| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার শৈশব কাটে গ্রামে। নাম বাইশারী। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটি আকাবাকা খর স্রোতা খাল (ছোট নদী)। তার দুপাশ দিয়ে আকাবাকা হয়ে চলে গেছে গ্রামীন রাস্তা। নদীর বাকে বাকে জেগে উঠতো বিরাট বিরাট বালুচর। যেগুলো জ্যোৎস্না রাতে হয়ে ওঠতো আমাদের খেলার মাঠ। দল বেধে আমরা(গ্রামের ছেলেমেয়রা) খেলতাম। কানামাছি, হাডুডু, লোকচুরিসহ বিভিন্ন খেলায় মেতে উঠতাম। হাসাহসি, চিৎকার-গল্পগোজবে মুখরিত হতু পুরা গ্রাম। অনেক সময় আমার মা রাতে বাড়ি থেকে বের হতে দিতনা। মা আমাকে বলত বাইরে যারা দরকার নেই। বসে পড়াশোনা কর। ভয় রাতে খালে ভুত থাকে। আমি আনেক সময় চুরি করে (যাকে মা না জানে)![]()
বেরিয়ে যেতাম।
রাতে সবচেয়ে বেশি আকর্ষনীয় ছিল জেনাকিরা। খুব মনেযোদিযে যদি জোনাকিগুলোর দিকে থাকিয়ে থাকি তখল ভেসে উঠে নানা ছবি। দেখে মনে হত যেন কোটি কোটি আলোর মশাল হাতে নিয়ে আনন্দ মিছিল করতেছে। আমাদেরকেও আহব্বান করতেছে তাদের মিছিলে যোগ দিতে।
কখনো কখোনে আমরা কিছু জোনাকি পুকা ধরে র্শাটের পকেটে ডুকিয়ে দিতাম। জোনাকির আলো স্পষ্ঠ দেখা যেত। দেখে মনে হত ঠিক যেন পকেটে লাইচিং কারা হয়েছে। অবশ্য যাদের বাড়ি গ্রামে ছিল তাদের জোনাকি সম্পর্কে ভাল অভিঞ্জতা থাকবে।
এস এস সি পর কক্সবাজার কলেজে ভর্তি হয়। কলেজ জীবন শেষ করে চট্টগ্রাম চলে আসি। পড়াশুনার পাশাপাশি এখন জব করতেছি একটি প্রইভেট কোম্পানীতে। এখন জীবনটা খুব যান্ত্রিক হয়েগেছে। খুব মিস করি হারিয়ে যাওয়া সেই মুহুত্ত গুলোকে। খুবই ইচ্ছা করে ঐ জীবনে ফিরে যেতে। খুব মিস করি মায়ের শাসন যা ছোট বেলায় খুব অসয্য লাগতো।
কিন্তু এখন আর সেই গ্রাম নেই। দেখা যায়না বাতের আধারে সেই জোনাকির দল। খুজে পাইনা ছেলেবেলার খেলার সাথীর দল। মেয়েদের মধ্যে অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে। যারা আছে তারাও আগের মতে করে মিশে না সমাজে খারাপ ভাববে মনেকরে। ছেলেরা তো গ্রামে প্রায় গ্রামে থাকেনা বললে চলে। পড়শুনা, চাকরী নিয়ে ব্যস্ত সবাই। আধুনিতকার ছোয়া লেগে গড়ে উঠতেছে বিভিন্ন দালান। যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে হাজার বছরের প্রাকৃতিক সুন্দয্য মন্ডিত গ্রাম গুলো।
©somewhere in net ltd.