"করো"না তে যা যা করতে হবে......

২৬ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

দেশে করোনা এখন ‘মাস কমিউনিটি ট্রান্সমিশনে’ চলে গেছে, এটা অনেকটা নিশ্চিত। তাই যা করা উচিত…

১। দ্রুত অধিক জায়গায় এবং অধিক সংখ্যক রোগীর করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। যাতে কার এ ভাইরাস আছে তা নির্ণয় করে আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়।
২। ঢাকা সহ বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ে করোনা চিকিৎসার জন্য আলাদা হাসপাতাল ঘোষণা দিয়ে তার সকল প্রকার প্রস্তুতি দ্রুত সম্পন্ন করা।
৩। করোনার আলামত যদি সত্যি কেউ বহন করেন এমন কাউকে যে কোন সাধারণ হাসপাতালে নেয়াটা যেমন রিস্ক। তেমনি সাধারণ জর, শর্দি’র রোগীকে করোনা হাসপাতালে নেয়াটাও রিস্ক। তাই প্রাথমিক লক্ষণ দেখে দ্রুত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে পারলে যে হাসপাতালে নেয়া দরকার তাই করা যাবে।
৪। অন্তত করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল গুলাতে পর্যাপ্ত মেডিকেল ইকুইপমেন্ট এর জরুরি ব্যবস্থা করা।
৫। নির্ধারিত হাসপাতালের বাহিরে ও ব্যাপক সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স এবং মেডিকেল স্টাফ করোনা চিকিৎসার জন্য লিস্ট করে তাদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা সহ প্রস্তুত রাখা জরুরি। যাতে তারা খারাপ পরিস্থিতে পালাক্রমে সেবা দিতে পারে।
৬। গরীব, খেটে খাওয়া, দিন মজুররদের বাডীতে অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য প্রয়জনীয় আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৭। বড বড ব্যবসায়ী, কোম্পানি, বিত্তবান লোকেরা নিজ নিজ এলাকায়, শহরে, বা নিন্ম আয়ের মানুষের বসবাসের জায়গায় ব্যক্তি উদ্যোগে অথবা প্রশাসনের সমন্বয়ে “কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটির” (সি এস আর) আওতায় সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা।
৮। সর্বোপরি, এ ভয়াবহ মহামারিতে যথাসময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের (স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, ত্রাণ ও দুর্যোগ, খাদ্য, বাণিজ্য ) মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সিনিয়র চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে “ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স” গঠন করা জরুরি। যারা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন। এবং মিডিয়ার মাধ্যমে অবহিত করবেন।

২ টি +০/-০