নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...
খুবই সময়োপযোগি এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা। জনাব উবায়দুর রহমান খান নদভীর এই লেখাটি দৈনিক ইনকিলাবে ছাপা হয়েছে। আল্লাহ লেখককে উত্তম পুরস্কার দান করুন আর আমাদের সবাইকে সহীহ বুঝ দান করে ইসলামের নামে জংগীবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর তৌফিক দান করুন, আমিন। মূল লেখাটির লিঙ্কঃ
ইসলামী অঙ্গনে চিন্তার সন্ত্রাস
রাজধানীর উত্তরায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে দেশের প্রবীণ এক ইসলামী চিন্তাবিদ নতুন একটি বিষয় শুনতে পারলেন। সঙ্গে সঙ্গে ফোনে বিষয়টি আমাকে জানিয়ে নিজের দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জিজ্ঞেস করলেন, দুনিয়ার কোথায়ও এমন কথা কি কেউ কোনো দিন বলেছে না শুনেছে? আমি তাকে সান্ত¦না দিয়ে বললাম, এসব কথা যদি তারা সিরিয়াসলি বলে থাকেন তাহলে এসবই বহুল আলোচিত চিন্তার সন্ত্রাস, যা ইসলামের শত্রুরা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছে। জেনে না জেনে, বুঝে না বুঝে সরলমনা কিছু মানুষ এদের ফাঁদে পা দিচ্ছে। অল্প কিছু লোকই কেবল জেনে-বুঝে এ সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। আমার জানা নেই তারা কী ভেবে মুসলিম জাতির এত বড় সর্বনাশ করছে। তারা যদি প্রকৃত মুসলিম হয়ে থাকে তাহলে তাদের নিজেদের ভূমিকার পুনর্মূল্যায়ন অপরিহার্য। যদি তারা সাময়িক পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে তাদের তওবা করে ইসলামের মূলধারায় ফিরে আসা উচিত। অবশ্য তারা যদি মুসলিম পরিচয়ে অবিশ্বাসী কিংবা উম্মাহর শত্রুদের চর হয়ে থাকে তাহলে তাদের অনিবার্য পরিণাম সর্বশক্তিমান আল্লাহর কঠিন পাকড়াও যা থেকে কোনো দুশমনই রেহাই পাবে না।
নতুন বিষয়টি এবার খুলে বলি। তিনি শুনতে পেলেন, অনুষ্ঠান শেষে একজন ঘোষক বলছেন, আজ যারা নতুন মুসলমান হয়েছেন তারা পাশের কামরায় আসুন। আপনাদের সাথে নেতৃবৃন্দের বিশেষ আলোচনা আছে। তিনি ভাবলেন অনুষ্ঠানে হয়তো কোনো নওমুসলিম রয়েছে, তবে ‘আজ যারা মুসলমান হয়েছে’ কথাটি তাকে স্পর্শ করল। আয়োজকদের কাছে জানতে চাইলেন, আজ কখন এরা ইসলাম গ্রহণ করল, পূর্বে তারা কোন ধর্মের লোক ছিল, কারা তাদের কাছে দীনের দাওয়াত পৌঁছে দিলো ইত্যাদি। তখন তাকে যে জবাব দেয়া হলো তা শুনেই তিনি হতভম্ব, বাকরুদ্ধ ও মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পড়েন এবং আমাকে তার দুঃখবোধ জানাতে ফোন করেন। প্রশ্নের যে জবাব তাকে দেয়া হয় তা হলো, এরা পাঁচজন আগে হানাফি মাজহাবের অনুসারী ছিল, এখন তারা মাজহাব ত্যাগ করে মূল ইসলামে ফিরে এসেছে। তাই তাদের নতুন ইসলাম গ্রহণকারী বলা হয়েছে। এ ধরনের কথা শুনে ওই ইসলামী চিন্তাবিদ সেখান থেকে ভীষণ মনোকষ্ট নিয়ে ফিরে এলেন। ভাবলেন কী ভয়ঙ্কর চিন্তা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এ দেশের প্রায় শতভাগ মুসলমানই তো হানাফি ফিকাহর পথ ধরে ইসলামী অনুশাসনে বিশ্বাসী, উপমহাদেশের অন্তত ৭০ কোটি মুসলমান আর সম্ভবত বিশ্বের শতকরা ৯৯.০৯ ভাগ মুসলমানই স্বীকৃত চার মাজহাবের আলোকে ইসলাম ফিকাহ অনুসরণ করছে, তাহলে এরা কেউই কি মুসলমান নয়? নতুন এই ধারণার কাছে তো এদের কাউকেই মুসলমান মনে হবে না। মাজহাব ত্যাগ করেই তাদের নুতন করে মুসলমান হতে হবে। কী সর্বনাশা ধারণা। কত মারাত্মক এই মতবাদ। আমি তার ফোন পেয়ে বেশ কিছু দিন এ চিন্তাধারার প্রচারক গ্রুপটির ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে থাকলাম। বুঝলাম, এদের কেউই ইসলামের কোনো তাত্ত্বিক আলেম বা যথেষ্ট শিক্ষিত মাওলানা নয়। মুফতি বা মুহাদ্দিস নয়। এদের কেউ কেউ সাধারণ শিক্ষিত পেশাজীবী, কিছু ছাত্র তরুণ আর অল্প কিছু মহিলা প্রচারকও তাদের দলে রয়েছে। তারা বলে কোরআন-হাদিস থাকতে আবার মাজহাব কেন? যারা ইমাম আবু হানিফাকে মানে তারা (নাউজুবিল্লাহ) মুশরিক, মাজহাব ত্যাগ করে তাদের নতুন করে ইসলাম গ্রহণ করতে হবে ইত্যাদি। চিন্তা করে দেখলাম হয়তো এরা ইসলামের স্বাভাবিক ফিচারটি বুঝতে না পেরেই এমন আত্মঘাতী প্রচারণায় নেমেছে। আর নিজেদের অজ্ঞতার ফলে পৃথিবীর প্রায় দুইশ’ কোটি মুসলমানের বিরুদ্ধেই একটি চিন্তার সন্ত্রাস চালাচ্ছে। কিছুদিন আগে প্রচারিত সউদী আরব সরকারের একটি প্রজ্ঞাপনের কথা মনে পড়ল, যেখানে বলা হয়েছে যে, ইসলাম জগতে প্রতিষ্ঠিত রীতি ও ভাবধারা এবং পূর্ববর্তী ইমামদের আচরিত মাজহাবকে অস্বীকার করে নতুন যেসব চরমপন্থী চিন্তা মুসলিম সম্প্রদায়ের একশ্রেণীর মানুষের মধ্যে বিস্তৃত হচ্ছে এসব মূলত নাস্তিকতা ও ধর্মহীনতারই নামান্তর। এসব বিভ্রান্ত মানুষের উগ্র ভাবনাই সন্ত্রাসবাদের উদ্গাতা। মনে পড়ল, মধ্যপ্রাচ্যের মিডিয়ায় ক’বছর আগে প্রচারিত প্রতিবেদনের কথা। যেখানে মুসলিম জাতির অতীত ঐতিহ্য, ধর্মীয় প্রামাণ্য ব্যক্তিত্ব, মাজহাব, ফিকাহ, তরিকত ও প্রতিষ্ঠিত মুসলিম সংস্কৃতিকে অস্বীকারকারী একটি দল ইহুদি-খ্রিষ্টান চরমপন্থীদের পৃষ্ঠপোষকতায় মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে যারা ধর্মীয় অঙ্গনে ঐক্যবদ্ধ মুসলমান সমাজকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার কাজ করছে। ঘরে ঘরে, মসজিদ-মাদরাসায়, অফিস-আদালত-কর্মক্ষেত্রে, এমনকি পরিবারে স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মা, ভাই-বোন ও আত্মীয়দের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত মাসলা-মাসায়েল নিয়ে দ্বন্দ্ব-বিরোধ, দ্বিধা-সংশয় থেকে শুরু করে ঘৃণা-বিদ্বেষ পর্যন্ত সৃষ্টি করে চলেছে। দীর্ঘ প্রতিবেদনটি পড়ে আমার যা ধারণা হয়েছিল, বাংলাদেশে অনেক জায়গায়ই এর কিছু বাস্তব চিত্র চোখে পড়ায় একসময় তা সত্য বলেই মনে হতে লাগল।
এক সময় রাজধানীর বেশ কিছু দীনি মাহফিল ও স্টাডি সার্কেলে অনেকেই এমন সব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন যার সাথে আমরা কোনোদিনই পরিচিত ছিলাম না। ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, বারিধারা, বসুন্ধরার ঘরোয়া দীনি মাহফিলগুলোতে পূর্বপরিচিত সাবেক আমলা, ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও তরুণেরা অনেক সময় এমন সব বিষয়ে তর্ক জুড়ে দিতেও কুণ্ঠিত হন না, যে সম্পর্কে তাদের এক অক্ষরের তাত্ত্বিক জ্ঞান বা অধ্যয়নও নেই। ক্ষেত্র বিশেষে মহিলা মহলেও এমন ধারণাগত বিশৃঙ্খলা লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। গুটিকয় অপরিণামদর্শী অযোগ্য মানুষের অনধিকার চর্চায় ধর্মীয় চিন্তার জগতে এ নতুন সন্ত্রাস দেখা দেয়। এ ধরনের উগ্র চিন্তার সাথে ঐকতান সৃষ্টি করেন কিছু অবুঝ আলেম ও টিভি ভাষ্যকার, যারা এসব ইসলামবিরোধী চক্রের এজেন্ট বা সমর্থক না হয়েও নিজেদের জ্ঞানগত বৈচিত্র্য প্রচারের জন্য এদের সাথে গলা মেলানোর পন্থা অবলম্বন করেন। কিন্তু নিজেদের শান্তিপূর্ণ অতীত কর্মধারা, সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং নেহাত জ্ঞান-গবেষণাগত মতবৈচিত্র্যের রীতি-নীতি ভুলে গিয়ে তাদের অনেকেই শত্রুদের মতোই আচরণ শুরু করে দেন, যা মুসলিম জাতির জন্য বর্তমান সময়ের অন্যতম বৃহৎ ক্ষতিকর ফিতনা।
গত বছর মে মাসের শেষ দিকে সফরের সময় পবিত্র মক্কা ও মদিনায় বিশিষ্ট উলামা-মাশায়েখ, বিশেষ করে দুই মসজিদের ইমামগণসহ সউদী ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ আলেম, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের সাথে অনেকগুলো বৈঠকে শরিক হই। বিশ্বব্যাপী দেড় হাজার বছর ধরে চলে আসা সনাতন ইসলামের ভেতর একশ্রেণীর মানুষ যে উগ্রতার মিশ্রণ ঘটাচ্ছে, এ নিয়েও কথাবার্তা হয়। সে সময় পৃথিবীর নানা জায়গা থেকে সমাগত আরো প্রায় অর্ধশত ইসলামী চিন্তাবিদ ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব সেখানে ছিলেন। তারা সবাই এ সমস্যাটি নিয়ে কথা বলেন এবং ইসলামের স্বাভাবিক রূপ বিশ্বসমাজের সামনে উপস্থাপনের ওপর জোর দেন। দেশে ফিরে বিষয়টি নিয়ে সব পর্যায়ের ইসলামী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে মতবিনিময় শুরু করি। চিন্তার সন্ত্রাস ও আদর্শিক উগ্র পন্থা থেকে মানুষকে রক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা সবার মুখ থেকেই শুনতে পাই। অবশ্য কিছু লোক মধ্যপন্থা ও ভারসাম্যপূর্ণ নীতি থেকে দূরে সরে যাওয়াকেই যে কোনো কারণে বেছে নিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।
সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে অযোগ্যদের আস্ফালন। টিভি চ্যানেলের কিছু উপস্থাপক ও আলোচক এমনও আছেন যারা দুনিয়ার কোনো ভাষায় ইসলামের কোনো বিষয়েই দশ লাইন শুদ্ধ করে লিখতে পারবেন না। আরবীতে কোরআন, হাদিস, ফিকাহ, সুন্নাহ, মাজহাব, মাসআলা, জায়েজ না জায়েজ ইত্যাদি কোনো শব্দই লিখতে পারবেন না। কেউ লিখে দিলে বানান করে পড়তেও পারবেন না। শুদ্ধ করে কোরআন পড়তে বা আরবী টেকস্ট থেকে দু’টি হাদিস দেখে দেখে উচ্চারণ করতে পারবেন না। অথচ তিনি নির্দ্বিধায় রাস্তার পাশে বা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে সর্বরোগের তাবিজ কিংবা গাছের শিকড় বিক্রির মতো টিভি চ্যানেলে ধুন্দুমার লেকচার দিয়ে যাচ্ছেন। ইসলাম প্রচারক, পীর-আউলিয়া, উলামা-মাশায়েখ, মাজহাবের ইমাম, মুজতাহিদ থেকে শুরু করে লাখো কোটি মানুষের ইসলাম গ্রহণের মাধ্যম যুগ¯্রষ্টা ওলি-দরবেশরাও তাদের আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। ইসলামী উম্মাহর কোটি কোটি সদস্যের নামাজ হচ্ছে না, ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে, তারা মুশরিক হয়ে গেছে, তারা বিদআত করছে, এটা করা যাবে, ওটা করা যাবে না, নফল নামাজ পড়া যাবে না, দোয়া করা যাবে না, দরুদ পড়া যাবে না ইত্যাদি শুনিয়ে যাচ্ছেন। আর মানুষকে সংশয়, বিভ্রান্তি আর সন্দেহের সমুদ্রে নিক্ষেপ করছেন। মজার বিষয় হলো, কোনো শিক্ষিত ইসলামী ব্যক্তিত্ব বা তাত্ত্বিক আলেমের সাথে এরা আলোচনায় বসার যোগ্যতাও রাখেন না। এক কথায় এরা কোনো জ্ঞানী বিশেষজ্ঞের আলাপযোগ্য লোকই নন। তবে অনেক আলোচক ও উপস্থাপক রয়েছেন যারা যোগ্য ও প্রশংসনীয়। যারা সঠিক ট্র্যাকের ওপর থেকেই দর্শক-শ্রোতাদের দীনি জ্ঞান ও নির্দেশনা দেয়ার চেষ্টা করেন, কোনো বিভ্রান্তি ছড়ান না।
যেসব উগ্রবাদী ইসলাম জগতের মহান ইমামদের ‘মুশরিক’ বলে, যারা ‘মাজহাব’ অনুসারী শত কোটি মুসলমানকে ‘কাফির’ বলে এবং মাজহাব ত্যাগ করার পর তাদের ‘নতুন মুসলমান’ আখ্যা দেয় তারা কি মিসর, মক্কা, মদিনা, দামেস্ক, বাগদাদের বড় আলেমদের চেনে, যারা ইসলামী অনুশাসনের আলোচনা এলেই মহান ইমামদের নাম পরম শ্রদ্ধাভরে উল্লেখ করেন? তারা কি হানাফি ও হাম্বলী আলেমদের জানে, যারা সবসময়ই ইমাম মালেক, শাফেয়ীকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন? দুনিয়ার সব মাজহাবের ইমাম কিংবা নিজ ইজতেহাদে আস্থাবান ইমামরা কেমন সম্মান নিয়ে ইমাম আজম আবু হানিফাকে স্মরণ করেন তা কি এরা শুনেছে? কোন সাহসে তারা মহান ইমামদের গালমন্দ করে? কোন যুক্তিতে তারা প্রায় ১৫০০ বছর যাবৎ চলে আসা মাজহাবকে অস্বীকার করে? তারা কি মাজহাব বা ঐচ্ছিক বিষয়ে ব্যাখ্যার সুবিধা ছাড়া কোরআন-হাদিসের ওপর আমল করতে পারবে?
উগ্র পন্থার একটি ভয়াবহ রূপ হচ্ছে তাকফীর। নিজেদের মনগড়া ব্যাখ্যায় যে কোনো মুসলমানকে কাফির সাব্যস্ত করে তাকে ধর্মত্যাগী ঘোষণা ও হত্যা করা। এই তাকফিরী গোষ্ঠীর দর্শনে প্ররোচিত হয়ে লিবিয়া, সিরিয়া, মিসর, ইরাকসহ নানা জায়গায় মুসলমানরা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা করছে। আমাদের দেশেও জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস হাওয়া পাচ্ছে উগ্র পন্থা ও চিন্তার সন্ত্রাস থেকে। ১৫০০ বছরের স্বীকৃত, প্রতিষ্ঠিত ও শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় জীবনবোধই পারে উগ্র পন্থা থেকে উম্মাহকে রক্ষা করতে। ইসলামকে নতুন পরিচয়ে নয়, এর আদি ও আসল রূপেই বিশ্বাস, ধারণ এবং পালন করতে হবে। ধর্মে কোনো জোরজবরদস্তি নেই। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা নিষেধ, অতীতে বহু জাতি ধর্মীয় বিষয়ে সীমা লংঘন করে ধ্বংস হয়ে গেছে। এ হচ্ছে কোরআন ও হাদিসের বাণী। বিশ্বব্যাপী মুসলমানরাই এখন মূল আলোচ্য বিষয়। ইসলাম এখন একমাত্র আকর্ষণ। আগামী দিনের মানব সভ্যতার অনিবার্য গন্তব্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলাম। বিশ্বসভ্যতার মূল আদর্শ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা:। ইসলামকে তার ঐতিহ্য রীতি ও অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য-শক্তি নিয়ে এগোতে দিলেই প্রেম, শান্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলাম তার জায়গা করে নেবে মানব জাতির অন্তরে। মুসলমানদের থাকতে হবে স্বাভাবিক ও সহজ। সিরাতুল মুস্তাকিমের ওপর। সকল ক্ষেত্রে সচেতনভাবে পরিহার করতে হবে উগ্রতা, চরমপন্থা ও সন্ত্রাস। চিন্তার ক্ষেত্রে সন্ত্রাস বড় বেশি ভয়ঙ্কর। ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রতিষ্ঠিত রীতি ভেঙে উম্মাহ তার অভীষ্টে পৌঁছতে পারবে না। অতএব, শত্রুর ফাঁদে পা দেয়া যাবে না।
Copyright Daily Inqilab
©somewhere in net ltd.