![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দূরে থাকুন তারা যারা ধর্মকে পুঁজি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দূরে থাকুন তারা যারা ১৯৭১ থেকে অদ্যাবদি বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং সকল পাকিস্তানী প্রেমী , রাজাকার ও তাদের ছানাপোনা ।
অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে একদিন ধুলা হবো
তারপরও কি তোমার মহাজাগতিক সময়ের সন্ধান পাবো?
তবে কি নক্ষত্রের রক্তে ভিজে জন্ম নেবো আবার?
না কি মহাকাশের নিরবতাই হয়ে উঠবে আমার গান?
তুমি হয়তো আলো ছড়াও
দূর...
বরষা আমায় একা করে চলে গেলো,
শূন্য মাঠে শুধুই কাদামাটির গন্ধ,
বাতাসে ভাসে ভেজা ঘাসের নিঃশ্বাস,
আর আমি দাঁড়িয়ে থাকি,
চোখে জমে থাকা সন্ধ্যা নিয়ে।
দূর নদীর স্রোতে ভেসে যায় কালো মেঘ,
বকের ডানায় লেগে...
কেমন আছো চারু?
তুমি কি এখনো ছাদের কার্নিশে দাঁড়িয়ে
চুল ঝাড়ো?
এখনো কি, তোমার ঘন চুলে অশান্ত যমুনার ঢেউ ওঠে,
এখনো কি, তোমার চোখে বৃষ্টির কণাগুলো
পড়তে পড়তে হারিয়ে যায়?
চারু জানো,
আজও হাঁসফাঁস লাগে শহরের গুমোট...
আজকাল আমার লেখা কবিতা গুলো আমার মতোই উদ্দেশ্য হীন ভাবে সমন্তরাল গতি তে চলছে। নেই কোন উত্তেজনা নেই কোন অসম্ভব প্রেমের গুঞ্জন, কেবলি হতাসা। কিবোর্ড এ আংগুল ছোয়াই...
আজ আমি কোথাও যাবো না।
এই ছায়াতলে কাটিয়ে দেব বেলা,
ঝরা পাতার নীরব মায়ায়।
দূরে বুনো পাখি ডাকে
সূর্য ঝিমোবে ধানক্ষেতের ছায়ায়,
তপ্ত ঘাসের আড়ালে।
শিউলির গন্ধমাখা হাওয়ায়
ডুবে যাবে উদাস আকাশ।
আজ আমি কোথাও যাবো না।
সন্ধ্যা...
শহরের আলো নিভে গেলে
আমি হেঁটে যাই নির্জনতায়
যেখানে রাত ঝুঁকে পড়ে
পরিশ্রান্ত, ক্লান্ত দেহের মতো।
দূরে নক্ষত্রেরা জ্বলে ওঠে যেন
নিযুত অচেনা ভাসমান প্রদীপ,
জলধার নেই, তবু শোনা যায়
জলের দীর্ঘশ্বাস।
বন্ধুরা ডেকে যায়,
আমি বলি না,
আমি...
এই পৃথিবী আমার জন্য নয়,
তাই আমি গিয়েছি ধানের ক্ষেতে,
মাঠের ধারে কাশফুলের ছায়ায়
শুয়ে থেকেছি আকাশ পানে চেয়ে।
নদীর ঢেউ আমাকে ডাকে
কূল ভাংগা ভাটির সুরে,
শিশির ভেজা ঘাসের গন্ধ
মন ভরে শুঁকে নেই টাটকা...
আমার ভেতরে নদীটা শুকিয়ে গেছে,
তবুও কাদামাটির গন্ধে আমি পাই ।
বাতাসে উড়ে যাওয়া পাতার শব্দ শুনে
মনে হয় আমিও একদিন উড়ে যাবো,
তবে অচেনা কোন পথে নয়।
আমার হাতে ঘড়ি নেই,
সময়...
ভোরের আলোয় শহরটা দেখলে বোঝা যায় না
কত মানুষ রাতভর ক্ষুধায় শুয়ে ছিল।
রাস্তার ধারে ছেঁড়া চাঁদরে ঘুমিয়ে থাকা শিশুরা
স্বপ্ন দেখে না, কারণ স্বপ্নরাও খেতে চায়।
আমরা কাঁদি, গোপনে কাঁদি,
কারও সামনে...
মানুষ হেঁটে চলে,
হাসিমুখে, কোলাহলে ভরা শহরের ভিড়ে
কেউ বোঝে না,
তার চোখের কোণে অন্ধকার জমে ।
মানুষ গল্প করে,
আলোর মতো উজ্জ্বলতায়,
কিন্তু বুকের গভীরে
কোনো ক্ষত নীরবে রক্ত ঝরে
সেই রক্তের রঙ
কেউ দেখে না, কেউ...
হয়তো একদিন বসন্তের শেষে
ঝরা শিমুলের নরম লাল পাপড়ি
পায়ের তলায় জমে থাকবে নিঃশব্দে,
আমরা হাঁটব ধীরে, নিরব-নিঃশব্দে।
সেদিন হয়তো বৃষ্টিটা নামবে হঠাৎ,
তুমি ছাতা আনবে না অভিমান করে।
আমি হাত বাড়িয়ে দেব,
জল ছুঁয়ে...
তুমি কি দেখেছ, সখী, গাঁয়ের পাড়ঘেঁষা বাঁশবাগান
যেখানে সন্ধে নামলেই ঢুকে পড়ে শিয়াল আর স্মৃতি?
কোনো এক বিধবার ঘর সেঁটে থাকা নোনা গন্ধে
মিশে আছে আমার চেনা জনম, চেনা শোক।
আকাশ তো এখন...
সারাদিন ধরে ঝরঝর করে বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘের মনে কে যে এতো দুঃখ দিলে কে জানে? অবশ্য আমার মনের দুঃখের জন্যও মেঘের কষ্ট হতে পারে। সেই যে আমাকে সারা ঢাকা শহর...
ঘুমন্ত বিকেলে গড়িয়ে আসা আলোটা
একটুখানি ছায়া নিয়ে সিঁড়ির বাঁকে দাঁড়ায়;
আমি নিঃশ্বাস গুনে বুঝি আজও বেঁচে আছি,
কারণ তোমার নাম এখনো আমাকে আলোড়িত করে।
সারা দিনের ওষুধ, রিপোর্ট, আর জীর্ন পেশিতে
শুয়ে থাকে...
একান্ত এক সকালের আভায়, জেগে ওঠে চরাচর,
ঘুমন্ত পাখির পালক ছুঁয়ে সময় কাঁপে মৃদু সুরে।
যদি আসে ডাক হঠাৎ, কোনো দমকা হাওয়ার মত,
কিছুই রাখার নয় তখন, সবই ছিল যেন ভাড়াটে ঘরে।
রয়ে...
©somewhere in net ltd.