নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নভেলার মাঝি...

সুপান্থ সুরাহী

কবিতার প্রেমে অক্ষরের সঙ্গে শুরু হয়েছিল ঘরবসতি। এখন আমি কবিতার; কবিতা আমার। শব্দচাষে সময় কাটাই...

সুপান্থ সুরাহী › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্খলন [ছোটগল্প]

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২২





ফয়সাল, ওইটা পাগলি। কখনই একে প্রশ্রয় দিও না। তাহলে সমস্যায় পরবে!

ইমরুল চেয়ারম্যানের এই কথাটা কোনভাবেই মানতে পারছে না ফয়সাল আজাদ। মেয়েটি একটু বেশি কথা বলে, তাই বলে সে পাগল! নাহ মানতে পারলাম না। আচ্ছা কলেজের সেই অমিত সম্ভাবনাময় স্পর্ধিত তারুণ্য ইমরুল ভাই কি কিছুটা বদলে গেছেন? চেয়ারম্যান হয়ে কি তার স্খলন হয়েছে; আদর্শিক, নৈতিক, চারিত্রিক? ধুর! আমি এসব ভাবার কে? দুই টাকার চাকরি! লাখ টাকার প্রশ্ন করার দরকার কি? ফয়সাল আরো গভীর ভাবনায় যেতে চাচ্ছিল! কিন্তু পারলো না। ডাক আসলো চেয়ারম্যানের।

_ ফয়সাল, পাগলিকে একশ টাকা দিয়ে বিদায় করো। সে যেন নেক্সটে কখনই অফিসে ঢুকতে না পারে।

_ স্যার, আমি তো তাকে ভেতরে আনি নি। এনছেন রাহাত মেম্বার।

_ এই শালা রাহাত! আচ্ছা রাখ তোরে সাইজ দিচ্ছি... ফিস ফিস করে এই বলেই কিছুটা উদাস ভঙ্গিতেই মটর সাইকেল স্টার্ট দেন চেয়ারম্যান।



ফয়সাল আজাদ ইমরুল চেয়ারম্যানের দুই বছরের জুনিয়র। একই কলেজে থেকে অনার্স পাশ করেছে দুজন। ইন্টারভিউ দিতে দিতে যখন বয়স ত্রিশর ঘরে- তখনই ইউনিয়ন সচিবের এই চাকরিটা পায় ফয়সাল। অপর দিকে ইমরুল চাকরি-বাকরির চেষ্টায় না গিয়ে মৃত বাবার ইমেজ আর জনগনের আবেগে ঢেউ তুলে হয়ে যান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। একসময় কলেজের ছাত্র নেতাদের মধ্যে আদর্শিক নেতৃত্ব বলতে যা বুঝায় তার বসগুলো গুণই ছিল তার মধ্যে। দারুণ সমিহের চোখে দেখতো তাকে ফয়সালরা।



সেই ফয়সাল চাকরির পেয়ে প্রথম পোস্টিং পেলো ইমরুলের ইউনিয়নে। জয়েন করতে আসার পথে নানা দুশ্চিন্তা কাজ করছিলো তার মনে। তার সব দুশ্চিন্তা শেষ হয়ে গিয়েছিল ইমরুলকে দেখে। ইমরুলও তাকে দেখ বলছিলো আরে ফয়সাল তুই আসছিস। যা আমরা দুইজনে একসাথে কাজ করলে ভালই কাজ করতে পারবো। বেশ আনন্দের সাথেই স্বাগতম জানিয়েছিল ফয়সালকে। ফয়সালও বেশ খুশি হয়েছিল তার আদর্শিক বড় ভাইকে তার বস পেয়ে।



ফয়সাল দেখলো ইমরুল চেয়ারম্যান চলে যাচ্ছেন। কিন্তু তার আজকের চলে যাওয়াটা অন্য দিনের মত নয়। প্রায় একমাস হতে চললো সে এখানে জয়েন করেছে। বিন্তু চেয়ারম্যানকে এতটা ক্ষুব্ধ কখনই সে দেখে নি। তার ভেতরে এখন বেশ ভাংচুর হচ্ছে। সে কিছুতেই হিসেব মিলাতে পারছে না। একটা পাগলিকে দেখ তার এতটা ক্ষেপে যাওয়ার কারণটা কি? নিশ্চয়ই এই রেগে যাওয়ার পেছনে আছে কোন গোপন রহস্য। রাহাত মেম্বারকে জিজ্ঞেস করা যায়। নাহ, তাকে জিজ্ঞেস করলে সে আরো নতুন কোন ঝামেলা পাকাতে পারে। আজকে যদি এই পাগলিকে অফিসে এই মেম্বার না নিয়ে আসতো; তাহলে তো বড় ভাই এতটা চেততো না। চেয়ারম্যানকে ফয়সাল বড় ভাই বলেই বেশি ডাকে।



সে নিজেকে বেশ অসহায় ভাবতে থাকে। তার কাছে মনে হয় ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের চাকরিটা নিজেরে এলাকার বাইরে করাটা অনেক কঠিন। আজকে যদি তার নিজের এলাকায় হতো এমন একটা রহস্য। তাহলে সেটা এক ঘন্টার মধ্যেই সমাধান করে ফেলতো সে। ফয়সাল অবশ্য এই চাকরিটা নিয়েছে অনেকটা অসহায় হয়েই। বয়স শেষ হয়ে আসছে তার। চাকরি নামক সোনার হরিণটার নাগাল সে পাচ্ছে না। যদিও যেখানেই সে পরীক্ষা দেয় সেখানেই প্রথম বা দ্বিতীয় হয়। কিন্তু চাকরি তার হয় না। তার খুব স্বপ্ন ছিলো একজন ভালো পুলিশ অফিসার হবে। দেশটাকে বদলে দিবে। অবশ্য ছাত্র জীবনে আদর্শিক রাজনীতি করার কারণে তার চিন্তা অনেকটাই পরিশীলিত। হঠাতই সে অনেকটা স্বগত কথনের মত বলে, ‍''ধুর! আমার কাজ চাকরি করা। আমি চাকরি করি। এসব নিয়ে নাক গলানোর আমার দরকার নেই। আমি আজ আছি তো কাল নাই। কাল হয়েতো আরেক ইউনিয়নে চলে যাবো।''



ফয়সাল পাগলির চিন্তাটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। সে পারছে না। না পারার আরেকটা কারণও আছে। যাকে দেখে রাজনীতির মাঠের স্লোগান শিখেছিলো সে। সেই ইমরুলকে আগের মত আর পাচ্ছে না ফয়সাল। তার ভেতেরে নানা বদ অভ্যাস আর লোভ বসবাস করতে শুরু করেছে। দেশের এবং দশের ভাবানায় আতকে ওঠে সে। কী হবে এই জাতির ভবিষ্যৎ? একজন প্রগতিশীল ছাত্র নেতার যদি ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার পর এমন স্খলন হয়, তাহলে এই জাতির ভাগ্যটা খুবই খারাপ। নিজেকে বেশ নিঃসঙ্গ ভাবে ফয়সাল। যদিও চেয়ারম্যান সবসময় ফয়সালকে অফিসিয়াল কাজ ছাড়া দূরেই রাখতে চেয়েছে। সেটা সম্ভব হয় নি, মেম্বারদের কারণেই। তারা কোন কাজই সচিবকে ছাড়া করতে পারে না। অবশ্য ইমরুলও চাইতো ফয়সাল থাকুক তার কাছাকাছি। তাহলে তার অনেক চাপ কমে যায়। শিক্ষিত ও স্মার্ট মানুষ ফয়সাল। এইটা তার জন্য সোনায় সোহাগা। সমস্যা ছিলো অন্য জায়গায়। ফয়সালের কাছে ইমরুলের যে অবস্থান তা ধরে রাখতে হলে তাকে খুব কাছে নেওয়াটা কঠিন কাজ। একসময় চেয়ারম্যান ভাবে ধুর, চাকরি করলে সময়ে সে সবই জানবে। কী দরকার! এই ভেবেই মেম্বারদের সাথে সহমত হয়ে ফয়সালকে সবসময় সাথে সাথেই রাখেন তিনি।



“আমি ডিগ্রি পাশ। এই ইমরুল্যা চেয়ারম্যান কোনু দিনই আমার সাথে পারে নাই। একটা ইংরেজি ধরলে হের চইদ্য গোষ্টি পারতো না। আমি হেরে ডড়াই? আওক আমার সামনে! চেয়ারমেনগিরিডা ছুডায়া দেয়াম।” পাগলিটা আবারও আজ অফিসের সামনে এসছে। আজও রাহাত মেম্বার তাকে অফিসের ভেতর এনে বসিয়েছে। আজ ফয়সাল তাকে কিছু জিজ্ঞেস করছে না। মনে মনে মেম্বারের প্রতি বেশ বিরক্ত হলেও মেম্বারের সামাজিক ক্ষমতার কথা চিন্তা করে সে কিছু বলছে না। ভেতরে ভেতরে চেয়ারম্যানের আগমনের অপেক্ষা করছে ফয়সাল। আজ চেয়ারম্যান আসলে এই ঘটনার একটা শেষ সে দেখে নিবে। এমন সময় রাহাত মেম্বার বলে ফয়সাল ভাই, আলেয়ারে একশ টাকা দেন।

_ কেন! তাকে আমি কেন টাকা দেবো?

_ দিবেন এই জন্য যে, ''আপনার বস আসলেও সেই আপনাকে বলবে যে পাগলিরে একশ টাকা দাও ফয়সাল!'' আপনি নতুন মানুষ সব কিছু জানার দরকার নেই। আর সবকিছু তো এই এলকার ম্ইনসেই জানে না। আপনি আর জানবেন কইতথাইক্যা?''

ফয়সাল কিছু বলতে চাইছিলো। এমন সময় চেয়ারম্যানের মটর সাইকেলের হুইসেল শুনা যায়। পাগলির চেচামেচি আবার শুরু হয়। চেয়ারম্যান অফিসে ঢুকতে যাবে এমন সময় পাগলি চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে ধরে বলে, “ইমরুল আমাকে আবার আগের মত একটু আদর কর না! কতদিন তোমার আদর পাই না!” এক ঝটকায় ইমরুল পাগলিকে ফেলে দেয়। মেঝেতে পড়ে তার কপাল কেটে রক্ত বের হয়। ফয়সাল ওঠে এসে পাগলিকে ধরে নিয়ে যায় পাশের বাজারে পল্লী চিকিৎসকের কাছে।

_ মেম্বার সাহেব আপনাকে মুরুব্বী হিসেবে আমি যথেষ্ঠ সম্মান করি। আপনি এই পাগলিকে নিয়ে যা শুরু করছেন তার পরিণাম ভালো হবে না। আমি আপনাকে আজকে লাস্ট কথা বলে দিলাম। আর কখনও যদি এই মেয়ে আমার অফিসে আসে। তাহলে আপনার সাথে আমার চুড়ান্ত ফায়সালা হবে।

_ ইমরুল জিহ্বাটা বেশ লাম্বা হয়ে গেছে দেখছি। মুখটা সামলায়া কথা কও। রাহাত মেম্বার কাউরে ডড়ায়া থাহে না। আলেয়ার জীবনটা কার জন্য আইজ এমন একবার ভাইব্যা পরে কথা বলবা। আর কোন দিন যদি আলেয়া পাগলিকে নিয়ে আরেকটা উল্টা-পাল্টা কথা বলবা, আমি সব ফাঁস করে দিমু।

ইমরুল কিছুটা দমে যায়। আর কোন কথা বলতে পারে না।

ফয়সাল রুগিকে ডাক্তারের দোকানে রেখে দ্রুত চলে আসে। অফিসের অবস্থা দেখার জন্য। এসেই রাহাত মেম্বারের কথা শুনতে পায়। একটা পুরো আকাশ ভেঙ্গে পরে তার মাথায়। তাহলে সত্যিই পাগলি আর চেয়ারম্যানকে কেন্দ্র করে আছে কোন রহস্যজনক ঘটনা। তীব্র থ্রিলার প্রিয় ফয়সাল এই রহস্যের পেছনে ছুটার সিদ্ধান্ত নেয়।



ফয়সাল থাকে চেয়ারম্যানের বাড়িতেই। একটা আলাদা ঘরে। যদিও সে ভাড়া দেয়। প্রতিদিন রাতে ইমরুলের সাথেই বাড়ি ফিরে দুজন। আজ রাতেও বাড়ি ফিরছে তারা। একসময় মটর সাইকেল থেমে গেলো। চেয়ারম্যান ফয়সালকে চাবি দিয়ে বললো, “এখানেই অপেক্ষা করো। আমি আসছি।”

_ কোথায় যাচ্ছেন? আজ বাজারের দিন। এখানে আমি এভাবে দাড়িয়ে থাকলে সবাই আমাকে নানা প্রশ্ন করবে। বিরক্ত করবে।

_ ঠিকাছে তুমি গাড়ি নিয়ে চলে যাও বাড়িতে। আমি তোমাকে মিসকল দেওয়ার সাথে সাথে গাড়ি নিয়ে এই জায়গায় আসবে। আর কোন কথা নেই। যাও।



ফয়সালের ইচ্ছে ছিল আজকে চেয়ারম্যানকে পাগলি রহস্য নিয়ে কিছু কথা জিজ্ঞেস করবে। কিন্তু নাহ সেটা সম্ভব হলো না। চেয়ারম্যান কোথায় যায়? মাথায় তার আরেক রহস্য ঢুকে গেল। সিদ্ধান্ত নিলো সে বাড়ি যাবে না। এখানেই অপেক্ষা করবে। বললো, বড় ভাই বাড়ি গিয়ে যদি আবার আসতেই হয়। তাহলে এখানেই অপেক্ষা করি; গাড়িটা বামের রাস্তায় রেখে। আমি এই গাছের তলায় বসি।

_ ঠিক আছে, মন্দ বলোনি। সারাদিন আজ বেশ খেটেছো তুমি। তাহলে এখানেই থাকো। বলেই ইমরুল হাটতে থাকে পাশের পাড়ার দিকে।



ফয়সালও বিড়াল পদক্ষেপে পিছু নেয় চেয়ারম্যানের। একসময় দেখে চেয়ারম্যান একটা বড়িতে প্রবেশ করছে। সাথে সাথে সতর্ক হয়ে যায় ফয়সাল। হঠাৎ শুনতে পায়। পাগলির কণ্ঠ। তার মানে এটা পাগলি আলেয়ার বাড়ি। খুব চিকন সুরে কথা বলছে পাগলি। “ আমি জানতাম তুই আসবি। আমাকে ছাড়া তুই বাঁচতি পারবি না। সেটা আমি জানি। আমারে মারছস! আমি ভুইল্যা গেছি। তুই আইছস এইডাই বেশি। যা ঘরে যা।”

ফয়সালের সমগ্র চেতনায় হাতুরি পেটার শব্দ হচ্ছে। সে আর কোনভাইে নিজেকে সামলাতে পারছে না। একবার ভাবছে, এই চেয়ারম্যান নামের কুলাঙ্গারটাকে শেষ করে দিবে। আবার ভাবছে, এলাকার সকল মানুষকে ডেকে সব প্রকাশ করে দিবে। তার ভাবনায় ছেদ পড়ে। হঠাৎ শুনা যায় রাহাত মেম্বারের গলা। পাগলি সেই আগের মতই মেম্বারকেও নানা রোমান্টিক কথায় আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। তারপর সবকিছু নিরব। কেবল ফয়সালের বুকের ভেতর রাজ্যের শব্দ। রাজ্যের চিৎকার। আদর্শের হাহাকার।



আতকে ওঠে ফয়সাল। ধুমধাম কয়েকটা গুলির আওয়াজ ওঠে। দ্রুত দৌঁড়াতে থাকে ফয়সাল। গাড়ির কাছেই সে নিরাপদ। তাকে মটর সাইকেলের কাছে যেতে হবে। সে দৌড়াচ্ছে। পেছনে পেছনে আরকটা পদশব্দ শুনতে পাচ্ছে সে। একসময় সে গাড়ির কাছে চলে আসে ঠিকই কিন্তু তার আগে চলে আসেন চেয়ারম্যান। ফয়সাল ভীষণ ভয় পেয়ে যায়। কী হবে?



কিছুই বলে না চেয়ারম্যান। দ্রুত গাড়ি স্টার্ট করে বাড়ি আসে ফয়সাল ও চেয়ারম্যান। কোন কথাই হয় না।



সকালে খবর হয় রাহাত মেম্বার ডাকাতের গুলিতে নিহত। মামলা হয়। আসামী করা হয় এলাকার বেশ কজন প্রভাবশালী লোককে।



অফিসে গিয়ে ফয়সাল বদলির আদেশ পায়। তাকে চলে যেতে হবে। তারই ইউনিয়নে। এবার সে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। এই রহস্যের সমাধান না করে সে যাবে না। চেয়ারম্যানকে দেখায় সে চলে গেছে। কিন্তু রাতে সে আবার আসে। আসার পথে। থানায় যায়। একজন অসির সাথে দীর্ঘ আলাপ হয়। অসি তাকে বলে আপনি এখানেই থাকেন। আমি পাগলিকে নিয়ে আসছি।



একটু পর পাগলিকে এবং পৃথক একটা গাড়িতে চেয়ারম্যানকে নিয়ে থানায় প্রবেশ করেন অসি। পাশের কে বসে অপো করে ফয়সাল। শুরু হয় পাগলিকে জিজ্ঞাসাবাদ।



_ আমি তখন ডিগ্রির রেজাল্ট পাইছি। প্রাইমারি স্কুলের ভাইভা দিয়ে গেলাম ইমরুলের কাছে। সে তখন সদ্য চেয়ারম্যান। আমাকে বললো সে সব ব্যবস্থা করবে। একসময় আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন রাহাত মেম্বার। একটা বিয়ের নাটকও করে মেম্বার। চেয়ারম্যানের কেউ বাড়িতে থাকে না। সেজন্য তারা জানে না। আমি অফিসের পেছনের রুমে চেয়ারম্যানের সাথে সময় কাটাই। একসময় আমি গর্ভবতি হয়ে পরলে, চেয়ারম্যান আর আমার কাছে আসেও না, অফিসে যেতেও দেয় না। থানা সদরে একটা বাসা রেখে থাকতে দেয় আমাকে। কিন্তু রাহাত মেম্বার আমার সর্বনাশ করে দেয়। প্রসব বেদনা ওঠার পর সে আমাকে নিয়ে যায় এলাকায়, আমার মাকে ভয় দেখিয়ে। একসময় আমি সন্তান প্রসব করি। বৃষ্টি ছিলো আকাশে। আমাকে চেয়ারম্যানের বাড়ির পেছনে রেখে আসে মেম্বার ও তার লোকেরা। আমার সন্তানটা মারা যায়। আমিও মরতে মরতে বেঁচে যাই। সেই থেকে আমি পাগলের অভিনয় করে মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে ব্লাকমেইল করে চলতেছি। এই দুজনই তাদের ইচ্ছেমত আমাকে ভোগ করতেছে।



ফয়সাল কিছুটা উদভ্রান্তের মত বেড়িয়ে যায়। অসি সাহেব জানতেও পারেন নি ফয়সাল কোথায়...







ছবি: বাই স্যামস্যাং করবি...







মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: একসময় কলেজের ছাত্র নেতাদের মধ্যে আদর্শিক নেতৃত্ব বলতে যা বুঝায় তার বসগুলো গুণই ছিল তার মধ্যে

এরকম আরও কয়েকটা বানান ভুল আছে, এডিট করে দিয়েন। গল্পের মাঝে মাঝে বিচ্ছিন্নতা ছিল কিছুটা। তবে সবমিলিয়ে কাহিনি এবং ফয়সালের দিকভ্রান্ত মনোভাব ফুটে উঠেছে চমৎকারভাবে। ভাল লাগল।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৫

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
এডিট করে দিবো সময় করে...

আর গল্পের ভেতরের বিচ্ছিন্নতাটা ইচ্ছাকৃত... দ্বান্দ্বিক বিষয়টাকে আরো প্রকটা করতে এইটা করছি...

শুভকামনা রইল...

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপটা ভালো লাগছে। ভালো একটা নাটক বানানো যাবে!

তবে একেবারে শেষে পাগলীর জাবনবন্দিটা ভালো করে গপটা'রে আমার কাছে ক্লিয়ার করতে পারেনি। কেমন জানি ঝাপসা ঝাপসা রয়ে গেছে।

যেমন:
আমাকে বললো সে সব ব্যবস্থা করবে। এর ঠিক পরের লাইন একসময় আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন রাহাত মেম্বার।

এখানে রাহাত মেম্বার কেমনে ঢুকলো বুঝিনি, তাছাড়া উপরে এক জায়গায় ইমরুল রাহাত মেম্বারকে মুরব্বী বলছে। এতে বোঝা যায় রাহাত মেম্বার বয়স্ক লোক।

একটা বিয়ের নাটকও করে মেম্বার।

এই বিয়ার নাটকটা কার সাথে হয়?

কিন্তু রাহাত মেম্বার আমার সর্বনাশ করে দেয়। প্রসব বেদনা ওঠার পর সে আমাকে নিয়ে যায় এলাকায়

রাহাত মেম্বার এটা কেন করলো বোঝা গেল না!

সেই থেকে আমি পাগলের অভিনয় করে মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে ব্লাকমেইল করে চলতেছি। এই দুজনই তাদের ইচ্ছেমত আমাকে ভোগ করতেছে।

পুরাই কনফিউসড! ওদের ব্লাকমেইল করলে ওরা টাকে ভোগ করে কেমনে !!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২২

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
মাসুম ভাই, কী বলে যে আপনার কুতজ্ঞতা জানাবো!

আপনার পাঠ এবং ধৈর্য ধরে করা কমেন্ট আমার ব্লগ জীবনে সোনাবীজ ভাইয়ের কমেন্টের পর দ্বিতীয় পাওয়া।

এখানে যে বিষয়টা এসছে তার সবটাই ভিলেজ পলিটিক্সে এসে একজন প্রতিশ্রুতিশীল নেতা কীভাবে হারিয়ে যায় তার একটা ট্রেইল।

রাহাত মেম্বারদের অনুপ্রবেশের কোন কারণ লাগে না। গ্রাম্য রাজনীতিতে। তরুণ চেয়ারম্যান একটু বেশি গরম থাকে তাদের শায়েস্তা করতে রাহাত মেম্বাররা নানা ফাঁদ পাতে। পাগলিও তেমনই একটা ফাঁদ।

প্রসব বেদনার সময়র তাকে নিয়ে আসে তার কারণ চেয়ারম্যানকে বিব্রত করা। বিপদে ফেলা।

ব্ল্যাক মেইলের পরো টাকা নেয়। কারণ সেও এখন তাদের ব্ল্যাক মেইল করতে চায়।

গ্রাম্য রাজনীতির জটিল মারপ্যাচ ধরতে পারেন না অনেক শিক্ষিত মানুষ। আর এই গল্পটা সেই ধরতে না পারা, অকারণে শিক্ষিত মানুষকে বিপদে ফেলে দেওয়ার যে প্রবণতা রাহাত মেম্বারদের তা বুঝাতেই গল্পটাও কিছুটা খাপছাড়া হয়েছে। সব কথাই ক্লিয়ার করে বলিনি...

ভাল থাকবেন মাসুম ভাই।

আর যদি বলেন রিরাইট করতে। তাহলে আবার চেষ্টা করতে পারি... কিন্তু তখন আর গ্রাম্য রাজনীতির দূর্বোধ্যতাটা আর রাখতে পারবো বলে মনে হয় না...

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: মোটামুটি লাগলো।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৬

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: মুটামুটিও কম কি?
লেখতেই পারছি না। তখন মুটামটিই লিখি...

বিলম্বিত রিপ্লআয়ের জন্য দু:খিত...

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১২

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
আর্ধেক পড়িলেম পুরোটা পড়ে পড়বো

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৩

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: পুরোটা কী পড়েছিলেন?
ভাল থাকুন সকাল....

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৪

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: শুভ বাংলা নববর্ষ !:#P !:#P !:#P

৬| ১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

সাফফানা রুহি বলেছেন: গল্পটা নামটার মতো ততোটা সুন্দর হয় নি। নামটা কিন্তু দারুণ ! "সুপান্থ সুরাহী" :)

৭| ২৫ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি কোথায়? আপনাকে খুঁজছি।


কবিদের স্ব-নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কবিতা নামে একটা পোস্ট তৈরি করছি। আপনার কবিতা লাগবে। বিস্তারিত এখানে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.