নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

"প্রত্যেক সত্ত্বাকে মৃত্যু আস্বাদন করতে হবে। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, নিঃসন্দেহে সে হল সফল। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়।" আল ইমরান,আয়াত ১৮৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাস্পিয়ান সাগর দর্শন...

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ইরানে এসে ছোট একটা কমিউনিটি পেয়েছি। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু হামিদ আছে এখানে সস্ত্রীক। এছাড়া আবদুল্লাহ আছে ওর স্ত্রী সহ আর আছে লিমন। রুপম নামে আরেকজন ছিল। ও এখন বাংলাদেশে আছে, কয়েক দিনের মধ্যেই আবার আসবে।



এছাড়াও বাংলাদেশী দূতাবাস, রেডিও তেহরান এও কিছু বাংলাদেশী রয়েছে। কিন্তু তাদের সাথে নিয়মিত কোন যোগাযোগ নেই। রমযানে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি নাজমুল ভাই এর বাসায় ইফতারের দাওয়াতে অনেকের সাথে পরিচয় হয়েছিল। এছাড়া ঈদের দিন বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূতের বাসাতে ডিনারের দাওয়াতেও অনেকের সাথে দেখা হয়েছে।



তো কাজের বাইরে এন্টারটেইনমেন্ট বলতে এই ছোট গ্রুপের সাথে ঘোরাফেরা আর আড্ডাবাজি। আড্ডার আসর বেশী বসে হামিদের বাসাতেই। আমাদের মধ্যে ওই সবচেয়ে বেশী দিন ইরানে আছে, বেশ ভাল ফারসি বলতে পারে।



গত শুক্রবারে আবদুল্লাহ ভাবী সহ মস্কো গেছে, এক সপ্তাহের জন্য ঘুরতে। বাকী রইলাম আমি, হামিদ, ওর বউ আর লিমন। ভাবলাম এই সপ্তাহান্তে আমরাও কোথাও ঘুরে আসি। ঠিক হল, আমরা ইরানের উত্তরে চালুস যাব, তেহরান থেকে ২০০ কি.মি. পথ। কাস্পিয়ান সাগরের তীরের এক শহর।







১৫ই আগস্ট, দুপুর সাড়ে বারটার দিকে আমাদের যাত্রা শুরু হল। লিমন ওর এক ইরানি বান্ধবীর কাছ থেকে একটা গাড়ী যোগাড় করেছে। ও ই গাড়ী চালাচ্ছে। যাত্রা শুরুতে আমরা পেট্রোল পাম্প খোজা শুরু করলাম। তেলের দেশ, কিন্তু আমাদের দেশের মত একটু পর পর পেট্রোল পাম্প নেই। লোকজনকে জিজ্ঞেস করতে লাগলাম, “পাম্পে বেনজিন কোজা?” মানে পেট্রোল পাম্প কোথায় আছে। বহু ঘুরে শেষ পর্যন্ত বেনজিন মানে পেট্রোল নেয়া হল। যাত্রা হল শুরু... :)



তেহরান পাহাড় ঘেরা শহর। আমরা উত্তরে চলেছি। তেহরান থেকে কারাজ হয়ে তারপর চালুসের পথ।





তেহরান - কারাজের মধ্যে চলাচলকারী দ্বিতল ট্রেন



আলবোরজ পর্বতমালার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া আকাবাকা পথ। পথের পাশে পাহাড়ী নদী। নদীর ওপর বেশ কয়েক জায়গায় বাধ দিয়ে দিয়ে ওরা জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। রয়েছে একটু পর পর পাহাড় ফুটো করে তৈরী সুড়ংগ। রাস্তার মান বেশ ভাল, গাড়ী চালানোর জন্য আদর্শ।





চালুসের পথে...



এমন অনেক সুড়ংগ চোখে পড়বে...



দৃষ্টিনন্দন পাহাড় ঘেরা রাস্তা...



পাথুরে পাহাড়ের বুক চিরে তৈরী মসৃন রাস্তা...





জল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তৈরী কারাজ বাধ...



প্রায় ঘন্টা পাচেকের পথ। সারা পথ জুড়েই একটু পর পর রেস্টুরেন্ট আছে। তবে পথের এই রেস্টুরেন্টগুলোয় খাবারের দাম বেশ গলাকাটা যেমনটা বাংলাদেশেও। তার উপর এরা দাম নির্ধারণ করে কি করে সেটা বোঝাও দুস্কর। এখানকার খুব কমন আইটেম, জুজে কাবাব (মুরগীর কাবাব), কুবিদে কাবাব (ভেড়ার কাবাব), ভাত, জয়তুন (এখানকার বেশ ভাল মানের জলপাই এর সাথে আখরোট মিশিয়ে তৈরী একটা খাবার, আমার খুব প্রিয়), কোক, দুঘ (দুধকে পাতলা করে আরো কিছু ক্যারিক্যাচার করে তৈরী এক প্রকার পানীয়) এসব অর্ডার করা হল। খাওয়া শেষে একটা বড় অংকের বিল ধরিয়ে দেয়। এবার আমার বন্ধু হামিদ ফারসিতে বলে, হিসাব মিলাও। একটু পরে বাংলাদেশী টাকায় ৩/৪’শ টাকা দাম কমে যায়। এরপর মাছ বাজারের মত দামাদামি করে আমরা আরো ৫০/১০০ টাকা কম দিয়ে আসি। হাস্যকর অবস্থা ! ওরা সব কিছুর দামই অনেক বেশী করে ধরেছিল। চিন্তা করে দেখলাম, ফারসি না বুঝলে পুরো ডাকাতি করে ছেড়ে দেবে এরা !! :-*





আলবোরজ পর্বতমালার কোল ঘেষে পথ চলা...



বিকেল নাগাদ চালুস পৌছে গেলাম। সমুদ্র সৈকতে একটু উকি দিয়ে হোটেল খুজতে লাগলাম। বাংলাদেশী টাকায় পাচ হাজারের কিছু উপরে দিয়ে একটা ছোট এপার্টমেন্ট ভাড়া করলাম এক রাতের জন্য। দু’টো রুম আছে। বিচের একদম কাছেই।





কাস্পিয়ান সাগরে সূর্যাস্ত...



সন্ধ্যার পর চারজন মিলে সমুদ্রে ডুব দিলাম। সে এক অন্য রকম অনুভূতি। ওপরে আকাশে চাদ, যদিও মেঘগুলো একটু জ্বালাতন করছিল। আমাদের ভাবী বেশ ভয় পান পানিতে এগুতে। তিনি জীবনে এর আগে একবারই সমুদ্রে নেমেছেন, কক্সবাজারে। আমি আর লিমন বেশ মজা করলাম। এদিকে হামিদ ভাবীকে নিয়ে যতদূর পারল পানিতে নামল। ঢেউ খুব বেশী না, জোয়ার থাকায় ছোট ছোট ঢেউ ছিল। আমাদের কক্সবাজারে কাছে কিছুই না। ঢেউ এর বারিতে সমুদ্রের সৈকতে লুটিয়ে পড়া বরাবরই আমার একটা প্রিয় খেলা। প্রায় ঘন্টা দেড়েক পানিতে ডুবেছিলাম।:)



গাড়ী নিয়ে বেরিয়ে পরলাম চালুস শহরের দিকে। সুন্দর একটা রেস্টুরেন্ট দেখে বসে পড়লাম। “মাহী” মানে মাছ অর্ডার করলাম। কাস্পিয়ান সাগরের একটা মাছ (নাম মনে নেই) আর গেজেলালা বা Trout মাছ অর্ডার করলাম। মাছ কোন কিছু ছাড়াই সিম্পলি ভেজে নিয়ে এসেছে। টেবিলে কিছু মসলা রাখা আছে, সব মিলিয়ে নিলাম, খেতে খুব একটা খারাপ লাগল না। আর আমার প্রিয় জয়তুন তো আছেই।







কাস্পিয়ান সাগর সৈকত...



পরদিন সকালে উঠে চলে গেলাম চালুস শহরেই অবস্থিত নামাকাব্রুদ টুরিস্ট পার্কে। যাওয়ার পথে এক দোকান থেকে রুটি কিনলাম, মেশিনে বড় বড় রুটি তৈরী হচ্ছে। আর সাথে নিলাম ক্রিম, পনির, চকোলেট দুধ। গাড়ীতে বসেই নাস্তা সেরে নিলাম। এদের রুটির দোকানগুলোও দেখার মত। স্তুপ করা আটার বস্তা, আর মেশিনে তৈরী হচ্ছে বিশাল বিশাল রুটি। লোকজন লাইন দিয়ে সেই রুটি কিনছে।



যাহোক, নামাকাব্রুদ পার্কে ওরা যেটা করেছে, মাটি থেকে পাশের পাহাড়েরর চূড়া পর্যন্ত দু’টো ক্যাবল কার তৈরী করেছে। এছাড়াও পাহাড়ের কোলে কিছু রাইড তৈরী করেছে। সব মিলিয়ে ভালই আয়োজন। ছুটির দিনে ইরানিরা সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি, এরা তাবুর বেশ ভাল ব্যবহার করে। সমুদ্রের সৈকতে একটা ফ্যামিলি সাইজ তাবু খাটায়, সাথে গাড়ীতে করে চুলা নিয়ে আসে, বাজার নিয়ে আসে, সৈকতেই রান্না করে। তারমানে থাকা, খাওয়ার জন্য কোন বাড়তি খরচই করতে হয় না। সিস্টেমটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।



কেবল কার থেকে তোলা এবং পাহাড়ের চূড়ায় কিছু ছবি দেখুন। পাহাড়ের চূড়ায় আবহাওয়াটা ছিল চমৎকার।



















পাহাড় থেকে নেমে একটা রাইডে চড়লাম। মান দিয়েছে এলপাইন কোস্টার। অনেকটা রোলার কোস্টারের মতই, তবে এতে রাইডারের হাতেও কন্ট্রোল থাকে, এক্সেলারেট এবং ব্রেক করার। সব মিলিয়ে ভালই লাগল।



আমাদের হাতে সময় কম। তেহরান ফিরতে হবে, কারণ তেহরানে ফেরার পথে যানযটে পড়তে হতে পারে। চালুস থেকে বের হতে গিয়ে কিছু যানযটে পড়েছিলামও। কিন্তু পরে আর সমস্যা হয় নি।





চালুস থেকে তেহরান ফেরার পথে...



পথে এক হোটেলের ব্যালকনি থেকে...



এদের কিছু ভাল ব্যবস্থা আছে। যেখানে প্রচুর ট্যুরিস্ট যায়, সেসব জায়গায় দুপুরের পরেই তেহরান থেকে যাওয়া বন্ধ করে রাস্তা একমুখি করে দেয় যাতে লোকজন্য নির্বিঘ্নে ফিরতে পারে। আর সপ্তাহ শেষ হলেই তেহরানের আশে পাশে ঘুরতে চলে যাওয়াটা ইরানিদের জন্য খুব কমন একটা ব্যাপার। সূর্য ডোবার আগেই আমরা তেহরান ফিরে এসেছিলাম। খুব স্বল্প সময়ের ভ্রমন হলেও খুব উপভোগ্য একটা যাত্রা ছিল। পাহাড়ের সৌন্দর্য পুরো পথেই আমাদের মোহিত করেছে...



আমার যত ভ্রমন ব্লগ...

মন্তব্য ৮০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৮০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

মুনসী১৬১২ বলেছেন: পারস্য কণ্যা :)

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: পারস্য কণ্যা??? B:-) B:-)

কই পেলেন ভাই?? আমার পোস্টেতো কোন কণ্যার ছবি নাই !! ;) ;)

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

জুন বলেছেন: চালুসের পথটা মারাত্মক জহির । ভালোলাগলো তোমার চোখে কাস্পিয়ান এর পথে যেতে....
+

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আসলেই মারাত্মক আপু, কিন্তু আমার আবার এ ধরণের মারাত্মক পথ খুব পছন্দ... :P :P

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

জুন বলেছেন: মারাত্মক অর্থ সুন্দর মিন করেছি জহির :||

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কোন সমস্যা নেই আপু, আমিও বুঝতে পেরেছি আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন, তবে দ্ব্যার্থবোধক অর্থ হলেও কোন সমস্যা নেই... :)

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

ভারসাম্য বলেছেন: প্রায় ঘন্টা পাচেকের পথ। সারা পথ জুড়েই একটু পর পর হোটেল আছে। তবে পথের এই হোটেলগুলোর দাম বেশ গলাকাটা যেমনটা বাংলাদেশেও।

হোটেল নাকি রেস্তোরাঁ !! ;)

খাবার-দাবারের কিছু ছবি দিতে পারলে আরো ভাল লাগত। বাদবাকী খুব ভাল লাগল ভ্রমণ কাহিনী। +++

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক আছে, পোস্টের বর্ণনা যেন পাঠকের মনে সুড়সুড়ি না দেয় সেজন্য পোস্ট সংশোধিত করা হল। ;) ;)

আসলে টানের ওপর পোস্ট লিখেছি, রিভাইস করার সময় ছিল না... :)

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২২

বোকামন বলেছেন:
বাহ্ ! ভ্রমনে সঙ্গী করার জন্য কৃতজ্ঞতা :-)
পোস্টটি খুব ভালো লাগলো।।

আস সালামু আলাইকুম

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ওয়ালাইকুমুসসালাম বোকামন।

আমার ভাল লাগল আপনাকে আমার ভ্রমনে পেয়ে, আশা করি সাথেই থাকবেন... :)

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

হুপফূলফরইভার বলেছেন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধু হামিদ, ভাই আবদুল্লাহ, লিমন, রুপম সবাই মিলে যেন একটা ছোটখাট কম্যুনিটি।

আর ভ্রমন পোস্টে আপনার তথ্যবহুল সাবলিল বর্ননা, সেই সাথে লোভ জাগানিয়া ছবিপোস্ট মিলেমিলে বরাবরের মতই চমৎকার জহির ভাই।

চালুসের পথে... দৃষ্টিনন্দন পাহাড় ঘেরা রাস্তা...কারাজ বাধের নীলজলরাশি, আলবোরজ পর্বতমালা.. ক্যাবল কার সবমিলিয়ে পুরো পোস্টটাকেই সমৃদ্ধ করেছে। যদিও কাস্পিয়ান সাগরের সৈকতটা একদমই পছন্দ হয়নাই। ;)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুপু ভাই, আপনার চমৎকার শব্দ চয়নে শৈল্পিক মন্তব্য আমার বরাবরই পছন্দ।

আশা করি আপনি এখন থেকে নিয়মিতভাবেই আমাদের সাথে থাকবেন। :)

৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২২

বাংলার হাসান বলেছেন: চমৎকার

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১২

অথৈ সাগর বলেছেন:
ছবি এবং লেখা মিলিয়ে চমৎকার হয়েছে। গুড জব ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ অথৈ সাগর ভাই আপনার অনুপ্রেরণার জন্য... :)

৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১১

আমিভূত বলেছেন: ছবি তত ভালো না হলেও বোঝা যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ।

ঘুরে ভালো লাগলো সবচাইতে অবাক হলাম খাওয়ার আগে দরদাম না করে খাওয়ার পর দরদাম করাটা :-B B-)

আমাদের দেশে হলে পানি ছুলেই তো ভ্যাট সহ দাম দিয়ে যেতে হত B-))

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাইরে, আমার কোন DSLR ক্যামেরা নাই। যা ছবি তুলি সব Samsung Galaxy S3 দিয়ে। এর চেয়ে ভাল ছবি হবে না, যতই চেষ্টা করি... :(

আর এখানে এমনিতেও খাবারের দাম অনেক বেশী, আর হাইওয়েতে করে ডাকাতি !!!

১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আবারও মুগ্ধ হলাম আপনার ভ্রমণ কাহিনী পাঠ করে। ছবিগুলোও সুন্দর হয়েছে। ইরানি মানুষ সম্পর্কে জানতে চাই।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ড্রিম ভাই।

ইরানি মানুষ ওভার অল ভাল, বেশ বন্ধুবৎসল... :)

১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। সুন্দর অতি প্রাণ্জল আপনার বর্ণনা ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ খেয়া ঘাট, সাথে থাকবেন আশা করি... :)

১২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬

কালো পতাকার খোঁজে বলেছেন: চমৎকার।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ... :)

১৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১০

রাশেদনাসরিন বলেছেন: valo

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সাথে থাকবেন আশা করি... :)

১৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

বিপুল কুমার বিশ্বাস বলেছেন: অনেক সুন্দর

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জেনে ভাল লাগল... :)

১৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: মুগ্ধ হলাম ভ্রমণকাহিনী পড়ে। +++

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আমারো খুব ভাল লাগছে আপনাদের আনন্দ দিতে পেরেছি বলে... :)

১৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :) :) :) :)


দারুন !!!

+++++++++

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

১৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০০

আম্মানসুরা বলেছেন: ভ্রমণ ভালবাসি তাই ভ্রমণ গল্প ভালো লাগে

+

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আমিও খুব ভ্রমন প্রিয় মানুষ !! :)

আমার যত ভ্রমন ব্লগ...

১৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পুরো যাত্রাপথের বর্ণনা খুব উপভোগ করলাম, সাথে খাবারের নাম গুলো শুনেও খুব ইচ্ছে করলো চেখে দেখতে।

কাস্পিয়ান সাগরের সূর্যাস্তের ছবিটা দেখে মনটা ছুঁয়ে গেলো। আমার ধারণা ছিল যানজট বুঝি বাংলাদেশেই বিখ্যাত ! তবে এটা ঠিক কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের গর্জন অন্য কোথাও শুনি নি এতো তীব্র ভাবে।

ভালো থাকবেন। প্রবাস জীবন যতটা সম্ভব সুখের হোক।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। :)

সময় করে একবার ইরানে ঘুরে যান, খাবারও চেখে দেখতে পারবেন। তবে সব মিলিয়ে আমাদের দেশের খাবারই সেরা... :)

তবে এরা ডেজার্ট/কনফেকশনারী আইটেম ভাল বানায়।

১৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

নীরব দর্শক বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা। +

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নীরব দর্শক ভাই... :)

২০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার ভ্রমন ব্লগ তো আমার খুব প্রিয়। আপনি এবং ব্লগার মধুমিতা ও জুন আপু আমার সবচেয়ে প্রিয় ভ্রমন কাহিনী লেখক। ছবি গুলো ভালো লাগল। তবে একজন ভোজন রসিক হিসেবে যেহেতু খাবার ছবি দেন নাই, তাই মাইনাস দিমু কিনা ভাবতেছি!!! :P

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অনেক অনুপ্রাণিত হলাম কাভা ভাই ! :)

আসলে ক্ষুধা লাগলে খাবারের উপর ঝাপিয়ে পড়ি, খাবারের ছবি তোলার কথা মনে থাকে না ! :P :P

ভবিষ্যতে কোন পোস্টে খাবারের ছবি দেব ইনশাল্লাহ !

২১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

কালাভীমরুল বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

২২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

টুম্পা মনি বলেছেন: জাস্ট অসাম!

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ওয়াও !! B-)

২৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

অপরাজিতার কথা বলেছেন: অনেকদিন পর এলাম।আর বরাবরের মতই এবারো ছবিসহ ভ্রমন পোস্ট পরে বেশ ভাল লাগল!!

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অনেক দিন আপনাকে পেয়ে আমারো অনেক ভাল লাগছে... :)

এখানে প্রচন্ড ব্যস্ত সময় পার করতে হয়, তাই আপনাকে যে নিয়মিত আসার দাওয়াত দেব সে সাহস পাচ্ছি না... :| :|

২৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইরান ঘুরে এলাম!

ছবি ও বর্ণনা খুব ভালো লাগলো।

শুভ কামনা।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকে ইরানে ঘোরাতে পেরে আমারো খুব ভাল লাগল ভাই... :)

২৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৭

এক্সপেরিয়া বলেছেন: দ্বিতল ট্রেনে ভ্রমন করার খুবই শখ.... ইশ একবার যদি পারতাম....! তবে পোস্ট অনেক সুন্দর আর তথ্যবহুল....

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম... আমারো একবার এই ট্রেনে চড়ে দেখতে হবে...

পোস্ট ভাল লেগেছে জেনে আমারো খুব ভাল লাগছে... :)

আমার যত ভ্রমন ব্লগ...

২৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ছবি আর বিবিরনী মিলে পয়সা + সময় দুটাই উসুল !
চমৎকার পোষ্ট !

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা হা, দারুণ মন্তব্য... :)

২৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫০

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ জাদীদ... :)

২৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫২

সানড্যান্স বলেছেন: আভিভূত!!!

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাল লাগল জেনে... :)

২৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০২

মেহেরুন বলেছেন: দারুন লাগলো। ++++++++্

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মেহেরুন। :)

৩০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

মুহিব বলেছেন: আপনকে তো আমাদের মতই একজন ভেবেছিলাম। কিন্তু রাষ্ট্রদূতের বাসায় দাওয়াত তো আর সবাআ পায় না।
আপনার ভ্রমন লেখা বরাবরের মতই ভাল লাগল। ইরান আমাকে খুব টানে্ কোনদিন সুযোগ পেলে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা, মজা পেলাম আপনার মন্তব্য পড়ে। ইরানে কমিউনিটি খুবই ছোট, সুতরাং রাষ্ট্রদূতের বাসায় এখানে যারা আছে সবাইকেই ডেকেছে, এটা বিশেষ কিছু নয় !!! :)

ইনশাল্লাহ সময় করে কখনো ঘুরে যাবেন ইরান...

৩১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

মুহিব বলেছেন: ঢাকা থেকে যাওয়ার সহজ রুট কোনটা?

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ঢাকা থেকে তেহরান আসতে পারেন এমিরেটস, কাতার, কুয়েত, তুর্কী, এয়ার এরাবিয়া এয়ারলাইন্সে।

তেহরান থেকে চালুস গাড়ীতে ৫ ঘন্টার পথ...

৩২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ছবিগুলো তো দুর্দান্ত হয়েছে ভাইয়া। লেখা পড়ে অনেক কিছু শিখলাম, বিশেষ করে ইরানে খাবারের দরদামের প্রক্রিয়া ;) ।আসলেই কোনদিন ঘোরার সুযোগ হবে কিনা কে জানে তার আগেই আপনার লেখার মাধ্যমে ঘুরে নিলাম।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা, তেহরানে কিন্তু এমন নয়, এখানে সব রেস্টুরেন্টে মূল্য নির্ধারণ করাই থাকে। চালুস যাবার পথে এমন দেখলাম !!

আর আপনিতো বিলেতেই আছেন, এক মুঠো পাউন্ড নিয়ে বের হয়ে পড়বেন ঘুরতে... ;)

৩৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শ।মসীর বলেছেন: আল্লাই জানে বাকি দুনিয়া কবে দেখতে পারবো :)

নিয়মিত দেখান আপনি আপাতত ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হ, সেই চেষ্টাতেই আছি... B-) B-)

৩৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৪

কালোপরী বলেছেন: :)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: এতো খুশী??? ঘটনা কি?? ;) ;)

৩৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: রুটির দোকানের কথা শুনে মনে হচ্ছে ছবি তুলে রাখলেও পারতেন। দেখতে ইচ্ছে করছিল পড়ার সময় :P

এত ঘুরাঘুরি কিসের শুনি /:)

সুন্দর বর্ণনা :)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ওকে, সামনে একদিন রুটির দোকানের ছবি তুলে দিব... :)

৩৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

ম্যাকানিক বলেছেন: জহির ভাই ইরানিরা কি বিরানি খায় না????
ইরান এর উপর আরো লেখা চাই

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: না ভাই, ইরানিগো এখনো বিরানি খাইতে দেখি নাই ! কি সব আবা জাবা খায়... :P :P

ইনশাল্লাহ চেষ্টা থাকবে আরো লেখার, দোয়া রাখবেন। ব্যস্ত থাকতে হয় চাকরি নিয়া...

৩৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২

আরজু পনি বলেছেন:

نوشته های خود را بسیار خوب می باشد.حال شما چطور است؟

:D

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: با تشکر برای تعریف خود را.همه ستایش بر خدا باشد، من خوب هستم.حال شما چطور است؟
:)

৩৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৩

ম্যাকানিক বলেছেন: بدین استفاده مناسب از ترجمه گوگل

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: حق شما

৩৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

রুপ।ই বলেছেন: কারাজ বাধটা অনেক সুন্দর ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জ্বি, ঠিক বলেছেন। পানি এত সুন্দর, ইচ্ছে হচ্ছিল নেমে গোসল করি... :)

৪০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার পোস্ট যতই দেখতেছি ততই চমৎকার লাগতেছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আমারো ভাল লাগল জেনে, গত সপ্তাহে পুরো পরিবার নিয়ে আবার গিয়ছিলাম ওখানে নিজে গাড়ী চালিয়ে... :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.