নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

"প্রত্যেক সত্ত্বাকে মৃত্যু আস্বাদন করতে হবে। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, নিঃসন্দেহে সে হল সফল। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়।" আল ইমরান,আয়াত ১৮৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোভিড-১৯ সংক্রমণ এবং শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমার ভাবনা

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৩

করোনার সংক্রমন বাড়লে সবার প্রথমেই স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয় যেটার সাথে অনেকেই এখন দ্বিমত পোষন করেন। ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে এই জায়গায় বাড়তি নজর প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের প্রচন্ড মেধাবী কর্তা ব্যক্তিরা খুব আনন্দের সাথে এ কাজটি করে শিক্ষা ব্যবস্থার বারটা বাজাচ্ছেন! (সভা সমাবেশে আবার ১০০ জন পর্যন্ত অংশগ্রহণ করতে পারবে! বাণিজ্য মেলাও চলবে গাদাগাদি করে!) এর অবসান হওয়া খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজনে সব শিশুকে টিকা দিয়ে হলেও স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চালু রাখা দরকার। আর মাস্ক পরার বিধি বিধান যদি মানা হয় তবে সবচেয়ে ভালভাবে মানা হয় স্কুলগুলোতেই!

পাশাপাশি আমি আরো কিছু ব্যাপারে শিক্ষাবিদ এবং কর্তাব্যক্তিদের কাছে কিছু প্রশ্ন রাখতে চাই।

বিভিন্ন স্বনামধন্য স্কুল যেমন রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল, সেন্ট জোসেফ বা ক্যাডেট কলেজে এডমিশন টেস্টের জন্য যে কয়েক ক্লাস ওপরের পড়া বাচ্চাদের অনেকটা অত্যাচার করে পড়ানো হচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলোতে, মানে ক্লাশ ফাইভের একটা বাচ্চাকে ক্লাশ সিক্স, সেভেন বা এইটের অংক কষতে হবে, এটা আসলে শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য কতটুকু স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন? আদতে এতে জাতি কতটা লাভবান হচ্ছে? একটা বাচ্চার মেধা যাচাইয়ের জন্য তার যতটুকু পাঠ্য সেখান থেকেই প্রশ্ন করা বা পরীক্ষা নেয়াটাই কি যথার্থ নয়?

এভাবে ওভার টেলেন্টেড বাচ্চাদের বেছে নিয়ে স্কুলে ভর্তি করে এবং তারপর সেসব বাচ্চাদের নিজের পরিশ্রমের ফল (+ এক গাদা কোচিং/টিউটর এবং বাবা-মায়ের পরিশ্রম) দিয়ে স্কুলের মান মর্যাদা বাড়ানোর যে প্রাকটিস সেটা আসলে কতটুকু নৈতিক? পত্রিকা মারফত জানতে পেরেছি রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ ২৩ জন ছাত্র/ছাত্রীকে ছাড়পত্র দিয়েছে পরীক্ষায় ফেল করাতে!! এখানে কি স্কুলের দ্বায় নেই? উল্লেখ্য, গত বছর লটারিতে ছাত্র ভর্তি করাতে স্কুল শুধু মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচন করতে পারে নি!

আমার সন্তানরা মাইলস্টোন স্কুলে পড়ে, এখানেও পরীক্ষার ছড়াছড়ি, CT, MT, এরপর টার্ম পরীক্ষাগুলো!

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মনজুরুল ইসলাম স্যার বলেছিলেন, "আমাদের দেশে এখন আর কোন শিক্ষার্থী নেই, আছে শুধু পরীক্ষার্থী"... :(

এই শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে আমরা আসলে কি অর্জন করছি যেখানে ব্যবসাটাই মূখ্য ??

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৩

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: ১০০ জনে সমাবেশ করা যাবে অথচ স্কুল কলেজ বন্ধ তার মানে কি দাঁড়াল
মহান আল্লাহ কি আছেন বুঝি না--------------

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ সুবহানাতা'লাতো আমাদের বিবেক বুদ্ধি দিয়েছেন এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন এই দুনিয়ায়! এখন সেই বুদ্ধি আমরা কিভাবে ব্যবহার করি সেটাই হল কথা!

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০২

সাসুম বলেছেন: আমার বাচ্চার বয়স সাড়ে ৩ বছর। আমার বাচ্চাকে এখন থেকে কেজি স্কুলে প্লে বা নার্সারিতে দেয়ার জন্য তার মায়ের আর আমার রিলেটিভস এর ঘুম নেই। অথচ, আমার কথা এক্টাই। বাচ্চার বয়স ৫ হলে প্রাইমারিতে কেজি ক্লাসে ভর্তি করে দেব।

প্রাইমারি শেষ হলে সরকারি হাই স্কুলে চেষ্টা করব। মোদ্দা কথা, আমার বাচ্চাকে রোবট বানাতে দেব না। আমরা প্রাইমারি পাশ করে পুরা দুনিয়া চড়িয়ে খেতে পারলে আমার ছেলেও পারবে। শুধু নিজ সন্তান কে মানুষ বানাতে পারার চেস্টা টুকু থাকতে হবে।

শিক্ষাকে বাংলাদেশের সরকার আর ব্যবসায়ীরা একটা বিজনেসে রুপ দিয়েছে। এথেকে উত্তরণ আশু দরকার।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দোয়া করি আপনি যেন আপনার সিদ্ধান্তের ওপর অটল থাকতে পারেন। দেখবেন আশে পাশের লোকজনের প্ররোচনায় পারিবারিক কলহ শুরু হয়ে গেছে! যে সমস্যাতে আমিও আছি...

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮

মহিউদ্দিন হায়দার বলেছেন: স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও একটা সবারকাছে গ্রহনযোগ্য শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে পারেনি এই দেশের শাসকেরা সেখানে শিক্ষা ব্যবস্থা আর কতটুকুই বা গুরুত্ব পাবে??

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: :(

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩১

শায়মা বলেছেন: এক বছর থেকে দুই বছর আরও কত কত বছর যে এইবাবে গৃহবন্দী ক্লাস নিতে হবে কে জানে? শুধু বাচ্চারা কেনো টিচার এবং মা বাবাদের জন্যও এটা এক বিশাল চিন্তার বিষয় এখন।
এইভাবে অনলাইনে যা শেখানো যায় তার ৮০% বেশি রিয়েল স্কুলিং এ শেখানো সম্ভব। এ ছাড়াও কিছু কিছু জ্ঞান পিপাসু নিজ উদ্যোমী ছেলেমেয়েরা থাকে তারা হয়ত এই সময়টাকে কিছুটা বেশি ইউটিলাইজ করে কিছু বেশি শিখবে কিন্তু অধিকাংশ বাচ্চা তা করবে না।

এছাড়াও সোসালাইজেশন, একে অন্যকে দেখে শিখতে পারা, নিয়মানুবর্তিতা, ডেইলী রুটিন লাইফ এসব বদলে গিয়ে বিশেষ করে শিশু ও টিন এইজ বাচ্চাদের জন্য এই সময়টা আসলেই কি পরিমান ক্ষতিকর হলো তা মনে হয় বুঝার সাধ্য আমাদের কারোরই নেই।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: চরমভাবে সহমত আপু। বাচ্চারা সব ডিভাইসে আসক্ত এখন। ক্লাশ এর জন্য ডিভাইস দিতেই হয়। যে কথাগুলো বলেছেন, সেগুলো খুবই সত্য, বাচ্চাদের বেড়ে ওঠা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কর্তা ব্যক্তিদের সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ আছে বলে মনে হচ্ছে না... :(

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৬

শায়মা বলেছেন: বেছে বেছে বাচ্চা নেয়া ভর্তি করা এই নিয়ম কঠোর হস্তে দমন হওয়া উচিৎ। বাচ্চা সুস্থ্য স্বাভাবিক থাকলে তাকে নিতে হবে, কম বেশি জানা দিয়ে নয়। যদিও সিট সংখ্যার বাইরে নেবার সাধ্য স্কুলের থাকেনা।

এবং স্পেশাল চিলড্রেন যদি থেকে থাকে তার জন্য বিশেষ সিলেবাস ও অন্যন্য ব্যবস্থা থাকতে হবে। আমার মনে হয় এমনই হওয়া উচিৎ।

স্কুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা দেওয়াই তার কাজ। পরীক্ষা নিয়ে কতটুকু জানে বা নিজেরাই ভালো রেজাল্ট করতে পারবে এটা ভেবে ভর্তি করানো এটার কোনো মানেই নেই। তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখানোর কি মূল্য থাকলো?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সেটাই! কিন্তু আমাদের স্কুলগুলোর কর্তা ব্যক্তিরা এখন সেলিব্রেটি হওয়ার নেশায় বুঁদ হয়ে আছেন! ১০০% জিপিএ ৫ নিয়ে বাচ্চারা হই চই করবে আর পত্রিকায় সেই ছবি ছাপবে আর স্কুলের নাম উঠবে, এটাই এখন মূল লক্ষ!

আবার অভিভাবকরাও সেই নামের পেছনে ছুটতে গিয়ে বাচ্চাদের জান তেজপাতা করে দিচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবতা হল, নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা চান্স পায় তাদের অধিকাংশই এসব সেলিব্রেটি স্কুল-কলেজের বাইরে থেকেই আসে...

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: শিক্ষাখাত হলো ব্যবসা। এরচেয়ে দুঃখজনকজ আর কি আছে !

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সঠিক নেতৃত্ব থাকলে হয়ত এর থেকে উত্তরণের একটা উপায় থাকত ... :|

৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৬

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার শেষ পয়েন্ট থেকে শুরু করি, উচ্চশিক্ষা ব্যবসার মাধ্যম এখন প্রায় পৃথিবীর সমস্ত দেশে। তবে বাংলাদেশে এই বাণিজ্য একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু হয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এই খোলা - এই বন্ধ করা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারকদের যে সিদ্ধান্ত, তার কারন, একমাত্র শিক্ষাখাতই আছে - যাতে যেকোনো সিদ্ধান্তে খুব কার্যকরী প্রতিরোধ করে না কোন পক্ষই। একমাত্র সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কখনো রুখে দাঁড়ায়। কিন্তু বৃহদার্থে ঐ প্রতিরোধ কোন পরিবর্তন আনে না।

ভালো স্কুলগুলোর কঠিন অ্যাডমিশান টেস্ট নিয়ে বয়স্ক বাচ্চা ভর্তি করানোর ট্রেন্ড তো অনেক পুরনো। ভালো স্কুলগুলোতে ভর্তি করানো নিয়ে বাবামায়েদের যে ইঁদুর দৌড়, তা থেকে তারা খানিকটা পিছিয়ে এসে নিজেরা যদি নিজেদের সন্তানদের শিক্ষাদীক্ষা - বেড়ে ওঠার দায়ভার কিছুটা গ্রহন করেন, পর্যবেক্ষণ করেন, সময় দেন, ঐ তথাকথিত ভালো স্কুলের স্কুলিং থেকে অনেক বেটার স্কুলিং সাধারণ স্কুলে পড়েও সন্তান লাভ করতে পারে।

আমি নিজে খুব সাধারণ একটা স্কুলে পড়াশোনা করেছি পুরাণ ঢাকার। আমার ক্লাসে যারাই ফার্স্ট সেকেন্ড হতো, তারা হয় সেইন্ট গ্রেগরিজ, বা আইডিয়াল স্কুলে ভর্তি হতো। আমি বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি স্কুল থেকে পাশ করে পরে ঢাকা কলেজ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়েছি। এখন দেশের একটি সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি। তথাকথিত ভালো স্কুল - কলেজের প্রচুর শিক্ষার্থী আমি আমার ক্লাসে পাই, যাদের তেমন উপযুক্ত কোন মানসিক বিকাশের লক্ষণ তারা ক্লাস পার্টিসিপেশন, বা পারফর্মেন্সে দেখাতে পারে না।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
উচ্চ শিক্ষা বিদেশে ভাল ব্যবসা, সেটা অজানা নয়। কিন্তু আমাদের দেশে সেই অনাচার শুরু হয় একেবারে প্রি প্লে গ্রুপের নামে! এটা বন্ধ করার জন্য দরকার যোগ্য নেতৃত্ব আর সঠিক প্রশাসক।

বাবা মায়েদের এই ইঁদুর দৌড়ে নামানোর পেছনে এই শিক্ষা ব্যবসায়ীদের অনেক দ্বায় আছে। এরা বড় ক্লাশের পড়া পড়িয়ে, বড় বড় বুলিতে বাবা-মায়েদের (যারা অধিকাংশই ভীতু এসব ব্যাপারে) ব্রেইন ওয়াশ করেছে এর এই ধারাগুলো সমাজে চালু করেছে। বিশেষ করে মায়েরা উদ্ভ্রান্তের মত কোচিং সেন্টারগুলোতে বাচ্চাদের নিয়ে ছুটে বেড়ান!

৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: শায়মা বলেছেন ,এছাড়াও সোসালাইজেশন, একে অন্যকে দেখে শিখতে পারা, নিয়মানুবর্তিতা, ডেইলী রুটিন লাইফ এসব বদলে গিয়ে বিশেষ করে শিশু ও টিন এইজ বাচ্চাদের জন্য এই সময়টা আসলেই কি পরিমান ক্ষতিকর হলো তা মনে হয় বুঝার সাধ্য আমাদের কারোরই নেই।


সব জেনেশুনেও কেন বাংলাদেশ উলটা পথে হাটছে প্রশ্ন সেটাই।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: এর মূল কারণ, আমরা হুজুগে বাংগালী!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.