নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতার প্রেমে অক্ষরের সঙ্গে শুরু হয়েছিল ঘরবসতি। এখন আমি কবিতার; কবিতা আমার। শব্দচাষে সময় কাটাই...
◙
এ্যাই! মাত্র এগারটা বাজে, এখনই হাই তুলছিস ক্যা? ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’-এর অধ্যায় পাঁচের সবগুলো প্রশ্ন শিখে ঘুমাতে যাবি। এর আগে নো ঘুম। আমিও সজাগ থাকবো।
- মা আজ আর ভাল লাগছে না। কাল তো বিজ্ঞান এক্সাম। বিজ্ঞান পুরোটাই রিভিশন শেষ। এখন একটু ঘুমোতে যাই?
- দখিন! তুই কিন্তু মায়ের সাথে মুখে মুখে তর্ক করছিস। সমাজ পরীক্ষার আগে তো গ্যাপ নাই এখন সময় আছে সেটা পুষিয়ে নে। কোথায় সময়টা কাজে লাগাবে না শুধু ফাঁকিবাজি। কোন কথা নেই রাত দুইটার আগে টেবিল ছাড়তে পারবিনা। দুইটায় স্কুল; সো সকালে ঘুমানোর অনেক সময় আছে।
- আচ্ছা! মা আমার ভুল হয়ে গেছে। আর কখনই তোমার কথার সাথে যুক্তি দেবনা। কিন্তু আমি যদি বারটার আগে তোমাকে সব পড়া কমপ্লিট করে দিতে পারি তাহলে ঘুমাতে দেবে তো? মা কালও তো ঘুমাতে পারিনি। মাত্র তিন ঘন্টা ঘুম হয়েছে। এর পর তো আব্বু খেলা দেখা শুরু করছে। আমি ঘুমাবো কেমনে?
- তোর বাবাকে নিয়ে হলো আরেক ঝামেলা। সময়-টময় নাই খালি খেলা আর খেলা। দখিন দেখ তুই স্কুলের ফার্স্ট বয়। একটু ঢিলামি মানে প্লেস হাত ছাড়া হয়ে যাওয়া। ঈশান, মিরাজ আর সালিম তোর ঘাড়ে নিশ্বাস ফালতাছে। আমি যদি একটু চান্স তোকে দেই তাইলে আমার ইজ্জত সম্মান সব মাটি হবে। বুঝলি? যা এখন পড়তে বস।
- জায়দা! একি বলছো? এখন বাজে রাত সাড়ে এগারটা। এই বাচ্চা ছেলেটাকে এখনো ঘুমোতে দাওনি? তুমি কেমন মা! হেহ! ও তো যন্ত্র না একটা মানুষ। এর আবেগ আছে, অবসাদ আছে। আছে ইচ্ছা অনিচ্ছা। একটু মগজটাকে বিশ্রাম দিতে হয়। এমন রোবটিক বানালে তো ও একসময় আনসোস্যাল হয়ে যাবে।
- থাক থাক আর লেকচার দিতে হবেনা। এবার খেতে আসুন। যা বোঝেন না তা নিয়ে কথা বলেন কেন? পোলাপান মানুষ কীভাবে করতে হয় তা আমি জানি। বাবারা এসবে নাক না গলালেও চলবে।
- দেখ! তুমি হয়তো ওকে সময় বেশি দাও বাট এর ভাল মন্দ বুঝার অধিকার আমরও আছে। ও আমারও সন্তান। আমি ওকে মানুষ হিসেবে দেখতে চাই। পাঠ্য বইয়ে ডুবে থাকা আত্মকেন্দ্রিক আর ঘরকুনে আতেল হিসেবে দেখতে চাইনা। আমি চাই সে খেলবে, হাসবে, নিজের মত করে সিদ্ধান্ত নেবে। জানার জন্য পড়বে। পরীক্ষায় ফার্স্ট হওয়ার জন্য নয়। তবে চেষ্টা থাকবে প্রথম হওয়ার। তার মানে এই নয় যে তার জীবনের একমাত্র টার্গেট হবে ফার্স্ট হওয়া। সে যদি পারফেক্ট ওয়েতে যথাযথ ট্রাই করে তাতেই আমি খুশি। প্লীজ জায়দা ! তোমার অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার বানিয়ে দখিনকে মনন-প্রতিবন্ধী বানিও না।
- তোমার বয়ান শেষ হইছে?
- হ্যাঁ আমার কথা শেষ। এই কথাগুলো বলার জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই সুযোগ খুঁজছিলাম। কিন্তু তোমার মুড ভাল পাচ্ছিলাম না।
◙
মা, বাবা আর দখিন খাবারে টেবিলে। খেতে খেতে জায়েদার চোখ দুটি টলমল করছে। নানা রঙের স্বপ্ন ছিল তার একদিন। স্কুলে সেরা ছাত্রীও ছিলেন। কলেজেও ছিলেন সবার সেরা। দুটো পাবলিক পরীক্ষায়ই মেধা তালিকায় ছিলেন। কিন্তু তার কপালে আর ডাক্তার হওয়া হয়নি। মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা নামক এক বাধা তিনি পার হতে পারেন নি। সেই জেদ থেকে আর পড়াশোনাই করা হয়নি। স্বামী ইখতিয়ারের সেই টিপ্পনিটা তার মনোজগতে একটা তীব্র হাহাকার তৈরি করছে। মনে মনে ভাবছেন হায় সেই সময় যদি প্রাইভেট মেডিকেলে পড়ার মত অর্থ বাবার থাকতো!
খেতে খেতে দখিন বলে মা তুমি কাঁদছো মনে হয়। মা তুমি নিশ্চিত থাকো আমি ডাক্তা হয়েই ছাড়বো। যে দিন আমি দেশের সেরা রেজাল্ট করে ডাক্তার হবো সেদিন আমার সাক্ষাৎকার নিতে সাংবাদিকরা আসলে আমি তোমার কথাই বলবো।
- কী দখিন বাবার কথা বলা হবেনা মনে হয়। বললেন ইখতিয়ার সাহেব।
- কেন বাবার কথা বলবেনা। আমার দখিন তোমার কথাও বলবে। বলবে, ‘‘বাবার খেলা দেখার কারনে ঘুম হতোনা তাই রাত জেগে বেশি বেশি পড়তে পারতাম। সে জন্যই আমি আজ ডাক্তার হয়েছি।’’
- কিন্তু জায়দা! দখিন যদি ডাক্তার না হয়ে অন্য কিছু হয়। তখন তুমি কী করবে! আমার মনে হয় তোমার সেই প্রিপারেশনটাও নিয়ে রাখা ভাল। জানো তো,
“মানুষের মন
আকাশের রঙ
কখনও সুনীল
কখনও বা সঙ।’’
দখিনের যখন পার্সোনালিটি বিল্ডআপ হবে তখন হয়তো সে তার স্বপ্ন বদলাতেও পারে।
- দেখো, আমি অন্য কিছু আর ভাবতে পারছিনা। ওকে ডাক্তার হতেই হবে। প্রয়োজনে আমি আরেকটা বেবি নেব। সেটাকে তুমি তোমার স্বপ্নানুযায়ী বড় করো! তবুও দখিনকে নিয়ে তুমি অন্য ভাবনা করো না।
- প্রতিটা মানুষকে তার প্রতিভানুযায়ী বেড়ে ওঠতে দেয়া উচিত। তুমি যদি একজন শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বড় হতে। তাহলে আমার বিশ্বাস আজ তুমি ওয়ার্ল্ড ফেমাস একজন শিক্ষক ও গবেষক থাকতে। কিন্তু তোমার ধ্যান-জ্ঞান সব তুমি ডাক্তার হওয়ার পেছনে দিয়ে বাকী সব ভাবনায় শূন্য হয়ে গিয়েছিলে। ফলে তুমি নিজেকেই বঞ্চিত করেছো। আর সারা জীবনের একটা অধম্য স্বপ্নকে নিজের ভেতর জায়গা দিয়েছো যা তোমাকে ডিফরেন্ট কিছু ভাবতে দেয় না। তুমি তোমার সমগ্র মনোযোগ ছেলে আর তার পেছনে দিয়ে বাকী সব পেছনে ঠেলে দিয়েছো। বঞ্চিত করেছো নিজেকে এবং তোমার চারপাশের আপনজনকে।
- ও এই কথা! তা তোমাকে কীভাবে বঞ্চিত করছি একটু ব্যাখ্যা দিবে?
- দেখো সব কিছুতে নেগেটিভ কিছু দেখবেনা। আমি বঞ্চিত তা বলছিনা। বলছি আমি ছাড়াও তোমার মনযোগ চায় এমন আরো অনেকেই আছে। রাসূল (স.) বলেছেন “আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবেনা।” আমি কী বুঝাতে চেয়েছি আশা করি এবার বুঝেছো।
- ঠিক আছে এটা দেখবো। তবে আমাকে দখিনের ব্যাপারে কনসিডার করতে বলোনা। আমি ওকে ডাক্তার বানাবই।
◙
মা বাবার কথার মাঝেই দখিন তার রুমে শোতে যায়। মশারি টানিয়ে শুয়ে শুয়ে হারাতে থাকে ভাবনার অতলে। কখনও ভাবে আমি যদি ডাক্তার না হই! তাইলে মা'র কী হবে। কিন্তু বাবা ডাক্তার পছন্দ করেন না। বাবা বলেন, “এটা এমন একটা পেশা যেখানে মানুষের অনেক উপকার করার সুযোগ থাকলেও; প্রতিনিয়ত মানুয়ের অভিশাপ পেতে হয়। কারণ রোগ- বালাই জীবন-মৃত্যু মানুষের হাতে নেই। কিন্তু একজন ডাক্তার দিন-রাত সেই জীবন-মৃত্যু নিয়েই থাকেন। আবার ডাক্তারদের মাঝে লোভীর সংখ্যাই বেশি। সুতরাং ডাক্তার আমার প্রিয় মানুষ হলেও আমি ডাক্তার হতে চাইনা।”
আবার মা একবারেই বিপরীত। তার মতে, ডাক্তার মানেই স্বর্গের দুয়ারে পা। এমন বিপরীতমুখী দুটি মানুষকে কীভাবে খুশি করা যায়? আবার দুজনের ইচ্ছাই পূরণ করার পথ খোঁজার ভাবনায় তার প্রায় রাতই স্বপ্ন দেখতে দেখতে কেটে যায়। প্রায়ই সে স্বপ্নে দেখে একটা সাদা হাস তার হাতে ধরা কিন্তু সেটা বাঁধার জন্য কোন দড়ি কোথাও নাই। কিন্তু যখন সে দড়ি পায় কীভাবে যেন হাঁসটা তার হাতছাড়া হয়ে যায়। এই স্বপ্ন কখনই দেখতে চায়না দখিন। কারণ তার ক্লাসমেট আফরারের বাবা একজন বড় আলেম। তার কাছে আফরারের মাধ্যমে এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা জেনেছে। তিনি বলেছেন, “ তোমার জীবনে তুমি সবসময় সাফল্য পাবে তাবে সেই সাফল্য সবসময় ধরে রাখতে পারবেনা।” সেভেনে পড়া একজন ছাত্রের মনোজগতে এমন ঝড়ের শেষ খুঁজে পায়না দখিন। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পড়া-লেখার পাশাপাশি সামলে চলতে হচ্ছে বিপরীত চিন্তার দুই মা বাবাকে।
কখনও ভাবে বাবা ইজন্ট ম্যাটার। সবকিছুই মানতে পাড়ার ক্ষমতা আছে তার। বাবার সেই ক্ষমতার কারণেই মার মত এমন মান-অভিমান আর আবেগঠাসা একজন মানুষ সংসার করছে বাবার সাথে। আর সেই বাবার কারণেই আমি দখিন সবকিছুকেই নিজের মত ব্যাখ্যা করতে পারি। নিজের বয়সের চেয়ে অনেক এগিয়ে ভাবতে পারি।
কিন্তু মাকে নিয়ে তার ভাবনা সবসময় হোচট খায়। কী ভাবে তাকে সামলাবে। যদিও বাবার কথা মত মার সাথে অভিনয় করছে। বলছে সে ডাক্তার হবেই। বাট ইখতিয়ার সাহেবের মত একজন চরম বাস্তবাদী মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সে কোন ভাবেই ডাক্তার হতে চায়না।
নিজের সাথে নিজেই মনোলগ করে। কিরে দখিন তুই কী হতে চাস্?
-আমি বাবার ইচ্ছায় এই বাংলাদেশের একমাত্র মানুষ যে লেখক হবো এবং লেখালেখিকেই নিব পেশা হিসেবে।
-মাকে সামলাবি কীভাবে? তোর মা তো নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়া নির্বাক হয়ে যাবেন।
-আচ্ছা ডাক্তার এবং লেখক দুটোই একসাথে হলে! কেমন হয় ?
-হতে পারো। তবে এই যে লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখা। লেখাই পেশা; সেটা থাকলো না আর কি!
আর ভাবতে পারেনা। এখন তার উপলব্ধি, সব ভাবনাই শুরু হয় চমৎকার সুন্দরভাবে জোড়ালো যুক্তির মাধ্যমে। আর শেষ হয় অসংখ্য আজগুবি প্রশ্নের শাখা প্রশাখা নিয়ে। সাথে বোনাস হিসেবে দিয়ে যায় দীর্ঘ হেসিটেশন!
◙
এ্যাঁ এ্যাঁ বায়ূমণ্ডলে এ এ এ অক্সিজেনের পরিমাণ প্রায় একুশ পার্সেন্ট এ্যাঁ এ্যাঁ এ্যাঁ কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ প্রায় শূন্য দশমিক শূন্য তিন ছয় পার্সেন্ট... এ্যাঁ এ্যাঁ এ্যাঁ...
- বাবা দুধটুকো খেয়ে নাও। দখিনের মা জায়দা বেগমের মন ভাল থাকলে ছেলেকে তুমি করেই বলেন।
- মা আজ তোমার মন ভাল। কারণটা বলবে?
- কোমনে বুঝলে?
- মা, ছেলেদের এসব জানতে হয়। কখন মা খুশি কখন বাবা খুশি এসব না জানলে তো আমাদের চাওয়া পাওয়া আর ইচ্ছা খাওয়া সব মাটি।
- বাহ! বাবার আল্লাদ পেয়ে তো বেশ পাকনা হয়ে উঠছিস। তো আজ মন ভাল তার কারণ আমি আজ রাতে একটা স্বপ্ন দেখেছি। সেই স্বপ্নটার ব্যাখ্যাও পেয়েছি। ব্যাখ্যা কে করেছেন জানিস?
- না বললে জানবো কেমনে?
- অনুমান করে বলতে চেষ্টা কর।
- যাও! তোমার এই সব হেয়ালি আমি পছন্দ করিনা। তোমার সব কিছুই জগত সেরা বাট এই হেয়ালি করাটা জঘন্য!
- থাক থাক হেয়ালিকে নির্বাসনে পাঠামু। তো স্বপ্নের ব্যাখ্যা করেছেন আফরারের বাবা। তিনি বলেছেন আমি নাকি আমার দেখা সব স্বপ্নই বাস্তব দেখতে পারবো।
- ও তাই! তো তুমি আফরারের বাবাকে চিনো কেমনে?
- কেন তোমার কাসের সব আন্টিই তো জানেন। আমিও জানি তিনি আলেম। বড় আলেম।
আচ্ছা মা বলতে পারো? একজন মানুষে পাশে যখন বিপরীতমুখী দুটি জগতে থাকে; তখন সে নিজেকে কোনটার সাথে জড়াবে?
- এমন জটিল প্রশ্ন কোত্থেকে তোর মাথায় আসে? বাদ দে এসব ক্রিটিক্যাল বিষয়। তুই না দিন দিন ফিলোসফার হয়ে যাচ্ছিস। তোর সব কথা আমি সবসময় বুজতে পারি না। বড় হয়ে যখন ডাক্তার হবি তখন মনে হয় আমি তোর স্বাভাবিক কথাও সহজে বুজবো না। এই বলে হাসতে থাকলেন জায়দা বেগম।
- মা আমার প্রশ্নে জবাব পাইনি।
- যদি একান্তই জানতে চাস! তাহলে আমি বলবো তুই যেটা চাস বা যেটাকে তোর যুক্তি-বিশ্বাস সায় দিবে সেটার সাথেই নিজেকে জড়াবে।
◙
দখিন এবার আবারও মনোলগে।
- আচ্ছা একটা মানুষ তাও আবার বাচ্ছা মানুষ সকাল সাতটায় বাসা ছাড়ে। বারটায় স্কুল ছুটি। তিনটায় কোচিং ছুটি। মাঝখানে মায়ের বদন্যতায় পোশাক বদল। এরপর কোচিংযের কোন খালি রোমে দাঁড়িয়ে দুপুরের খাবার। এটা কোনো জীবন! এটা কোনো শিক্ষা ব্যবস্থা!
- গোলকায়নের সময়ে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে এমনটাই দরকার!
-না! কেন দরকার? কই পৃথিবীর আর কোন দেশে কি আমাদের মত একাডেমিক কোচিং আছে? কিন্তু তারা কি আমাদের চেয়ে পিছিয়ে? তারাতো তিনটায় কেচিং শেষে ড্রইং, আবৃত্তির ক্লাস করে সন্ধ্যার শেষে বাসায় ফেরে না। তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কি আমাদের চেয়ে পিছিয়ে। বাসায় সাবজেক্ট ভিত্তিক তিন চারজন টিচার কি উন্নত কোন দেশে এলাউ?
না তার এখন কান্না পাচ্ছে। নিজেকে সে আর মানুষ ভাবতে পারছেনা। কোনো রোবট প্রজন্ম মনে হচ্ছে নিজেকে। মনে হচ্ছে প্রাচীন দাস প্রথায়ও দাসদের প্রতি এতটা নিষ্ঠুর ছিলনা সমাজ। এ কেমন প্রতিযোগিতা যে আমার শৈশব- কৈশোর, খেলা-হুল্লোড় আর জীবনের সব কিছুকেই চক্রায়ন করে দিবে পাঠ্য বইয়ের নিরস কুঠুরীতে? জন্মদাতা-দাত্রীর পেস্ট্রিজ, ইগো আর স্বপ্নের কাছে জিম্মি হবো প্রতিনিয়ত। আমার স্বপ্ন-ইচ্ছা বলে কি কিছু থাকতে নেই! “মায়ের পদতলে জান্নাত” এর অর্থ কি আমার বন্দিত্ব! আধুনিক পৃথিবীর স্বপ্নের দাসত্ব! কিন্তু এরা সন্তানকে ব্ল্যাকমেইলের জন্যই এই হাদীসকে কেন ব্যবহার করে! জীবনের আর কোথাও তো তাদের হাদীসের প্র্যাকটিস নেই! তীব্র কান্নার গমকে কেটে যায় কয়েকটি সময়ের একক।
এভাবেই একদিন দখিন পা বাড়ায় কলেজে। এক রাতে মা সময় বেঁধে ঘুমানোর নির্দেশ দেয়। তীব্র ক্ষোভে দখিন বলতে থাকে। মা আমি এখন সব বুঝি। কোনটা ভাল কোনটা মন্দ। কতটুকো পড়তে হবে। কখন ঘুমাতে হবে। সব আমি বুঝতে শিখেছি। মধ্যযুগীয় দাসদের মত যেভাবে মাধ্যমিকে শ্রম দিয়েছি এখন সেটা আর নিতে এসো না। এখন তুমি জাস্ট ফলাফল জানবে। আমার পার্সোনালিটিতে ইন্টারপ্রেয়ার করো না।
জায়দা বেগম তড়িতাহতের মত মূর্তিবত পাথর হয়ে ছেলের দিকে চেয়ে থাকেন। দেখেন ছেলের ঊর্ধ ঠোঁটে স্পর্ধার কালো রেখা ক্রমশ স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে...
ময়মনসিংহ
০৬/০৪/১৩
০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
মাইনাসের কমেন্টও কি মাইনাচ হয়ে গেলু ???
২| ০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দখিনের মায়ের মত কিছু মা আছেন যারা নিজের অপূর্ণতা সন্তানদের দ্বারা পূরণ করতে চান এবং মানসিক বোঝা বাড়িয়ে দেন। সন্তান এক সময় বড় হলে টার পছন্দ মত লাইনেই পড়বে এটা অনেকেই বোঝেন না। মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশুনার কেয়ার নেয়ার দরকার আছে কিন্তু খেয়ে না খেয়ে না ।
ভালো লেগেছে গল্পের মূল বিষয়।
শোতে , রোমে এই বানানের প্রয়োগ টা খেয়াল করবেন । শুতে, রুমে হবে ।
০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২২
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপ্নাকে!
মনোযোগী পাঠের জন্য।
বানানগুলো সময় করে ঠিক করে দেবো...
৩| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভাল লাগলো লেখা
০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩১
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ জানবেন শুভর্থী....
৪| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
মামুন রশিদ বলেছেন: আমাদের সমাজের স্বাভাবিক চিত্রটাই উঠে এসেছে গল্পে । মা-বাবার ইচ্ছেগুলো বাচ্চাদের উপর চাপিয়ে দেয়া, শৈশবের দুরন্তপানা-খেলাধুলা বাদ দিয়ে শুধু পড়া আর পড়া ।
গল্পের মেসেজটা সুন্দর, বর্ননা ভাল হয়েছে ।
০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫০
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
দীর্ঘ সময় কোচিং টিউশনীর সাথে থাকায় আমার ভেতর এসব বিষয় সবসময় একটা পেইন তৈরি করতো।
আমি সবসময় ছোট ছোট বাচ্চাদের পাঠ-অসহায়ত্ব দেখে ভাবতাম!
ধন্যবাদ পাঠ ও কমেন্টের জন্য...
৫| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাল লিখেছেন। তবে আমার মনে ৩-ইডিয়ট ছবির সে ই আল ইজ ওয়েল। + লন
০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৫
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
থ্রি ইডিয়ট আমার কাছে চরম একটা মুভি...
ধন্যবাদ
প্রিয় কবি...
৬| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার মেয়ে?
দারুন ছবি আঁকে তো!
০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৭
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
না আপু ! আমার মেয়ের বয়স মাত্র ১৭ মাস!
ও আমার কোচিংয়ের স্টুডেন্ট ছিলো...
আর হ্যাঁ ও ভাল ছবি আঁকে...
৭| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
লেখক বলেছেন:
মাইনাসের কমেন্টও কি মাইনাচ হয়ে গেলু ???
আপনার পোস্টটি তে ++++++ রইল ভাই।
০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৯
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আপ্নাকে ধন্যবাদ...
পাঠ ও কমেন্টের জন্য...
শুভকামনা সবসময়...
৮| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
শাহেদ খান বলেছেন: "জন্মদাতা-দাত্রীর পেস্ট্রিজ, ইগো আর স্বপ্নের কাছে জিম্মি হবো প্রতিনিয়ত। আমার স্বপ্ন-ইচ্ছা বলে কি কিছু থাকতে নেই! “মায়ের পদতলে জান্নাত” এর অর্থ কি আমার বন্দিত্ব! আধুনিক পৃথিবীর স্বপ্নের দাসত্ব! কিন্তু এরা সন্তানকে ব্ল্যাকমেইলের জন্যই এই হাদীসকে কেন ব্যবহার করে! জীবনের আর কোথাও তো তাদের হাদীসের প্র্যাকটিস নেই!"
-- সুগভীর লেখা। গল্পের মানুষগুলো আর তাদের সাইকোলজিগুলো পুরোই বাস্তব, আর সেটা ফুটিয়ে তুলেছেনও দারুনভাবে !
গল্পটা ভাল লাগল, সুপান্থ ভাই।
০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৪
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
এই জন্যই বলি কবির চোখ আসলেই ডিফরেন্ট!
চমৎকার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ...
আমাদের সমাজটায় এই সময়ে শিক্ষাটা হয়ে গেছে পণ্য। আর এই পণ্য গেলার বদ হজমেই নাকাল এই জাতি...
শুভকামনা শাহেদ...
৯| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৩
মুক্ত পাখীর মন বলেছেন: বিএনপির চীফহুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুকের ‘পরকিয়া’ http://sbnews21.com/?p=99
০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ভাই এই পরকিয়া দিয়া আমি কী করমু?
যতসব আজাইরা...
১০| ০৮ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৪৮
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: আসলে কি জানেন ঠিক এই ব্যাপারটা নিয়েই গত এক সপ্তাহ আগেই মায়ের সাথে রাগারাগি হল বেশ।
আমার কখনই ইচ্ছা ছিল না ডাক্তারি পড়ার। ইঞ্জিনিয়ারিং বা ম্যাথ পড়তে পারলে বেঁচে যেতাম। একদিন পড়ে ঢাকা ভার্সিটি ক ইউনিটে পরীক্ষা দিয়ে সেকেন্ড হয়েছিলাম, জেনেটিক্সে যেতে পারতাম। বুয়েটে দিলে কি হত জানি না, তবে ইনশাল্লাহ চান্স পেতাম।
এখন আছি ডিএমসিতে। গভীর অতৃপ্তির বশবর্তী হয়ে টিকে গেছি আজ সাড়ে তিন বছর। পড়াশোনা করতে মেজাজ খারাপ হয় বলে ফেসবুক আর ব্লগে টাইম দেই বেশি।
মা আমাকে যে কারণে বকাবকি করেছেন সেটা হচ্ছে আমি টার্মগুলো একবারে পাশ করতে পারি নি, মানে ক্লিয়ারেন্স পাই নি একবারে। রি এক্সাম দিয়ে টার্ম ক্লিয়ার করে ক্লিয়ারেন্স পেয়েছি। আমাদের দুইশ জনের মধ্যে নব্বই জন এক চান্সে ক্লিয়ারেন্স পেয়েছে।
এখানেই আমার মায়ের রাগ। কেন আমি ঐ নব্বইয়ের মধ্যে থাকতে পারলাম না। খুবই মেজাজ খারাপ হয়েছিল। যা ইচ্ছা শুনিয়ে দিয়ে এসেছি। আমার বাসায় মা ছোট ভাইয়ের সাথেও এমন করেন। জানি না তার মধ্যে সুপ্ত দৈত্যটা কবে নাড়াচাড়া দিয়ে ওঠে।
আপনার পোস্ট পড়ে খুবই মন খারাপ হয়ে গেল বলে এতগুলো কথা বললাম। রেজাল্টের ব্যাপারগুলোকে আত্মদম্ভ হিসেবে না নিলে খুশি হব।
শুভকামনা রইল।
১২ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নেন।
ভাই মায়েদের মত সুহৃদ সন্তানের জন্য আর কেউই হতে পারে না। বাট বর্তমানে মায়েদের সন্তানদের পড়াশোনার খবরদারী দেখলে মনে হয়। সন্তানরা একএকটা দাস...
আর শেষের কথায় মাইন্ড খাওয়ার কী আছে...
১১| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গল্পটা বুকমার্ক করে রাখলাম - পরে পড়ব
১২ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ
পড়ে জানাবেন কেমন লাগলো।
১২| ০৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
নস্টালজিক বলেছেন: সুপান্থ, কেমন আছো?
১২ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আছি আলহামদুলিল্লাহ...
১৩| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৪
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: ভালো লাগল গল্পটা
১২ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ শুকনো পাতা।
তবে মর্মর শুনতে পেলামনা!
১৪| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:০৬
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: আপ্নার মেয়ে কেমনাছে ?
লেখাটা পড়তে ভালোই লাগছে
১২ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
সাররা ভালই আছে...
ধন্যবাদ পাঠ ও কমেন্টের জন্য...
১৫| ০৯ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: স্কুলের ব্যাগটা বড্ড ভারি
আমরা কি আর বইতে পারি
এও কি একটা শাস্তি নয়?
কষ্ট হয়... কষ্ট হয়
(কবীর সুমনের লেখা এবং সুর করা একটা গান)।
গল্প ভালো লেগেছে। বক্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত।
১২ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ ...
হামা কেমন আছেন?
১৬| ২৩ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম
২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০১
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ...
ভাল থাকুন সবসময়............
১৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: রোমে > রুমে হবে।
গল্পের বিষয়বস্তু খুব ভাল লেগেছে। আপনার লেখনী পরিচ্ছন্ন ও চমৎকার। লিখতে থাকুন। শুভকামনা রইল। ++++
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৩
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপ্নাকে।
ভাল থাকবেন সবসময়...
১৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ভাল লাগল। মাধ্যমিক পড়ুয়া প্রায় প্রতিটি বাচ্চার অবস্থাই আজ এমন। মায়ের অযাচিত স্বপ্নের নির্মম বলি হয়ে একেকটা ফার্মের মুরগির জীবনযাপন করছে। জানি না এর পরিত্রান কোথায়।
৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ...
আসলেই এর পরিত্রান কোথায়...?
৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪১
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ...
আসলেই এর পরিত্রান কোথায়...?
১৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: মায়েদের মনঃবৈকল্যের উপর একটা গল্প। ইস বাচ্চাদের উপরে কী চাপটাই না পড়ে। ভাই খেয়াল রাখবেন যেন আপনার মেয়ে আনন্দের সাথে পড়াশুনা করতে পারে।
শুভেচ্ছা।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৯
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
সুন্দর কমেন্ট!
ধন্যবাদ জানবেন।
আর আমার মেয়ে আছে সেটা জানলেন কেমনে? মনে হয় পুরনো কেউ!
তবে মেয়ে সম্পর্কে আপনার উপদেশ মনে থাকবে...
২০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩১
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: না পুরান নই খুবই নতুন। ব্লগের ব্যাপারে আনাড়িই বলতে পারেন। মাত্র দুমাস নিয়মিত ব্লগিং করছি। এর আগে অনিয়মিত ছিলাম। আমার একটা অভ্যাস হল লেখার সাথে সাথে সব মন্তব্যও পড়ে দেখা। আগের কয়েকটি মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য থেকে আপনার মেয়ে থাকার বিষয়টা জেনেছি।
আমার ব্লগবাড়িতে দাওয়াত রইল। আসলে খুব খুশি হওয়ার সুযোগ পেতাম। ভাল থাকবেন। সোনামনিটার জন্য অনেক অনেক আদর!!!!
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৫
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ
পুরনো লেখা তো তাই মনে ছিলনা... যে আগের কোন কমেন্টে আমার মেয়ের কথা এসেছে...
আপনার গল্প পড়লাম। ভাল লাগল। সেই সাথে পরামর্শ থাকবে ব্লগীয় দলাদলী থেকে দুরে থাকার...
২১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: একমত।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৬
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ জানবেন স্যার!
আর ভাল থাকবেন সবসময়...
২২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৩
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: বাহ স্যারকেও পেয়ে গেলাম।
দলাদলি আমার কখনোই পছন্দ নয়। এখানে যারা লিখছি সবাই ব্লগার। সুতরাং সহব্লগার হিসাবে প্রত্যেকেই আমার বন্ধু। তাদের কেউ কেউ হয়ত প্রিয়ও হবেন। কেউ কেউ অপছন্দেরও হতে পারেন। কিন্তু শত্রুস্থানীয় তো কারও হওয়ার কথা নয়। আর দলাদলি কেন হবে এটা অবশ্য মাথায় আসছে না। বা কী নিয়ে দল তাও বুঝতে পারছি না।
যা হোক আপনার পরামর্শ মনে রাখব। ধন্যবাদ সতর্ক করে দেওয়ার জন্য।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৬
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আসলে দলাদলিটা হয়... আদর্শিক অথবা মানসিক কারণে। আবার কেউ কেউ আছেন ব্লগীয় হিটের জন্যও সিন্ডিকেট করেন...
তবে একটু সতর্ক আর একটু নির্মোহ থাকলে সব এড়ানো যায় সহজেই...
শুভকামনা সবসময়...
২৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৩
হুপফূলফরইভার বলেছেন: যাপিত জীবনের এতটা বাস্তবধর্মী এতটা চমৎকার গল্প এই ব্লগে খুব কমই পড়েছি। মনে হয়েছে প্রতিটা শব্দ যেন যত্ন নিয়ে একে একে গেথেছেন আপন রঙ্গে।
প্রচন্ড অভিমানী জেদী মেধাবী জায়দা বেগম ভূগেছেন একদেশদর্শিতার অপরিণামদর্শী স্বপ্নতাড়নায়। পক্ষান্তরে ইখতিয়ার সাহেবকে অত্যন্ত বাস্তবধর্মী ক্যারিয়ার গুরু সাজিয়েছেন। এমন দ্বৈতপ্রজ্ঞার সন্তান দখিন কে শেষম্যাষ ছেড়ে দিয়েছেন একান্তই স্বতঃপ্রনোদিত সুবিবেচনাবোধের দায়িত্ব কাধে দিয়ে।
এমন করে একদিকে সীমাহীন প্রত্যাশার বোঝা অন্যদিকে একআকাশ উন্মোক্ত সিদ্ধান্তনেয়ার অবাধ স্বাধীনতা পেলে, পথ সে হারাবেনা এটা আমি শিউর করে বলে দিতে পারি।
শূভাশিষ জানবেন নিত্যদিনের।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৪
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
জ্যাক ভাই আপনার এই কমেন্টটি বাঁধিয়ে রাখার মত। এমন একটা সংক্ষিপ্ত অথচ বাস্তবধর্মী আলোচনা দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ! মুগ্ধ আপনার পর্যবেক্ষণ শক্তির গভীরতায়ও...
দখিনরা আসলেই পথ হারায় না। তবে ওরা প্রত্যাশার বলি হয়ে সাময়িক আউলা হয়ে যায় প্রায়শই। এটা আমার অভিজ্ঞতা।...
ধন্যবাদ জানবেন সুহৃদ...
২৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৫
হুপফূলফরইভার বলেছেন: ও, আরেক্টা কথা বাই এনিওয়ে বাই এনি চান্স গল্পের শিরোনামটা পছন্দ হয়নি। মনে হয়েছে জোর করে বসিয়ে দিয়েছেন কল্পনাকে মেলানোর জন্য। আরেক্টু চুজি সিলেকশন গন্ধমেলাতে পারে বহুদূর।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২০
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ওহ তাই!
এভাবে তো ভেবে দেখিনি...
আপনি কি একটা বা দুটো নাম প্রস্তাব করতে পারেন?
অথবা শুধু বিবর্তন দিলে কেমন হয়...?
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
~মাইনাচ~ বলেছেন: