নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দূরে থাকুন তারা যারা ধর্মকে পুঁজি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দূরে থাকুন তারা যারা ১৯৭১ থেকে অদ্যাবদি বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং সকল পাকিস্তানী প্রেমী , রাজাকার ও তাদের ছানাপোনা ।
প্রতি শুক্রবার সকালে উঠে বাজারে যাওয়া টা আমার জন্য এক রকমের সাজা। শুক্রবার হলো ঘুমের সময়, লম্বা আরামের শান্তিপূর্ণ একটা ঘুম দেবার প্রত্যাশা নিয়ে প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমাতে যাই কিন্তু শুক্রবার সকালে আমাকে তরিঘরি করে তোলা হয় বাজার করার জন্য। এক পেয়ালা চা ও পাওয়ার যো নাই। আগে বাজার তার পরে অন্য কথা। যাই হোক ঘুমন্ত চোখে কোন রকমে পায়ে চপ্পল গুজে দৌড় দিতে হয় বাজারে। ঠিক মত দাত মাজার সময়টা ও দেয় না, তাজা বাজার না হলে নাকি শুক্রবার দিন টাই মাটি। আমার জিজ্ঞাসা বাকি দিন গুলা কি বাসি বাজার করে।৷
শুক্রবারের বাজার যেন আগুনের বেচা কেনা বসে, যেটাই কিনতে যাবেন তাতেই আগুন দাম। এখন শিতের সময় বাজার ভর্তি নানান রকম এর সবজি, এই নানান সবজীর সব একি রকম দাম কি করে হয় এটাই আমার মাথায় আসে না। সিম ষাট টাকা, আলু ষাট টাকা, ফুলকপি ষাট টাকা, আমার মত হত দরিদ্রদের জন্য এটা এক ধরবের পরিক্ষা। ইনিয়েবিনিয়ে দাম কমানোর অপচেস্টা টেস্ট ম্যাচের বোলারের মত করতেই থাকি আর সবজি ওয়ালা ওয়ানডে ব্যাটসম্যানের মত সমানে ছক্কা হাকাতে থাকেন মাঝে মাঝে তো বল গ্যালারী ছাড়িয়ে রাস্তায় গিয়ে পরে, কোনো ভাবেই দাম কমাতে তিনি আগ্রহি না।
সবজি ওয়ালাদের ভাবসাব ও থাকে দেখার মত, চারিদিকে সবজির পসার সাজিয়ে মাঝে তার সিংহাসন থাকে তার উপরে তিনি বিরাজমান থাকেন। ক্রেতার কাপরের ধরন দেখে তার আচার ব্যাবহার নদির জলের মত জোয়ার ভাটা ওঠা নামা করে। আমার মত গোবেচারা টাইপ মানুষ তাদের কাছে ধাতর্বের মধ্যে পরে না, দাম জিজ্ঞাসা করলে যথেষ্ট অপমান সহকারে দাম বলে ভাব খানা এমন এই জিনিস তোমার জন্য না। এর পরেও যখন সকল অপমান সহ্য করে এক কেজি সিম বা বেগুন নেয়ার দুঃসাহস করি, পরিমান শুনেই জনাবের মুড সুইং হয়ে যায়, ঠোট উল্টিয়ে বলে এক কেজিতে আর কতো কমাবো দেন ৫৮ টাকা কিন্তু কাহিনি হলো ১০০ টাকা দিলে তার কাছে ৪২ টাকা থাকে না সে ৪০ টাকা ফেরত দিয়ে বলে দুই টাকা নেই পরে নিয়েন ব্যাপারখানা মাফ করেন টাইপ আর কি।
ওজন নেয়ার ব্যাপার খানাও বেশ ঝক্কিঝামেলার, আজকাল তো দাড়িপাল্লা ব্যাবহার করে না, ওজন মাপার মেশিন আছে, তাতেও নাকি হাজার রকম তেলেসমাতি, মেশিন খানা কখনই ক্রেতার দিকে ফেরানো থাকে না, থাকলেও তার ডিসপ্লে থাকে ঘোলা বা অস্পষ্ট বোঝার কোন উপায় নাই আসলে ওখানে কি কারিশমা হচ্ছে। একজন অভিজ্ঞ ক্রেতা আমাকে গোপন তথ্য দিয়েছিলেন কোন বস্তু ঘসা দিয়ে মেশিনের উপর রাখলে এক ধরনের রিডিং দেখায় আবার সোজাসুজি রাখলে এক ধরনের, আমি আজ অবাধি সোজাসুজি রাখতে দেখি নাই, সাহস করে একবার বলেছিলাম তাদের এই বুজরিকির কথা, আমি যে কি ধরনের অপদার্থ এবং বুদ্ধিমান এটা তারা আমাকে হাতে কলমে বুঝিয়ে দিয়েছিল এর পর আর সাহস করি নাই নিজের বুদ্ধির পরিমাপ করার।
মাছ কিনতে গিয়ে তো মহা খারাপ অবস্থা, বাসার সবার ধারনা, বাজারের সব পচা মাছ আমাকেই ধরিয়ে দেয়। তাদের আমি কোন ভাবেই বোঝাতে পারি না যে আমি কেনার সময় মাছের কান লাল দেখেই কিনি কিন্তু কি করে যেন বাসায় আনতে আনতে তা ঘোলাটে হয়ে গন্ধ ছড়ায়। এই রহস্যের কিনারা আজো করতে পারলাম না। আমি ইলিশ মাছ একদম পছন্দ করি না, ইলিশের গন্ধ আমার খারাপ লাগে, তারপরেও আমাকে ইলিশ কিনতে হবে কারন বাসার সবাই ইলিশ পছন্দ করে, আমি জ্ঞ্যানীর মত গোল সাইজ পেটের কাছে লাল রেখা দেখে ইলিশ কিনে নিয়ে যাই বাসায় গিয়ে ওটা হয়ে যায় চন্দনা ইলিশ যার স্বাদ অতিব কুস্বাদযুক্ত।
মাছ ওয়ালারা আমাকে দেখলে খুশি হয় আমাকে অনেক সন্মান করে স্যার বলে ডাকে, আদর করে সামনে বসিয়ে পচা গন্ধ ওয়ালা মাছাটা আমার ব্যাগে ভরে দেয়, তাদের সুমিস্ট কথায় আমি এতটাই বিহবল থাকি যে তিন কেজির জায়গায় তারা চার কেজির দাম রেখে দেয়। তাদের হিসাব টাও চমৎকার যেমন ধরেন দুই আর দুই চার চার আর তিন আট দেন স্যার নয় কেজি হইছে, আমি হাসি মুখে নয় কেজির দাম দিয়ে বিরদর্পে বাড়ি ফিরি।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:১৩
রানার ব্লগ বলেছেন: সম্ভব, বাজার মনিটরিং এর ব্যাবস্থা যদি স্ট্রং হয়ে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিবে না।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: শুক্রবার বাজারে যাবেন না। খুব ভিড় হয়।
বাজারে বেশির ভাগ দোকানে নকল পন্য। এমন কি চাষের মাছকেও বলে নদীর মাছ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:১৫
রানার ব্লগ বলেছেন: এই কথা আপনি আমার বাসায় এসে বলে যান, ফলাফল এটা হবে যে আপনার হাতে বাজারের থলি দিয়া বলবে যান কিছু কাচামরিচ কিনে আনেন।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:২০
সোহানী বলেছেন: আপনার দুরবস্থা দেখেও আপনার উপস্থাপনার গুনে কতক্ষন হাসলাম লিখা পড়ে।
বাজারে যেখানে সরকারী কোন মনিটরিং নাই সেখানে সব্জীওয়ালা মাছওয়ালারা রাজা হবেই। আর আমরা তার সামনে জ্বী হুকুম প্রজা। ওরা রাজাগিরি করতে করতে খুবই ভালো জানে যে সামনের প্রজার পকেট কতটা ভারী। তাই ফাঁকা পকেটরে খুব পাত্তা দিয়ে সময় নস্ট করতে চায় না।
তবে ভাইরে, এরকম রাজাকে আপনি সবখানেই দেখবেন। যারা আপনার পকেটের ওজন নিয়ে আপনারে কদর করবে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:১৬
রানার ব্লগ বলেছেন: ঠিক বলেছেন, বাজার মনিটরিং এর অভাবেই এই অবস্থা।
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০২
স্থিতধী বলেছেন: ক্রেতার কাপড়ের ধরন দেখে বিক্রেতার ব্যাবহার নদীর জোয়াড়-ভাটার মতো ওঠানামা করে ....এটাই হলো বাংলাদেশ, অবস্থান আন্দাজ করে নিয়ে যে যার মাথায় কাঁঠাল ভাঙতে চাওয়া। বাজার মনিটরিং এর পাশে আসলে জরুরী এসব খুচরা বিক্রেতার এ জাতীয় প্রাইস স্কিমিং বন্ধ করা । অনেকে কাঁচাবাজারে যায়-ই দামাদামি করে 'জিতার' জন্য । এমন করে জিতাজিতি করার তো কোন প্রয়োজন নাই । বিক্রতা প্রতি কেজিতে কত লাভ করতে চায় সেটা সে জানবে, সেই অনুযায়ী সে দাম আগেই লিখে রাখবে পণ্যের গায়ে ।নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে একেক জনকে একেক রকম দামে একি খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করার কোনরকম সুযোগ থাকাটাই অন্যায় । এ সুযোগ যতদিন থাকবে ততদিন-ই মগের মুল্লুক বজায় থাকবে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪৩
রানার ব্লগ বলেছেন: সহমত, বাজার পরিস্থিতি আমাদের মত নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য অসহনীয়!!
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ধৌনি এখন কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করে সফল উনার কৃষি পণ্য সস্তা । আমাদের দেশ এই ধরনের লোক এগিয়ে আসা উচিত
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩০
রানার ব্লগ বলেছেন: আমাদের দেশের কৃষক যথেষ্ট পরিমানে উৎপাদন করেন কিন্তু মধ্যসত্ব ভুগিরা কৃষি পন্যের দাম আকাশে তুলে মোটা অংকের মুনাফা তুলে নেয় সেই তুলনায় কৃষক খুবই সামান্য পরিমান পান।
কৃষক তার নিজের বিক্রয়কৃত উৎপাদিত পন্য বাজারে কিনতে গিয়ে দাম শুনে অজ্ঞ্যান হয়ে গিয়েছিলেন এমন সংবাদ ও আমরা পড়েছি।
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৫
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: বাজার-নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে খুব ভালো হতো। সরকার এটাকে শক্তহাতে ধরলে ভালো হবে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৪
রানার ব্লগ বলেছেন: বাজার নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজনীয় !!! নতুবা মধ্যবিত্তরা হুমকির সম্মুখীন হয়ে পরবে।
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এ আমাদের সবার জীবনের প্রতিদিনের কাজ বাজারের ছবি।
সব দোকানদারেরা আশায় থাকে শুক্রবারের আর আমরা আমজনতা বা ক্রেতারা অসহায় তাদের কাছে।অন্যান্য দিন যদিও ২/১ টা কথা বলা যায় বা দরদাম একটু করা যায় কিন্তু শুক্রবারে তাদের এ ব্যাপারে একদম সুযোগ নেই।সব কিছুর স্থির মূল্য থাকে সেদিন ।আপনি দামাদামি করলে বা ২/১ টা দাম বললে ছোট লোক টাইপের ।
আর বাজারের ব্যাবসায়ীদের রাজা হল মাছ ব্যাবসায়ীরা ।আর তাদের মুখে শুধু মধু থাকে। যেভাবেই হোক স্যার-ম্যাডাম বলে আপনাকে দিবেই দিবে,যা তাদের দেয়ার।যদি মুখ পরিচিত হন তাহলে বাকীও দিবে।
আর সব জায়গায় আমি-আপনি যদি তাদের সাথে সায় দিয়ে আসেন তাহলে ভাল ক্রেতা আর না হলে সমস্যাযুক্ত ক্রেতা ।আর এ উপাধি একবার জুটলে সেই বাজারে গেলে সব দোকানদাররাই বেজার হয়ে যায় ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৫
রানার ব্লগ বলেছেন: আপনারা সাথে আমি সহমত পোষন করছি।
৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১৩
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: পাবলিক সেক্টরের সকল ক্ষেত্রে সরকারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ছাড়া এই অবস্হার উন্নতি সম্ভব না।
হোক সে বাজার, গণ পরিবহন, সাস্থ্য, শিক্ষা।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩২
রানার ব্লগ বলেছেন: সরকার কে আরো বেশি নজরদারি করতে হবে শুধু পন্যের দাম নয় বিক্রেতার উপরে যে স্থানীয় ট্যাক্স থাকে তা বন্ধ করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
এগুলো কোন সমাধান বের করা সম্ভব?