![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ বাচার নাকি মারার কারীগর হচ্ছি জানি না। কিন্তু হচ্ছি ডাক্তার নামক একটা জিনিষ।
অপেক্ষা অপেক্ষা আর অপেক্ষার পালা শেষ করে অবশেষে আসল সেই মহেন্দ্রক্ষণ আবার বছর ঘুরে।
শরতের স্নিগ্ধ রূপকে আরও স্নিগ্ধতায় ভরিয়ে দিতে আসছেন তিনি এই ধরাধামে।
সাদা মেঘের ভেলা, কাশফুলের সৌন্দর্য আর সাথে প্রিয়জনের সঙ্গে অনেকদিন পর প্রাণখুলে কথা বলা---- এর সাথে পূজার বাদ্যের আওয়াজ যখন যুক্ত হয় তখন আর কিছুই মনে হয় লাগে না।
বছরের শুরু থেকেই তাই অপেক্ষায় থাকি বছরের এই সময়টার জন্যই।
মহালয়ার "যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা, নমস্তস্য নমস্তস্য নমস্তস্য নমঃ নমহ্ । ।"--- এই মন্ত্র ধ্বণিত হওয়ার দিন থেকেই শুরু হয়ে যাই পূজা পূজা ভাব চারিদিকে। আর আমিও চাতকের মতো অপেক্ষা করতে থাকি ছুটির জন্য। ঐ দিকে মা দূর্গা তার ছেলে মেয়ে, স্বামী আর অশুরকে নিয়ে রওনা দেয় পৃথিবীর উদ্দেশ্যে।
তারপর ষষ্টির দিন "তাই তাই তাই মামাবাড়ি যাই" করতে করতে বাসে করে মামাবাড়ি যাওয়া। অতঃপর মামাবাড়ি পৌছিয়েই মামাকে নানা আবদারের লিস্ট ধরিয়ে দেওয়া। মামাবাড়ির আবদার বলে কথা।
সপ্তমীতে ভ্যানে করে সবাই মিলে টো টো করে নানা মন্ডপে পূজা দেখতে যাওয়া, অনেক ছবি তোলা। সাথে প্রচুর পরিমাণে আব-জাব খাওয়া দাওয়া করা।
অষ্টমীতে সকালে উঠেই উপোস থেকে অন্জ্ঞলী প্রদান, আর অন্জ্ঞলী দিয়েই পেট পূরিয়া ভূরি ভোজন।
আর, সন্ধ্যায় পূজা মন্ডপে মন্ডপে আরতি দেখা। নিজে না পারলেও অন্যেরটা দেখে কমেন্ট করব না তার মতো উদার আমরা বাঙ্গালীরা না নিশ্চয়।
নবমীতে আবারও সকল মন্দির প্রদক্ষিণ করা। এই প্রদক্ষিণের উদ্দেশ্য হচ্ছে নানা মন্দিরে বসে প্রসাদ ভক্ষণ: খিচুড়ির পর খিচুড়ি ভক্ষণ চলে। আর পারলে কিছুক্ষণ হাত-পা ছুড়াছুড়ি করে বান্দর নৃত্য।
এসব করতে করতেই কিভাবে যে দশমী চলে আসে বোঝাই যায় না। দশমীতে মা কে দুঃখভারাক্রান্ত মনে বিদায় দেওয়া আর মার কাছে একটাই চাওয়া সবাই যেন ভালো থাকে। মেয়েদের মধ্যে চলে সিদুর লাগানোর ধুম। মা কে সিদুর লাগিয়ে তারা একে অপরকে সিদুর লাগিয়ে দেয়। তারপর মার বিসর্জন। মার বিসর্জনের পর গুরুজনদের প্রণাম করার ধুম পড়ে। প্রণাম করেই যে গুরুজনটিকে ছেড়ে দেওয়া হয় তা নয়। তার কাছ থেকে উপযুক্ত প্রণামিও নেওয়া হয়।
সে দিন থেকে শুরু হয় আবার পরের বছরের প্রতীক্ষা।
এভাবেই পূজা শেষে বিপুল পরিমাণ ওজন বাড়িয়ে আবার ফেরত আসা এই চিরচেনা শহরে, নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়া।
আবারও বছর ঘুরে এসেছে সেই ক্ষণ। আগামীকাল ষষ্টী। আমিও গান গাইতে গাইতে যাচ্ছি মামাবাড়ি। আশা করি এবারও কাটবে জম্পেশ চারটি দিন। খাওয়া, আড্ডা, গান, ঘুরাঘুড়ি----- সব মিলিয়ে চলে যাবে কয়েকটা দিন।
জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আসুন মজা করি এই দুর্গোৎসবে।
এই ক্য়দিন সামুতে আসা হবে না। তাই, সবাইকে আগাম দুর্গা পূজার শুভেচ্ছা দিলাম।
০১ লা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সুপ্রকাশ সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২৮
ইমরান খান রাহাত বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা।
০১ লা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সুপ্রকাশ সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৪২
শিশেন সাগর বলেছেন: মিস করছি দারুন ভাবে আবার কবে যে থাকবো পুজাতে
০১ লা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সুপ্রকাশ সরকার বলেছেন: চলে আসেন বাড়ি ফেরার এই উৎসবে।
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৭
নষ্ট কবি বলেছেন: শারদীয় শুভেচ্ছা আপনাকেও
৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২
সমাধানদাতা বলেছেন: নিষিদ্ধ হউক অপসংস্কৃতি।গড়ে উঠুক শিক্ষাদীক্ষা আর
বিজ্ঞানের অগ্রগতির কালচার।নিপাত যাক শিক্ষাদীক্ষা আর
বিজ্ঞানের অগ্রগতির পথে বাধাদানকারী সব ধরণের কালচার।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২৩
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: আপনাকেও শারদীয় দূর্গাপুজার শুভেচ্ছা