নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলা না বলা কথা

নীলপরি

গল্পের বই পড়তে , গান শুনতে , ব্লগ লিখতে ও পড়তে ভালবাসি

নীলপরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রীতি-নীতি

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৪১




আজ বিকেলটা খুব এলোমেলো লাগে হিরণের । দুমদাম করে সন্ধ্যা ঢুকে পড়েছে বিকেলের মধ্যে । আলতোভাবে নেমে আসা আবছা অন্ধকারটা , ঘন অন্ধকারের আভাস দিচ্ছে। পার্টি অফিসের সামনে বাইকটা দাঁড় করিয়ে হালকা পথে ভিতরে ঢোকে হিরণ ।তাকে দেখেই কুটিল ভাবে হাসেন নীতিনদা । নীতিন রায় পার্টির ডাকসাইটে নেতা ।
ওনার চোখের দিকে সরাসরি চোখ রেখে হিরণ বলে ' যা বলার জলদি বলো নীতিনদা , আমার তাড়া আছে একটু ' । নীতিন রহস্যময় গলায় সুর টেনে বলেন ' কেনো রে ? এতো কিসের তাড়া ? আজও ওড়্বার কথা আছে নাকি ? উনি কথা শেষ করার আগেই ওনার দুতিন জন সাগরেদ বিশ্রীভাবে হেসে গেয়ে ওঠে ' লেড়কি বিউটিফুল কর গয়ি চুল '
তাদের দিকে তীক্ষ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আবার ওনার দিকে চোখ ফেরায় হিরণ । নীতিনদা ওদের হাসিটা টেনে বলেন ' ব্ড্ড উড়ছিস আজকাল হিরু । আমার নজরে সব থাকে । ভালো মাছ গেথেছিস ছিপে! থুড়ি মৎস্যকন্যা! একেবারে মিল মালিকের মেয়ে! মনে রাখিস , আমার নজরে সব থাকে! ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাবি ভেবেছিস ? তোর মালিকের মেয়েকে কিছুতেই নতুন প্রজেক্ট করতে দেবো না ।এতোগুলো মিল শ্র্রমিকের ভাত মারতে দেবো না ........'
ওনাকে কথা শেষ করতে না দিয়েই হিরণ কাটাকাটা ঠান্ডা স্বরে বলে ওঠে ' এখানে তোমার বক্তৃতা শুনতে আসিনি আমি । ওটা এখ্ন আমারও রপ্ত । তোমার দৌলতেই কলেজলাইফ থেকে করছি তো! তাই বক্তৃতার , বেস , টেম্পো ,পিচ ভালোমতো কন্ট্রোলে আছে আমার।আর শোনো , আরেকটা গ্রুপের কাছ থেকে টাকা খেয়ে বসে আছো । সেই খবরও আছে আমার কাছে । প্রথমে মানুষকে ক্ষেপিয়ে প্রজেক্টটা ভন্ডুল করবে , তারপর কিছুদিনবাদে মিলটা তুমিই বন্ধ করবে ! তোমার সব নীতি আমার জানা আছে নীতিনদা । সেটাই জানাতে এসেছি । তোমার তলবে আসিনি । আমাকে আর তলব করো না ।জানিয়ে গেলাম ।' তারপর পিছন ফিরে দরজার দিকে এগোয় সে । আর নীতিন প্রায় চেঁচিয়ে বলে 'বেশী বড় দাদা হতে যাস না । মনে রাখিস আমার চক্রবূহ্যে নিজের ইচ্ছায় আসা যায় কিন্তু বেরোনো যায় না । '
চকিতে ওয়ান শাটার জামার নীচ থেকে বের করে ধারালো গলায় হিরণ বলে ' তোমারই দেওয়া । আশাকরি ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না!' এরপর হনহন করে বেরিয়ে যায় সে ।


বাইকে স্টার্ট দিতে দিতে সে অনুভব করে তার চোখ থেকে গরম বাষ্প বের হচ্ছে । এই সময় আকাশভাঙ্গা জল এসে মিশে যায় তার চোখের বাষ্পে । তারপর নীচে গড়িয়ে পড়ে , বইতে থাকে , বইতে বইতে পৌঁছে যায় কয়েক বছর পিছ্নে । সেদিনও এমনই ছিল বিকেলটা ঝড় আসতে পারে ভেবে ক্রিকেট প্র্যাকটিস থেকে একটু আগেই ফিরছিল সে ।
দূর থেকে দেখতে পেলো , তাদের একচালা বাড়ির সামনে একটা জটলা ।বাবা শ্রমিক ইউনিয়ন করেন, সর্বোচ্চ পদে না থাকলেও বেশীরভাগই ওনার কথা শোনে। দ্রুত পায়ে বাড়ির দিকে এগোল হিরণ। কাছে আসতে না আসতেই মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ শুনতে পেলো সে। সামনের ভিড়কে প্রায় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে যা দেখলো, সেই দৃশ্যর জন্য একবিন্দুও প্রস্তুত ছিল না হিরণ । সামনে তার বাবার দেহ পড়ে আছে। চারপাশ রক্তে ভেসে যাচ্ছে । তার আশপাশ থেকে কয়েকজন বললো, এলোপাথারি ছুরি চালিয়েছে। স্পটেই সব শেষ। ওই তো ডাক্তারবাবু আছেন। তুই জিজ্ঞেস কর। আমরা সব তোকেই ফোন করতে যাচ্ছিলাম। আমাদেরও মাথা কাজ করছে না রে!' সেদিন এসব কথার কোনো উত্তর দিতে পারেনি সে।
শুধু মনে আছে কেউ একজন বলেছিল ' আমরাও ছাড়বো না। দেখে নিস! '
যদিও ছাড়ার প্রয়োজন হয়নি!কারণ কেউ ধরাই পড়েনি। ক্ষতিপূরণ তো দূরে থাক বাবার প্রাপ্য টাকাই পুরোটা পায়নি তারা। তার বাবার নাকি ওনেক লোন ছিল । তা ঠিক! ক্রিকেট একাডেমীর জন্য আয়ের অতিরিক্ত খরচ করতে হতো হিরণের বাবাকে। তিনি সবসময় বলতেন ছেলের যখন ট্যালেন্ট আছে তখন যেভাবে হোক খরচ তিনি চালাবেনই। অনেকে তাই শুনে বলতো ' এ যে ডোবায় তিমির চাষ'! বাবা মৃত্যুর পর একথার মানে হাড়ে হাড়ে টের পেল হিরণ। একাডেমী কিছুটা কনসেশন তাকে দিয়েছিল ফি বাবদ। কিন্তু প্রতিদিন তাতে চলত না! সে তখন মাঝে মাঝে ভাবতো যে বাবা তার ডায়েটর জোগাড় কিভাবে করতেন! প্র‌াকটিস থেকে ফেরার পথে ভীষণ খিদের সময় খুব মনে হোতো কথাগুলো। তখন ১০টাকার মুড়ি খাওয়াটাও বিলাসিতা ছিল তার কাছে! ৫টাকা করে খেলে দুদিন খেতে পারবে এই হিসেবটাও করতে হোতো! প্রোটিন ডায়েট তো দূরে থাকুক ঘরে শাক ভাজার তেলেরও অভাব থাকতো, সেই সময়। অবশেষে একটা দোকানে কাজ পার্টটাইম ওয়েটারর কাজ নেয় সে। সাহায্য যে একদম পায়নি তা নয়। ক্লাব থেকে বলেছিল তোর কিটটা আর চলছে না। আমরা দেখবো কি করা যায় ।এবার স্পনসর আসা শুরু হবে। এসময়টা মন দিয়ে খেল।
কিন্তু ,বাস্তবের বাউন্সার সামলাতে গিয়ে মাঠের বাউন্সারের সাথে দেখা সাক্ষাৎ কমে এলোহিরণের । তখনই সবাই বলেছিল নিতীনদার কাছে যেতে। কারণ তার বাবারও নাকি ওনার সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল। তাই, একদিন পৌঁছে গেছিল নীতিনদার কাছে। সুরাহার আশায়। স্পষ্ট মনে আছে তার। প্রথমে তো উনি বাবার খুব প্রশংসা করেছিলেন। তারপর তারিফ করতে থাকলেন হিরণের খেলার আর খেলার দৌলতে কলেজে ওর পপুলারিটির। এভাবে হঠাৎ করে উনি বলে উঠেছিলেন ' অপজিশন বড্ড ঝামেলা করছে। তোদের কলেজের হাওয়া ভালো ঠেকছে নাহ! তোর গ্রহণযোগ্যতা আছে। এবার তুই ইলেকশনে দাঁড়িয়ে যা!' হিরণ উত্তরে কি বলবে বুঝতে পারেনি। মৃদু স্বরে বলেছিল 'আমি? আমি তো কখনো.. তাকে কথা শেষ করতে না দিয়েই নীতিনদা হাসি মিশিয়ে বলেছিল ' শুধু ট্যালেন্ট থাকলে হয় না। কাজে লাগাতে হয়। তোর এই জনপ্রিয়তাকে এনক্যাশ করতে শেখ। তবেই তো রিটার্ন দিতে পারবো। তুই আমাদের কাজে আসলে আমরাও তোর কাজে আসতে পারবো। সোজা কথা গিভ এন্ড টেক! আর এব্যাপারে তোকে কিছু করতে হবে না। যা করার আমরা করবো। তুই নেক্সট উইকে একটু মার খেয়ে নিস , বহিরাগতদের কাছে। চিন্তা নেই, আমি বলে দেবো। মেজর কিছু না।'


' মিঃ মিত্র , আপনি এখন কোথায় আছেন ?' নীতিনদার সেই মিল মালিকের মেয়ে পিয়া চ্যাটার্জ্জীর এই ফোনে , এক মুহূর্তে কয়েক বছর পিছন থেকে বর্তমানে চলে আসলো হিরণ ।

ক্রমশ .....।

( কয়েকদিন আগে একটা গল্প লিখেছিলাম । সেটা পড়ে - সাহসী সন্তান আরেকটি গল্প লেখার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন । বিভিন্ন কারণে গল্প পোষ্ট করতে দেরী হোলো । তারউপর এটা গল্প বলে চিহ্নিত করার মতো মানসম্মত হয়েছে কিনা সেটাও জানিনা । তবু , এই লেখাটা ওনাকেই উৎসর্গ করলাম । )



মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুধু হাজিরা দিয়ে গেলাম। শুভ রাত্রি।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৩১

নীলপরি বলেছেন: গল্পে আপনার হাজিরা পেয়েই উৎসাহ বোধ করছি । আশাকরি , আপনার মূল্যবান মতামত পরে অবশ্যই জানাবেন ।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন ।

শুভ রাত্রি

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:১৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
খুবই ভালো লাগলো। হিরণদের জীবনটা বোধ হয় এমনই হয়। এই লাইনটা আমার খুব মনে ধরেছে,

নীতিন প্রায় চেঁচিয়ে বলে 'বেশী বড় দাদা হতে যাস না । মনে রাখিস আমার চক্রবূহ্যে নিজের ইচ্ছায় আসা যায় কিন্তু বেরোনো যায় না ।
খুব ভালো লিখেছেন +++++

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০২

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো। ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত হলাম।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৪:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




গল্প কি এখানে শেষ হয়ে গেছে?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪

নীলপরি বলেছেন: নাহ। শেষ হয়নি।
পাঠের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: গল্প মোটামোটি ভালোই হয়েছে।
তবে লেখার সময় তাড়াহুড়ী করবেন না।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭

নীলপরি বলেছেন: হুম, মনে রাখবো আপনার কথা।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৫

হাবিব বলেছেন: "ধীর পদে ভিতরে ঢুকে হিরণ" হবে হয়তো...... কিছু জায়গায় শব্দ এলোমেলো দেখলাম। বাকি ঠিকঠাকই আছে। একবার পড়লেই সব ঠিক করতে পারবেন মনে হয়।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২৩

নীলপরি বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ ভালো লাগলো । পরের পর্বে চেষ্টা করবো ।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার এগুচ্ছে আপনার গল্প। ভিন্ন ধরনের প্লট।
ভালো লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। অপেক্ষার ক্ষণ যেন আবার দীর্ঘ না হয় সেদিকে একটু খেয়াল রাখবেন। :)

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩২

নীলপরি বলেছেন: প্লট আপনার ভিন্ন লাগায় , উৎসাহ পেলাম । পরের পর্ব তাড়াতাড়ি পোষ্ট করার চেষ্টা করবো ।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা

৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পটি বেশ ছিমছাম সুন্দর, কয়েকটি যায়গা শব্দের এপাশ ওপাশ বাক্যকে মূল ভাব ফোটাতে অক্ষম হয়েছে। একটু পড়ে নিয়ে সম্পাদনা করলে গল্পটি আরো সুন্দর হবে। সাতেই আছি। একটা জীবনের গল্প তার সাতে নিত্যকার নিয়তির খেলা দেখার জন্য।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৫

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার গঠনমূলক পরামর্শ । মনে রাখবো পরবর্তীতে ।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা

৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা, তার ছেলে হিরণ। ট্যালেন্ট থাকা সত্বেও ইউনিয়নের দাদাগিরির চক্রবুহ্য এর মধ্যে আবদ্ধ হওয়া ও তা থেকে একটার পর একটা ঘটনায় জড়িয়ে যাওয়া। অবশ্য যেখানে বাতাসে কেবল পিস্তল বারুদের গন্ধ সেখানে যে কাউকেই এর হাত থেকে নিস্তার নেই । ঘটনা চলতে থাকুক.... আপাতত পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

উৎসর্গে ভালো লাগা।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০৩

নীলপরি বলেছেন: নিজের লেখা গল্পের এতো সুন্দর সারমর্ম দেখে আমি আপ্লুত হলাম ।
খুব ভালো লাগলো । আপনার লেখা প্রতিটা শব্দ আমায় ভীষণ ভাবে অনুপ্রাণিত করলো ।

আপনিও অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন

৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

সুমন কর বলেছেন: প্রথমে দিকে একটু এলোমেলো লাগছিল। পরে পরে আস্তে আস্তে ঠিক হয়েছে। বেশি পর্ব হলে ব্লগে আগ্রহ কমে যায়, এটা যেন মনে থাকে।
+।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৯

নীলপরি বলেছেন: হুম । ঠিক বলেছেন । ছোটো করার তাগিদে কিছু জায়গায় বোধহয় তাড়াহুড়ো হয়ে গেছে । এই কথাগুলো খেয়াল রাখার চেষ্টা করবো পরের পর্বে ।

আপনার কাছ থেকে প্লাস পেয়ে অনুপ্রাণিত হলাম ।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা

১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ!

গল্পেও বাজিমাত!
:)

আগ্রহটা জমে রইলো পরের পর্বের।

++++

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩১

নীলপরি বলেছেন: আপনি পরের পর্বের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে খুব উৎসাহ পেলাম । পরের পর্বটা তাড়াতাড়ি পোষ্ট করার চেষ্টা করছি ।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা

১১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্ট যত বড় হোক, আমার পড়ার জন্য সেটা কোন ব্যাপারই না! এমনকি এক/দুই'শ পৃষ্টার বইও আমি এক বসাতেই পড়ে ফেলতে পারি। কিন্তু সমস্যা হইলো এই ভাঙা ভাংটো মানে পর্ব আকারের পোস্ট গুলো পড়তে গেলেই বিরক্ত লাগে...

একচুয়ালী অন্য কোন কারণে নয়! ঐ যে পরবর্তি আকর্ষণের জন্য অপেক্ষা করতে হয় সেজন্যই আরকি। যাহোক, তবে গল্পের ব্যাপারে আমি সুমন'দার সাথে (০৯ নং মন্তব্য) একমত। গল্পের শুরুটা দূর্দান্ত না হলেও ধীরে ধীরে বেশ গুছিয়ে আসছে। গল্পটা ঠিক কত পর্বে শেষ করবেন বলে ভাবছেন?

এইটা আগামী পর্বের জন্য তাগাদা কমেন্ট ভেবে দ্রুত পরবর্তি পোস্ট প্রকাশ করার অনুরোধ জানাইয়া গেলাম! গল্পে ভালোলাগা রইলো! শুভ কামনা জানবেন!

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

নীলপরি বলেছেন: আসলে আমি ভাবলাম একসাথে বেশী বড়ো হয়ে গেলে , পড়তে সময় লাগবে । তাই পর্বে দিলাম । তবে কালকেই চেষ্টা করবো শেষ পর্ব দিতে ।

আপনি পরবর্তী পর্বের জন্য আগ্রহ দেখালেন বলে খুব ভালো লাগলো । অনুপ্রেরণা পেলাম । টাইম ম্যানেজমেন্টে আমি ভালো নই । তাই দেরী হচ্ছে পোষ্ট দিতে বা উত্তর দিতে । এই জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত ।

শুভকামনা গ্রহন করেছি ।
আপনিও অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন ।


১২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ওহঃ আর একটা ব্যাপার বলতে ভুলে গেছি! গল্পটা আমাকে উৎসর্গ করে লেখার জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা রইলো! আমি চেষ্টা করি ব্লগে যতটুকু সময় থাকি ততটুকু সময় অন্ততপক্ষে পরিচিত প্রিয় লেখকদের লেখায় মন্তব্য করতে...

তার ভিতরে আপনিও একজন। কিন্তু সমস্যা হইলো কেউ যদি আমাকে উৎসর্গ করে কোন কিছু লেখে, তখন সেই পোস্টে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে কেমন জানি একটা Uncomfortable ফিল করি!

পোস্টটা প্রিয়তে রেখে দিলাম।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

নীলপরি বলেছেন: হুম । আপনি সবাইকেই ব্লগে সাহায্য করেন । আমি তো আপনার সাহায্য পেয়েছি আর অনেককে পেতেও দেখেছি ।

খুব ভালো লাগলো আপনি পরিচিতদের মনে রাখেন বলে । কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক হলেও একটা কথা এখানে শেয়ার করছি । একজন বিখ্যাত লেখক বলেছিলেন কোনো মানুষ ভালো কিনা তা কিভাবে বোঝা যাবে । যাদের বাড়িতে অনেক পুরানো কাজের মানুষ আছে আর যারা পুরানো পরিচিতদের মনে রাখেন ,তাদেরকে নির্দ্বিধায় ভালো মানুষ বলা যায় । আপনাদের মতো মানুষরা আছেন বলেই সমাজটা এখনো চলছে ।

আর উৎসর্গ করার সময় আমিও ভাবছিলাম লেখাটির মান ততোটা ভালো হয়নি । তাই আপনি আনকমফর্টেবল হবেন না প্লিজ ।

পোষ্টটা প্রিয়তে রেখেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো । আপ্লুত হলাম ।

আবারো অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন

১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪০

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: সমরেশ বসুর প্রজাপতি গল্পটা পড়েছেন?
না পড়লে অবশ্যই পড়বেন।
আপনার এ গল্পটা পড়ে মনে হলো সমরেশ বসু বেঁচে থাকলে নিশ্চিত প্রজাপতির ২্য় খন্ড আপনকে দিয়ে লিখাতো।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২১

নীলপরি বলেছেন: 'আপনার এ গল্পটা পড়ে মনে হলো সমরেশ বসু বেঁচে থাকলে নিশ্চিত প্রজাপতির ২্য় খন্ড আপনকে দিয়ে লিখাতো।'

আপনার এই মন্তব্য পড়ে আপ্লুত হলাম ।
নাহ প্রজাপতি - পড়া হয়নি । আপনার কথা শুনে পড়তে ইচ্ছে করছে । এবারে পড়ার চেষ্টা করবো ।


অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।

১৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯

মাহের ইসলাম বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ আলাদা আলাদ করলে, আমাদের অনেকের পড়তে সুবিধা হয়।

ঈদ মোবারক।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২

নীলপরি বলেছেন: চেষ্টা করবো ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।

১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: পরের পর্বের লিংক?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.