নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুমন নিনাদ

বাংলা ও বাংলাদেশ- আমার ভাগফল, আমার ভাগশেষ

সুমন নিনাদ

সুমন নিনাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাত্তরে উপহার পেয়েছি স্বাধীনতা,পঁচাত্তরে শূন্যতা

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭



আমি ব্যক্তিগতভাবে বর্তমান বাংলাদেশের সিংহভাগ রাজনীতিক ও তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শকে সমর্থন কিংবা শ্রদ্ধা করতে পারিনা। কারণ মুখে অনেকেই বড় বড় কথা বলেন, দেশপ্রেমের তুবড়ি ছোটান কিন্তু আড়ালে দেখি তাদের সবারই জিহবা দিয়ে ক্ষমতা আর চেয়ারের লোভে লালা ঝরে। মঞ্চ কাঁপানো প্রতিশ্রুতি, নিজেদের স্তুতি আর অন্যদের বিষেদাগার শুনে শুনে কান ঝালাফালা হয়ে গেছে। আবার অনেকেই আছেন জনসম্মুখে নিজেদেরকে প্রবল দেশপ্রেমিক ফলান, কিন্তু গোপনে গোপনে আবার তাদের সাথে এক ঘাটেই জল খান। ইংরেজীতে এদের হিপোক্রেট বলা হয়, আরবীতে খুব সম্ভবত মুনাফেক কিন্তু বাংলা ভাষায় এদের সঠিক বিশেষণ আমি আজও খুঁজে পাইনি।



আজ আমি তাদের কথা বলব না, আজ বলব বঙ্গবন্ধুর কথা। হয়ত আমি রাজনীতিকদের মত গুছিয়ে বলতে পারবোনা। হয়ত অন্নদাশঙ্কর রায় কিংবা নির্মলেন্দু গুণের মত সাজিয়ে দুই লাইন কবিতাও লিখতেও পারবোনা। “শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণী” গেয়ে হয়ত আপনাদের রোমকূপে শিহরণও আনতে পারবোনা। আমার এই অপারগতাকে আপনারা ক্ষমা করবেন।



শুধু একটা কথা-

You need not to be a Muslim to stand for Palestine; you just need to be a human being.

You need not to be Awamileaguer to love Bangabandhu; you need to be a Bangladeshi.





তাঁকে আমি চোখে দেখিনি। আমার জন্মের এগার বছর আগেই তাঁকে সমূলে পৃথিবী থেকে নৃশংসভাবে উৎপাটন করা হয়। আমার বাবা চাচাদের কাছে তাঁর গল্প শুনেছি। আমি তাঁকে বইয়ে পড়েছি। আমি তাঁর সম্মোহনী ভাষণ শুনেছি। তাঁর নাম আমার সামনে উচ্চারিত হলে আমার শরীরের প্রতিটি ধমনী ও শিরায় এক অভূতপূর্ব আলোড়ন বয়ে যায়। তাঁর সম্মোহনী ভাষণ শুনলে আমার প্রতিটি রোমকূপ যেন শায়িত অবস্থান থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে “জয় বাংলা” বলে শ্লোগান দেয়। ১৫ আগস্ট এলে টেলিভিশনে যখন নির্মমভাবে সেই রাতের ধারাবর্ণনা প্রচার করে, আমি অনেক সংগ্রাম করেও আমার অশ্রুনদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধ করতে পারিনা।



এই হল আমার কাছে বঙ্গবন্ধু। বাঁকি অনেকের মত বলবনা উনি আমার আত্মীয়, আমার বাড়ি গোপালগঞ্জেও না, আমার চৌদ্দ পুরুষে কেউ কোনদিন রাজনীতি করেছেন বলেও শুনিনি। তাহলে আমার কেন এমন হয়?



“জয় বাংলা” নামক একটি অলৌকিক শ্লোগান দিয়ে তিনি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নিষ্পেষিত একটি জাতিকে এক কাতারে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছিলেন বলে? কৃষকের লাঙ্গলের হাল, মাঝির লগি-বৈঠা আর লাঠিয়ালের লাঠি খেলার লাঠি দিয়ে ট্যাঙ্ক আর মেশিনগানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেও যে স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব- এটা সত্য হয়েছিল বলে? এই দেশের মানুষকে সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বপ্ন তিনিই প্রথম দেখিয়েছিলেন বলে? তাঁর আগে কেউ কি এতটা চিৎকার করে বলেছিলেন “আমি বাংলার মানুষের অধিকার চাই”? একজন মানুষ এতটা দৃঢ়চিত্ত, এতটা ত্যাগী, এতটা আবেগী, এতটা সরল, এতটা মহান, এতটা ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এর আগে জন্মেছিলেন কি এই দেশে?



বড্ড বেশী অসময়ে হায়েনারা তাঁকে বিদায় করে দিয়েছে। একাত্তরে তিনি জাতিকে উপহার দিয়েছেন স্বাধীনতা, আর পঁচাত্তরে উপহার দিয়েছেন শূন্যতা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩

মামুন রশিদ বলেছেন: একাত্তরে তিনি জাতিকে উপহার দিয়েছেন স্বাধীনতা, আর পঁচাত্তরে উপহার দিয়েছেন শূন্যতা।

একমত ।

এই মহান মানুষটির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৭

সুমন নিনাদ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৮

সুমন নিনাদ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.