নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নভেলার মাঝি...

সুপান্থ সুরাহী

কবিতার প্রেমে অক্ষরের সঙ্গে শুরু হয়েছিল ঘরবসতি। এখন আমি কবিতার; কবিতা আমার। শব্দচাষে সময় কাটাই...

সুপান্থ সুরাহী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহমেদের জীবনাবসান: মৃত্যু অথবা পরিকল্পিত ভিন্ন কিছু...

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪





[মৃত্যুর প্রায় বছরখানেক আগে লেখা হয় লেখকের উপন্যাস ‘মেঘের ওপর বাড়ি’। এই লেখাটি সেই উপন্যাসের পাঠ প্রতিক্রিয়া ]



মাজার পন্থীদের বিশ্বাস গায়েবী ক্ষমতায়। পীর পন্থীদের বিশ্বাস কারামত আর কাশফে। সাধারণ বাংলাদশেীদের বিশ্বাস আধ্যাত্মিক ক্ষমতায়। পীর-আউলিয়া আর সন্নাসী-বাউলের এই দেশে মানুষের মনে আছে পীর,ফকির,দরবেশ,লাল-শালুওয়ালা জটাধারী আর অলি-কুতুবের প্রতি নানা ক্ষমতারোপের মানসিকতা। তারা বিশ্বাস করে উল্লেখিত বিশেষণধারীদের আছে কিছু না কিছু অলৌকিক ক্ষমতা। কিন্তু সেই ক্ষমতাটা একেকজন বিশ্বাস করে একেকভাবে। বাঙ্গালী শিক্ষিত মানুষেরা এটাকে বলে অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা। কেউ কেউ অবশ্য বলেন অতিন্দ্রীয় ক্ষমতা। আবার পাশ্চাত্যে এটার নাম ESP বা Extra Sensory Perception যাকে আবার কেউ বলেন সিক্সথ সেন্সও।



আপনারা হয়তো ভাবছেন শিরোনামের সাথে এই আজগুবি ভূমিকার কী সম্পর্ক! আছে! এবং খুব নিবিরভাবেই আছে! হুমায়ূন আহমেদ তাঁর ‘মেঘের ওপর বাড়ি’ বইয়ে বেশ কয়েকবার এই ESP ক্ষমতার বিষয়টি এনেছেন। বইয়ের গল্প আর লেখকের বক্তব্যে মনে হয় লেখক এই অতিন্দ্রীয় ক্ষমতায় বেশ জোড়ালোভাবেই বিশ্বাস করতেন। বইটির প্রেক্ষাপট বিচারে মনে হয় লেখক নিজেও এই ক্ষমতাটি পেয়েছিলেন। পুরো বইটি পড়ার পর মনে হবে তাহলে কি হুমায়ূন আহমদ জানতেন কীভাবে তার মৃত্যু হবে? অথবা মৃত্যুর পর তার মৃত্যু নিয়ে যতসব ঘটনা ঘটবে তার সবই কি তিনি সেই ESP ক্ষমতার মাধ্যমে দেখতে পেয়েছিলেন? একটু নিরস বা রহস্যপ্রিয় পাঠকের কাছে মনে হতে পারে বইটি কি লেখকের পরিকল্পিত মৃত্যু-আয়োজন? সন্দেহবাদী পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে সবসময় রহস্য করে যাওয়া হুমায়ূন আহমেদ কি তবে মৃত্যু নিয়েও রহস্যের ফাঁদ পেতে গেলেন? আবার সহজ সরল পাঠক ভাবতেই পারেন এটা একটা তালকাক বা কাকতালীয় বিষয়। কিন্তু তাই বলে লেখকের এমন একটা বই আলোচনার বাইরে থেকে যাবে তা কী করে হয়?



পাঠক! আসুন তাহলে ‘মেঘের ওপর বাড়ি’র রহস্য-চোরাবালিতে হারিয়ে যাই। দেখি লেখক সেখানে কী রেখেছেন আমাদের জন্য। যারা বইটি পড়েননি তারা এই নিবন্ধটি পড়ে একবার চোখ বোলাতে পারেন বইটিতে। আর যারা পড়েছেন তাদের কাছে মনে হবে আরে! এভাবে তো ভাবিই নি!



বইটি তিনি লিখেছেন নিজের ক্যান্সার ধরা পড়ার আগে। একজন মৃত মানুষের জাবানীতে। বইয়ের গল্পে একজন নারীর কথা আছে যিনি কোলন ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। লেখকেরও কোলনে ক্যান্সার হয়েছিল। আবার লেখক নিজেই বইটির ভূমিকায় রহস্যটা উসকে দিয়েছেন।



“অন্যকথা ( না পড়লেও চলবে)” শিরোনামের পুরো ভুমিকাটাই উদ্ধৃত করছি-

প্রথম আলো ঈদসংখ্যার জন্যে যখন আমি এই উপন্যাস লিখি, তখন ক্যান্সার নামক জটিল ব্যাধি আমার শরীরে বাসা বেঁধেছে। এই খবরটা আমি জানিনা। ক্যান্সার সংসার পেতেছে কোলনে, সেখান থেকে রক্তের ভেতর দিয়ে সারা শরীরে ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। কোনো এক অদ্ভুত কারণে আমার অবচেতন মন কি এই খবরটা পেয়েছে?

আমার ধারণা পেয়েছে। যে কারণে আমি উপন্যাস ফেঁদেছি একজন মৃত মানুষের জবানিতে। উপন্যাসে এক মহিলার কথা আছে, যার হয়েছে কোলন ক্যান্সার। সেই ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে সারা শরীরে। বাসা বেঁধেছে লিভারে, ফুসফুসে। হঠাৎ এইসব কেন লিখলাম? জগৎ অতি রহস্যময়!




এই ভূকিার পর পাঠকের মনে এই বিশ্বাস জন্ম নেওয়াটাই স্বাভাবিক, লেখকের অতিন্দ্রীয় অনুভূতিই লেখককে খবর দিয়েছে, তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত! তাহলে বাকী বইয়ের ঘটনাও কি তাই?



বইয়ের মূল চরিত্র মৃত ব্যক্তি ড. ইফতেখারুল ইসলাম। তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থের একজন এসোসিয়েট প্রফেসর। লেখক নিজেও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ছিলেন। তিনিও ড. হুমায়ূন আহমেদ। পার্থক্য বিষয়ে। তাহলে কি গল্পের ইফতেখারুল ইসলামই প্রকারান্তরে হুমায়ূন আহমেদ? বিষয়টা আরো স্পষ্ট হবে আরেকটু পর।



আমারা দেখি ড. ইফতেখারুল ইসলাম যখন হাসপাতালে তখন তার শয্যাপাশে স্ত্রী রুবিনা ছাড়া আর কেউই নেই। মাঝে মাঝে কেউ ফোনে খবর নেয়। কিন্তু কে খবর নেয় লেখক তা স্পষ্ট করেননি। ঠিক তেমনি ভাবে হুমায়ূন আহমেদ যখন নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন তখন নিজ পরিবারের তেমন কেউ পাশে ছিলেন বলে শোনা যায় না। পাশে ছিলেন কেবল স্ত্রী শাওন। এখানে প্রশ্ন জাগতে পারে! গল্পের রুবিনা বেশ ডেমকেয়ার বাট শাওনের চরিত্রে তো সেটা প্রকাশ পায়নি! হ্যাঁ সেটা হতে পারে। ভবিষ্যৎ কথন পুরোটা মিলে যাবে সেটা তো হয় না। যদি মিলে যায় তাহলে তো সেটা মানব কথন হতে পারেনা।



আমরা যদি গল্পের চরিত্রগুলোর সাথে বাস্তব চরিত্রগুলো মিলিয়ে নেই তাহলে পুরো বিষয়টা অনুধাবনে সহায়ক হবে। বইটির মূল চরিত্র ড. ইফতেখারুল ইসলাম-এর জায়গায় বসিয়ে নেই লেখক হুমায়ূন আহমেদরে নাম। স্ত্রী রুবিনার জায়গায় বসিয়ে নেই লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনের নাম। লেখকের বন্ধু রবিউলের জায়গায় বসাই অন্যপ্রকাশের কর্ণধার মাজহারুল ইসলামের নাম। হুমায়ূনের মৃত্যুর পর চট্টগ্রামের আইনজীবী ও লেখক এ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম শাওনকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে একটি মামলা করেন সেই আইনজীবীর জায়গায় বসাই পুলিশ ইন্সপেক্টর খলিলের নাম। লেখকের পরিবারের জায়গায় আমারা বসাতে পারি খলিলের স্ত্রীসহ তার পরিবারের নাম। এখন আনেকটাই সহজ হয়ে আসবে এই লেখাটা!

[এই অংশে জীবিত বা বাস্তবের যেসব মানুষের নাম এসেছে। আমি তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি বিশ্বাস করি তারা কেউই গল্পের চরিত্রের মত চরিত্র ধারন করেন না। কেবল বইটির বিশেষত্বটা দেখনোর জন্যই এই নামগুলো ব্যবহার করেছি।]



গল্পের মৃত ড. ইফতেখার তার চার পাশে কী হচ্ছে তার অনেকটাই দেখতে পাচ্ছেন। মৃতের লাশ যখন কেবিনে পড়ে আছে। মৃত মানুষটি দেখতে পাচ্ছেন একজন পুলিশ অফিসার। তার হাতে ওয়াকিটকি। সেই অফিসার মৃতকে নিয়েই কথা বলছেন। বলছেন “ আমি ডেথ রিপোর্টের কপি নিয়ে যাব। ডেডবডির সুরতহাল হবে। আমারা সাসপেক্ট করছি , ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে।” এখানেই মিলে যায় শতশত অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট আর হুমায়ূন ভক্তদের বক্তব্য। লেখকের মৃত্যুর পর আমারা দেখেছি একদল মানুষ ফেসবুকে, ব্লগে এমনকি পত্রিকায়ও খবর এসেছে যে তাকে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে একটা রিউমার বা গুজব চার দিকে ডানা মেলতে মেলতেই থেমে যায়। আমারা দেখব গল্পেও তেমনটাই ঘটবে। সমস্যা তৈরি হতে হতে সব সমাধান হয়ে যাবে। একসময় অভিযুক্তরা সবাই নিরাপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।



পুলিশ ইন্সপেক্টর খলিল ড. ইফতেখারেুলের মৃত্যুর কারণ তদন্ত করতে আসেন। ভিসেরা দেখা যায় তাকে উঁই পোকার বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়। এতে সন্দেহের তালিকায় নাম আসে স্ত্রী রুবিনার ও ইফতেখারুলের বন্ধু রবির। একসময় তন্দন্ত করার সময় রুবিনা রেগে যায়। তখন খলিল বলেন-

“ স্যারের মৃত্যুতে একটি অপঘাত মামলা হতে যাচ্ছে। একটা টেলিফোনে পুলিশকে তার মৃত্যু সংবাদ জানানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।”

আমরা দেখি বাংলাদেশের অনেক হুমায়ূণ পাঠকই এমনটা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল। তখনকার সংবাদ মাধ্যম বা ভার্চুয়াল জগতের খবরাখবর এমনই আভাস দিচ্ছিল।



আমারা খবর পাই যে লেখক আমেরিকায় অপারেশনের পর নিজ বাসায় চেয়ার থেকে পড়ে যান। এর পরই তিনি দ্রুত মৃত্যুর দিকে চলে যান। এমনই একটা ঘটনার কথা আছে গল্পেও। পুলিশের জেরার জবাবে রুবিনা বলেন বলেন ড. ইফতেখার যখন অসুস্থ হন তখন তার মেয়ে পলিন এসে রুবিনার কাছে বলে মা বাসায় ভূত এসেছে। তখন আমি পলিনের ঘরে যাই। দেখি “আমার স্বামী মেঝেতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।” তার গোঁ গোঁ শব্দের কারণেই পলিন মনে হয় ভাবছিল ভূত এসছে।



লেখক একজন মৃত মানুষের জবানিতে গল্প ফেঁদেছেন। সেই গল্প লেখকের মৃত্যুর প্রায় একবছর বা তার কিছু কম-বেশি সময় আগের। কিন্তু আমারা দেখতে পাই বইটরি ঘটনাগুলো হুবহু না মিললেও কিছু না কিছু মিলে যাছে লেখকের মৃত্যু পরবর্তী ঘটনার সাথে।



যেমন আমারা দেখি মৃত্যুর পর অনেকেই দায়ী করে শাওনের অবহেলায় হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু হয়। সেই অবহেলার কারণ হিসেবে দেখনো হয়, অন্যপ্রকাশের মাজহারের সাথে শাওনের পরকিয়ার কারণকে। ঠিক তেমনিভাবে গল্পে যখন ড. ইফতেখারের বন্ধু রবিকে রিমান্ডে নেওয়া হয় সেখানে দেখানো হয় রুবিনার সাথে রবির প্রেম ছিল। সেই প্রেমেরে পূর্ণতা দিতেই ইফতেখারকে খুন করে রুবিনা। সেই মৃত্যুতে হাত আছে রবিরও। যা রবি রিমান্ডে শিকার করে। একইভাবে অনেকেই হুমায়ুনের মৃত্যুতে মাজহারের হাত আছে মনে করে। যা আমারা ব্লগের বিভিন্ন পোস্টে দেখেছি।



গল্পে দেখা যায় মৃতের লাশ কবর দেওয়া নিয়ে একটি জটিলতা দেখা দেয়। বাস্তবে হুমায়ূন আহমেদের কবর নিয়েও তৈরি হয় চরম জটিলতা ও অনিশ্চয়তার। গল্পে দেখি মৃতের গ্রামের বাড়িতে লাশ নিয়ে যাওয়ার প্রস্ততি চলে। বাড়িতে তাকে দাফন কারার জন্য ব্যবস্থাও করা হয়। ঢাকা থেকে লেখকের কলিগ ও বন্ধুরাও গ্রামের বাড়িতে আসেন। একসময় জানা যায় লাশ আসছেনা। লাশ রুবিনার বাড়ির বারান্দায় পড়ে থাকে। গ্রামের বাড়ির সবাই হতাশ হয়। যদিও গল্পে একটু ভিন্ন বিষয় আছে। সেটা এখানে বিবেচ্য নয়। ঠিক তেমনিভাবেই লেখকের মৃত্যুর পর লাশ ঢাকায় আনা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয় ফ্লাইটি সমস্যার কারণে। এর পর লাশের দাফন নিয়ে শাওন আর পরিবারের মধ্যে বিরোধ হলে লাশ দাফন আরো বিলম্বিত হয়। এই ঘটনার ইঙ্গিতবাহী ঘটনা মনে হয় আমার কাছে গল্পে দাফন না হওয়ার বিষয়টা। শেষ পর্যন্ত লেখকের লাশ দাফণ হয়। কিন্তু গল্পের লাশ দাফন করা হয়না। দাফনহীন রেখেই লেখক গল্প শেষ করেন। এখানেও কি কোন রহস্য রয়ে গেছে? আগামী দিনের গবেষকগণ ভাববেন সেই আশাই করছি।



একসময় ইন্সপেক্টর খলিলের বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীর সাথে কথা হয় রুবিনার ঘটনা নিয়ে। ঘটনা শুনে খলিলের স্ত্রী স্পষ্ট বলেন যে, এই মৃত্যুর জন্য কোনভাবেই রুবিনা দায়ী না। এটা খলিলের স্ত্রী এশা তার ESP ক্ষমতার মাধ্যমে নিশ্চিত হয় বলে লেখক বলেন।

এশা বলেন,“আমি মোটামুটি নিশ্চিত, রুবিনা মেয়েটি নির্দোষ। তার স্বামীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।”

তখন “খলিল বিরক্তমুখে বলল, তুমি বললেই হবে না, ভিসেরা রিপোর্টে অরগ্যানো ফসফরাস পাওয়া গেছে।”

তখন এশা কোথাও ভুল হয়েছে বলে আবার পরীক্ষার জন্য খলিলকে চাপ দেয়। এক পর্যায়ে হুমকি দেয় যদি রুবিনার ফাঁসি হয় তাহলে সে খলিলকে রেখে চলে যাবে। কারণ এর আগেও খলিলের তদন্তে দুজন নিরাপরাধী ব্যক্তির ফাঁসি হয়। এশা বলে “তোমার কারণে যদি তৃতীয়জনও ফাঁসিতে ঝুলে তাহলে কিন্তু আমি চলে যাব।” এভাবে দুজনের বাদানুবাদে খলিল সিদ্ধান্ত নেয়। ভিসেরা পরীক্ষাটা নতুন করে করা হবে।

একসময় খলিল রুবিানাকে সাসপেক্ট হিসেবে বাদ দিয়ে দেয়। বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীর রান্না করা খাবারের দাওয়াত দিতে গিয়ে রুবিনাকে খলিল বলে,

“ ম্যাডাম! আপনি আমার সন্দেহ তালিকা থেকে মুক্ত।

সন্দেহের তালিকায় কে আছে, রবি?

কেউ নেই আমার মনে হচ্ছে, আপনার স্বামীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ডাক্তারের দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যুর কথা লেখা। ভিসেরা রিপোর্ট মনে হয় ঠিক না। ভিসেরা পরীক্ষা নতুন করে করার ব্যবস্থা করছি।”




গল্পে দেখা যায় এশার অতিন্দ্রীয় ক্ষমতার প্রতি আস্থা রেখে খলিল মামলার সব সাসপেক্টকে মুক্তি দিয়ে দেয়। ঠিক তেমনি আমরা জানি লেখক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু নিয়ে সব জটিলতা আর মামলা শেষ হয়ে যায় তার পরিাবারের সদস্যদের অনুরোধে, বিশেষ করে লেখকের মায়ের অনুরোধে। একসময় ব্লগ ফেসবুক আর মিডিয়া থেকে হুমায়ূন আহমদের মৃত্যু রহস্য বিষয়ক সব সংবাদ ও সংবাদের ফলোআপ থেমে যায়। শুধু থেকে যায় লেখকের জন্য আফসোস।



কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় ‘যা কিছু রটে কিছুনা কিছু ঘটে’। সেই সূত্রে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হওয়া সব ধুম্রজালই কি গুজব ছিল? নাকি এর কিছু সত্যতাও ছিল! মৃত্যুর এক বছর আগের বই পাঠান্তে মনে হয় কোথাও গড়বড় আছে। সময় একদিন হয়তো সব প্রকাশ করে দিবে। নয়তো অনন্তকালের বাঁকে হারিয়েই যাবে এইসব রহস্যাবলীর সমাধানচেষ্টা।



যদি এই বইয়ের পুরো গল্পটাকে আমারা লেখকের অতিন্দ্রীয় ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ধরি তাহলে সমস্যা অনেকটাই শেষ হয়ে যায়। রহস্যটা প্রায় খোলাসাই হয়ে যায়। প্রশ্ন আছে এখানেও লেখক কি তার আরো কোন বইয়ে এই ক্ষমতার প্রকাশ করেছেন? অথবা লেখকের ব্যক্তি জীবনে কি এমন ঘটনা আরো আছে? যদি এটা তার ESP-ই হয় তাহলে তো এমন ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ আরো হতো! কেনই বা মৃত্যুর আগে কেবল একটা উপন্যাসেই এই ঘটনার প্রকাশ ঘটল? এই সব প্রশ্নের আলোকে সন্দেহবাদীদের মনে আরো কিছু প্রশ্ন জাগে। তাহলে কি হুমায়ূন আহমেদ নিজেই নিজের মৃত্যু আয়োজন করেছিলেন? পরিকল্পিত ভাবে সাজানো নাটকের মতই আত্মহনন করেছেন? এই বইটি পাঠের পর আমার মনে বার বার একটা প্রশ্ন এসেছে আর আমি তাকে তাড়িয়ে দিয়েছি। প্রশ্নটা হলো লেখক কি অলি- আউলিয়াদের মত নিজের মৃত্যু দেখতে পেরেছিলেন? যার ফলে পরিকল্পনা করে আগে বই লেখে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। নাকি অন্য কিছু। আবার কখনও প্রশ্ন জেগেছে , লেখককে কি তাহলে পরিকল্পনা করে তার গল্পের মতই খুন করা হয়েছে? চিরকাল রহস্য নিয়ে খেলা করা মিসির আলীর আড়ালে বসবাস করা হুমায়ূন আহমেদ কি তার মৃত্যু নিয়ে অমিমাংসিত কোন রহস্য রেখে গেলেন? যা ‘মিসির আলি আনসলবড’ উপন্যাসের মতই আমাদের নাগালের বাইরে থেকে যাবে! কালের আবর্তে এই মৃত্যু ইতিহাসের এক দীর্ঘ আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে? মাহাকালের গর্ভে না হারিয়ে এই মৃত্যুঘটনা আরো নানা দিগন্ত খোলে দিয়ে প্রকাশ করে দিবে রহস্যের অন্তরাল! মানুষ জানবে লেখক হুমায়ূন কেবলই লেখক ছিলেন না। ছিলেন এর বাইরেও অন্য কিছু। অথবা তার চারপাশে আপন হয়ে থাকা মানুষগুলো আপন কেউ নয়; ছিল তার চেয়ে বড় কোন লক্ষ্য নিয়ে তাকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টায়! অথবা এমন কি হতে পারে! আমাদের দেশে চলে আসা হাজার বছরের মিথ ও রূপকথার মত এই মৃত্যু নিয়েও তৈরি হবে নানা মিথ আর দীর্ঘশ্বাসমাখা রূপকথার...



এক বন্ধুর একটা উদ্ধৃতি না দিয়ে পারছিনা। বন্ধু ‘মেঘের ওপর বাড়ি’ পড়ে মন্তব্য করেছিল, “বাংলাদেশে যে ভাবে অমুক শাহ, তমুক শাহের মাজার হয়, সেই মাজারপন্থী পাবলিকরা যদি জানতে পারে এই বইয়ের ঘটনা আর লেখকের মৃত্যু ঘটনা; তাইলে আমি নিশ্চিত ওরা হুমায়ূন আহমেদের কবরে মাজার বানানোর চেষ্টা করবে। নাম দিবে কুতুবে জামান লেখক হুমায়ূন আহমেদ শাহের মাজার।” আপাতত দৃষ্টিতে তার কথাটা হালকা ফান হলেও লেখকের গ্রামের বাড়িতে একটি মাজার দেখে আমারও তাই মনে হয়েছিল এক মূহুর্তের জন্য।



আমারা হুমায়ূন আহমেদের বেয়াড়া পাঠকরা অপেক্ষায় আছি। এইসব রহস্য সমাধানের! বিশ্বাস করি সময় এবং সময়ের ইতিহাস একদিন এই রহস্যের সমাধান করবেই! সবশেষে আমিও ‘মেঘের ওপর বাড়ি’ উপন্যাসের শেষের উদ্ধৃতি দিয়ে শেষ করছি-



“চিরকাল এইসব রহস্য আছে নীরব

রুদ্ধ ওষ্ঠাধর

জন্মান্তের নবপ্রভাতে সে হয়তো আপনাতে

পেয়েছে উত্তর।।”

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর





লেখাটি সাহিত্য কাগজ আনতারায় প্রকাশিত।



মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১

খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। হুমায়ুন আহমেদ ছিলেন এক বড় রহস্যময় মানুষ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।
রহস্যময় মানে! আমি তো মনে করি রহস্যের বরপূত্র!

শুভকামনা সবসময়...

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: আবার লেখক( হুমায়ূন স্যার) নিজেই বইটির ভূমিকায় রহস্যটা উসকে দিয়েছেন।

প্রথম আলো ঈদসংখ্যার জন্যে যখন আমি এই উপন্যাস লিখি, তখন ক্যান্সার নামক জটিল ব্যাধি আমার শরীরে বাসা বেঁধেছে

@ লেখক, হুমায়ূন স্যার যদি ক্যান্সার হয়েছে এটা ডাক্তার থেকে জানার আগে এই রচনাটি লিখতেন , তাহলে হয়ত ইএসপি বিষয়টা গূঢ় ভাবে ভাবা যেত । আমার মতামত, মানুষ মহা বিপদে পড়লে আগে নিজের খারাপটাই চিন্তা করে আর এটিই মূলত স্যারের উক্ত রচনাতে প্রতিবিম্বিত হয়েছে ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪১

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:

ধন্যবাদ প্রত্যাবর্তন।

দেখুন একটু মনে হয় মিস করেছেন!
ভুমিকাটায় আছে...
প্রথম আলো ঈদসংখ্যার জন্যে যখন আমি এই উপন্যাস লিখি, তখন ক্যান্সার নামক জটিল ব্যাধি আমার শরীরে বাসা বেঁধেছে। এই খবরটা আমি জানিনা। এখানে এই খবরটা আমি জানিনা। অংশটুকো আপনি মনে হয় খেয়াল করেন নি।

আবার দেখেন...
লেখক বলেছেন, কোনো এক অদ্ভুত কারণে আমার অবচেতন মন কি এই খবরটা পেয়েছে?

তাহলে ঘটনা কী দাঁড়ায়?

এবার একটু আবার পড়ুন তো। ইএসপি পান কি না?

ভাল থাকুন সবসময়...

৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২

মামুন রশিদ বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের লেখার মতই তার উপন্যাসের রিভিউ লিখেছেন মজার এবং রহস্যময় ভঙ্গিতে । খুব ভালো লেগেছে ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই মামুন রশিদ...

শুভকামনা সবসময়...

৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: অনেকদিন পর দেখা হলো সুরাহী :)

লেখা পড়ছি আর মাঝে একটু জিজ্ঞেস করে যাই "ইদানিং কেমন আছেন!"

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১১

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
এখন আর আগের মতো আসতে পারি না। যখন মন চায় একটা পোস্ট দেই তখনই আসি।

আছি, স্রস্টার প্রশংসা সবসময়।

আপনিও আছেন ভালই, মন বলছে...

৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫০

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: হুম, এইভাবে সিকোয়েন্সিয়ালি ধরে নিলে আমার আর্গুমেন্ট ফেইল করে । আসলে উনার অধিকাংশ লেখা পড়ার কারণে আমার মনে হয়েছিল নিজের ইএসপি'র ব্যাপারে উনি তেমন করে কিছুই বলেন নাই আর সেকারণে আপনার আর্গুমেন্ট আরোপিত মনে হচ্ছিল ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৬

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ আবারো কমেন্টে ফেরায়।

আমি আসলে এখানে কিছুই আরোপ করি নি। জাস্ট লেখকের বইটার ঘটনার সাথে বাস্তবের ঘটনার সমন্বয়ের চেষ্টা করেছি মাত্র...


সুখে থাকা হয় যেন...

৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: লেখকের মৃত্যুর পর আমারা দেখেছি একদল মানুষ ফেসবুকে, ব্লগে এমনকি পত্রিকায়ও খবর এসেছে যে তাকে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে একটা হিউমার বা গুজব চার দিকে ডানা মেলতে মেলতেই থেমে যায়। আমারা দেখব গল্পেও তেমনটাই ঘটবে। সমস্যা তৈরি হতে হতে সব সমাধান হয়ে যাবে। একসময় অভিযুক্তরা সবাই নিরাপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।


রিউমার লিখতে গিয়ে টাইপো হয়ে গেছে। ঠিক করে নিতে পারেন :)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
পাঠে কৃতজ্ঞতা।

ধন্যবাদ নেন। বস!

আর টাইপো ঠিক করে দিসি...

৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪০

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
উপন্যাসটা পড়া হয়নি। পড়ব।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ। পড়তেে পারেন। সময় এবং পয়সা উসুল হবে...

৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৯

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: “চিরকাল এইসব রহস্য আছে নীরব
রুদ্ধ ওষ্ঠাধর
জন্মান্তের নবপ্রভাতে সে হয়তো আপনাতে
পেয়েছে উত্তর।।”
:)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ...

রহস্য
রহস্য
রহস্য...

৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: চমৎকার রিভিউ

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ দিলাম...

ভাল থাকবেন সবসময়...

১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭

গাজী সুবন বলেছেন: মেঘের উপর বাড়ি পড়ে এসব বিষয়ে সন্দেহ করা অমুলক নয়,,আমার সন্দেহটা জন্ম হয় এই উপন্যাসটা পড়ার পরেই,,,,,,,বিষয়টা সামনে আনার জন্য ধন্যবাদ,বিষয়টা নিয়ে আলোচনার দরকার আছে ৷

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকেও...

আরো আলোচনা হতে হবে ...

১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আপনাকেও একটি চমৎকার ধন্যবাদ...

১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার রিভিউ হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুকে অনেকেই সহজভাবে নিতে পারে নি।পত্র পত্রিকায়ও তেমনি কিছু সংবাদ আসায় স্বাভাবিক ভাবে তার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। ভক্তরা অনেকে তাকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের স্বীকার ভেবে নেয় ।আপনার লেখনীতে ব্যাপারটা অনুধাবন যোগ্য করেছে। ভাললেগেছে কবি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।

এত বড় একটি লেখা পাঠ করে আবার একটা সুন্দর কমেন্ট!
আপনাকে আবারও ধইন্যা...

১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পাঠক সবাই হয়, কিন্তু আপনার মত অবজারভার কয়জনা হয়???

লেখাটা একটা রহস্যোপন্যাস হলে ভালো হত! =p~ =p~ =p~

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
প্রশংসাটা বেশি হয়ে গেল না!


ধন্যবাদ...

১৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫

ইয়েন বলেছেন: অসাধারণ .।+

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধইন্যা...

১৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন লিখেছেন। ভালো লেগেছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ কাভা...

১৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভিন্নধর্মী রিভিউ। তবে মিলগুলো কাকতালীয় বলবো আমি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আমি কোনটাই বলবো না। তবে মন বলে ঘটনাটা আরো তদন্ত হতে পারতো। গোপনে হলেও...

ধন্যবাদ হামা ভাই...

১৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: পড়েছি আর আপনার মতোই ভাবনাটা দুলে গেছে কয়েকবার। তবে এটা ঠিক হুমায়ুন আহমেদের ইএস পি প্রীতি তার পুরোনো আত্মকথণ গুলোতেও তার কিছু আভাষ পাওয়া যায়। যেমন তার বাবার কবর পাওয়া যায় নি অনেক বছর । অনেক দিন পর মানে কয়েক বছর আগে একদিন সেই অজ্ঞাত গ্রামের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি গাড়ি থামালেন। তার মনে হয়েছ এখানে তার বাবার কবর আছে। কার্য কারন ছাড়া একটা প্রচন্ড ই এস পি বুঝেছেন সেদিন নিজের মধ্যে। আর তা মিলেও গিয়েছিল। লেখকের আত্মজীবনি সব কেউ পড়লে বুঝবে এট তার প্রিয় বিষয় ছিল।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।

এটা আগেও এসেছে তবে খুব গৌণভাবে...

ভাল থাকুন সবসময়...

১৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এই বইটি পড়েছিলাম, আপনার মত আমিও কিছুটা অবাক হয়েছিলাম ESP এর অধিক ব্যাবহার দেখে !

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:

আমি তো ভাবছি এইটা নিয়া কেউ কথা কয় না ক্যা?

তাই আমিই কইলাম...


ধন্যবাদ অভি ভাই...

১৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

সোহানী বলেছেন: এখানে ESP বা অন্য কোন ক্ষমতার সুযোগ নেই... চিন্তাশীল পাঠকদের বলছি, একটু চিন্তা করলেই আপনিও ধরতে পারবেন এলেখার রহস্য। সবাই জানেন লেখক এ বয়সে নিজের দীর্ঘদিনের সংসার ছেড়ে নতুন পথে পা দিয়েছেন যা তার চেতন বা অবচেতন মনে অনুশোচনার দগ্ধ হয়েছেন এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নতুন সংসারে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সন্দেহ, দু:খ বা অনুশোচনার বহি:প্রকাশ এ লিখা।.................... কাকতলীয় বা তালকাকীয় নয় কিছুতেই................

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:

আপনার চিন্তাটাও অমুলক নয়। তবে বাস্তবের সাথে যেটা মিলে যায় সেইটাই তো আলোয় আসে। বা আসা উচিত!

ধন্যবাদ...

২০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

ড. জেকিল বলেছেন: সুন্দর কৌতুহলদ্দীপক পোস্ট।

এতোগুলো ঘটনাকে একেবারে কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দেওয়া যায়না কিছুতেই।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ...
এতোগুলো ঘটনাকে একেবারে কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দেওয়া যায়না কিছুতেই।

আমিও তাই মনে করি...

২১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:

আনতারা কি ঢাকা ভিত্তিক ম্যাগ?
জানাবেন।

রিভিউ ভালো লাগছে।

হুমায়ুন আহমেদের 'কবি' নিয়ে রিভিউ চাচ্ছি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আনতারা ঢাকা ভিত্তিক। বাইতুল মোকাররমে পাওয়া যাওয়ার কথা...


ধন্যবাদ...

'কবি' নিয়ে সময় করে লিখব ইনশাআল্লাহ... বড় বই তো সময় লাগবে...

২২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

ভাইটামিন বদি বলেছেন: দারুন বলেছেন......কষ্ট পাই যখন ভাবি আমরা আর তার লেখা পাব না।
.....তবে হুমায়ুন এর ভাষায়ই বলতে হয়- প্রকৃতি শুন্যতা পছন্দ করে না......হয়তো সামনের দিনগুলোতে আর কেউ আসবে....আরো জনপ্রিয় হবে....আরো কিছু অসাধারন চরিত্র তৈরী হবে। তবে 'হিমু' , 'মিসির আলী' উনারই অমর সৃষ্টি হিসেবেই থাকবে।......শান্তিতে থাকুন আমাদের প্রিয় লেখক ঐ পারে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৫

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
শান্তিতে থাকুন আমাদের প্রিয় লেখক...


ধন্যবাদ...

২৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার কমেন্টটা প্রশংসা ছিল না, জনাব কঠোর সমালোচনা ছিল। আপনি ভুল বুঝেছেন। X(

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:

জ্বী ভাই! আপনেও একটু বুঝতে ভুল করছেন... আমিও ফানই করছি...

আর কঠোর সমালোচনা কেমনে হয় সেইটা তো নতুন কইরা শিখলাম...

তয় বইটা পড়া আছে...? থাকলে আর কঠোর সমালোচনা কইত্তেন না।

সময় কইরা বইটা পইড়েন বস...

২৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১০

গগণজয় বলেছেন: বই টা পড়ি হয় নি। তবে রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে এই বইটা মিস হল কেন? পড়ে ফেলব।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ নেন।

আর হ্যাঁ বইটা পড়তে মিস কইরেন না...

২৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২২

নিয়েল হিমু বলেছেন: অনেক চমৎকার লিখেছেন । কিন্তু জানেন নিশ্চয় হুমায়ূনে বাচার খুব ইচ্ছা ছিল ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ...


হ্যাঁ জানি...

২৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

অদৃশ্য বলেছেন:






সেইসব প্রশ্নের উত্তর পাবার জন্য যে গবেষণা দরকার তা কি হবে কখনো... কেউ কি আপ্রাণ চেষ্টা করবে সেইসব রহস্য উন্মোচনের... ঠিক আছে অপেক্ষায় থাকা যাক...

বইটি মেলা থেকেই কিনেছিলাম... বইয়ের ঘটনাগুলো আর লেখকের মৃত্যু নিয়ে নিজে নিজে ভেবে অনেকটা সময় নষ্ট করেছিলাম...

লিখাটি নিয়ে আরও কিছু কথা লিখতে চেয়েছিলাম... কিন্তু ইচ্ছেরা উড়াল দিলো...


সুপান্থর জন্য
শুভকামনা...

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
হয়তো একদিন এইসবই আসবে আলোচনায়। কিন্তু তখন তা নিয়ে গবেষণা হবে; সমাধান আসবে না।

আমি বইটা পড়ে চিন্তা করতে করতে লিখেই ফেললাম...

ইচ্ছাকে মাইনাস!

সবশেষ আন্তরিক ধন্যবাদ...

২৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: দারুন লিখেছেন !

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৬

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ...

শুভকামনা রইলো সবসময়ের...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.