![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের পূর্বপুরুষের ইতিহাস কি আমাদেরকে উটপাখি হবার শিক্ষা দেয়? নবাব সিরাজ বলেছিলেন কি আমাদের উটপাখি হতে? কিংবা সূর্যসেন, ক্ষুদিরাম বোস, তিতুমীর বা ইলা মিত্ররা শিখিয়েছেন কি? অথবা সালাম বরকত রফিক জব্বারেরা? শেখ মুজিব কি তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণে কোথাও বলেছিলেন- তোমরা যে যেখানে যেভাবে আছো, মাথা গুঁজে আঁকড়ে থাকো- বাংলার আকাশ একদিন শকুনমুক্ত হবেই-সেদিন তোমরা উটপাখিরা মন খুলে আকাশে উড়তে পারবা। ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ আর দুই লাখ সম্ভ্রম বিকিয়ে আমরা কি তবে উটপাখির মানসিকতা কিনলাম? কিংবা সাতাশির সেই উত্তাল নভেম্বরে দানবের বুলেটের সামনে উন্মুক্ত বক্ষ চেতিয়ে দেয়া সেই নুর হোসেন কি আমাদের উটপাখি হতে বলে গিয়েছিলেন?
খুব সম্ভবত উপরের ঝাঁঝালো প্রশ্নগুলোর পেলব উত্তর হল-না। আমাদের পূর্বপুরুষের ইতিহাস অন্যায়ের কাছে মাথা না নোয়াবার ইতিহাস। আমাদের পূর্বপুরুষের ইতিহাস বুলেটবৃষ্টিতে রক্তাক্ত হবার, কিন্তু তবুও আপোষ না করার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু তাই খুব গর্ব করে সেদিন বলতে পেরেছিলেন, “আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবাইয়া রাখতে পারবেনা।”
কিন্তু তবুও আমরা উটপাখি হলাম। এবং কখনও কখনও গোল্ডফিস। রবিঠাকুর বলেছিলেন, “সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি।" আমি বলব, হে বাংলাদেশ- সাড়ে ষোল কোটি মানুষকে উটপাখি আর গোল্ডফিস বানিয়ে রাখলে, বাঙালি বানালে না। আমরা এখন অন্যায় দেখি, অবিচার সহি। আমাদের কোন বিকার নাই। সামান্য উহ! আহ! করি। আবার সেই আটটা পাঁচটা অফিস করি। যানজটে ঘামি। হরতাল হলে বউ নিয়ে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে আরামে ঘুমাই। কী চমৎকার আটপৌঢ়ে গোল্ডফিস জীবন আমাদের! হঠাৎ আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পরিমান কমে গেছে। এই শিরা ধমনীতে আর বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়না। বরং স্বার্থপর উটপাখির কিংবা ভুলোমনা গোল্ডফিসের শীতল রক্ত প্রবাহিত হয়। আমরা কাপুরুষতার পূজা করছি। এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নপুংসক হতে শিক্ষা দিচ্ছি।
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৪
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: একমত ভ্রাতা ।
ভালো থাকবেন ।
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
মামুন রশিদ বলেছেন: একমত ।
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২২
সুমন নিনাদ বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা সবাইকে
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২১
আহমাদ ইবনে আরিফ বলেছেন: সহমত