নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা নিয়ে বসে আছি ।

রানার ব্লগ

দুরে থাকুন তারা যারা ধর্ম কে পুজি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দূরে থাকুন তারা যারা ১৯৭১ থেকে অদ্যাবদি বাংলাদেশ বিরধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং সকল পাকিস্থানী প্রেমী গন।

রানার ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুঃখবোধ তৃতীয় (লাটিম)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৮



সময়ের কিছু দাবী থাকে । এক একটা সময় একটা জিনিসের চল খুব বেড়ে যায় । এই যেমন বাল্যকালে স্টার আর নেভী সিগারেটের প্যাকেটের উপরের অংশের খুব ডিমান্ড ছিলো । আমার বয়সী তখনকার বাচ্চাদের পকেটে স্টার আর নেভী সিগারেটের প্যাকেট বান্ডিল আকারে পাওয়া যেতো । বিশেষ ক্ষেত্রে তা লেনদেন হতো । এই লেনদেন একটা বিশেষ খেলার অংশ ছিলো, যদিও সেই খেলার পদ্ধতি এখন মনে নাই । আমাদের মধ্যে যার কাছে সিগারেটের প্যাকেটের উপরের অংশ বেশি ছিলো সে ছিলো আমাদের সর্বচ্চ ইর্ষনীয় ব্যক্তি। তাকে মনে হতো মহা পুরুষ বা আকর্ষোনীয় একজন ব্যক্তিত্ব । হিংসায় মন কুঁচকে থাকতো । আর সেই বালকের ভাব থাকতো দেখার মতো। মাথা উঁচু করে রাস্তায় হাটতো। আমাদের মতো দরিদ্রদের দিকে তাচ্ছিল্লের দৃষ্টিতে তাকাতো । অবশ্য ওই অমূল্য সম্পদ তার কাছে বেশিক্ষন থাকতো না । কোন না কোন ছলে তাকে নিঃস্ব করা হতো, তখন তার কান্না রাস্তার এই মাথা থেকে অন্য মাথা পর্যন্ত শোনা যেতো । ঘরের মধ্যে বন্দী থাকলেও সেই কান্নার ধ্বনী ঠিকি আড়ি পেতে শুনে নিতাম। বুকের ভেতর কি যে এক শান্তি অনুভব তা এই মূহুর্তে বুঝিয়ে বলা প্রায় অসম্ভব । মোট কথা মনে ভেতর বিজয় সংগীত বাজতো ।

বড্ড নেশা ছিলো দোকান থেকে আলুর চপ, সিঙ্গারা , বেগুনী কিনে খাওয়ার । কিন্তু মায়ের কড়া নিষেধ ছিলো । হাতে কোন ক্রমে টাকা পয়সা থাকতে দেয়া হতো না । মাঝেমধ্যে বড়লোক আত্মীয় স্বজন বেড়াতে এলে বা তাদের বাড়িতে বেড়াতে গেলে হাতে টাকা গুজে দিতো, ওমনি চোখে ভেসে উঠতো মোড়ের দোকানের চপ আর বেগুনীর টগবগে তেলে ভাজার দৃশ্য। মনে মনে প্ল্যান করে ফেলতাম কি করে খাওয়া যায় বেগুনী আর চপ কিন্তু মুরুব্বী যারা তারা কি আর এই কঁচি প্রানের ইচ্ছার কথা মাথায় রাখেন, তারা মোটামুটি ভক্ষকের ভুমিকায় নেমে পরেন, অনেক টা জোর করে পকেটে গুঁজে দেয়া টাকা টা হাতিয়ে নিতেন বিনিময় তেলতেলে হাসি দিয়ে বলতেন ছেলে মানুষ টাকা পয়সা কোথায় না কোথায় হারিয়ে ফেলে , মাথায় হাত বুলিয়ে বলতো যখন লাগবে আমাকে বলো আমি অল্প অল্প করে দেব । আমি তো জানতাম ওই যে অর্থ বেহাত হলো উহা আর ফেরত আসার কোন সম্ভাবনা নাই । মাঝে মাঝে মন বিদ্রহী হয়ে ওঠে, মোচর দিয়ে ঘাড় বাকা করে বলতাম কই দাও? ওমনি পিঠের উপর রাম চিমটি এসে পরতো তাতে মনে হতো পিঠের উপর আমেরিকার এটম বোম ফালালেও বুঝি এমন ব্যথা পেতাম না হয়তো সেই সাথে রক্ত চক্ষুর তপ্ত উত্তাপের ছ্যাকায় বিদ্রহ নিপাত যেতো বিনা বাক্য ও ধুম ধারাক্কা কিলের অপব্যায়ে ।

কচি প্রানের কচি জিব্বা কতো কিছুই না খেতে চাইতো, এই যেমন ধরুন আলুর দম, ঘুগনি, সিঙ্গারা, ছোলা মুড়ি, তাল মিছরি, দেলবাহার ওয়ালার বানানো হাতি ঘোড়া, মিষ্টি জাতীয় কিছু দিয়ে পেচিয়ে পেচিয়ে হাতি ঘোড়া বানাতো , আমার পছন্দ ছিলো মটর সাইকেল, কটকটি, আহা কি স্বাদ ছিলো । যদিও সেই স্বাদ যা কালে ভাদ্রে জিহ্বায় পরতো তাও বৈধ উপায় না , কি করবো বলেন, স্বাধ ছিলো সাদ্ধ ছিলো না তাই অবৈধ উপায়ে তা আস্বাধন করতাম। আমার মনে হয় ঠিক এই কারনেই সিমান্ত এলাকায় অবৈধ কম্ম সম্পাদন হয় । কিন্তু জম তুল্য অভিভাবকদের কড়া পাহাড়া আর হামকি ধামকির ভয়ে কুটা টা নাড়ানোর মতো সাহস কোন দিনো সঞ্চয় করতে পারি নাই । চোখের সামনে বন্ধুদের দেখতাম জিহবার ডগায় আলুর দমের এক পিস রেখে টুক করে মুখে চালান করে দিয়ে চোখ দুখানা বন্ধ করে মুখে এক স্বর্গীয় অনুভুতির যে প্রকাশ করতো ওতেই আমার মুখে জলের বাঁধ ভেঙ্গে ফারাক্কার জলের মতো গড়িয়ে বুক ভাসিয়ে দিত। আর মাঝে মধ্যে টেরিয়ে চেয়ে দেখতো কতো খানি জল গড়ালো, তা দেখে মুচকি হেসে আর এক পিস জিব্বায় চালান করে দিতো , এমিনি হতচ্ছারা ছিলো বন্ধু গুলা। কখনো দয়া মায়া হলে ছোট্ট এক কোনা ভেঙ্গে হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলতো যাতো তুই এখান থেকে আমাদের আবার পেট ব্যথা হবে , যেমন করে তুই তাকাস তাতে তো আলুর দম ঘাবড়ে গিয়ে আলু কাবলি হয়ে যাবে। মনের দুঃখ বুকের মধ্যেই চাপা দিয়ে একবার সাহসের কাজ করে ফেললাম । আম্মা খাটের তোশকের নিচে টাকা রাখতো সেখান থেকে পঞ্চাশ টাকার একটা লাল নোট নিয়ে বেড়িয়ে গেলাম এক বিকেলে। মোড়ের মাথার হোটেল থেকে বিশ টাকায় চল্লিশ টা চপ কিনলাম। আহা সে কি চপ নরম তেলতেলে আর তার যে কি স্বাদ, জিভের উপর পড়ে যেন চপ খানা জিভেই ঘুমিয়ে পরতো এর পর স্লাইডিং করে সুর সুর করে সুরুত করে গলা দিয়ে নেমে যেতো এক স্বর্গীয় সুখানুভূতি দিয়ে । তো সেই চল্লিশ খানা চপ নিয়ে বাড়ি থেকে বহুত দুরে এক ঝিল ছিলো সেই ঝিল পারে বসে হাতের ঠোংগা শেষ করলাম, অনেক দিনের অতৃপ্ত আত্মা কে তৃপ্ত করে হালকা ফুরফুরে মন নিয়ে বারি ফিরলাম ।

বাড়ি ঢুকে দেখি এলাকার এক খালা বাসার বসার ঘড়ে আম্মার সাথে শলা পরামর্শে ব্যস্ত , আমাকে দেখেই এক আসামী ধড়া পরছে মার্কা এক হাসি দিয়ে বললো ওই তো এসে গেছে আপনার ছেলে ওকেই জিজ্ঞাসা করেন আমি নিজ চোখে দেখছি ও ঝিলের পারে বসে চপ খাচ্ছে। আপনারা কি ওঁকে খাইতে দেন টেন না নাকি ? ভাবুন একবার আমার তখন কি অবস্থা । আম্মা আমার দিকে পৃথিবীর সকল প্রতিহিংসা নিয়ে চোখের সব হিংস্রতা দিয়ে পুড়িয়ে মারতে লেগে গেলো। পাড়ার সেই খালা বলে যাচ্ছে তো বলে যাচ্ছে আর আমি তখন কোথায় পালাবো সেই চিন্তায় অস্থির । আমার কেবল একটাই চিন্তা বাড়ি থেকে মাইল খানিক দুরের ঝিলে খালার দৃষ্টি কি করে গেলো ? উনি নাকি ওনার বাসা বসার ঘরের জানালা থেকেই দেখেছে আমি ঝিল পারে বসে চপ খাচ্ছি । আমার তখন ইচ্ছা হলো হয় সেই পাড়াত খালা কে তুলে আছাড় মারি নতুবা নিজেকে তুলে নিজে আছাড় মারি । তো সেই পাড়াতো খালা যাবার সময় হালকা টিপ্পনি মেরে গেলো কিছু খেলে বাসায় বসে খাবা ঝিল পারে খাওয়ার কি দরকার । আমি অসহায় শুধু চেয়েই থাকলাম আর আগামী আপতকালীন সময়ের অপেক্ষায় নিজেকে প্রস্তুত করারা জন্য সাহস খুজতে লাগলাম । তাহার পর যাহা হইলো উহা বর্ননা করার মতো অবস্থা আমার আজো সম্ভব না । শধু এতটুকু বলা যায়, জনমের তরে চপ খাবার আশা জলাঞ্জলি দিয়েছিলাম ।

এমনি দুর্যোগের সময় নতুন এক খেলার আগমন ঘটলো । লাটিম ঘুড়ানো । এলাকার সবাই লাল নীল সাদা রঙের সুতলি দিয়ে লাটিম ঘুরায়। বাহারি সব লাটিম । কোন টা ছোট কোনটা বড় । বন বন করে লাটিম ঘোরে সেই সাথে আমার কাঁচি হৃদয় ও বনবঙ্করে লাটিমের সাথে ঘোরে। তার উপরে প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে গেলো আমার লাটিম নাই । সবার হালফ প্যান্টের পকেট ফোলা থাকতো লাটিম আর সুতলি দিয়ে । বন্ধুদের কাছে চেয়ে চিন্তে লাটিম নিলেও তা ঘুড়াতে পারতাম না । সবাই বিশেষ কায়দায় পেচিয়ে বা হাতে উচিয়ে স্যাত করে ছুড়ে মারতো লাটিম লাটিম হাওয়ায় সুতলির টানে ঘুরতে ঘুরতে মাটিতে পড়ে দুই তিন টা লাফ দিয়ে বনবন করে ঘুরতো আমি ঘুরাতে গেলে লাটিমের কি যে হতো বেচারা চিত হয়ে ঘুরতো । হেন কোন অপমান জনক গালি বন্ধুরা বাদ দেয় নাই আমাকে উদ্দেশ্য করে। ঝুলি ফুরিয়ে গেলে বানিয়ে বানিয়ে গালি দিত । লজ্জা আর অপমানে একদিন নিজেই আবার টাকা চুরি করে তিন টাকা দিয়ে একটা লাটিম আর সুতলি কিনে ফেললাম । কিন্তু ঘুরানো প্র্যাক্টিস কোথায় করবো । বন্ধুদের সামনেকরলে অপমান করবে তাই জায়গা বেছে নিলাম বাড়ির পেছনে পেয়ারা তলা আছে সেখানেই । দিনভর প্র্যাকটিস করি লাটিম তাও সোজা ঘোরে না । হাজার কায়দা করে ছুড়ে মারি ফলাফল উল্টা হয়ে বনবঙ্করে ঘোরা । কখনো ব্যাকা হয়ে মারি , কখনো বসে মারি, মনে মনে চিন্তা করি বন্ধুরা কি করে ঘুরায় অমনি করে মারি তাতেও কাজ হয় না। মন ভিশন খারাপ। একদিন বিরক্তি নিয়ে ছুড়ে মারলাম তাকিয়ে দেখি লাটিম মনের আনন্দে সোজা ঘুরছে । বুকের ভেতর নতুন প্রেমে পরার আনন্দ যেন টগবগ করে উঠলো । কপালা আমার এতোই ভালো যে ঠিক তখনি পেছন থেকে ছোট বোন ভুত দেখার মতো চিল্লায় উঠলো, ভাইয়া তুই লাটিম ঘুরাস, দাড়া আব্বা আসুক , আজি বলে দেব । আমার সুখের ঘড়ে আগুন লেগে গেলো । মন এবং পিঠ দুই জন প্রস্তুত ভাঙ্গার জন্য ।

সন্ধ্যায় আব্বা এলো অফিস থেকে । আব্বা বাসায় ঢুকতে যা দেরি , আমার বোনের তিড়িং বিড়িং নৃত্য করে নালিশকরতে মোটেও দেরি হয় নাই, আব্বা ভাইয়া লাটিম ঘুরায়। সারা দিন লাটিম নিয়া পড়ে থাকে। ব্যসা, বাঘের ঘরে যদি হরিন পড়ে হরিনের যে হাল আমারো সেই হাল। তুই লাটিম ঘুরাস, দাঁত কিড়মিড় করে জিজ্ঞাসা করলেন আব্বা। আমি কোন উত্তর দেই না । বল তুই লাটিম ঘুরাস, আব্বা চেচায় । আমাই মাথা নারি, হ্যা একটা লাটিম কিনছি। আব্বা চিৎকার করে উঠলেন, আমার ছেলে লাটিম ঘুরায়া এটাও আমাকে শুনতে হলো । আমি আসলে বুঝে উঠতে পারছিলাম না লাটিম ঘুরানোর সাথে তার ছেলে হবার কি সম্পর্ক । আমি চিন্তার সাথে ব্যাপার টা নিয়ে ভাবতে বসলাম । আব্বা আমাকে ভাবনার কোন সুজুগ না দিয়ে কান ধড়ে হির হির করে টেনে বাড়ির পেছনে নিয়ে গেলো, কোথায় লাটিম বল কোথায় লাটিম । আমি কিছু বলার আগেই দেখি বোনের হাতে লাটিম। সে লাটিম টা আব্বার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো এই যে লাটিম। আমার রাগে মরে যেতে ইচ্ছা করলো। এতো গোপনীয় ভাবে লুকিয়ে রাখলাম তাও এই শাকচুন্নি কি করে খুজে পেলো । আব্বা লাটিম নিয়ে আমার হাতে একটা দা ধরিয়ে দিলেন, বললেন এটা কাট, টুকরা টুকরা কর। আমি চোখের পানি নাকের পানি এক করে কাটতে লাগলাম। হু হু করে কাদলাম, কান্নায় বুক ভেসে গেলো, সবে মাত্র সোজা করে লাটিম টা ঘুরাতে শিখেছিলাম । কান ধড়ে টেনে সোজা করে আমাকে দাড়া করালেন । যা ওই খানে চুলা আছে ওই চুলায় ছুড়ে ফেল, আমি বিনা বাক্য ব্যায়ে চুলায় লাটিমের টুকরা গুলো ফেলে দিলাম। ওই দড়ি টা কি জন্য রাখছিস ওটাও ফেল, কানের উপর বর্জ ফেললেন। রশি টাও চিতায় দিলাম । এর পর আমাকে শীতের রাতে কালো ড্যাপসা সাইজের মটকির বরফ ঠান্ডা পানিতে তিনবার গোসল্ করিয়ে তওবা পরালেন জীবনেও যেন লাটিমে হাত না দেই , আর যদি দেই সেই হাত যেন নিজেই কেটে ফেলি। লাটিম ঘোরানোর সকল চেষ্টার সমাপ্তি হলো আমার আজীবনের তরে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মিরোরডডল বলেছেন:




মন এবং পিঠ দুই জন প্রস্তুত ভাঙ্গার জন্য

এতো কষ্টের গল্প কিন্তু মজা করে লিখেছে রানা।

আমার ছেলে লাটিম ঘুরায়া এটাও আমাকে শুনতে হলো

কিন্তু কেনো? লাটিম ঘুরানো কি কোন খারাপ কাজ, এটাতো একটা খেলা।
বাবা রেগে গেলেন কেনো?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২০

রানার ব্লগ বলেছেন: বাবা কিছু ব্যাপারে খুবি কঠর ছিলেন, তিনি লাটিম, মার্বেল এইগুলা খেলতে দিতেন না। অবশ্য পরে জেনেছি আব্বার ভয় ছিলো লাটিম ঘুড়াতে গিয়ে যদি পায়ে ছিদ্র করে ফেলি বা চোখে লাগিয়ে ফেলি। আমার খুব ক্রিকেটার হবার শখ ছিলো তিনি তাও খেলতে দিতেন না তিনি ভয় পেতেন যদি বল লেগে মাথা ফেটে যায়।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি শিশুকাল থেকে ৫ম শ্রেণী অবধি লাটিম খেলেছি; চট্টগ্রামে উহাকে কিশোরদের স্বাভাবিক খেলা হিসেবে নেয়া হয়।

লাটিম ঘুরানোটা খেলা নয়, খেলা হলো ৪/৫ জন মিলে, ১ জনের লাটিমের উপর ( মাটিতে, ১ টি ২ ফুট ব্যাসের বৃত্তের মাঝে রাখা ) আঘাত করা।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২১

রানার ব্লগ বলেছেন: হ্যা আমি জানি এভাবেই লাটিম খেলা হয়, কিন্তু আমার পক্ষে লাটিম ঘুরানোটাই অনেক বড় সাহসের কাজ ছিলো।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৭

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: পুরা নস্টালজিক লেখা। আমাকে অবশ্য এত বাঁধা দেইনি কেউ। আমার বেলায় ছিলো খেলাধূলা সম্পূর্ন উন্মুক্ত। গ্রাম্য যত খেলা আছে সবই খেলেছি। পুরো শৈশব, কৈশোর উপভোগ করেছি। জীবনে অপূর্ণতা বলতে কিছুই রাখেনি আমার মা-বাবা। এমনকি আমি মেয়েদের পুতুল খেলাও খেলেছি আমার ছোট বোনের সাথে। আমার পুতুলের সাথে কত আয়োজন করে যে বিয়ে দিতাম। আহা...
কত সুন্দর স্মৃতি। এখনও চোখে ভাসছে...

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২১

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি সৌভাগ্যবান।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: নারা ভাই আমি জীবনে যে সিগারেট প্রথম খেয়েছি সেটার নাম উইলসন। এই সিগারেট এর দাম ছিল ১ টাকা প্রতিপিছ। চট্টগ্রামে শিশুদের লাটিম খুবই কমন ছিল। এখন পোলাপান ক্রিকেট খেলে ল্যাংটা কাল থেকেই।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার সিগারেট খাওয়ার ঘটনা দুর্ঘটনায় রুপান্তর হয়ে গেছিলো সে অন্য এক গল্প । আমাদের সময় মার্বেল আর লাটিম প্রধান খেলা ছিলো ।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: অন্যের দুঃখ দেখে আনন্দ পাওয়া আমরা সেই ছোট বেলা থেকেই শিখি।এই জন্যই আমরা অন্যের দুঃখের সমব্যথী হতে পারি না।
আমি আমার নিজের বানানো লাঠিম দিয়ে খেলতাম।অনেক লাটিম আমি দুইভাগ করে দিয়েছি।গাব গাছের ডাল দিয়ে লাঠ্িম বানাতাম।মার্বেল খেলায় খুবই পারদর্শী ছিলাম।মোটা মুটি ছোট বেলায় গ্রামের সব খেলাতেই ভালো ছিলাম।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৮

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি জন্ম হয়েছি গ্রামে কিন্তু আমার বেড়ে ওঠা শহরে । কারন আব্বা সরকারী চাকরি করতেন যা প্রায় প্রতি বছর বদলি হতো । আমাকে বিভিন্ন শহরে কাটতে হয়েছে । তাই আমার বন্ধুত্ব তেমন ভাবে কারো সাথে গড়ে ওঠে নাই । আব্বা সম্ভাবত আমাক এনিয়ে খুব বেশি সতর্ক ছিলেন তাই এই সব মজাদার খেলা থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করতেন । তাতে লাভ তেমন হয় নাই , আমি ঠিকি লুকিয়ে লুকিয়ে খেলেছি।

৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আহ!! কত কত স্মৃতি!! পুরোনো স্মৃতি মনে হলে আমার খুব কষ্ট লাগে তাই আমি এসব খুব একটা মনে করতে চাই না।
কিছু বাবারা সময়ের চাহিদা বুঝতে চান না, এরা সন্তানদের ইমোশনের মূল্য বুঝতে পারেন না।

আমার বাবার ব্যাট কোপানোর কাহিনী কিন্তু আপনাকে বলেছিলাম, আর আপনার বাবা আরেক কাঠি সরস, সে আপনাকে দিয়েই লাটিম কুপিয়েছে এবং পুড়িয়েছে!! =p~ এই সব স্মৃতি আসলে জীবনে ভুলবার নয়।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: আসলে এই স্মৃতি গুলা এতটাই জলন্ত যে ভুলে থাকা অসম্ভব। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার বাবা মূল বিষয়টা আডাল করেছে।ইসালামে আছে,গোল বস্তুদিয়ে খেলা হারাম। তাই আমাদের বাব চাচারা লাটিম ও মারবেল খেলা দেখলে বকা ঝকা করতো।এইগুলি তারা ওয়াজে শুনেছে।হাদিসেও আছে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

রানার ব্লগ বলেছেন: হা হা হা !! এমন কিছু আমার বাবা জানতোই না । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ !!!

৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫০

মিরোরডডল বলেছেন:



কামাল১৮ বলেছেন:
আমি আমার নিজের বানানো লাঠিম দিয়ে খেলতাম।অনেক লাটিম আমি দুইভাগ করে দিয়েছি।গাব গাছের ডাল দিয়ে লাঠ্িম বানাতাম।মার্বেল খেলায় খুবই পারদর্শী ছিলাম।মোটা মুটি ছোট বেলায় গ্রামের সব খেলাতেই ভালো ছিলাম।



কামাল যদি জীবনের ছোট ছোট অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা লেখা লিখতো, আমি সিওর সেই লেখাটা পড়তে অনেক ভালো লাগবে।
আমাদের জীবদ্দশায় কি কখনো সেরকম কোন লেখা পাবো!!!!


০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: ঠিক ঠিক !! একদম ঠিক !!! কামাল ১৮ কাজে লেগে পরুন !!!

৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১২

এম ডি মুসা বলেছেন: কবিতার ভাষায় বলি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
ফেলে আসা দিনগুলো মনে হলো আজো,
দেশে চোখের সামনে স্মৃতি হয়ে ভাসে,
ভবিষ্যতের ভাবনা নিয়ে চিন্তা করতে গেলে
অতীত এসে বেপরোয়া খিলখিলিয়ে হাসে। মন এবং পিঠ ভালো লাগছে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩

রানার ব্লগ বলেছেন: কেবল কবিরাই বোঝে ফেলে আসা স্মৃতি গুলো কতখানি মূল্যবান । সেই ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ অতি উত্তম !!!

১০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ছোটকালের কথা মনে পড়ে গেল, লাটিম, ডাংগুলি আর কত কি খেলা এখন মিস করি।+++

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭

রানার ব্লগ বলেছেন: ছোটবেলা কে বড্ড মিস করি । দিন গুলি মোর সোনার খাঁচায় রইলো না ।

১১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: অতীত সৃতি খুবই সুন্দর করে লিখেছেন।
আপনার লেখা পড়ে আমার ছটবেলার কথা সব মনে পড়ে গেলো।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৮

রানার ব্লগ বলেছেন: এটাই সার্থকতা !! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

১২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

সোনালি কাবিন বলেছেন: মন এবং পিঠ দুই জন প্রস্তুত ভাঙ্গার জন্য

# হা হা হা

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৪

রানার ব্লগ বলেছেন: হা হা হা !!! দুইটাই ভেঙ্গে ছিলো ।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

১৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: বাল্য বেলার অনেক স্মৃতি অনেকে কাঁদায়!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫

রানার ব্লগ বলেছেন: স্মৃতি সব সময় বেদনা দায়ক । তা হোক সুখের কিংবা দুঃখের !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.