নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

"প্রত্যেক সত্ত্বাকে মৃত্যু আস্বাদন করতে হবে। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, নিঃসন্দেহে সে হল সফল। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়।" আল ইমরান,আয়াত ১৮৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রচলিত বর্বর ইসলামিক আইন-বাল্যবিবাহ : সম্পূরক পোস্ট [অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী]

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

অভিজ্ঞ ব্লগার উদাসী স্বপ্ন বর্বর ইসলামিক আইন (নাউযুবিল্লাহ) নিয়ে একটি গবেষনা লব্ধ পোস্ট দিয়েছেন, যেটি অনেককেই বিভ্রান্ত করতে পারে। মূল পোস্টঃ প্রচলিত বর্বর ইসলামিক আইন-বাল্যবিবাহ: বিজ্ঞান কি বলে? ইসলাম কি বলে? সমাজ কি বলে?-৩

বিভ্রান্তি থেকে বাচতে সাহায্য করার জন্য সম্পূরক পোস্ট হিসেবে আমার বক্তব্য পোস্ট আকারে দিলাম।

প্রথমতঃ, শিরোনাম দিয়েই আপনার পোস্টের গ্রহণযোগ্যতা মুসলিম ব্যাক্তিদের প্রতি নষ্ট করে দিয়েছেন ! প্রচলিত বর্বর ইসলামিক আইন, এটা কোন মুসলমানের কথা হতে পারে না ! আল্লাহ পাক যেটা বৈধ করেছেন, সেটাকে আপনি বর্বর আইন বলছেন, কত বড় ধৃষ্টতা ! নাউযুবিল্লাহ, আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাফ করুন এবং সহীহ বুঝ পেতে সাহায্য করুন।

ছোটবেলা বহু বিজ্ঞানীদের কাহিনী আমরা পড়েছি, তাই না? তাদের আবিষ্কার, থিওরী আমরা পড়েছি। কিন্তু দেখেন, আপনার মত বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা পিএইচডি করে আবার সেসব মহান বিজ্ঞানীদের সব থিওরী ভুল প্রমাণিত করে ফেলছে, রাইট?

ঠিক এমনি, আজ থেকে শত বছর পর, আরেক উদাসী স্বপ্ন এসে পোস্ট লিখবে যাতে উপরে যেসব বৈজ্ঞানিক জ্ঞান কপচাইলেন, সেগুলারে ভুল প্রমাণিত করে দেবে।

পবিত্র কুরআনের দ্বিতীয় যেই আয়াতটি আল্লাহ সুবহানাতা'লা নাযিল করেনঃ

خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ (2
সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে।
Created man, out of a (mere) clot of congealed blood:

এই আলাক্ব শব্দের ব্যাখ্যা বৈজ্ঞানিকরা কবে আবিষ্কার করেছে ??

এইবার আসি অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী প্রসংগে। বিবাহের অনুমতির প্রসংগে সুন্দর কইরা কুরআনের সূরা নূরের ৫৯ নম্বর আয়াতটারে চালায় দিলেন। অথচ এই আয়াত নাযিল হইছে, কারো গৃহে প্রবেশের অনুমতি প্রসংগে। এবং এইটা বুঝতে হইলে, তার আগের আয়াতগুলা থেইকা পইড়া আসতে হবে।

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لِيَسْتَأْذِنكُمُ الَّذِينَ مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ وَالَّذِينَ لَمْ يَبْلُغُوا الْحُلُمَ مِنكُمْ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ مِن قَبْلِ صَلَاةِ الْفَجْرِ وَحِينَ تَضَعُونَ ثِيَابَكُم مِّنَ الظَّهِيرَةِ وَمِن بَعْدِ صَلَاةِ الْعِشَاء ثَلَاثُ عَوْرَاتٍ لَّكُمْ لَيْسَ عَلَيْكُمْ وَلَا عَلَيْهِمْ جُنَاحٌ بَعْدَهُنَّ طَوَّافُونَ عَلَيْكُم بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ (58
হে মুমিনগণ! তোমাদের দাসদাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়নি তারা যেন তিন সময়ে তোমাদের কাছে অনুমতি গ্রহণ করে, ফজরের নামাযের পূর্বে, দুপুরে যখন তোমরা বস্ত্র খুলে রাখ এবং এশার নামাযের পর। এই তিন সময় তোমাদের দেহ খোলার সময়। এ সময়ের পর তোমাদের ও তাদের জন্যে কোন দোষ নেই। তোমাদের একে অপরের কাছে তো যাতায়াত করতেই হয়, এমনি ভাবে আল্লাহ তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ বিবৃত করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
O ye who believe! let those whom your right hands possess, and the (children) among you who have not come of age ask your permission (before they come to your presence), on three occasions: before morning prayer; the while ye doff your clothes for the noonday heat; and after the late-night prayer: these are your three times of undress: outside those times it is not wrong for you or for them to move about attending to each other: Thus does Allah make clear the Signs to you: for Allah is full of knowledge and wisdom.

وَإِذَا بَلَغَ الْأَطْفَالُ مِنكُمُ الْحُلُمَ فَلْيَسْتَأْذِنُوا كَمَا اسْتَأْذَنَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ (59
তোমাদের সন্তান-সন্ততিরা যখন বায়োপ্রাপ্ত হয়, তারাও যেন তাদের পূর্ববর্তীদের ন্যায় অনুমতি চায়। এমনিভাবে আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ তোমাদের কাছে বর্ণনা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
But when the children among you come of age, let them (also) ask for permission, as do those senior to them (in age): Thus does Allah make clear His Signs to you: for Allah is full of knowledge and wisdom.

وَالْقَوَاعِدُ مِنَ النِّسَاء اللَّاتِي لَا يَرْجُونَ نِكَاحًا فَلَيْسَ عَلَيْهِنَّ جُنَاحٌ أَن يَضَعْنَ ثِيَابَهُنَّ غَيْرَ مُتَبَرِّجَاتٍ بِزِينَةٍ وَأَن يَسْتَعْفِفْنَ خَيْرٌ لَّهُنَّ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ (60
বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না, যদি তারা তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে তাদের বস্ত্র খুলে রাখে। তাদের জন্যে দোষ নেই, তবে এ থেকে বিরত থাকাই তাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
Such elderly women as are past the prospect of marriage,- there is no blame on them if they lay aside their (outer) garments, provided they make not a wanton display of their beauty: but it is best for them to be modest: and Allah is One Who sees and knows all things.

আপনার জাহেলী কাজকারবার কি এইবার পরিস্কার হইছে? কি সুন্দর কুরআনের অপব্যাখ্যা কইরা দিলেন !

এইবার আসি শেষ কথায়। আপনেও পোস্টে কইছেন, ইসলাম কাউরে জোর করে নাই বাল্যবিবাহ করার জন্য। বাল্যবিবাহ করার অনুমতি যদি আল্লাহ পাক দিয়া থাকেন, তাইলে অবশ্যই সেইটা ভাল, বিনা বাক্য ব্যায়ে যে কোন মুসলমানকে সেইটা মাইনা নিতেই হবে। আল্লাহ পাক সকল ভুলের উর্ধ্বে, সেইটা যদি কেউ মাইনা না নিতে পারে, তাইলে সে মুসলমান থাকে কেমনে?

ঋতুবতী কিন্তু কম বয়স্ক কোন মেয়ের সাথে সহবাস করলে তার এসটিডি হইব, হ্যান ক্ষয় যাইব, ত্যান ক্ষয় যাইব খুব ভাল কথা। কিন্তু, আপনের পেয়ারের উন্নত দেশগুলা যখন এই পরিসংখ্যান দেয়, তাগ দেশের স্কুলের অধিকাংশ মাইয়ারাই ১০/১২ বছর হওনের আগেই কুমারীত্ব হারায়, অনেকে গর্ভপাতও করে, তখন কোন সমস্যা হয় না, খুব মজা লাগে, তাই না? রেফারেন্স আমার কাছে খুজবেন না, ইন্টারনেট ঘাইটা দেইখা লন।

আর সেই ভাইরাসে আক্রান্ত হইয়া এহন আমাগো দেশের পোলাপাইনও যখন লুকাইয়া লুকাইয়া মজা লুটতাছে, সেইটা খুব ভাল হইতাছে? ইংলিশ মিডিয়ামের পোলাপাইনের দেখাদেখি আমাগো বাংলা মিডিয়ামের পোলাপাইনও যখন উচ্ছন্নে যাইতেছে, তখন ঐসব এসটিডিওয়ালা পোলা-মাইয়াগরেতো পরে আমার আপনের পোলা মাইয়ারাই বিবাহ করব, নাকি?

অথচ আল্লাহ পাক এই ব্যাভিচারকে হারাম ঘোষনা করেছেন! আর এজন্যই বাবা মাকে সন্তান প্রাপ্ত বয়স্ক হলে এবং সুপাত্র-পাত্রী পাওয়া গেলে বিলম্ব না করে বিয়ে দিতে বলেছেন। বিয়ে শুধু সন্তান উৎপাদনের একটি পদ্ধতি নয়, এটি চরিত্র হেফাজত করার জন্য অত্যন্ত জরুরী ! এজন্য আল্লাহ পাক যারা বিয়ে করতে অপারগ/সামর্থ্যহীন, তাদের রোযা রাখতে বলেছেন, যাতে সে তার রিপুকে দমন করতে পারে। যদি বাবা-মা এই দায়িত্ব পালনে উদাসীন হন, তবে ছেলে মেয়ে যত ব্যাভিচার করবে, তার দ্বায়ভার বিচার দিবসে বাবা-মাকেও বহন করতে হবে। এই সন্তানই বলবে, হে আল্লাহ, আগে আমার বাবা-মায়ের বিচার কর। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, সুতরাং, মানুষের টেকনিক্যাল ফিচার বিজ্ঞানীদের চেয়ে আল্লাহ ভাল জানেন, আর সেই মতই নবী রাসূলগনের মাধ্যমে অপারেটিং ম্যানুয়াল পাঠিয়েছেন।

আলেমদের ব্যাখ্যা শুইনা আপনের জুতা মারতে মন চায়, অথচ পূর্ববর্তী ওলামা, ইমামগণের জীবনী পইড়া দেখেন, তারা ইসলামের জন্য কি পরিমান কুরবানী করছে। ফিকহি মাসয়ালা মাসায়েল বের করার জন্য তারা কতদিন ওস্তাদের দরজায় বইসা ছিল। আল্লাহর রাসূল(সঃ) বলছেন, "ওলামাগণ আম্বিয়াদের উত্তরাধিকারী"। কিসের উত্তরাধীকারী, টাকা পয়সার? নিজে ব্লগে বইসা কুরআনের অপব্যাখ্যা করতেছেন, অথচ আলেম ওলামাদের কথা আপনের ভাল লাগে না, জুতা মারতে ইচ্ছা করে ! কোন আলেম কইছে যে বাল্য বিবাহ করতেই হইব? যদি কোন ভাল মুসলিম বাল্যবিবাহ করে, তাইলে সে ঐটা বুইঝা শুইনাই করবে। আমাগো দেশে যারা বাল্যবিবাহ করে, তারা কেউ ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত হইয়া করে না। আরো ভালমত বললে, গ্রাম গঞ্জের অশিক্ষিত লোকজন এসব করে, খোজ নিয়ে দেখেন, এরা ইসলাম কতটুকু জানে বা বোঝে। খালি শুক্রবারে জুম্মার নামায পড়ার নাম ইসলাম না !

যাহোক, দোয়া করি, যাতে সঠিক রাস্তায় ফিরা আসতে পারেন। মানুষরে বিভ্রান্ত কইরেন না। যদি আল্লাহর উপর বিশ্বাস থাকে, মৃত্যু পরবর্তী জিন্দেগীতে বিশ্বাস থাকে, তাইলে আলেম ওলামাদের কাছে গিয়া দ্বীন শিখেন, খালি ইন্টারনেট থেইকা না ! ঘরে বইসা আর ইন্টারনেট ঘাইটাই যদি দ্বীনের পূর্নাংগ বুঝ পাওয়া যাইত, তাইলে আল্লাহ পাক রাসূলগণকে দুনিয়াতে পাঠাইতেন না! সব মানুষরে জন্মের সময় একটা ইউআরএল হাতে ধরায় দিতেন। টাইটেল থাকত, "হাউ টু লিভ ইন দুনিয়া"। দুনিয়াবী জ্ঞানও যদি সব নিজে পইড়া আর ইন্টারনেট দিয়া আসত, তাইলে দুনিয়ার তামাম স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হইয়া যাইত। লোকজন ঘরে বইসাই সব শিখা ফালাইত আর ডঃ ডিগ্রী লাগায়া নিত নামের আগে। অথচ চিন্তা কইরা দেখেন, ভার্সিটিতে একটা ক্লাস মিস হইলে সেই ক্লাস লেকচার সংগ্রহ করা আর ভাল ছাত্রদের কাছ থেইকা সেইটা বুইঝা নেয়ার জন্য কত পরিশ্রম করছিলেন?

হে আল্লাহ, তুমি আমাদের সবাইকে শয়তানের ধোকা থেকে বাচতে সাহায্য কর, আমিন।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটির জন্য। উনার রেফারেন্স এর বিপরীতে আপনি যে রেফারেন্স দিলেন, এখন দেখি উনি রিপ্লাই কি দেন। ধর্ম সম্পর্কে এতটা বিষদ জানি না। তাই আপনাদের মন্তব্য বিনিময় থেকে দেখি কোনটা সঠিক।

তবে একটা কথা বলতে চাই, গুগোল সবাইকে বিশেষজ্ঞ বানিয়ে ফেলছে। যার যে সম্পর্কে বিষদ জ্ঞান নেই। সেও গুগলের কল্যাণে নিজেকে মহা জ্ঞানী হিসাবে জাহির করে। তবে এই আকিহরে রোগটা ধর্মের ব্যাপারে না দেখালেই ভালো।

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র ভাই। খুব কষ্ট লাগে, যখন দেখি মানুষ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। এরা নিজেরাও জাহান্নাম কামাই করছে সাথে কিছু মানুষকেও ভুল পথে পরিচালিত করছে।

আমিও নিজেও কোন আলেম নই। দেশে থাকতে প্রতি সোমবার প্রফেসর হামিদুর রহমান স্যারের উত্তরা বাসা+মাদ্রাসায় দ্বীনি মজলিশে যাওয়া হত। এতে কিছু জ্ঞান লাভ করতাম। একবার ওখানে এক আলেম বলছিলেন, আল্লাহ পাক কুরআনে বলেছেন "সদিক্বিন" মানে সত্যবাদীদের সংগে থাকতে। এর দ্বারা ঈমান বাড়ে। আজকে আমরা সেটা বাদ দিয়ে অসৎ লোকের সাথে সময় ব্যয় করি আর শয়তানের ধোকায় পড়ে ইসলামের অপব্যাখ্যায় সময় ব্যয় করি। আফসোস!

আর ইদানিং কিছু ভ্রান্ত সম্প্রদায় এসেছে, যারা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছে, ইন্টারনেট থেকে বোখারি আর মুসলিম শরীফ পড়লেই দ্বীনকে পুরোপুরি জানা/বোঝা হয়ে যাবে। আসলে আলেম ওলামাগণকে অসম্মানকারী এসব লোকজন নিজেরাও গোমরাহ হচ্ছে, অন্যকেও গোমরাহীর দিকে আহবান জানাচ্ছে। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন, আমিন।

২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

সামুরাই_কাতানা বলেছেন: এদের কাছে বিয়াটা দোষের কিন্তু সেক্সটা দোষের না।

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সেটাই !

এদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বাচ্চাদেরকে কনডম সাপ্লাই দেয়া যাতে সহিহ সালামতে ব্যাভিচার করতে পারে !

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪

নৈশ শিকারী বলেছেন: আপনার পোস্টের সাথে সহমত, যার বিরুদ্ধে লিখেছেন তার মানসিকতার হিসেব করলে বোঝা যায় ব্যাভিচারকে জায়েজ করার জন্য তারা মুক্তমনার মুখোশ পড়েছে, কতটা বিকৃত মানসিকতা হলে সমাজের ধর্ষন ব্যাভিচারকে উস্কে দিয়ে বিবাহের মত পবিত্র বন্ধনকে বাল্য বিবাহের নামে নাজায়েজ করতে চায়?

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ আমাদের বিভ্রান্তি থেকে হেফাজত করুন, আমিন।

এরাই দেখবেন সমকামিতাকে জায়েজ করার জন্য লিখবে ! অথচ আল্লাহ তায়ালা জর্ডান আর ইসরাইলে সীমান্তে মৃত সাগর বা ডেড সি কে আমাদের সামনে দৃষ্টান্ত হিসেবে আজও রেখে দিয়েছেন, যেখান লূত(আঃ) এর সমকামী সম্প্রদায়কে পুরোপুরি মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হয়েছিল !

৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

নৈশ শিকারী বলেছেন: (আমিন) যথার্থ বলেছেন ভাই।

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র।

৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

জাদিদ বলেছেন: আমরা যারা জানতে চাই, তাদের জন্য মনে হয়, আলোচনা একটা পোস্টে হলেই বেশি ভালো হতো। কারন মন্তব্য প্রতিমন্তব্য থেকে অনেক কিছুই উঠে আসে। হ্যাঁ উনার পোস্টের শিরোনামটা হয়ত আপত্তিজনক, সেটা সেই পোস্টে আমিও যেমন বলেছি আরো অনেকেই বলেছে। আপনি সহ আরো অনেকেই আছেন এখানে যারা ধর্ম নিয়ে বেশ ভালো দখল রাখেন। তাদের উচিত হবে তুলনামুলক শান্ত মাথায় যে সকল প্রকাশিত মতের ব্যাপারে দ্বিমতের আছে তা পোস্টদাতাকে বুঝিয়ে বলা।
যৌক্তিক আলোচনাকে তো ধর্মেও স্বাগত জানানো হইছে।

বাই দা ওয়ে, আমি খুব একটা ভালো বুঝি না। তাই আমাকে একটু দেখিয়ে দিয়েন তো ঐ পোস্টের কোন অংশে ব্যভিচারকে সমর্থন করে কথা বলা হইছে বা বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে। শুধুই তো অল্প বয়সে বিয়ের ব্যাপারে বলা হইছে।

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাদিদ ভাই, সব কিছু মুখে বলে বোঝাতে হয় না ! কিছু জিনিস ইশারাতে বোঝা যায়। ঐ যে শোনেন নি, "সমঝদার কে লিয়ে ইশারাহি কাফি হ্যায়"!

আমাকে আপনি বলেন, ইসলামে কোথায় বাল্যবিবাহ করতে বলা হইছে? বরং, যেটা বলা হইচে, বিয়ের বয়স হলে এবং যোগ্য জীবন সংগী পেলে বিয়ে দিতে দেরী না করতে। এখন, এই বিয়ের বয়স ব্যাপারটা অবশ্যই আপেক্ষিক ব্যাপার এবং ইন্ডিভিজুয়াল এর উপর নির্ভরশীল। সবার ম্যাচুউরিটি এক সময় আসে না। বাবা মাকেই বুঝতে হবে, কোন সময়টা তার ছেলে বা মেয়ের জন্য বিয়ের জন্য উপযুক্ত। অবশ্যই সেখানে ছেলে/মেয়ের মতামতেরও ব্যাপার আছে। কিন্তু বাবা-মা তাকে অবশ্যই গাইড করবেন। পুরো ব্যাপারটা একটা বা দুইটা প্যারামিটার এর উপর নির্ভর করে না। কিন্তু, কেউ যখন ঢালাওভাবে বাল্য বিবাহকে ইসলামের আইন হিসেবে গুলিয়ে ফেলেন, তখন ব্যাপারটা সত্যিই আপত্তিকর। বোঝা যায়, যে এটা চুল্কানিপ্রসূত। আমরা তো আর এখনো ফিডার খাই না, তাই সহজেই বুঝতে পারি। আল্লাহ পাক কুরআনে বিধান বলে দিয়েছেন, সুতরাং, সেটা সঠিক, মুসলিম হলে সেটা মানতেই হবে। যেমনটা, আল্লাহ পুরুষদের ৪ জন পর্যন্ত স্ত্রী গ্রহণের অপশন দিয়েছেন, যদি স্বামী স্ত্রীদের উপর সমানভাবে ইনসাফ করতে পারে, বাধ্যতামূলক করে দেন নি। মানুষের সৃষ্টিতত্ত্ব অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা ভাল জানেন। এটা বিশ্বাস করার নামইতো ঈমান !

বর্তমানে সমাজে কি অবস্থা নিজেই দেখুন। ছেলে মেয়েদের আমরা এক প্রকার উৎসাহিত করছি যাতে দেরীতে বিয়ে করে। প্রতিষ্ঠিত হও, বাড়ি গাড়ি কর, তারপর বিয়ে কর। এই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সংগাটাকেও আমরা তাদের কাছে উচ্চাভিলাষী করে দিচ্ছি দিনকে দিন। ফলাফল, আরো দেরীতে বিয়ে। এই অবস্থা শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। চীনের অবস্থা জানেন? সেখানে ছেলের তুলনায় মেয়ে কম। আর যেসব মেয়ে উচ্চ শিক্ষিত, তারাও দেরীতে বিয়ে করতে চায়। ফলাফল, চীনে খুব কম মেয়েই আছে, যারা তাদের জীবনে অপহৃত হয় নি। ভিয়তনাম থেকে মেয়েদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় চীনের ছেলেদের চাহিদা মেটাতে ! চীনের এক সন্তান নীতিও অবশ্য সমস্যার মূল কারণ ! অধিকাংশ মায়েরাই তাদের মেয়ে সন্তানদের গর্ভপাত করে ফেলত !

যাহোক, এই বিষয়ে দীর্ঘ আলাপে যাব না। আপনার যদি ইচ্ছে থাকে, তবে এর মধ্যেই মেসেজটা বুঝে গিয়েছেন, দুই পোস্ট থেকেই। আর ইচ্ছে না থাকলেও শত বকলেও বুঝবেন না। ভাল থাকবেন।

৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

গোধুলী রঙ বলেছেন: আপনার পোস্টটি চমতকার, তবে যারা সুশীল প্রগতিবাদী তারা মুখোশধারী এবং বুঝে শুনে তেনা পেচাবেই।

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সেটাই, আল্লাহ এই মুখোশধারীদের মুখোশ খোলার তৌফিক দান করুন, আমিন।

৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অভিজ্ঞ ব্লগার বইলা উদারে সম্মান দেয়ার কোন মানে নাই, ও হইলো পোডোফিলিয়াক বাপ মায়ের ঘরে জন্ম নেয়া পায়ুপ্রেমী, যদিও বিরল তবুও ধারেকাছে গেলে নাক আটকাইয়া যাইয়েন। আর দেখেন অলরেডি কমেন্ট ব্লক কইরা দিছে নাকি আপনারে। যারে দেখলে ডরায় তারে এই শালা চুপিচুপি ব্লক কইরা দেয়।

এর ধারনা আইনস্টাইনও তেলাপোকা প্রজাতির, নিউটন তো আরো এমিবাও না। কোইত্থিকা যে পাশ দিছে? অল্পবিদ্যা আসলেই ভয়ঙ্করী।

ভালো কথা, যদিও আপনার সাথে অনেককিছুতেই দৃস্টিভঙ্গীর মিল হয়না। কিন্তু এই ব্যাপারে পরে বিস্তারিত কথা বলা যাবে। কিন্তু পোডোগুলার সাথে কোনো কথা নাই, উহারা মানুষ প্রজাতির হইলে কথা কওয়া যাইতো।

শুভকামনা রইলো। :)

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: শুভকামনা আপনার জন্যও। মতের মিল না থাকতেই পারে, কিন্তু ইসলাম সহাবস্থানই শিক্ষা দেয়... :)

৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আমি ব্যাপারটা দেখবো অন্যভাবে। আমি ভাই এতো আয়াত জানিনা, এতো পড়াশোনাও নাই। নিজের ভালোমন্দের জ্ঞান কাজে লাগাইতে চেস্টা করি। আমার মতে,

১। মানলাম ইসলাম বাল্যবিবাহ হালাল কইরা রাখছে, খুব ভুল করছে। আপনে আমারে অন্য আর একটা ধর্ম দেখান যেই ধর্ম বাল্যবিবাহ করতে মানা কইরা রাখছে কিংবা এজ লিমিট লাগাইয়া দিছে। তাইলে বর্বর খালি ইসলাম হইবো ক্যান, সবই তো তাইলে গনহারে বর্বর। কিন্তু উদা পোডোর মতো আবালগুলার খালি চুলকায় এই এক ইসলাম নিয়াই।

২। এরা ভাব ধরে এরা প্রকৃতি প্রেমী, দরদ উথলাইয়া পরে। প্রকৃতিতে আরো কত ধরনের প্রানী আছে, সক্ষম হওয়ার সাথে সাথেই রতি ক্রিয়া শুরু হইয়া যায়। মশামাছি থাইকা শুরু কইরা বাঘ ভাল্লুক পর্যন্ত, প্রকৃতিও কিন্তু এইভাবেই চলতেছে, কোনো সমস্যা নাই। সমস্যা খালি মানুষ একটূ আগাইত চাইলেই। আপনি কিন্তু এইখানে একটা কথা কইছেন, পশ্চিমে ১০-১২ না হইতেই লীলাখেলা শুরু কইরা দেয় পিচ্চি মাইয়ারাও, কিন্তু সর্বনাষ কেবল হইতেছে মুসলমান মাইয়াগুলারই। কি অসাধারন পর্যবেক্ষন এই সুতাকৃমিগুলার!

৩। ইসলাম আসছে ১৪০০ বছর আগে, আর আসার পরে কিন্তু বলেনাই বায়বিবাহই কর। কিন্তু সকল ধর্মের মানুষই সেই বহু আগ থাইকাই বাল্যবিবাহই কইরা আসতেছে। এমনকি মায়ের কোল থাইকা নামতে না নামতে বিয়ার পদ্ধতিও চালু ছিলো। নাস্তিক আস্তিক সবাই একই কাম করতো। আর দোষ হইলো কেবল ইসলামের? ইসলাম বাল্যবিবাহে মানা করেনাই, যেইটা কেউই করেনাই। আবার বাল্যবিবাহ কিন্তু বাধ্যতামুলকও করেনাই। আপনে কি করবেন আপনার ইচ্ছা। ইসলাম জোরাজুরির ধর্ম না।

৪। শরীর এবং মনের উপর বিরুপ এফেক্টই তো বাল্যবিবাহের বিপক্ষে আসল কারন ওদের মতে। একটু বয়স হইয়া বিয়ার পর কি কোন সমস্যা হয়না? ধরেন ৪০ বছরের বেশি হইলে সন্তান ধারন খুব বেশিরকম রিস্কি, তাইলে কি ৪০ বছরের পর বিয়া আইন কইরা মানা কইরা দিতে হবে? বিয়া মানা না করলেও অন্তত ওদের যুক্তিতে বাচ্চা নেয়া আইন কইরা নিষিদ্ধ কইরা দেয়া যাইতে পারে। আবার দ্যাখেন, এই যুগে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক বাচ্চা সিজারিয়ান হয় ঝুকির কারনে। এইগুলা যদি ঝুকি না নিয়া এমনি এমনি ডেলিভারী করতে যাইতো, তাইলেও তো এতোটা নিরাপদ ভাবারও কিছু নাই। বাল্যবিবাহ নাও যদি দেই, মানসিক নিরাপত্তা কিছুটা হয়ত সভব, কিন্তু সাস্থ্যগত নিরাপত্তা আসলে কতটূকু উন্নতির দিকে যাবে?

৫। আর এইদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাল্যবিবাহের মাত্রা খুবই কম। বাবা মা যা না দেয়, এই আকাশ সংস্কৃতির যুগে সিনেমা দেইখা, সিরিয়াল দেইখা, ঘননীল মুভি দেইখা পাগল হইয়া নিজেরা প্রেমে হারাইয়া পিচ্চিপিচ্চি পোলাপান পালাইইয়া আকাম কুকাম আর বিয়া নিজেরাই ক্রতেছে বেশি। এইটা ধর্মের দোষ না, ধর্মজ্ঞান যদি কিছুটা থাকতো তাইলে নৈতিকতা, ভালোমন্দের ব্যাপারগুল কিছু মাথায় থাকতো। এই হিসেবে ধর্ম, সেইটা ইসলামই হোক আর ইহুদী, এইসব আপাত অনাকাঙ্গিত ব্যাপারগুলা কমাইতোই।

আপাতত মাথায় যা আইলো হুটহাট উগড়াইয়া দিলাম আরকি। ধন্যবাদ

১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:০৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ শতদ্রু আপনার যৌক্তিক এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বোঝার তৌফিক দিন, আমিন।

৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৫৬

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ভাই , আপনার মন্তব্য পড়েছি ঐ ছাগলটার ব্লগে । এদের সব চুলকানি ইসলাম নিয়েই । আপনার সাথে সহমত ।

১০ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র ভাই, আল্লাহ আমাদের সবাইকে সরল পথ প্রদর্শন করুন, আমিন।

১০| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:০০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: এমনিতেই আমাদের দেশে শিক্ষিতের হার অনেক কম। তার উপর শিক্ষিতদের মধ্যে আবার শিক্ষিত গাধা আছে। এই শিক্ষিত গাধাদের সংখ্যা আবার দিন দিন বারতাছে। বিজ্ঞান আর ইতিহাস যদি কেউ রেডিও মুন্না বা এই ধরনের ছাগ্লাদের কাছে শিখতে যায় তাইলে অইগুলারে কি কওয়া যায়? নিশ্চিতভাবে রামছাগল! একই ভাবে ভণ্ড বক ধার্মিক এর কাছে কেউ ধর্ম শিখতে গেলে তারেও তো রামছাগল বলা যায়! তয় এইখানে আবার একটু তফাৎ আছে। বিজ্ঞান আর ইতিহাসের ভুল ব্যাখ্যার লাইগা রেডিও মুন্নারেই ছাগল বলা হয়, বিজ্ঞান আর ইতিহাসরে গাইল খাইতে হয় না। তয় কিছু উন্নতমানের রামছাগল একই কাজের জন্য বক ধার্মিকদের গাইল না দিয়া ধর্মরে গাইল দেয়। এই সব শিক্ষিত গাধাদেরও আমি মন খুইল্লা গাইল দেই। ছাগলের দল কাগজ কলমে শিক্ষিত হইলি তয় শিক্ষিত হইতে পারলি না। এই ছাগ্লাদের ভুল ধরাইয়া দিলেও অযথা ত্যানা পেঁচাইব আর ওদের মুল অস্ত্র গালি তো আছেই। গাধাদের আর যাই করা যাক মানুষ বানানো যাবে না।

১০ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রবাসী আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি আমাদের শয়তানের ধোকা থেকে হেফাজত করুন, আমিন।

১১| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:২১

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: ভাই খুব ভালো লাগলো ।এই বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা ছিলো না ।এখন আপনার ব্লগের সৌজন্যে জানতে পারলাম ।

১০ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র ভাই।

১২| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২১

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
এত অপপ্রচারের ভিড়ে জ্ঞানীও বিভ্রান্ত হতে পারে। যেমন অনেক মুসলমান এখন বিবি আয়শার কম বয়সে বিয়ে হবার হাদিসটা বিশ্বাস করেন না। যদিও সাইটিফিকাললি এতে কোন সমস্যাই নাই!!!!

১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম... :|

১৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:

ইসলাম আসছে ১৪০০ বছর আগে, আর আসার পরে কিন্তু বলেনাই বায়বিবাহই কর। কিন্তু সকল ধর্মের মানুষই সেই বহু আগ থাইকাই বাল্যবিবাহই কইরা আসতেছে। এমনকি মায়ের কোল থাইকা নামতে না নামতে বিয়ার পদ্ধতিও চালু ছিলো। নাস্তিক আস্তিক সবাই একই কাম করতো। আর দোষ হইলো কেবল ইসলামের? ইসলাম বাল্যবিবাহে মানা করেনাই, যেইটা কেউই করেনাই। আবার বাল্যবিবাহ কিন্তু বাধ্যতামুলকও করেনাই। আপনে কি করবেন আপনার ইচ্ছা।

১১ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ইসুন দোরস্ত মিগে (বান্দা ঠিক বলেছেন), ফারসিতে কইলাম... :)

১৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: বাল্যবিবাহ তো বাধ্যতামূলক নয়। যদি কখনও সিচুয়েশন ডিমান্ড করে তিহলে যেন ধর্ম বাঁধা না হয়ে দাঁড়ায় সোজন্য ওপেন রাখা হয়েছে। সেটার সত্যতা গ্রামের হাইস্কুলগুলাতে তাকালেই দেখা যায়। গত তিন বছরে কমপক্ষে পনেরটি মেয়ে সিক্স সেভেনে পড়াকালীন ছেলে বন্ধুর সঙ্গে ঘর ছেড়েছে...

১১ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, ওনার বা ওনাদের হইছে চুলকানি খাউজানি ! ওনারা জোর কইরা প্রমাণ করতে চায়, ইসলাম কইছে বাল্যবিবাহ করতে, শিশুকাম করতে !

তাইলে হয়ত কিছু ডলার বা ক্রোনা খয়রাত পাইব ! এনারা বুদ্ধি বেশ্যা ! করুণা !!

১৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:০৮

আমিভূত বলেছেন: পোস্ট দুইটাই পড়লাম এবং যার পর নাই হতাশ হলাম। একমাত্র "মুদ্‌দাকির" ভাইয়ের মন্তব্যই আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে।
প্রথমত লেখকের লেখার ভঙ্গী ছিল আক্রমণাত্মক পরবর্তীতে লেখকের বিপরীতে আপনার লেখাতেও তার আভাস পাচ্ছি :( :(
আপনার কাছ থেকে আরও ভালো লেখা এবং মন্তব্য আশা করি। একজন মুসলমান তার নিজের ক্রোধ সংবরণ করতে পারবে না তাতো হয় না ।

আশা করি বুঝতে পারছেন কি বুঝাতে চাইছি, ভালো থাকবেন ভাইজান।

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আমিভূত আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমি আপনার মেসেজটা পেয়েছি।

হুমম, আমি ইচ্ছে করেই ওনার টোনেই জবাবটা দিয়েছি, তবে শালীনতার সীমা হয়ত ছাড়িয়ে যাই নি, তারপরেও যদি ভুল ত্রুটি হয় আল্লাহ মাফ করুন।

মুদাককির ভাই নিজে ডাক্তার, তাই উনি সুন্দরভাবে উত্তরটি দিতে পেরেছেন।

তবে একটা ব্যাপার কি জানেন, এরা মূলতঃ সস্তা খ্যাতি আর পয়সার লোভে এসব করে, আসিফ মহিউদ্দিন কিন্তু সুন্দর জার্মানি গিয়ে বসে আছে, সে তার লক্ষে পৌছে গেছে। যারা এদের লেখা নতুন পড়ছে, তারা যাতে বিভ্রান্ত না হয়, সেজন্যই একটু কড়া জবাব দিতে চেয়েছিলাম। ভাল থাকবেন।

১৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০৭

আমিভূত বলেছেন: আমি বেশ কিছুদিন যাবৎ এই জিনিসটা নিয়েই লিখব ভাবছি কিন্তু আমার হাতে এখন আর লেখা আসে না তাই লেখা হয় না ।
বিষয়টা হল মন্দ কাজের খ্যাতি । যেমন ধরেন তার লেখাটা ছিল আক্রমণাত্মক সুতরাং সেটা ছিল বর্জনীয় কিন্তু আমি আপনি তার লেখার ভিউ বাড়িয়ে দিলাম , আমার মত মানুষ যারা লেখার টাইটেল দেখে এই ধরণের লেখা এড়িয়ে চলে তারা আপনার লেখা দেখে কিন্তু তার লেখা পড়তে গেলাম , এতে তার লাভই হচ্ছে মাঝখান থেকে আপনিও ক্রোধের বশবর্তী হয়ে কিছু কথা লিখলেন ।

এভাবেই আমরা প্রতিনিয়ত ফেসবুকে , ইউটিউবে , ব্লগে নেগেটিভ রেটিং এর জিনিসকে উচ্চ রাঙ্কিং এ পৌছে দিচ্ছি ।

ভবিষ্যতে এ নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে বিস্তারিত , দেখা যাক ।
ভালো থাকবেন :)

১২ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম, ব্যাপারটা সামনে মাথায় রাখব। জাজাকাল্লাহ খায়র।

তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করারও কিন্তু দরকার আছে, নয়ত যে কয়জন আমার পোস্ট না দেখেও ঐ পোস্ট দেখবে, তাদের মধ্যে অনেকেই বিভ্রান্ত হবে।

তবে এটা সত্য, ভাল জিনিসের প্রচারণাই বেশী দরকার।

১৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

বিষের বাঁশী বলেছেন: সুন্দর পোস্ট! ধন্যবাদ!

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক দিক আপনার লেখায় লিখেছেন , বাকি অনেক দিক কমেন্টে উঠে এসেছে। গালাগালি না দিয়ে যত আমরা যুক্তি জ্ঞানের মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে সমর্থ হবো তত ইসলামবিরোধীদের উপযুক্ত জবাব দেয়া যাবে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা আপু আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।

১৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১

দরবেশমুসাফির বলেছেন: গালাগালি না দিয়ে যত আমরা যুক্তি জ্ঞানের মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে সমর্থ হবো তত ইসলামবিরোধীদের উপযুক্ত জবাব দেয়া যাবে রেজওয়ানা আলী তনিমা।

একেবারে সঠিক । আল্লাহ্‌ আমাদের গালাগালি করতে নিষেধ করেছেন ও নরম ভাষায় কথা বলতে বলেছেন ।যারা গালাগালি করে ইসলাম প্রচার করতে চায় তারা ইসলামবিরোধীদের চেয়ে বেশি মূর্খ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ দরবেশমুসাফির, চেষ্টা থাকবে ইনশাল্লাহ।

২০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬

I am innocent 99% বলেছেন: আজ এ বিষয়টির সম্পর্কে কিছু হলেও জানলাম। ধন্যবাদ!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

সুলতানা রহমান বলেছেন: আমি যতটুকু জানি মহানবী (স) তাঁর মেয়েকে পনেরো তে বিয়ে দিয়েছেন, যেখানে আমাদের সরকার বিয়ের বয়স ষোলো করার চিন্তা করছে।
কার পোস্টের বিপরীতে এমন পোস্ট আমি জানিনা। এইটাই পুরোটা পড়লাম।
কিন্তু লিখায় কিছু কিছু শব্দ ব্যবহার আমার খারাপ লেগেছে, এবং কমেন্টে ও তাই।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

কোন পোস্টের প্রেক্ষিতে এটা লিখেছিলাম, সেটা পোস্টের একদম শুরুতেই বলা ছিল এবং লিংক দেয়া আছে। আবারো দিচ্ছিঃ Click This Link

পোস্টের লেখক সামুর একজন পুরনো এবং নামীদামী ব্লগার, ঐ পোস্টটি পড়লেই বুঝবেন কেন আমার পোস্টের ভাষা এরকম ছিল। উনি জ্ঞানী মানুষ, কিন্তু দুঃখজনক হল, ইদানিং ইসলামের অপব্যাখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার কাজে নেমেছেন।

যাহোক, পোস্টের শব্দ চয়ন নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আসলে মূল পোস্টের ভাষাটা এ ধরণেরই ছিল, তাই তাল মেলাতে গিয়েই কিছু ক্ষেত্রে ওরকম শব্দ চয়ন করতে হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.