষ্য, নিশ্চয়ই আল্লাহ এসব ধার্মিক ভিন্নতারে ক্ষমাশীল চোখেই দেখবেন, তা না হইলে আলিমুল গায়েব পৃথিবীতে এত ধর্ম পাঠাইলেন কি করতে?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৪১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দেখুন, যেসব আচার মুসলমানদের মূল বিশ্বাস এর সাথে সাংঘর্ষিক সেই ব্যাপারগুলোতেই সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আপনি সকালে Good Morning বলে যে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন, আমার মনে হয় না তাতে কোন সমস্যা আছে। একজন Non-Muslim যদি বিপদে পড়ে তাকে আপনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করুন, তার বাড়ীতে আপনি খাওয়া দাওয়া করুন, যদি সেটা হালাল খাদ্য হয়, এতে কোন সমস্যা নেই। তার সাথে আপনার স্বাভাবিক সম্পর্ক থাকবে, ঘৃণার কোন স্থান নেই।

এই খুব সাধারণ ব্যাপারটাই এই পোস্টে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি কোন ধরণের সাম্প্রদায়িক ধারণা ছড়ানো বা Communal Feelings নষ্ট করার জন্য এই পোস্ট নয়।

২৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:২১

গুপ্তঘাতক007 বলেছেন: সরাসরি ম্যারি ক্রিসমাস বলা আর হ্যাপী হলিডেইজ বলার মাঝে আমার মনে হয় তফাত আছে। আর অনেক লোক্রেই হ্যাপী হলিডেইজ বল্তে দেখি(ম্যারি ক্রিসমাস না)।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:০২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হ্যাপি হলিডেইজ আর মেরি ক্রিসমাস যদি সমার্থক না হয় তা হলে তো অসুবিধার কিছু দেখছি না...

৩০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৬

ইলুসন বলেছেন: দারুন একটা পোস্ট। বিশেষ করে নিচের লাইনগুলো।


আপনি কখনো হয়ত জানারও চেষ্টা করেন নি পুজোয় অংশ গ্রহণ, প্রসাদ খাওয়া হালাল নাকি হারাম ! কিন্তু পত্রিকায় ইসলাম বা মুসলিম সম্পর্কে কোন নেতিবাচক খবর দেখলে সেটা যাচাই না করেই চায়ের কাপে সেটা নিয়ে সমলোচনা করে ঝড় তুলতে, মোল্লা, ফতোয়াবাজ বলে উচ্চ কন্ঠ হতে সবার আগে থাকেন? এটা কেমন রে ভাই?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

প্রতিটি ধর্মের অনুসারীদেরই তাদের মূল বিশ্বাসের ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত।

৩১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫৬

তাসনিয়া বলেছেন: [email protected] আপনাকে এড রেক দিলাম.. এড কেন করেন না?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কই, আমিতো কোন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাই নি !

আপনি [email protected] দিয়ে খোজেন বা ব্রাউজারে সরাসরি এই লিংক পেস্ট করেনঃ
Click This Link

৩২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:২৭

ফাগুল বলেছেন: ভাই ঈমানের জোর না থাকলে সারাদিন জোকার নায়কের ভিড্যু দেইখা লাভ কি...

আপনের কোনো হিন্দু বন্ধুর পুজো পার্বণের উৎসবে তার ঘরে গিয়া দাঁড়াইলেন এবং তার ঘরের কোনো দেবদেবীর পূর্তি দেখার সাথে সাথে যদি আপনার ধর্ম নষ্ট হয়ে যায় তৈলে তো সমস্যা আপনার বিশ্বাসে...আবার আপনার বাসায় আপনার ঈদের দিনে কোনো হিন্দু বন্ধু আপনারে ঈদ মোবারক বলার সাথে সাথে যদি তার ধর্ম নষ্ট হয়ে যায় তৈলে তো সমস্যা...

আপনে একশো মুসলিমের মাঝে খোঁজ নেন, নিরানব্বুইজনই শ্রেফ সৌহার্দবিনিময় করতেই মেরি ক্রিসমাস বলে। আপনি নিজে যদি মন থেকে না মানেন যে যিশু ইশ্বরের পূত্র তাইলে তো আর শিরকের কোনো চান্স নাই। যেকোনো ধর্মের মূল জিনিসটাই হলো বিশ্বাস আর এইটা যার যার নিজের ভেতরে থাকে। রাস্তার পাশে কোনো প্রতিকৃতি দেখলেই যদি কারো সেটারে ইশ্বর মনে হইতে থাকে তৈলে তার বিশ্বাসের সমস্যা, হাজারটা মূর্তি ভাঙ্গলেও সেই সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। একজন প্রকৃত ধর্ম সুশিক্ষিত লোক নিজের বিশ্বাসের ভিত মজবুত করতে সচেষ্ট হবেন, কিছু ধর্মান্ধ পোলাপাইনের মতো বলাকার বকের প্রতিকৃতি উপড়াইতে দৌড়াবে না...

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনার ঈমান বা বিশ্বাস যত তাজা হবে, আপনার কাজ কর্মে কিন্তু তার একটা প্রতিফলন থাকবে...

হিন্দু কোন বন্ধু ঘরে মূর্তি দেখার সাথে সাথে কোন মুসলমানের ধর্ম নষ্ট হয়ে যাবে না। কিন্তু ঈমানের ধারণা যখন আপনার কাছে পরিষ্কার হবে তখন আপনি বুঝবেন, যে পুজার প্রসাদ খাওয়া একজন মুসলিমের জন্য হারাম ! কারণ, ওই প্রসাদ কোন না কোন দেব দেবীর নামে উৎসর্গকৃত এবং আল্লাহ ব্যাতীত অন্য কোন দেব-দেবীর নামে উৎসর্গ করা কিছু খাওয়া হারাম - এটা যার ঈমানের জোর বেশী তিনি জানবেন এবং মানবেন, যার ঈমানের জোর কম তিনি প্রসাদ খেয়ে নিবেন।

একটা উদাহরণ দেই। ধরেন, কারো বাবার নাম "ক" আর চাচার নাম "খ"। ব্যক্তির ঈমান খুব পোক্ত, সে জানে তার বাবার নাম "ক"। কিন্তু, কেউ যদি বলে তোমার বাবার নামতো "ক" না, "খ" তাহলে সেটাও সে হাসি মুখে স্বীকার করে নিচ্ছে। এতে "ক" কতটুকু খুশী হবে?? যদিও ব্যাক্তি জানে আসলে "ক" ই তার পিতা, এই ব্যাপারে তার ঈমানের কোনই কমতি নাই।

৯৯% শ্রেফ সৌহার্দ বিনিময় করতে মেরি ক্রিসমাস বলে, ঠিক আছে, কিন্তু এরা যখন এই মেরি ক্রিসমাসের অন্তর্নিহিত অর্থ জানছে এবং বুঝতে পারছে সেটা তার ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক, তাহলে সেটা সে করবে কেন? তার ঈমানের জোর বেশী না কম বলে? কোন খ্রিস্টান কি কোন মুসলমানকে বাধ্য করেছে "মেরি ক্রিসমাস" বলতে?

ব্যাপারটা একটু গভীরভাবে ভাবুন। মুসলমানের কাজ-কর্ম হতে হবে সুচিন্তিত, সুশৃঙ্খল, দায়সারা নয়...

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:১৯

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: আমরা তাহলে আর কোন ভিন ধর্মের বন্ধুদের তাদের ধর্মীয় উৎসবে শুভেচ্ছা জানাবোনা। কারো মঙ্গল কামনা করবোনা। ধ্বংস হোক কাফেরদের হাত। বিধর্মীরা তো কাফের ই নাকি?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বিধর্মীদের জন্য ধ্বংস হওয়ার দোয়া তো কেউ করতে বলেনি ! বরং তাদের হেদায়েতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন এবং তাদের কাছে ইসলামের বাণী পৌছে দিন। মনে রাখবেন, মুহাম্মদ (সঃ) কিন্তু এই পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার আগ পর্যন্ত যত মানুষ আসবেন তাদের সবার নবী। সুতরাং, আজকের দুনিয়ার সকল অমুসলিমদের জন্যও তিনি আল্লাহর তরফ থেকে মনোনীত শেষ নবী। এবং তাদের কাছে ইসলামের বাণী পৌছানো আপনার আমার দায়িত্ব!

অবশ্যই আপনি মুসলিম হলে অন্য ধর্মের কোন ধর্মীয় উৎসবে অংশ নেবেন না এবং শুভেচ্ছা জানাবেন না। কারণ, তার সেই ধর্মীয় উৎসব আপনার ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থী! এটা কোন সাম্প্রদায়ীক বিদ্বষপূর্ণ আচরন নয়, বরং একজন সচেতন মুসলিম এর আচরন। কোন অমুসলিম নিশ্চয় আপনাকে বাধ্য করছে না তাদের ধর্মীয় উৎসবে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাতে !

একজন অমুসলিমকে যদি আপনি ইসলাম (আল্লাহর একমাত্র মনোনীত দ্বীন) বোঝাতে সক্ষম হন তবে সেটাই হবে তাদের জন্য আপনার তরফ হতে সর্বোৎকৃষ্ট শুভেচ্ছা জ্ঞ্যাপন!

৩৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ফাগুল বলেছেন: আপনেরে যেমন অন্য ধর্মের কেউ ঈদ মোবারক বলে তখন আপনার একটা উৎসবে আপনেরে শুভ কামনা জানাতেই বলে, তেমনি আপনে কাউরে মেরি ক্রিসমাস বইলা তার একটা ধর্মীয় উৎসবে তার খুশিতে শুভকামনা জানাইতেই বলেন। এইখানে ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক কি পাইলেন এডা আমার বুদ্ধিতে ঢুকলো না, সেইখানে শিরকের মতো এতো বড় জিনিসতো অনেক দূরের কথা...এইখানে বাধ্য করাকরির কথাই বা আসে কেন আর বাপের উদাহরণই বা কেন আনলেন সেডাও বুঝি নাই...যাউকগা জোকারের ভিড্যু দেখি কম, যা দেখি তাও আবার কম ভক্তি নিয়া দেখি, এরাম কম বুদ্ধি হইতারে...

আচ্ছা একখান নিছক কৌতুহল, খ্রিষ্টানদের বড় দিনে সরকার যে হলিডে দেয় সেইটাতে আপনি কিংবা আমি যদি বাসায় বসে ছুটি কাটান (কাটাই)তৈলে তো এক অর্থে বড় দিন রে মাইনা নেওয়া হইলো? এই পচিশ তারিখের ছুটির দিনে আপনে কি হাপিসে গেছিলেন, ইয়ে মানে টেকনিকাল কামলাদের আবার যাইতে হইতারে, গেলে কি হলিডে এলাউন্স নিছিলেন?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা, এখন ব্যাপারটা ক্লিয়ার, হয় পোস্টই পড়েন নাই, নাইলে বুইঝাও না বোঝার ভান করতেছেন ! B-) B-)

এই পোস্টে কি বলা হইছে সেইটার পর্যাপ্ত ব্যাখ্যাও এই পোস্টের বিভিন্ন মন্তব্যে দেয়া আছে, আই মিন, লেবু এইখানে পর্যাপ্ত কচলানো হইছে, তবুও যখন সেইটা আপনার কাছে তিতা লাগতেছে না, তার মানে আপনের জিহবায় অনেক জোর আছে ভাই !! =p~ =p~ =p~ =p~

Allah knows the best !

৩৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪৪

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: সুপার প্লাস প্রিয় জহির ভাই!!! :-B :-B :-B :-B সাথেই আছি।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সাথে আছ মানে, কই তোমারেতো আসে পাশে দেখছি না !! :P :P :D :D

ভাল থেক। :)

৩৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অন্য ধর্মের আচারের প্রতি প্রতিটি মুসলমানকেই শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, তবে এর মানে এই নয় যে তাকে সেই ধর্ম পালনেও অংশগ্রহণ করতে হবে।

সহমত। ++++

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৩৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৩

রাজদরবার বলেছেন: যেখানে কুরআন শরীফে সরাসরি বলা হয়েছে, কেবল ইসলামই সত্য। সেখানে অন্য ধর্মের আচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার অর্থ মিথ্যার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ইসলামই সত্য, এর মানে কি এই যে, কোরানে বলা আছে অন্য ধর্মের উপাসনায় বাধা দিতে হবে?

শ্রদ্ধাশীল হওয়া বলতে এইটাই বোঝানো হয়েছে। সেই আচারের কার্যকলাপের প্রতি আপনাকে আনুগত্য আনতে বলা হয় নি।

আশা করি বোঝাতে পেরেছি... :)

৩৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩১

মাথা ঠান্ডা বলেছেন: সবাকের আহবানে বিশ্বকাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসনের প্রতিবাদে আয়োজিত মানব বন্ধনে শিপু ভাই-


জগন্নাথ ইস্যুতে এক্টিভিস্টদের সমাবেশে শিপু ভাই। যে সমাবেশের জন্য আসিফ মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। ঐ সমাবেশের পর শিপু ভাইকে আসিফের সাথে দাঁড়িয়ে পেপসি ও সিগারেট খেতে দেখা যায়।


নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দিনের মুক্তির দাবীতে সমাবেশ হয় জাতীয় জাদুঘরের সামনে। নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে শিপু ভাইকে দেখা যায়।(হায় হায় শিপু ভাই নাস্তিক হয়ে গেল)



ফেলানী হত্যার প্রতিবাদে শিপু ভাই মানব বন্ধনে অংশ নেয়।
সবাক, পারভেজ আলমদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে "ইভ টিজিং বিরোধী পোস্টারিং" কার্যক্রমে অংশ নেয়।

সামুর ব্লগারদের ব্যানারে "শীত বস্ত্র বিতরন কার্যক্রম২০১০" এর নেতৃত্ব দিয়েছেন শিপু ভাই। যা ছিল সামুর ইতিহাসে সবচেয়ে বড়।
২০১০ ও ২০১১ এর সামুর বিজয় র‌্যালীতে তাকে উজ্জ্বল ভাবে দেখা যায়।
ব্লগারদের বিভিন্ন আড্ডায় শিপু ভাই অংশ নেন এবং নতুন ব্লগারদের উতসাহ দেন।

"ব্লগ ফিল্ম" নামের আনকোরা এক ধারনার প্রবর্তন করেন শিপু ভাই। শুধুমাত্র ব্লগে একটা পোস্ট করার জন্য তার এই খাটুনি প্রমান করে সামু ও এর ব্লগারদের প্রতি তার ভালোবাসা।

ভাল মানুষের কপালে কিছু লাঞ্চনা থাকবেই।
আমরা সাধারন ব্লগাররা ভাল মন্দ বুঝি।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম... ভাইরে সেইটা বুইঝাতো এই ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সিন্ডিকেটের সদস্য হয়ে গেলাম !

একটা কথার কথাকে নিয়ে কেউ এভাবে পোস্ট দিয়ে কাউকে হেয় করতে পারে, কতটা সংকীর্ণমনা আর sick হলে এটা করা সম্ভব !! B:-)

৩৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১৬

আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: কিছু কিছু মুসলিম মনে করেন, 'মেরি ক্রিসমাস', 'হ্যাপি নিউ ইয়ার', 'দূর্গা পুজার শুভেচ্ছা' ইত্যাদি বলে তারা অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি সহনশীলতা দেখাবেন এবং এতে করেই হিন্দু-খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীগণ মুসলমানদের ব্যবহারে সন্তুষ্ট হয়ে 'ইসলাম' এর প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে উঠবে!
আল্লাহ তা'আলা যদিও তাদেরকে এভাবে "খুশি" করা যে কতটা অর্থহীন তা স্পষ্টভাবে পবিত্র কুরআনে বলেছেন,

'ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন।' (সূরাহ বাক্বারা ২:১২০)


এরপরেও কি আমাদের ভ্রান্ত ধারণা দূর হবে না?

যদিও আমার এখানে একটা ব্যক্তিগত অভিমত আছে। যেহেতু আমরা অনেকগুলো ধর্ম-বর্ণের মানুষ একই ভূমিতে বাস করছি, চলার পথে বিভিন্ন ধর্মের বা বর্ণের মানুষকেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করছি তাই লৌকিকতা সামাজিকতা এসব কিছু রক্ষার্থে আমরা অবশ্যই পরিচিতজনদের প্রতি সহানুভূতিশীল কিংবা সহমর্মী হতে পারি। কারন সমাজে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে গেলে এমনটা করা খুবই স্বাভাবিক। সবাইকে না হলেও কাছের অমুসলিম বন্ধুদের আমরা গ্রিটিংস জানাতে পারি। একমাত্র আল্লাহ তাআলাই ভালো বলতে পারবেন সেটা কতটুকু ন্যায় বা অন্যায়! তবে আমাদের অমুসলমানদের প্রতি এই যেন কোনভাবেই আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের মর্মমূলে আঘাত না করে।

ধন্যবাদ! :)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৪৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আধারি তোমার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। :)

আমি কিন্তু বার বার বলেছি, অমুসলিমদের সাথে সাধারণ সৌজন্যমূলক শুভেচ্ছা বিনিময় অবশ্যই মুসলিম করবে, তাদের সাথে ভাল আচরন করবে, তাদের বাড়ি যাবে, খাবে (হালাল বস্তু), এতে কোনই সমস্যা নাই। একজন অমুসলিম এর বিপদে মুসলিম এগিয়ে যাবে, মোট কথা মানুষ হিসেবে তার যা যা প্রাপ্য সবই করবে।

কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে সেই সব বিষয় নিয়ে যেটা একজন মুসলিম এর মূল ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক। এটাই পোস্টের বার্তা। :)

৪০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৯

আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
হুম!! আমি আপনার পোস্টের মূল বক্তব্য বুঝেছি! আমার মন্তব্য ছিল তাদের উদ্দ্যেশ্য করে যারা পোস্টের মূল বক্তব্য না বুঝেই মন্তব্য করছে!

ধন্যবাদ জহির ভাইয়া! :)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: তোমাকেও ধন্যবাদ অপ্সরা... :)

৪১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪৩

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: অসাধারণ এক পোষ্ট দিয়েছেন।আমি খুব অবাক হয়ে লক্ষ্য করি আজ আমরা যতটা না জানি তারচেয়ে পন্ডিতগিরি বেশি করি।মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।শুধু নিজের অবস্থানটা একবার ভেবে নিচ্ছি।

ফেসবুকে এড করলাম ভাই।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মারিয়াম, ভাল থাকবেন। :)

৪২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৩৮

শ।মসীর বলেছেন: আমেরিকার বীচে বিকিনি পইরা হাঁটা কোন ব্যাপার ইনা, তারা সেইটারে অশ্রীল ও কইবোনা, তার মনে কি আমরা কক্সবাজরেও এমুন করুম।

মজার বিষয় হইতাছে উদারতার আইন যেন খালি মুসলমানদের জন্য আইছে, নতুন আমদানী শব্দ হচ্ছে মডারেট ইসলাম । কই মডারেট শব্দটা ত অন্য কারো লগে লাগানো নাই। তারা সবাই কি আগে থেকেই মডারেট ???

মুসলমানরা এখন আল্লাহ ও কইতে চায়না তাতে অন্যরা আবার যদি তারে মৌলবাদী ভাবে এই ভয়ে। সৃষ্টিকর্তা , বিধাতা এই সব রিপ্লেসমেন্ট বসাইয়া দেয় । অন্যরা গড ঈশ্বর কইতে কোন দ্বিধা নাই মুসলমান লোকজন আল্লাহ কইলেই যত ঝামেলা !!!!

যত বদলানো দরকার সব যেন মুসলমান গোরেই বদলাতে হইব বাকিরা সব সাধু সন্যাসী ।

ষাট এর দশকেও এই ঢাকা শহরে মানুষ মদ খাইত, তাই বলে মদ খাওয়া নিশ্চয় এই ২০১২ তে আইসা জায়েজ হয়ে যায়না । এইখানেও একটা ব্যাপার মুসলমানদেরকেও অন্যদের মতন হইয়া যাইতে হইব।

ইসলাম একটা জীবন বিধান, আমি অনেক কিছুই হয়ত মেনে চলতে পারিনা, কিন্তু তার মানে নিশ্চয় এই না যে সেগুলা বদলে ফেলতে হবে। দুনিয়ার সংবিধানই বদলানো যায়না আর আমরা আল্লাহর দেয়া সংবিধান বদলানোর চিন্তা করি ।

পর্দা নিয়া চাইলেই ডিটেইলস আলোচনা করা যায়, সেদিকে গেলামনা । ইসলামে আফগানগো মতন খালি দুই চোখ খোলা রাইখা পথ চলতে কোথাও বলা হয় নাই, পর্দা করতে বলা হইছে, পর্দা কেমনে করতে বলা হইছে সেটা যার যার দরকার নিজে থেইকা জাইনা নিতে পারেন কিন্তু তার মানেত এই না যে আমি একসময় অমন ভাবে চলতাম, তখন কেউ আমারে কিছু কয় নাই, সো সেইটাই ঠিক- এইটাত লজিক হতে পারেনা !!!!

ভুল সবসময়ের ভুল, ৬০ এর দশকে আমরা পাকিস্তানের সাথে ছিলাম, সেটা একটা ভুল ছিল, সে ভুল বুঝতে পারছি বলেই আমরা এখন বাংলাদেশী, আমাদের দেশ বাংলাদেশ ।

যত তেনা পেচানি সব ইসলামরে নিয়া, আরে ভাই আপনে না মানেন ভাল কথা তাই বইলা আপনের জন্য বিধান বদলাতে হবে নাকি।

উদারমনা মুসলীম, এই সার্টিফিকেট পাইলে অনেক মুসলীম নাম ধারীর আর খুশীর সীমা থাকেনা ।


বাংলাদেশে প্রচলিত সব ধর্মের মানুষই আছে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু তালিকায়, এখন পর্যন্ত কারো সাথেই কোন সমস্যা হয় নাই , সমস্যামুক্ত থাকার জন্য নিজেকে বিকিয়ে দেয়া কোন পথ চলার নিয়ম হতে পারেনা ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ শামসীর তোমার এই পরিশ্রমী এবং মেধাবী মন্ত্যবের জন্য। আশা করি যারা বুঝতে চায় তারা তোমার এই মন্তব্য থেকে উপকৃত হবে। :)

৪৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৫৩

শ।মসীর বলেছেন: মেরী ক্রীসমাস - এই দিন টা জীশু/ ঈসার জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়, এটা মনে হয়না এমন কোন ব্যাপার, জীশুর জন্মদিন মানলেই সে ঈশ্বরের সন্তান এটা মেনে নিচ্ছি, এভাবে ভাবা মনে হয় ঠিক হচ্ছেনা।

আল্লাহর রাসূল ও অন্য ধর্মের লোকদের আতিথ্য গ্রহন করেছেন, হালালের ব্যাপারটা মাথায় রেখে সেটা আমরাও করাটা দোষনীয় হবেনা ।

ধর্মের প্ড়তি মর্যাদা দেয়ার জন্য আগে নিজের ধর্মকে ভালভাবে জানা প্রয়োজন, যে মানুষ নিজেকে সন্মা করে সেই পারে অন্য মানুষদেরকে সন্মা দেখাতে, তেমনি ভাবে নিজের ধর্মরে না জাইনা খালি অন্য ধর্মের আচার আচরন নিয়া পইরা থাকলে এরা যে আসলেই অস্তিত্বহীন তা হয়ত তারা টেরও পায়না।

খারাপ অর্থে চিটাগং এ "ভইঙ্গা " শব্দটা ব্যবহৃত হয়- যারা টিটাগং জেলার নয় , অন্য জেলা থেকে চিটাগং এ এসেছে তাদেরকে বুঝাতে। এর মানে হচ্ছে- বেটা নিজের জেলায় থাকতে পারলোনা, এখন এইখানে আইসা বসবাস করে। স্হানীয়দের থেকেও নিজেকে বেশী স্হানীয় মনে করে। বাংলাদেশে ভিতরে এই শব্দটা কারো জন্য ব্যবহার করা অন্যায়, যেখানে সবাই এক দেশের মানুষ।

ধর্মের ক্ষেত্রে মনে হয় এখন থেকে ব্যবহার করা যায়- যে নিজের ধর্ম নিয়া জানেনা, কিন্তু অন্যেরটা ফলো করার জন্য ফাল পাড়ে । ।


দিনশেষে একটাই কথা- নাথিং পারসোনাল ।

তোমার ধর্ম তোমার আমারটা আমার।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: শ।মসীর বলেছেন: মেরী ক্রীসমাস - এই দিন টা জীশু/ ঈসার জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়, এটা মনে হয়না এমন কোন ব্যাপার, জীশুর জন্মদিন মানলেই সে ঈশ্বরের সন্তান এটা মেনে নিচ্ছি, এভাবে ভাবা মনে হয় ঠিক হচ্ছেনা।

তোমার এই কথাটা পড়ার পর আমি google এ একটা সার্চ দিলাম এই লিখে, "What is the purpose of Christmas"। ফলাফল থেকে একটা লিংক খুলে যা পেলাম তা হল,

"The historic record of the birth of Christ can be found in Matthew 1:18-25 and Luke 2:1-20.

Unlike any other baby, the one born that night in Bethlehem was unique in all of history. He was not created by a human father and mother. He had a heavenly pre-existence (John 1:1-3, 14). He is God, the Son—Creator of the universe (Philippians 2:5-11). This is why Christmas is called the incarnation, a word which means “in the flesh.” In the birth of Jesus, the eternal, all-powerful and all-knowing Creator came to earth in the flesh.

Why would God do such a thing? Why would he come as a baby, instead of appearing in power and majesty? Why make himself a true man and live among us, when he knew full well how terribly he would be treated?

It was LOVE! It was necessary, if you are to be saved! "

আরো পড়তে চাইলে এখানে (Click This Link) ক্লিক কর।

দেখ, এখানে স্পষ্টই বলা হচ্ছে যীশু খ্রিস্ট হলেন, আল্লাহর পুত্র (নাউজুবিল্লাহ)।

আমি যদিও এখানে ডঃ জাকির নায়েকের একটা উদ্ধৃতি দিয়েছি, কিন্তু এই মতামতটা সকল মুসলিম আলেমের কাছ থেকেই এসেছে। তুমি নিজেই খুজে দেখতে পার।

এখন কথা হল, ডঃ জাকির নায়েক যিনি একজন Comparative Religion এর ছাত্র, তিনি নিশ্চয় বাইবেলের সব ভার্শন এবং খিস্টানদের অন্যান্য গ্রন্থ পড়েই এই কথাটি বলেছেন, এইটুকু বিশ্বাস আমার মনে হয় রাখতে পারি। অন্যান্য আলেমদের ক্ষেত্রেও এই কথাটি খাটে, তারা নিশ্চয় পর্যাপ্ত পড়াশোনা না করে এই মতামতটি দেন নি ! আমরা যেহেতু ইংরেজি শিক্ষিত মানুষ এবং ধর্ম বিষয়ে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা নেই, তাই আমাদের উপর কর্তব্য হল আলেমদের কথা মেনে চলা, অবশ্যই হাক্ক্বানী আলেম ! কারণ, আলেমরা হলেন আম্বিয়াদের উত্তরাধিকারী !

সুতরাং, শেষ কথা হল, আমরা যদি আলেমদের যথাযথ সম্মান দেখাতে পারি, তবে Merry Christmas এই কথাটির মাধ্যমে আমরা একজন খ্রিস্টান বন্ধুকে যে শুভেচ্ছা বার্তাটি পৌছাতে চাচ্ছি, তার মাধ্যমে আমি যে আসলে যীশু খ্রিস্ট আল্লাহর সন্তান (নাউযুবিল্লাহ) এটারও স্বীকৃতি দিচ্ছি, যেটা একটা শিরক এবং হারাম কাজ, সেটাও মেনে নিতে হবে। আমার ব্যাক্তি গত মতামত, মুসলিমের কাজ হতে হবে অনেক পরিমার্জিত এবং পরিশীলিত !

ধন্যবাদ। :)

৪৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:০৬

নর্থপোল বলেছেন: এই মনোভাবের কারনেই বিস্বে মুসলমানদের কেউ আর বিস্বাস করে না, আর নিজেরা মারামারি করে মরে। আর বছর পনচাসেক যাইতে দেন দেখেন কি হয়।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ইসলাম এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম। মুসলমানদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং মনোভাবই পারে পৃথিবীর বুকে মুসলমানের মর্যাদা বাড়াতে। আজকে মুসলমানদের যদি কোন অমর্যাদা এই পৃথিবীতে হয়, সেটা হল মুসলমানের ইসলাম ধর্ম চর্চা থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণে, পশ্চিমাদের অন্ধ অনুকরণের কারণে।

আলহামদুলিল্লাহ, মানুষের মধ্যে সচেতনতা ফিরে আসছে। তারা ধীরে ধীরে বুঝতে পারছে পশ্চিমা জীবনাচরণ কতটা বাতিল এবং ধ্বংসাত্মক ! বাংলাদেশেও চোখ খুলে তাকালে আজকে সেটা টের পাওয়া যায়...

ইনশাল্লাহ বছর পঞ্চাশেক পরে অনেক বেশী Practising মুসলিম এই দুনিয়ার বুকে পাওয়া যাবে। When truth enters, falsehood perishes because, falsehood by nature bound to be perished !

৪৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৬

রবিনহুড বলেছেন: শ।মসীর

@ আপনার মডারেট মুসলিমের তত্বের সাথে সহমত।

এই যুগে আমাকে ভাল মুসলিম হতে হলে ইসলামকে মডারোট করতে হবে, আর মনে হয় বাদ বাকী সব ধর্ম এই শত বর্ষ আগে থেকেই মডারেটেড হয়েই তৌরি হয়েছিল....
এটা হল মুসলিমদের বিভ্রন্ত কার একটা নতুন কৌশল।


আরে ইসলাম তো আজ থেকে ১৪শত বছর আগেই নাজিল হয়ে গেছে, এখন চাইলে কেউ কি যে কোন একটা হাদিস বা কোরআনের লাইন পরিবর্তন করতে পারবে? সেই পারমিশন কি আল্লাহ দিয়ে রেখেছে কি? সেটা তো কখনই রাখেন নাই। তা হলে মডারেক করবে কি করে?

১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। :)

৪৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৬

রবিনহুড বলেছেন: (অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন:

আল্লাহ নিজেই ঘোষণা দিয়ে কোরানের জিম্মাদার হয়েছেন, কিন্তু ইন্জিলের জিম্মাদারী তিনি রাখেন নি। আল্লাহ চাইলে সেটা তো পারতেন , নাকি? এখানে আল্লাহর পক্ষপাতিত্ব খুবই স্পষ্ট। আপনি কি বলেন? )


@
আপনার দুটি মন্তব্যই একরকম বক্তব্য।

ইসলাম ধর্ম মতে আসমানী গ্রন্থের সংখ্যা ১০৫ টি।
প্রথম কথা হল কোরআন ছাড়া বাদ বাকী অন্যান্য আসমানী কিতাব শুধু মাত্র নির্দিষ্ট কিছু গোত্র বা এলাকার জন্য নিজিল হয়েছিল। এমন কি কিছু কিতাব ছিল নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য নাজিল হয়েছিল।

অথ্যাত সেই কিতাব গুলো দুনিয়ার সকল মানুষের উদ্দেশ্যে নাজিল হয় নাই। সেই কিতাব সকল মানুষকে অনুসরন করার কথা বলা হয় নাই।

এখন একটু চিন্তা করে দেখুন। যে কিতাব সকল মানুষের জন্য নাজিল হয় নাই সেই গ্রন্থ কি চিরকাল বলবৎ রাখার দরকার আছে?

দুনিয়ার কাজেই দেখুন যে কাজটি সাময়িক ভাবে করার জন্য সার্কুলার জারি করা হয় সেটা কি চিরস্থায়ী ভাবে বাধাই করে রাখার দরকার হয়? কখনই দরকার হয় না।

কোরআনের পূর্ব বর্তী গ্রন্থ গুলো শুধু মাত্র নির্দিষ্ট কিছু গোত্রের জন্য নাজিল হয়েছিল। এবং সেগুলো কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নাজিল হয়েছিল। সেই ক্ষেত্রে সেই গ্রন্থ গুলো কেন চিরস্থায়ী ভাবে রাখার কি কোন দরকার আছে?

তার থেকে বড় কথা যখন কোরআন নাজিল হল, তখন ষ্পষ্ট করেই বলা হল এখন থেকে পূর্ব বর্তী সকল গ্রন্থের নিয়ম নীতি বাতিল করা হল, এখন থেকে শুধু মাত্র কোরআনের নিয়মই চলবে। সেই ক্ষেত্রে পূর্ববর্তি গ্রহ্থের দরকার কি? সেগুলো বিকৃতি হলেই কি আর না হলেই কি আসে যায়? সেই গ্রন্থ গুলো তো বাতিল করে দেয়া হয়েছে।

আল্লাহ সর্ব জ্ঞানী তাই তিনি ভাল করেই জানতেন, যে সর্বশেষে কোরআন নাজিল হবে, এবং তখন পূর্ববর্তী গ্রন্থ গুলো কোন দরকার হবে না। সেই ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী গ্রন্থ গুলো অবিকৃতি রাখার কোন দরকার আছে কি?

১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৪৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪১

রবিনহুড বলেছেন: শ্রাবনসন্ধ্যা , দেশী পুলা

@

ইসলামের মূল তত্ব হল আপনার মন কি বিশ্বাস করে।
বোখারী শরীফের প্রথম হাদিসটা হল "তোমার নিয়তের উপর সওয়াব"।(হুবহু বললাম না)

যেমন, আপনি যদি লোক দেখানোর জন্য কাউকে কিছু দান করেন বা ভিক্কা দেন তাতে ইসলামের দৃষ্টিতে কোন লাভ নেই। আপনি কোন ছওয়াব পাবেন না। অথচ আপনি ঠিকই টাকাটা দান করে দিয়েছেন।
এবার একটু ভাবুন, টাকা দান করেছেন ঠিকই কিন্তু আপনি নাকি ছওয়াব পাবে না। কেন পাবেন না? কারন আপনার উদ্দেশ্য ছিল এই দানের বিষয়টা লোকে দেখবে, সবাই বলবে আপনি অনেক দানবীর ইত্যাদি আপনার নাম, জশ, খ্যাতি ছড়াবে... আপনার মনে সেই উদ্দেশ্য ছিল বলেই আপনি দান সত্বেও সওয়াবের ভাগীদার হবেন না।


এখন আপনি "মেরী ক্রিসমাস" "পূজার শুভেচ্ছা" ইত্যাদি অন্য ধর্মের লেকদের শুভেচ্ছা জানাতে সমস্যা কোথায়?

সমস্যটা হলো ইসলামের মূল তত্বতে বলা আছে, যদি তুমি মুসলিম হও তোমার বিশ্বাস একমাত্র আল্লাহর উপর। একজন মুসলিমকে বিশ্বাস করতে হবে যে, একমাত্র আল্লাহর আর্শিবাদ শুধুমাত্র আল্লাহর অনুসারীদের জন্য। আল্লাহ নিশ্চয় বির্ধমীদের সওয়াবে দেবেন না বা তাদের জন্য কোন মঙ্গলময় বস্তু রাখবেন না। পরকালের মঙ্গল থেকে বড় কিছু হতে পারে না... যে সময়ের মঙ্গল অনন্ত সময়ের জন্য।


এখন আসি "শুভ কামনা" করা মানে কি?
তোমর ওমুক কাজ দ্বারা ভাল কিছু হোক.... বা এটা দ্বারা তুমি মঙ্গল ময় হও... তোমার ভালো হোক বলে আমিও মনে করি...ইত্যাদির মানেকেই আমরা "শুভেচ্ছা" বলে অবহিত করি.....


এখন যখন আপনি কোন বির্ধমীকে "মেরী ক্রিসমাস" "পূজার শুভেচ্ছা" জানাচ্ছেন তার মানে কি দাড়াচ্ছে? আপনি সেই ধর্মে বিশ্বাস করেন না... বির্ধমীদের বিশ্বসকে আপনি ভূল ও ভ্রান্ত বলে মনে করে থাকেন। অথচ তাদের আপনি মুখে তাদের "পূজার শুভ কামনা" করছেন। ক্রিসমাসের শুভ কামনর করছেন...

এবার একটু ভাবুন বিষয়টা কোথায় দাড়াল? আপনি যাদের বিশ্বাস কে ভূল বলে মনে করেন তাকেই বলছেন.... তোমার বিশ্বসের ওমুক জায়গায় বা বিষয়টার জন্য শুভেচ্ছা জানাই....

বিষয়টা তো প্রতারনার মত হয়ে গেল....যার বিশ্বাস আকিদাকে আমি নিজেই অন্তর থেকে ভ্রান্ত বলে মনে করি, তার সেই ভ্রান্ত কাজ গুলোকে আমি মুখে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তাদের ধর্মীয় আচরন পুজাকে কি আপনি শুভ বলে মনে করেন? আপনি কি ক্রিসমাসকে শুভ বলে মনে করেন?

ঘটনা কোথায় দাড়াল?
মনে মনে তাদের সেই কাজ গুলোকে ভ্রান্ত বলে মনে করছি, আর মুখে বলছি... তোমাদের ওমুক কাজটা শুভ হোক..... এতো মুখে এক আর মনে আর এক হয়ে গেলো.....


ইসলামে এটা কখনই সমর্থন করে না, তোমার মুখে এক রকম কথা থাকবে আর অন্তরে অন্য রকম কথা থাকবে.... আসলেও কি কোন সৎ লোক এই রকম করতে পারে?

ছোট একটা উদাহরন দেইঃ

আপনার প্রেমিকা যদি অন্য কাউকে বিয়ে করে ফেলে, যেটা আপনি মেনে নিতে পারছেন না, তাকে কি আপনি কখনই বলবেন...."তোমার বিয়েতে শুভেচ্ছা জানাই" বলে তার বিয়েটাকে সাফল্য কামনা করবেন? কখনই বলবেন না...

আর যদি সবার সামনে পরে নিতান্তই বাধ্য হয়ে (রাজিব নাকি প্রভার বিয়ের পর সাংবাদিকদের সামনে বাধ্যহয়ে বলেছিল,..."শুভেচ্ছা জানাই..;) )যখন বলবেন..."তোমার বিয়েতে শুভেচ্ছা জানাই"? সেটাও কিন্তু আপনার মনের কথা না.... এটা লোক দেখানো কথা। এটাও এক রকম প্রতারনা....(প্রতারনা হল সেই জিনিস, যা আপনার মনে নেই অথচ বলে বেড়ান)

ইসলামের কথা একটাই কখনই প্রতারনা চলবে না, তুমি বিশ্বাস করো আল্লার উপর, তুমি ভাল করে জান যে তারা ভ্রান্ত পথে আছে... তারদের বিশ্বাস ভূল....আর বলে বেড়াবে... তোমাদের সেই কাজের মাধ্যমে মঙ্গল হোক....(যেখানে ভাল করেই জানেন যে, এর দ্বারা কখনই মঙ্গাল হবে না) এটা প্রতারনা ছাড়া আর কি?

ইসলামে এই ধরনের প্রতারনা মূলক কথা বার্তা বলা নিষেধ বলেই অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবকে "মঙ্গলময় বার্তা" দিতে নিষেধ করা হয়েছে.....



যেমনটা বলা হয়েছে, বির্ধমীদের সালাম না দেওয়ার কথা। সালামের অর্থ হল "তোমার উপর শাস্তি বর্ষীত হোক"। এখনে আল্লাহর কথা হল... ইসালামের শাস্তি শুধু মাত্র মুসলিমদের জন্য... বিধর্মীদের জন্য ইসলামের পক্ষে থেকে শান্তি বর্ষীত হতে পারে না...


অন্তরে এক কথা, আর মুখে অন্য কথা এইরকম আচরন করতে ইসলাম নিষেধ আছে। সেই দৃষ্টি থেকে বির্ধমীদের তাদের ধর্মীয় কাজের জন্য "শুভ কামনা:" জানানো উচিৎ নয়।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যটি পড়ার পর কারো আর কোন সন্দেহ বা Confusion থাকার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না !

জাজকাল্লাহ ! আপনার এই পরিশ্রমী এবং যথার্থ মন্তব্যের জন্য... :)

৪৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০৬

দেশী পোলা বলেছেন: রবিনহুড

"ইসলামে এই ধরনের প্রতারনা মূলক কথা বার্তা বলা নিষেধ বলেই অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবকে "মঙ্গলময় বার্তা" দিতে নিষেধ করা হয়েছে.."

এইটা কোরানের কোন আয়াতে লিখছে? মনগড়া কথা বার্তা কইলেই হয় না, বাঙালী মুসলমান এখন কোরআন পইড়া মানে বুঝতে শিখছে, রেফারেন্স কই?

৪৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৩১

রবিনহুড বলেছেন:

দেশী পোলা

@

কোরআনে সব কিছু ষ্পষ্ট করে বলে দেয়া নেই। কোরআনের পাশাপাশি হাদিস ও ফিকাহ শাশ্ত্র বলে একটা বিষয় আছে।

আপনি কি দেখাতে পারবেন অজু কি ভাবে করতে হয় সেটা কোরআনের কোথায় দেয়া আছে?

না দেখাতে পারার মানে কি এটা দাড়ায় যে, "অজু করার কোন নিয়ম কানুন" নেই?

আপনি যে পাল্ট প্রশ্ন করেছেন সেটা হল কাউন্টার এট্যাক। (যেহেতু নিজের বক্তব্যের পক্ষে কোন রেফারেন্স দেখাতে পারেন নাই)

এখন আমি আপনাকে বলি, আপনি পারলে কোরআন থেকে দেখান যে, বিধর্মীদের এই রকম শুভেচ্ছা জানানো জায়েজ বলে কোআনে বলা আছে? (আপনি অন্য কোন জায়গার রেফারেন্স দেখালে চলবে না.... যেহেতু আপনি কোরআনের রেফারেন্সই চাইলেন, তা না হলে আমিও চাইতাম না)



কোরআনকে বলা হয় "কোড অব ইসলাম"।
কোরআনের এই কোড বোঝার জন্য কোরআন এর পাশাপাশি হাদিসের এবং ইজমা ও কেয়াস সাহায্য নেয়া হয়। সেই গুলো সম্পর্কে আপনার কি কোন ধারনা আছে? ধারনা থাকলে শুধু "কোরআনের কোথয় আছে" এই রকম প্রশ্ন তুলতেন না।

যে সকল বিষয়ে কোনআন বা হাদিসে ষ্পষ্ট করে কিছু বলা থাকে না তখন ইজমা ও কেয়াস এর সাহায্য নেয়া হয়। ও উক্ত বিষয়ে সিদ্বান্ত দেয়া হয়ে থাকে।

ইসলামে ফতোয়া বলে একটা বিষয় আছে, এখন আপনি বলেন যে "ফতোয়া" কি ভাবে দেয়া হয়ে থাকে?
(আমি কিন্তু কাঠমোল্লাদের বিভ্রন্তকর ফতোয়ার কথা বলছি না, সঠিক ফতোয়ার কথা বলছি।)

==================================

কোরআনকে বোঝার জন্য ফিকাহ শাশ্ত্রের সাহায্য দরকার।

আমরা অনেকই জ্ঞান পাপীর মত দুই এক লাইন কোরআন পড়ে সেটার ব্যাক্ষা করতে বসে পরি... আর নিজের মত করে নাপিত ডাক্তারের মত চিকিৎসা শুরু করি।

দুই পাতা ডাক্তারী বই পড়ে যেমন ডাক্তারের মত রোগীর চিকিৎসা করা যায় না, তেমনি দুই লাইন কোরআন পড়ে তার তর্জমা জানলেই নিজের মত করে সেটার ব্যাক্ষা দেয়া যায় না।


আমি যে ব্যক্ষা দিয়েছি সেটা আমার নিজস্ব কোন ব্যক্ষা না, এটা এজন বিজ্ঞ লোকের আলোচনা শোনার পরেই বলেছি।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৩৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ !

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন, আমিন।

মদ্য পানকে যখন হারাম ঘোষনা করে যখন কোরানের আয়াত নাযিল হয়, তখন সাহাবীরা হাতের পাত্র থেকে, মুখ থেকে, দোকানের স্টক থেকে সব মদ ফেলে দেয়। যারা পান করে ফেলেছিল, তারা বমি করে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। মদিনার রাস্তায় সেদিন মদের বন্যা বয়ে গিয়েছিল।

সাহাবাদের এই গুণটি আমাদের মধ্যে আসা খুব দরকার। আল্লাহর বিধানকে বিনা বাক্য ব্যায়ে মেনে নেয়ার যে যোগ্যতা সেটা হাসিল করা প্রত্যের মুসলিমের জন্যই খুব প্রয়োজন।

৫০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৪৮

দেশী পোলা বলেছেন: ও আচ্ছা, কোন আয়াত না থাকলে তো এই "ইসলামে এই ধরনের প্রতারনা মূলক কথা বার্তা বলা নিষেধ বলেই অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবকে "মঙ্গলময় বার্তা" দিতে নিষেধ করা হয়েছে.." বাক্যটা
পুরাই আপনের মতামত,


মানুষের মতামতরে আল্লার বানী বানাইয়া চালানোর অপচেষ্টারে নিন্দা জানাই

আর যদি সবার মতামতের উপ্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়, তাইলে আমার মত হইল

"ইসলামে অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবকে "মঙ্গলময় বার্তা" দিতে নিষেধ করা হয় নাই" আমার জানামতে কোরআনে "মঙ্গলময় বার্তা" নিষেধ কইরা কোন আয়াত নাই

৫১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৪৮

রবিনহুড বলেছেন: দেশী পোলা

{এইটা কোরানের কোন আয়াতে লিখছে? মনগড়া কথা বার্তা কইলেই হয় না, বাঙালী মুসলমান এখন কোরআন পইড়া মানে বুঝতে শিখছে, রেফারেন্স কই?}

@

আপনি যে প্রশ্ন গুলো তুলেছেন, তার উত্তর বলত হয়। কিছু সাধারন বিষয় আছে যে গুলোর রেফারেন্সের দরকার হয় না। যেমনঃ কেউ যদি বলে ইসলামে বলা আছে "মিথ্যা বলা পাপ" বা "নামাজ না পড়লে পরকালে কঠিন শাস্তি আছে" এই রকম বক্তব্যের জন্য কি আপনার মনে হয় রেফারেন্স দরকার?

আমি যে বক্তব্য দিয়েছি তাতে কি খুব কঠিন কোন মাসলা মাসেয়েলের উদ্বৃতি দিয়েছি? যে রেফারেন্স দরকার? আমি তো খুব সাধারন একটা রেফারেন্স তুলে ধরে এর ব্যাক্ষা দিয়েছি। আমার মূল পয়েন্ট ছিল "প্রতারনা জায়েজ না" এর উপর ভিত্তি করেই আমি ব্যক্ষা দিয়েছি।

আমি কোথায় বলেছি কোরআনে ওমুক কথাটা বলা আছে?

আমার বক্তব্য ছিল, "ইসলামে এটা কখনই সমর্থন করে না, তোমার মুখে এক রকম কথা থাকবে আর অন্তরে অন্য রকম কথা থাকবে...."



এখন আপনি বলেন যে, আমি যে বললাম "মুখে এক রকম কথা আর অন্তরে অন্য রকম কথা বলাটা ইসলাম পারমিশন দেয় না" এটা বোঝানোর জন্য কি আপনার কাছে কোরআনের রেফারেন্স দিতে হবে?


আপনার কি জানা নেই, "মুখে এক কথা আর অন্তরে অন্যকথা পোষন করাটা ইসলাম পারমিশন দেয় না"।

নাকি আপনার কাছে এমন কিছু রেফারেন্স আছে যেখানে ইসলাম বলেছে..."মুখে এক কথা আর অন্তরে অন্য কথা" রাখাটা জায়েজ?

যদি এই রকম কোন রেফারেন্স থাকে তা হলে সেটা দেখান আমিও নতুন কিছু জানি।

সর্ব শেষে একট প্রশ্ন রইল... "মনে এক রকম, আর মুখে অন্য রকম কথা বলাটা" কি আপার কাছে প্রতারনা মূলক কথা বলে মনে হয় কি না?

উত্তর যদি হ্যা হয়। তবে বলুন প্রতারনা করা কি আল্লাহ জায়েজ বলে ঘোষনা দিয়েছেন?

"প্রতারনা করা" জায়েজ কি, না জায়েজ সেটার জন্য আপনার কি রেফারেন্স দরকার?

৫২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৫৭

রবিনহুড বলেছেন: (দেশী পোলা বলেছেন: ও আচ্ছা, কোন আয়াত না থাকলে তো এই "ইসলামে এই ধরনের প্রতারনা মূলক কথা বার্তা বলা নিষেধ বলেই অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবকে "মঙ্গলময় বার্তা" দিতে নিষেধ করা হয়েছে.." বাক্যটা
পুরাই আপনের মতামত,)


@



একটা ধমীয় আলোচনাতে যখন কিছু কথা বলা হয় সেটার মানে কি সম্র্পর্ন উক্ত ব্যক্তির বক্তব্য? এই ধরনের আলোচনার বিষয়টই হল এই রকম এই বিষয়ে ইসলামের বক্তব্য কি? ইসলামের বক্তব্য গুলোই আলোচনা আকারে চলে আসে।

এখন যদি আমি বলি আপনি আপনার সপক্ষে কোন রেফারেন্স তো দেখাতেই পারলেন না.... (অথচ দাবি করলেন আমার বক্তব্য ইসলাম বিধি মনে সঠিক নহে....) আপনার বক্তব্য কতটা ইসলাম মম্মত, এটা কতটা ঠিক সোটার বিশ্বস যোগত্য তা কি?(যেখানে নিজে অন্যের ব্কতব্যের জন্য রেফারেন্সের জন্য বসে থাকেন)


আমি আরো ষ্পষ্ট করে বলছি, এটা আমার নিজস্ব বক্তব্য নয়, এটা ইসলামী স্কালারদের বক্তব্য। যেটা ফেকাহ শাস্ত্রের চর্চার মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আমি স্কালারদের কাছ তেকে জেনে শুনেই বলেছি।

==============================

এবার আপনি বলুন, ইসলামের কোথায় বলা আছে যে, "বিধমীদের তাদের ধর্মীয় উৎসবে শুভেচ্ছা জানানোর পারমিশ দেয়া আছে?"

দয়া করে কোরআনের রেফারেন্স দিন।

আবল তাবল কথা বলে কেটে পরবেন না....

৫৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৫৮

দেশী পোলা বলেছেন: আপনে কথা ঘুরাইতেছেন, একজনরে মেরী ক্রিসমাস বা পুজার শুভেচ্ছা দিলে সেইটারে প্রতারনা বলা হয়, এইটা আপনার মতামত, এইটার কোন কোরআন ভিত্তিক রেফারেন্স নাই, হাদিসের রেফারেন্স নাই।

থাকলে দেন, না থাকলে ত্যানা পেচাইয়েন্না

আমি মেরি ক্রিসমাস পুজার শুভেচ্ছা ঈদমুবারক সবই কমু, আমার মনে হয়না এইসব বলা সগীরা বা কবিরা গুনাহ, কোরআনে মানা করে নাই

কথা শ্যাষ

৫৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:০১

~মাইনাচ~ বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট




ভালো লাগা

১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৪৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মাইনাচ, তা আমাকে কি দিয়েছেন, প্লাচ না মাইনাচ ?? ;)

৫৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:০৪

রবিনহুড বলেছেন: দেশী পেলা

{আমার জানামতে কোরআনে "মঙ্গলময় বার্তা" নিষেধ কইরা কোন আয়াত নাই }
@

আপনার জানা মতে কি কোরআনের কোথাও লিখা আছে কি করে অজু করতে হবে?

সেটা তো লেখা নেই, তাহলে কি নামাজের আগে অজু করার দরকার নেই?

পর্নগ্রাফী দেখা নিয়ে কোআনে কিছুই বলা নেই। তা হলে কি পর্নগ্রাফী দেখা জায়েজ হয়ে গেল?


প্রকৃত পক্ষে ইসলামে অশ্লীল ও পর নারী/পুরুষের নগ্ন যে কোন কিছু দেখাটাকেই নাজায়েজ করেছে, সেখান থেকেই "পর্নগ্রাফী দেখা নাজায়েজ" বলে বলা হয়।



ইসলামে অনেক বিধি নিষেধ সরাসরি কোআনে বলা নেই, সেটা ইমজা ও কেয়াস ও ফিকাহ শাস্ত্রের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়ে থাকে।এবং সেই বিষয়/রায় গুলো ইসলামী আইন বলে গন্য করা হয়।

এই বিষয়টা কি আপনি মানেন? মেনে থাকলে আশা করি বুঝতে পেরেছেন, আমার বক্তব্যের উৎস কি?

৫৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:০৬

দেশী পোলা বলেছেন: ত্যানা পেচাইতেছেন খালি খালি

একটা মানুষরে মেরী ক্রিসমাস কইলে কবিরা গুনাহ হইবো না

এইটুকু মানতে ফিকাহ শাস্ত্র ঘাটতে হয় না, কোরআন পড়লেই চলে

৫৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:১০

রবিনহুড বলেছেন: দেশী পোলা

@

আপনি "কোরআনে উল্লেখ নেই" এই তত্ব নিয়ে চললে আর কিছুই বলার থাকে না....

কোরআনের বাহিরেও আরো কিছু বিষয় আছে যে গুলোর উপর ভিত্তি করে ইসলামী ফতেয়া জারী করা হয়।

"কোরআনে উল্লেখ নেই" এই তত্বের উপর ভিত্তি করলে তো "পর্নগ্রাফী"ও জায়েজ... :(


আপনার দৌড় যদি "কোরআনে উল্লেখ নেই" পর্যন্ত হয়, তা হলে বলতে হয় আপনি শুধু ১ লাইনটাই জানলেন... ঘটনার পুরোটা জানলেন না....


পুরুটা না জেনে কোন আলোচনাতে আসাটা বোকার নামান্তর।

৫৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:১৩

দেশী পোলা বলেছেন: কোরআন আল্লার বাণী না ফেকাহ শাস্ত্র আল্লার বাণী?

কোরআনে উল্লেখ করে নাই, তার মানে এইটা জায়েজ না কি নাজায়েজ সেটা নিয়া উপরওয়ালার সমস্যা নাই

যেইটা নিয়া আল্লায় কোন ডিসিশন দেয় নাই, সেইটা নিয়া মাইনষের ডিসিশন শুইনা তারে সগীরা কবিরা গুনাহ মানতে আমি নারাজ



৫৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:১৭

রবিনহুড বলেছেন: দেশী পোলা

@

ইসলামের সকল রায় কি শুধু কোরআনে থাকলেই হয়ে থাকে?
হাদিস বা ফিকাহ শাশ্ত্র কি রায় দেয় না?

তা হলে আপনি কি বলতে চান, ফিকাহ শাশ্ত্রের রায় ইসলাম পরিপন্থী? বা এটা ইসলাম সম্মত নয়? (নাউজুবিল্লাহ)

নিজের বক্তব্যের সপক্ষে কোন কোরআনের রায় দেখাতে পারলেন না, আর অন্যের কাছে কোরআনের রেফারেন্স খোজ করলেন...আর অন্যের ব্কতব্যকে ''ত্যানা প‌্যাচানো"বলে উল্লেখ করছেন.... হাস্যকর...

পরিশেষে একটাই তত্ত দিলেন..."কোরআনে নিষধ করে কোন কথা নাই... তাই এটা জায়েজ"

এই ধরনের জ্ঞান নিয়ে যিনি চলেন তার সাথে কি আলোচনা করা যায়?


===================================

পর্নগ্রাফীর বিষয়ে আমি কোআনের কোন ব্কতব্য নেই বলে আপনার সাথে একমত.... এখন এই বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিতে আপনার মতামত কি একটু বলুন দেখি? ;)

৬০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:২০

দেশী পোলা বলেছেন: এই খানে মেরী ক্রিসমাস নিয়া আলাপ হইতাছে, পর্ণগ্রাফী নিয়া আপনার চুলকাইলে অন্যখানে ছবিসহ পোস্ট দেন, লুলরা আইবো

৬১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:২১

রবিনহুড বলেছেন: দেশী পোলা
@

ফেকাহ শাশ্ত্রের রায় গুলো কি ইসলাম সম্মত কি?

এটা কি ইসলাম সম্মত নয়?

এই বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি একটু পরিষ্কার করে বলুন।



আপনাকে উপরে অনেক গুলো প্রশ্ন করা হয়েছিল... সেগুলোর উত্তর না দিয়ে একটা কথার উপর আপনি ঘোর পাক খাচ্ছেন.... ত্যানা এবার কে পেচাচ্ছে?




আয়োডিনের ঘারতি মনে হয় একটু একটু করে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। ;)

৬২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:২৫

দেশী পোলা বলেছেন: আয়োডিনটা আপনেই খান, ফেকাহ শাস্ত্রের বইতে চুবাইয়া চুবাইয়া খান :)

আমার কথা আগেই কইছি

কোরআন আল্লার বাণী, ফেকাহ শাস্ত্র আল্লার বাণী না, এইটা মানুষের মতামত, সোজা কথায় ঐশ্বরিক কোন জ্ঞান বা উপদেশ নাই ফেকাহ শাস্ত্রে


যেহেতু মেরী ক্রিসমাস নিয়া কোরআনে উল্লেখ করে নাই, তার মানে এইটা কোন মুসলমান কোন খ্রিস্টান কাউরে মেরী ক্রিসমাস কইলে সেইটা জায়েজ না কি নাজায়েজ সেটা নিয়া উপরওয়ালার সমস্যা নাই

যেইটা নিয়া আল্লায় কোন ডিসিশন দেয় নাই, সেইটা নিয়া মাইনষের ডিসিশন শুইনা তারে সগীরা কবিরা গুনাহ মানতে আমি নারাজ


৬৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১৬

রবিনহুড বলেছেন: আপনি অদ্ভুদ এক যুক্তি নিয়ে একগুয়েমি করছেন।

আমি আগেই ষ্পষ্ট করে বলেছি, কোরআনে সব কিছু বলে দেয়া নেই। যেমন অজু কি করে করতে হবে? তা হলে কি অজু করার কোন দরকার নেই?


যেসকল বিষয়ে কোআনে ষ্পষ্ট করে কোন কিছুই বলা নেই সেই সকল বিষয়ে ইজমা ও কেয়াসের মাধ্যমে ফেকাহ শাশ্ত্রের মাধ্যমে নির্ধারন করা হয়। এটা হল ইসলামী বিধানের একটা অংশ, পৃথিবীর সকল মুসলিম এই নিয়মটা বিনা প্রশ্নে মেনে পালন করেন.... এক মাত্র আপনি ব্যতিক্রম যিনি বলেন যে, ফেকাহ শাশ্ত্র মানার প্রয়োজন নেই.... যা ষ্পষ্টই ইসলামী বিধানের পরিপন্থী।


কোরআনে যাকাতে কথা বলা আছে, কিন্তু যাকাত কিভাবে দিতে হবে এর পরিপূর্ন ব্যক্ষা তো ফেকাহশাশ্ত্র দেওয়া আছে। এখন আপনি কি ফেকাহশাশ্ত্র এই ব্যক্ষা না মানেন তা হলে যাকাত কিভাবে আদায় করবেন?


এই সহজ বিষয়টা আপনি বুঝতে পেরেও না বোঝার ভান করছেন। এই করানেই আমার ফেকাহ শাশ্ত্র সম্পর্কিত বিষয়ে আপনি কোন মন্তব্য করছেন না। বার বার এই সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন। আপনি নিজেকেই প্রম্ন করুন, কেন এড়িয়ে যাচ্ছেন? কারন এগুলো সঠিক উত্তর আপনার কাছে নেই।


অবশ্য সব শেষে আপনি বলেই ফেললেন "ফেকাহ শাস্ত্রের বইতে চুবাইয়া চুবাইয়া খান "...যার মানে ফেকাহশাশ্ত্রের আপনার কাছে কোন মূল্য নেই। আপনি কোন জগৎ এ বাস করেন...এটা বোঝা গেল...


এই ধরনের মন্তব্যের মানেই হলো আপনি ফেকাহ শাশ্ত্র মানেন না,

ফেকাহশাশ্ত্র হল ইসলামী আইনের একটা ব্যাক্ষা বিশেষ। যিনি ফেকাহশাশ্ত্র মানেন না, তার মানে সেই ব্যক্তি ইসলামের জীবন বিধানের ব্যাক্ষা মানেন না... ফেকাহশাশ্ত্র সমগ্র দুনিয়াতে মুসলিম সমাকে সর্বজন গৃহীত একটা শাশ্ত্র। যা শুধু আপনি মানেন না।

সুতরাং আপনার সাথে ইসলামী আইন নিয়ে কথা বলার কোন অর্থ আছে কি?

যে ব্যক্তি ইসলামী আইনের ব্যক্ষার মৌলিক বিষয়গুলো মানেন না, তার কি ইসলাম নিয়ে তর্ক করতে আসা কতটা উচিত? নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করুন।


নিজের অজ্ঞতা আড়াল করার জন্য আপনি আমার প্রশ্নগুলো বার বার এড়িয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি মৌলিক বিষয় গুরো মেনে নিচ্ছেন না।

সুতরাং এই রকম ঘাউরামি করা একগুয়ে লোকর সাথে তর্ক করাটা কতটা যুক্তি সঙ্গত সেটা পঠকের উপর ছেড়ে দিলাম।

৬৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:২৭

রবিনহুড বলেছেন: কোরআনে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু সেই ওয়াক্ত কোনটা কখন হবে সেটা সম্পর্কে কিছুই বলা নেই।

এখন আপনি কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন পড়বেন সেটা কিভাবে নির্ধানর করছেন? নামাজের সময়টা কোথা থেকে এসেছে এই ব্যাপারে কিছু বলবেন কি?

একটু জবাবটা দিয়ে যান। এই একটাই প্রশ্নের উত্তর আশা করছি আপনার কাছ থেকে।



===================================

যদিও আপনি প্রশ্নের উত্তর বরাবরই এড়িয়ে যাচ্ছেন, নিজের অজ্ঞতা প্রকাশের ভয়ে।....;)

আপনার কথা মনে পৃথিবীতে সবজন গৃহীত ফেকাহশাশ্ত্র ভূল শাশ্ত্র, আর আপনার যুক্তিই একমাত্র গৃহনযোগ্য যুক্তি। দূনিয়ার সবাই ভূলে পরে আছে, আর আপনি একমাত্র জ্ঞানী যে সকল সঠিক পথে চলছে।... ;)


আপনি এমন ভাবে আলোচনা করতে এসেছেন যেখানে, নিজের অজ্ঞতা প্রকাশের ভয়ে উত্তর দিতে রাজি নন। অথচ সর্বজন গৃহীত যুক্তি না মেনে, নিজের একগুয়ে কথা বার বার বলে যাচ্ছেন।

আপনি তো তালগাছ বাদী তত্ব নিয়ে চলছেন। সুতরাঙ আপনার সাতে আর আলোচনা করা যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে করি।

৬৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৩৪

দেশী পোলা বলেছেন: উক্কে, আপনি ফেকাহ শাস্ত্র মাইনা মুখে কুলুপ আইটা বইসা থাকেন

আমি আমার মত কইরা লোকজনরে ঈদ মুবারক, মেরী ক্রিসমাস, শুভ পুর্ণিমা, শুভ বিজয়া কইতে থাকি, উপরওয়ালা যদি এর লাইগা আমারে হাবিয়া দোজখে পাঠায়, তাও সই

দুয়া করি পরকালে আপনারে জান্নাতের হুরের বদলে বাধাই করা ফেকাহ শাস্ত্রের পুস্তক ইনাম দেয়া হপে ;)

১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৪৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দেশী পোলা ভাই, আপনাদের দু'জনের কথোপকথন দেখলাম। আপনাকে এবং রবিনহুড ভাই, দুজনকেই অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাদের অসীম ধৈর্য্যের জন্য।

দেশী পোলা ভাই, আমার মনে হয় এই পোস্টের আলোচ্য বিষয়ের understanding এর জন্য আমার নিজের আলোচনা এবং অন্যান্য আলোচনায় যথেষ্ঠ convincing ব্যাখ্যা আছে। জানি না, আপনি কেন বুঝতে পারছেন না।

আমি আপনাকে অনুরোধ করবো, আপনি কোন ভাল আলেম এর সংস্পর্শে এসে ইসলাম বা আল্লাহর কাছে মনোনীত একমাত্র ধর্মকে জানুন, বুঝুন।

আপনি হয়ত আজ উদারতা বশতঃই কাউকে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা দিচ্ছেন, কাউকে পূজোর শুভেচ্ছা দিচ্ছেন, কিন্তু আপনি বুঝতে পারছেন না, আপনার অজান্তেই আপনার উদারতা আপনাকে ইসলামী জীবন বিধান থেকে একটু একটু দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

শুভেচ্ছা মানে হল কারো জন্য কোন মংগল কামনা। একজন মানুষ হিসেবে আমরা যখন মুখে কারো শুভ কামনা করি বা প্রকারান্তরে এটা তার জন্য দোয়া করা, সেটা কিন্তু কারো উদ্দেশ্যেই করা হয় ! নিশ্চিতভাবে এই দোয়া Creator এর উদ্দেশ্যেই করা হয়।

এখন আপনি বলুন, মুসলমান হিসেবে আল্লাহর কাছে বললেন, " হে আল্লাহ, আজ আপনার সন্তান যীশূ খ্রিস্টের জন্মদিন, সেজন্য এই খ্রিস্টান ব্যাক্তির (যাকে আপনি Merry Christmas বলছেন) প্রতি আপনি আনন্দ বর্ষন করুন" [Merry Christmas শব্দটার বাংলা ব্যাখ্যা আশা করি এরকমই হবে], এতে কি আল্লাহ খুশী হবেন? যেখানে আল্লাহ সূরা ইখলাসে বলে দিয়েছেন,

" তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি "
”He begets not, nor was He begotten"

এটাতো সুস্পষ্ট কুফর (অবিশ্বাস) এবং শিরক !

আবার যদি ধরে নেই, আপনি এই শুভ কামনা আল্লাহর সন্তান যীশূ খ্রিস্টের উদ্দেশ্যেই করলেন, তাহলেও কিন্তু এটা কুফর এবং শিরক!

এভাবে আমরা যে শিরক এবং কুফরগুলো খুব সহজেই করছি খুব সাধারণ ভাবনা থেকে, সেগুলো সম্পর্কে যদি আমরা জানি এবং সেভাবে মেনে চলার চেষ্টা করি, তবে ধীরে ধীরে আমাদের জানার আগ্রহ বাড়বে এবং আমরা বড় বড় কুফর এবং শিরক থেকে বাচতে পারব। প্রকারান্তরে আমরা ইসলামী জীবন বিধানকে আমাদের জীবনে পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে দ্বীনকে জেনে, বুঝে পালন করার তৌফিক দিন এবং শয়তানের ধোকা থেকে হেফাজত করুন, আমিন।

৬৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০৬

দেশী পোলা বলেছেন: লেখক,

আপনে যে বিশ্বাসে বিশ্বাসী, সেটা সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালী মুসলমানের বিশ্বাস না, আমরা মিলেমিশে থাকতে ভালবাসি, পীর ফকির ইজতেমা চিল্লায় যাইয়া কাওয়ালী গাইয়া আল্লার কাছে কান্দি, আবার পুজার টাইমে বা ক্রিসমাসে পড়শী বা বন্ধুদের শুভেচ্ছা যানাইতে আর মিষ্টি খাইতে ভুলি না। এইটা আপনার কাছে শিরক লাগলে কইরেন না, মুখে কুলুপ আইটা বইসা থাকেন। আল্লায় বিচার করবো কেডা সঠিক আর কেডায় বেঠিক :)

১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:১৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দেশী পোলা বলেছেনঃ

আল্লায় বিচার করবো কেডা সঠিক আর কেডায় বেঠিক ।


কোন সন্দেহ নাই, আপনার সাথে ১০০% সহমত ! :)

৬৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০০

শুক তারা বলেছেন: রবিনহুড ভাইয়া আর লেখকের মার্জিত রিপ্লাই পড়ে খুব ভালো লাগলো, এটাই ইসলামের সঠিক পন্থা, সাবলীলভাবে আল্লাহ্ যা বলেছেন তা অন্যদের বুঝিয়ে বলা, আর এই ইসলামকেই অন্য ধর্মাবলম্বীরা ও ইসলাম বিদ্বেষীরা হয় দেখে না বা দেখেও না দেখার ভান করে ইসলামের নামে কুৎসা রটায়।

আর আমি বরাবরই এই বিষয়টায় কেয়ারফুল থাকি, পূজার মিষ্টি জীবনেও ধরিনি এমনকি একটা সময় ছিল যখন স্কুলে অন্য কোন ধর্মের মেয়ের পানিও খেতে ইচ্ছা করতো না,সেটা অবশ্য কলেজে উঠে আর ছিল না কিন্তু ক্রিসমাস বা পূজায় কখনোই আমি সেলিব্রেশনের মত কিছু পাইনি আমাকে অনেকে অনেকবার বলেছিল পূজার মন্ডপ দেখতে বা চার্চের ক্রিসমাস ট্রি দেখতে যেতে কিন্তু কেন জানি মনের ভেতর থেকে এমন কিছু করার সারা পেতাম না কেন পেতাম না সেটা এখনো জানি না কিন্তু এমন আচরনের জন্য আমাকে সবাই এক্সট্রিমিস্ট বানিয়ে দিয়েছিল, এখন ইচ্ছা হচ্ছে ওদের কানে ধরে এই পোস্টটা পড়াই =p~ =p~ =p~ =p~

সুন্দর লেখা অনেক বেশি ভালোলাগা :)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। :)

আসলে এখন এটাই সমস্যা হয়ে গেছে, লোকে কথা বুঝতে চায় না, না জেনেই কিছু একটা বলে গো ধরে বসে থাকতে চায়। আর এই না বুঝতে চাওয়ার কারণেই যে সচেতনভাবে তার ধর্ম পালন করতে চায় তাকে মৌলবাদী বা Extremist বলে আখ্যা দিয়ে দেয়।

সত্যি কথা বলতে, আমাদের সবারই মৌলবাদী হওয়া উচিত, সেটা যে ধর্মের লোকই হোক, যদি আমি মৌলবাদী শব্দের আক্ষরিক অর্থই ধরে নেই। মানে, হল আমার ধর্ম আমাকে যেভাবে বলেছে আমি সেভাবেই করব। মূল কে ঠিক রাখব। দেখুন, আজকে আমরা বাংলাদেশী জাতি আমাদের জাতিসত্ত্বায় মৌলবাদী না হওয়ার কারণেই পশ্চিমা এবং ভারতীয় অপসংস্কৃতিকে খুব ভালভাবে আমাদের মাঝে আত্মীকরণ করে নিচ্ছি, যার ফলাফল আমরা পাওয়া শুরু করেছি এবং ভবিষ্যতে এর চরম মূল্য দিতে হবে যদি আমরা এখনই লাগাম টেনে ধরি! :(

জানেন কি না, জানি না, ইউএসএ তে ধর্ষনের হার দুনিয়ার মধ্যে সবচাইতে বেশী এবং সেখানে প্রতি ৩২ সেকেন্ডে একজন নারী ধর্ষিত হয়। আমরাও কি চাই একদিন আমাদের সোনার বাংলাদেশ এর পরিণতি এমন হবে?? :| :| :|

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দঃখিত, তথ্যে একটু ভুল ছিল, ধর্ষনে সংখ্যার দিক দিয়ে প্রথম হল ইউএসএ, আর হার এর দিক দিয়ে সর্বোচ্চ সাউথ আফ্রিকা।

৬৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৩৭

শুক তারা বলেছেন: :-* :-* :-* :-* :-* :-* আর ইউ সিরিয়াস!!! ইউ.এস এর এত খারাপ অবস্থা!!!! আল্লাহ্ আমাদের রক্ষা করুন :(

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম... এটাই সত্য... :| :| :|

এ ব্যাপারে আরো জানতে আমার আগের একটা পোস্ট দেখতে পারেনঃ

বলেনতো ধর্ষনে দুনিয়ার কোন দেশ "ফার্স্ট" ??

Click This Link

৬৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:৩৮

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: মেরি ক্রিসমাস বলায় দোষের কিছু নেই বলে আমার মনে হয়। একজন মুসলমান যখন মেরি ক্রিসমাস বলবে, সে তখন তাদের উৎসবের দিনের জন্য শুভেচ্ছা জানাবার ভাষা হিসেবেই সেতাকে ব্যবহার করবে। এর বাইরে তো তার খৃষ্টানদের বিশ্বাস মেনে নেবার মত কিছুর ইঙ্গিত সে দেয়না।

আমি অনেককিছুর সাথে একমত, তবে এই ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে যে কোন সমস্যা নেই।

আল্লাহ সবাইকে বুদ্ধি দিয়েছেন, নিজের সাথে নিরপেক্ষ থেকে বোধবুদ্ধি কাজে লাগিয়ে যে যার মত চিন্তা করতেই পারে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। :)

কথাগুলো আগেও আলোচিত হয়েছে, আপনি যদি পোস্টের মন্তব্য এবং তার জবাবগুলো পড়ে দেখেন তাহলে আশা করি পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা পেয়ে যাবেন, বাকীটুকু আপনার তাক্বওয়ার লেভেল উপর নির্ভর করছে...

আপনার শেষ কথাটা অনেক গুরুত্বপূর্ন, আল্লাহ সবাইকে বুদ্ধি দিয়েছেন, এই বুদ্ধিটাকেই সঠিক পন্থায়, আল্লাহ ও তার রাসূল(সঃ) এর নির্দেশ মোতাবেক খাটানোটাই একজন মুসলমান এর সবচেয়ে বড় গুন।

৭০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৭

প্রতীক্ষা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট, সবাইকে সচেতন করার জন্য ধন্যবাদ।

উইস করতে চাইলে 'have a nice day, enjoy the day' বললেই হয়, আমি তাই করি। এত সহজ একটা ব্যাপারকে এত জটিল করার মানে কি!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: যদি সবাই আপনার মত করে সহজ করে ব্যাপারটা বুঝত !! :| :|

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। :)

৭১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৩

নাআমি বলেছেন: চমৎকার লেখা ! আপনার লেখার উদ্দেশ্যটা অনেক ভাল।


শুভকামনা রইল.......

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ ! আপনি যখন বলেছেন উদ্দেশ্য ভাল তাহলে অবশ্যই ভাল !! :D :D

আলহামদুলিল্লাহ ! ভাল আছেন? :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.