কান্না ও কসম

২৬ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আমি কাঁদবো না; আর কাঁদবো না আমি

আমার বাবার বৃদ্ধাশ্রমের চিঠি পড়ে কাঁদবো না

পোয়াতি বৌয়ের পেটের ব্যাথার চিৎকার শুনে কাঁদবো না

ছেলের লালায় ভেজা বিস্কুট কুত্তায় খেলে কাঁদবো না

ঘরের চালা ফুটো হয়ে জল গড়ালে কাঁদবো না

আমার বাবার কসম, পোয়াতি বৌয়ের কসম, ন্যাংটা ছেলের কসম

ফুটো চালের কসম- আমি আর কাঁদবো না।



জাতীয়ভাবে কবিতা লেখা নিষিদ্ধ হলে কাঁদবো না

রফিক আজাদ ভাত না পেয়ে মানচিত্র খেলে কাঁদবো না

হেলাল হাফিজ ফুটপাতে কষ্ট বেচলে কাঁদবো না

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নিখিলেশের সাথে জীবন বদলালে কাঁদবো না

বাংলাদেশের আপাদমস্তক নষ্টদের অধিকারে গেলে কাঁদবো না

কবিতার কসম, রফিক আজাদের কসম

হেলাল হাফিজের কসম, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কসম

নষ্টের ও স্পষ্টের কসম- আমি আর কাঁদবো না।



অষ্টপ্রহর দুচোখ বয়ে অশ্রু গড়ালে কাঁদবো না

হাসপাতালে যাবার আগেই এ্যাম্বুলেন্সে জখম কবির

অক্সিজেন-কার্বন ডাই অক্সাইড চক্র বন্ধ হলে কাঁদবো না।



শুধু নাম বলবনা, এমন এক মানবীর চোখে

যদি কোনদিন দেখি অশ্রুর একটি পরমানু-

তাহলে আমার এই পৈত্রিক জীবনটার কসম

পৃথিবীর তিনভাগের দুইভাগ জলই সেদিন

জলোচ্ছ্বাস হয়ে ধেয়ে আসবে আমার চোখে।



এই ভেবে আমার কলম মুখ লুকিয়ে হাসে-

সেই মানবীর নামটা নন্দিনী হলে এত ক্ষতি কিসে?

১ টি +১/-০