নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

"প্রত্যেক সত্ত্বাকে মৃত্যু আস্বাদন করতে হবে। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, নিঃসন্দেহে সে হল সফল। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়।" আল ইমরান,আয়াত ১৮৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবলীগের মেহনত কি আমাদের শিরকী আকিদা শেখায়?

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

দু'দিন আগে এক অপরিচিত মুসলিম ভাই এর কাছে থেকে একটা মেইল পেলাম। তিনি আমার ফোন নাম্বার চেয়েছেন, আমার সাথে কথা বলতে চান ধর্ম বিষয়ে। শুরুতে ঘাবড়েই গেলাম, বললাম, ভাই আমিতো কোন আলেম ওলামা না, সাধারণ ইংরেজি শিক্ষিত লোক ! তবে দ্বীনদান লোকজনদের সাথে কিছু ওঠাবসা করে কিছু জেনেছি, যার ভিত্তিতে হয়ত নিজের বুঝ প্রকাশ করে থাকি।

যাহোক, আজকে সকালে তিনি আমাকে জানালেন, আজ রাতে এশার নামাজের পড় তিনি বেশ কয়েক জন হুজুরের সাথে তালিমের জন্য ব্যবহৃত "ফাজায়েলে আ'মাল" বই সম্পর্কে বিরোধিতা করবেন। তার ভাষায়, "সেখানে আমি একা এবং আমার বিপরীত পক্ষে থাকবে অনেকগুলো হুজুর" !

জানতে চাইলাম, আপনি বইটি থেকে কোন বিষয় নিয়ে বিরোধিতা করবেন। উত্তরট ছিল এরকম।

শায়েখ আবুল খায়ের বলেন, একবার মদীনা মোনাওয়ারায় হাজির হইয়া পাঁচ দিন পর্যন্ত আমাকে উপবাস থাকতে হয়। খাওয়ার জন্য কিছুই না পেয়ে অবশেষে আমি হুজুর এবং শায়ইখানের কবরের মধ্যে সালাম
পড়িয়া আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসুল। আমি আজ রাতে আপনার মেহমান হবো।

এই কথা আরজ করে মিম্বর শরীফের নিকট গিয়ে আমি শুইয়া পড়লাম। স্বপ্নে দেখি, হুজুরে পাক (সাঃ) তাশরীফ এনেছেন। ডানে হযরত আবু বকর, বাম দিকে হজরত ওমর এবং সামনে হজরত আলী রাঃ। হযরত আলী রাঃ আমাকে ডেকে বলেন, এই দেখ, হুজুর সাঃ তাশরীফ এনেছেন। আমি উঠা মাত্রই মহানবী সাঃ আমাকে একটা রুটি দিলেন, আমি অর্ধেক খেয়ে ফেলি।
তারপর যখন আমার চোখ খুলিল তখন আমার হাতে বাকী অর্ধেক ছিল (রুটি অবশিষ্টাংশ)।

সূত্রঃ ফাজায়েলে হজ্জ্ব-২৫৬ পৃষ্ঠা।


ওনার জবাবে আমি যা লিখেছিলাম সেটাই আপনাদের জানাতে চাচ্ছি। হয়ত এ থেকে আপনারা উপকৃত হবেন বা আমিও আপনাদের মতামত থেকে কিছু জানতে পারব।

ঠিক আছে, আপনি এই বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করুন আ’লেমদের। কিন্তু একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, হেকমতের সাথে, সম্মানের সাথে আলোচনা করবেন। প্রতিপক্ষ হিসেবে নয়, বন্ধু হিসেবে। আমি আপনাকে পরামর্শ দেব, আপনি এলাকার কম জ্ঞানী আ’লেম বা তাবলীগের সাধারণ সাথীদের সাথে এটা নিয়ে আলোচনা না করে বড় আ’লেমদের সাথে এটা নিয়ে আলোচনা করুন, এতে আপনি মানসম্মত জবাব পাবেন।

আপনি জানেন কি না জানিনা, হাদিস মোতাবেক, আমরা যখন রাসূল (সঃ) এর উপর দুরুদ পড়ি, তখন আল্লাহ সোবহানাতা’লা তার দেহে তার আত্মাকে ফিরিয়ে দেন এবং তিনি আমাদের সালামের জবাব দিয়ে থাকেন।
বাংলা দিতে পারলাম না, ইংরেজিতে হাদিসগুলো তুলে দিচ্ছি, দেখুন।

হাদিস ১:
"There is no Muslim who invokes blessings upon me (salutes me), but Allah returns to me my soul till I respond to him in return."

Reference

►Abu Dawood, Sunan, b. of manasik (rituals of hajj), (2: 218 # 2041)

►Ahmad bin Hambal, Musnad, 2:527

হাদিস ২:
"He who invokes blessings upon me by my grave, I will hear him and he who invokes upon me at a distance it will be conveyed to me."

Reference

►Ahmad bin Husayn Bayhaqī, Shu‘ab-ul-īmān, (2: 218 # 1583)

►‘Ala’-ud-Din ‘Alī, Kanz-ul-‘ummal, (1: 498 # 1583) 5)

দেখুন, উপরের হাদিস অনুসারে, আমরা যখন আল্লাহ’র রাসূল (সঃ) এর উপর দুরুদ পড়ি তখন তিনি তা শোনেন এবং এর জবাব দেন। অন্য সূত্র থেকে আমি শুনেছি, আল্লাহ’র ওলিদের শরীর মাটি গ্রহণ করে না, অর্থাৎ তাদের দেহ কবরে অবিকৃতই থাকে। নিঃসন্দেহে রাসূল (সঃ) এর দেহের ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য হবে।

বিভিন্ন বুজুর্গের জীবনে রাসূল (সঃ) এ কে স্বপ্নে দেখার কথা এসেছে, এটা অস্বাভাবিক বিষয় নয়। বুজুর্গদের জীবনে “কারামাত” এর অস্তিত্ব ছিল। সেদিন আমি ডঃ হিসাম আল আওয়াদি’র একটা ইংরেজি লেকচার শুনছিলাম। সেখানে বর্ণনায় এসেছিল, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বাল (রঃ) যখন খাওয়ারিজদের কারণে তৎকালীন শাসক দ্বারা অত্যাচারিত হচ্ছিলেন, তখন এক পর্যায়ে তার পাজামা খুলে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তখন তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন যেন তার ইজ্জত রক্ষা হয়। এবং একপর্যায়ে তার পাজামা নীচে খুলে না পড়ে গিয়ে নিজে নিজেই উপরে উঠে এসেছিল।

আপনি ফাজায়েলে আ’মলের যে ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন, সেখানে সেই সম্মানিত আল্লাহর বুজুর্গ শায়েখ আবুল খায়ের কিন্তু আল্লাহর রাসূল (সঃ) এর কাছে খাবার চাননি বরং তিনি তার মেহমান হতে চেয়েছেন। আপনি যদি আমার বাসায় মেহমান হন, তবে যে খাবার আপনি আমার উছিলায় খাচ্ছেন সেটা কিন্তু আল্লাহ প্রদত্ত রিজিক! আমি কিন্তু এই সম্পদের মালিক না ! আল্লাহ পাকের যাকে খুশি যেভাবে খুশি দিতে পারেন। এখানে বুজুর্গ রাসূল(সঃ) এর মেহমান অর্থাৎ তার উছিলায় আল্লাহর কাছ থেকে রিজিক প্রদত্ত হয়েছেন। আলেম ওলামারা আমার চেয়ে এই বিষয়টি ভাল ব্যাখ্যা করতে পারবেন।

একটা ব্যাপার হয়ত বিবেচনায় আনা যেতে পারে যে, সব ধরণের ঘটনা সবার সামনে প্রকাশ না করা। বুজুর্গদের কারামাতের কাহিনী হয়ত সবাই সহজভাবে নিতে পারবে না, যেমনটা আপনি পারেন নি। তবে কিছু ব্যাপার বুঝতে হলে আপনাকেও একটা certain লেভেল পর্যন্ত মেহনত করতে হবে, জ্ঞান অর্জন করতে হবে। প্রথমেই যদি আপনি কোন বিষয়ে খারাপ ধারনা পোষন করে বসে থাকেন, তবে আপনি সে বিষয়ের গভীরে ঢুকতে পারবেন না। তাবলীগে আমি যতটুকুই সময় ব্যয় করেছি, সেখানে আমি এমন কোন শিরকী আকিদা পাইনি যেমনটি আপনি বলছেন। সারা জীবন এটাই শুনেছি যে, আল্লাহই সব ক্ষমতার মালিক, যা কিছু আসে তার তরফ থেকেই আসে, মাখলুকের কোন ক্ষমতা নেই।

কিছু ব্যক্তি/গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে তাবলীগের কুৎসা রটনায় লিপ্ত। এদের ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকবেন। তাবলীগের সাথে জড়িত সবার সব কিছু আপনার ভাল না লাগতেই পারে। কিন্তু, সার্বিকভাবে এই মেহনতটার দিকে খেলায় করুন, এর মত সার্বজনীন মেহনত আর নেই। এই মেহনত প্রান্তিক লেভেল এর মানুষের কাছে যাচ্ছে, মানুষকে ঈমান এবং আ’মালের দিকে দাওয়াত দিচ্ছে। আমি কোন দিন তাবলীগের কোন বয়ানে শিরকী আকিদা বয়ান করতে শুনি নাই ! এ বিষয়ে জনাব ইউসুফ সুলতানের একটা খুব ভাল লেখা আমি আমার ব্লগে শেয়ার করেছি, পড়ে দেখবেন।

ব্যাক্তি জীবনে আহলে হাদিস, জামাত-শিবির, তাবলীগ, জসীমুদ্দিন রাহমানি সাহেবের অনুসারী, এরকম বহু মতের মানুষের সাথে মেশার সুযোগ হয়েছে। সুতরাং, কে কি করছে সেটা মোটামুটি জানি। চরমপন্থার নাম ইসলাম না ! কথায় কথায় খুন করে ফেলার নাম ইসলাম না ! তাই যদি হত, তবে আল্লাহ’র রাসূল(সঃ) পর্বতের ফেরেশতাকে বলে তায়েফ শহরকে গুড়িয়ে দিতেন, মসজিদে প্রস্রাব করা কাফেরকে সেখানেই মেরে ফেলতেন। আল্লাহর রাসূল(সঃ) সেটা করেন নি, আমাদেরকেও শিক্ষা দেন নি সেটা। রাসূলের (সঃ) জীন্দেগিতে ছিল উম্মতের জন্য অগাধ ভালবাসা, সেটা শুধু মুসলিম নয়, কেয়ামতের আগ পর্যন্ত যত মানুষ আসবে সবার জন্য…

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

পাকাচুল বলেছেন: নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে, পরিবার পরিজন ছেড়ে ১২০ দিনের জন্য চলে যাওয়াটা কতটুকু সমর্থনযোগ্য।

এমন একজনকে দেখেছি, পরিবারের বিয়ে, ঈদ কোন কিছুতেই বাড়িতে থাকে না।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দেখুন, দুনিয়ার জিন্দেগীতে সব কিছুতেই ভারসাম্য রেখে চলতে হবে, সেটাও আপেক্ষিক, আপনি কোন বিষয়টিকে কিভাবে প্রাধাণ্য দিচ্ছেন সেটাও একটা বিষয়। নির্দিষ্ট কোন সূত্র দিয়ে সব বিষয়কে মাপা বা ব্যাখ্যা দেয়া যাবে না।

আমার কাছে হয়ত দুনিয়ার জিন্দেগীর ভোগ বিলাস বেশী গুরুত্বপূর্ণ, সেজন্যই আমি দেশ ছেড়ে আজ ইরানে বেশী বেতনে চাকরি করছি, আমি যখন আসি, তখন সাড়ে চার মাস আমি পরিবার ছাড়াই এখানে ছিলাম, আমার স্ত্রী এবং দুই পুত্র তখন বাংলাদেশে আমাকে ছাড়াই ছিল। কেউ কিন্তু এটা নিয়ে মাইন্ড করে নি। কারণ, আমি নগদ ডলার কামাই করতে এসেছি, এর জন্য যদি এক বছরও পরিবার ছাড়া দেশের বাইরে থাকি, সবাই সমর্থন দিবে। কেউ বলবে না, তোমার স্ত্রীর শারীরিক হক কে আদায় করবে?

আমি যদ্দূর জানি, ইসলামে চার মাসের বেশী স্ত্রীর কাছ থেকে দূরে থাকতে নিষেধ করা হয়েছে।

এমন অনেক প্রবাসী ভাই আছেন, যারা বছরে পর বছর স্ত্রীর কাছ থেকে দূরে থাকছেন। কেউ মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে গিয়েছেন ! কেউ কিন্তু কিছু মনে করে না ! কারণ, স্বামীতো টাকা পাঠাচ্ছে, আর কোন অধিকারের কথা কেউ মনেই করে না ! সন্তানের হক্বও তখন নষ্ট হয় না !

যত সমস্যা, তাবলীগের মেহনত শেখার জন্য ৪ মাস ঘরের বাইরে থাকলেই ! :)

সাহাবারা যদি তাদের ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে না আসতেন, তাহলে কি আজকে আমরা দ্বীন ইসলাম পেতাম??

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

অাতাউর রহমান কাবুল বলেছেন: এই লিঙ্কটা পড়ুন : Click This Link

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র... :)

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

সবুজ সাথী বলেছেন: ভাই কিছু মনে কইরেন না প্লিজ, শিরক না বুঝলে, শিরক আকীদা পাওয়া যায় না।

আপনি জানেন কিনা জানিনা, উমার রাঃ এর আমলে একবার দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। সে সময় সাহাবাগণ রসুলুল্লাহ সাঃ এর কবরে গিয়ে উনার কাছে চাননি। আল্লাহর কাছেই দুয়া করেছিলেন। এটাই তাওহীদ। এর বিপরীতটাই শিরক।

আর উপরের কিচ্ছার মতো হলে তো মুসলিমদের সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। যে কোন সমস্যায় চুড়ান্ত সমাধান নেওয়া যেত।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনি খুব ভালভাবেই বুঝতে পেরেছেন, উপরে ঘটনাটা একজন বুজুর্গ ব্যক্তির, কোন সাধারণ ব্যক্তির নয়। তার সাথে আল্লাহ এবং তার রাসূল (সঃ) এর সম্পর্ক কোন পর্যায়ে ছিল সেটা আমি বা আপনি কেউই জানি না, সুতরাং সেটা নিয়ে মন্তব্য না করাই উত্তম।

কিন্তু, ওপরের ঘটনাতে কোথাও এটা বলা হয় নি যে উনি রাসূল (সঃ) এর কাছে সাহায্য চেয়েছেন। সুতরাং, মানুষকে বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে দ্বীন থেকে দূরে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা না করাই ভাল।

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

পাকাচুল বলেছেন: ঈদের দিনে মা-বাবার মনে দুঃখ দিয়ে বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ানো ইসলাম সমর্থন করে কি?

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, এ ধরণের প্রশ্নের উত্তর ২+২=৪, এভাবে দেয়া সম্ভব নয়। কোন প্রেক্ষিতে, কেন তিনি গিয়েছেন সেটা তিনি ভাল বলতে পারবেন। আবার তিনি যে কোন ভুল করেন নি, সেটাও আমি বলছি না। আল্লাহই ভাল জানেন। মনে রাখবেন, রাসূল (সঃ) এর সাহাবারোও কিন্তু গোনাহ করেছেন !

ঈদের দিন দ্বীনের কাজে বের হওয়া যাবে না, সেরকম কোন বিধান ইসলামে আছে কিনা সেটাও আমার জানা নেই, আপনি দয়া করে কোন তাবলীগ করেন এমন আলেমের কাছে জিজ্ঞেস করবেন এবং তার কাছে রেফারেন্সসহ উত্তর চাইবেন।

জানেন সম্ভবতঃ, দুই ঈদের রাত্রি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ এবং সাহাবাদের থেকে শুরু করে যুগে যুগে বুজুর্গেরা ঈদের আগে সারা রাত্রি জেগে ইবাদত করেছেন, আল্লাহর কাছে কান্না কাটি করে ক্ষমা চেয়েছেন। আমি আপনি সেরকম করলে দেখা যাবে পরদিন নামায পড়ে এসে ঘুম দিয়েছি। ব্যাপারটা অন্যদের কাছে খুব শোভন লাগবে না তাই না? কিন্তু, আপনি কিন্তু ভাল কাজেই সময় পার করেছেন, আশা করা যায় !

আবার এ যুগে ছেলে পেলেরা দেখবেন "চান রাতে" সারা রাত বাইরে আড্ডা দিয়ে বা শপিং করে কাটিয়ে দেয়, আর সকালে ঈদের নামায না পড়েই ঘুম দিয়ে দিন পার করে দেয় ! দুঃখের ব্যাপার, এসব আমাদের কাছে একটুও অস্বাভাবিক মনে হয় না !

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

সবুজ সাথী বলেছেন: "খাওয়ার জন্য কিছুই না পেয়ে অবশেষে আমি হুজুর এবং শায়ইখানের কবরের মধ্যে সালাম পড়িয়া আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসুল। আমি আজ রাতে আপনার মেহমান হবো।"

এমনে পরিস্কার কথা আবার বুঝার কি আছে জানিনা।


"তার সাথে আল্লাহ এবং তার রাসূল (সঃ) এর সম্পর্ক কোন পর্যায়ে ছিল সেটা আমি বা আপনি কেউই জানি না, সুতরাং সেটা নিয়ে মন্তব্য না করাই উত্তম।"
- দুঃখিত ভাই, মানুষের সাথে আল্লাহর সম্পর্ক হয়। আপনি যে অর্থে "সম্পর্ক " বলছেন এরকম সম্পর্ক রাসুল সাঃ এর সাথে হয় না। রাসুল সাঃ মৃত্যুর পরে বারযাখ জগতে আছেন। উনার উপর পেশ করা দরূদ/সালাম ছাড়া উনি দুনিয়ার কোন কিছুর খবর জানেন না। এগুলা বাতিলদের ধারণা যে উনি কবরে এখনো জীবিত আছেন আর সব কিছু শুনেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, প্রথমেই বলেছি, আমি কোন আলেম ওলামা না, আপনি যদি আলেম হয়ে থাকেন বা নাও হয়ে থাকেন, আপনি বরং তাবলীগের সাথে সংস্লিষ্ট কোন আলেমের কাছে এর ব্যাখ্যা চান।

তবে, সাহায্যকারী হিসেবে একটা লিংক শেয়ার করছি, এই উত্তর যিনি লিখেছেন, মুফতি লুৎফর রহমান ফরাজী সাহেবের সাথে আপনি ব্যক্তিগতভাবেও যোগাযোগ করতে পারেন, উনি আপনার উত্তর দিবেন।

নবীগণ কবরে জীবিত হবার স্বপক্ষে কোন দলীল আছে কি?

৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

সবুজ সাথী বলেছেন: আর আপনাকে একটা উদাহরণ দিলাম, অনুগ্রহ করে জানুন, সেই পরিস্থিতিতে সাহাবা রাঃ গণ রাসুল সাঃ এর কবরে গিয়ে কোন আরজি পেশ করেছিলেন কিনা। সাহাবাগণের জীবনে এমন কোন ঘটনার প্রমাণ আছে কিনা তা জানুন। মিথ্যা কল্পকাহিনী নিয়া পড়ে থাকলে হবেনা। মনে রাখবেন, মুনাফিকের দল রাসুল সাঃ এর নামে মিথ্যা হাদিছ তৈরী করেছে। অন্যের নামে এগুলা করা তাদের কাছে অতি সহজ ব্যাপার।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ওপরের কাহিনীতেও সংস্লিষ্ট ব্যক্তি রাসূল(সঃ) এর কাছে কোন সাহায্য প্রার্থনা করেন নি। মেহমান হতে চাওয়া আর সাহায্য প্রার্থনা এক নয়।

৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

আহলান বলেছেন: তাবলীগ ইসলামের পক্ষে অনেক কথা বলে, যারা তাবলীগ এর সাথে জড়িত তারা আল্লাহ রাসুলের ধ্যান জ্ঞ্যান বেশী রাখেন .... কিন্তু তারা কিছু বিষয় থেকে নিজেকে অনেক দূরে সরিয়ে রাখেন । যেমন অনেকেই ঘর সংসারের খোজ খবর রাখেন না, মসজিদে মসজিদেই দিন পার করে দেন, এলমে বাতেন এর চর্চা করেন না, পীর আউলিয়াদেরকে তেমন একটা সম্মান দেন না নিজেদের রচিত কিতাবের বাইরে তারা অন্য কোন কিতাব ফলো করতে চান না (ফাজায়েলে আমল এবং অন্যান্য) ... সুন্নতি লেবাসের ক্ষেত্রেও পার্থক্য রয়েছে। তারা পাশ কাটা বা ফাড়া পাঞ্জাবী পরিধান করেন। মিলাদ ক্বিয়ামকে অপছন্দ করেন .... ইত্যাদি ... শিরক শেখায় বলে মনে হয় না ...

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সম্মানের সাথে বলতে চাই, আপনার পর্যবেক্ষণ হয়ত পুরোপুরি সঠিক নয়। ব্যতিক্রমকে সামনে নিয়ে আসতে চান অনেকেই। এটাও আমার হিসেবে শয়তানের ধোকা, আমরা সবাই চেষ্টা করি সেই ধোকা থেকে বেচে থাকতে।

আমার খুব স্পষ্ট একটা কথা, যারা আমরা ব্লগে বসে বা টেবিলের আড্ডায় তাবলীগের মেহনতের এত খুত বের করছি, তারা নিজেরা সেখানে গিয়ে এই বিষয়গুলো সংশোধনের চেষ্টা করছি না কেন? মুসলিম হিসেবে কি আমাদের কোন দায়িত্ব নেই?

আর তাবলীগের মেহনতের এই ফরম্যাটের বাইরে গিয়েও তো দ্বীন প্রচার করা যায়, সেটা কি আমরা করছি? আল্লাহর দ্বীনের প্রচারের জন্য অন্যান্য পন্থা কি আমরা অবলম্বন করছি? আমি জানি, প্রফেসর হামিদুর রহমান সাহেব তার উত্তরার বাসার ছাদে প্রতি সোমবার বাদ মাগরিব দ্বীনি আলোচনার মজমা আয়োজন করেন যেখানে আলেম ওলামারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। আমরাও সেরকম কিছু করি, আরো ভাল কিছু করি...

৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯

মোগল সম্রাট বলেছেন: ফাজায়েলে অামল কোথা হইতে নাযিল হইলো? ইসলামের কয় নাম্বার গ্রন্থ এইটা ? জানতে মুঞ্চায়....... এই টা ফলো করার কথা কোন কেতাবে লেখা আছে ? কোরান আমদের পুর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা, কেন সেটা পড়ে বয়ান করেনা ?

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনি কিভাবে জানলেন, ফাজায়েলে আ'মল এ কোরানের কোন কথা নাই? পড়েছেন?

৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

আহলান বলেছেন: তারা নিজেরা সেখানে গিয়ে এই বিষয়গুলো সংশোধনের চেষ্টা করছি না কেন?

- এসব নিয়ে অনেক আলোচনা করা হয়েছে , কিন্তু তারা তাদের মত ও পথের বাইরে এক চুলও নড়তে রাজি না ....

আর তাবলীগের মেহনতের এই ফরম্যাটের বাইরে গিয়েও তো দ্বীন প্রচার করা যায়, সেটা কি আমরা করছি?

- করছি কিনা সেটা আপনি তো জানেন না তাই না?

কিছু দিন আগেও তাবলিগের ছয় উছুল নিয়ে বাহাসের আহ্বান করা হয়েছিলো। তারা তো সেই বাহাসে আসেই নাই, উপরন্তু আজে বাজে লোকজন জড়ো করে আলেম ওলামাগনকে অপমান করার ব্যবস্থা করেছে .... এ থেকে কি বুঝবে মানুষ?

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: যাহোক, কি আর বলব, ফেইসবুক থেকে একটা ছবি দিয়েছেন। এটা একপক্ষের বক্তব্য, আরেক পক্ষের কোন বক্তব্য যেহেতু জানি না, তাই এটা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে পারব না।

ঢাকায় কাকরাইলের আলেমদের সাথে কি এরকম কোন বাহাসের আয়োজন করা যায়?

আর তাবলীগ জামাতের লোকজন পীর আউলিয়াদের সম্মান দেয় না এটা ঠিক না, আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুই একজন পীরের মুরিদ এবং সে তাবলীগের মেহনতের একনিষ্ঠ সাথী। হামিদুর রহমান স্যার যার কথা বললাম উপরের মন্তব্য, তিনি হাফেজ্জি হুজুর (রঃ) এর খলিফা এবং সেখানে তাবলীগ এর মেহনতে জড়িতদের যাতায়াত আছে।

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫০

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: আপনার পোস্ট ভাল লেগেছে. আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন. মানুষ দীর্ঘদিনের চিন্তাধারার গন্ডি থেকে সহজে পেরুতে পারে না, তাবলিগের বিরোধীরা বিভিন্ন ফেরকার পুরনো চিন্তার গন্ডিতে আটকা পড়ে বিরোধিতা করে যায়, পাল্টা যুক্তিতে হতভম্ব হয়ে শেখা তোতাবুলি আওড়ে যায় - পোস্টে এমন কজন দেখলাম. তবে তাতক্ষণিকভাবে না মানলেও সতযুক্তি দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব ফেলতে পারে.

আপনার পোস্টের অংশবিশেষ ফেসবুকে শেয়ার করছি. যাযাকাল্লাহ.

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খায়র ভাই।

১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৩৬

আমি স্বপ্নদ্রষ্টা বলেছেন: তাবলীগের মধ্যে আমি খারাপ কিছু দেখিনা । নিজের খেয়ে ,নিজের পড়ে, নিজের সময় ব্যয় করছে । যদি কারো ভাল নালাগে যাবেন না । নিজের মত করে কোরআন হাদিস পড়া যায়না , ব্যকরন, বালাগাত, মান্তেক, উসুল, ফিকাহ, ইত্যাদি জানতে হয় । জ্ঞান অর্জন করুন , চিন্তা করুন, তারপর সিদ্ধান্ত নিন, কারো প্রভাবে প্রভাবিত হবেন না । মানুষকে সৃষ্টিকর্তা একটি এত্তবড় চিন্তা করার ক্ষমতা দিয়েছেন,যাকে ব্যবহার করে মানুষ মহাশূন্য পদক্ষিন করছে । একটু চিন্তা করলেই সমাধান পাওয়া যাবে বলে আমার বিশ্বাস ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র ভাই আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য...

১২| ২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য। আমি আমার জীবনে বিশেষ করে ছাত্রাবস্থায় অনেক সময় দিয়েছি তাবলীগ জামাতে। আমার চাচাত ভাই তিনি একজন স্কুল শিক্ষক এবং জিলা পর্যায়ের মুরুব্বি। প্রতি বছর রমজান মাসে স্কুল বন্ধের সময় তিনি চিল্লাতে যাবেন ৪০ দিনের জন্য আর অন্যান্য সময় তো যাবেন-ই। তবে এখন তিনি অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ফুলটাইম তাবলীগ করেন । তিনি বাড়িতে না থাকার কারণে তাঁর বাড়ির পরিবেশটা বেশ ইসলামী পরিবেশের বাইরে চলে যায়। প্রতি ঈদে তাঁর বাড়িতে একটা না একটা সমস্যা হবেই। জানি অনেক নবীদের ছেলেরাও বিপথগামী হয়েছে কিন্তু উনি যদি বিশেষ সময় গুলোতে পরিবারের সাথে থাকতেন হয়ত বেশি ভাল হত। তাবলীগ শিরক অথবা ভাল সেটা নিয়ে আমার কোন মন্তব্য করব না। সমস্ত ভাল কাজ আমি সাধুবাদ জানায়। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল পাকাচুল নামে একজন মন্তব্য করেছেন আর আপনি যে তাঁর উত্তর দিয়েছেন তা নিয়ে। আপনার উত্তর গুলো হয়ত তাকে বুঝানোর জন্য চেষ্টা ছিল কিন্তু ঈমান আকিদা হিসেবে এই ধরনের তুলনা কি গ্রহণযোগ্য? মাঝে মধ্যে নেছাবে, মারকাসে গিয়ে কিছু সময় দেওয়া এবং দীনের খেদমত করা ঠিক আছে কিন্তু একটি বিশেষ সময় অর্থাৎ রমজান, ঈদ,বিয়ে সাদি ইত্যাদি সময়ে বাড়ির মানুষ যেমন মা বাবা ছেলে মেয়ে স্ত্রী এবং প্রতিবেশী সবার হক নষ্ট করে প্রতি বছর তাবলীগ জামাতে পড়ে থাকা কি ইসলাম সমর্থন করে? হক্কুল ইবাদ নষ্ট করে কি জান্নাতে যাওয়া সম্ভব? আর ইসলাম কি শুধু তাবলীগ নিয়ে থাকতে বলেছে নাকি সমাজে আরও কল্যাণ মুলক কাজ করতে বলেছে? প্রতিবার সকালে বয়ানে বলবেন রান্নার জন্য কে কে রাজি হাত তুলুন খেদমতে খোদা রাজি। এই রান্নাবান্না ছাড়া কি আর কোন কাজ নাই যে কাজে খেদমতে খোদা রাজি হয়?

০২ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্যুৎ ভাই/বোন আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

পাকাচুল এর মন্তব্যের বিপরীতে আমি কিন্তু একবারো বলিনি, তিনি সঠিক করেছেন বা সঠিক করেন নি। বলেছি, কোন প্রেক্ষিতে এবং কেন তিনি গিয়েছেন, সেটা তিনিই ভাল বলতে পারবেন। পরিবারের প্রতি দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে, কোন দ্বিধা নেই এতে। এখন তিনি কিভাবে তার পরিবার ব্যবস্থাপনা করছেন সেটা কিন্তু আমরা জানি না। আমরা বিচার করছি আমাদের বিবেচনা দিয়ে, প্রকৃত অবস্থাটা আমরা জানি না।

আপনার যে আত্মীয়ের কথা বললেন, তার ছেলে মেয়েদের বলুন, এই সমস্যা নিয়ে সরাসরি কথা বলতে। প্রয়োজনে স্থানীয় আমির সাহেবের সাথে কথা বলুন, এখনে যদি কিছু সমস্যা থেকে থাকে সেটা সমাধান করার সম্ভব।

কিছু দিন আগে আমি কালামুল্লাহ ডট কম থেকে ডঃ হিশাম আল আওয়াদির একটা লেকচার শুনছিলাম, “The Four Great Imam” এর উপর। এখানে তিনি চার প্রধান ইমামের জীবনের কথা বলছিলেন। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এর মূল শিক্ষক ছিলেন ইমাম হাম্মাদ (রঃ)। হাম্মাদ আবু হানিফাকে অনেক ভালবাসতেন। একবার হাম্মাদ কোন কাজে বেশ অনেক দিনের জন্য কুফা'র বাইরে যান। যখন তিনি সফরে যাচ্ছিলেন, তার নাতি/নাতনি অসুস্থ ছিল। হাম্মাদ ফিরে আসার পর হাম্মাদের ছেলে তাকে প্রশ্ন করে, "আপনি এই সফরে কি আমাদের অভাব অনুভব করেছেন"? হাম্মাদের উত্তর ছিল, "আমি আবু হানিফাকে মিস করেছি"। তার ছেলে অবাক হয়েছিল, যে তার বাবা হয়ত তার অসুস্থ সন্তানের কথা বলবেন !

আলোচক এই উদাহরণ টেনেছেন, ওস্তাদ তার ছাত্রকে কতটা ভাল বাসতেন সেটা বোঝানোর জন্য। কিন্তু, ছেলের জায়গা থেকে চিন্তা করুন তো একটু?

সুতরাং, বাহ্যিক আচরণ দেখে সব কিছুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে না ফেলাই ভাল। সাহাবা (রাঃ) জিন্দেগিতেও এমন ঘটনা আছে, তারা কোথাও যাচ্ছিলেন, পথে ছেলের মৃত্যু সংবাদ পেয়েছেন, উটের পিঠ থেকে দু'রাকাত নামায পড়ে, দোয়া করে আবার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

তাবলীগ করলে হক্কুল ইবাদ বা সমাজে কল্যাণমূলক কাজ করা যাবে না, সেটাতো নয়। তারা যে দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে অন্য মহল্লায় যাচ্ছেন, সেটাও তো একধরণের সমাজ সেবা, তাই না? আবার দ্বীনের দাওয়াত শুধু তাবলীগের এই প্রচলিত পদ্ধতির মাধ্যমেই দিতে হবে তাও না। আপনি আপনার পছন্দ মত পথ বেছে নিন। কিন্তু সবশেষে এ কথা মনে রাখবেন, আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের উপর তার দ্বীন প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছেন, এখানে ঘাটতি থাকলে অবশ্যই কেয়ামতের ময়দানে প্রশ্নের সম্মুক্ষিন হতে হবে।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহিহ বুঝ দান করুন, আমিন।

১৩| ২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: সূরা মুজাদালাহ আয়াতঃ২১,২২

(كَتَبَ اللَّهُ لَأَغْلِبَنَّ أَنَا وَرُسُلِي إِنَّ اللَّهَ قَوِيٌّ عَزِيزٌ)
(لَا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَوْ كَانُوا آبَاءهُمْ أَوْ أَبْنَاءهُمْ أَوْ إِخْوَانَهُمْ أَوْ عَشِيرَتَهُمْ أُوْلَئِكَ كَتَبَ فِي قُلُوبِهِمُ الْإِيمَانَ وَأَيَّدَهُم بِرُوحٍ مِّنْهُ وَيُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ أُوْلَئِكَ حِزْبُ اللَّهِ أَلَا إِنَّ حِزْبَ اللَّهِ هُمُ الْمُفْلِحُونَ)

"আল্লাহ লিখে দিয়েছেনঃ আমি এবং আমার রসূলগণ অবশ্যই বিজয়ী হব। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিধর, পরাক্রমশালী।
যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।"

১৪| ২৯ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা বলেছেন: আমার কাছে তাবলীগ কখনোই সমর্থন যোগ্য না।তারা কোনো কাজের কাজ করছে না।কোনো বেধর্মী তাদের দ্বারা মুসলিম হচ্ছে না....

আমি কয়েকটটা এলাকায় দেখেছি এরা উঠতি বয়সী ছেলেদের হুরপুরী,যৌনতার বিষয়গুলো হাইলাইট করে সবাইকে আকর্ষণ করে...

SSC, HSC পাস করা ছেলেমেয়ে তাবলীগ থেকে ঘুরে এসে ওদের যখন জিজ্ঞেস করি কি কি করলা? প্রথমেই বলে খাওয়া দাওয়া অস্থির ছিলো....

এমন ভাব তারা শুধু খেতেই যাচ্ছে...

ধর্ম বলতেই শুধু হুরপুরী না কিংবা স্বপ্নদোষ এর গল্প না

আরে ভাই ইসলামের দাওয়াত তো এলাকাতেই দেয়া যায় আরেক এলাকায় টাকা খরচ করে যাওয়াটা বোকামী আর ভণ্ডামী ছাড়া কিছু লাগে না....

আমার এলাকায় তাবলীগের লোকজন আমাকে দেখতে পারে না....

আমি মসজিদে মোটামুটি যাওয়া আসা করি বলে আমাকে তারা তাদের লাইনে নিতে চাচ্ছিলো আমি বলে দিছি এলাকার মধ্যে কাউকে দাওয়াত দেন আমি আছি। আমি আমার বাপের টাকা খরচ করে আরেকজন কে দাওয়াত দিতে যাবো না......

১৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

বিদ্যুৎ বলেছেন: ভাই, যদি আর কিন্তু যুক্ত করে উত্তর শেষ করতে চান তাহলে তাবলীগ নিয়ে আপনার জানার কমতি প্রকাশ পায়। বাস্তবতা দেখলেই সব বুঝা যায় যে তাবলীগ কতটুকু পর্যন্ত ঠিক আছে আর কতটুকু করলে বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। আপনার জানা থাকার কথা যে, বিশ্ব ইস্তেমার সময় বহু সাধারণ মানুষ বলেছে যে "আমরা গরীব মানুষ হজ্জে যেতে পারি না তাই এখানে এসেছি , এটা আমাদের হজ্জের মত" বহু প্রিন্ট ও টেলিমিডিয়াতে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। সবাই জানে ইলিয়াছ (রহঃ) স্বপ্নের মাধ্যমে পেয়ে এই ধরনের দাওয়াতের প্রচলন করেছেন। অথচ কোরআনে ও সহি হাদিসে বহু আগেই এই ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এই যে সাধারণ মানুষের মনে যে ভ্রান্ত আকিদা তৈরি হল তার দায় কি তাবলীগ নেবে?
সুবাহানাল্লাহ বললে দুনিয়া ও আসমানের মধ্যে খালি জায়গা নেকীতে ভরে যায় কিন্তু এই নেকী কি জান্নাতে নেওয়ার জন্য তাবলীগ যথেষ্ট মনে করে? অন্যায় করা আর অন্যায় সহ্য করা সমান অপরাধী। তাবলীগ কি কোন অন্যায়ের বিরোধিতা করে? অথচ মহান আল্লাহ ভাল কাজের যেমন আদেশ করার কথা বলেছেন ঠিক তার সাথে সাথে খারাপ কাজের নিষেধ করার কথা বলেছেন। তাবলীগ কি তা পুরোপুরি করছে?
আর শুধু মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দাওয়াত দিলে সেটা দাওয়াত হয় না। ব্যাক্তি, পরিবার এবং সমাজে ভাল ভাল কাজের অনুশীলন করলে মানুষ তা অনুকরণ ও অনুসরণ করবে। আর এটাই প্রকৃত দাওয়াত। আল্লাহ মানুষকে হেদায়েত দান করুন।

১৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: তাবলীগ জামাত না থাকলে প্রত্যন্ত এলাকায় মসজিদের আযান শুনার বিষয়ে আজ সন্দেহ সৃষ্টি হয় বা নির্মিত মসজিদে মুসুল্লির বদলে গরু-ছাগলের খোয়ার হওয়ার বিষয়টি অনুমান করা যায়। পথ ও পথিকের কিছু ত্রুটি থাকলেও, বিবেকবোধ সম্পন্ন নিয়তের বিষয়ে অশ্রদ্ধা দেখানো কি একজন মুসলিমের পরিচয়?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র ভাই সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.