নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নভেলার মাঝি...

সুপান্থ সুরাহী

কবিতার প্রেমে অক্ষরের সঙ্গে শুরু হয়েছিল ঘরবসতি। এখন আমি কবিতার; কবিতা আমার। শব্দচাষে সময় কাটাই...

সুপান্থ সুরাহী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঝিলিকের ঝলক [ছোট গল্প]

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩২

ঝিলিকের ঝলক



_

_

উত্তরের শৈত্য প্রবাহের তীব্রতায় কালচে হয়ে আছে পিনুর ত্বক। খুপরির পাশে তরু, পলাশ আর ছোট বোন টুকিকে নিয়ে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করছে পিনু। জ্বালানি হিসেবে আছে রাস্তায় পরিত্যাক্ত কাগজ। কুয়াশায় ভেজা কাগজগুলোতে আগুন ধরছে না। বেশ কসরত করেও পিনু পারছেনা আগুন জ্বালাতে। টুকি বলল “থাক ভাই চল ঘরে যাইগ্যা।”

-ঘরে গিয়া কিতা করবি? হেইনও তো হেই ঠান্ডাই। তার চে’ চল ইস্টিশনে গিয়া মাইনষের মইধ্যে বইসা থাহি। মাইনষের গরমে আমরারও গরম লাবগব।

-তুই কেমনে জানসরে মাইনষের ভীড়ের মধ্যে থাকলে গরম লাগব? বলল তরু।

-কেন কাইল নূর স্যারে কইছিন; হুনসস না? স্যার কইছিল মানুষের ভীড়ের মধ্যে শীত কম লাগে। বুঝজস তরু?

- হহ্ বুঝছি চল তাইলে ইস্টিশনেই যাই।

চারজনই একসাথে স্টেশনের প্লাটফর্মের দিকে যাত্রা শুরু করে।



ময়মনসিংহ রেলওয়ে বস্তির বাসিন্দাদের মধ্যে এই চারজনই একটু আলাদা ধরণের। কোন চুরি-চামারিতে বা ঠকবাজিতে নেই ওরা। বস্তিবাসীরা এই দলটাকে ভালবেসে নাম দিয়েছে সন্নাসি কাব। এদের মধ্যে পিনুই সবার বড়। বুঝেও সবার চেয়ে একটু বেশি। ‘ঝিলিক শক্ষা পরিবার’-এর সান্ধ্যকালীন স্কুলের সেরা শিক্ষার্থী এই চারজন।



স্টেশনে আজ প্রচন্ড ভীড়। বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ে গোলমালের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ আজ সারাদিন। দেশের নানা জায়গায় যেতে আসা যাত্রীদের দুর্ভোগ এখন চরমে। চারপাশে হকার আর ক্যানভাসারের ব্যাস্ত সময় কাটছে। এমন সময় রেল স্টেশনে আসে বস্তির এই চারজন।



-এত্ত মানুষ কেনরে ভাই? বলল টুকি। সাথে সাথে তাল মিলাল তরু আর পলাশ।

-পিনু বলে কি জানি জানিনা তো! এত্তো মানুষ স্টেশনে থাকার কথা না রে। চল বই মামাকে জিগাই। ওরা সাথী গ্রন্থ বিতানের শ্যামল দত্ত কে বই মামা বলে ডাকে।

- হহ্ তাই চল। এই বলে সন্নাসি ক্লাবের চার ক্ষুদে সদস্য ছুটল তাদের বই মামার কাছে।

- বই মামা! আইজকা ইস্টিশনে এত্তো মানুষ কেন?

- আরে এ যে দেখি পুরা সন্নাসি কাব একসাথে। তো কিল্লাইগ্যা ? খালি কি ইস্টিশনের এত্তো মানুষ দেখবার লাইগ্যাই আইছুন নি? প্রশ্ন করেন শ্যামল দত্ত।

- নাহ্ এমনিই আইছিলাম বাইরে যে শীত। আর যে বাতাস! শইল কাঁপতাছে। তাই ইস্টিশনে আইছিলাম মাইনষের ভীড়ে থাইক্যা একটু গরম পাইতে। বলল পিনু।

- ভালাই বুদ্ধি খাডাইছুইন দেহা যায়। এইবার হুনুইন! শ্যামল দত্ত এই চারজনকে বেশিরভাগ সময়ই আপনি বলেই ডাকেন। কাইল টঙ্গিতে বিশ্ব এস্তেমা। এস্তেমায় যাওনের লাইগ্যা শত শত মানুষ ইস্টিশনে বইসা রইছে। সাথে আছে নানা জায়গায় যাওনের মানুষও। কিন্তু সমস্যা হইল ভার্সিটিতে গোলমাল হইতাছে তাই গাড়ি চলাচল বন্ধ হইয়া আছে।

- কিন্তু মামা ভার্সিটি না লেখা পড়ার জায়গা হেইনে গোলমাল হয় কেন? তাইলে আমারা বড় অইয়া ভার্সিটিতে পড়ুম কেমনে? যেহানে গোলমাল হইয়া গাড়ি বন্ধ অইয়া যায় হেইনে পইড়া কী অইব? মামা!



পিনুর কথায় শ্যামল দত্ত হেসে দিলেও বিব্রত হয়। তার এমন প্রশ্নে। কারণ শ্যামল দত্ত আর কয়েকজন সমাজসেবি মানুষের চেষ্টায় গড়ে ওঠেছে ‘ঝিলিক শিক্ষা পরিবার’। আর ঝিলিকের সন্ধ্যাকালীন স্কুলের এই চার ছাত্রের মাঝে শ্যামল দত্তই বুনে দিয়েছেন ভার্সিটিতে পড়ার স্বপ্নবীজ। শ্যামল দত্ত অসহায় হয়ে এদিক ওদিক তাকাতে থাকেন। কিন্তু কোন উত্তর খুঁজে পাননা পিনুর এই প্রশ্নের।



এরই মাঝেই টুকি একটু চিৎকার করেই বলে ফেলে- দরকার নাই আমার ভার্সিটি পড়ার। আমি মেয়ে মানুষ মারামারি করুম কেমনে? বই মামা আরো অসহায় হয়ে যান। কী বলবেন ঠাহর করে ওঠতে পারছেন না। প্রশ্নটা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বলেন তোমাদের কোন বই লাগবে?

- মামা আগে বলেন ভার্সিটিতে গোলমাল হয় কেন? বলল পিনু।

- মামা আমার টম সয়ারে দুঃসাহসিক অভিযান বইটা লাগব। বলল তরু।

- মামা আগে কওনা ভার্সিটিতে গেলে গোলমালের সময় আমরা কী করব? বলল পলাশ।

এইবার বই মামা একটু ধমকে ওঠেন। আরে যাও তো খালি প্রশ্ন আর প্রশ্ন। যখন ভার্সিটিতে যাইবা তহন কমুনে। মাত্র পড় পাঁচ কেলাশে অহইন্যেই ভার্সিটির ছাত্র হয়া গেছো। যাও বাসায় যাও ইস্কুলের সময় আছে আর মাত্র এক ঘন্টা। রেডি হইয়া ইস্কুলে যাও। বড় ইলে সব বুঝবা।

- সব প্রশ্নে খালি বড় হও! আর বড় হও। সমস্বরে চারজনই বলে ওঠল।

-আরে সাহেব ওদেরকে এভাবে ধমকে ওঠলেন কেন? ওরা তো আপ্নার কাছে জানতে আসছে। ওদের জানতে দিন। ধমক দিলে ওরা জানবে কোত্থেকে? বললেন পাশে বসে দীর্ঘণ শ্যামল দত্ত আর চার বিচ্চুর আলাপ শুনে আসা এক ভদ্রলোক। তিনি বললেন তোমরা কি শুনবে আমার কাছ থেকে তোমাদের প্রশ্নের উত্তর।

- চার জনই বলে ওঠল হে! শুনব। আপনি কি বলতে পারবেন ভার্সিটিতে কেন গোলমাল হয়।

- হ্যাঁ বলতে পারব। এইবার তাইলে শোন। ভার্সিটিতে যারা পড়তে আসে; তারা সবাই তোমাদের মত এত ভাল মানুষ নয়। কেউ কেউ আছে রাজনীতি করে। আবার কেউ আছে শুধুই শয়তানি করার জন্য গন্যগোল বাজায়। তাই ভার্সিটিতে মাঝে মাঝে কিছু গোলমাল হয়। আমি আশা করি তোমরা যেদিন বড় হয়ে ভার্সিটিতে পড়তে যাবে তখন আর গোলমাল হবেনা।

- কেন হবেনা? আংকেল!

- কারণ তোমরা খুব ভাল ছেলে। তাই তোমরা পড়াশোনা ছাড়া অন্য কিছু করবেনা। সুতরাং নো গন্ডগোল! তোমরা ভাল ভাবে পড়-শুনা কর। একদিন তোমারা ভার্সিটিতে পড়বেই। তো তোমরা কে কোন কাসে পড়ো?

- আমি কাস ফাইভে। এইবার সমাপণী দিমু। স্যার বলছেন আমি বৃত্তি পামুই! বলল পিনু।

- আর আমরা সবাই কাস ফোরে। বলল পলাশ, তরু আর টুকি। তবে টুকি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পড়া পারে। বলল তরু।

- সাবাস ! তাহলে তোমারা সবাই ভাল ছাত্র। তোমাদের অনেক ধন্যবাদ। আমাকে কি তোমদেরে স্কুলে নিয়ে যাবে? আমি তোমাদের স্কুলটা দেখতে চাই।

- আপনি কোথায় যাবেন? সেখানে যাবেননা? ইস্কুলে গেলে যদি ট্রেইন চইল্যা যায়। তাইলে তো আপনার বিপদ হইবো।

- আমি সাংবাদিক মানুষ। কোথাও যাবনা। ময়মনসিংহে একটা স্কুল দেখতে আসছি। স্কুলটার নাম ‘ঝিলিক শিক্ষা পরিবার’।

-চারজন এক সাথে চেচিয়ে বলে, এইটাই আমাদের ইস্কুল। এইটাই আমাদের ইস্কুল! চলেন আমাদের সাথে আমারা আপনারে ইস্কুলে নিয়া যামু। আপনেরে দেখলে নূর স্যার বিরাট খুশি অইব!



এদিকে ওদের চিৎকারে শ্যামল দত্ত এই দিকে মনযোগ দেন। শুনতে পান ঢাকা থেকে আগত সাংবাদিক তাদেরই স্কুলটা দেখতে আসছে। বেশ কৌতুহল নিয়ে সাংবাদিক কে জিজ্ঞাস করেন আপনি কেমনে আইলেন? কোন ট্রেন তো আজ এই লাইনে আসেনাই!

- না আমারা ট্রেনে আসি নাই। আসছি মাইক্রোতে করে। স্টেশনে আসছিলাম মূলত আপনার সাথে কথা বলে স্কুলে যাব এই ইচ্ছায়। কিন্তু এই চার জনের সাথে কথা বলে আপনাদের স্কুল সম্পর্কে আমাদের ধারণাটা অনেক বেশি বদলে গেছে।

-আপনাদের ধারণ কেমন ছিল? আমাদের স্কুল সম্পর্কে?

- না মানে আমারা ভাবছিলাম হয়তো এটা একটা প্রয়াসমাত্র। এটাকে সামনে এগিয়ে নিতে আমারা একটু কাজ করব। এখন দেখলাম এটাতো অনেক বেশি এগিয়ে আছে। তো চলেন আমাদের সাথে।

-জ্বী আমি যাব। একটু পরে আইতাছি। আপনি এদের সাথে যান বলে শ্যামল দত্ত সন্নাসি ক্লাবের দিকে ইশারা করেন। আর সাংবাদিক নাসিরকে বলে এরা হলো আমাদের সন্নাসি ক্লাব।

- সন্নাসি ক্লাব মানে?

- সন্নাসি কাব মানে; এরা হলো রেলওয়ে বস্তির খুপড়িতে বেড়ে ওঠা অন্ধকার জগতের আলোর মানুষ। যেখানে সবাই চায় তার ছেলে শিখুক পকেট কাটা আর আয় রোজগারের পন্থা সেখানে এই চারটা এইসব অন্ধাকার জাগতের কোন কাজেই যায়না। সারাদিন মানুলে ফুট ফরমায়েশ খেটে যা পায় মায়ের হাতে দিয়ে সোজা স্কুলে। রাতে আমি দোকানে বড় ভাইকে রেখে এই চারজন ও পাশের বাঁশবাড়ি কলোনীর কয়েকজনকে একটু পড়াতে যাই। এইটুকোই ওদের পড়ার টাইম। কিন্তু এগুলোর মেধা দেখলে আপনেও ঠাসকি খাইবেন।

-আচ্ছা আমারা আরো কথা বলব আপনার সাথে এখন স্কুলে যাব। চলো সন্নাসি ক্লাব আমরা তোমদের স্কুলে যাবো।

-চলেন আমারার সাথে।

-তোমরা বই-খাতা নিবানা?

-স্যার আমাদের বই-খাতা ইস্কুলে নিতে হয়না। সব আছে ইস্কুলে। বাসায় আছে শুধু অংক বই আর ইংরেজি বই।

- নাসির খানের বিস্ময়াভিভূত হওয়ার পালা শুরু হয় দ্বিতীয় ধাপে।



সাংবাদিক নাসির খান চার জনের দলটি নিয়ে যান স্কুলে। স্কুলের প্রধান শিক শ্যামল দত্তের কাছে আগেই ফোনে জেনেছেন দেশেন শীর্ষ একটি দৈনিকের একজন সাংবাদিক আসবেন স্কুলে। তাই তিনি নাসির খানকে উষ্ণ স্বাগতম জানালেন। নাসির খানকে স্কুলের সার্বিক অবস্থা জানালেন প্রধান শিক জনাব নূর আল আজম। যিনি নূর স্যার নামেই পরিচিত।



- দেখুন প্রথম যখন স্কুলটি আমারা শুরু করি তখন স্থানীয় অনেকের মনেই এই ধারণা ছিল যে আমারা বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা এনে এখানে নামকা ওয়াস্তে একটা কিছু করে দেখাতে চাচ্ছি। কেউ কেউ এসে ভাগ-ভাটোয়ারাও চেযেছেন। তবে আমরা একসময় সবাইকে বুঝাতে সম হয়েছি যে এটা আমদের নিজেদের পকেটের পয়সার করা একটা সেবামূলক কাজ। এখন আর সেই সমস্যা নাই। তবে আমারা মাঝে মাঝে বই পাওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলায় পড়ে যাই।

-কেমন ঝামেলা?

- চাহিদা অনুপাতে বরাদ্দ দেয়া হয়না। আবার আমাদের বই বাসায় দেওয়া হয় না। এটা নিয়েও কেউ কেউ তীর্যক মন্তব্য করে। তবে শ্যামল দা একসময় সব সমস্যার সমাধান করে ফেলেন।



তার পর তিনি বেশ কিছু ফটো তোলে। স্কুলের আন্যসব শিক-শিক্ষিকার সাথে কথা বলে। একটা রিপোর্ট করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে বিদায় নেন। কিন্তু যেই স্কুল থেকে বের হবেন। অমনিই স্কুলে সব ছাত্র অফিসের দরজা হতে সীমানা দেয়ালের গেট পর্যন্ত হাতে হাত ধরে দুপাশে দাঁড়িয়ে যায়। আর স্কুলের থিম সঙ গাইতে থাকে। এদর সামনের সাঁড়িতে আছে সেই সন্নাসি কাব।

- আপনি আজকে মুমিসিং থাহেন; আমারা রাইতে আপনারে গান গায়া হুনামু। টুকি ও তরু ভাল গাইতে পারে। টুকি পারে হামদ আর নাত। আর তরু পারে নজরুল গীতি আর রবীন্দ্র গীতি। বলল পিনু।

- আর পিনু কী পারে? বা পলাশ কী পারে?

- পিনুও গাইতে পারে স্যার! তবে হেয় আবৃত্তি করতে পছন্দ করে। বলল পলাশ।

- আর তুই কী পারস কইয়া দিমু আমি এখন। তুই আমারে কথা কইসস। আমিও কমু তর কথা। স্যার! পলাশ দেশের যত মাইয়া গায়ক আছে তাদের সবার গলা নকল করতে পারে। গত বছল হে সার্কাসের দলে গেছিল। কিন্তু হেরে সবাই গালে আর নাকে টানে। কয় গাল্টু বাবু। তাই আইয়া পরছে। আর হে বড় অইয়্যা ডাক্তর অইতে চায় হেইডাও একটা কারণ। একদমে কথাগুলো বলে হাপাতে লাগল পিনু।



নাসির খান একটা ফোন দিয়া কিছু কথা বললেন। তার পর বলেন পিনু আজ রাতে আমারা তোমাদের খুপড়িতে থাকমু। আর তোমদের আম্মু আব্বু থাকবেন জেলা পরিষদ ডাক বাংলোয়। আমারা সারা রাত তোমাদের গান শুনমু। আর আমুদ ফুর্তি করমু। ঠিকাছে।

- হুরররররররররররররররররে বলে লাফিয়ে উঠল। সন্নাসি ক্লবসহ সবাই।



কিন্তু সমস্যা দেখা দিল দুইটা এক. শ্যামল দত্ত কিছুতেই নাসির খানের টিমকে বস্তির খুপড়িতে থাকতে দিবেননা। দুই. ডাক বাংলোয় বস্তির মানুষকে কিছুতেই থাকতে দেয়া হবেনা বলে জানালেন কেয়ার টেকার।



শ্যামল দত্তকে মেনেজ করলেন নাসির খান নিজেই। আর ডাক বাংলোর জন্য তাকে কিছুটা লবিং করতে হলো। সাথে সাথে তার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে নিউজও করল এই শিরোনামে ‘‘বস্তিবাসিরা কি বাংলাধেশের নাগরিক ?’’ সাথে সাথে ডিসি এসে বস্তির চারটি পরিবারকে এক রাত থাকার অনুমতি দিলেন। পাশাপাশি ডিসি সাহেবও আবদার জানালেন। রাতে নাসির খানের সঙ্গী হতে। নাসির খান রাজি হলেন কোনভাবেই যেন সিকিউরিটির বাড়াবাড়ি না থাকে এই শর্তে।



রাত দশটায় শুরু হলো ঝিলিক শিা পরিবারের স্কুলে। সন্নাসি কাব আর স্কুলের আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে জমজমাট আয়োজন। রাত বারটা পর্যন্ত ওদের পরিবেশনায় মুগ্ধ হয়ে ঘোরগ্রস্ত প্রতিটি মানুষ। খাওয়া দাওয়া শেষে নাসির খান, ডিসি, কবি এস ফয়েজ, শ্যামল দত্ত আর নাসির খানের টিম রেলওয়ে বস্তির খুপড়িতে এসে আশ্রয় নিলেন। কেউ তখনো জানতে পারেনি। কারা আজ রাতে এই খুপড়িগুলোর বাসিন্দা।



ভোর পাঁচটায় প্রথম ঘুম ভাঙ্গে ডিসি মহোদয়ের। তিনি বলেন গত চল্লিশ বছরে এমন শান্তির ঘুম আমি ঘুমাইনি! কবি বলেন আমি ঘুমের টেবলেট ছাড়া একটা মুহূর্তও ঘুমাতে পারিনা আজ এক স্বপ্নময় ঘুম দিলাম। একে একে সবাই বলতে লাগল আরামদায়ক ঘুমের ফিরিস্তি।



আর ডাক বাংলোর খবর! একটুও ঘুম হয়নি ওদের। সারারাত কেটেছে এক ধরণের ঘোরের মধ্যে। একজনের বয়স্ক বস্তিবাসীর কথায় “রংয়ের বাহার থাকলেও সুখের বাহার নাইক্যা”।

পর দিন দেশের শীর্ষ দৈনিকের লিড নিউজ“ ঝিলিকের ঝলক সন্নাসি কাব”।



সকাল আটটার পর ব্যাস্ত হয়ে উঠল শ্যামল দত্ত আর নূর আল আজম স্যারের মোবাইল দুটো।



মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপ ভালা লাগছে -

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫২

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ কবি ভাই.........

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩২

ভিয়েনাস বলেছেন: গল্পটা লেখার পর হয়তো আপনি রিভিশন করার সময় পাননি। বেশ কয়েকটা অক্ষর মিসিং আছে। আশা করছি দেখে নিবেন :)

ভিন্ন টাইপের গল্প ভালো লাগলো।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০১

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:

পাঠ ও কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ...........

সময় করে ঠিক করে দেব।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৮

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: কবি কবিতা নাই??

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৬

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:

কবিতার তো শেষ নাই...

চাইলেই পাইবেন....

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাল লাগল অতি
নিপুন তাতে লেখা
আর যদি না পড়ে কেহ
সাধ পাবেনা দেখা ।
শুভকামনা

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১২

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:

কমেন্টে লাইক দেওয়া যদি যেত...!!!

ধন্যবাদ

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

লেখোয়াড় বলেছেন:
সুপার্ব, সুপান্থ।
++++++

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ...

মেলাদিন পরে আসলেন আমার বাড়ি...

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন... ভালো লাগল :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৪

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ নিন............

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালা লিখছুইন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৭

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
তাই নাকি!!!

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

স্বপনবাজ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো !

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৩

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
তাইলে ধইন্যা নিন.............

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০০

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: ভালা পাইলাম। :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
পাইলটরে ভালা পাই...........

১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

নস্টালজিক বলেছেন: ঝিলিকের ঝলক ভালো!


সুপান্থ, কেমন আছো?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪২

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ...

ভালা নাই ভাই...

দোয়াটা বেশি চাই.....

১১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১০

সকাল রয় বলেছেন:
ঝিলিক ঝিলিক

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫১

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
শুরু হলো কিলিক কিলিক...

১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

লোনলিফাইটার বলেছেন: ৮ম ভালো লাগা রইলো ব্রো।কেমন আছেন? :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ...

১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

অদৃশ্য বলেছেন:



সুপান্থ

চমৎকার হয়েছে লিখাটি.... ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম


শুভকামনা...

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৫

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ...

বাকী ভাই কেমন আছেন?

১৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

আরজু পনি বলেছেন:

আহা আমার প্রাণের শহর নিয়া লিখছুইন! মনডা ভইরা গেছে গো সুপান্থ সুরাহী। মনে হইতাছিল যা লিখছুইন সব দেখবার পাইতাছি!

প্লাস লইন।।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫২

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
একদিন আসুন না এই শহরে...

বাদামে বাদামে হয়ে যাক আড্ডা.........

১৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৯

রোকন রাইয়ান বলেছেন: হুমম...এলাম দেখে গেলাম..

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৩

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ নেন...


আরেকটা ধন্যবাদ নেন আপ্নার কাগজে গফটা ছাপানোয়....

১৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩০

যাযাবর৮১ বলেছেন:





গণদাবি একটাই

আবার জেগেছে তারুণ্যের প্রজন্ম
দ্বিধা ভেদ ভুলে জাগরণের জন্ম,
কবে কে দেখেছে এই বাংলার বাঘ
শাবাশ জনতা ঐ জেগেছে শাহবাগ।

আলোকিত প্রাণ প্রজন্ম চত্বরে
বিকশিত গান খুঁজছে সত্তারে,
আর নয় ভুল, মুক্তির স্লোগান
ধূম্র ধূসরে ফাগুনের জয়গান।

ঘৃণায় আক্রোশে জানায় যে ধিক্কারে
গণদাবি আজ প্রদৃপ্ত হুঙ্কারে,
জেগেছে জনতা, বিচার এবার চাই
ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি, গণদাবি একটাই।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৪

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
হুমমম...

১৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৬

নিরীহ জন বলেছেন: সুন্দর!

আপনার দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী লেখাটা দিলাম। দেইখা আইসেন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৭

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:

ধন্যবাদ...

১৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩২

শায়মা বলেছেন: +++ ভাইয়া

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
++ ধন্যবাদের সহিত গৃহীত হইলো...........

১৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

মশামামা বলেছেন: মজার একটা গল্প শোনাই - দেখেন কি চমকপ্রদ কাহিনী। নিজে পাত্তা না পাইয়া দু'জন ব্লগারের প্রেমের কবিতা আদান-প্রদানকে কেন্দ্র করিয়া একজন জনপ্রিয় ব্লগার জ্ঞান-বুদ্ধি হারাইয়া কিভাবে তার চক্ষুশূলদ্বয়কে গালিগালাজ করিয়া ব্লগ থেকে বিতাড়িত করিতে পারেন।

এখানে দেখেন - শায়মার ন্যাকা কাহিনী:
Click This Link

দুইদিন হইতে বিরাট গবেষণা করিয়া আমি ইহা আবিষ্কার করিয়া ফেলিলাম। তবে, নীলঞ্জন বা সান্তনু একটা গাধা। দিবাকে আমার ভালোই লাগতো। যাইহোক, উচিত ফল পাইয়াছে। তবে, শায়মা ও যে এক বিশাল মক্ষীরাণী এ ব্যাপারেও কোন সন্দেহ নাই।

৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আজাইরা প্যাচাল!

ব্লগে কি তোমরা খালি খাইজানার জন্য আসো...?

২০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৯

আরজু পনি বলেছেন:

আবার কোথায় ডুব দিলেন গো সুপান্থ?!!

৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ডুব নয় জীবনের সন্ধানে ব্যস্ত ছিলাম...

ভাল থাকুন...

২১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ভাই এক কথায় অসাধারণ +++++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.