![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দূরে থাকুন তারা যারা ধর্মকে পুঁজি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দূরে থাকুন তারা যারা ১৯৭১ থেকে অদ্যাবদি বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং সকল পাকিস্তানী প্রেমী , রাজাকার ও তাদের ছানাপোনা ।
শুধু যদি বলতাম,
সব ঠিক আছে
তবে কি জানতে তুমি,
নিস্তব্ধতা আড়ালে কতটা ভাংগন থাকে?
আমরা কি খুব বেশি কিছু চেয়েছিলাম ?
না কি সময়ের ফাঁকে শুধু
কিছু হাত ধরার মুহূর্ত খুঁজেছিলাম
যেখানে হাওয়াতে ভেসে...
নিভে আসা চাঁদের নীলাভ ছায়ায়
আমি শুয়ে আছি বিষখালির ধারে
পৃথিবীর সমস্ত শব্দ পেরিয়ে
শুধু নদীর স্রোতের মধ্যে
একটা কান্নার ধ্বনি যেন রয়ে গেছে,
অজানা এক যন্ত্রণার ঢেউয়ে
আমি ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছি,
কোনো এক বিস্মৃত...
এই রাতে কোথাও কি আছো তুমি,
নিভে যাওয়া আলোর ছায়া হয়ে,
হৃদয়ের জানালার ওপাশে।
হঠাৎ হাওয়ার ঘূর্ণিতে মেঝেতে পড়ে থাকা
তোমার চিঠিটা উড়ে যায়, কুড়িয়ে নিই,
ভেজা অক্ষরে লেখা, ভালো থেকো।
ভালো...
ঘরটায় এখনো হাওয়া ঢোকে,
কিন্তু কারো গায়ের গন্ধ ভাসে না।
আলনা ভরা জামাকাপড়,
তবু কেউ বলে না, এইটা পরো,খুব মানাবে।
বিকেলের রোদ জানালা ছুঁয়ে দেয়,
কিন্তু কেউ টেনে দেয় না পর্দা,
কেউ বলে না, রোদটা...
নিশুতি রাতের অলিন্দে দাঁড়িয়ে,
আমি শুনি, কৃষ্ণচূড়ার ডালে বসে থাকা কাকটির হঠাৎ থেমে যাওয়া কণ্ঠ,
চাঁদের আবছায়া আলোয় ঝলমলে হয়ে ওঠে
সেই পুরনো মফস্বল শহরের স্মৃতি:
ঝড়ো চুলের গন্ধমাখা দিন, ধুলোয় মোড়ানো...
নিশ্চল পায়ে হেঁটে চলি আজও
ভুলের ঘ্রাণে ভেজা পথ ধরে।
এক একটি দিন যেন এক একটি ক্ষত,
দিন শেষে তবু জ্বালি আশার প্রদীপ।
চেনা প্রতারকের চোখে দেখি
অচেনা প্রেমের প্রতিচ্ছবি
ভেবেছিলাম, এবার বাঁচব বুঝি,
কিন্তু...
একদিন তোমাকে ছেড়ে চলে যাব।
তখন আমায় স্বার্থপর ভাবতে পার,
ভেবো।
ওই দিন ওমনটা ভাবনায় আমার কিচ্ছু যায় আসবে না
নির্বিকার মুখে কাঠিন্যরে বুকে নিয়ে
নিশ্চুপ চোখ বুজে সয়ে নেব সব...
সবাই যখন আলো খোঁজে
আমি খুঁজি আলোয় পোড়া ছায়া।
সবাই যখন রৌদ্র চায়,
আমি দাঁড়িয়ে থাকি সিঁদুর রাঙা সন্ধ্যাতে
যেখানে ছায়া আর আলো
একসাথে কাঁদে।
ভাঙা অন্ধকারের ভেতর দিয়ে
তুমি হয়তো হাটছ আঁধারের পিঠ বেয়ে
তবু জানি
আঁধার...
নিঃশব্দ শূন্যতার ভেতর দাঁড়িয়ে
আমি খুঁজি এক হারিয়ে যাওয়া তোমায়
নগরজীবনের কোলাহলে চাপা পড়ে
তোমার কণ্ঠস্বর যেন কোন প্রাচীন সংগীত,
শুধু আমার স্মৃতিতে বাজে ক্ষীণ তরঙ্গে।
হাঁটতে হাঁটতে পেরিয়ে যাই অলিগলি
যেখানে একদা ছায়ার আড়ালে...
যে ঘরে তালা, তার পাশেই দাঁড়াই,
ধুলোয় ঢাকা জানালায় চোখ রাখি
দেখি, ভাঙা আয়নার ফ্রেমে এখনও জ্যোৎস্নার কাঁপুনি,
একফোঁটা রূপ, ছেঁড়া মলিনতা জুড়ে কিছু আলো খেলছে।
হ্যাঁ, আগেও কেউ এসেছিল,
বহু আগে,তাদের জুতোর শব্দ...
জন্মেছি, এও এক ঘটনা মাত্র।
কারও ইচ্ছেতে নয়, কারও অনিচ্ছেতেও নয়।
রক্তের গন্ধে ভরা এক সকালে
আমি নেমে এসেছি, অপ্রত্যাশিত চিৎকারে ।
শহরের ধুলো, গলির বিক্রি হয়ে যাওয়া রোদ,
বাসের পাদানিতে ঝিমিয়ে পড়া শরীর,
সবকিছু দেখেছি।...
কেন যে, কেন যে হঠাৎ
কোন নাম না জানা ভোরে
কারো মুখ খুব মনে পড়ে,
মনে পরে অকারণ স্পর্শের,
কাছে বসার এক তীব্র বাসনার।
কতটা পথ, কতটা জীবন বাকি,
তারপরও,
অচেনা হাসি মনে হয় বড্ড চেনা,
অচেনা...
একদিন দগ্ধ ঘাসে ভালোবাসা পুড়িয়ে দেব।
সর্বাংগে ওর ছাই মেখে আমি বৈরাগ্য নেব।
রগড়ে রগড়ে ধুয়ে ফেলব শ্রবন মেঘের জলে।
কায়াটা কে শুকতে দেব তোমার বাড়ির উঠনে।
পায়ের নখে গজিয়ে উঠবে...
এই যে বললাম, আমি ভালো আছি।
আমি কিন্তু ভালো নেই। প্রচন্ড খরায় কাটছে সময়।
গ্রিষ্মের তাপে বাষ্পীভূত হৃদয় নামক বস্তুটি।
এখানে ফাগুন আসে না সেই অযুত সহস্রাব্দ থেকে।
মেঘ...
নিঃশব্দ গোধূলিতে,
তোমার হাত ধরে হাঁটতে ইচ্ছে করে,
যেখানে শব্দেরা মৃত, কেবল নিঃশ্বাসে বেঁচে থাকে ভালোবাসা ,
তোমার চুলে জড়িয়ে থাকা বিকেলের আলোয়
একদিন হারাতে চাই।
সিমানায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা আকাশে
ভাঙা নক্ষত্রের গায়ে...
©somewhere in net ltd.