![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজধানী ঢাকায় অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির পেছনে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে যুবক-যুবতীদের মধ্যে বিয়েবহির্ভুত সম্পর্ক। অর্থাৎ লিভ টুগেদার’। বাঙালি সমাজে পাশ্চাত্যের তথাকথিত এই সভ্যতার অনুপ্রবেশ ঘটায় লিভ টুগেদারে মধ্যবিত্ত ঘরের যুবক-যুবতীরাই বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
গ্রাম থেকে আসা কর্মজীবী অনেক নারী-পুরুষ ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বছরের পর বছর বসবাস করছেন। এদের তালিকায় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থীও রয়েছেন। সমাজবিজ্ঞানীদের গবেষণা ও দীর্ঘ অনুসন্ধানে ফুটে উঠেছে এই চিত্র।
সমাজবিজ্ঞানীরা স্বীকার করছেন, পাশ্চাত্য দুনিয়ার ওই ধারণা অনেকটা সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকায়। কেস ষ্টাডি-১. এ রকম এক জুটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। একই বিভাগে, একই ক্লাসে পড়তেন। গভীর বন্ধুত্ব তখন থেকেই। দু’জনই মেধাবী। রেজাল্টও ভাল। বন্ধুটি এখন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
বান্ধবী পিএইচডি করছেন, এখনও শেষ হয়নি। থাকছেন বনানী এলাকার একটি অভিজাত ফ্ল্যাটে। ফ্ল্যাটটিও নিজেদের। লিভ টুগেদার করছেন। নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিয়ে করবেন না। দু’জনই চেষ্টা করছেন ইউরোপের একটি দেশে যেতে। তাঁরা দুজনই বিত্তবান ঘরের সন্তান।
কেস ষ্টাডি-২. বন্ধুটির বাড়ি ফেনীতে, বান্ধবীর ঢাকায়। শাহানা তাঁর নতুন নাম। এ নামে কেবল জর্জই তাকে চেনে। জর্জকে ওই নামে অন্য কেউ চেনে না। এটা শাহানার দেয়া নাম। একে অপরকে দেয়া নতুন নামেই তাঁরা বাড়ি ভাড়া নেন রাজধানীর উত্তরায়। দুজনই চাকরিজীবী। এক সময়ে চাকরি করতেন একই সংস্থায়।
সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা। এখন তারা চাকরি করছেন পৃথক দু’টি বৈদেশিক সাহায্য সংস্থায়। উচ্চ বেতনে চাকরি। অফিসের গাড়ি। শাহানা ইংরেজি সাহিত্যে এমএ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
জর্জ পড়াশোনা করেছেন ভারতের নৈনিতালে, বিজ্ঞান অনুষদের একটি বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা নিয়েছেন। বছর পাঁচেক আগে ঢাকায় ফিরে চাকরি নিয়েছেন। লিভ টুগেদার করছেন। বিয়ের প্রতি আগ্রহ নেই তাদের।
শাহানা ইউরোপ-আমেরিকায় পাড়ি জমাতে চান। সেখানে তাঁর পরিবারের বেশির ভাগ লোক বসবাস করছে। শাহানার চিন্তা বিয়ে মানেই একটি সংসার, ছেলেমেয়ে, স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি। এখনই এগুলোর কথা ভাবতে গেলে তাঁর ক্যারিয়ার হোঁচট খাবে, বিদেশে যাওয়া না-ও হতে পারে।
এ কথাগুলো তিনি খুলে বলেছেন জর্জকে। জর্জ রাজী হওয়ায় চার বছর তাঁরা একসঙ্গে থাকছেন। খাওয়া-দাওয়ার খরচ দু’জনে মিলে বহন করেন। সব কিছুই হয় দু’জনে শেয়ার করে। মনোমালিন্য হয় না তা নয়, হয় আবার তা মিটেও যায়। এভাবেই চলছে চার বছর ধরে।
কেস ষ্টাডি-৩. একটি মেডিকেল কলেজের শেষবর্ষে পড়াশোনা করছেন তাঁরা। বসবাস করছেন ধানমন্ডির একটি ফ্ল্যাটে। ছেলেমেয়ে দুজনই ধনাঢ্য পরিবারের। দু’বছর ধরে লিভ টুগেদার করছেন। পড়শিরা জানে, স্বামী-স্ত্রী। অন্যদের সঙ্গে সেভাবেই নিজেদের পরিচয় দেন।
কেস ষ্টাডি-৪. যশোরের একটি গ্রাম থেকে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে এসেছেন ওঁরা। পরিচয় তাদের স্কুল থেকে। ঢাকায় এসে প্রথম দু’বছর দু’জন থাকতেন আলাদা বাড়ি ভাড়া করে। এখন দু’জন মিলে থাকছেন একই বাসায়। ভাড়া দেন দু’জনে শেয়ার করে। গত এক বছর ধরে লিভ টুগেদার করছেন তাঁরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাম্প্রতিককালে ঢাকায় আশঙ্কাজনকহারে লিভ টুগেদারের সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকার প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজগুলোর ছাত্র-শিক্ষক,
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এমনকি সাধারণ কর্মচারীরা পর্যন্ত লিভ টুগেদার করছে। শোবিজে লিভ টুগেদার এখন সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। জাতীয়ভাবে পরিচিত শোবিজের অনেক স্টার এখন লিভ টুগেদার করছেন।
দেশব্যাপী পরিচিত দু’জন নৃত্যশিল্পীর লিভ টুগেদারের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট শোবিজে। একজন পরিচিত কণ্ঠশিল্পী গত পাঁচ বছর ধরে লিভ টুগেদারের পর আপাত বিচ্ছেদ ঘটিয়ে এখন থাকছেন আলাদা। শোবিজের নাট্যাঙ্গনের চার জোড়া নতুন মুখ লিভ টুগেদার করছেন বছরখানেক ধরে।
তাদের পরিচিত ও নিকটজনরা জানেন তাদের লিভ টুগেদার সম্পর্কে। নিজেদের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে তাঁরা কেউ আপাতত বিয়ের কথা ভাবছেন না। শোবিজে ছেলেমেয়ে উভয়ের উচ্চাসনে যাওয়ার পথে বিয়েকে একটি বড় বাধা মনে করেন তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত দুই তিন বছরের মধ্যে ঢাকায় লিভ টুগেদারেরও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগে লিভ টুগেদারের বেশির ভাগ ছিল সমাজের উচ্চস্তরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে। এখন লিভ টুগেদারের প্রবণতা বেড়েছে মধ্যবিত্ত সমাজে।
সদ্য গ্রাম থেকে এসে ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া ছেলেমেয়েরা লিভ টুগেদার করছে। কেবলমাত্র পড়াশোনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছেন; কিন্তু কাঙিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি- এমন অনেক মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা ঢাকায় লিভ টুগেদার করছেন।
ঢাকার একটি নামকরা মেডিকেল কলেজের একজন শিক্ষার্থী আজকের বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন- তাঁর জানা মতে, তাঁদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কম করে হলেও এক শ’ জোড়া ছেলেমেয়ে লিভ টুগেদার করছে। বিষয়টি তাদের কাছে ওপেন সিক্রেট হলেও কেউ কাউকে নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন না। ওই শিক্ষার্থী লিভ টুগেদারকে খারাপ কিছু মনে করেন না। তাঁর ভাষায় দু’জনের মতের মিলেই তাঁরা লিভ টুগেদার করেন। এখানে অপরাধ কিছু নেই।
ঢাকার ঐতিহ্যবাহী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ ক’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা লিভ টুগেদার করছেন। তাদের লিভ টুগেদারের কথা জানে তাদের অনেক ছাত্রও। ওই শিক্ষকদের একজন তাঁর এক নিকটজনের কাছে বলেছেন, লিভ টুগেদারকে তিনি বরং গর্বের বিষয় মনে করেন।
ঢাকায় লিভ টুগেদার করছেন, বর্তমানে বসবাস করছেন গুলশান এলাকায়। চাকরি করেন একটি বিদেশি সাহায্য সংস্থায়। এর আগে তাঁর কর্মস্থল ছিল পাপুয়া নিউগিনিতে। তিন বছর ধরে ঢাকায় আছেন।
লিভ টুগেদার করছেন তাঁরই এক সহকর্মী নারীর সঙ্গে। ওই ভদ্রলোক এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা দু’জনই বাংলাদেশি। তবে আমাদের কর্মক্ষেত্র আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে পোস্টিং হয়। এখন বাংলাদেশে আছি, এক বছর পর অন্য কোথাও যেতে হতে পারে। সে কারণে আমরা দু’জনই ঠিক করেছি লিভ টুগেদার করতে।
এছাড়া, লিভ টুগেদারের ধারণা খারাপ নয়, আমরা কেউ কারও বোঝা নই, আইনি বন্ধনও নেই। কারো ভাল না লাগলে তিনি একসঙ্গে না-ও থাকতে পারেন। এতে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই।
ঢাকায় লিভ টুগেদার করছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে এ প্রবণতার কিছু কারণ জানা গেছে। তাদের মতে, যে সব মেয়ে নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করে, নিজেদেরকে ইউরোপ-আমেরিকা বা দেশের অভ্যন্তরে প্রতিষ্ঠিত করতে চান । তাঁরা এখনই বিয়ে করে ছেলেমেয়ের ভার নিতে চান না। টানতে চান না সংসারের ঘানি। ওইসব মেয়ে নিজেদেরকে বিবাহিত বলে পরিচয় দিলে তাদের ক্যারিয়ার গড়তে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করেন।
আবার এমন অনেক ছেলেও আছেন, যারা ওই সব মেয়ের মতো ধারণা পোষণ করেন না; তারা কেবলমাত্র জৈবিক কারণে লিভ টুগেদার করছেন। অর্থবিত্তে বা চাকরিতে প্রতিষ্ঠিত এমন অনেকে লিভ টুগেদার করছে কেবলমাত্র সমাজে তাঁর একজন সঙ্গীকে দেখানোর জন্য, নিজের একাকিত্ব ও জৈবিক তাড়নায়।
অনেকে বিয়ের প্রতি প্রচণ্ড রকম অনাগ্রহ থেকেও লিভ টুগেদার করছেন। ঢাকা শহরের একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতির কন্যা ঢাকায় লিভ টুগেদার করছেন একজন বিদেশি নাগরিকের সঙ্গে। ওই শিল্পপতির কন্যার প্রথম বিয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে সংসার জীবনের পাট চুকিয়ে এখন বিদেশি নাগরিকের সঙ্গে লিভ টুগেদার করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় ব্যাপক হারে বেড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছেলেমেয়েদের লিভ টুগদোর। ওয়েস্টার্ন সোসাইটির প্রতি এক ধরনের অন্ধ আবেগ ও অনুকরণের পাশাপাশি জৈবিক চাহিদা মেটাতে তারা লিভ টুগেদার করছেন। আবার ঘন ঘন তাদের লিভ টুগেদারে বিচ্ছেদও ঘটছে। সহসা আলাদা হয়ে যাচ্ছে। ঘটছে খুনের মতো অপরাধ।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত এক বছরে রাজধানীতে দশটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশি অনুসন্ধানে শেষ পর্যন্ত বেরিয়ে এসেছে ওইসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল লিভ টুগেদারের বিড়ম্বনা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খুনের শিকার হয়েছেন মেয়েরা। দেখা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এরা বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন।
এক পর্যায়ে মনোমালিন্য বা মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাঁকে খুন করে পালিয়েছেন ছেলেটি। চলতি বছর জুলাই মাসে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় খুন হয় সুরাইয়া নামের এক যুবতী। তিনি চাকরি করতেন একটি বেসরকারি সংস্থায়।
তাকে খুন করে বাসায় লাশ রেখে বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে চলে যায় যুবক সুমন রহমান। পরে জানা যায়, প্রায় বছর খানেক ধরে লিভ টুগেদার করতেন সুমন ও সুরাইয়া।
এপ্রিল মাসে এক অজ্ঞাত তরুণীর লাশ পাওয়া যায় গাজীপুরের শালবন এলাকায়। পুলিশি অনুসন্ধানে জানা যায়, উত্তরা এলাকায় একটি বাড়িতে দুই-তিন বছর ধরে এক যুবকের সঙ্গে তিনি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া থাকতেন। মে মাসে রাজধানীর গুলশান এলাকায় বাসার ভেতরে এক তরুণীকে খুন করে পালিয়ে যায় ঘাতক। তারাও ভাড়া থাকতো স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে।
মে মাসে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে এক তরুণীর গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, ঢাকার একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ওই তরুণী লিভ টুগেদার করতেন তাঁরই এক বন্ধুর সঙ্গে। মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে মনোমালিন্য শুরু হয় তাদের মাঝে। শেষে মেয়েটিকে খুন করে পালিয়ে যান বন্ধুটি।
গত বছরের ১ নভেম্বর র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন ম্যারেজ মিডিয়ার দুই পার্টনার। ফরিদপুর শহরের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে একই শহরের আরেকটি মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে লিভ টুগেদার করছেন। পারভীন নামের মেয়ে ও আরিফ নামের ছেলেটি অকপটে স্বীকার করেছেন- তারা লিভ টুগেদার করছেন এবং এক সঙ্গে ম্যারেজ মিডিয়ার ব্যবসা করছেন।
ঢাকাতে লিভ টুগেদার বেড়ে যাওয়া সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শাহ এহসান হাবীব বলেন, বর্তমান গ্লোবালাইজেশনের প্রভাবে নানা ধরনের মুভি সিনেমাডকুমেন্টারি আমাদের সমাজমানসে পাশ্চাত্য জীবনের নানা দিক প্রভাব ফেলছে, অনেকে সেটা গ্রহণ করছে।
তার সঙ্গে আমাদের সমাজে ইন্ডিভিজ্যুয়াল বা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের চিন্তা ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। সে কারণে লিভ টুগেদারের সংখ্যা বাড়ছে।
অধ্যাপক ড. শাহ এহসান হাবীব বলেন, এছাড়া অনেক যুবক-যুবতী এখন ফ্যামিলিকে একটা বার্ডেন মনে করেন, বিয়েকে তাঁদের ক্যারিয়ারের অন্তরায় মনে করেন। দেখা যাচ্ছে, এরা বিয়ের চেয়ে লিভ টুগেদারকে বেশি পছন্দ করছেন। এতে তাদের জৈবিক চাহিদাও মিটছে আবার সামাজিক নিরাপত্তাও পাচ্ছেন। তাঁরা সুখে দুঃখে একজন আরেকজনের সঙ্গী হচ্ছেন।
মধ্যবিত্তদের লিভ টুগেদারে আগ্রহী হয়ে ওঠা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে এখন বাড়ি ভাড়া একটি বড় সমস্যা। বাইরে থেকে পড়তে আসা বা চাকরি করতে আসা যুবক বা যুবতীকে বাড়ির মালিক আলাদা আলাদা বাড়ি ভাড়া দিতে চান না। সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে এক সঙ্গে থাকছেন, লিভ টুগেদার করছেন।
এতে তাদের জৈবিক চাহিদাও মিটছে আবার সামাজিক নিরাপত্তাও থাকছে। আবার অনেক ছেলেমেয়ে মনে করছেন, লিভ টুগেদার করে কয়েক বছর কাটিয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তাঁরা আবার অবিবাহিত পরিচয়ে সমাজে ফিরে যাবেন, যাতে সমাজে তাদের মর্যাদা ঠিক থাকে।
অধ্যাপক ড. শাহ এহসান হাবীব বলেন এতে সমস্যাও হচ্ছে। সমাজে এক ধরনের অপরাধপ্রবণতা তৈরি হচ্ছে। কোনো কারণে বনিবনা না হলে খুন হয়ে যাচ্ছেন মেয়ে বা ছেলেটি।
আরো পড়ুনঃ
যে জেলার মেয়েদের বিয়ে করলে সংসার সুখের হয় !
হাসি দেখে চিনে নিন নারী
জেনে নিন কোন জেলার মেয়েরা কেমন? Woman of Bangladesh
মাত্র ৭ দিনে ওজন কমান ৪-৫kg
ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনে রাজধানীতে দেহ ব্যবসা
Visit my amazing blog: http://beb24.blogspot.com
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮
দখিনা বাতাস বলেছেন: আমার কাছে আগে এইগুলা বিশ্বাস হতোনা। মনে হতো মিডিয়া বেশি লেখে। কিন্তু কিছুদিন আগে সলিমুল্লাহ মেডিক্যালের এক স্টুডেন্টকে বলতেই, সে এমন একটা ভাব করলো যেন আমি ১৭১৩ সালের মানুষ। তাদের মেডিক্যালেই পড়াশুনা করে এমন অনেকগুলা কাপল নাকি আছে যারা লিভটুগেদার করে। ঢাকায় পরিবারের সাথে থাকা ছেলেমেয়েগুলা এই ব্যাপারটা কম করে। বেশী হয় ঢাকার বাইরে থেকে যারা আসে তাদের মাঝে। বাসা ভাড়া, খাওয়া- সব তারা ২জন শেয়ার করে। অনেক নাকি সুবিধা : P
৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১২
তাসজিদ বলেছেন: এই লেখা মনেহয় আপনার না। আপনার না হলে সোর্স উল্লেখ করা উচিৎ
৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
গুগলরকস বলেছেন: চুইদিও তো লিভ টগেদার করতো ফোনে
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
হাসিব০৭ বলেছেন: পাপ এই দেশটাকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে।
পাপ কখনও পিছু ছাড়ে না একদিন না একদিন সে তার বদলা নিতে আসবেই