নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দূরে থাকুন তারা যারা ধর্মকে পুঁজি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দূরে থাকুন তারা যারা ১৯৭১ থেকে অদ্যাবদি বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং সকল পাকিস্তানী প্রেমী , রাজাকার ও তাদের ছানাপোনা ।
বার্ষিক পরিক্ষা শেষ । নানু খবর পাঠিয়েছে বাড়ি জাওয়ার জন্য । আমরা অনেক কাজিন প্রায় পঞ্চাশ জনের একটা লম্বা লিস্ট। কিন্তু নানু আমাকে খুব পছন্দ করতেন । নানু তার বাবার বাড়ি বেড়াতে গেলে সাথে আমাকেই নিয়ে যেতেন । সারাবছর নানু অপেক্ষায় থাকতেন কখন ডিসেম্বর মাস আসবে আর আমার বার্ষিক পরিক্ষা শেষ হবে । পরিক্ষা শেষ তো হয় ছোট মামা নতুবা বড় মামা কে পাঠিয়ে দিতেন আমাকে নেবার জন্য । আমিও তক্কে তক্কে থাকতাম । কারন আমি জানতাম বার্ষিক পরিক্ষা শেষে আমাকে বাড়ি যাবার অনুমুতি দেয়া হবে । সাধারনতো আমাকে কোথাও একা যাবার অনুমুতি দেয়া হয় না । স্কুলের স্কাউটের জাম্বুরিতেও আমাকে একা যাবার অনুমতি নাই । তাই স্কাউট করলেও দুরে কোন অনুষ্ঠানে আমি যেতে পারতাম না । বন্ধুরা চান্স পেলেই ক্ষ্যাপাতো ।
চট্রগ্রামে নৌ স্কাউট জাম্বুরি হবে । সব ঠিকঠাক । যাবার আগের দিন আম্মা না করে দিলো । হাতে পায়ে ধরার পরেও কাজ হয় নাই । চিল্লাচিল্লি কান্নাকাটি করেও কোন সুবিধা আদায় করতে পারি নাই । চোখের সামনে দিয়ে বন্ধুরা দাঁত দেখিয়ে চলে গেলো । আর আমি বিদায় কমিটির একমাত্র মেম্বার হয়ে স্কুলের বারান্দায় একা মুখ কালো করে বসে রইলাম । আসল কথায় আসি । বড়মামা পরিক্ষা শেষ হবার পরেই চলে এলেন । আমাকে দেশের বাড়ি নিয়ে যাবার জন্য । আমি খুশিতে আটখানা । কারন তখন রাস্তাঘাট এমন ছিলো না । খুলনা থেকে বরিশাল যেতে অনেক যন্ত্রনা সহ্য করতে হতো । কিন্তু সেইসব যন্ত্রনা আমার কাছে মোটেও যন্ত্রনা মনে হতো না । প্রথমে বাস তারপরে মাইল খানেক রিক্সা তারপরে হাঁটা তাও সম্ভাবত দুই তিন মাইল হবে তারপরে নৌকা করে বাড়িতে পৌছানো । ভোর বেলা রওনা দিয়ে গভীর রাতে বাড়ি পৌছাতাম । নানু অপেক্ষায় থাকতো । যেই পৌছে যেতাম সাথে সাথে আমার যত্ন আত্তি শুরু । গরম পানি দিয়ে হাত পা ধুইয়ে, নতুন কাপড় পরে (এক সেট নতুন কাপড় আমার জন্য নানু বাড়িতে সবসময় থাকতো যতো দিন নানু সুস্থ্য ছিলেন ) প্রীয় নারেকেলের দুধের পোলাও, চিংড়ি মাছের মালাই কারি আর মুরগীর মাংস গলঃধকরন করে দোতলার একটা কামড়ায় আমাকে রেখে আসা হতো ঘুমানোর জন্য সঙ্গে কুন্তি মাসি (বাড়ির কাজের মহিলা) যাতে আমি ভয় না পাই । ধোয়া চাদরের নরম আবেশে ঘুম আপনা আপনি চলে এসতো । ভয় টয় পাবার সময় আর পেতাম না ।
সকালে কুডি মামু ( বাড়ির কাজের লোক) এক কলশি খেজুরের রস নিয়ে আসতো । কুডি মামু জানতেন আমি কাঁচা খেজুরের রস খেতে পছন্দ করি । রস এনেই ডাকাডাকি শুরু । আমি চোখ ডলতে ডলতে নেমে বাসি মুখেই জামবাটিতে করে এক বাটি কাঁচা রস চুকচুক করে খেয়ে ফেলতাম । গলা দিয়ে খেজুরের রস ছোঁয়াছুঁয়ি খেলতে খোলতে সুরুত করে নেমে বুকের ভেতরটা ঠান্ডা একরাশ পরশ দিয়ে যখন পেটের মধ্যে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিতে তখন মনে হতো যেন পৃথীবির শ্রেষ্ঠ পানিয় খেলাম । কিসের কোকাকোল আর পেপসি । আহ ! সে যে কি এক স্বাদ । কোকাকোলা বা পেপসির কি ঝাঁজ তার থেকে বেশি ঝাঁজ ছিল কাঁচা খেজুর রসে আর স্বাদ সে তো অপ্রতিম । সেই রস খেয়ে শরীরে যেন বল ফিরে পেতাম । গায়ের মধ্যে একটা চনমনে ভাব জেগে ঊঠতো । তারপর সকাল দশটায় হতো সকালের নাস্তা । অবশ্য তার আগে চা মুড়ি আর একপ্রকার ছোট ছোট গোল গোল বিস্কুট পাওয়া যেতো সেই সময় । ওই গুলা দিয়ে রাক্ষুসে ক্ষুধাটা কে দমিয়ে রাখতাম ।
ঘরের কোনায় কানায় হেটে চলে বেড়ালেও কান থাকতো নানুর নাস্তার ডাকের । যেই না নানু নাম ধরে ডাকতো। ব্যাস এক দৌড়ে টেবিলে পৌছে যেতাম । বিশাল বড় বড় চিতই পিঠা দুধে ভেজানো খান দুয়েক গলায় চালান করে দিয়ে পাটি সাপটায় এট্যাক করতাম । এর ফাঁকে নানু বাড়ির গরুর দুধের ঘিয়ে ভাজা পরটা আর আলু হালকা মুচমুচে করে ভাজা আর ডিম ভাজা পাঠিয়ে দিতেন টেবিলে । পাটি সাপটা শেষ করে নিজেকে কোন দিক তাকানোর অবসর না দিয়ে মাথা নিচু করে ঘিয়ে ভাজা পরটায় মন দিতাম । এখনকার ঘি এর মতো এমন তেল চিটচিটে একটা ব্যাপার তখন ছিলো না । ঘিয়ে ভাজা ঠিকি হতো কিন্তু হাতে ঘি লাগতো না । আর সে কি সুবাস । ঘিয়ের সুবাসেই ক্ষিদে বেড়ে দ্বিগুন হয়ে যেতো । আর আলুভাজা । উফ ! কি দুর্দান্ত তার স্বাদ । একটু করে পরটা ছিড়ে আলুভাজা টা পরটার টুকরায় জড়িয়ে মুখের ভেতর চালান করে দেয়ার পর কষ্ট করে চাবানো লাগতো না । মুখের ভেতর যেয়েই তা নতুন বউয়ের মতো নরম সরম হয়ে টুকুস করে পাড়ার উমা বৌদির মতো জিবের সাথে ছেলেখেলা করে গলা দিয়ে পিছলে নেমে যেয়ে পাকস্থলীতে রেস্ট নিতো। আর আমি চোখ বুজে থাকতাম । এই চোখ বুজেই বাকি নাস্তা সেরে নিতে না নিতেই বড় এক গ্লাশ গরম দুধ এসে যেতো । আর এখানেই আমার আপত্তি । উহা আমার পছন্দের লিস্টের বাহিরে । আর নানু এটা জানতেন । তিনিও সেই দুধের গ্লাশের সাথে এসে যেতেন । এতো যতো আবেশ টাবেশ ছিলো তা নিমিশেই দুর হয়ে যেয়ে একরাশ বিরক্তি নিয়ে গটগট করে খেয়ে নিতাম দুধ । নানু মিস্টি করে হেসে তার শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ মুছে দিয়ে বলতেন খেলতে যেতে । ততক্ষনে আমার গ্যাং বাড়ির উঠানে জড়ো হয়ে গেছে । তারা রাতেই খবর পেয়েছে আমি উপস্থিত ।
বাড়িতে আমার সঙ্গি সাথির কখনোই অভাব হয় নাই । আমার জন্ম আমার নানু বাড়িতেই হয়েছে । সেই সুত্রে আমার সঙ্গীসাথির কমতি ছিলো না । সিমা (ছেলে, কি করে বা কেনো তার নাম সিমা তা আজো জানি না) নুরুল আমিন, মিজানুর, হুমায়ুন আর আমি । আর একজন ছিলেন শেফালি আপা। আমাদের থেকে বেশ বড় । আমার আবার তার প্রতি কিঞ্চিৎ মন উচাটান ছিলো । উহা কেউ বুঝতো না আবার সবাই বুঝতো । আর শেফালি আপাও আমাকে আদর করতেন । অন্তত ওদের থেকে বেশি । শেফালি আপার শরীরে এক অদ্ভুত সুবাস ছিলো । গ্রামের মেয়ে কোন সুগন্ধি ব্যাবহার করতেন না অবশ্য সেই সময় সুগন্ধি অনেক শহরের মেয়েরাও ব্যাবহার করতো না । তারপরেও তার সারা শরীরে অদ্ভুত একটা সুবাস থাকতো । যখন তিনি আমাকে আদর করে জড়িয়ে ধরতেন সুবাসটা আমি টের পেতাম । বুক ভরে সেই সুবাস টেনে নিতাম । তার আঙ্গুল গুলো আমার চুলের ভেতর খেলা করতো । আমি আমার মধ্যে রোমাঞ্চকর এক অনুভুতি অনুভব করতাম । শেফালি আপা বলতো তোর চুল গুলি অনেক সুন্দর । মনে হয় রেশম দিয়ে বানানো (আমি অবশ্য অনেকবার আয়নায় দেখে বোঝার চেষ্টা করেছি সুন্দরের কিছু পাই নাই । একবার রেশমি সুতা জোগাড় করে এনে মিলিয়ে দেখার চেষ্টাও করেছি । মেলাতে পারি নাই ) ।
শেফালি আপার একটা সমস্যা ছিলো তিন মাঝে মধ্যে উধাও হয়ে যেতেন । এই যেমন রাত্রে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেছেন পরের দিন সকালে তাকে আর বিছানায় পাওয়া যেতো না । দুই তিন দিন পরে দুরে কোন এক পুকুর পারে সন্ধ্যার দিকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে গাড়া অবস্থায় পাওয়া যেতো তাও অজ্ঞ্যান । শেফালি আপার মাথা ভর্তি লম্বা চুল ছিলো । অসম্ভব সুন্দর। আপাকে আমি কখনো চুলের যত্ন নিতে দেখি নাই । তারপরেও আপার চুল গুলো ছিলো ঝলমলে । যেন সারাক্ষন তার চুলে রোদ এসে খেলা করে । তিনি যখন হাটতেন চুল গুলো পেছন দিকে কোমর জড়িয়ে দুলতে থাকতো । যেনো একদল নৃত্য শিল্পী নেচেনেচে আপার সাথে ঘুরে বেড়ায় । মাটির মধ্যে গাড়া থাকার ফলে চুল গুলো কাঁদায় লেপ্টে যেতো । কিন্তু তারপরেও আপার সুন্দর্যের একফোটা কমতি হতো না । মনে হতো মাটির প্রতিমা । আপাকে দেখতাম প্রায় বিরক্ত হয়ে বলতো ধুর ছাতার চুল সব কাইট্টা ফেলবো । আপার চুল নিয়েও আর এক কাহিনী আছে । আপা মাঝেমধ্যেই তার চুল কেটে ফেলতে চাইতেন কিন্তু কোন নাপিত তার চুল কাটতে চাইতো না । সবাই ভয় পেতো । অনেক আগে এক নাপিত নাকি চুল কাটতে এসেছিলো । আপাকে জল চোকিতে বসিয়ে কেবল কাঁচি চুলে ছুয়েছে ওমনি নাকি কে যেন নাপিতের কান বরাবর এমন এক থাপ্পর দিয়েছে যে নাপিতের কান ফেটে সারা জীবনের জন্য এক কান বয়রা হয়ে গেছিলো । আপা আমার চুলে হাত বুলিয়ে দিতো আর বলতো মিলন তুই কি সুন্দর করে চুল কাটিস অথচো দ্যাখ কোন নাপিত আমার চুল কাটতে চায় না । আমি হেসে বলতাম আসলে হইছে কি আমার ভয়ে ওরা তোমার চুল কাটতে চায় না । আপা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো । ওই যে থাপ্পরটা তো আমি মেরেছিলাম । আপা আমার চুলের মুঠি ধরে ঝাকিয়ে বললো হ্যা তুই খুলনা থেকে থাপ্পর মারছিস । আমি পরম আনন্দে মাথাটা আপার কোলে ঠেসে ধরে বলতাম হুম ওটা আমি ছিলাম ।
সিমা ছিলো শেফালি আপার ভাই । ও একদম চাইতো না আপা আমাকে আদর করুক । সারাক্ষন চেষ্টা করতো আমি যেনো কনো ভাবেই আপার কাছাকাছি না যেতে পারি । কিন্তু কি হবে আমি এসেছি শুনলেই আপা নিজেই চলে আসতো । নানুর সাথে গল্প করার তালে আমাকে কব্জা করে তার কাছে নিয়ে যেত । আর আমি বাধ্য ছাত্রের মতো মুগ্ধ হয়ে থাকতাম । সিমা একদিন একটা বড় লাঠি নিয়ে এসে বললো চল আমরা আজ শিয়াল মারবো । আপার মুরগী খেয়ে ফেলছে গতোরাত্রে । আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি । ওমনি কোথা থেকে আপা উড়ে এসে খপ করে আমার হাত টেনে ধরে বললো না খবরদার ও যাবে না ও অনেক ছোট। সিমা চোখ সরু করে ঠোঁট উল্টে বললো ও কি করে ছোট , মিলন আর আমি একি সমান । আমার পাশে এসে হাত দিয়ে মাথার সাইজ মেপে বললো তার উপর ওর গোঁফে দেখা যাচ্ছে আমারো গোঁফ হচ্ছে । আপা আমাকে টান দিয়ে তার পেছনে নিয়ে বললো তারপরেও ও ছোট ।
- মিলন তুই যদি না যাস রাত্রে সিন্নির ভাগ তো পাবি না সেই সাথে হা ডু ডু খেলায়ও তোরে নেব না । আমাকে শাসাতে লাগলো সিমা ।
আমি কোন মতে হাত ছাড়িয়ে বললাম আপা আমি যাই । আপা আমাকে ফের ধরতে পারা আগে দুই লাফ দিয়ে দে ছুট সেই সাথে সিমাও দৌড় দিলো ।
আমি সিমা নুরুল আমিন হুমায়ুন সবাই চার দিক দিয়ে ঢুকে গেলাম জংগলের মধ্যে । হাতে বিশাল বল্লম । আমি অবশ্য জীবনে বল্লম চালাই নাই । কিন্তু বাকিরা বল্লম চালাতে ওস্তাদ । আমার প্রধান দায়িত্ব বল্লম দিয়ে শিকার কে চেপে ধরার বাকিরা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারবে। তো বল্লম হাতে চুপি চুপি মাথা নিচু করে ঝোঁপের মধ্য দিয়ে পা টিপে চলছি । কিছুদুর থেকে হুমায়ূন কুক কুক করে ডাক ছাড়লো অর্থাৎ সামনেই শিকার । আমি সটান হয়ে গেলাম । বল্লম ধরে চোখ নাক মুখে যতোটা পারা যায় কুঁচকে হিংশ্রতা আনার চেষ্টা করে ঝোপের দিকে তাকিয়ে থাকলাম । ভাবখানা এমন আমার ওমন কুঁচকানো মুখ দেখে শেয়াল বাবাজি অক্কা পেয়েই যাবে। ওইদিকে অন্যরা বিভিন্ন কায়দায় শিয়াল কে তার ড্যারা থেকে বের করার চেষ্টা করছে । কিছুটা দুরে হুটপাটের শব্দ পেলাম সেই সাথে খ্যাক খ্যাক করে ডাক শুনতে পেলাম । নুরুল আমিন চেঁচিয়ে বললো মিলন রেডি থাক শিয়াল তোর দিকেই যাচ্ছে । পা থেকে মাথা পর্যন্ত কি এক কারনে থরহরি কম্প শুরু হয়ে গেলো । হাত দিয়ে কনভাবেই বল্লম চেপে ধরতে পারছিলাম না । ওদিকে খ্যাক খ্যাকের মাত্রা বাড়তেই লাগলো আর ঝোপের ভেতর হুটপাটও বেড়ে গেলো । মনে হলো কিছু একটা ছুটে আসছে । আমি নিজের বীরত্বের প্রতি সম্পুর্ন আস্থা রেখে থরথরিয়ে কাঁপা হাতে বল্লোম চেপে ধরে অপেক্ষা করছি । শিয়াল এলেই মেরে দেব । হঠাত কোথা থেকে কি হলো এক বীভৎস মুখ ঝোপ থেকে বেড়িয়ে আমাকে দেখেই তার লম্বা লম্বা দাত গুলো দেখিয়ে হা করে কামড়ে দিতে ছূটে এলো । আমিও বীর পুরুষের মতো বল্লম ফেলে ঝোপের ভেতর চিতপটাং হয়ে পরে গিয়ে খেয়ে ফেললো গো বলে চিৎকার করতে লাগলাম আর চার হাত পা বিভিন্ন দিকে ছুড়ে লাফাতে লাগলাম । আমার ওমন অজানা নৃত্য কৌশল দেখে শিয়াল বেচারাও ভড়কে গিয়ে ভয়ে পালিয়ে গেলো । পাছায় হুমায়ুনের জোড়া লাথি খেয়ে সজ্ঞ্যানে ফিরে এলাম । ভালো করে চেয়ে দেখি চার চারটা ঘামে ভেজা খুদ্ধ মুখ আমার দিকে দাঁত মুখ কিড়মিড় করে তাকিয়ে আছে । এই শালারে কে আনছে তারে আগে দুইটা লাগা , নুরুল আমিন রেগে গিয়ে বললো । আমি সিমার দিকে ইশারা করে দেখিয়ে দিলাম । ততক্ষনে সিমা দৌড়ে এলাকা ছাড়া ।
২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯
রানার ব্লগ বলেছেন: আমার নানা মারা গিয়েছেন আমার আম্মার বয়স যখন দেড় বছর । আমরা আমাদের নানী কে নানু বলতাম । তিনি এই ঈদে ইন্তেকাল করেছেন ।
২| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩
মিরোরডডল বলেছেন:
সত্যি ঘটনা?
কাঁচা খেজুরের রস আমারও অনেক পছন্দের।
মনে হতো যেন পৃথীবির শ্রেষ্ঠ পানিয় খেলাম।
আসলেই তাই।
নামটা মনে হয় সিমার ছিলো, ছোট করে তাই সিমা ডাকতো।
একবার রেশমি সুতা জোগাড় করে এনে মিলিয়ে দেখার চেষ্টাও করেছি । মেলাতে পারি নাই।
পাগল একটা
দুই তিন দিন পরে দুরে কোন এক পুকুর পারে সন্ধ্যার দিকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে গাড়া অবস্থায় পাওয়া যেতো তাও অজ্ঞ্যান ।
কি বলে এসব!!!
আমার ওমন অজানা নৃত্য কৌশল দেখে শিয়াল বেচারাও ভড়কে গিয়ে ভয়ে পালিয়ে গেলো ।
বয়স কত তখন?
২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭
রানার ব্লগ বলেছেন: সত্যি ঘটনা?
একদম নির্জলা সত্য ।
কাঁচা খেজুরের রসের স্বাদ আমি কোন দিনো ভুলবো না ।
আমার চুল এখন আস্তগামী । সুন্দর হলে মনে হয় মাথায় বসোবাস করতো ।
কি বলে এসব!!!
শেফালি আপার এমন আরো অনেক ঘটনা আছে ।
বয়স কত তখন?
তেরো চৌদ্দের মাঝামঝি ।
৩| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬
মোগল সম্রাট বলেছেন:
আহা খেজুরের রসের কথা মনে করে দিলেন।
আমরা পাড়ার ছেলেরা শীতের রাতে খেজুরের রস চুরি করে মাঠের মধ্যে গিয়ে ধানের ‘নারা’ দিয়ে আগুন জালিয়ে পায়েশ রান্না করে খেতাম। সাথে নারকেল চুরি।
সকালে গাছি এসে সেকি চিল্লাচিল্লিটাই না করতো । সাথে অকথ্য গালাগাল
ইস কি দারুন দিন ছিলো।
আপনার লেখা ভালো লেগেছে।
২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০০
রানার ব্লগ বলেছেন: আমি মোটামুটি দুইটা জীবনের স্বাদ পেয়েছি । কিছুটা গ্রামীন জীবন বাকিটা শহুরে জীবন । রস চুরি করে খাওয়ার বাজে একটা অভিজ্ঞতা আছে । ওটাই প্রথম ওটাই শেষ । গ্রমে বেড়াতে গেলে চুরি টুরি করতে পারতাম না । কারন স্বাভাবিকের থেকে লম্বায় উচু ছিলাম তাই কেউ না কেউ অন্ধকারে কেবল ছায়া দেখে চিনে ফেলতো ।
৪| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
নারেকেলের দুধের পোলাও, চিংড়ি মাছের মালাই কারি আর মুরগীর মাংস
বিশাল বড় বড় চিতই পিঠা দুধে ভেজানো
ঘিয়ে ভাজা পরটা আর আলু হালকা মুচমুচে করে ভাজা আর ডিম ভাজা
এতোসব প্রিয় মজাদার খাবারের কথা বলেছে, মোটামুটি সবগুলোই নিজে করতে পারি কিন্তু দুধে ভেজানো চিতই পিঠা কোথায় পাবো! এই জিনিসতো নিজে বানাতে পারবো না
২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪
রানার ব্লগ বলেছেন: দুধে ভেজানো চিতই পিঠা বানানো খুব সহজ যদি তুমি জানো চিতই পিঠা কি করে বানায় । ব্যসা তাহলে রাত্রে দুধে চিনি দিয়ে গরম করে ফুটাতে হবে । দুধ ফুটে গেলে তাতে ভাজা চিতই পিঠা ছেড়ে দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে । ব্যাস সকালে দেখবা তুলতুলে নরম দুধে ভেজা চিতই পিঠা ।
৫| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৪
আমি সাজিদ বলেছেন: আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলে আমরাও যেতাম নানুবাড়ি। সব খালারা আর কাজিনরা আসতো তখন। কখনও মা খালারা প্রোগ্রাম করে সেখানে যেতাম অথবা কখনও কোনও মামা নিতে আসতো। আমাদের নানুবাড়ি বিশাল লম্বা, এল প্যাটার্নের। সে সময় সবগুলোই মাটির দোতলা বাড়ি ছিল। নানা ও তার আপন ভাইরা এই বাড়িগুলো করেছেন। একেকটা বাড়িতে একেকটি পরিবার থাকতো। লম্বা বাড়ির সামনে সামনে বিশাল ধান রাখার ঘরগুলো, পাশে বিশাল পুকুর, আর গোয়ালঘর ও দূরের বিস্তৃত সবুজ জমিন, এখনও যেন চোখে সামনে ভেসে ভেসে উঠে!
আপনার লেখা পড়তে পড়তে যেন বিশ বছর আগের নানু বাড়িতে ফিরে গেলাম, আমি আমার ক্লাস ফোর পড়ুয়া সেই ছোট্ট আমাকে দেখতে পেলাম লেখাটায়।
চমৎকার লেখায় প্লাস।
২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৯
রানার ব্লগ বলেছেন: আমাদের প্রায় প্রত্যেকের জীবনে মাম বাড়ির স্মৃতি অমলীন ! ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন ।
৬| ২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমে বেশ বড় পোষ্ট দেখে ভেবেছিলাম বাড়ি ফেরার পথে আরাম করে বসে পড়ব-কিন্তু হায় দেখিলাম লেখাটা দু'বার এসেছে!!
আমার মনে হচ্ছে এই শেফালি আপাকে নিয়ে এর আগেও লিখেছেন। তিনি আপনার কৈশরের অন্তপ্রান জুড়ে আছেন- ওই বয়সে বোরদের প্রমে পড়া আসলেই চরম ফ্যান্টাসির বিষয়। মেয়েরা খুব সহজেই অল্পবয়েসী ছেলেদের জড়িয়ে ধরতে পারে- কেউ কিচ্ছু ভাবেনা। কিন্তু সেই কিশোরের মনে কি তোলপাড় হয় সে-ই বোঝে।
নানু বাড়িতে আপনার খাওয়া দাওয়ার গল্প পড়ে বেশ লোভ লাগল। যদিও এই বয়সে এসেও শ্বশুরবাড়িতে এখনো এমন ধারার খাবার জোটে আমার
শেয়ার মারার গল্পটা সে-রকম!
২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
রানার ব্লগ বলেছেন: শেফালি আপা এখন অনেকটা বধ্য উন্মাদ।
আহা! আপনি ভাগ্যবান। শশুর বাড়ির মধুর হাড়ি।
একবার গুইসাপ ধরতে গয়ে প্রায় ডুবে মরতে নিছিলাম।
৭| ২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
নস্টালজিয়া ইশক বলেছেন: পুরানা স্মৃতিকথা বেশ হৈছে।
২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
রানার ব্লগ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
শাওন আহমাদ বলেছেন: আপা কি এখনো আছেন আর আপনি কি এখনো এতো এতো খেতে পারেন?
২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
রানার ব্লগ বলেছেন: শেফালি আপার এখন সম্ভবত বয়স ৫৫ থেকে ৫৭। তিনি বর্তমানে বদ্ধ উন্মাদ।
খাবার আমি সব সময় পছন্দ করি। সেটা এখনো আর তখনো নাই। তবে ভালো থাকার স্বার্থে পরিমান কমিয়েছি। প্রীয় সব খাবার আমি সব সময় খেতে পাচ্ছি। ভবিষ্যতের কথা জানি না।
৯| ২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
কামাল১৮ বলেছেন: এক্কেবারে লাইলী মজনুর গল্প।১২/১৩ বছরের গ্রামের সুন্দরী মেয়েদের এমন কিছু গল্প আছে।বর্তমানে শুনা যায় না।আমার কাছে এর একটা ব্যাখ্যা আছে।যাঁরাই কুসংস্কার মুক্ত অতিপ্রাকৃতিতে বিশ্বাস করে না তারা চেষ্টা করলে বের করতে পারবেন।
মন ছুয়ে যাওয়া ছোটবেলার ঘটনা।
২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০০
রানার ব্লগ বলেছেন: শেফালি আপার এমন আদ্ভুতুরে কান্ড আরো আছে। ঘুমের মধ্যে দুই তিন ফুট উপরে ভেসে থাকা। উহা গ্রামের অনেকেই দেখেছে।
১০| ২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
কামাল১৮ বলেছেন: অনেকে দেখেছে এমন গল্প অনেক আছে।কিন্তু আপনি কি দ্খেছেন? জুয়েল আইচ পারে এটা অনেকে দেখেছে।কিন্তু জুয়েল আইচ কি মঞ্চ ছাড়া দেখাতে পারবে ? পারবে না।
২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
রানার ব্লগ বলেছেন: আমার দেখার সম্ভাবনা কম। কারন আমি বছরে একবার গ্রামে যেতাম তাও অল্প সময়ের জন্য। যাই হোক আসলে গ্রামে অনেক কিছু ঘটে যার ব্যখ্যা আমরা দিতে পারি না।
১১| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:১১
শায়মা বলেছেন: তুমি তো আর একটু হলেই রুপভান রহিমের গল্প বানিয়ে ফেলতে!!!
২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২০
রানার ব্লগ বলেছেন: হা হা হা! কৈশরে এমন অনুভিতি অনেকের আছে।
১২| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:১৩
কামাল১৮ বলেছেন: যেই ঘটনার ব্যাখ্যা নাই,সেটা ঘটেই নাই।ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যাখ্যা আছে।এটা বৈজ্ঞানিক সত্য।
২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২০
রানার ব্লগ বলেছেন: ঠিক তাই।
১৩| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:২৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: খেজুর রস আসলেই অনেক স্বাদের। বাপ রে কী বর্ণনা খাবারের !!!!!!!!!
একজন কবি যখন গদ্য লিখে, খাবারের বর্ণনা দ্যায়, দারুণ কাব্যিক হয়ে উঠে তা।
আহা শেফালী আপা ! মন্তব্যের ঘড়ে বর্তমান গল্প শুনে মন কেমন করে উঠলো।
আমি অবশ্য অনেকবার আয়নায় দেখে বোঝার চেষ্টা করেছি সুন্দরের কিছু পাই নাই । একবার রেশমি সুতা জোগাড় করে এনে মিলিয়ে দেখার চেষ্টাও করেছি । মেলাতে পারি নাই ) ।
হাহাহাহা কী বলে !
চমৎকার স্মৃতিকথায় ভালোলাগা।
২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:১২
রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যাবাদ!! আসলে খাদ্য রসিক বলতে যা বোঝায় আমি তা না। তবে মজাদার খাবারের সমজদার আমি।
১৪| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৮
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: চমৎকার লাগলো, হারিয়ে গেছিলাম গল্পের মধ্যে।
২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:১২
রানার ব্লগ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। মন্তব্যের জন্য।
১৫| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৩১
উম্মে হানী কারিমা বলেছেন: খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু পড়তে যেয়ে অনেক বানান ভুল ছিল, যেগুলো সম্ভবত ব্লগে লিখতে যেয়ে হয়েছে। আপনি আমার মতো অন্য কোথাও থেকে লিখে (যেমন ওয়ার্ড বা ডায়েরী অ্যাপ থেকে) পেস্ট করে দিতে পারেন। পেস্ট করবার আগে গল্পটা রিভাইস দিলে ছোটখাটো বানান গুলোও শুধরে যাবে।
২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪০
রানার ব্লগ বলেছেন: হ্যা ব্লগে লিখতে গিয়ে এমন ভুল হয়। ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং কমেন্টস করে সুধারানোর উপায় বাতলে দেবার জন্য।
১৬| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- নীপার ভয়ে অনেকেই কাঁচা রস ছেড়ে দিয়েছে। আমি এখনো ছাড়তে পারি নাই।
২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৪৫
রানার ব্লগ বলেছেন: আমার অবস্থা অনেকটা পাই না তাই খাই না।
১৭| ২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আাপনার শেফালী আপা বর্তমানে কেমন আছেন? তিনি নিজে এই বিষয়ে কি বলতেন? সম্ভব হলে আপনার শেফালী আপার বিষয়ে আরোও লিখুন।
২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৪৭
রানার ব্লগ বলেছেন: বর্তমানে তিনি বদ্ধ উন্মাদ। লিখবো ভাবছি পর্ব আকারে লিখবো।
১৮| ২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৫২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এই ধরনের বেশ কিছু ঘটনার সাথে আমি পরিচিত। আমি তাই ধারণা করেছি - হয়তো তিনি বেঁচে নেই অথবা তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় আছেন। সম্ভব হলে আপনি পর্বাকারে বিস্তারিত লিখুন।
পোস্টটি প্রিয়তে রাখছি। +++
২৩ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:১৪
রানার ব্লগ বলেছেন: জ্বী অবধ্যই চেষ্টা করবো।
১৯| ২৩ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা লেখা।
লেখাতে আবেগ আছে, পাওয়া না পাওয়া আছে, হাহাকার আছে, আনন্দ আছে।
২৩ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫২
রানার ব্লগ বলেছেন: ছেলেবেলা এখন পুরাটাই কেবল স্বপ্নের মধ্যে আসে । উহা আর ফেরত আসবে না । ধন্যবাদ ।
২০| ২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
স্মৃতি কথন ভাল লাগল ।
শিয়াল মারার দুর্গতির কথা বেশ সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন । তবে বল্লম নিয়ে এত কষ্ট করে সবাই মিলে
এতসব হাঙ্গামা এড়ানো যেতো। শিয়াল পন্ডিতের উপরে যদি আরো একটু বেশী পন্ডিতি ফলানো হতো
তাহলে সহজেই তাকে কাবু করা যেতো।
আমার মনে পড়ে শৈশব থেকে কৈশোরে পড়ন্ত বেলায় আমাদের পাট ক্ষেতে দিনের বেলায় শিয়াল চুপ করে
লুকিয়ে থেকে সময় সুযোগ মত মুরগী ও ছাগলের বাচ্চা ধরে নিয়ে যেতো । একদিন এক শিয়াল আমাদের
একটি ছাগলের বাচ্চাকে ধরে নিয়ে যায় । ভাবলাম শিয়ালকে একটুতো শায়েস্তা করতেই হবে ।
শীতকালে বাড়ীতে দাদী খেজুরের রস জাল দিয়ে তার থেকে গুড় তৈরী করে ঠিলাতে ভরে রাখতেন । দিন কয়েকের
মধ্যেই আমরা গুড় খেয়ে ঠিলা খালি করে ফেলতাম ।সেদিন রাতে গুড় ফুরিয়ে যাওয়া একটি ঠিলাকে (কলস-জাতীয়
মাটির পাত্র) রেখে দিয়েছিলাম রান্নাঘরের পেছনে। রাতে শিয়াল পণ্ডিত কলসের তলায় লেগে থাকা গুড় খাওয়ার
লোভে ভেতরে জোর করে মাথা দিয়েছিল সেঁধিয়ে, ব্যস! ফাঁদে পড়ে গেছে শিয়াল মশাই। আর তো মাথা-ঘাড় বের
করতে পারে না!, শুরু করে দাপাদাপি । ঘটনাস্থলে ঘেও ঘেও করতে করতে হাজির হয়ে যায় দুই-তিনটা কুকুর ,এর
পরের অবস্থটি কল্পনা করুন ।
শুভেচ্ছা রইল
২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:২৩
রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য । আসলে তখন বয়সটাই এমন ছিলো যাই করতাম তা সর্বচ্চ বাড়াবাড়ির মাত্রা ছাড়িয়ে যেত । আমার স্পস্ট মনে আছে । বড় মামার হাতে বেদম মার খেয়ে রাগ করে মামাদের কলাবাগানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলাম । কলা গাছের পাতা শুকিয়ে গেলে গাছের সাথেই ঝুলে থাকে সেই পাতায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলাম একটা একটা করে কলাগাছে । দশ একর জায়গার উপর কলাবাগানে ধাউধাউ করে আগুন জ্বলেছিলো । অবশ্য এর জন্য আব্বা অনেক বকা দিয়েছিলো ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৫
নাহল তরকারি বলেছেন: নানা যতদিন আছে, নানা বাড়িতে আদর ততদিন আছে।