নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...
গত মাসে অপু ভাই এর বাসায় দাওয়াত ছিল। অপু ভাই বাংলাদেশ এম্বেসীর কমার্সিয়াল কাউন্সেল। মূলতঃ তিনি যুগ্ম সচিব, ইরানে আছে বছর চারেক। তা ওনার বাসাতেই পরিকল্পনা হল কোথাও ঘুরতে যেতে হবে। বড় গ্রুপ নিয়ে, যেখানে দূতাবাসের ভাইদের সাথে আমরাও যাব। প্রথমে ঠিক হল, তাবরিজ যাব, তেহরান থেকে ৯০০ কি.মি. দূর। কিন্তু পরে সেই পরিকল্পনা আর না আগানোতে আমাদের ছোট কমিউনিটি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমরা হামাদান যাব। হামাদান হল হামেদান প্রদেশের রাজধানী। তেহরান থেকে থেকে প্রায় ৩০০ কি.মি. পশ্চিমে। হামেদানে আছে বিখ্যাত আলি সদর গুহা, ইবনে সিনা’র সমাধি, কবি এবং আধ্যাতিক সাধক বাবা তাহেরের সমাধি এবং আরো বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।
আমাদের এবারের ভ্রমন দলে আছে সস্ত্রীক বন্ধু হামিদ, ছোট ভাই আবদুল্লাহ এবং রুপম। মানে তিন জোড়া আর আমি একা, মোট ৭ জন। রুপম তার স্ত্রীসহ ১ সেপ্টেম্বরই ইরানে এসেছে, বিয়ে করেছে কয়েক মাস হল। মজার ব্যাপার হল রুপম ভাবী বিয়ের আগে জীবনে কোন দিন ঢাকা আসেন নি ! আজ তিনি একেবারে তেহরান !!
হামিদ তার অফিস থেকে একটা মাইক্রোবাস ভাড়া করেছে। ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাতটার মধ্যে আমরা সবাই গাড়ীতে, যাত্রা হল শুরু। প্রথমেই নাস্তা কেনার পালা। ইরানের রুটি বানানোর দোকানগুলোতে বিশাল মেশিন থাকে। প্রমাণ সাইজের রুটি বের হয়, দোকানে গুদাম ঘরের মত আটার বস্তা রাখা থাকে, লোকজন লাইন দিয়ে রুটি কেনে। এবারো ছবি তোলা হয় নি রুটির দোকানের, সামনে তুলব ইনশাল্লাহ। সকালের নাস্তার আইটেম হল রুটি, হানি ক্রিম আর চকোলেট দুধ। এছাড়া চিপস এবং বিস্কুট কেনা হল। আমি আবার এই সাত সকালেই একটা চকবার আইসক্রিম মেরে দিলাম !! আগের দিন আপেল, পিচ এবং নাশপাতি কিনে নিয়েছিলাম।
ইরানের লোকজনের কিছু অদ্ভুত অভ্যাস আছে। এরা বাড়ী ছেড়ে তাবু খাটিয়ে পার্কের পাশে ফুটপাতে শুয়ে থাকে। রাস্তার ধারে সবুজ ঘাসে বসে খাওয়া দাওয়া করে। আজ আমরাও সেটাই করলাম, কিছু দূর গিয়ে এক জায়গায় গাড়ী রেখে কোমল সবুজ ঘাসের গালিচায় বসে সবাই মিলে নাশতা সারলাম।
সকালের নাস্তা...
প্রশস্ত মসৃন রাস্তা, দু’পাশে ধু ধু প্রান্তর, দূরে পাথুরে পাহাড়, এই হল ভূ-প্রকৃতি। গাড়ী চলছে ১১০/১২০ কি.মি. প্রতি ঘন্টা গতিতে। রাস্তা এক মূখী, তাই অন্ততঃ মুখোমুখি সংঘর্ষের আশংকা নেই।
হামাদানের পথে...
হামাদান শহর থেকে প্রায় ৭০ কি.মি. উত্তরে আলি সদর গুহা। ঠিক হল প্রথমে গুহা দেখে তবেই হামাদান যাব।
গন্তব্য আলি সদর গুহা...
সকাল ১১ টা নাগাদ আমরা আলি সদর গুহায় পৌছে গেলাম। প্রচুর লোকজন এসেছে। গুহায় প্রবেশ করার টিকেট এর জন্য বিশাল লাইন। আমাদের ড্রাইভার লুতফে বেশ ভাল, সে নিজেই দায়িত্ব নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে গেল। টিকেট জনপ্রতি ১২০,০০০ রিয়েল (৩০০ টাকা)। আমরা এদিক সেদিক ঘুরতে লাগলাম। চমৎকার আবহাওয়া, রৌদ্রোজ্জ্বল দিন সাথে ঠান্ডা বাতাস, ঘোরাঘুরির জন্য একেবারে আদর্শ।
এ পর্যায়ে আলি সদর গুহা নিয়ে কিছু বলি। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় পানি গুহা, এর ভেতরে প্রায় ১১ কি.মি. দীর্ঘ নদী আছে। ১৯৬৭ সালে আলি সদর এবং তার দল এই গুহার মুখ আবিষ্কার এবং প্রশস্ত করেন, যদিও অধিবাসীরা আগে থেকেই ওখানে যেতেন বলে ধারণা। গুহার ভেতরের উচ্চতা ৪০ মিটার পর্যন্ত আছে কোথাও কোথাও। আর আমি দেখেছি পানির গভীরতা ১৬ মিটার পর্যন্ত লেখা আছে এক জায়গায়। পানি একেবারে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। আর ভেতরে বিভিন্ন খনিজ জমে এত সুন্দর ভূ-প্রকৃতি যে বলে বোঝানো যাবে না।গুহার ভেতরে আবহাওয়া খুব সুন্দর, বাতাস খুব পরিচ্ছন্ন। গুহাটি জাগরোস পর্বতমালায় অবস্থিত। আগ্রহীদের জন্য কিছু লিংক দিচ্ছি, পড়ে দেখতে পারেন।
উইকিপিডিয়া
আলি সদর ট্যুরিজম কোম্পনি
ফিরে আসি মূল কাহিনীতে, বেলা একটার দিকে টিকেট পাওয়া গেল। আমাদের গুহাতে প্রবেশ এর সময় দিয়েছে বিকেল ৫:২০! হাতে অনেক সময়। ঠিক করলাম, হামাদান গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে আবার বিকেলে ফিরে আসব। এখানে টুকটাক হোটেল আছে, কিন্তু সুবিধার মনে হল না। যেই কথা সেই কাজ, লুতফে বেশ ভাল একটা হোটেলে নিয়ে গেল। জয়তুন, দুঘ, জুজে, কুবিদে আর ভাত দিয়ে খাওয়াটা ভালই হল। পাঠকের দাবীতে এবার খাবারের ছবি তুলে এনেছি, দেখুন।
জয়তুন, দুঘ, রুটি, কোক...
ভাত, কুবিদে, জুজে...
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রওনা হলাম, লুতফে গাড়ী ঘুরিয়ে শহরের দিকে নিয়ে গেল, এক পার্কের কাছে গিয়ে হঠাৎ গাড়ী দাড় করালো। ওমা, গাড়ীর হিট মিটারের কাটা একেবারে ওপরে ! রেডিয়েটরের পানি ফেলে দিয়ে পানি ঢালাঢালি শুরু হল। শেষ পর্যন্ত জানা গেল, গাড়ীর ইঞ্জিন বসে গিয়েছে, এই গাড়ী দিয়ে আর যাওয়া যাবে না। কি আর করা, পার্কে গিয়ে বসে রইলাম, ইরানিদের কাজ কারবার দেখতে লাগলাম। যেটা আগেও বলেছিলাম, ছুটির দিন হলে এরা সবাই পার্কে চলে আসে পরিবার পরিজন নিয়ে। সেখানে রান্না করে, খায়, ঘাসে শুয়ে ঘুমায়। তাবু খাটিয়ে রাতেও পার্কেই থাকে। দেখি এক থুরথুরে বুড়ী পরিবারের জন্য রান্না করছে।
আলি সদর গুহা দেখার আশা যখন ছেড়ে দিয়েছি, তখন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ড্রাইভার লুতফে আরেকটা মাইক্রোবাস ঠিক করে দিল। চললাম, সেই গাড়ীতে করে। প্রথমেই শহর থেকে বের হওয়ার মুখে যানযট, ড্রাইভার বিকল্প পথে বের হল। এই ড্রাইভার সেই রকম জিনিস, গাড়ীর ড্যাশবোর্ডে এক কেতলি চা। সে একটু পর পর গ্লাসে চা ঢালে আর খায়। এরপর সিগারেট ধরায়। আর সারাক্ষণ মোবাইলে কল করে। মনে মনে বলি, আজব এক চিড়িয়ার পাল্লায় পড়লাম। আমরা সবাই অস্থির, সময়মত যেতে পারা নিয়ে। বলি, দ্রুত চালাও ভাই। বলে, ৮০ কি.মি./ঘন্টা বেগের বেশী গেলে পুলিশ ধরবে। আচ্ছা বাবা, ৮০ কি.মি./ঘন্টাতেই অন্ততঃ চালাও, গাড়ী চালানোর সময় এত তাল করলে হবে কি করে ! কথায় আছে যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যা হয়। হঠাৎ পুলিশ সিগন্যাল দিয়ে গাড়ী থামাল। কি ঘটনা বুঝলাম না, পকেটে পাসপোর্ট আছে বৈধ ভিসা সহ, সিটবেল্ট বাধা আছে, সুতরাং চিন্তা নাই। একটু পরে ড্রাইভার ২০০,০০০ রিয়েলের কেস খেয়ে আসল, ও নাকি গাড়ী ৮০ কি.মি./ঘন্টা এর চেয়ে বেশী বেগে চালিয়েছে ! আমি সামনের সিটে বসে আছি, ও আসলেই ঐ বেগের বেশী চালায় নাই, বরং আমি চাইছিলাম ১০০ কি.মি./ঘন্টাতে চালাক ! আজব পুলিশ !!
আলি সদর গুহাতে যখন পৌছালাম তখন প্রায় বিকেল ৬:৩০। ড্রাইভার নিজেই আমাদের টিকেট নিয়ে গিয়ে সব ব্যবস্থা করল। গুহাতে ঢুকেই সবাই লাইফ জ্যাকেট পড়ে নিলাম। সংগীরা সবাই বউদের নিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত। অবাক হয়ে গুহার ভেতরের ভূ-প্রকৃতি দেখতে দেখতে ঘাটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
লোকজন নৌকায় ওঠার অপেক্ষায়...
দাদী/নানী'র কোলে নাতি/নাতনি... গুহা দেখতে এসেছে এই সোনা বাবু...
সুবহানাল্লাহ ! কি সুন্দর আল্লাহর এই সৃষ্টি! আমাদের পালা এলো, প্যাডেল নৌকায় করে গুহার ভেতরে ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা!
যাত্রা এখান থেকে শুরু...
জায়গায় জায়গায় পানির গভীরতার তথ্য দেয়া আছে, রক ফরমেশনের নাম দেয়া আছে। একটু পর পর কুরআনের আয়াত ঝোলানো আছে যেখানে আল্লাহ তার সৃষ্টি নিয়ে বলছেন। সব মিলিয়ে চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা।
প্রায় আধা ঘন্টা পানিতে ঘুরে এক ঘাটে নামিয়ে দেয়া হল। সেখান থেকে হেটে গুহার অন্যান্য অংশ দেখতে লাগলাম। সত্যিই, আমার কল্পনার চেয়ে বড় এই গুহা, লিখে বোঝানো যাবে না আসলে। মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে আলো আধারিতে ছবি ভাল আসে না, যতদূর পেরেছি তুলতে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
এর পর আরেক ঘাটে এসে প্রায় ২০ মিনিট নৌকা চালিয়ে আমরা বাইরে যাবার ঘাটে আসলাম। আমি আসলেই খুব অবিভূত, এমন গুহা আমি কখনো দেখিনি। আল্লাহু আকবার।
সেরাতে আমরা হামেদান শহরে থাকলাম। লুতফে শহরে আমাদের জন্য দু’টো এপার্টমেন্ট ঠিক করে রেখেছিল। খাবার দাবার ওই এনেদিল। খুব ভাল একটা দিন গেল পরিশেষে। রাতের তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রীর নীচে নেমে যায় হামেদানে আর আবহাওয়া খুব শুষ্ক।
পরদিন সকালে নাশতা করে বেরিয়ে পড়লাম বাবা তাহেরের সমাধির দিকে। হোটেল থেকে খুব কাছে, হেটেই চলে গেলাম। বাবা তাহের ইরানের বিখ্যাত আধ্যাত্বিক সাধক এবং কবি। কবরের পাশে দেয়ালে তার কবিতা পাথরে খোদাই করা। বাবা তাহেরকে বলা হয় Baba Taher-e Oryan (The Naked) সম্ভবতঃ এই কবি সব সময় উলংগ থাকতেন। যাহোক, কিছু ছবি তুলে চলে এলাম।
কবরের উপরের ছাদে কারুকার্য...
বাবা তাহেরের কবিতা, যারা ফারসি জানেন পড়তে পারেন...
এর পর ট্যাক্সি করে সোজা বিখ্যাত ইবনে সিনা’র সমাধিতে পৌছে গেলাম। লুতফে আমাদের সাথে আছে, ওই ট্যাক্সি ঠিক করছে। আমাদের টিকেট কেটে নিয়ে আসছে। ইবনে সিনাকে মনে হয় আপনাদের সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার দরকার নেই। গুনী এই মনীষী ইরানের সন্তান যিনি একাধারে philosophy, astronomy, alchemy, geology, psychology, Islamic theology, logic, mathematics, physics এসব বিষয়ের উপর লিখেছেন। তার বিখ্যাত বই The Book of Healing যা কিনা একটা বিশাল দার্শনিক এবং বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকোষ এবং The Canon of Medicine ছিল মধ্যযুগের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যবই। বলাবাহুল্য, হামাদানে ইবনে সিনা বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এই মনীষীর সমাধির কিছু ছবি দেখুন।
মূল কম্পাউন্ডের প্রবেশ মুখ
ইবনে সিনা...
ইবনে সিনার স্মৃতি বিজড়িত তৈজসপত্র
ইবনে সিনার লেখা বিজ্ঞান গ্রন্থ
এখানেই শুয়ে আছেন ইবনে সিনা...
ঔষধি গাছ
সমাধি থেকে দেখা হামাদান শহর...
হামাদানে আরো কিছু দেখার জায়গা ছিল, কিন্তু আমাদের হাতে সময় তেমন ছিল না। দুপুরে সেই আগের দিনের হোটেলেই খেলাম।
হোটেলের ব্যালকনি থেকে হামাদান শহর...
এদিকে লুতফে আমাদের জন্য বাসের টিকেট কেটে রেখেছ। ওর গাড়ী ঠিক হতে কয়েক দিন লাগবে। বেচারার জন্য দুঃখই হল। মোটামুটি তাড়াহুড়া করে খেয়েই বাস স্ট্যান্ডে রওনা হলাম। দুপুর ২ টায় বাস। আমরা পৌছালাম ২ টার দুয়েক মিনিট আগে। বাস ছাড়ল ঠিক ২ টায়, আরামদায়ক বাস। উঠেই দুপুরের ভাত ঘুম দিলাম। কয়েক ঘন্টা পর ঘুম থেকে উঠে দেখি, তেহরান চলে এসেছি যে! টেরই পেলাম না, রাস্তা এত ভাল ! ঠিক সন্ধ্যা ৬ টায় বাস থেকে নামলাম, আরজান্তিন স্কয়ারে। সেখান থেকে আমার বাসা হাটা পথে ১৫ মিনিট... দারুণ একটা ভ্রমনের পরিসমাপ্তি হল...
আমার যত ভ্রমন ব্লগ...
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৭
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: রুটি খাইতেও ভাল... একবার আইসা টেস্ট কইরা যাইও...
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
মিজানুররহমানসুমন বলেছেন: দোসত, চালিয়ে যাও। ভালো লাগলো।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৯
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ওকে দোস্ত, সাথে থাইকো...
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
মুহিব বলেছেন: আমার কাছের আত্নীয়দের মধ্যে একজন ইরান ছিল। তখন থেকে ইরান আমার কাছে আকর্ষনীয়। আপনি আছেন বলে আসার ইচ্ছা বেড়ে গেল। একটা গাইড পোস্ট দিয়েন সময় করে।
আপনার কতদিন থাকার প্ল্যান ইরানে?
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আসলে ইরানে বেশ কিছু ঐতিহাসিক শহর আছে, বিখ্যাত ব্যক্তিদের সমাধি আছে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও আছে বটে। ঘুরে যেতে পারেন।
ইরানে ভিসার জন্য ইরান থেকে কাউকে ইনভাইটেশন পাঠাতে হয়, সরাসরি ঢাকা থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা দেয় কি না একটু খোজ নিয়ে দেখতে পারেন। সম্ভবতঃ অফিসার কনভিন্স হলেই ভিসা পেয়ে যাবেন। গাইড পোস্ট বলতে আর কি বোঝাচ্ছেন সেটা পরিস্কার নয়।
যদি সত্যি আসতে চান, তবে ইরানে থেকে খুব শীঘ্রই দেশে ফিরছে এমন এক ছোট ভাই এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। ও আপনাকে অনেক ব্যাপারে গাইড করতে পারবে।
আমার হাতে এখন এক বছরের চুক্তি আছে। আল্লাহ যতদিন রাখেন ততদিন থাকব ইনশাল্লাহ।
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৩
জুন বলেছেন: আহ্ জহির এটা কি দাদী নানী এমন দাদী হতে চাই :#>
আমারও জীবনের একটা শখ ছিল ইরান ঘুরা । কবে পুরন হবে জানি না
এই সব ছবি দেখে খুব ভালোলাগলো ।
+
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপু, এমন দাদী হতে হলে ছেলেকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দেন। আর পাঠাইছেন ওতো মার্কা মারা দেশে ছেলেকে পড়তে, একটা বউ সাথে দিলে কিন্তু ছেলেটা নিরাপদই থাকে...
আপনার জন্যতো ইরানে আসা ওয়ান টু এর ব্যাপার, আসার আগে জানাইয়েন আমাকে...
ধন্যবাদ আপু সাথে থাকার জন্য...
৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১১
জুন বলেছেন: ছেলেকে সে দেশের কোন ভালো ফ্যামিলির মেয়ে পছন্দ করার জন্য প্রতিদিন একবার মনে করিয়ে দেই । ছেলের উত্তর 'আম্মু আমি এদেশে পড়তে এসেছি প্রেম বা বিয়ে করতে নয় '।
এমন হাবলা ছেলে আমি জন্মেও দেখিনি জহির। আরে বাবা পড়াশোনাতো আছেই সারাজীবন।আমি বাপু মেয়ে খুজে টুজে বিয়ে দেয়া এসব হাঙ্গামা করতে পারবোনা পরিস্কার বলে দিয়েছি। তাতে ছেলের বাবা বলেছে ইভেন্ট ম্যানেজম্যন্টের হাতে সব দায়িত্ব দেবে। তারপর ও আমার শর্ত আমি বঙ্গভবনের বাসিন্দাদের মত দাঁড়িয়ে থাকবো কিচ্ছু করতে পারবোনা লোকজন আমার সামনে লাইন দিয়ে হেটে হেটে শুভেচ্ছা জানিয়ে যাবে আমাকে
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপু, আপনারতো একেবারে সোনার ছেলে। ওকে এ দেশে এনে বিয়ে করিয়ে বউসহ আবার পাঠিয়ে দিন !
তা না হলে আপনার অল্প বয়সে দাদী হওয়ার বাসনা অপূর্ণ থেকে যাবে...
৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট। আপনার ২টা দ্বায়িত্ব
দ্বায়িত্ব নং ১ : এর পরের বার রুটির মেশিনের ছবি তুলবেন
দ্বায়িত্ব নং ২ : দেশের ফেরার পথে এত্তগুলা রুটি আনবেন আমাদের জন্যে
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: এক নম্বর দায়িত্ব সুচারু রুপে পালন করার চেষ্টা করা হবে। এখানে কয়েক রকম রুটি তৈরী হয়, রুটি এবং রুটির মেশিনের ছবি তোলার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার কথার মত বস্তা ভরে দেশে রুটি নিয়ে ফিরতে গেলে ইরান এয়ারপোর্টের লোকজন ভাববে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ লেগেছে আর আমি রিলিফ নিয়ে যাচ্ছি ! বিদেশে মাটিতে এই ভাবে দেশের ইজ্জত নষ্ট করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়... :p :p
৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দুর্দান্ত ও অদ্ভুত সুন্দর একটি পোস্ট ++++++++++++++++++++++++ রইল।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী ভাই...
৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৮
তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: আমার শৈশবের বেশ কিছুটা সময় ইরানে কেটেছে; লোরেস্তান প্রদেশে। তবে ইরানের অনেক জায়গায় ঘুরেছি, হামাদানেও গিয়েছি খুব সম্ভবত দুই বার। তাও আজ থেকে ২২/২৩ বছর আগে। এখনো প্রচন্ড টান অনুভব করি দেশটার জন্য। বাংলা ভাল ভাবে শেখার আগে ফার্সি শেখা হয়ে গিয়েছিল। আর এত বছর আগের পরিচিত মানুষরা এখনো আপন আত্মীয় স্বজনের মতোই মনে রেখেছে আমাদের পরিবারকে। আপনার লেখা পড়তে পড়তে যেন সেই সুদূর অতীতে ফিরে গিয়েছিলাম। অসম্ভব ভাল লাগল।
ইরানে এখন বাংলাদেশি কেমন আছে? আমার বাবা মা ডাক্তার ছিলেন। সে সময় প্রচুর বাংলাদেশি ডাক্তার ছিল ইরানে। ৯০ এর দশক জুড়ে ইরান ডাক্তারে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার পর থেকে বাংলাদেশি ডাক্তাররা ফিরে আসা শুরু করে। এখন ওখানে বাংলাদেশিরা মূলত কি করে?
ইরান সম্পর্কে অনেকবার লিখব ভেবেও লেখে হয়না; কারণ সেটা শেষ করতে অনেক সময় লাগবে। কত স্মৃতি আছে বলে শেষ করা যাবেনা। ইরান ইরাক যুদ্ধের সময় আমরা ওখানে ছিলাম। আমাদের বাসা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ইরাকি বোমার আঘাতে; অনেকটা আমার চোখের সামনেই। বেশিরভাগ ডাক্তার সেসময় পালিয়ে গেলেও আমার বাবা মানবতার সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। পলাতক ডাক্তাররা যুদ্ধের পর ফিরে এসে নানা সুযোগসুবিধা আদায়ের চেষ্টা করে সরকারের কাছ থেকে। আমার বাবা কখনো সেসবের পেছনে ছোটেননি; বরং সরকারের পক্ষ থেকে অনেকটা যেচে পরেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। সেটা কখনো কোন কাজে ব্যবহৃত হয়নি যদিও।
আপনার চোখে ফেলে আসা ইরানকে নতুন করে দেখার প্রত্যাশা থাকল।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: খুব ভাল লাগল ভাই আপনার কথাগুলো জেনে। সময় করে আবারো ইরান ঘুরে যান...
দূতাবাসের ভাইদের কাছ থেকে যদ্দূর শুনেছি, এখানে বাংলাদেশী কমিউনিটি একেবারেই ছোট। আমরা কয়েকজন আছি টেলিকম সেক্টরে। তাও আবদুল্লাহ চলে যাচ্ছে এ মাসেই চিরতরে। রুপম অস্থায়ী, ও আজকে চলে যাচ্ছে। জানি না আর আসবে কি না। রয়ে গেলাম আমি আর আমার বন্ধু হামিদ। রেডিও তেহরানে ১০/১২ জন বাংলাদেশী আছেন, পরিবারসহ, অনেক দিন। দু'চার জন বাংলাদেশী ডাক্তার আছেন ইরানে, ডঃ ইকবাল এর সাথে পরিচয় হয়েছে, তিনি ইরানি বিয়ে করে এখানেই আছেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের অনেক কর্মচারী দেখলাম ইরানে বিয়ে করে বসবাস করছে। এছাড়া UNDP এর এক ভাই, শিপিং ব্যবসায়ী এক ভাই এর সাথে দেখা হয়েছে। অর্থনৈতিক অবরোধের কারণে শিপিং কোম্পানীগুলো ব্যবসা গুটিয়ে চলে গেছে। আর সম্ভবতঃ বেশ অনেক অবৈধ বাংলাদেশী আছে যারা ছোট খাট কাজ করে।
সব মিলিয়ে ইরানের বাংলাদেশী কমিউনিটি খুবই ছোট। দোয়া করবেন, যুদ্ধ যেন এই দেশে আবার ফিরে না আসে...
৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
জুন বলেছেন: ছেলের এখনো বিয়ের বয়স হয়নি জহির ।
দুক্ষ ইয়াং দাদী হইতে পার্লাম্না
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনার ছেলের বয়স এখনো ২১ হয় নি?? আহারে, দুঃখ...
১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
নীল-দর্পণ বলেছেন: অ্যাঅ্যা....আমার কি তবে ঐ রুটি খাওয়ার খায়েশ নিয়েই কবরে যেতে হবেএএএ
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দেখি, আপনার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় কিছু রুটি নিয়ে যাওয়া যায় কি না...
১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
ম্যাকানিক বলেছেন: ভাই রুটির মেশিন আর দাদী নিয়া ডাউট দিয়া ফেলছে উপ্রে দুইজন।
আমি আরেকটা বিষয় জাইনবার চাই।
অবশ্যই আপনার ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা এবং অন্যের প্রাইভেসি রক্ষা কইরা।
সেইটা হইলো
ইরানী শিয়া দের নামাজের সময় এটেনশন হইয়া সামনে পাথথর ফালায়া নামাজ পড়ার রহস্য কি?
আপ্নারে আগেই বইলা দেই তারা এই ব্যাপারটায় ব্যাপক সেনসেটিভ কেউই আমারে সঠিকভাবে কিছু বলতে চায় না উলটা এমনভাবে তাকায় যেনো কি উলটা পালটা কথা কইতাছি।
আর অস্ট্রেলিয়া আসা ইংরেজী জানা ইরানী শিয়া পোলাপাইন দেখলাম ইসলাম থেইকা দূরে থাকাটাই একটা ভাব।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আমার দু'জন সহকর্মীকে জিজ্ঞেস করলাম। ওদের মতে সিজদা করতে হবে পবিত্র মাটিতে, কারাবালার মাটি হলে সবচেয়ে ভাল হয়। এছাড়া বিভিন্ন ইমামের মাজার এলাকার মাটি দিয়ে তৈরী করা যেতে পারে।
ইন্টারনেটে ঘেটে দেখলাম, সিয়া আলেমদের মতে সিজদা করতে হবে শুধু যমিনে, মানে মাটি বা পাথরে। কাপড়ে নয় যেটা পরিধান করা যায়। এ প্রসংগে তারা কুরআনের একটি আয়াত এবং একটি হাদিসের রেফারেন্স ব্যবহার করে থাকেন।
The Holy Qur’an states:
﴾ وَٱلأرْضِ ٱلسَّمَٰوَٰتِ فِي مَن يَسْجُدُ وَللهِ ﴿
“To Allah prostrates whoever there is in the heavens and the earth.”[170]
Also, the Holy Prophet (S) says:
”جُعِلَتْ لِيَ الأَرْضُ مَسْجِداً وَ طَهُوْراً.“
“The (pure) earth has been made for me as a place of prostration and an agent of purification.”
তাই, শিয়াদের মতে শুধু মাত্র যমিন বা যমিনের মাটি থেকে উৎপন্ন কিছুর ওপরই সিজদা করতে হবে, কাপড়ের জায়নামায, গাছ-পাতা এসবের ওপর নয়।
আর আগেও একবার বলেছিলাম, ইসলামিক শব্দটা শুধু এ দেশের নামেই বর্তমান। শহুরে জনগণের মাঝে ইসলামের বেসিক ধারণাই নাই। অন্ততঃ তেহরানে যা দেখি, কালে ভদ্রে দু'একজন নামাজ পড়ে, রোযা রাখে। নামায/রোজা না করাটাই যেন স্বাভাবিক। রমযান মাসে আপনি মোটেই বুঝবেন না এটা রমযান মাস !! ঈদের দিন বুঝবেন না যে এ দেশে ঈদ ! লম্বা দাড়ি রাখা এ দেশে একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার, যেন একটা অন্যায়, অন্যভাবে তাকাবে আপনার দিকে !! সরকারি আইনের কারণে মেয়েরা মাথায় কাপড় রাখে, কিন্তু এ জন্য সরকারের উপর এরা খুব ক্ষিপ্ত। খোলামেলা চলতে পারে না, তাই আটোসাটো পোশাক পড়ে মনের ঝাল মেটায়। আর ইরানের মেয়েরা যে পরিমাণ খরচ লিপস্টিক, নেইল পলিশ আর মেক আপের পেছনে ব্যয় করে, আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের বাজেটের একটা বিরাট অংশ হবে সেটা ! আমাদের মেয়েরা বিয়ে শাদীতে গেলে যে লেভেল এর মেক আপ নেয়, এ দেশের মেয়ে থেকে শুরু করে বুড়ীরাও সেরকম মেকআপ নিয়ে প্রত্যহ চলাফেরা করে !
এক কথায় বলতে গেলে, এ দেশের সরকার এবং আ'লেম সমাজ তাদের দায়িত্ব ঠিকমত পালন করেন নি বলেই আমার মনে হয়। এদের কারণে সাধারণ জনগণ ইসলাম সম্পর্কে খুব বিরুপ ধারণা পোষন করে।
১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭
অ্যানোনিমাস বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ওয়া ইয়াকুম।
১৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩
বেলা শেষে বলেছেন: হামাদানের পথে... (আলি সদর গুহা, ইবনে সিনার সমাধি)
Assalamualikum, good post , good writing, good qualitty good Information, good picturing, good decoration...
Respect all of you.....
Up to next time...
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র, আপনার অনেক বেশী অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য...
১৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৫
আমি পাঞ্জেরী বলেছেন: ভাই ইরানি শিয়াদের বেপারে যখন কথা বললেন তাইলে একটু বলি, অদের সাথে অন্য( খ্রিস্টান,ইয়াহুদি) দের সাথে কোন পার্থক্য নেই। ওরা ইস্লামের নামে ইসলাম কে এতো বিকৃত করছে ।
আর তওহিদের (একত্তবাদ) বেপারে অদের বিশ্বাস ই নেই তাই ওলিতে গলিতে অদের মাজার আর মাজার।
যেমন বাংলাদেশের চট্রগ্রামের অবস্থা।
ইস্লামের বেপার গুলো পুরাই ধারনাপ্রসুত।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম...
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
শ।মসীর বলেছেন: খানাপিনা দেখতে, বিশেষ করে রুটি টা জোশ লাগতেছে...।