নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...
আজকে মেইলে এক বন্ধুর কাছ থেকে "তারার আকাশ" নিকধারী কোন এক মুসলিম বোনের একটা সুন্দর লেখা পেলাম। পাঠকদের সাথে শেয়ার করছি।
--------------------------------------------------------------------------------------
বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
ঘটনা ১। আমার আপুর (কাজিন) পাশের ফ্লাটের ঘটনা। ভদ্রলোক আর্মি অফিসার আর উনার ওয়াইফ ডাক্তার। সকাল হলে দু;জনেই যার যার কাজে বেরিয়ে পড়েন। আপুর রান্নাঘর থেক উনাদের রান্নাঘর দেখা যায়। কোলের বাচ্চাকে বুয়ার কাছে রেখে উনারা চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই বাচ্চাটা প্রচন্ড কাঁদতে থাকে। এটা প্রতিদিনের ঘটনা। একদিন বাচ্চাটা খুব কাঁদছিল। আপু রান্না ঘরে গিয়ে দেখে ওই বাসার রান্নাঘরের হাউজের মধ্যে বাচ্চাটাকে রেখে বুয়া ট্যাপ ছেড়ে দিয়েছে। আর বাচ্চাটা কাঁদছে। আপু, তাড়াতাড়ি করে বাসায় গিয়ে কলিংবেল দেয়। অনেক্ষণ পর বুয়া দরজা খোলে, কোলে বাচ্চা। সারা গা ভেজা। আপু, এসব ঘটনা বাচ্চার মাকে জানানোর পর উনি কি বলেছিলেন জানেন? “থাক ভাবী, এসব শুনবনা, এসব কথা আমলে নিলে কি আর চাকরী করতে পারব !”
ঘটনা ২। এক মহিলার স্বামী বিরাট ধনী। বিশাল এরিয়ার উপর বাড়ি। তারপরও বউ শখের বসে চাকরী করে, আড়াই বছরের বাচ্চাটা থাকে কাজের মেয়ের কাছে। একদিন বাচ্চাটা খেলছে, আর কাজের মেয়ে এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে। ঘুম থেকে উঠে দেখে বাচ্চা নাই। সারা বাড়ি, আত্নীয় স্বজন প্রতিবেশিদের কাছে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাকে পাওয়া গেল না। পরে বাথরুমের দরজার কাছে দেখা গেল একটা স্যান্ডেল। আর বাচ্চাটা বালতির মধ্যে উপুড় হয়ে পড়ে আছে। পানি ভরা বালতি উপুর হয়ে দেখতে গেছে, উলটে পড়ে গেছে, আর উঠতে পারেনি।
ঘটনা ৩। মা পি এইচ ডি করতে যাচ্ছে, এয়ারপোর্টে সি অফ করতে গিয়ে তিন বছরের বাচ্চা মেয়েটা চিতকার করে কাঁদছে। আমাকে ছেড়ে যেওনা মা, আমাকে ছেড়ে যেওনা। কিন্তু পি এইচ ডর হাতছানি, সন্তানের মাকে আঁকড়ে ধরে রাখার আকুতি থেকে বড়ো ছিল, মা পি এইচ ডি ডিগ্রি নিতে বিদেশে চলে গেলেন।
ঘটনা ৪। মা অনেক বড় একটা প্রতিষ্ঠানের একটা উইং এর ডিরেক্টর। ছেলে থাকে দাদীর কাছে। মা বেশির ভাগ সময়ই শহরের বাইরে থাকেন। ছেলে এখন ক্লাস থ্রি কিংবা ফোরে পড়ে। কিন্তু দাদীকে মা বলে ডাকে। আর মায়ের থাকা না থাকা তার কাছে কোন গুরুত্বুই বহন করে না।
ঘটনা ৫। মেয়ের বয়স যখন ৩ মা মেয়েকে নানীর বাড়ী রেখে মাস্টার্স কমপ্লিট করার জন্য অন্য এক শহরে যায়। যদিও প্রতি সপ্তাহ শেষে চলে আসত। মেয়ের আদর যত্নে কোন ত্রুটি হয় নি। কিন্তু মেয়েটা মায়ের সেই না থাকাটা বড় হয়েও ভলেনি। ২২ বছর পর হঠাত একদিন মেয়ে মাকে জিজ্ঞেস করে, আম্মু, তুমি আমাকে ছেড়ে পড়তে গিয়েছিলে কেন। মায়ের সরল জবাব, ওমা! না গেলে পড়ালেখা কমপ্লিট করতাম কিভাবে? মেয়ে সমস্ত ক্ষোভ চেপে রেখে ছোট করে জবাব দেয়, “তাহলে পড়াশোনা শেষ করার আগে বাচ্চা নিয়েছিলে কেন। একেবারে মাস্টার্স কমপ্লিট করেই সন্তান নেবার কথা ভাবতে।”
যে সকল মুসলিমাহরা (মায়েরা) চাকরী করেও সংসার সামলাতে পারেন বলে দাবী করেন, বাচ্চা সামলাতে পারেন তাদের অনেকের ক্ষেত্রেই একটা ব্যপারে কিন্তু খুবই অবাক লাগে এবং বিচিত্রও লাগে, তারা নিজেদের চাকরী করাটাকে জাস্টিফাই করার জন্য ফুল টাইম হাউস ওয়াইফদের সমালোচনা করে থাকেন। যেমন, আমি চাকরী করেও বাচ্চাকে ‘কোয়ালিটি’ সময় দেই। আর হাউজ ওয়াইফরা সারাদিন বাচ্চার সাথে থেকেও বাচ্চাকে সেই ‘‘কোয়ালিটি’’ টাইম দিতে পারে না, বাচ্চার সাথে ঘ্যান ঘ্যান করে ইত্যাদি ইত্যাদি। আর আমি দিন শেষে এত এত ঘন্টা অফিসে থেকেও বাচ্চাকে সময় দেই, বাচ্চার সাথে খেলি, ওকে ঘুম পাড়াই।
এই ‘কোয়ালিটি’ টাইম বলতে আপনি কি বঝাতে চাচ্ছেন আসলে? সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আপনার দুধের সন্তানটা যে আপনাকে মিস করছে, সেই মিস করাটা আপনি কি কি দিয়ে পুষিয়ে দিতে পারবেন? আপনার বাচ্চাটা পড়ে গিয়ে ব্যথা পেল, মায়ের বুকে যাবার জন্য চিৎকার করে কাঁদতে থাকে, একটু দুধ খাবে-জ্বি না, ফিডার থেকে না, আপনার কাছে থেকে, আপনার মমতা, মায়ের বুকের নিরাপদ আশ্রয়, এই শূন্যতা আপনি কোন ‘‘কোয়ালিটি’ টাইম’ দিয়ে পূরণ করবেন? বাচ্চার দাদী, নানী, বাবা এরা যখন মায়ের দায়িত্ব পালন করে, আপনার সন্তানের কাছে থেকে মায়ের জন্য প্রাপ্য ভালোবাসার শেয়ার যখন তারা নিয়ে নেয় কোন ‘কোয়ালিটি’ সময় দিয়ে সেটা আপনি ফেরত নেবেন?
কোন কোন মা বাধ্য হয়েই চাকরী করেন। অনেক সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু নিজের চাকরী করার পেছনে ওই সমস্যাগুলোকেই হাইলাইট করা উচিত। যেমনঃ আমার হাসবেডের প্রেসারে আমি চাকরী করতে বাধ্য হয়েছি অথবা আমার স্বামী আমাদের খরচ দেয় না, বাধ্য হয়েই আমাকে কাজ করে টাকা আনতে হয়।
কিন্তু এসব না বলে আগ বাড়িয়ে হাউজ ওয়াইফদের সমালোচনা কেন? আবার এমন অনেকেই আছেন যারা মা, মেয়ে, স্ত্রী হয়ে সন্তুষ্ট না, এই পরিচয় তাদের জন্য যথেষ্ঠ না, তারা “কিছু” করতে চায়, ‘নিজের পায়ে দাঁড়াতে’ চায়, স্বামীর মুখাপেক্ষি(?) হয়ে থাকতে চায় না, নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে তাদের বাড়ির বাইরে বের হতেই হবে, একটা চাকরী করতেই হবে। পরিচয় সংকট ঘুচানো?
আমি একজন ‘মা’- এটা আবার কোন পরিচয় হল?
সত্যি এটা কোন পরিচয় নয়, যখন আপনি –কোমর থেকে খুলে আসা জিন্স প্যান্ট পরা সন্তানদের মা হবেন, কিন্তু আপনি যদি ইমাম বুখারীর মা হতেন, নিশ্চয় সেই পরিচয়ে আপনি খুশী হতেন- বলতেন- আমি উম্মে ঈমাম বুখারী।
ইসলামকে জীবন বিধান হিসেবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের জন্য মনোনীত করার মাধ্যমে অনুগ্রহ করেছেন। আমরা কি কখনো সেটা অনুভব করি? প্রতিটি বিষয়কে আল্লাহ পরিমিতরূপে সৃষ্টি করেছেন, এবং তাঁর প্রতিটি সৃষ্টির জন্য অবস্থানের যথাযথ ক্ষেত্রও তিনি সৃষ্টি করেছেন। আসমান ও যমীনের সবকিছু কি নিপুণ ভারসাম্যের উপর নির্মিত! যত ভারসাম্যহীন আচরণ করে চলেছে এই কিছু মানুষেরাই। মানুষ আজকে পাখির মত উড়তে শিখেছে, মাছের মত সাগরের তলদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু যমীনের উপর মানুষের মত হেঁটে বেড়াতে ভুলে গেছে।
একটা বিষয় খেয়াল করেছেন? আজকাল কর্মজীবী মায়েরা বাইরে কাজ করাকে কোন ঝামেলা বলে মনে করছে না, বরং বাড়িতে থেকে সন্তান পরিবার দেখাশোনাকেই তুচ্ছ, ছোট কাজ, নিচু কাজ বলে মনে করছেন- ওটা শুধু তারাই করবে, যাদের ‘কোন উপায় নেই’ , আমার এত ডিগ্রী! আমি কেন বাড়িতে থাকব! বা আমি বাড়িতে থাকতে চাই না বলেই এত পড়ালেখা করলাম, এখন রান্নাঘরে জীবন কাটাব?
আর হ্যাঁ , সেই সাথে গৃহিনীদের সমালোচনাও করতেই হবে, সুবহান আল্লাহ। কি আশ্চর্য ব্যপার! আল্লাহ আমাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবদ্দশায়ও উনার পিছে নামাজ পড়ার থেকে বাড়ীর সবথেকে ভেতরের ঘরে নামাজ পড়ায় মহিলাদের জন্য বেশি নেকীর কথা উল্লেখ করে গেলেন, মহিলাদের উপর কোন অর্থনৈতিক দায়িত্বও আমাদের রব্ব চাপিয়ে দেন নি, মাহরামের বাড়ীর মধ্যেই যাকে রাণী হয়ে থাকার মর্যাদা দিলেন সে কিনা মাঠে ময়দানে অফিসে কাজ করে রাণী থেকে চাকরাণী হতে চায়! যে পরিস্থিতির চাপে বাধ্য সে ত অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও যায়, কিন্তু যে শুধুমাত্র “আমাকে কিছু করে দেখাতে হবে” কিংবা “একটা ক্যারিয়ার গড়তে হবে” টাইপ মানসিকতা নিয়ে বাড়ীর সুরক্ষিত পরিবেশ থেকে বাইরের অরক্ষিত পরিবেশে পা বাড়ায় তার কথা আর কি বলব! সুবহান আল্লাহ!
আমরা একজন মা কিংবা স্ত্রী হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চাই না। আমরা আছিয়া, মারিয়াম,খাদিজাহ, ফাতিমাহ হতে চাই না।
প্রশ্ন জাগতে পারে, মা হওয়া-স্ত্রী হওয়া- কন্যা হওয়া- এগুলো আবার কি ধরণের কথা? এইটা কি কোন ক্যারিয়ার হল?
এটা আমাকে ক্যারি করে কতদুর নিয়ে যাবে? উত্তরে যদি বলি, জান্নাত !
আসুন চারজন জান্নাতী নারীর কথা জেনে নেই, তাদের কি ক্যারিয়ার ছিল দেখি,
“জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেছেন: জান্নাতি নারীদের সরদার মারিয়াম বিনতে ইমরান এর পরে ফাতেমা, খাদিজা ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া। [তাবরানী, আল্লামা আলবানীর সিলসিলাতুল আহাদিস আস-সহীহা, হাদিস: ১৪৩২]
আমরা মায়েরা, আজকে বাইরে কাজ করার জন্য অস্থির ! হ্যাঁ চাকরী করার জন্য এক্সকিউজ হিসেবে খাদিজাহ যে ব্যবসা করেছিলেন সেটা ঠিকই মনে রাখি। কিন্তু এটা ভুলে যাই যে উনি ব্যবসায় লোক লাগিয়েছিলেন, নিজে থেকে বাড়ীর বাইরে গিয়ে বানিজ্য করেন নি।
এমন একজন মহিলা উনি ছিলেন যার কাজের লোকের যোগান থাকা স্বত্ত্বের নিজ হাতে স্বামীর খাবার তৈরি ও পরিবেশন করতেন। আছিয়া কি ছিলেন? অনেক বড় আলেম? বড় ব্যবসায়ী? মারিয়াম? উনার এমন কি ছিল যার জন্য সৃষ্টিজগতের সকল নারীর উপর তাঁকে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হল? –একজন মা ছিলেন, শ্রেফ একজন স্বতী সাদ্ধি মা, ব্যাস।
ফাতিমাহ? বাড়ির কাজ করতে করতে হাতে ফোসা পড়ে গিয়েছিল? বাবার কাছে কাজে সাহায্য করার মানুষ চেয়েও পাননি। একান্ত প্রয়োজন না হলে বাড়ীর বাইরে বের হতেন না। সংসারে ছিল সীমাহীন অভাব অনটন। আমাদের মধ্যে যারা সংসারে স্বচ্ছলতা আনার জন্য চাকরী করতে হবে বলে অযুহাত দেখাই তারা একবার চিন্তা করে দেখেন তো, ফাতিমাহর সংসারের থেকেও বেশি অভাব আপনার সংসারে আছে নাকি। তো, অভাব অনটনের এই সংসারে দিনরাত খাটুনি করা এই মানুষটা কি গুণে জান্নাতের রমনীদের সর্দারনী হবেন? কি কারণে? কেন মুজাহিদা নুসাইবাহ নিবতে কা’বের থেকেও তাঁর মর্যাদা বেশি? তিনি একজন ভাল স্ত্রী ছিলেন, একজন ভাল মা, একজন ভাল গৃহিনী।
আমরা এমন একটা জেনারেশন তৈরি করেছি যাদের বেশিরভাগ মা-ই চাকুরী করেন। আর সবথেকে বেস্ট জেনারেশন যারা ছিলেন নিজ গৃহই ছিল সে সকল মায়েদের সবকিছু। আমরা কেন যেন, নারী হিসেবে বেস্ট জেনারেশনকে ফলো করতে চাই না।
আমরা এমন এক জেনারেশন গড়ে তুলছি যারা ঝাড়ু দেয়া, ঘর মোছা, কাপড় ধোয়া, রান্না করা, সেলাই করাকে ছোট চোখে দেখি। অথচ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের জুতা নিজেই সেলাই করেছেন। এমন একটা জেনারেশন যেই জেনারেশনের মায়েরা বাচ্চার জামার বোতাম পর্যন্ত সেলাই করে লাগাতে পারেনা। যেই জেনারেশন নিজ স্বামী সন্তানের আবদারগুলো অফুরন্ত নেকীর বিনিময়ে পুরণ করার চেয়ে অফিসে গিয়ে একটা নির্দিষ্ট মাসিক ইনকামের বিনিময়ে বাইরের মানুষের ফরমায়েশ খাটাকে অধিক সম্মানের চোখে দেখেন।
যেই মা সারাদিন সকালে উঠে বাবার নাস্তা তৈরি, বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানো, কোলের বাচ্চার একটু পর পর দুধ খাওয়ানো, দিনের মধ্যে কত শত বার বাচ্চার হাগু-হিসু-বমি পরিস্কার করা, এরপর আবার দুপুরের খাবার তৈরি, কাপড় ধোয়া, আবার বাচ্চা কানতে শুরু করলেই চুলা অফ করে দৌড় দিয়ে তাকে শান্ত করা, গোসল করানো, নামাযের সময়ের ঠিক আগেই যখন বাচ্চা হাগু বা হিসু করে দেয়, সেই আবার গা পরিস্কার করা, বাচ্চাকে পরিস্কার করা, নিজের আর বাচ্চার কাপড় বদলানো...সারাদিন শেষে ক্লান্ত যে মা ঠিকমত ঘুমাতেও পারে না...।।আরও আরও কত কি! ...এই মা আর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসে কম্পিউটারের সামনে বসে এসি রুমে বসে কাজ করা মা কি সমান হতে পারে?
না পারে না। দু’জনের মর্যাদা কখনও সমান হতে পারে না।
আমার কাছে বাড়ীর বাইরে গিয়ে অনেক বড় কোন কোম্পানীতে উচ্চপদে চাকরী করার থেকে দিনে কয়েকবার বাবুর হাগু পরিস্কার করা অনেক বেশি সম্মানজনক। এইটাই আমার ‘কোয়ালিটি’ টাইম।
জেনে রাখুন, আপনার সন্তান যখন কেবল মা-কেই খোঁজে, তখন বাবা, নানা-নানী, দাদা-দাদী কিংবা খালার কোল সেই অভাব পূরণ করতে পারে না। সারাদিন ছোট শিশুটাকে মায়ের সঙ্গ থেকে দূরে রাখার পর আপনার কোন ‘কোয়ালিটি’ টাইম সেই অভাবটা পূরণ করতে পারবে না।
আজকে কোলের সন্তানকে দিনের শেষ সময়টুকু বরাদ্দ করে যে ‘কোয়ালিটি’ সময় দেয়ার কথা আপনি বলছেন কাল আপনার সন্তানও আপনাকে ওল্ড হোমে ব্যপক সুযোগ সুবিধার মধ্যে রেখে সপ্তাহে একবার ‘কোয়ালিটি’ টাইম দেবে, এরপর সেও লিখবে, আমি আমার বাপ মাকে ‘কোয়ালিটি’ সময় দেই। যারা বাপ মায়ের সাথে এক বাসায় থাকে তারা তো এই ‘কোয়ালিটি’ টাইম দিতে পারে না, ঠিকমত খেদমতও করতে পারে না। আমি ঠিকই সবথেকে ভাল ফ্যাসিলিটির ওল্ড হোমে তাদেরকে রেখেছি,সার্বক্ষণিক ডাক্তার আছে সেখানে। এটা আছে সেটা আছে।আর প্রতি উইকেন্ডে উনাদের সাথে দেখা করতে যাই, অনেক মজা করি, দেখভাল করি, খোঁজ খবর নেই এবং হ্যাঁ ,খুবই ‘কোয়ালিটি’ সময় কাটাই।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম, ইসলামি এবং শরীয়াসম্মত বিধান মেনে এবং পরিবারে একজন মায়ের ভূমিকাকে মাথায় রেখে অবশ্যই মহিলা ডাক্তারদের ক্যারিয়ার প্ল্যান সেভাবে করা সম্ভব।
এখানে মূলতঃ মানুষের খেদমতের ব্যাপারটাই মূখ্য হবে।
যাহোক, দু'মিনিটের চিন্তায় সেটা বুঝতে পারবেন না। বুঝতে হলে আপনাকে প্রথমে ইসলাম বুঝতে হবে। আমাদের সমস্যা হল, কিছু না জেনে বুঝেই সমালোচনা করতে লেগে যাই।
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
রাজীব বলেছেন: মেয়েদেরকে পড়ানোর জন্য মহিলা শিক্ষিকা চাইবেন।
মেয়েদের চিকিৎসার জন্য মহিল ডাক্তার চাইবেন।
কিন্তু মেয়েদেরকে যদি ঘরের বাইরে বের হতে না দেন, চাকরী করতে না দেন তাহলে শিক্ষিকা, মহিলা ডাক্তার কি করে হবে???
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: একজন মায়ের ভূমিকাকে যদি মাথায় রাখেন, তবে মেয়েদের ক্যারিয়ার, কর্ম ঘন্টা সম্পূর্ণ অন্য রকম হবে।
সেটা নিয়ে কোন দিন ভেবেছেন?
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: এয়ারপোর্টে সি অফ করতে গিয়ে তিন বছরের বাচ্চা মেয়েটা চিতকার করে কাঁদছে। আমাকে ছেড়ে যেওনা মা, আমাকে ছেড়ে যেওনা। কিন্তু পি এইচ ডর হাতছানি, সন্তানের মাকে আঁকড়ে ধরে রাখার আকুতি থেকে বড়ো ছিল ।
শিশুর জন্য ভালবাসা - এটা শুধু গান গাওয়ার জন্যই, ক্যারিয়ারে উন্ণতি করতে হলে এসব গান গাইতে হবে, শিশুকে গুরুত্ব ডেওয়া যাবে না । কারণ ধিন তাকা ধিন তাকা ধিন তাকা, দুনিয়াতে চাই শুধু টাকা টাকা .. লাটারীর গান শুনেন না ? পি এইহ ডির সুযোগ তো লটারীর থেকেও বড়, সেটা বুঝেন ?
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম... এই টাকার কামাই এর ধান্দায় উন্নত বিশ্ব আজ ঋণাত্বক জন্মহারের দিকে যাচ্ছে, সময় গেলেই সবাই বুঝবে সত্যটা...
৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৮
ভ্রমন কারী বলেছেন: ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র।
৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
ইলুসন বলেছেন: মেয়েদের কাজ করা নিষেধ না। তবে নিজের বাচ্চা আর কাজ দুইটার মাঝে যে কোন একটাকে নিতে হলে অবশ্যই বাচ্চাটাকেই নেয়া উচিত। এমন কোন কাজ নেয়া উচিত নয় যেটা করতে গেলে তার বাচ্চার অযত্ন হয়। ক্যারিয়ার ক্যারিয়ার করে যদি কেউ বাচ্চাকে অবহেলা করে তাহলে শেষ বয়সের বাচ্চারও উচিত তাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসা।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম, কিন্তু বাস্তবতাটা আমরা বুঝতে চাচ্ছি না অনেকেই...
৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
রাজীব বলেছেন: ইসলামে কোথাও মেয়েদেরকে কাজ করতে নিষেধ করে নি। শিক্ষকতা করা, চিকিৎসা করা, ইত্যাদি কাজ শুধু চাকরী নয়, সমাজ সেবাও বটে।
আরা বাচ্চা-কাচ্চা সামলানোর জন্য ঘরে একটি বউ থাকলেই হয়। বাকীরা চাকরী করলে দোষ কোথায়??
০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ইসলাম কি মেয়েদের এভাবে কাজ করতে বলেছে, যেভাবে বর্তমান সমাজে মেয়েরা করছে??
আরা বাচ্চা-কাচ্চা সামলানোর জন্য ঘরে একটি বউ থাকলেই হয়। বাকীরা চাকরী করলে দোষ কোথায়??
আপনি কি ঘরে একাধিক বউ রাখার প্রস্তাব দিচ্ছেন? যে এক বউ বাচ্চা-কাচ্চা সামলাবে আর বাকি বউগুলো চাকরি করবে??
৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১
রাজীব বলেছেন: অনেক ইসলাম ইসলাম করলেন, এইবার কন ইসলাম কোথায় একাধিক বউ রাখতে নিষেধ করেছে??
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ইসলাম একাধিক বউ রাখতে নিষের করে নাই, তবে সেইটা করার জন্য পুরুষের কি যোগ্যতা থাকতে হবে সেইটা জানতে কোরানের সংস্লিষ্ট আয়াত এবং তার তাফসীর পড়ে নিয়েন।
৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
অপরিপক্ক বলেছেন: কিন্তু আপনি যদি ইমাম বুখারীর মা হতেন, নিশ্চয় সেই পরিচয়ে আপনি খুশী হতেন- বলতেন- আমি উম্মে ঈমাম বুখারী
দারুন। আলহামদুলিল্লাহ
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ !
৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
অপরিপক্ক বলেছেন: মারা এখন নিজের ঘরের ছেড়া বালিস শিলাই করলে ভাবে, ছিহঃ আমি এইসব ছোট কাজ করতে পারব না। আমি চাকরী করি।
কি চাকরী করেন?
গার্মেন্টসে কাজ করি।
কি কাজ?
জামা সেলাই করি।
আফসোস। কাজ একই। নিজের ঘরের জন্য করলে লজ্যা। অন্যের ঘরে গিয়ে করলে সম্মান!!!
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪২
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম, আল্লাহ আমাদের সহীহ বুঝ দান করুন, আমিন।
১০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: রাজীব সাহেব সম্ভবত ত্যানা প্যাচাতেই এসেছেন। উনাকে বোঝাতে যতই চেষ্টা করুন, উনি বুঝেও বুঝবেন না।
পোস্ট ভাল হইছে। তবে এটাও সত্যি এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্বামী স্ত্রী দুজন কাজ না করলে সংসারের খরচ মেটানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।
১১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩১
রাজীব বলেছেন: আমি ক্ষামাখা ত্যানা পেচাইতাছি না;
সবাই যদি বাসার কাজ করে, চাকরী না করে, তখন আপনারাই বলবেন, বাসার কাজ করার জন্য কাজের লোক পাওয়া যায় না। আপনারাই নিজের মা-বোন-বৌ কে চিকিৎসার জন্য মহিলা ডাক্তার পাবেন না। নিজের মেয়ের জন্য মহিলা হাউজ টিউটর পাবেন না। এমন কি স্কুলেও মহিলা শিক্ষিকা পাবেন না। মা-বোন-বৌ এর জামা বানানোর জন্য মহিলা দর্জি পাবেন না।
এবার বলুন তো আপনারা কয়জন আপনার বৌকে চিকিৎসার জন্য পুরুষ গাইনী ডাক্তারো কাছে নিয়েজান, কয়জন নিজের মেয়ের জন্য ছেলে হাউজ টিউটর রাখেন, কয়জন বাসায় পুরুষ কাজের লোক রাখেন???
১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
সাজিদ. বলেছেন: @ রাজীব, বিয়ে কৈরা বউরে পাঠায়া দিয়েন, আমার সেক্রেটারী বানায়া দিমু, সারাদিন অফিসে কাম করব... মিয়া, না বুইঝা কথা কন।
পোস্টে ++
১৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
রাজীব বলেছেন: @সাজিদ.
হাসপাতালের মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষনের পর হত্যা,
রাস্তা থেকে শিক্ষিকাকে তুলে নেয়া(অপহরন)
বাসায় বউ রেখে অফিসে মহিলা সেক্রেটারীর সাথে এটা সেটা।
ইত্যাদি কাজ গুলো কারা করে বুঝা গেলো।
ভালো থাকবেন, ভালো হবেন।
১৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
ডরোথী সুমী বলেছেন: পোস্টটাতে অনেকের অনেক রকম মন্তব্য পড়লাম। কোথায় যেন ভুল বোঝাবুঝি রয়েই গেল। মেয়েদের অবশ্যই এগিয়ে যাওয়া উচিত তবে সংসারকে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে বিশেষ করে সন্তানকে। মেয়েরা নিজেদের উন্নতির জন্য পড়াশোনা করবে এটা খুব ভাল কথা কিন্তু সেটা যেন মা হয়ে না হয়। কারন যখনই সে মা হবে তখনই তার উপর সন্তানের সর্বচ্চ অধিকার থাকবে। সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ দান 'সন্তান'। এই উপহারকে শুধু বুকে আগলিয়ে রাখতে হয়। আমরা বেশিরভাগ মহিলারাই সংসারের প্রয়োজনেই চাকরি করছি। আমার সন্তাননেরা আমার মায়ের কাছে মানুষ হচ্ছে। এটা অবশ্যই কাজের মানুষের কাছে থাকা থেকে অনেক ভাল। বড় সন্তানের তিন মাস বয়সে আমাকে ঢাকার বাইরে যেতে হয়েছিল ট্রেনিং এর জন্য। ওর আট মাস বয়সের সময় আমার ট্রেনিং শেষ হয়। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল সেটি। কারন ওই সময়গুলোতে আমার সন্তান আমাকে পুরোপুরি পেয়েছিল। ট্রেনিং চলাকালীনও ওকে বুকে রাখতে পেরেছি।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২২
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সুমী, ভাল থাকবেন।
১৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
শহুরে কাউয়া বলেছেন: মেয়েরা কাজ করলে দোষ।
কাম পায়না মানুষ এইসব পোস্ট দেয়।
ওই বাচ্চা পালার দ্বায়ি্ত্ব কি খালি মায়ের?
বাপের কিছু করার নাই?
ফালতু পোস্ট
সামু আ** ভইরা গেসে
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৮
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দেখুন, এই লেখাটা আমার নয়, কোন এক বোন লিখেছেন। তার চিন্তাকে সম্মান করুন।
বাচ্চা লালন পালনে বাবা'র কি ভূমিকা সেটা যদি বাবা হওয়া শেখেন তবে বুঝবেন, নাহলে কাকের মত শুধু কা কাই করতে পারবেন, এধরণের লেখা এন্টেনার উপর দিয়ে চলে যাবে।
এই সমাজ উচ্ছন্নে যাবে যখন আপনার মত না বুঝে কা কা করা লোকে সমাজ ভরে যাবে।
১৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
পরিবেশক বলেছেন: কথাগুলো সত্য কিন্তু অনেকের ভালো লাগবে না। পোস্টে প্লাস।++++++
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র।
১৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
আমি ভালোমানুষ বলেছেন: ইলুসন বলেছেন: মেয়েদের কাজ করা নিষেধ না। তবে নিজের বাচ্চা আর কাজ দুইটার মাঝে যে কোন একটাকে নিতে হলে অবশ্যই বাচ্চাটাকেই নেয়া উচিত। এমন কোন কাজ নেয়া উচিত নয় যেটা করতে গেলে তার বাচ্চার অযত্ন হয়। ক্যারিয়ার ক্যারিয়ার করে যদি কেউ বাচ্চাকে অবহেলা করে তাহলে শেষ বয়সের বাচ্চারও উচিত তাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসা
ধন্যবাদ জহির ভাই, সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
তেহরানে কি ঠাণ্ডায় জমে গেছেন নাকি(ফেবু তে দেখলাম) ? নতুন কোন পোস্ট নাই........
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র ভালোমানুষ ভাই।
নাহ, তেহরানের জমার মত ঠান্ডা নাই, তবে একটু আশে পাশে গেলেই ঐ অবস্থা পাওয়া যায়, ধরেন এক দেড় ঘন্টা ট্রাভেল করলেই।
এখন পরিবার সহ থাকি, ঘরে ছোট দুই ছেলে আছে, সুতরাং, ব্লগিং করার টাইম কই??
১৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
হেজাজের কাফেলা বলেছেন: khub sundor jajakallah....
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন:
১৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩২
হুপফূলফরইভার বলেছেন: বর্তমান (পশ্চিমা) বিশ্বসভ্যতার শিখিয়ে দেয়ে ভোগবাদী সমাজব্যাবস্থায় সমাজের মৌলিক কাঠামো পরিবার গঠনে একজন মায়ের ক্যারিয়ারচিন্তা ও সন্তানদের আদর্শিকভাবে গড়ে তোলায় একজন মুসলিমা মায়ের সার্বিক ভূমিকা নিয়ে ইসলামিক আইডিওলজির স্বরুপটা একচুয়ালি কি হবে বা হতে পারে তা নিয়ে সত্যিই অনেক জ্ঞানস্বল্পতা রয়ে গেছে আমাদের প্রত্যেকেরই।
কিন্তু কে শুনে কার কথা? ব্যাক্তি জীবনে যেই মেয়েটা / ছেলেটা ধর্মীয় জীবনব্যাবস্থাকে রীতিমত তাদের ভাষায় কথিত খোয়ার হিসেবে মনের ভেতর প্রচন্ড ঘৃণাবোধ নিয়ে বেড়ে উঠছে সে / তারা আসবে বোনটির লিখিত বিভীন্ন পয়েন্টের তুমুল সমালোচনা করতে। আবার পাশাপাশি ইসলামিস্ট ভাইদেরও দেখছি কিছুকিছু পয়েন্টে ভূল ধারনা নিয়ে অযথাই পোস্টের মূল বক্তব্যকে মিছলিড/ডাইভার্ট করে দিতে।
এনিওয়ে, পরিবার গঠনে একজন মুসলিম মায়ের ভুমিকা নিয়ে বোনটির সামগ্রিক চিন্তা শেয়ারিংয়ের জন্য আপনাকে অনেক বেশী ধন্যবাদ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জাকারিয়া ভাই... ভাল থাকবেন...
২০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মিতক্ষরা বলেছেন: কর্মজীবী নারীরা ভাল মা হতে পারেন কিংবা নাও পারেন। কিন্তু ঘরে থাকা গৃহবধুরা যে ভাল মা হন তার কি নিশ্চয়তা। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় ঘরে থাকা গৃহবধূদের সন্তাণদের বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই বখে যেতে দেখেছি। হয়তবা মাত্রাতিরিক্ত আদরে সন্তান গুলো নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে পাশের বাসার এক মহিলা নামকরা কলেজে পড়ান। তার চার সন্তানই বেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। এরকমটি সাধারন গৃহবধুদের মধ্যে খুব বেশী দেখা যায়না যতটা কর্মজীবী নারীর মধ্যে দেখা যায়। এছাড়া মায়ের আইডেনটিটি সন্তানের জন্য গর্বের বিষয়ও বটে।
কর্মজীবী নারীদের পক্ষে সন্তানের শিশু বয়সটায় যত্ন নেয়া বেশ কঠিন। অফিস অনেক সময় সহযোগিতা করতে চায় না। সেজন্য আমাদের সমাজের সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। অফিসে পার্ট টাইমের ব্যবস্থা রাখা কিংবা উন্নত মানের চাইল্ড কেয়ারের ব্যবস্থা রাখলে এই সমস্যা কমে আসবে। সন্তানের অধিকারকে অস্বীকার করাটা অত্যন্ত নিন্দনীয় তা পেশার কারনেই হোক বা অন্য কারনেই হোক।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মিতক্ষরা আপনার মন্তব্যের জন্য...
২১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫২
মেহেরুন বলেছেন: ভাইয়া এমন অনেক কর্মজীবী মা আছেন যারা অফিসে কাজ ও করেন আবার সংসার আর বাচ্চাও খুব ভালোভাবে সামলান। আবার অনেক ক্ষেত্রে অনেকে ঘরে থেকেও ঠিক ভাবে বাচ্চা মানুষ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আসলে সমস্যা মেয়েদের কাজ করা বা না করা নিয়ে নয়। সমস্যা হল আপনি কোন জায়গাটা কিভাবে সাম্লাচ্ছেন আর কোন কাজটাকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছেন তার উপর। এখন কেউ যদি নিজের বাচ্চাকে বাদ দিয়ে নিজের কাজকে আগে রাখে সেটা অবশ্যই ঠিক নয়। কারন সবকিছুর আগে নিজের বাচ্চা এবং পরিবারের গুরুত্ব। তারপর আপনি কাজ কে প্রাধান্য দিলে দেখা যাবে কাজ করে বাচ্চা ঠিক ই ভালোভাবে মানুষ করা যাচ্ছে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মেহেরুন আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
২২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০১
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: আপনার লেখায় অনেকে অনেক রকম মন্তব্য করেছেন।- সমস্ত কিছু ভালোভাবেই পড়লাম। এর সমন্বয় বা সমাধান হয়তো অসম্ভব। গ্রামের সেই পুরাতন কথাটা মনে পরলো- যে মাপুনি দিয়ে দান করবেন,সেই মাপুনি দিয়েই শোধ হবে। এখন আমার কথা- আজ মা-বাবা যদি তার সন্তানকে চাইল্ড হোমে রাখেন, কাল সেই সন্তান কেন তাকে ওল্ডহোমে পাঠাবেন না??????
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্ত্যবের জন্য। একটি কথা, লেখার শুরুতেই বলে নিয়েছিলাম, এটি আমার লেখা নয়, এক মুসলিম বোনের লেখা। জাজাকাল্লাহ খায়র।
২৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৪
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: একটা ব্লগ পড়ে মন্তব্য করায় লেখকের কড়া কথা শুনেছি এবং তাঁর রাগ দেখে- অনুসোচনা করে নিজে দু:খ প্রকাশ করেছি। নীচে লিংক-- দিলাম আপ টু বটম পড়বেনঃ-শি:নাম- “জেন্ডার ও আমাদের সামাজীক প্রেক্ষাপট” (লিংক)লেখক- সোহানী
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: লিংক আসেনি, দয়া করে আবার দেবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫১
রাজীব বলেছেন: আপনাদের মত মানুষের জন্যই মেয়েরা ছিল অশিক্ষিত।
আপনাদের মত মানুষের জন্যই কত মা যে সন্তান প্রসব করতে গিয়ে অশিক্ষিত দায়ীদের হাতে প্রান হারিয়েছে তার কোনো হিসেব নেই।
মেয়েদের আবার চিকিৎস কি? হাসপাতালে গেলে পুরুষ ডাক্তাররা দেখবে, ছি: ছি:।
মরলে মরুক তবু পুরুষ ডাক্তারের সামনে বেপর্দা হবে কি করে, তার চেয়ে মরাও ভালো।