নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতার প্রেমে অক্ষরের সঙ্গে শুরু হয়েছিল ঘরবসতি। এখন আমি কবিতার; কবিতা আমার। শব্দচাষে সময় কাটাই...
ভার্চুয়াল জনপদে নিঃশব্দ শব্দের জনতা হয়ে
ওঠার পর – পৃথিবীর সংকট ঘনিভূত হতে থাকে।
যন্ত্রসভ্যতায় মনোজগতের অন্দরে নেমে আসে
বিকল্প জীবন-যাত্রার পতঙ্গপতন তীব্র হাতছানি।
টি-স্টলের আলাপেরা প্রমোশন পেয়ে উঠে আসে
অন্তর্জালের মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যে। ঠিক তখনই
রাষ্ট্রের, জনতার, মানুষের মূল্য নির্ধারিত হয় –
সহসা সবকিছু কেমন হয়ে ওঠে
বড়রা অসহায় সভয়ে চেয়ে থাকে
অলিক নবীনেরা কালিক সংকটে
পিতার খুনি হয়ে দেশের মাথা কাটে
জাবর কেটে বলে বুদ্ধি বণিকেরা –
নতুন সংকটের আরেক রাজপথ...
সম্পর্ক ভাঙ্গে প্রতিদিন ঘরে, পরিবারে, সংসারে,
সমাজে, জনপদে আর রাষ্ট্রের পরতে পরতে
সম্প্রচার মোড়লেরা বাহবা দিয়ে নাগরিক ক্ষোভে
ঘৃতাহুতি দেয় সম্পাদনার কারিশমায়। এরপর
ঘণিভূত সংকট বেঁচে মনিটর-দোকান সাজিয়ে।
'পেট' আর 'চেটের' প্রয়োজন মিটলে বাকিসব ধুর!
পুঁজির দুনিয়ায় আবার কিছু বাড়ন্ত সমস্যার
প্রয়োজনে ধর্মে ধর্মে জেগে ওঠে অথেনটিসিটির
অসমাপ্য বিতর্কের সংলাপ। জীবন-বণিকেরা
খবরমাছি হয়ে শুরু করে ভিলেজ পলিটিক্স...
অবসাদে পরাজিত যুবকের মনে
হাহাকার ধ্বনি উঠে প্রত্যাশার চাপে
প্রতিষ্ঠার সিঁড়ি ভেঙ্গে বেকারের দিন
কেটে যায়। স্বপ্নগুলো তৃতীয় বিশ্বের
উন্নয়ন-ট্যাবু হয়ে দেহ-খোর প্রেমে –
অস্থিরতা দিয়ে যায় বাতাসের গানে।
থিরথিরে কাঁপুনিতে শ্বাস টানে মোহে
বণিকেরা হেসে ওঠে ভৌতিক সুখে...
আধ্যাত্মিক দেউলিয়াত্বে প্রচারমুখী জনতার
মুগ্ধতা আটকে যায় চকচকে নেচ্যারাল স্ন্যাপে।
জীবন মানেই লাইক, রিয়েকশন, সেল্ফি আর
ইমেজ ডেভেলপমেন্ট। স্রোতের অনুকুলে হেঁটে
যাই আমরা সবাই। কেউ জেগে ওঠে না আমাদের
প্রয়াত নেতাদের মত বজ্রনিনাদে। কেউ সামনে
দাঁড়ায় না তারুণ্যের গঙ্গপাল স্রোতের বিপরীতে।
এক সন্তানের মা-বাবার ভাবালুতা নিয়ে রাষ্ট্রের সব
শাখা-প্রশাখা পেরেন্টিং করছে আমাদের তারুণ্যের।
দারুণসব নেগেটিভ থট নিয়ে বাড়ছি আমরা...
আসক্তিরা গিলছে মায়ের মাতৃসুলভ মায়া
রিমোট হাতে কাটছে বেলা মাতৃস্নেহ ছায়া।
আত্মসুখের জন্যে সবাই চলছে শুধু ভেসে
শিশুর মনে নিষ্ঠুরতা জাগছে অচিন হেসে।
আমিত্ব আর নিজস্বতার চলছে যত খেলা
দুর্বিনীত তারুণ্য আজ করছে কাজে হেলা।
সাহস নিয়ে সৎপথে যে চলছে প্রতিকূলে
তার ওপরে হাজার খরগ নিত্য দিনই ঝুলে।
আশার কোন কথা বলছি না। নিরাশার চাষেই
আমাদের সকল মহাজন। লৌকিক চমক নিয়ে
মনোজগতের স্খলন ঢেকে দেওয়ার কসরতেই
কাটছে আমাদের ব্যর্থ বেলা। রাতের ভেতরে রাত
নেই এখন। কিশোর-যুবার চোখ থাকে স্থুলরতিকর্মীর
পাপার্ত যৌণতায়। মগজের কোষে কোষে স্থবিরতা
নেমে এলে নেতিয়ে পরে আমার আগামীর রাজনীতিক।
ভোরের বিশুদ্ধ বাতাসের ধারণা এখন কেবলই ইতিহাস...
চুপ থাকে মন; অন্তরে ভয়' কেউ যদি কয় –
সব তোরা মর। আমরা জীবন সব চিনি আজ
চিন্তা প্রাচীন রাখলে, সজাগ এই আধুনিক
দেশ কালে, কেউ পারবে না আর তাল মিলাবার
তাই ভেবে চুপ; দিন গুণে যাই আসবে আবার
রাত গেলে ভোর। রোদ তাড়াবেই অন্ধকারের
শক্তি সাহস। হাসবে সবার চিত্ত অলোক...
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন সবসময়।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
প্রতিউত্তরের জন্য আবারো ধন্যবাদ।
এভাবেই শব্দ বানে চপেটাঘাত চালিয়ে যান। শুভকামনা রইল। সাথেই পাবেন।
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভোরের বিশুদ্ধ বাতাসের ধারণা এখন কেবলই ইতিহাস...
ভালো লেগেছে। +++
৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কাব্যে ভাল লাগা ।
৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছু অংশ ভালো লাগসে, কিছু লাগে নাই। অতি দীর্ঘ কবিতা কিছুটা ক্লান্ত করেছে
৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫
অদৃশ্য বলেছেন:
লিখাটিতে সুপান্থর ভাবনা পরিষ্কার ফুটে উঠেছে... শব্দগুলো পাথর হয়ে না উঠলেও ইটের টুকরো হতে পেরেছে... এর থেকে আমিও কিছু সংগ্রহ করে রাখলাম ছুড়ে মারবার জন্য...
সুপান্থর জন্য
শুভকামনা...
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আপনি নৈতিক স্থলনের গালে দের মন ওজনের চপেটাঘাত করেছেন ধন্যবাদ!