নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

"প্রত্যেক সত্ত্বাকে মৃত্যু আস্বাদন করতে হবে। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, নিঃসন্দেহে সে হল সফল। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়।" আল ইমরান,আয়াত ১৮৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোরুজ ঘোরাঘুরি - শিরাজ নগরী দর্শন - ৩

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

সকালটা বেশ রৌদ্রোজ্জ্বই ছিল। রয়াল হোটেল শিরাজ এর ছয় তলার ডাইনিং রুম থেকে ভিউটা চমৎকার। এক দিকে পাহাড়, আরেক দিকে শহর। সপরিবারে নাস্তার উপর হামলে পড়লাম, বুফে নাস্তা বলে কথা। ইরানিদের সকালের নাস্তার একটা কমন আইটেম হল সাংগাক বা বারবারি খাওয়া বিভিন্ন ধরণের ক্রিম বা চিজ, টমেটো মিশ্রিত ডিম ভাজি দিয়ে। সাংগাক বা বারবারি হল দুই ধরণের রুটি, বানানোর প্রণালীর উপর এদের নামকরণ/স্বাদে ভিন্নতা আসে। ইরানের রাস্তায় সকাল হলে দেখবেন, অনেকেই লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে রুটির কেনার জন্য। বড় তাওয়ায় রুটি তৈরী হচ্ছে, পুরো প্রক্রিয়াটি হাত এবং মেশিনের সমন্বয়ে। এরপর লোকজন সেই রুটি হাতে করে অফিসের পথে হাটছে। পাশের দোকান থেকে কিনে নিয়েছে চিজ বা ক্রিম।

যেজন্য এত কথা বলা, রয়াল হোটেলের ডাইনিং এ দেখলাম ক্রিম, মধু আলাদা করে দিয়ে রেখেছে। সবসময় দোকান থেকে কেনা হানি ক্রিম খেয়েছি। কিন্তু ওখানে ফ্রেশ ক্রিম আর খাটি মধু দিয়ে নিজের হাতে হানি ক্রিম বানিয়ে সেটা দিয়ে সাংগাক খেতে দারুণ লাগল। রয়েছে হরেক রকম ফলের রস। সব মিলিয়ে জম্পেশ একটা নাস্তা হল। :)

এরপরই বেরিয়ে পড়লাম আমাদের প্রথম গন্তব্য “আর্গে করিম খান” বা করিম খানের দুর্গ। করিম খান ছিলেন জান্দ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনি শিরাজকে ১১৮০ সালে তার রাজধানী করেন। উন্নত ইরানের স্বপ্নদ্রষ্টা করিম খান শিরাজে অনেক সরকারি ভবন এবং মসজিদ তৈরী করেন। আর্গে করিম খান ছিল জান্দ রাজবংশের তৈরী সবচেয়ে বড় এবং অন্যন্যসাধারণ স্থাপনা যেটা ৪০০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে নির্মিত। আর পুরো কমপ্লেক্সেটি দাড়িয়ে আছে ১২৮০০ বর্গ মিটার জায়গার উপর। এর পর্যবেক্ষণ টাওয়ারগুলো ১৪ মিটার উচু। মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে দীর্ঘ পানির পুল।



দুর্গের ভেতরের কক্ষগুলোর দেয়ালে বিভিন্ন রকম টাইলস দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রুপকথা, ফুল, পাখি। দুর্গের ভেতরে এক কোনায় জায়গা করে দেয়া হয়েছে শিরাজের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প বিশারদদের জন্য। তারা সেখানে তাদের তৈরী শিল্পকর্ম প্রদর্শন ও বিক্রি করছেন। ছবিতে দেখুন এবার।


দুর্গের ভেতরে কারুকাজ




শাসন কাজে ব্যস্ত করিম খান জান্দ


রাতে আমরা রুদাকি স্টিটের হোটেলে ছিলাম। সেই আমলে রুদাকি স্ট্রিট !


প্রাচীন কালে কবি হাফিযের সমাধি


আর্গে করিম খানের ভেতরে


আর্গে করিম খান



আর্গে করিম খান থেকে বের হয়ে আমরা চলে গেলাম “সরাইয়ে মুশীর” এ যেটা ভাকিল বাজারের মধ্যে। এই ভাকিল কমপ্লেক্সে ভাকিল মসজিদ, হাম্মামখানা সহ আরো অনেক কিছু দেখার আছে। পুরো কমপ্লেক্সটাই অনেক পুরনো আর ঐতিহ্যবাহী। আর সরাইয়ে মুশীর মূলতঃ খুব দামী পুরনো ঐতিহ্যের আদলে তৈরী হস্ত শিল্পজাত পণ্যের দোকান পাট। ইরানে এসেছি, এ দেশীয় ঐতিহ্য যদি কিছু দেশে নিয়ে যেতে না পারি, তবে কেমন দেখায় বলেন? মন ভরে কিনতে হলে বাংলাদেশী টাকায় ৫/৭ লাখ টাকা নিয়ে যেতে পারলে ভাল হত। কিন্তু, সেটাতো আর সম্ভব না।




ভাকিল বাজার


ভাকিল মসজিদ

তবে যা কিনেছি তার মধ্যে সবচেয়ে দামী আইটেম ছিল এই নিচের ছবির মত ফিরুজি পাথরের ফুলদানী! মিডিয়াম সাইজ একটা কিনেছিলাম যার দাম পড়েছে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১২ হাজার টাকা।


সামনের বামে যে ফিরুজি পাথর খচিত ফুলদানি আছে সেটা কিনেছি

যাহোক, ভাকিল কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা চলে গেলাম ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এরাম বাগানে।

এরাম বাগান কবে তৈরী হয়েছিল এর সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানা না থাকলে ইতিহাস ঘেটে বোঝা যায় যে এটি সেলজুক সাম্রাজ্যের সময়কালে (১১ ~ ১৪ শতাব্দী) আহমেদ সানজার এর শাসনামলে তৈরী হয়েছিল। পরবর্তীতে এটাকে পুরনির্মান করেন জান্দ রাজবংশের রাজারা (১৭৫০ থেকে ১৭৯৪ সাল পর্যন্ত)। পরবর্তীতে এই বাগানটি গাসগাই উপজাতি প্রধান মোহাম্মদ গোলি খান এর মালিকানায় চলে যায়।
বর্তমানে এটি সিরাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানায় আছে এবং এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত বোটানিক্যাল গার্ডেন।

বাগানটি আসলেই সুন্দর, ছবিতেই দেখুন। বাগানে প্রচুর রাজহাস ছাড়া ছিল যেগুলো বিকট শব্দে ডাকছিল। এছাড়া কমলা লেবুর গাছও সেখানেই প্রথম দেখি।















এরাম বাগান দেখার পর আমাদের সেদিনের শেষ গন্তব্য ছিল “কুরআন গেইট” বা দারভাজে গোরআন। ফারসিতে এরা কুরআনকে গোরআন বলে থাকে। এটা আসলে ঠিক সিরাজ নগরীতে ঢোকার মুখেই। এই গেইটের পাশ দিয়েই আপনি টিকেট কেটে পাহাড়ের উপরে চলে যেতে পারবেন যেখান থেকে পুরো সিরাজ নগরী এবং আশে পাশের পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। ছবিতেই দেখুন।


দারভাজে গোরআন এ অবস্থিত কৃত্রিম ঝর্ণা




দারভাজে গোরআন এবং সিরাজ নগরী




সিরাজ নগরীর প্রবেশ পথে এই দারভাজে গোরআন


রাতের দারভাজে গোরআন

আমাদের পরের দিন বা শেষ দিনের গন্তব্য হল ইরানের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান “তাখতে জামশিদি” যেটা পেরসপোলিসে অবস্থিত, এরপর “নাগশে রোস্তাম” এবং সবশেষে পাসারগাদেতে অবস্থিত “সাইরাস দ্য গ্রেট” এর সমাধি!

নোরুজ ঘোরাঘুরি - শিরাজ নগরী দর্শন - ১
নোরুজ ঘোরাঘুরি - শিরাজ নগরী দর্শন - ২

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১

আরজু পনি বলেছেন:
পোস্ট পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল টিভি সিরিজ "শিরাজের পথে পথে" দেখছি :D

আমাদের জন্যেও চকলেট নিয়ে আইসেন #:-S

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: পোস্টেতো কোথাও চকলেটের কথা বলি নাই আপু... ;)

অসুবিধা নাই, নিয়ে আসব... :)

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

আরজু পনি বলেছেন:

কাহিনী কি ?
আমি কিন্তু ছবি এখনও দেখতে পাইনি...ছোট ছোট বক্স দেখাচ্ছে !
ছবি ছাড়াই লেখা পড়লাম ! B:-)

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আমি কিন্তু আমার ছবি দেখতে পাচ্ছি ল্যাপটপে আপু ! আর এই পোস্ট দিতে গিয়ে প্রথমে দেখি প্রথম পাতায় আসে না। পরে মুছে নতুন করে দিয়েছি। সামুর কারিগরি উন্নয়নের জন্য হচ্ছে কি না কে জানে !

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

জুন বলেছেন: জহির আসছি মন্তব্য করতে। আগে ভালো করে পড়ে নেই তারপর।
অনেকদিন পর সামুর একজন বিখ্যাত পর্যটক এর লেখা পেয়ে অনেক ভালোলাগা।
+

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপু, লজ্জা দিয়েন না, আপনার সাতে প্রতিযোগিতায় পারব না, কারণ, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই ! ;) :P

পড়ার জিনিস কম আছে, দেখার জিনিস বেশী ! জীবন কাটে আলোর গতিতে, তাই এই পন্থা... B-)

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

মোঃ-আনারুল ইসলাম বলেছেন: ছবি আমিও দেখতে পারছিনা, ঘটনা কি?

বর্ণনা ভালো হয়েছে।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনি কি মোবাইল না পিসি থেকে দেখছেন? আমি পিসিতে দেখতে পাচ্ছি সব ছবি।

ধন্যবাদ ভাই।

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।

কাজে ব্যস্ত ছবিটা দেখে বেশি ভাল লাগলো। ++

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই/বোন... :)

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩১

আরজু পনি বলেছেন:
এখন দেখা যাচ্ছে...শাসন কাজ আর দারভাজে গোরআনের ছবি বেশি সুন্দর ।
আর চকলেটের কথা পোস্টের কোথায়্ও নেই...কিন্তু যে দামী জিনিসের কথা বলেছেন তাতে আর কিছু চা্ওয়ার উপায় নেই...আচ্ছা একটা স্ট্যাম্প আর একটা ্ওই দেশি কয়েন আইনেন আমার জন্যে :D

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপু, ঐ ১২ হাজার টাকার ফুলদানিতো কিছুই না ! অন্যান্য যেসব আছে সেগুলোর দাম আরো বেশী ! আমি সস্তার উপর দিয়ে বউ এর শখ মিটিয়েছি! :|

কয়েনতো পকেটেই আছে, কিন্তু স্ট্যাম্প এর কথা বলেইতো বিপদে ফেললেন ! পোস্ট অফিসটা যেন কোথায়?? !! আর শেষ চিঠি লিখে পোস্ট করেছি কবে সেটাওতো ভুলে গেছি ! পাশের কলিগকে জিজ্ঞেস করলাম, পোস্ট অফিস কই? বলতে পারে না ! :P

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ছবি আর বর্ননা মিলে দারুন। ++

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ শতদ্রু ভাই... :)

৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫১

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: চমৎকার ++++++্ হবে :)

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: খেইলি মামনুন (অনেক ধন্যবাদ) :)

৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: শিরাজ নগরীতে গেলেন শেখ সাদীর কথা বললেন না!

পোস্টে যেন ইরানকে দেখছিলাম। খুব ভাল লাগল।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাইরে, আগের পোস্টেইতো সা'দীর কথা বলেছি ! পোস্টের শেষে দেখেন, লিংক দেয়া আছে... :)

১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

মধুমিতা বলেছেন: ৩ টি পর্বই একসাথে পরলাম। চমৎকার লেখা। সমাধী অথবা প্রসাদে তাদের শৈল্পিক কারুকাজ সত্যিই মনোমুগ্ধকর।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: যদিও জানি জীবনের ব্যস্ততার কারণে লেখনির মান অনেকটাই হারিয়েছি, তবুও আপনার ভাল লেগেছে দেখে খুব ভাল লাগছে... খেইলি মামনুন।

১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

সুমন কর বলেছেন: ছবি, বর্ণনা আর উপস্থাপন মিলিয়ে---চমৎকার একটি পোস্ট। ডিজিটাল ভ্রমণ করে নিলাম।
ধন্যবাদ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সুমন ভাই... :)

১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

আমিই মিসির আলী বলেছেন: Good job ;)

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: Thanks... ;)

১৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১০

জুন বলেছেন: বোটানিক্যাল গার্ডেনের ছবি দেখে মন ভরে গেল।
আর ওই ফিরোজা পাথর বসানো ফুলদানী কি আর আনা যাবে জহির :-*
গত বারেই প্লাস দিয়ে গেছি #:-S

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু, ফিরুজেহ পাথরের ফুলদানি আনার চেষ্টা করা যেতে পারে... ;)

১৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কখনো যাওয়ার সুযোগ হবে কিনা কে জানে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: নিয়্যত, চেষ্টা, দোয়া... মানুষের কাজ এই তিনটা, বাকীটা আল্লাহর ইচ্ছে... :)

১৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৮

নীলসাধু বলেছেন: চমতকার।
বেশ লাগলো।
অনেক কিছু জানা হল।
সুন্দর কিছু ছবি। সবমিলিয়ে দুর্দান্ত!

ধন্যবাদ জানবেন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ নীলসাধু ভাই।

১৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ভাইয়া। খুব ভালো লাগলো ছবিগুলো। ইরান এত সবুজ জানা ছিল না। ফুলদানীটাও খুব সুন্দর , তবে দাম শুনে টাসকি খেয়েছি।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা আপু।

এই ফুলদানিটাতো আসলে খুবই কম দামের বলতে পারেন। আমাদের এক বন্ধু আজকে ইরান ছেড়ে চাদের উদ্দেশ্যে (চাদ আফ্রিকার একটা দেশ) চলে গেল। ওর জন্য কিছু উপহার কিনতে গিয়েছিলাম গত পরশু। আড়ং টাইপের এক দোকানে গেলাম যেখানে হস্ত শিল্পজাত এসব পণ্য পাওয়া যায়। এক মিটার দৈর্ঘ্যের ছোট্ট একটা কার্পেটের দাম জিজ্ঞেস করলাম, বলে কি না ২০০০ ডলার ! চান্দি গরম হয়ে যাওয়ার অবস্থা! জিজ্ঞেস করলাম, এত দামের কারণ কি? বলে, সিল্কের তৈরী কার্পেট !

শেষ পর্যন্ত ওপরের ছবির মত কিছু হস্তশিল্পজাত উপহার কিনলাম ওর জন্য। আমার ঐ বন্ধু যে অফিসে কাজ করত, সেখানে নাকি ২ লাখ ডলার দামের কার্পেট ছিল একটা ! আমার পাশে বসা এক সহকর্মীও জিজ্ঞেস করছে আমাকে, তোমার বন্ধুর জন্য কার্পেট কিনতে পেরেছিলে? আলাপ শেষে বললাম, ইরান থেকে বাংলাদেশে ফিরে আমি বলব, "ইরানিরা অনেক অনেক ধনী"! :)

১৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ছবি ও বর্ণনায় হারিয়ে গেলাম।
পূর্বের পোস্টগুলোর প্রতি আকর্ষণ বোধ করছি :)

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা, আকর্ষনীয় মন্তব্য ! :#)

১৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


চমৎকার পোষ্ট +++

যাই শিরাজের পথে পথে ঘুরে আসি... :D

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জ্বি ভাই, ঘুরে আসুন, সময় পেলেই সিরাজ ভ্রমনের শেষ পর্ব যেখানে ইরানের অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন পেরসপোলিসের বর্ণনা এবং ছবি থাকবে, সেটা লিখে ফেলব। :D

১৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩২

জুন বলেছেন: আমেরিকা হাত মিলিয়ে ইরানকে খোঁড়া করে দিল!
ভেঙে দেওয়া হল তেহরানের ‘বিষ দাঁত’!
অদূর ভবিষ্যতে ইরানের পক্ষে আর পরমাণু অস্ত্র বানানো সম্ভব হবে না।
তুলনায় কম শক্তিশালী হলেও, তেহরানের ভাঁড়ারে তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়াম আইসোটোপের যতটা মজুত ছিল, তার প্রায় পুরোটাই ইরান থেকে রুশ জাহাজে চাপিয়ে সরিয়ে নেওয়া হল। এই মুহূর্তে বাজারে যার মূল্য দশ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
কয়েক মাস আগে ইরানকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই করিয়েছিল আমেরিকা ও রাশিয়া। তার শর্ত ছিল, তেহরানের ভাঁড়ারে পরমাণু অস্ত্র বানানোর জন্য জরুরি যতটা ইউরেনিয়াম মজুত রয়েছে, তার পুরোটাই ইরান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তার বদলে ইরানের ওপর থেকে তুলে নেওয়া হবে প্রায় এক দশক ধরে জারি থাকা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। যার ফলে, ইরান এ বার বিশ্বজুড়ে তার ইচ্ছা মতো দামে খনিজ তেল বেচতে পারবে। দেশে দেশে তেল রফতানি করতে পারবে তার মর্জিমাফিক পরিমাণে।
মজাটা এখানেই, একদা মস্কোর ‘বন্ধু দেশ’ ইরানকে পরমাণু অস্ত্রের নিরিখে ‘খোঁড়া’ করা হল তেহরানে মজুত ইউরেনিয়াম রুশ জাহাজে চাপিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়ে। আর সেটা যে সফল ভাবেই করা গিয়েছে, তার ঘোষণা করলেন মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতিশ্রুতি রাখতে ইরান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি করল।’’ যাদের জাহাজে চাপিয়ে ওই ইউরেনিয়াম তেহরান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেই রুশ পরমাণু সংস্থা ‘রোসাটম’-এর এক মুখপাত্র্ পরে ওই মার্কিন ঘোষণার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
গত সাত বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পর আগামী বছর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ইরানকে পারমাণবিক ভাবে ‘খোঁড়া’ করে দেওয়াটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিদেশনীতির সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।
সুত্র আনন্দবাজার
কি দুর্ভাগ্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জহির

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুম, আপু, ঠিক বলেছেন, দুর্ভাগ্যই বটে... মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অনৈক্যও এই দুর্ভাগ্যের মূলে আছে। :(

২০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা পোষ্টে ...।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপু সময় করে পোস্ট পড়ার/দেখার জন্য। :)

২১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

জুন বলেছেন: কোন জানাশোনা বই প্রকাশক আছে কি জহির?
দেখি আগামি কোন এক বছরে :)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জানা শোনা প্রকাশন মানে ?? !! আমি নিজেই আপনার বই প্রকাশ করব, আমিই প্রকাশক !! খালি আওয়াজ দেন !! ;) B-)) B-))

২২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

বিজন রয় বলেছেন: অসাম লাগল।
+++++++

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন ভাই। :)

২৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ইরান দেখবার ইচ্ছা আছে, জানি না আল্লাহ ভাগ্যে রেখেছেন কি না? পোষ্ট টা দারুন, কারন ছবি গুলো অসাধারন সুন্দর।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মুদদাকির ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.